-
1 Attachment(s)
দেশের পুঁজিবাজারে আজ লেনদেনের শুরুতেই বড় দরপতন হয়েছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৬১ পয়েন্ট কমেছে। সর্বশেষ বেলা ১টায় সূচকটি ২ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৪৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আজ সকাল ১০ টায় লেনদেন শুরুর পর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। ৪০ মিনিটেই ৮০ পয়েন্ট হারায় সূচকটি। এর পর সূচক কিছুটা ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেলা ১টা পর্যন্ত সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ১৩৩ পয়েন্ট হারিয়েছে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এদিন বেলা ১ টা পর্যন্ত ১ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩৬৪ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তিন ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৩৪৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। এসময় পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৬৭৩ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে।
[ATTACH=CONFIG]17772[/ATTACH]
-
টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর মঙ্গলবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার হওয়ার আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সূচকে এমন অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ১৭ পয়েন্টে পড়ে গেছে। লেনদেন হয়েছে দেড়শ কোটি টাকার কম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে সূচক।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/187621691.jpg[/IMG]
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেনের শুরুতে এমন বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিলেও তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেন শেষ হতেই দাম বাড়ার তালিকা থেকে একেরপর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে দেখতে দেখতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে আধাঘণ্টার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৭ পয়েন্ট পড়ে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট পড়ে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টির। আর ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির।
-
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২২মে) পুঁজিবাজারের সূচক বৃদ্ধির প্রবণতায় শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ। ক্রেতার তুলনায় বিক্রেতা বেশি থাকায় এদিন লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট। একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১০৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেনের পরিমাণ। ফলে টানা আট কর্মদিবস সূচকের পতনের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1518675633.jpg[/IMG]
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২২০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ২ পয়েন্ট। এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। একই সময় অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার। সিএসইতে দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দাম।
-
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে টানা পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববারেও পতনমুখী দেশের পুঁজিবাজার। পতনমুখী এ বাজারে এক দিনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন নেই ছয় হাজার ৭০৬ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসই সূচক ও লেনদেন কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ছয় হাজার ৭০৬ কোটি টাকা কমে পাঁচ লাখ তিন হাজার ১৬৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে ছয় হাজার ১৪২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ২১ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৬১ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩৯ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে দুই হাজার ২৭৭ দশমিক ১৬ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২১টির এবং কমেছে ৩৪৫টির। বাকি ১৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬৮২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২১ কোটি ৯৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৯টি শেয়ার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৫ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচকের পতনের চিত্র গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানিটির ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৭০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮০ পয়সা কমেছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের ৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২১৭ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৮৪৭ দশমিক ৬১ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৭৭ দশমিক ৭১ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১৭টির কমেছে ২৪২টির এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
-
টানা পতনের পর গতকাল রোববার চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান দেখা গেছে। লেনদেন উত্থানের পাশাপাশি গতকাল এক দিনে দুই শতাংশের বেশি বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯১ শতাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে। অন্যদিকে দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৩৬৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ২৬ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৯৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৩৪৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩৪২টির এবং কমেছে ২৫টির। বাকি ১০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ২৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২১ কোটি ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪৩টি শেয়ার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৭১ বার হাতবদল হয়। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ১ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ টাকা ৮০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৩২ কোটি ৮৯ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ৩০ কোটি ৮২ লাখ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ৩০ কোটি চার লাখ, ফরচুন শুজ লিমিটেডের ২৮ কোটি ১৯ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২৩ কোটি ৩৬ লাখ, এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের ২২ কোটি ৮৮ লাখ, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের ১৯ কোটি ৫১ লাখ এবং শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গতকাল ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, তমিজউদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
-
ব্যাপক দরপতনের পর হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। পরপর দুই কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৮১ পয়েন্ট বেড়েছে। এর মধ্যে গতকাল রোববারই বেড়েছে ১৩১ পয়েন্ট। বৃহৎ বাজার মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি সূচকে বড় ভূমিকা রাখলেও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর প্রভাবও কম ছিল না। সংশ্নিষ্টরা জানান, ব্যাপক দরপতনের পর অনেক শেয়ারের দর বেশ কমে গিয়েছিল। তাছাড়া দরপতন ঠেকাতে সব শেয়ারের দরে নিচের সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনেকেই বেশ পছন্দ করেছেন। তাদের শেয়ার ক্রয়ই পুরো বাজার চিত্র বদলে দিয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ৩৭৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪২টির বা প্রায় ৯১ শতাংশের দর বেড়েছে। বিপরীতে মাত্র ২৫ শেয়ারের দর কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০টির। প্রতিটি খাতেরই সিংহভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। লেনদেন ২৯৪ কোটি টাকা বেড়ে ৮৩৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বস্ত্র এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৮০ কোম্পানির গড় শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। ছোট খাতের মধ্যে সিরামিক এবং সেবা ও নির্মাণ খাতের ৯ কোম্পানির দর বেড়েছে গড়ে পৌনে ৬ শতাংশ হারে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১ কোম্পানির দর সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। তুলনামূলক কম বেড়েছে ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের দর। এরপরও এ দুই খাতের শেয়ারগুলোর দরবৃদ্ধির হার ছিল ১ শতাংশের বেশি। বাকি সব খাতের গড় দর ২ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সর্বশেষ দুই কার্যদিবসের বৃদ্ধির আগে মে মাসজুড়ে লাগাতার দরপতনে নাকাল ছিল পুরো বাজার। গত ২৩ মে একদিনে ১১৮ পয়েন্ট বৃদ্ধির পরও ২৮ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত প্রায় এক মাস সময়কালে সূচকের পতন হয়েছিল ৪৮৯ পয়েন্ট।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/723511425.jpg[/IMG]
-
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে ব্যাংকটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। মূলত ব্যাসেল থ্রি’র অধীনে টায়ার টু মূলধন শক্তিশালীকরণের জন্য এই বন্ড ইস্যু করবে ব্যাংকটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ইস্যু করতে পারবে ব্যাংকটি। এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১৩ পয়সা। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা। ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভার এজিএমজানিয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ জুন। কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন তিন হাজার ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বাকি ৪৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে। এদিন বেলা ১১টা পরযন্ত ডিএসইতে ২১২ কোটি ২৬ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪১০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫১ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৩৭০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ২৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। আজ সিএসইতে ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1797163841.jpg[/IMG]
-
দেশের পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিসে আজ সোমবার নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিনেও দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্স*চে*ঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচক কমেছে। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। বাজার পর্যবেক্ষ*ণে দেখা যায়, আজ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর কিছু সময় ডিএসইএক্স সূচকে পয়েন্ট যোগ হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দা*ঁড়ি*য়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এসময় পর্যন্ত প্রায় ৬ প*য়েন্ট কমে ২ হাজার ৩২৯ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ঘন্টায় ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির বা ৩৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, কমেছে ২০২টির বা ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, আর অপরবর্তিত রয়েছে ৪৫টি বা ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ সিকিউরিটিজের বাজারদর। এসময় পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ১৭৮ কোটি ৫১ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/584076787.jpg[/IMG]
-
বাজেটের পর থেকে একটানা দরপতন চলছে শেয়ারবাজারে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য তেমন কোনো ঘোষণা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ভর করেছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। বাজেট-পরবর্তী তিন কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৯ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ কমে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার কমানো ছাড়া আর তেমন কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। করপোরেট কর কমানোর এ সুবিধা পাবে না ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন ও সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর এক-তৃতীয়াংশই ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন ও সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এর বাইরে যেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর কমানো হয়েছে সেখানেও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি বছরে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে লেনদেন করবে, কেবল সেসব কোম্পানিই এ সুবিধা পাবে। ফলে করপোরেট কর কমানোর সুবিধা পাবে না শেয়ারবাজারের অধিকাংশ কোম্পানি।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো সুবিধা না পাওয়ায় গত রোববার থেকে বাজারে দরপতন শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবারও এ ধারা অব্যাহত ছিল। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৬টি বা ৬২ শতাংশেরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৮৯টির বা ২৩ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫ শতাংশ বা ৫৭টির দাম।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজেট সামনে রেখে ব্যক্তিশ্রেণি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফার আশায়। বাজেটে ভালো কিছু থাকবে—এই প্রত্যাশায় তাঁরা বিনিয়োগ করে থাকেন। এবারও বাজেট সামনে রেখে কিছু বিনিয়োগকারী বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় এখন তাঁরা লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করছেন। ঢাকার বাজারে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৭৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৭ কোটি টাকা বেশি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/482206660.jpg[/IMG]
-
চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজারে টানা পতনের পর গত দুই কার্যদিবসে ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫২ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর বৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে এদিন সূচকের উত্থানের পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৪২৫ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪০৩ দশমিক ২৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২৬ দশমিক ০২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৩২৭ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৯৮টির এবং কমেছে ১৩৫টির। বাকি ৪৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ১০২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯টি শেয়ার এক লাখ ৯০ হাজার ২৭০ বার হাতবদল হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৭৪ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৩৩০ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৮৯৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১০০টির এবং ৩০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪২ কোটি ৬০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সিএসইতে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ৪৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
-
মিশ্রিত অবস্থায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৪ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে এদিন সূচকের মিশ্র প্রবণতার পাশাপাশি লেনদেন কমেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৪০৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৯৭ দশমিক ১১ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বা দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৩২৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬২টির এবং কমেছে ২৮২টির। বাকি ৩৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ১৫০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২০ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ৮১৩টি শেয়ার এক লাখ ৬২ হাজার ৫২৩ বার হাতবদল হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৩১২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৮৬৮ দশমিক ২৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৯৬টির এবং ৩৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে ২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সিএসইতে গতকাল লেনদেন কমেছে ৬৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
-
শেয়ারবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৬ জুন) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনের পাশাপাশি অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া, ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে মোট ৩৮১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪ কোম্পানির। দরপতন হয়েছে ২৩০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।
ডিএসইতে মোট ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এদিকে, অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৫ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে ২৮১ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১৫ টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির। দিন শেষে সিএসইতে ২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/428889144.jpg[/IMG]
-
দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে আজ সোমবার ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচক বেড়েছে। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আজ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর থেকেই ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে পয়েন্ট যোগ হতে থাকে। মাঝে সূচকটি কিছুটা কমলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এসময় পর্যন্ত প্রায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯০ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৪টির বা ৬১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, কমেছে ৯৭টির বা ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, আর অপরবর্তিত রয়েছে ৪৮টি বা ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ সিকিউরিটিজের বাজারদর। এসময় পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ২৮৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1446028637.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের শুরুতেই বেড়েছে ইউরোপের শেয়ারবাজার
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1446387675.jpg[/IMG]
সোমবারের লেনদেনে পশ্চিম ইউরোপীয় মূল স্টক সূচকগুলো ক্রমাগত বাড়ছে। মধ্যাহ্নে তারা মার্কিন এবং এশিয়ান স্টক মার্কেট অনুসরণ করে দুই সপ্তাহের উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের আশংকা কমেছে যে প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপগুলি বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা শুরু করতে পারে। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলির স্টক্স ইউরোপ-600 কম্পোজিট সূচক 0.65% বেড়ে 415.63 পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত শুক্রবার সূচকটি তিন মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সেরা ফলাফল প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ FTSE 100 0.86% বেড়ে 7268.5 পয়েন্টে স্থির হয়েছে। এছাড়াও ফরাসি CAC 40 সূচক 0.86% বেড়ে 6125.7 পয়েন্টে পৌঁছেছে। জার্মান DAX সূচক 1.46% বেড়ে 13305.86 পয়েন্টে পৌঁছেছে।
সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন লাভকারী মাইনিং স্টক সোমবার সবচেয়ে বড় লাভ রেকর্ড করেছে। বিএইচপি বেড়েছে 3.5%, অ্যাংলো আমেরিকান বেড়েছে 3.1%, অ্যান্টোফ্যাগাস্ া বেড়েছে 2.7%, রিও টিনটো 3.2% এবং গ্লেনকোর 3.3% বেড়েছে। ফরাসি স্বয়ংচালিত সেক্টরের র্যালীও চিত্তাকর্ষক ছিল, রেনল্ট 2.4% এবং মিশেলিন 1.1% বৃদ্ধি পেয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মূল কোম্পানি চীনের টেনসেন্টের কাছে তার শেয়ার বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করায় ডাচ বহুজাতিক কোম্পানি প্রোসাসের শেয়ার 13% বেড়েছে। এটা প্রত্যাশিত যে সিকিউরিটিজ থেকে আয় একটি প্রধান শেয়ার বাইব্যাক প্রোগ্রাম সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করা হবে। ইতালীয় ব্যাংক ইনটেসা স্যানপাওলো এসপিএ 2.6% লাভ করেছে এই খবরে যে কোম্পানিটি €3.4bn বাইব্যাক প্রোগ্রাম চালু করছে। ব্রিটিশ কনসালটেন্সি অ্যাকিলা সার্ভিসেস গ্রুপ পিএলসির বাজার মূলধন 1.9% বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোম্পানিটি মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে $881,200 এর প্রাক-কর মুনাফা পোস্ট করেছে, যা এক বছর আগের $276,000 এর তুলনায় তিনগুন।
ইতোমধ্যে, ইতালীয় বীমা কোম্পানি অ্যাসিকিউরাজিওনি জেনারেলি (-2.8%) এবং গ্যাস কোম্পানি ইতালগ্যাস (-2.3%) ইউরোপীয় এক্সচেঞ্জে লেনদেন করা সবচেয়ে কম পারফরম্যান্সকারী সিকিউরিটিগুলির মধ্যে ছিল।
বাজার পরিস্থিতি ইউরোপীয় স্টক মার্কেটের জন্য আজকে প্রধান উত্থান ফ্যাক্টর ছিল চীনে অতিরিক্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা। আগের দিন, করোনভাইরাস বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছিল কারণ সাংহাই কর্তৃপক্ষ দুই মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোনও ঘটনা রিপোর্ট করেনি। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জের উত্থানের আরেকটি বড় কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয় জ্বালানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধির খবর। এনি, টোটালএনার্জিস, শেল এবং বিপি যথাক্রমে 0.38%, 1.48%, 1.77% এবং 1.4% বেড়েছে।
বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন পর্তুগালের সিন্ট্রাতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক ফোরামের উপর নিবদ্ধ। তিন দিনের ইভেন্টের অংশ হিসাবে, ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধিরা মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড মাত্রা মোকাবেলা করার বিষয়ে কথা বলবেন বলে ধারণা করা হয়েছে। ট্রেডিং ফলাফল দ্রব্যমূল্যের পতন সহ বিনিয়োগকারীদের দুর্বল মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশার মধ্যে ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলি শুক্রবার দর্শনীয়ভাবে পারফর্ম করেছে৷ এদিকে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার, ইউরোপের শেয়ার বাজারগুলি বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কঠোর আর্থিক নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে বাজার উদ্বেগের কারণে লক্ষণীয়ভাবে পতন দেখিয়েছিল৷ ফলস্বরূপ, ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি স্টক্স ইউরোপ-600 এর কম্পোজিট সূচক 2.6% বৃদ্ধি পেয়ে 412.90 পয়েন্টে পৌঁছেছে। গত সপ্তাহে, সূচকটি 2.4% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইতিবাচক দিকে সপ্তাহের লেন-দেন শেষ করেছে।
বিজ্ঞাপন কোম্পানি অ্যাডেভিনতা এএসএ (+10%), ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি রেকোর্ডাটি এসপিএ (+7.6%) এবং ক্রুজ অপারেটর কার্নিভাল (+8.7%) এর স্টকগুলি স্টক্স ইউরোপ-600 সূচকে শীর্ষস্থানীয় ছিল৷ ব্রিটিশ FTSE 100 2.7% বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রেঞ্চ CAC 40 সূচক 3.2% যোগ করেছে , জার্মান DAX বেড়েছে 1.6%। স্প্যানিশ প্রযুক্তি জায়ান্ট ইন্দ্রা সিস্টেমাস এসএ এর স্টক মূল্য 15% কমেছে। এর আগে, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা সিএফও জাভিয়ের লাজারোর পদত্যাগের ঘোষণা করেছিল। বোর্জা গার্সিয়া-আলার্কন আলতামিরানো নতুন সিএফও হবেন। ইউরোপের বৃহত্তম ট্যুর অপারেটর, TUI AG-এর বাজার মূলধন 3.9% কমে গেছে।
আগের দিন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা শরতের শুরুতে TUI AG সিইও ফ্রেডরিখ জসেনের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। সিএফও সেবাস্তিয়ান এবেল কোম্পানির নতুন সিইও হবেন। জার্মান অনলাইন খুচরা বিক্রেতা জ্যালান্ডো এসই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফলে 1.6% হ্রাস পেয়েছে। উপরন্তু, জ্যালান্ডো এর ব্যবস্থাপনা তার বার্ষিক পূর্বাভাস সংশোধিত করেছে এবং আশা করছে যে 2022 সালে কোম্পানির আয় পূর্বে প্রত্যাশিত 12-19% এর চেয়ে মাত্র 3% বৃদ্ধি পাবে। যাইহোক, ইউরোজোনের সদস্য দেশগুলির দেশীয় পরিসংখ্যান শুক্রবার ইউরোপীয় সূচকগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঊর্ধ্বমুখী ফ্যাক্টর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এইভাবে, শুক্রবার সকালে জানা গেল যে জুনে জার্মানির অর্থনীতির জন্য জার্মান ব্যবসায়িক আস্থার সূচক (ব্যবসায়িক জলবায়ুর সূচক) মে মাসের 93 পয়েন্ট থেকে 92,3 পয়েন্টে নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা গড় 92.9-এ নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় এপ্রিল মাসে বৃদ্ধির বিপরীতে, মে মাসে 0.5% কমেছে। প্রিন্ট 0.7% পতনের বাজারের অনুমানকে বীট করেছে।
*মার্কেট এর নিউজ ট্রেডিং সম্পর্কে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, কিন্তু আপনাকে ট্রেডিং সম্পর্কিত নির্দেশ প্রদান করবে না।
ইকোনমিক* নিবন্ধ পেতে ভিজিট করুন:*https://ifxpr.com/3azJlBa
-
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে লেনদেনেও ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা। ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে মূল্যসূচক। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। সেইসঙ্গে বড় হতে থাকে দাম বাড়ার তালিকা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩৪ মিনিটে ডিএসইতে ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির। আর ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৪১ পয়েন্ট । অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।
-
1 Attachment(s)
দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে ঈদের আগের সর্বশেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৭ জুন) পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে দশমিক ৯০ পয়েন্ট। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে বুধবার দরপতনের পর আজ বাজার ঘুরে দাঁড়াল। ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও সূচকের তেজিভাবের মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু লেনদেনের আধা ঘণ্টা পর শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বেশি পড়ে। এরপর দিনের বাকি লেনদেন হয় সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে। এদিন ডিএসইতে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ১৯ কোটি ৬০ লাখ ১২ হাজার ৬৯৮টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির দাম। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
[ATTACH]17880[/ATTACH]
-
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন সামান্য বেড়েছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার সূচকের মিশ্র প্রবণতায় আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪২ কোটি টাকা। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে। লেনদেন শেষে প্রায় ১ পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল প্রধান সূচক। বাকি দুই সূচক নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৮৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ৬ দশমিক ০৯ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ কমে ২ হাজার ২৯৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ৫৮২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৭৮৮ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এদিন ১৯ কোটি ৬০ লাখ ১২ হাজার ৬৯৮টি শেয়ার এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৬৮ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৭৮ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৬টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৩টির দর। গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (বেক্সিমকো) ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ১ টাকা ১০ পয়সা। ফরচুন শুজ লিমিটেডের লিমিটেডের ২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২০ পয়সা। ফুু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের ১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ২ টাকা ১০ পয়সা। বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের ১৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা। এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ১৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৭০ পয়সা। অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ২৩৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৭৫১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৯৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮টির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টির দর। সিএসইতে এদিন ২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
-
ঈদের পর টানা আটদিন শেয়ারবাজারে দরপতন ছিল। এবার চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই দেখা গেলো বড় ধরনের দরপতনের প্রবণতা। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে লেনদেনে। প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩০ পয়েন্টের ওপরে। আর লেনদেনে হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক। জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দিলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। সরকারের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে গত সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার বড় পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার। পরের তিন কার্যদিবস মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবারও শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। অবশ্য লোডশেডিংয়ের ঘোষণার আগে থেকেই শেয়ারবাজারে দরপতন হচ্ছিল। ঈদুল আজহার পর এখনো পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। তবে লোডশেডিংয়ের ঘোষণা আসার পর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। ফলে বড় পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2000897004.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৫ জুলাই) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দিলেও শেষপর্যন্ত মূল্যসূচক ও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে লেনদেন। এর মাধ্যমে টানা নয় কার্যদিবস পতনের পর ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা পেলো শেয়ারবাজার।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা না গড়াতেই প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
এতে আবারও বড় দরপতনের আশঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। দরপতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। সেই ক্রেতা সংকট থেকে বেরিয়ে আসে শতাধিক প্রতিষ্ঠান। ফলে ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদের পর থেকেই শেয়ারবাজার টানা দরপতন ঘটলেও সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর পর পতনের মাত্রা বেড়ে যায়। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সাশ্রয়ে লক্ষ্যে সোমবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। সরকারের পক্ষ এমন ঘোষণা আসার পর সোমবার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। সেইসঙ্গে চরম ক্রেতা সংকটে পড়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। মঙ্গলবারও (১৯ জুলাই) শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। পরের দুই কার্যদিবস বুধ ও বৃহস্পতিবার (২০ ও ২১ জুলাই) কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ফেরায় দরপতনের মাত্র কিছুটা কমে। তবে পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শেয়ারবাজার। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আবারও ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/358504665.jpg[/IMG]
-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার ৬৮ কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশূন্য হয়ে গেছে। আজ লেনদেন শুরুর পর ক্রেতা থাকলেও ধীরে ধীরে তারা হারিয়ে যেতে থাকে। এতে করে ৬৮ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার মতো বিনিয়োগকারী থাকলেও ক্রেতা নেই।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে-
এডিএন টেলিকমের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫৯.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৬২.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬০.৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
বিআইএফসির শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৯.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৯.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ক্রাউন সিমেন্টের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগেরদিন ছিল ৭৬.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৭৫.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭৫.১০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৬৫.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৬৯ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ডেল্টা স্পিনার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৮.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৮.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
দুলামিয়া কটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৭০.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৭৭.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭৫.৭০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৪.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৪.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৬ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফাস ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
জেমিনি সী ফুডের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৩১৮.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৩১৮.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩১২.২০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ইমাম বাটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ১২৬.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ১২৪.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২৪.১০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ইনটেকের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৩০.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৯.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ইনফর্মেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫৪.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫৪.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৩.৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/695204732.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২১ আগস্ট) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন লাফার্জহোলসিম, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, তিত্যাস গ্যাস এবং বিকন ফার্মাসহ বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। সূচক বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান হলো। তবে তার আগের টানা চার কার্যদিবস পতন হয়েছিল। ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার বাজারটিতে ২৪ কোটি ৪৯ লাখ ১০৬৪টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। যার মূল্য ১ হাজার ৫৭ কোটি ৭৬ লাখ ২ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১০১ কোটি টাকার বেশি। নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এর মধ্যে ১৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
[ATTACH=CONFIG]18074[/ATTACH]
-
সূচকের তেজিভাবের মাধ্যমে চলছে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন। ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সোমবার (২২ আগস্ট) লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৬৩ পয়েন্ট। উভয় বাজারে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের ও লেনদেন। ডিএসইর তথ্য মতে, সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে ডিএসইতে ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৩টির দাম। এসময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়েছে। এসময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৪ কোটি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার ।এর আগের দিন সোয়া দুই ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছিল ৫০৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার।
একই অবস্থায় লেনদেন হচ্ছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। প্রথম ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪৬ টাকা।
সিএসইতে ১৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির দাম।
-
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ, প্রকৌশল, খাদ্য, বস্ত্রসহ সবকটি খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে বড় উত্থান হয়েছে সবকটি মূল্যসূচকের। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারির পর গত সাড়ে সাত মাসের মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এদিন ডিএসই ছাড়াও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইতে ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। ফলে লেনদেনের শুরুর দিকে সূচকের বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। আর লেনদেনের শেষদিকে এসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৪টির। আর ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিলেও বড় দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতে। এ খাতের ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানেরও শেয়ার দাম কমেনি। তবে ৬টির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া ওষুধ খাতের ২০টির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৪টির। ব্যাংক খাতের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৩টির। আর্থিক খাতের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২টির। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৩টির। প্রকৌশল খাতের ৩৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৬টির দাম কমেছে। খাদ্য খাতের ১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৪টির। এতে দিনের লেনদেশ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬৪৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। একইসঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি ডিএসইতে ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর গত সাত মাসে ডিএসইতে আর এতো লেনদেন হয়নি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৩৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭০টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1829101071.jpg[/IMG]
-
চলতি সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। এতে প্রথম দুই কার্যদিবসে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বাড়লেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইতে গতকাল সূচক বাড়লেও দৈনিক লেনদেন কমেছে। দেশের দুই পুঁজিবাজারেই গতকাল মিশ্র প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। টানা উত্থানের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীই শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর প্রথম ৪ মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এরপর কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। তবে ১১ মিনিট পরেই আবারো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের ৩০ মিনিট পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। এতে সূচকে বড় পতন ঘটে। এর আধা ঘণ্টা পরেই সূচক বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে। দিনভর ওঠানামা শেষে গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৪০২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ২৭১ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল , বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), গ্রামীণফোন ও পূবালী ব্যাংকের শেয়ারের।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে টানা বেশ কয়েকদিন ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ছিল দেশের পুঁজিবাজার। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তোলে নেয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে ডলারের বিনিময় মূল্য ও জ্বালানির সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এ বিষয়ে এখনো অনেকের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা ঊর্ধ্বমুখী বাজারের সুবিধা নিয়ে তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা কিছু শেয়ার বিক্রি করে নগদ অর্থ হাতে রাখছেন। লেনদেনের শুরুতে সূচকে ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হলেও দ্বিতীয়ার্ধে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এতে শুরুর দিকে সূচকের যে উত্থান ছিল সেটি শেষ পর্যন্ত বজায় থাকেনি। ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৮৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭১টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2080392676.jpg[/IMG]
-
ব্যাংক-বিমার পর এবার দাপট দেখাল দামি কোম্পানি ও বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার। সূচকের চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৫০ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দামি কোম্পানি রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কেয়ার, ম্যারিকো, ইন্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ারের পাশাপাশি বড় মূলধনি কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, জেএমআইসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। সূচক ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে লেনদেন। ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭১২টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মূল্য ১ হাজার ৮৮৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮১টি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে ১৭২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার, লাফার্জহোলসিম, ফরচুন সুজ, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও সাইফ পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার ৫৮০ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ১৭৮ টাকার শেয়ার।
-
ব্যাংক-বিমার পর এবার দাপট দেখাল দামি কোম্পানি ও বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার। সূচকের চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৫০ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দামি কোম্পানি রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কেয়ার, ম্যারিকো, ইন্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ারের পাশাপাশি বড় মূলধনি কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, জেএমআইসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। সূচক ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে লেনদেন। ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭১২টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মূল্য ১ হাজার ৮৮৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮১টি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে ১৭২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার, লাফার্জহোলসিম, ফরচুন সুজ, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও সাইফ পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার ৫৮০ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ১৭৮ টাকার শেয়ার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2080392676.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতন হওয়ার পর মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশের শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে, দুই বাজারেই দাম বাড়ার তুলনায় দাম কামার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়ে। এতে টানা ছয় কার্যদিবসের উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। টানা উত্থানের প্রভাবে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়ানোর পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দরপতন হয় শেয়ারবাজারে। পরের কার্যদিবস সোমবারও পতনের মধ্যেই থাকে শেয়ারবাজার।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের ১৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষপর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
তবে, লেনদেনের একপর্যায়ে এসে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে বেশিকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমে আসে। অবশ্য বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান লেনদেনের প্রায় পুরোটা সময় ধরে দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে। ফলে এক বারের জন্যও সূচক ঋণাত্মক হয়নি। বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৭০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/430435728.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ২১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার। এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস মূল্য সূচক বাড়ে।
এতে টানা ছয় কার্যদিবসের উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। টানা উত্থানের প্রভাবে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়ানোর পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দরপতন হয় শেয়ারবাজারে। পরের কার্যদিবস সোমবারও পতনের মধ্যেই থাকে শেয়ারবাজার। তবে মঙ্গলবার আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে শেয়ারবাজার। আর বুধবার সূচকের বড় উত্থান হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আবার সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠেছে। এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এমনকি লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে এসে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে। অবশ্য এর মধ্যেও বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই আগের দিনের তুলনায় ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৪৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচক বাড়লেও ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। বাজারটিতে সব খাত মিলে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টির। আর ৯২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৮৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১৫১ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১০৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- নাহি অ্যালুমিনিয়াম, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, বেক্সিমকো ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, একমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং মালেক স্পিনিং।
[IMG]https://forex-bangla.com/attachment.php?attachmentid=18074&d=1661080956[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২০৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১২টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
1 Attachment(s)
সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের লেনদেন হলেও, আজ সোমবার লেনদেন হচ শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্যদিয়ে। এ কারণে নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ২১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম। এর ফলে গত সপ্তাহের মঙ্গল, *বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা তিন দিন উত্থানের পর নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।
[ATTACH=CONFIG]18197[/ATTACH]
প্রকৌশল, বস্ত্র, ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক খাতসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমায় এদিন দরপতন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ওষুধ খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টির, কমেছে ২০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। একইভাবে ব্যাংক-বিমাসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তাতেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।
-
গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে। এতে গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ছিল ৬৯ টাকা ৯০ পয়সা।
বিজ্ঞাপন
শেয়ারের এমন দাম কমা কোম্পানিটি গত আগস্ট ২০২১ সালের সমাপ্ত বছরের লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য জানায়। সমাপ্ত বছরটিতে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগের বছর কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৪০ হাজার টাকা। এতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮ হাজার টাকা।
বিজ্ঞাপন
সানলাইফের পরেই গত সপ্তাহে দাম কমার তালিকায় ছিল সিমেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে পরের স্থানে রয়েছে ঢাকা ডাইং।
এছাড়া গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা- ফারইস্ট নিটিংয়ের ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, আমান কটনের ৮ দশমিক ১১ শতাংশ, ওরিয়ন ফার্মার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল ের ৭ দশমিক ১১ শতাংশ, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল ের ৬ দশমিক ৭৪ শতংশ এবং ইফাদ অটোসের ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ দাম কমেছে।
-
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৪০ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে তিনশ কোটি টাকার বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।
এর আগে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স নিয়ে গুজব ছড়ালে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দেয়। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টি গুজব তা জেনে যান বিনিয়োগকারীরা। এতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়।
এ পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতে ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এতে লেনদেনের ১৪ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে এরপর সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমতে দেখা যাচ্ছে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ১০ মিনিটে ডিএসইতে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির। আর ১১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৩১ পয়েন্ট। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৮ লাখ টাকা।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/596218178.jpg[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৪ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১২৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।
-
দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে আজ সোমবার লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় সব সূচক বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্স*চে*ঞ্জে (ডিএসই) প্রায় হাজার কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষ*ণে দেখা যায়, এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় লেনদেন শুরুর পর থেকেই সূচক বাড়তে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৮৬ পয়েন্টে দাঁড়ি*য়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এ সময় পর্যন্ত ৩০ প*য়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৯৩ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/703416659.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় ৬০ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-ও মূল্যসূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এর আগে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স নিয়ে গুজব ছড়ালে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দেয়। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টি গুজব তা জেনে যান বিনিয়োগকারীরা। এতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস রোববার ও সোমবারও ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলে শেয়ারবাজারে।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৮ মিনিটে ডিএসইতে ১৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৮টির। আর ১১৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৪ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1853777201.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সূচক একটু উঠছে তো পরক্ষণেই আবার পড়ে যাচ্ছে। তবে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতিও দেখা যাচ্ছে। দিনের লেনদেন শুরুর প্রথম আধঘণ্টার মধ্যেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে যায়। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে। একই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এর আগে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স নিয়ে গুজব ছড়ালে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে দরপতন দেখা দেয়। তবে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টি যে ‘গুজব’ তা জেনে যান বিনিয়োগকারীরা।
এতে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হয়। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস গত রোববার ও সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল শেয়ারবাজার। মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে বড় উত্থান হলেও শেষ পর্যন্ত মূল্যসূচকের পতনে শেষ হয় দিন।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের ৮ মিনিটের মাথায় সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এরপর লেনদেনের ১৫ মিনিটের মাথায় মূল্যসূচক আবার কিছুটা বাড়ে। এ দফাতেও সূচক বেশি সময় ঊর্ধ্বমুখী থাকেনি। ২০ মিনিটের মধ্যেই সূচক আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। তবে লেনদেনের আধাঘণ্টার মাথায় সূচক আবার কিছুটা বাড়ে।
অবশ্য এ দফাতেও সূচক বেশি সময় ঊর্ধ্বমুখী থাকেনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ১২ মিনিটে ডিএসইতে ১১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯০টির। আর ১২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১০ পয়েন্ট। তবে অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমেছে। এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৯১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/624780745.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর অপরিবর্তিত। এদিন বেলা সাড়ে ১০টা পরযন্ত ডিএসইতে ৫৫৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৫৮১ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৪১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৮০ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৩৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে। আজ সিএসইতে ৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1367213308.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। ডিএসই-সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। অবশ্য দাম কমা ও বাড়ার তালিকার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। প্রায় অর্ধেক সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অপরিবর্তিত। এর মধ্যেই দুই বাজারে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বেড়ে ১৮’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে এক’শ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তালিকা ছোট হলেও লেনদেন শুরুর চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২০ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রথম ৪০ মিনিটজুড়েই অব্যাহত। এতে লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু শেষ দুই ঘণ্টার লেনদেনে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। ফলে সূচকের বড় উত্থান দেখতে দেখতে বড় পতনে রূপ নেয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৭টির। আর ১৬০টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫১৫ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩২৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮১০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৪৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১১৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৯৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিক হোটেল।এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিডিকম অনলাইন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, ইস্টার্ন হাউজিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1853777201.jpg[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৩টির এবং ৮৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/703416659.jpg[/IMG]
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই শেয়ার বাজারে দরপতন হলো। শেয়ারবাজারে এমন টানা দরপতন দেখা দেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তবে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন যে দরপতন হচ্ছে তাতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকদিনের টানা উত্থানের কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেশ বেড়ে গেছে। এ কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ কারণে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে।
তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর লেনদেন অংশ নেওয়া বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এ দাম কমার প্রবণতা অব্যাহত থাকে লেনদেনের শেষ পর্যন্ত। ফলে দিনের লেনদেন শেষ একদিকে দাম কমার পাল্লা বড় হয়, অন্যদিকে পতন হয় সবকটি মূল্যসূচকের।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৬টির। আর ১৭৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৮৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর মাধ্যমে নয় কার্যদিবস পর ডিএসইর প্রধান সূচক সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের নিচে নামলো।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৩০০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ১৯৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৯ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৯৪ কোটি ১০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাইফ পাওয়ার টেক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিডিকম অনলাইন, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, ইউনিক হোটেল, শাহিনপুকুর সিরামিক এবং এডিএন টেলিকম।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৪টির এবং ৯৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1367213308.jpg[/IMG]
টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে মূল্যসূচক বাড়লেও দুই বাজারেই যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দেয়। তবে এই দরপতনকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন উল্লেখ করে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্লেষকরা। তিন কার্যদিবস টানা দরপতনের পর বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদনের শুরুতে দেখা দেওয়া সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তবে লেনদেনের শেষদিকে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। অবশ্য দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে দরপতনের তালিকা বড় হলেও মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী থেকেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
বুধবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৪টির। আর ১১৮৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ১০৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। তবে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রায় ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে ২০০ কোটি টাকার কম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ বাজারটিতেও সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1261517964.jpg[/IMG]