এআই ডাটা সেন্টারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/358474370.jpg[/IMG]
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি থেকে পর্যাপ্ত আয় না হলে ডাটা সেন্টারে বিপুল বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। তবে একই সঙ্গে ব্যাংকটি বলছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এআই ব্যবহারের চাহিদা এত দ্রুত বাড়তে পারে যে বিদ্যমান ডাটা সেন্টারের সক্ষমতা তা সামলাতে হিমশিম খাবে। এআই প্রযুক্তি পরিচালনায় বিপুল কম্পিউটিং শক্তির প্রয়োজন হওয়ায় সার্ভার ও ডাটা প্রক্রিয়াকরণের চাহিদা বেড়েছে। এ চাহিদার জেরে বিনিয়োগকারীরা ডাটা সেন্টার খাতে ব্যাপক অর্থ ঢালছেন, ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে নতুন এআই অবকাঠামো নির্মাণের প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ওমডিয়া জানিয়েছে, এআইয়ের কারণে বড় ডাটা সেন্টারে বিনিয়োগ আরো বাড়বে। কোম্পানির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে মোট ব্যয় দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা প্রতি বছর গড়ে ১৭ শতাংশ হারে বাড়বে। তবে এআই নিয়ে বিপুল বিনিয়োগ ও আগ্রহ থেকে শেষ পর্যন্ত আর্থিকভাবে কতটা লাভবান হওয়া যাবে, তা নিয়ে বাজার পর্যবেক্ষকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান লেনোভোর এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই খাতে এখনই বিপুল ব্যয় করার পক্ষে নেই অনেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এআইয়ের চাহিদা নিয়ে করা অনেক পূর্বাভাসের তথ্য নির্ভরযোগ্য নয়, বরং অনুমানের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
গোল্ডম্যান স্যাকসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক জিম স্নাইডার জানিয়েছেন, এআই নিয়ে তৈরি উন্মাদনা বুঝতে এবং এর আসল প্রভাব পরিমাপ করতে সমস্যায় পড়ছেন অনেক বিনিয়োগকারী।
প্রতিবেদনে ২০৩০ সালের মধ্যে ডাটা সেন্টার খাত কীভাবে বিকশিত হতে পারে, তার চারটি সম্ভাব্য দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি পূর্বাভাসেই বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে নতুন ডাটা সেন্টারের চাহিদা কমে যাবে।
গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, ব্যবহারকারীরা যদি এআই টুলের জন্য অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবে এসব পরিষেবা থেকে আয় হবে না। এতে ডাটা সেন্টারের চাহিদা কমে যাবে এবং সরবরাহের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় বেশি হয়ে যাবে।