মুক্ত বাণিজ্যে চীনের নতুন পরীক্ষা ক্ষেত্র হাইনান দ্বীপ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/284283006.jpg[/IMG]
মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সর্ব দক্ষিণের প্রদেশ হাইনান দ্বীপে মুক্ত বাণিজ্য চালু করেছে চীন। মূলত ট্রান্স প্যাসিফিক বাণিজ্য চুক্তিতে যোগ দেয়ার প্রচেষ্টা ও হংকং ধাঁচের নতুন বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা আশা করছেন, শুল্কমুক্ত এলাকা হিসেবে প্রায় বেলজিয়ামের সমান হাইনান দ্বীপে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। অন্তত ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজিত পণ্য চীনে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুযোগ পাবে। বিদেশী কোম্পানিগুলোকে এমন সেবা খাতে কাজের অনুমতিও দেয়া হবে মূল ভূখণ্ডে, যা বিধিনিষেধের কারণে সীমাবদ্ধ।
বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিগুলোর অন্যতম কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (সিপিটিপিপি)। মূলত চুক্তিতে যুক্ত হতে নিজের সক্ষমতা বাড়াতে হাইনানকে বেছে নিয়েছে চীন।
চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী হে লিফেং স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিকভাবে আরো উন্মুক্ত হচ্ছে। হাইনান ফ্রি ট্রেড পোর্টকে নতুন এ যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে গড়ে তুলুন।’
চীনের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, হাইনান ফ্রি ট্রেড পোর্ট নির্মাণ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সিদ্ধান্ত। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে। এর মূল কারণ সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি। এতে চীনের ১৯ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি একাধিক দিক থেকে আরো শক্তিশালী ও বৈচিত্র্যময় হবে। এছাড়া বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে চীনের সক্ষমতা আরো মজবুত হবে।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, গত বছর হাইনানের জিডিপির আকার ছিল ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার, যা বিশ্বের ৭০তম বৃহত্তম অর্থনীতির সমতুল্য। তবে এটি হংকংয়ের ৪০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের অর্থনীতির তুলনায় অনেক কম।
ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ঝু তিয়ানচেন বলেছেন, ‘মূলত চীনের নিয়ন্ত্রিত উদারীকরণ নীতির মডেল হাইনান। সরবরাহ চেইনকে একত্র করার চমৎকার উদাহরণ। তবে এখানে হংকংয়ের মতো আইনি ব্যবস্থা ও আর্থিক স্বাধীনতা নেই।’