-
১৯ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1115746.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। আজ একমাত্র উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ এবং নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। একইসঙ্গে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সংঘাত—যাতে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে—এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য-সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ভুলে যাওয়া যাবে না। এইগুলোই আজ উভয় ইনস্ট্রুমেন্টের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে, লাগার্দের ভাষণকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলেও, আমরা আশা করছি না যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ইসিবির বৈঠক সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই আজ নতুন কোনো বিবৃতির প্রত্যাশা করার কারণ নেই। এছাড়াও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকও উল্লেখযোগ্য, যার ফলাফল আগেই অনেকটা জানা। মূল মনোযোগের বিষয় হবে মূল সুদের হার নিয়ে ভোটের ফলাফল। ভোট বিভাজনের ধরন অনুযায়ী মধ্যাহ্নের আশপাশে পাউন্ডের মূল্যের চলমান মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। আমরা মনে করি, বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এখনো কোনো সমাধানের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ইস্যুর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণ-আন্দোলন, ট্রাম্পের তথাকথিত "অতি সুন্দর আইন", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়গুলো। তাত্ত্বিকভাবে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এতে জড়িয়ে পড়লে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে আমরা মনে করি না যে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন পাবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ থাকবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের দিকে। এর ফলে, আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের যথেষ্ট এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3G6DPGv
-
২০ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1481599536.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার তেমন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাজ্যের রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে, আজ সম্ভবত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। ক্রিস্টিন লাগার্ডে গতকাল কিয়েভে দুটি বক্তব্য দিয়েছেন, তবে তার কোনোটিতেই তিনি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইতোমধ্যে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে, ফলে ইসিবি, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে শিগগিরই নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারার সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ এখনো মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের উত্তেজনার দিকেই রয়ে গেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের উদ্বেগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যা নিষ্পত্তির কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, ট্রাম্পের "একটি অতি সুন্দর আইন", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা কতটা অগ্রসর হয়েছে কিংবা হয়নি, নতুন শুল্ক আরোপ এবং পূর্বের শুল্ক বৃদ্ধি। তত্ত্বগতভাবে, ইসরায়েল–ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত থাকার কারণে মার্কিন ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারে; তবে, আমাদের বিশ্বাস ডলার ইতোমধ্যে এই ঘটনাটি থেকে সম্ভবপর সব সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সীমিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে গতকাল উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম শুরু হয়েছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে, ডলার এখন একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি দরপতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
Read more: https://ifxpr.com/44i5r3I
-
ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে "দীর্ঘমেয়াদি জবাব" দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/290970378.jpg[/IMG]
মার্কিন বোমারু বিমান কর্তৃক ইরানের উপর রাতভর বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই—ইরান থেকে ছোড়া হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। তবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বা সম্পদ এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না, বরং ইসরায়েলের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, যা ভৌগোলিকভাবে ইরানের অনেক কাছাকাছি অবস্থিত। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ইরান পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। তিনি সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। আরাকচির ভাষ্যমতে, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) সরাসরি লঙ্ঘন করেছে। ইরান যুক্তি দিয়েছে, একই যুক্তির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেকোনো পারমাণবিক স্থাপনাকে "বিপজ্জনক হুমকি" আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, "জাতিসংঘ সনদ আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে বৈধ প্রতিক্রিয়ার অনুমতি দেয়। ইরান তার সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করার অধিকার রাখে।" উল্লেখযোগ্য যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর ইতিহাস বরাবরই ধোঁয়াশায় ঘেরা। কয়েক দশক ধরে ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অনেক দেশ সন্দেহ পোষণ করে যে, ইরান পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ওয়ারহেড তৈরি করছে, যেগুলোকে "বেসামরিক গবেষণা" হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনেক পারমাণবিক স্থাপনাই ভূগর্ভে নির্মিত হওয়ায় বাইরের দৃষ্টিসীমা বা স্যাটেলাইটেও সেগুলো অদৃশ্য থাকে। স্বাভাবিকভাবেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয় রয়েছে, এবং ইরান যে শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করছে—তা মনে করার বিশেষ কারণ নেই, বিশেষ করে যখন অঞ্চলটিতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবুও বাস্তবিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ থাকলেও তারা তা অস্বীকার করে এবং ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে অর্থনীতিকে চাপে রাখা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে চলেছে। আমার মতে, এই পর্যায়ে এসেও তেহরান স্বেচ্ছায় পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করবে এমন সম্ভাবনা নেই। ইরানের তা করার জন্য প্রায় ৪০ বছর সময় ছিল। এখনও পর্যন্ত তা না করা মানেই, পারমাণবিক কর্মসূচীর উন্নয়ন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বা বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ফলে, এই সংঘাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি, এবং দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি আঘাত হানতে থাকবে। সোমবার ডলার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? এটি একটি জটিল প্রশ্ন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ডলার "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে তার অবস্থান হারিয়েছে। এখন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি একটি আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে গেছে। বিনিয়গকারীকে এই ঘটনাকে ইতিবাচকভাবে দেখবে কিনা বা মার্কিন মুদ্রার চাহিদা বাড়বে কিনা সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান।
Read more: https://ifxpr.com/3T4fwfd
-
২৪ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1542022331.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কার্যত, উল্লেখযোগ্য বলতে কেবল জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স রয়েছে — কিন্তু এখন কে আসলেই এই সূচকের প্রতি আগ্রহী থাকবে? গতকাল ট্রেডাররা জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আটটি বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্সকে সরাসরি উপেক্ষা করেছে, কারণ অন্য সংবাদগুলি এগুলোর ওপর সুস্পষ্টভাবে ছায়া ফেলেছে। আজও একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আবারও বলি, আমরা লাগার্দ কিংবা পাওয়েলের কাছ থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য বিবৃতির প্রত্যাশা করছি না, কারণ ইসিবি এবং ফেডের সর্বশেষ বৈঠক খুব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তারপর থেকে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি যা তাদের নীতিমালায় পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। চমক থাকতে পারে, তবে সে সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অতি সুন্দর একটি", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা কতটা এগিয়েছে (বা এগোয়নি), নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘর্ষ থেকে ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারত, যেখানে এখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হয়েছে। তবে, আমাদের মতে ডলার ইতোমধ্যেই এই পরিস্থিতি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে ফেলেছে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ ডলার এখন চাপের মুখে রয়েছে — একদিকে বাণিজ্য যুদ্ধ, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, যেখানেও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়েছে। অবশ্যই, ডলারের মূল্য চিরকাল নিম্নমুখী প্রবণতায় থাকবে না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সংঘাতেরই প্রশমনের কোনো ইঙ্গিত নেই। ফলে, উভয়পক্ষ পরস্পরের ওপর হামলা চালিয়ে যেতে পারে, যা নতুন করে ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে — ডলারকে এখন আর কেউ "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে বিবেচনা করছে না।
Read more: https://ifxpr.com/4nhgl2a
-
২৫ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1502583635.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত দুই দিনে ইউরো ও পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে, নতুন করে ডলারের দরপতনই যার মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তবে গতকাল (বিশেষ করে ইউরোর ক্ষেত্রে) অস্থিরতার মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে, তাই আজ (যদি নতুন কোনো উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন খবর না আসে) মার্কেটের ট্রেডাররা বিরতি নিতে পারে। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য ৩ বছরের মধ্যে নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে এবং সামগ্রিকভাবে ডলারের বিপরীতে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার জন্য প্রস্তুত। গত দুই সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত একাধিকবার ডলারকে সহায়তা করেছিল, কিন্তু এই সহায়তা সত্ত্বেও মার্কিন কারেন্সির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সপ্তাহে জেরোম পাওয়েল, ক্রিস্টিন লাগার্দ ও অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল কংগ্রেসের সামনে পাওয়েলের দ্বিতীয় বক্তব্যই কিছুটা গুরুত্বসম্পন্ন। স্মরণ করিয়ে দিই যে, পাওয়েলের প্রথম বক্তব্য গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ফেডের চেয়ারম্যান শুধু সেই সকল বিষয়েরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, যেগুলো ট্রেডাররা অনেক আগে থেকেই জানে: নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার কমানো হবে না; নতুন মার্কিন বাণিজ্য নীতিমালা অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা পর্যবেক্ষণ করছে; এবং নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আজ পাওয়েল নতুন কিছু বলবেন—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যার শেষ কোথায় তা স্পষ্ট নয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব ঘটনাই কোনো না কোনোভাবে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সুযোগে ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারত, কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে যতটুকু সুবিধা নেওয়া সম্ভব ছিল, তা ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে। যদি বিনিয়োগকারীরা "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে ডলারের প্রতি আস্থা না রাখে, তাহলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সময়েও ডলারের মূল্য বাড়বে না। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে এটি স্পষ্ট হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনো দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট সামনে অপেক্ষা করছে, তবে আজ কোনোই গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
Read more: https://ifxpr.com/4k4FbPW
-
২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/707705049.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং চলতি সপ্তাহে মার্কেটে স্পষ্টভাবে গত পাঁচ মাস ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য ছাড়া—যা মূলত মঙ্গলবারের বক্তব্যের হুবহু পুনরাবৃত্তি ছিল—মার্কেটে নতুন করে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য আসেনি। তবুও ডলার আরও 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। তাই আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন মার্কেট সেন্টিমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, এমনটা আমরা আশা করছি না। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের সময় স্থানীয়ভাবে মার্কিন ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে সেটারই বা কী গুরুত্ব রয়েছে? শুধুমাত্র এই কারণে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম সংকুচিত হয়েছে, তাই বলে কি ডলারের পাঁচ মাসব্যাপী চলমান দরপতন থেমে যাবে? এমন সম্ভাবনা কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য, যিনি ইতোমধ্যেই সপ্তাহের শুরুতে বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। একই কথা ক্রিস্টিন লাগার্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যিনি এই সপ্তাহেই বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে, এবং সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে জুলাই মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন। স্পষ্টতই, যত বেশি এই ধরনের মতামত সামনে আসবে, ডলারের দরপতনের সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। এখনো মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এখন পর্যন্ত যার কোনো সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য বাদে) একটি বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পারেননি। তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/331772031.jpg[/IMG]
উপসংহার: এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আরও বাড়তে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই বোঝা যাবে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভেন্ট সামনে রয়েছে, এবং ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3HYHc2Y
-
এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/453563718.jpg[/IMG]
গতকাল নাসডাক টেক সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল এনভিডিয়া কর্পোরেশনের শেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, যা ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। এআই চিপ ও সেমিকন্ডাক্টরের শীর্ষ প্রস্তুতকারক এনভিডিয়ার স্টকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত রয়েছে এবং আবারও এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 4.3% বৃদ্ধি পেয়ে $154.31-এ পৌঁছায়, যা এ বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত পূর্বের সর্বোচ্চ রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। এপ্রিলের নিম্নমুখী স্তর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দর 63% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে কোম্পানিটির বাজার মূলধন প্রায় $1.5 ট্রিলিয়ন বেড়েছে। সর্বশেষ এই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এনভিডিয়ার বাজারমূল্য পৌঁছেছে প্রায় $3.77 ট্রিলিয়নে, যা মাইক্রোসফট কর্পোরেশনকে ছাড়িয়ে গেছে, যার বাজারমূল্য বর্তমানে $3.66 ট্রিলিয়ন। এনভিডিয়ার সর্বশেষ আয়ের প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও শক্তিশালী অবস্থান বজায় থাকবে বলে আভাস মিলেছে—যদিও ট্রাম্পের আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের কারণে চীনে উন্নত সেমিকন্ডাক্টরের বিক্রিতে চাপ পড়ছে। কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কয়েক মাসব্যাপী শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত ফলাফল, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্ত ক উন্নয়নে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি অসীম চাহিদা দ্বারা চালিত হয়েছে। এই দ্রুত বিকাশমান খাতে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া ভবিষ্যতের এআই খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনভিডিয়ার এই সাফল্য কেবল সৌভাগ্যের উপর নির্ভরশীল নয়—কোম্পানিটি বছরের পর বছর গবেষণা ও উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে, যা আজকের এই নেতৃস্থানীয় ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তাদের GPU আর্কিটেকচার এখন মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং-এর জন্য ডি-ফ্যাক্টো স্ট্যান্ডার্ড হয়ে উঠেছে, যা স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বড় বড় টেক জায়ান্টদের জন্য অপরিহার্য। এনভিডিয়ার বুধবারের শেয়ারহোল্ডারদের সভায় সিইও জেনসেন হুয়াং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছেন যে চাহিদা এখনও শক্তিশালী রয়েছে। তিনি আবারও বলেছেন, কম্পিউটিং শিল্প বর্তমানে একটি বিশাল পরিকাঠামোগত রূপান্তরের শুরুতে রয়েছে, যার চালিকা শক্তি হচ্ছে AI। মাত্র কয়েক বছর আগেও অচেনা থাকা এনভিডিয়া এখন ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে এবং সম্ভবত ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত প্রায় সবকিছুর প্রতিচ্ছবি। এই বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 15% বেড়েছে, যা 2024 সালে 170% বৃদ্ধির এবং 2023 সালে প্রায় 240% বৃদ্ধির পর এসেছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এমন শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পরেও কোম্পানিটি এখনও আকর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে। এনভিডিয়ার শেয়ার বর্তমানে পূর্বাভাস্কৃত ১২ মাসের আয় অনুযায়ী 31.5 গুণে ট্রেড করছে—যা তাদের গত ১০ বছরের গড় থেকে কম এবং নাসডাক 100-এর গড় 27-এর খুব কাছাকাছি। শেয়ারের PEG অনুপাত—যা প্রবৃদ্ধির তুলনায় মূল্যায়ন বোঝায়—প্রায় 0.9, যা "ম্যাগনিফিসেন্ট" কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং যৌক্তিক মূল্যায়নের এই সমন্বয়ই এনভিডিয়া সম্পর্কে ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মূল কারণ। বড় বড় অনেক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এখনও এনভিডিয়ার শেয়ার কেনার পরামর্শ দিচ্ছে, কারণ এটি এখনো বিশ্লেষকদের মূল্যের গড় লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় 12% নিচে ট্রেড করছে—যা ভবিষ্যতেও বুলিশ মোমেন্টামের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্যাংক অব আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি ফান্ডগুলোর মধ্যে 74% এনভিডিয়ার শেয়ার ধরে রেখেছে, যা অ্যামাজন, অ্যাপল, এবং মাইক্রোসফটের পিছনে রয়েছে—যেখানে মাইক্রোসফটের হোল্ডিং 91%।
Read more: https://ifxpr.com/3IgFTw9
-
৩০ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1360753227.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি হচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রান্তিকের চূড়ান্ত জিডিপি প্রতিবেদন। উল্লেখযোগ্য যে, প্রাথমিক দুইটি অনুমান অনুসারে 2025 সালের প্রথম প্রান্তিকে ব্রিটিশ অর্থনীতি 0.7% হারে তুলনামূলকভাবে আত্মবিশ্বাসী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছিল। চূড়ান্ত ফলাফল সামান্য বেশি বা কম হলেও, ইতিবাচক প্রবণতা ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট। এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য আরেকটি ইতিবাচক কারণ হিসেবে কাজ করছে। ইউরোজোনে, শুধুমাত্র জার্মানির খুচরা বিক্রয় ও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। তবে এই প্রতিবেদনগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতিও এখন আর বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তায় ফেলছে না। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো মুদ্রানীতি নমনীয় করার পথেই রয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রে, সোমবার স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, সোমবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, তবে তিনি গত সপ্তাহে দুবার বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং কোনোবারই মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের এই চক্র সমাপ্তির পথে রয়েছে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী মূল সুদের হার আরও এক বা দুইবার কমানো হতে পারে, তবে তা নির্দিষ্ট বিরতির পর করা হবে। এখনো ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, যার মীমাংসা বা হ্রাসের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আগামী দিনগুলোতে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। শুক্রবার, কিছু সংবাদমাধ্যম চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধবিরতির কথা জানালেও, বিস্তারিত তথ্য খুবই সীমিত এবং যুদ্ধবিরতির ধরন ভিন্ন হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1918022598.jpg[/IMG]
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন যা মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আস্থা জাগায় না। শীঘ্রই এটি স্পষ্ট হবে যে, ট্রাম্প কতটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে সক্ষম হবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3ThBDyV
-
পহেলা জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/384491625.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথমে ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ISM উৎপাদন সূচকের দিকে নজর দেওয়া উচিত। গতকাল জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি কমে 2%-এ নেমে এসেছে, তাই আজ ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে এমন সম্ভাবনা কম। এর ফলে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) 2025 সালেও তাদের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ অব্যাহত রাখতে পারে। তবে, আমরা বহুবার উল্লেখ করেছি, ইউরোর বিনিময় হারের উপর এই উপাদানটির কোনো বাস্তব প্রভাব নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি ডলারের কী ধরনের সহায়তা দিতে পারে? 50-পিপসের দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে? সেটি মার্কেটে কী এমন পরিবর্তন আনবে? ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এগুলো সম্ভবত বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হতে পারে, তবে আমরা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে বর্তমানে ইসিবির এবং ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নিয়ে তেমন কোনো নতুন প্রশ্ন নেই। উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক সম্প্রতি শেষ হয়েছে, ফলে তারা ইতোমধ্যেই প্রাসঙ্গিক সব তথ্য জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে গত সপ্তাহেই পাওয়েল এবং লাগার্ড একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন—তবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুই বলেননি। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এই বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান বা অগ্রগতির ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি শিগগিরই চরম আকার ধারণ করতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো কোনো বাণিজ্য চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ব্যতীত)। চীনের সঙ্গে চুক্তিকে এখনো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না, কারণ এর বিস্তারিত এখনও অস্পষ্ট। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের "সমঝোতা" মানে হচ্ছে সব শুল্ক বহাল রাখা। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান রয়েছে, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয় না। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প বহু দেশের উপর শুল্কের মাত্রা বাড়াতে পারেন, যেহেতু এখনো কোনো নতুন বাণিজ্য চুক্তির স্বাক্ষরের ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। আমরা ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছি যে বাণিজ্য যুদ্ধ মানেই এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আমদানি শুল্ক বাতিল করবে।
Read more: https://ifxpr.com/3G7apZ0
-
২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1391520897.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ADP প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে—এই প্রতিবেদনটিকে নন-ফার্ম পে-রোলসের সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়। নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, ADP এবং নন-ফার্ম পে-রোল সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত পরিসংখ্যান বা প্রবণতার দিক থেকে মেলে না। প্রায় একই ধরনের পরিসংখ্যান প্রতিফলিত করলেও, এই দুই প্রতিবেদন একেবারে বিপরীত ফলাফল দেখাতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়টি ভালোভাবে জানে এবং তারা নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরও একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দেড় সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখছেন, এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের একটি ভাষণও অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগের মতোই, আমরা ইসিবির প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রত্যাশা করছি না। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যার সমাপ্তি বা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। নিকট ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। চীনের সাথে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটিকে এখনও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ এটি আসলে কেমন ধরনের চুক্তি—তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে, তবে তারা এমন কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে, যেগুলো ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়টিও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, যা ভবিষ্যতে চরম আকার ধারণ করতে পারে। এই ধরনের সকল ঘটনা স্পষ্টভাবেই মার্কেটে ডলার কেনার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং, উভয় কারেন্সি পেয়ার—EUR/USD এবং GBP/USD—মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনও চলমান, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন যেগুলোর ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করা কঠিন। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিতে পারেন, কারণ কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, বাণিজ্য চুক্তি মানেই যে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করবে—তা নয়।
Read more: https://ifxpr.com/40mFw9V