-
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সূচক কমেছে বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারে। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৭৬২ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট হয়েছে। রোববার এ বাজারে লেনদেন শেষ হয়েছিল সূচকের ঘরে ৪ হাজার ৮৫৯ পয়েন্ট নিয়ে, যা প্রায় ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ডিএসইএক্স এর চেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর, সেদিন সূচকে ছিল ৪ হাজার ৮৯৪ পয়েন্ট। ডিএসইতে সোমবার ৭২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের কর্মদিবসে ছিল ৯৩৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এ বাজারে লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ২৩২টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2082625194.jpg[/IMG]
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ১৭২ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৪৯২ পয়েন্ট হয়েছে। সিএসইতে ১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সোমবার, যা আগের দিন ৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা ছিল।এ বাজারে লেনদেন হওয়া ২৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1317844186.jpg[/IMG]
-
গত দুই বছরে পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন করে বিভিন্ন খাতের পাঁচ কোম্পানি। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে কোম্পানিগুলোর আইপিও তহবিলের অর্থ ব্যয় করার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও এ সময়ের মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৩৮ কোটি ৭ লাখ টাকা। অব্যবহূত রয়েছে ৮১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, যা কোম্পানিগুলোর মোট উত্তোলিত অর্থের ৬৮ শতাংশ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইপিওর অর্থ ব্যয় করতে না পারা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড, এমএল ডায়িং লিমিটেড, এসএস স্টিল লিমিটেড ও নিউ লাইন ক্লদিংস লিমিটেড।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/742871995.jpg[/IMG]
-
মহামারী শুরুর পর গত জুনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স যেখানে ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে গিয়েছিল, গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা পৌঁছেছে ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টের কাছাকাছি। জুন মাসেই এক পর্যায়ে লেনদেন নেমে গিয়েছিল ৫০ কোটির ঘরে; সেই দশা কাটিয়ে গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮২৮ কোটি টাকার বেশি।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখনও সেভাবে কমেনি, অর্থনীতির চাকাও সচল হয়নি পুরোপুরি। তাহলে সঙ্কটের মধ্যেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াল কীভাবে? বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা সক্রিয় হওয়ায় সমন্বয়হীনতা কমেছে, তার সুফল পাচ্ছে বাজার। ব্যাংকে সুদের হার কমে আসায় নতুন বিনিয়োগ পাচ্ছে পুঁজিবাজার।
ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্যোগে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্য রেগুলেটরের মধ্যে একটা সমন্বয় করা হয়েছে, যা আগে ছিল না। ফলে এখন আর আগের মতো বাধা আসছে না। আগে মাঝে মাঝে এমন সব নীতি হয়ে যেত, যা পুঁজিবাজারকে বাধাগ্রস্ত করত।” ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তারল্য সঙ্কট দেখা দেওয়ার পর ঋণ-আমানত (এডি) অনুপাত কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ক্ষমতা কমে যায়, সুদের হার যায় বেড়ে। তখন থেকে পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে।
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে। একইসঙ্গে এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনও কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৮৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১৩১ ও ১৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন ডিএসইতে ৭৭৭ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩৮৯ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ১৬৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, অরিয়ন ফার্মা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার ফার্মা, লার্ফাজহোলসিম, বিএটিবিসি ও বিডি ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই মঙ্গলবার ২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯৯টির, কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টি কোম্পানির।
মঙ্গলবার সিএসইতে ২০ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১২ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার।
-
আজ বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ দিনে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৮৯১ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট হয়েছে। ডিএসইতে এদিন ১ হাজার ২০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসে ৭৭৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা ছিল। লেনদেন হওয়া ৩৫৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, কমেছে ১৫৩টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির দর।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৯৭৩ পয়েন্ট হয়েছে। সিএসইতে ২৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এদিন, যা আগের দিন ২০ কোটি ১৫ লাখ টাকা ছিল। এ বাজারে লেনদেন হওয়া ২৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/179051858.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের শেষ দিন সূচক বেড়েছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগেরদিনের চেয়ে ৩৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে চার হাজার ৯২৭ দশমিক ৮২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এই সূচক প্রায় ১১ মাসের মধ্যে বেশি। ডিএসই সূচক সর্বশেষ এর চেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর; সেদিন সূচক ছিল চার হাজার ৯৩৭ পয়েন্টের ঘরে। এ বাজারে বৃহস্পতিবার ৯০৭ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, আগের কর্মদিবসে ৭৮৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২১টির, আর কমেছে ১০৯টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর। ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১৪১ দশমিক ৮২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক দশমিক ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৭১৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1845489029.jpg[/IMG]
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৯২ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৬৬ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। সিএসইতে ৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের দিন লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ৬৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দর।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/303779341.jpg[/IMG]
করোনা পরবর্তীতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে পুঁজিবাজার খোলার পর বাজারে শেয়ার মূল্যের ঊর্ধ্বমূখি প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজারে সিকিউরিটিজের মূল্য হ্রাস-বৃদ্ধি হওয়া সারা বিশ্বাস্যাপী একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে বিশ্বব্যাপি কভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বে পুঁজিবাজারের অস্বাভাবিক দর পতনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের লেনদেনও এর ব্যতিক্রম নয়। ওই সময়কালে পুঁজিবাজারের লেনদেনও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিলো। করোনা পরবর্তীতে পুঁজিবাজার খোলার পর থেকে সরকারের নেয়া কিছু পদক্ষেপের ফলে বাজারে বর্তমান শেয়ার মূল্যের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রী পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা তথা উন্নয়নের স্বার্থে এবং অস্বাভাবিক দরপতন রোধে সম্প্রতি নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। সংসেদে দেয়া মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শেয়ারের ফ্লোর প্রাইজ সম্পর্কিত নির্দেশনা জারি, পুঁজিবাজার উন্নয়নে গত জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক, শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত নীতিমালা জারি, পুজিবাজারে বিনিয়োগে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন, পুঁজিবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ ইত্যাদি।
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে। তবে এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য ২ সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৪২ ও ১৭২৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে ৯৭৬ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৪৯ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার। সোমবার ডিএসইতে ৩৫৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর। এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, অরিয়ন ফার্মা, ডেল্টা হাউজিং, লাফার্জহোলসিম, লংকাবাংলা, বিডি ফাইন্যান্স, রিংসাইন ও স্কয়ার ফার্মা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সোমবার ৫২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির কোম্পানির শেয়ার দর। সোমবার সিএসইতে ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৩ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৮ কোটি ৫ লাখ টাকার।
-
শেয়ারবাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েই চলেছে ‘জেড’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান। রবিবার লেনদেন শুরু হতেই একের পর এক এই ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। ফলে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। এমন ১০টি কোম্পানির শেয়ারের বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে।দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার পর থেকেই এ ক্যাটাগরির কোম্পানির এই দাপট চলছে। গতকাল লেনদেন শুরু হতেই কয়েক মিনিটের মধ্যে বিআইএফসির শেয়ার দাম বেড়ে দিনের সর্বোচ্চসীমা স্পর্শ করে। এরপরও এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না।লেনদেনের শুরুতে ৩ টাকা ৮০ পয়সা করে বিআইএফসির ১০০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামে কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় এক লাফে ৪ টাকা ৪০ পয়সা করে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৬৩টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এতে দাম বাড়ায় সর্বোচ্চসীমায় চলে যায় কোম্পানিটির শেয়ার। এ দামেও বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন না।হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানিটি লোকসানের মধ্যে নিমজ্জিত। ফলে ২০১৩ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে পারেনি কোম্পানিটি। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে ‘জেড’ গ্রুপে রয়েছে কোম্পানিটি। অর্ধযুগ ধরে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দিতে না পারা আর এক কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। লেনদেনের কয়েক মিনিটের মধ্যে এই কোম্পানিটিও দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ারের বিক্রেতা উধাও অবস্থায় রয়েছে। দিনের লেনদেনের শুরুতে ৭ টাকা ৯০ পয়সা করে কোম্পানিটির ৩৫ হাজার ৪০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামে কেউ বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়ে। এক পর্যায়ে ৮ টাকা ৮০ পয়সা করে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামেও কেউ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাননি।এই দুই কোম্পানির সঙ্গে দাম বাড়ার সর্বোচ্চসীমা স্পর্শ করেছে এসএস স্টিল। এ কোম্পানিটিরও বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে। লেনদেনের শুরুতে ১২ টাকা ৩০ পয়সা করে কোম্পানিটির ৯০ হাজার ৩০০ শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এরপর দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে সর্বোচ্চ দাম ১৩ টাকা ২০ পয়সা করে ৮ লাখ ২ হাজার ৩৮৬টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামেও যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার আছে তারা বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না।বিক্রেতা উধাও হয়ে যাওয়া বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে— জিপিএইচ ইস্পাত, জাহিনটেক্স, রিংশাইন টেক্সটাইল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), ফাস্ট ফাইন্যান্স, ফু-ওয়াং সিরামিক এবং অ্যাপোল ইস্পাত।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/853192664.jpg[/IMG]
-
পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন দুটোই বেড়েছে, আগের দিনের উত্থানের ধারাবাহিকতায় গতকালও সূচকের ইতিবাচকতার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ করেছে দেশের পুঁজিবাজার। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে দশমিক ৩৬ শতাংশ।গতকাল দিনের শুরু থেকেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। শেষ লেনদেন সেশন পর্যন্ত এ প্রবণতা অব্যাহত ছিল। অবশ্য দিনের লেনদেন শেষ হওয়ার আগে কিছু পয়েন্ট হারিয়েছে ডিএসইএক্স। তবে শেষ পর্যন্ত তা আগের দিনের চেয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন ধরে রাখতে পেরেছে। ৪ হাজার ৯৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দিনের লেনদেন শেষ করে ডিএসইএক্স, আগের দিন শেষে যা ছিল ৪ হাজার ৯৫৯ পয়েন্ট। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে গতকাল সূচকটি বেড়েছে প্রায় ১৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৯ শতাংশ। ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ডিএসইএস গতকাল প্রায় ৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৫০ পয়েন্টে দাঁড়ায়, যা আগের দিন শেষে ছিল ১ হাজার ১৪২ পয়েন্ট। ডিএসইর ব্লু চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে প্রায় ১১ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে লেনদেন শেষে এদিন ১ হাজার ৭৩৪ পয়েন্টে দাঁড়ায়, আগের দিন যা ছিল ১ হাজার ৭২৩ পয়েন্ট। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ১৬৮টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। খাতভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৭ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থানে ছিল ওষুধ খাত। ১৪ শতাংশ দখলে নিয়ে এরপর ছিল প্রকৌশল খাত। এছাড়া ১১ শতাংশ দখলে নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত।
দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইতে গতকাল প্রধান সূচক সিএসসিএক্স দিনের ব্যবধানে প্রায় ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৫৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ৮ হাজার ৫৪০ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২৭৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ১০৫টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির বাজারদরদ।