-
EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস – ২১ মে, ২০২৫
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/856558393.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1260–1.1282 রেজিস্ট্যান্স জোনের ওপরে কনসোলিডেট করতে সক্ষম হয়েছে, যেখান থেকে মূল্য এর আগে তিনবার পুলব্যাক করেছিল। এর ফলে, ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকে এবং ক্রেতারা 50.0% ফিবোনাচি লেভেল 1.1320-এর ওপরে ক্লোজিং নিশ্চিত করে। এই কনসোলিডেশন পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স জোন 1.1374–1.1380 এর লক্ষ্যমাত্রায় আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা তৈরি করেছে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে ওয়েভ স্ট্রাকচার বিকশিত হচ্ছে। সর্বশেষ আপওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী হাই লেভেল ব্রেক করেছে, অথচ শেষ ডাউনওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী লো ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে প্রবণতা এখন "বুলিশ" হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সফল বাণিজ্য আলোচনা এবং ফেডের "হকিশ" বা কঠোর অবস্থান কিছুক্ষণের জন্য বিক্রেতাদের সহায়তা করেছিল—তবে তা খুব স্বল্প সময়ের জন্য। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি আবারও মার্কিন ডলারের উপর শক্তিশালী চাপ সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এবং বুধবারেও তেমন কিছু প্রত্যাশিত নয়। তাই ক্রেতাদের এই নতুন আক্রমণাত্মক অবস্থান কিছুটা বিস্ময়কর মনে হতে পারে—তবে এটি এটাও প্রমাণ করে যে তারা নতুন প্রবণতা শুরু করতে প্রস্তুত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন কোনো নেতিবাচক খবর না এলেও। বিক্রেতাদের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য পুরো এক মাস সময় ছিল, কিন্তু তারা সামান্য আগ্রহ দেখাতেই ব্যর্থ হয়েছে। ক্রেতারা আর চুপচাপ বসে থাকতে চায় না। যদিও বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, তবে বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি এবং ভবিষ্যতে তা আরও তীব্র হতে পারে, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমদানির শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে, এবং মার্কিন অর্থনীতির জন্য এটি একটি নেতিবাচক বিষয়। যদি এর সঙ্গে ট্রেডারদের মার্কিন অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ যুক্ত হয়, তাহলে ক্রেতারা দীর্ঘ সময়ের জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখতে পারে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এখনো ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টে খুব সামান্য প্রভাব ফেলছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং 100.0% ফিবোনাচি লেভেল 1.1213-এর ওপরে কনসোলিডেট হচ্ছে, যা পুনরায় বুলিশ প্রবণতা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেয়—ওয়েভ স্ট্রাকচারও একই কথা বলছে। এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট 127.2% কারেকটিভ লেভেল 1.1495 পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে। আ কোনো ইনডিকেটরে ডাইভারজেন্স দেখা যাচ্ছে না।
কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট: সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রফেশনাল ট্রেডাররা 15,357টি লং পজিশন এবং 6,302টি শর্ট পজিশন ওপেন করেছেন। "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট দীর্ঘদিন ধরেই বুলিশ রয়েছে—এর পেছনে ট্রাম্পের ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে স্পেকুলেটরদের হোল্ড করা মোট লং পজিশন 209,000 এবং শর্ট পজিশন 124,000, এবং এই ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে। এর মানে ইউরোর চাহিদা অব্যাহত আছে, কিন্তু ডলারের ক্ষেত্রে তা নেই। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা পনেরো সপ্তাহ ধরে বড় প্লেয়াররা শর্ট পজিশন কমিয়ে এবং লং পজিশন বাড়িয়ে চলেছে। যদিও ইসিবি এবং ফেডের নীতিগত ব্যবধান এখনো সুদের হার পার্থক্যের মাধ্যমে ডলারকে কিছুটা সমর্থন করে, তবে ট্রাম্পের নীতিমালাই ট্রেডারদের জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তা মার্কিন অর্থনীতির সম্ভাব্য মন্দার ঝুঁকি তৈরি করছে। ফলে, ডলারের ক্রেতারা ফেডের নীতিমালার সুযোগ নিয়েও মার্কেটে সুবিধা নিতে পারছে না এবং সে ইচ্ছাও পোষণ করছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোজোনের নিউজ ক্যালেন্ডার: ২১ মে অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নেই। ফলে বুধবারের বাজার পরিস্থিতিতে সংবাদভিত্তিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব কার্যত অনুপস্থিত থাকবে। EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস ও ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: আজ এক ঘণ্টার চার্টে 1.1374–1.1380 জোন থেকে বাউন্স হলে এই পেয়ার বিক্রি করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে টার্গেট হবে 1.1320 এবং 1.1260–1.1282। আমি পূর্বে পরামর্শ দিয়েছিলাম 1.1265–1.1282 জোনের ওপরে ক্লোজ হলে লং পজিশন নেওয়া যেতে পারে, টার্গেট 1.1338 এবং 1.1374—প্রথম টার্গেট ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে এবং এখনো লং পজিশন ক্লোজ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ দেখা যাচ্ছে। ফিবোনাচি গ্রিড এক ঘণ্টার চার্টে 1.1574–1.1066 এবং ৪-ঘণ্টার চার্টে 1.1214–1.0179 থেকে আঁকা হয়েছে।
https://ifxpr.com/4kAbx61
-
২২ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/975663576.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার ধীর-স্থিরভাবে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। মূল্য 1.1267 এর লেভেল ব্রেক করেছে, যা এর আগে বহুবার ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছিল, এবং একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে। ফলে এখন সবকিছুই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর শুরু হওয়া ৪ মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরারম্ভের মতো মনে হচ্ছে। এবারও মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে ডলার বিক্রির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না, কারণ ট্রাম্প নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করেননি কিংবা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি যা মার্কিন অর্থনীতি বা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। বরং, হোয়াইট হাউস চলমান বাণিজ্য আলোচনা ও শুল্ক হ্রাসের মাধ্যমে গত এক মাসে বাণিজ্য সংঘাত প্রশমনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তবুও, আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সংবাদও মার্কিন ডলারের বিক্রি থামাতে পারেনি। মার্কেটের ট্রেডাররা কার্যত এখনো ডলার, ট্রাম্প এবং সামগ্রিক মার্কিন শুল্ক নীতির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1831178558.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি মাত্র ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছে। এশিয়ান সেশনে পেয়ারটির মূল্য 1.1275–1.1292 এরিয়া ব্রেক করে এবং সারাদিন স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। নিকটবর্তী টার্গেট লেভেলগুলো অনেক দূরে ছিল, এবং 1.1354–1.1363 এরিয়া নতুনভাবে গঠিত হয়েছে, যা আগের চার্টে ছিল না। তাই রাতেই ওপেন করা একমাত্র লং পজিশনটি সারাদিন যেকোনো সময়ে ক্লোজ করে মুনাফা করা যেত। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের ওপরে কনসোলিডেট করেছে এবং কোনো মৌলিক কারণ ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দ্বায়িত্ব নেয়ার সময় শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এবার মার্কেটের ট্রেডারদের নতুন কোনো শুল্ক, নিষেধাজ্ঞা বা ট্রাম্পের উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন সিদ্ধান্তের দরকার পড়েনি। কেবলমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের উপস্থিতি—এই বাস্তবতাই বর্তমানে ডলার বিক্রির জন্য যথেষ্ট কারণ। বৃহস্পতিবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে— নির্দিষ্ট কারণ থাকুক বা না থাকুক কোনো কিছুই বিবেচনা করা হচ্ছে না। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। বৃহস্পতিবার ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। ডলারের মূল্য সাময়িকভাবে কিছুটা বাড়তে পারে, কিন্তু বর্তমানে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই, এমনকি টেকনিক্যাল ভিত্তিতে ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেশন না হলে, ডলারের উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম।
Read more: https://ifxpr.com/43tfZfQ
-
২৩ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/484123050.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নিকটবর্তী সাপোর্ট লেভেল 1.1267 পর্যন্ত কারেকশন করেছে। ইউরোর দরপতনের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। গতকাল আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখন সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করছে না। স্বল্পমেয়াদি প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে, তা ট্রেডারদের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করছে না। ইউরোজোন এবং জার্মানির সার্ভিস ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যা ট্রেডারদের অস্বস্তিকর অবস্থানে ফেলে দিয়েছে। একদিকে ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করছিল এবং ডলার কিনতে চাইছিল না, অন্যদিকে তাদের কাছে তেমন কোনো বিকল্পও ছিল না। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কেটে এই পেয়ারের জন্য আরেকটি নেতিবাচক চমক আসে, যখন মার্কিন PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক আসে। এতে আবারও ডলার ক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি হয়। ছয়টি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের প্রেক্ষিতে মার্কিন ডলারের দর প্রায় ৫০ পিপস বৃদ্ধি পায়। অথচ রাতেই কোনো প্রতিবেদন বা নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ডলার আবার ৪০ পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি মাত্র উল্লেখযোগ্য ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, যা শেষ পর্যন্ত ভুল সিগন্যাল হিসেবে প্রমাণিত হয়। দিনের পুরোটা সময় জুড়ে নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গেলেও শুরুতে কোনো কার্যকর সেল সিগনাল গঠিত হয়নি। এক পর্যায়ে পেয়ারটির মূল্য 1.1292 এর লেভেল টেস্ট করে এবং সেখান থেকে রিবাউন্ড করে। তবে মার্কিন সেশনে ট্রেডাররা আবারও মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের কারণে ডলার কিনতে বাধ্য হতে হয়। তবুও, এই পেয়ারের মূল্য 1.1267–1.1292 জোন শক্তিশালীভাবে ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেল ব্রেক করে উপরের দিকে গিয়েছে এবং কোনো সুস্পষ্ট মৌলিক কারণ বা অনুঘটক ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মনে হচ্ছে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার মুহূর্ত থেকে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান রয়েছে। এবার মার্কেটের ট্রেডারদের নতুন কোনো শুল্ক, নিষেধাজ্ঞা বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের দরকার হয়নি—বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার উপস্থিতিই ডলার বিক্রির কারণ হিসেবে যথেষ্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর নির্ভর করবে, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কেটে প্রাসঙ্গিক নয়। ট্রেডারদের মধ্যে আবারও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে কোনো কারণ থাকুক বা না থাকুক তারা ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622 শুক্রবার ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ফলে মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে অথবা নতুন করে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। 1.1267 লেভেল থেকে ইতোমধ্যে একটি রিবাউন্ড গঠিত হয়েছে, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4jmZ7gF
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৬ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/373397990.jpg[/IMG]
গতকালের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প ইউরোপীয় পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন — যার ফলে ইউরোর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং এশিয়ান সেশনে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়। বিনিয়োগকারীরা এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাব্য সংকেত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা ইউরোপীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ মূল্যায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে, মার্কেটে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরেও ট্রেডারদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জটিল ও অনিশ্চিত আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা এখনও বজায় রয়েছে, যা ইউরোপীয় মার্কেটের জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। সপ্তাহের শুরুতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত না থাকার কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন বুন্দেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেল এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তৃতার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, বিশেষ করে যেগুলো মুদ্রানীতির পূর্বাভাস ও মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেগুলো ইউরোর বিনিময় হারের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোজোনের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সংক্রান্ত মন্তব্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হবে। সার্বিক পরিস্থিতির ইতিবাচক মূল্যায়ন বিনিয়োগকারীদের ইউরোর প্রতি আস্থা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ইউরোর দরপতন ডেকে আনতে পারে। রাজনৈতিক বিষয়গুলোও উপেক্ষা করা উচিত নয়। ইইউ-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজস্ব নীতিমালা অথবা ইউরোপীয় একীভূতকরণের সম্ভাবনা নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্য কারেন্সি মার্কেটে অতিরিক্ত অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1467-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1428-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1467-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গতকালের সংবাদের প্রভাবে আজ ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1397-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1428 এবং 1.1467-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1397-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1356-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1428-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1397 এবং 1.1356-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে: হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই। মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন। মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3ZApeJP
-
ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনোই নিজেকে সংবরণ করেননি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/273256895.jpg[/IMG]
মার্কেটের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখলে মনে হয় যেন দ্য গডফাদার স্টাইলে কোনো ব্লকবাস্টার সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা উচিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন সব ধরনের কূটনৈতিক রীতিনীতি পরিহার করে একেবারে সিনেমাটিক স্টাইলে "ডন করলিওনি"-র মতো রূপ ধারণ করেছেন — যে চরিত্রে কিংবদন্তি অভিনেতা মার্লন ব্র্যান্ডো অভিনয় করেছিলেন! ট্রাম্প যেন পুরো দুনিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন — এটি এমন এক পৃথিবী, যেখানে "গ্রেট আমেরিকা"-র তারকা আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তার ব্যবহার, কথার ভঙ্গিমা এমনকি উপস্থিতিও মারিও পুজোর কোনো চরিত্রের মতো। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যখন সাপ্তাহিক ছুটিতে রাজনীতিবিদ এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের ট্রেডাররা কিছুটা বিশ্রাম নিতে চায়, তখনই ট্রাম্প বড় কোনো ঘোষণা দিয়ে তাদের জাগিয়ে তোলেন। "বিশ্বের স্বঘোষিত শাসক" কাউকেই আরাম করতে দিতে রাজি নন। এবারও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের তারিখ পিছিয়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি জানান, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েনের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইইউ-এর প্রধানও কলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেন, বেশ "ফলপ্রসূ আলোচনা" হয়েছে এবং "একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছাতে আরও সময় প্রয়োজন।" এর মানে কী দাঁড়ায়? মনে হচ্ছে, এটি ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার একটি অংশ — যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য! ট্রাম্প তাদের আরও সময় দিচ্ছেন, যাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা আরও ভালোভাবে ভাবতে পারে। তিনি এখনও তার প্রভাব ব্যবহার করছেন, যতক্ষণ না কেউ তার কাছ থেকে সেই সুযোগ কেড়ে নেয়।
মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি গত সপ্তাহে শুল্ক সংক্রান্ত উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য আর্থিক সংকটের আশঙ্কায় মার্কেটে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল, তবে এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রেডারদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। যদিও এটি চীনের সঙ্গে ৯০ দিনের জন্য পূর্ণ যুদ্ধবিরতির মতো সংবাদ নয়, তথাপি বলা যায়, "নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।" মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচার আত্মবিশ্বাসের সাথে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যা মার্কেটে ইতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এই খবরে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, যার ফলে মার্কিন স্টক মার্কেটে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে — যদিও এটি অস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই আশাবাদী পরিস্থিতিতে ডলার তীব্র দরপতনের শিকার হতে পারে, আর ডলার সূচক 98.00 লেভেলে পৌঁছাতে পারে, তার আগে নতুন করে কনসোলিডেশন শুরু হতে পারে। স্বর্ণের ক্ষেত্রে, যদি এটির মূল্য শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স 3358.50 লেভেল ব্রেক করতে সক্ষম হয়, তবে মূল্য বিপরীতমুখী হয়ে পূর্বাভাসকৃত 3263.75 লেভেলে নামতে পারে।
তবে এই ইতিবাচক প্রবণতা কত দিন থাকবে? সম্ভবত খুব বেশি দিন নয়। এই সপ্তাহে ফেডের সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। ফেড আবার সুদের হার কমানোর জন্য প্রস্তুত এমন সংকেত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আপাতত চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সতর্ক থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, যদিও মুদ্রাস্ফীতি ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি নেমে এসেছে — এপ্রিলে বার্ষিক ভিত্তিতে এটি ২.৩%-এ ছিল। তবে যদি প্রথম প্রান্তিকের দেশটির জিডিপি প্রতিবেদনে -০.৩% সংকোচন দেখা যায়, তাহলে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে যেতে পারে। এটি ২০২২ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে, যা কার্যত একটি অর্থনৈতিক মন্দার সূচনা নির্দেশ করবে। এই ধরনের তথ্য নিশ্চিত হলে, ফেড জুন মাসে সুদের হার ০.২৫% কমিয়ে অর্থনীতিতে উদ্দীপনা আনতে পারে। এতে স্টক মার্কেটে চাহিদা বেড়ে যাবে, ডলারের দরপতন প্রসারিত হবে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতি আগ্রহ আবারও ফিরে আসবে। এই সম্ভাবনাকে এখন "উচ্চ" হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে।
আজকের পূর্বাভাস: EUR/USD ট্রাম্পের ঘোষণায় যে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার ফলে এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং যদি 1.1425 এর লেভেল ব্রেক করা হয়, তাহলে মূল্য 1.1530-এর দিকে যেতে পারে। ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হতে পারে 1.1432। #USDX ডলার সূচক বর্তমানে 98.90-এর নিচে ট্রেড করছে। যদি প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায় এবং মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে বিরাজমান অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা নিশ্চিত করে এবং ফেড জুন মাসে সুদের হার কমাতে বাধ্য হয়, তাহলে ডলার সূচক 98.00 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। বিক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হতে পারে 98.65।
Read more: https://ifxpr.com/4keal8D
-
২৮ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1505613761.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুবই অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে উল্লেখযোগ্য হিসেবে কেবল জার্মানির বেকারত্বের হার এবং বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যায় পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র ইউরোজোনের একটি দেশের জন্য প্রযোজ্য এবং বর্তমানে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবির) অগ্রাধিকার তালিকায় বেকারত্বের বিষয়টি শীর্ষে নেই। ফলে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটে খুব সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং সামগ্রিক চিত্রে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বর্তমানে কারেকশনের অংশ হিসেবে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যা সম্ভবত আজকের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1303005852.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের মধ্যে জন উইলিয়ামস ও নিল কাশকারি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিল-এর বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তবে আগেই বলা হয়েছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তৃতা মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ নীতিগত অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণরূপে মার্কেটে প্রতিফলিত হয়েছে। ট্রেডাররা এখন মূলত "ট্রাম্প ফ্যাক্টর"-এর ভিত্তিতে ট্রেড করছে। গত কয়েক সপ্তাহে ফেডের বহু কর্মকর্তাই বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অবস্থানও স্পষ্ট। আমরা মনে করি, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো বাণিজ্য যুদ্ধকেই প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে — যদিও এটি ধীরে ধীরে প্রশমিত হচ্ছে, তবুও তা এখনো চলমান রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন, তবে এসব খবর ডলারের জন্য খুব একটা সহায়ক হয়নি। যদি অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত না হয় বা আলোচনা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ না করলেও, মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি গভীর নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD — উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। দুটি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, এবং ডলার বিভিন্ন কারণে — বা কখনো কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই — দরপতনের শিকার হচ্ছে। তাই বর্তমান কারেকশনটি যুক্তিসঙ্গত হলেও, এটি আজকের মধ্যেই শেষ হতে পারে। আমরা কেবল তখনই ডলারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধার বিবেচনায় নেব যখন উভয় পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করবে।
Read more: https://ifxpr.com/45g32IX
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1181799578.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1302 এর লেভেল টেস্ট করে — যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। দ্বিতীয়বার 1.1302 লেভেল টেস্ট করার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যার ফলে এই পেয়ার ক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ পাওয়া যায় এবং এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস বৃদ্ধি পায়। মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কোর্ট ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত বৈশ্বিক শুল্ক বাতিল করে এবং মার্কিন প্রশাসনকে এসব শুল্ক আর প্রয়োগ না করার নির্দেশ দিলে ইউরোর মূল্য দ্রুত হ্রাস পায় এবং ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিনিয়োগকারীরা এই সিদ্ধান্তকে বাণিজ্যিক উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ এবং আরও পূর্বানুমেয় অর্থনৈতিক কৌশলে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছে। এই আদালতের রায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর এসেছে। আশা করা হচ্ছে, শুল্ক প্রত্যাহারের পদক্ষেপ আমদানিকৃত পণ্যের খরচ কমাবে এবং রপ্তানির সুযোগ বাড়াবে। তবে, শুল্ক প্রত্যাহার মার্কিন শিল্প খাতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যেসব খাত আগে বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে সুরক্ষিত ছিল। একই সময়ে, ডলার শক্তিশালী হলে তা মার্কিন রপ্তানি পণ্যকে বিদেশি ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের দিক থেকে প্রতিযোগিতার মুখে গেলতে পারে — যা রপ্তানি খাতের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। আজ সকালের ইউরোজোনে উল্লেখযোগ্য কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা না থাকায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা রিবাউন্ডের সুযোগ রয়েছে। এই সময়কালে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় ট্রেডাররা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় মার্কেটের ট্রেডাররা হয়তো আবার শুল্ক পরিস্থিতির দিকেই মনোযোগ দেবে। এই বিষয়ে ট্রাম্পের যেকোনো মন্তব্য অস্থিরতার মাত্রা বাড়াতে পারে এবং ইউরোর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1335-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1269-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1335-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1230-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1269 এবং 1.1335-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1230-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1167-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর ব্যাপক চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1269-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1230 এবং 1.1167-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4jIn42l
-
৩০ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1079982055.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে EUR/USD কারেন্সি পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয়, তবে দিনের বাকি সময়টিতে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের যে মুভমেন্ট দেখা গেছে তা ব্যাখ্যা করা কিছুটা কঠিন, তবে আমরা সেটা করার চেষ্টা করব। রাতের বেলায় (যখন হঠাৎ করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়), জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত অধিকাংশ শুল্ক বাতিল করার রায় দিয়েছে। ম্যানহাটনের আদালত রায় দেয় যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো অধিকার বা ক্ষমতা নেই — কেবলমাত্র কংগ্রেসই বৈশ্বিক বাণিজ্যিক শুল্ক আরোপ করতে পারে। এই খবর ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সৃষ্টি করে। তবে পরে হঠাৎ কেন আবার ডলারের দরপতন শুরু হল? কারণ ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু করেন, আপিল করার ঘোষণা দেন এবং মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। সন্ধ্যার দিকে ম্যানহাটনের আদালত তার রায় ১৪ দিনের জন্য স্থগিত করে। এইভাবে, ট্রাম্প পুরো বিষয়টি খুব সহজে সামাল দিয়ে ফেলেন। বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান রয়েছে, শুল্ক বহাল রয়েছে, এবং ডলার আবারও দরপতনের শিকার হচ্ছে
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি অত্যন্ত কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের পুরো সময় জুড়ে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1267–1.1292 এর এরিয়া ব্রেক করার চেষ্টা করছিল, এবং মার্কিন সেশনের শুরুতে অবশেষে তা করতে সফল হয়। এরপরে একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়, যা মূল্য 1.1354–1.1363 এর উপরে পৌঁছানোর পর থামে। এই লেভেলের কাছে লং পজিশন ক্লোজ করা যেত। এই ট্রেড থেকে কমপক্ষে ৬০–৭০ পিপস লাভ করা সম্ভব হয়েছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/128845986.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে নিম্নমুখী প্রবণতা, তবে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছিল, সেটি এখনো অব্যাহত থাকতে পারে। মূলত, এই মুহূর্তে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট — এই কারণটিই ট্রেডারদের ডলার থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। যদি ট্রাম্প আবার হুমকি প্রদান, আলটিমেটাম জারি করা, এবং নতুন করে শুল্ক আরোপ/বৃদ্ধি করা শুরু করেন, তবে ট্রেডারদের হাতে খুব একটা বিকল্প থাকবে না। এখনো ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বাতিল হয়নি, তাই বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বৃহস্পতিবার আবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, যেহেতু ট্রেন্ডলাইনটির ব্রেক হয়ে গেছে। একই সাথে, ডলারের শক্তিশালী মূল্য বৃদ্ধির জন্য এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ দেখা যাচ্ছে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য যেসব লেভেল পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481,1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। শুক্রবার জার্মানি থেকে মে মাসের খুচরা বিক্রয় এবং মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনগুলো গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে যেমন: পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) প্রাইস ইনডেক্স, ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক, যেগুলোও গুরুত্বের দিক থেকে দ্বিতীয় সারির হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/4mDXZba
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1008345502.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1347-এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, মূল্য ১০ পিপস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পরেই এই পেয়ারের ওপর আবারও চাপ ফিরে আসে। শুক্রবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে, যার ফলে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন, যা সাধারণত নিরাপদ সম্পদ বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ায় এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করে। বাণিজ্য আলোচনার ব্যর্থতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেক বিশ্লেষক ইতোমধ্যেই মন্তব্য করছেন যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার হ্রাস এবং বাণিজ্য সংঘাতের আরও তীব্রতা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে, বিশেষ করে সেইসব দেশের জন্য যারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর অধিক নির্ভরশীল। আজ ইউরোপীয় কারেন্সি ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটাই নির্ভর করবে ইউরোজোনের ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর। যদি প্রতিবেদনটির ফলাফল প্রত্যাশামাফিক না হয়, তাহলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হতে পারে। ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যাওয়ায়, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত সুদের হার আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এবং আজকের উৎপাদন খাতের দুর্বল ফলাফল সেই সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করবে, যা এই বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1468-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1408-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1468-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1352-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1408 এবং 1.1468-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1352-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1273-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1408-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1352 এবং 1.1273-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1681389070.jpg[/IMG]
চার্টে কী আছে: হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই। মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত। নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন। মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/43ItPev
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1733034281.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1438 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। তবে, মূল্য ১০ পিপস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পরেই এই পেয়ারের ওপর আবারও চাপ ফিরে আসে। মার্কিন উৎপাদন খাতের ISM সূচকের হতাশাজনক ফলাফল ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা এবং ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি পুনর্মূল্যায়নের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ট্রেডাররা এখন প্রত্যাশা করছে যে ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বেড়েছে, যা ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে—বিশেষ করে যইখন এই মুদ্রাটি ঐতিহ্যগতভাবে সুদের হারের পূর্বাভাস পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল। তবুও, এটাও বিবেচনায় রাখা উচিত যে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি স্বল্পস্থায়ী হতে পারে এবং এটি শুধুমাত্র নতুন মাসের শুরুতে সাধারণ টেকনিক্যাল ইম্পাল্সিভ মুভমেন্ট হতে পারে। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের কারণে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পূর্বাভাস এখনো অনিশ্চিত রয়ে গেছে। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনের মে মাসের CPI (মূল মুদ্রাস্ফীতির সূচক) এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই অর্থনৈতিক সূচকগুলো ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে কী ধরনের মুদ্রানীতি অনুসরণ করতে পারে সে সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে—বিশেষ করে এই পটভূমিতে যে ইসিবি হয়তো এই বৃহস্পতিবার সুদের হার হ্রাসের চক্রের সমাপ্তি টানতে পারে। যদি CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আসে, তাহলে ইসিবির উপর আরও কঠোর অবস্থান নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হবে। বিপরীতে, CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে কম এলে সুদের হার কিছু সময়ের জন্য অপরিবর্তিত রাখার যুক্তি দুর্বল হবে এবং ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বেকারত্বের হারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেকারত্বের হার কমে গেলে তা শ্রমবাজারে উন্নতির ইঙ্গিত দেয় এবং বাহ্যিক অস্থিতিশীলতার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ইউরোজোনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে। বিপরীতে, বেকারত্ব বাড়লে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরো দুর্বল হতে পারে। সুতরাং, আজ ইউরোজোন থেকে প্রকাশিতব্য মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইউরোর ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রতিবেদনগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীরা নিবিড়ভাবে নজর রাখবে যাতে তারা ইউরোপীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং ইসিবির সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে পারে। পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফল যেকোনো অপ্রত্যাশিত বিচ্যুতি কারেন্সি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/713966845.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1464-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1429-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1464-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1410-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1429 এবং 1.1464-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1410-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1380-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে হ্রাস পেলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1429-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1410 এবং 1.1380-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/45EXKXo