-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুলাই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1834605812.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3645-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। তবুও, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক ভালো এসেছিল, যার ফলে পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা তৈরি হয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.3610-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে যায়। সেই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের সময় এই পেয়ারে ক্রয় করার ফলে মার্কেট থেকে অতিরিক্ত 30 পিপস মুনাফা নেওয়া সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সূচকগুলো স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে বেকারত্বের হার 4.1%-এ নেমে এসেছে এবং ননফার্ম পেরোলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে 147,000-এ পৌঁছেছে, যা বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশার চেয়েও ইতিবাচক ফলাফল। শ্রমবাজারে এই গতিশীলতা বৈশ্বিক ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে মার্কিন ডলারের অবস্থান আরও শক্তিশালী হওয়ার সংকেত দেয়। এখন ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের নতুন বিবৃতি এবং সাম্প্রতিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখবে, যাতে বর্তমান প্রবণতার স্থায়িত্ব মূল্যায়ন করা যায়। আজ আমরা যুক্তরাজ্যের নির্মাণ সংক্রান্ত PMI সূচক প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। এই সূচকটি নির্মাণ খাতে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ প্রতিফলিত করে এবং এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, বিশেষ করে যখন দেশটির জিডিপিতে নির্মাণ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই সূচকের মান 50-এর ওপরে থাকলে সেটি নির্মাণ কার্যক্রমে প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। তদ্ব্যতীত, আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্য মার্টিন টেইলরের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগকারীরা আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্যদের বক্তব্যে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে থাকেন। টেইলরের বক্তব্যে যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করা হতে পারে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে তাঁর মূল্যায়ন মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে, আজকের দিনটি ভবিষ্যৎ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাণ খাত সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং টেইলরের বক্তব্য বিনিয়োগকারীদের গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে, যা দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা তৈরিতে সহায়ক হবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3723-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3682-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3723-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3654-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3682 এবং 1.3723-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3654 -এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3610-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3682-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3654 এবং 1.3610-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
-
GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা ৮ জুলাই, ২০২৫
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/609234645.jpg[/IMG]
সোমবার GBP/USD পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে, তবে এখনই এটিকে পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতা বলা উচিত হবে না। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পেয়ারের মূল্য এখনো মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে অবস্থান করছে; যদিও CCI ইনডিকেটর ওভারসল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করার মতো কোনো মৌলিক কারণ নেই। মনে করিয়ে দিই, মার্কেটএর ট্রেডাররা এখনো নির্ভরযোগ্য মার্কিন অর্থনৈতিক সংবাদ—যেমন, শ্রমবাজারের প্রতিবেদন কিংবা ফেডের চলমান হকিশ বা কঠোর নীতিকে—পুরোপুরিভ বে উপেক্ষা করে চলেছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে ট্রেডাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ঘিরে ঘটা ঘটনাবলীতেই বেশি আগ্রহী। এবং সেই ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক খবর না থাকায়, ডলার শক্তিশালী হতে ব্যর্থ হচ্ছে। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন। তিনি সেই দেশগুলোর উপর আগের হার অনুযায়ী শুল্ক পুনর্বহাল করার পরিকল্পনা করছেন যারা তার পছন্দ অনুযায়ী শর্ত মানতে নারাজ, এবং সেইসঙ্গে সেসব দেশকে তিনি "আমেরিকা-বিরোধী অবস্থানে" রয়েছে বলে মনে করেন তাদের উপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপেরও ঘোষণা দেন। এই কথার সুনির্দিষ্ট অর্থ অস্পষ্ট এবং সাধারণত ব্যবহৃত হয় না। প্রথমত, ব্রিকস জোটে রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান এবং আরও কয়েকটি বৃহৎ দেশ রয়েছে। এই দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী। এক পর্যায়ে যৌক্তিক প্রশ্ন উঠেছিল: যদি যুক্তরাষ্ট্রকে বৈরী দেশ হিসেবে দেখা হয়, তবে এখনো কেন লেনদেনে ডলার ব্যবহার করা হচ্ছে? ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর ডলার ব্যবহার বন্ধ করার আলোচনা বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। যদিও বাস্তবে এখনো ডলারই বৈশ্বিক প্রধান মুদ্রা হিসেবে রয়ে গেছে। একে পরিত্যাগ করা সহজ নয়, এটি তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্তও নয়—তবে সেই পথেই অগ্রসর হওয়া শুরু হয়েছে। গত পাঁচ মাসে যেসব পদক্ষেপে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে, তার অন্যতম উৎস ট্রাম্প। তিনি যেকোনো কিছু যা আমেরিকান স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করেন, তার বিরোধিতা করেন। তিনি চান বিশ্ব যেন ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে চলে, আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে, আমেরিকা যে দাম চায় তা মেনে চলে এবং এমন মুদ্রা ব্যবহার করে যা আমেরিকাকে উপকৃত করে। ভাবুন—এক দেশ কিভাবে আরেক দেশকে নির্দেশ দিতে পারে, তারা কী মুদ্রায় রিজার্ভ রাখবে বা লেনদেন করবে? যদি রাশিয়া ও ভারত একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করে, তাহলে কেন তারা মার্কিন ডলার ব্যবহারে বাধ্য থাকবে? ট্রাম্পের অবস্থান বোঝা কঠিন। যদি ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলো তাদের "আমেরিকা-বিরোধী নীতি" বজায় রাখে, তবে তাদের ওপর অতিরিক্ত 10% শুল্ক আরোপ হবে। আমরা দেখতেই পাচ্ছি, শুল্ক যুদ্ধ এখনো ট্রাম্পের প্রধান অস্ত্রগুলোর একটি। তাই, 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হলেও নিশ্চিত করে বলা যায় না যে এক মাস পর ট্রাম্প আবার "বিশ্বব্যাপী কোনো অন্যায়" খুঁজে বের করে নতুন শুল্ক আরোপ করবেন না। হোয়াইট হাউজের পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু না ঘটলেই—শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সুতরাং, আমরা প্রায় নিশ্চিত যে বৈশ্বিক শুল্ক যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হচ্ছে না। অনেক দেশ হয়তো এখনই বুঝে গেছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন এই চাপ চলতেই থাকবে। তাই কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনাই বন্ধ করে দিতে পারে। যদি তিনি শুল্ক আরোপ করতে চান—তাহলে সেটাই হোক। এতে আমেরিকারই ক্ষতি বেশি হবে। যত বেশি ক্ষতি হবে, তত দ্রুত রিপাবলিকানরা ক্ষমতা হারাবে, এবং হয়তো মাস্কের দল বা ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় আসবে—যাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রাখা সম্ভব।
গত পাঁচদিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা ছিল 99 পয়েন্ট, যা এই পেয়ারের জন্য "মাঝারি" হিসেবে বিবেচিত। ৮ জুলাই, মঙ্গলবার আমরা 1.3501 এবং 1.3699 এর মধ্যবর্তী রেঞ্জে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। সিনিয়র লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যা একটি স্পষ্ট উর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। CCI ইনডিকেটর সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা আবারো সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.3550 S2 – 1.3489 S3 – 1.3428 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.3611 R2 – 1.3672 R3 – 1.3733 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের দুর্বল নিম্নমুখী প্রবণতা কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, যা খুব শিগগিরই শেষ হতে পারে। মধ্যমেয়াদে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালার কারণে ডলারের ওপর চাপ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব, যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের ওপরে অবস্থান ধরে রাখে, তাহলে 1.3699 এবং 1.3733 টার্গেটসহ লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে। তবে যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে থেকে যায়, তাহলে 1.3550 এবং 1.3501 টার্গেটসহ শর্ট পজিশন বিবেচনায় আনা যেতে পারে—তবে আগের মতোই, আমরা ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রার মূল্যের কারেকটিভ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে শক্তিশালী দর বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের সমাপ্তির স্পষ্ট সংকেত প্রয়োজন।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৯ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1072183612.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3571-এর লেভেল টেস্ট করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়বার মতো 1.3571-এর লেভেলের টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ নিশ্চিত করে। কিন্তু এর পরেও এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। মার্কিন ডলারের দর পুনরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সমস্ত তামাজাত পণ্যের ওপর 50% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেন—যা অনেকগুলো মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিবৃতিগুলোর ফলে বিশ্ববাজারে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা ধাতবপণ্য ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো চাপের মুখে পড়ে। GBP/USD পেয়ারের দরপতন ঘটে, যা পাউন্ডের দুর্বলতার কারণে নয় বরং ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে হয়েছে। আজ দিনের প্রথমার্ধে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন, আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির আলোচনার সারাংশ এবং বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো পাউন্ডকে সাময়িকভাবে সমর্থন দিতে পারে, তবে এই সমর্থনের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বর্তমান অবস্থান মূল্যায়ন করেছে, এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে হলে আসন্ন প্রতিবেদনে আশাতীতভাবে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত থাকতে হবে। তবে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে উদ্বেগের কথা বিবেচনায় রেখে এই ধরনের দৃশ্যপটের খুব একটা সম্ভাবনা নেই। বিনিয়োগকারীরা আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করবে, যাতে সম্ভাব্য মার্কিন শুল্ক নীতির ঝুঁকি এবং তার ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মূল্যায়ন করা যায়। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 অনুযায়ী বাই এবং সেল সিগন্যাল বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/31027443.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3633-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3590-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3633-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকটিভ বাউন্সের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3568-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3590 এবং 1.3633-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3568-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3525-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3590-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3568 এবং 1.3525-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।