-
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে বেস এবং কিউটো কারেন্সির পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি মুদ্রা জোড়ায় বেস কারেন্সি হলো প্রধান মুদ্রা, যা লেনদেনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে, এবং কিউটো কারেন্সি হলো সেই মুদ্রা যার বিপরীতে বেস কারেন্সির মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
যদি eur/usd = ১.২৫ হয়, এর মানে হলো ১ ইউরো কিনতে ১.২৫ মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এখানে ইউরো (eur) হলো বেস কারেন্সি, এবং মার্কিন ডলার (usd) হলো কিউটো কারেন্সি। যখন আপনি eur/usd কিনছেন, তখন আপনি ইউরো কেনার পাশাপাশি মার্কিন ডলার বিক্রি করছেন। এর বিপরীতে, eur/usd বিক্রি করলে আপনি ইউরো বিক্রি করে ডলার কিনছেন।
এভাবে, বেস এবং কিউটো কারেন্সি একসাথে একটি মুদ্রা জোড়ার মূল্য নির্ধারণে সহায়তা করে এবং এই মূল্য ফরেক্স মার্কেটের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল।
-
ফরেক্স মার্কেটে, বেস কারেন্সি (base currency) এবং কিউটো কারেন্সি (quote currency) হলো দুটি প্রধান উপাদান। বেস কারেন্সি হলো প্রথমে উল্লেখিত কারেন্সি, যা আমরা কিনতে বা বিক্রি করতে চাই। উদাহরণস্বরূপ, EUR/USD এ EUR হলো বেস কারেন্সি, যার মূল্য আমরা USD তে প্রকাশ করি।
কিউটো কারেন্সি হলো দ্বিতীয় কারেন্সি, যা বেস কারেন্সির মূল্য নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ, EUR/USD = 1.20 মানে হলো ১ ইউরো (EUR) কিনতে ১.২০ মার্কিন ডলার (USD) দরকার। ফরেক্স ট্রেডিংয়ে মূলত বেস কারেন্সি কেনা বা বিক্রির মাধ্যমে লাভ অর্জন করা হয়, যা কিউটো কারেন্সির তুলনায় মূল্যবৃদ্ধি বা হ্রাসের ওপর নির্ভর করে।
-
ফরেক্স মার্কেটে ট্রেডিং করার সময় প্রতিটি কারেন্সি পেয়ার দুটি কারেন্সি নিয়ে গঠিত থাকে। প্রথমে উল্লেখিত কারেন্সিকে বেস কারেন্সি বলা হয় এবং এটি সেই কারেন্সি যা আপনি কেনার বা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। দ্বিতীয় কারেন্সি হলো কিউটো কারেন্সি, যা দিয়ে বেস কারেন্সির মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি eur/usd পেয়ারটি ১.২০ দেখায়, এর মানে হলো ১ ইউরো (eur) কিনতে ১.২০ মার্কিন ডলার (usd) প্রয়োজন। ট্রেডাররা আশা করেন বেস কারেন্সির মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং তখন কিউটো কারেন্সির বিনিময়ে তা বিক্রি করে লাভ করবেন।
বেস কারেন্সি ও কিউটো কারেন্সির সম্পর্ক বুঝতে পারলে ট্রেডাররা বাজারের মুভমেন্ট সম্পর্কে আরো ভালোভাবে অনুমান করতে পারেন।
-
বেস কারেন্সি এবং কিউটো কারেন্সি ফরেক্স ট্রেডিংয়ের মূল ভিত্তি। বেস কারেন্সি হলো সেই কারেন্সি যেটির মূল্য আপনি মূল্যায়ন করছেন, আর কিউটো কারেন্সি হলো সেই কারেন্সি যার মাধ্যমে বেস কারেন্সির মূল্য প্রকাশিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, usd/jpy পেয়ার দেখলে বুঝতে পারবেন, এখানে usd হলো বেস কারেন্সি এবং jpy হলো কিউটো কারেন্সি। যদি usd/jpy = ১৪০.৫০ হয়, এর অর্থ হলো ১ মার্কিন ডলার কিনতে ১৪০.৫০ জাপানি ইয়েন দরকার।
এই দুটি কারেন্সির সম্পর্ক ট্রেডারদের সাহায্য করে, কারণ যখন বেস কারেন্সির মূল্য কিউটো কারেন্সির তুলনায় বাড়ে, তখন ট্রেডাররা লাভ করতে পারেন। সঠিক মূল্য নির্ধারণ ও বাজার বিশ্লেষণের জন্য বেস এবং কিউটো কারেন্সির পার্থক্য বোঝা জরুরি।
-
ফরেক্স মার্কেটে, প্রতিটি কারেন্সি পেয়ার দুটি ভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে গঠিত, যেখানে প্রথমে থাকা বেস কারেন্সি ট্রেডারের কেনা বা বিক্রয়ের মূল ভরসা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং দ্বিতীয়ত, কিউটো কারেন্সি দ্বারা বেস কারেন্সির মূল্য প্রকাশ করা হয়।
যেমন, যদি eur/usd = ১.১০ হয়, এর অর্থ হলো ১ ইউরো কিনতে ১.১০ ডলার প্রয়োজন। এখানে eur হলো বেস কারেন্সি, এবং usd হলো কিউটো কারেন্সি।
বেস কারেন্সি এবং কিউটো কারেন্সির সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে ট্রেডাররা বিভিন্ন সময়ে লং (বাই) বা শর্ট (সেল) পজিশন নিতে পারেন। এই পার্থক্যের মুনাফা অর্জনই ফরেক্স ট্রেডের লক্ষ্য। বেস এবং কিউটো কারেন্সির পারস্পরিক অবস্থান মূল্যবৃদ্ধি বা হ্রাস বুঝতে সহায়ক হয়।
-
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে বেস কারেন্সি এবং কিউটো কারেন্সির সম্পর্ক বুঝে ওঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি একটি কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করেন, তখন মূলত বেস কারেন্সি কেনা এবং কিউটো কারেন্সি বিক্রি করা হয়, বা বিপরীতভাবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি eur/usd পেয়ার কিনতে চান, তবে এর অর্থ হলো আপনি ইউরো কিনছেন এবং ডলার বিক্রি করছেন।
প্রতিটি কারেন্সি পেয়ারে বেস কারেন্সির মূল্য কিউটো কারেন্সির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, যা বাজারের দামের ওঠানামার ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়। এটি ট্রেডারদের বিভিন্ন কৌশল অনুসরণ করতে সহায়ক করে, যেমন স্প্রেড থেকে লাভ করা, লিভারেজ ব্যবহার করে মুনাফা বৃদ্ধি করা, এবং রিস্ক ম্যানেজমেন্ট। এছাড়া, বেস কারেন্সি শক্তিশালী হলে কিউটো কারেন্সির তুলনায় লাভ বাড়ে, যা বায় ও সেল পজিশন নিতে সহায়ক হয়।