-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ২২ ডিসেম্বর।
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3372 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য ১৫ পিপসে হ্রাস পায়। যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় সূচকের ফলাফলের প্রতি পাউন্ডের ট্রেডাররা দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। খুচরা বিক্রয় সূচকের দুর্বল ফলাফল ভোক্তাদের কার্যকলাপ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে; তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও একই ধরনের সংকেত আসায় এই প্রভাব কিছুটা স্তিমিত হয়েছে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ভোক্তা মনোভাব সূচক, যা মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার দৃঢ়তা নিয়ে সংশয় তৈরি করেছে এবং এর ফলে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। আজ সকালে যুক্তরাজ্যে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, বিনিয়োগ হারের পরিবর্তন ও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। ট্রেডাররা এই অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ এগুলো যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির—যা সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক চাপের মধ্য রয়েছে—বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবে। যুক্তরাজ্যের তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার মাধ্যমে যুক্তরাজ্য উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের হারের মতো সংকট মোকাবেলায় কতটা সফল হচ্ছে তা মূল্যায়ন করা যাবে। যদি পরপর দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপির পতন ঘটে, তাহলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডেরদরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাজ্যে বিনিয়োগ হারের পরিবর্তনও বিশেষ গুরুত্ব পাবে, কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে ব্যবসায়িক আস্থা বাড়ে এবং তা অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির গতি ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করে। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি দেশটির রপ্তানি আয় এবং আমদানি ব্যয়ের পার্থক্য প্রতিফলিত করে। যদি এই ব্যালেন্স নেতিবাচক হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে দেশটি যত আয় করছে তার চেয়ে বেশি ব্যয় করছে, যা পাউন্ডের দরপতন ঘটাতে পারে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আজ আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/855225147.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3425-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3405-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3425-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3391-এর লেভেল টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3405 এবং 1.3425-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/828857062.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3391-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3373-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3405-এর লেভেল টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3391 এবং 1.3373-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/433729
-
২৩ ডিসেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/517099663.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য ১১০ পিপস বেড়ে সহজেই সাপ্তাহিক সাইডওয়েজ চ্যানেল 1.3331–1.3437 থেকে বেরিয়ে যায়। আমরা ইতোপূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে, এবং একইসাথে মার্কিন ডলারের দরপতন হতে থাকবে। বর্তমানে "থিন" মার্কেট বা কম লিকুইডিটি বিরাজমান, যার কারণে মার্কেটের বড় ট্রেডাররা ছুটির এ সময়টিতে তুলনামূলকভাবে সহজেই তাদের কাঙ্ক্ষিত দিকেই মূল্যের মুভমেন্ট ঘটাতে পারছে।স্মরণ করিয়ে দিই, গত সপ্তাহেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল ও কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও অনুষ্ঠিত হয়েছে, অথচ তখন এই পেয়ারের মূল্য পুরো সপ্তাহজুড়ে সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই ছিল। কিন্তু ছুটির সপ্তাহের প্রথম দিনেই (সোমবার), শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও তা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি, তথাপি পাউন্ডের মূল্য ১০০ পিপস বেড়েছে। এর মানে হলো, সোমবার ট্রেডারদের বাস্তবিক অর্থে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কারণ ছিল না। তারপরও রাতেরবেলায় ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে, গত পাঁচ মাস ধরে চলা নিম্নমুখী কারেকশন শেষ হয়েছে এবং ২০২৫ সালের পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নতুন করে শুরু হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1614010005.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে সোমবার একটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়। মার্কিন ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারের মূল্য 1.3437–1.3446 রেঞ্জের ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায়, নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে সক্ষম হন। এই ট্রেডগুলো আজকেও প্রাসঙ্গিক রয়েছে, তাই সারাদিনে মুনাফা করার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্টের সমাপ্তি ঘটে এখন আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। আমরা বারবার এই সম্ভাবনার কথা বলেছি এবং এবারও আমরা ধারণা করছি এটি পুরোপুরিভাবে যৌক্তিক পরিস্থিতি। বর্তমান বাস্তবতায় মধ্যমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো মৌলিক ভিত্তি নেই, তাই আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টেরই প্রত্যাশা করছি। সম্পূর্ণ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে, আমরা ধারণা করছি যে, ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে, যা পরবর্তী কয়েক মাসে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.4000-এর লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3437–1.3446 এরিয়া থেকে "বাউন্স" করে, তাহলে মূল্যের 1.3529-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন ট্রেডাররা নতুন লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। তবে, এটি মনে রাখা জরুরি যে, সোমবার ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট একটি বাই সিগনাল গঠিত হয়েছে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3212, 1.3259-1.3267, 1.3319-1.3331, 1.3437-1.3446, 1.3529-1.3543, এবং 1.3574-1.3590। মঙ্গলবারে যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন, ডিউরেবল গুডস অর্ডার এবং তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই সপ্তাহে আর অন্য কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অতএব, আজকের মার্কিন ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারের মূল্য হয় আরও দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, অথবা তীব্রভাবে নিম্নমুখী হয়ে যেতে পারে—দুই দিকেই সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/433828