-
৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/921450007.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত শুক্রবার প্রকাশিত হয়, কিন্তু আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। তাই আজ উল্লিখিত মার্কিন প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে এবং মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় সবার আগ্রহ এই প্রতিবেদনগুলোর দিকেই থাকবে, পাশাপাশি ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর ওপরও দৃষ্টি থাকবে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় কেবলমাত্র জার্মানি ও ইউরোজোনের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর চূড়ান্ত অনুমান প্রকাশিত হবে—যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সদস্য রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে; তবে এই সপ্তাহে ক্রিস্টিন লাগার্ড, অ্যান্ড্রু বেইলি এবং জেরোম পাওয়েল ইতিমধ্যে এতবার বক্তব্য দিয়েছেন যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছে। উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধানদের কাছ থেকে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ক্রিস্টিন লাগার্ড উল্লেখ করেছেন যে, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতির ফের বাড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং জেরোম পাওয়েল ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা নির্ধারণে শ্রমবাজারকে মূল নির্ধারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলো আজ প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। স্বল্পমেয়াদে এই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য ব্যতীত) কোনো বাণিজ্য চুক্তিতেই স্বাক্ষর করেননি। চীনের সঙ্গে করা চুক্তিটিও এখনো কার্যকর হিসেবে ধরা হচ্ছে না, কারণ এর বিস্তারিত এখনো অস্পষ্ট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বললেও, তারা নিজেদের কিছু শর্ত উপস্থাপন করেছে, যা ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, ইলন মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্বের কথা ভুলে গেলে চলবে না, যা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যে তা গৃহবিক্ষোভ এমনকি বিপ্লবের রূপ নিতে পারে। এই ঘটনাগুলোর কোনোটিই মধ্যমেয়াদে মার্কেটের ট্রেডারদের ডলার ক্রয়ের আগ্রহকে স্পষ্টভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে যেতে পারে, কারণ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর মুভমেন্টের দিক নির্ভর করছে। এছাড়া, এটা মনে রাখা জরুরি যে, যেকোনো সময় ট্রাম্প এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যা আবারো ডলারের ধস নামাতে পারে। "ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল" পাস হয়ে গেছে, এবং এখন ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/44H5GGJ
-
৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/330388665.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন পালিত হবে। দেশটির সকল ব্যাংক ও স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকবে এবং কোনো ট্রেডিং কার্যক্রম চলবে না। ইউরোপে খোলা থাকলেও, ক্যালেন্ডারে আজ কোনো প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে আজ কারেন্সি মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দুই সপ্তাহে ইতোমধ্যেই পাঁচ বা ছয়বার বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য থেকে যে একমাত্র বার্তাটি পাওয়া যায়, তা হলো ইউরোজোনে ভবিষ্যত বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির ব্যাপারে ইসিবি উদ্বিগ্ন। তাই ধরে নেওয়া যায়, ইসিবি পরবর্তী বৈঠকগুলোতেও আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখবে, যা বর্তমানে ইউরোর ওপর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে না। মার্কেটের এখনও বাণিজ্য যুদ্ধকেই মূল অগ্রাধিকার দিচ্ছে, যার সমাপ্তি বা সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ তথাকথিত "তিন মাসের শুল্কছাড়" শেষ হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৫টি দেশের মধ্যে মাত্র ৩টি দেশের সাথে চুক্তিতে সই করেছেন। এর পাশাপাশি, মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝে উঠতে পারছে না আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু আদৌ আছে কি না, যেহেতু ট্রাম্প যেসব শুল্ক আরোপ করেছিলেন, সেগুলো এখনও বহাল রয়েছে। চীনের সঙ্গে পরিস্থিতি আরও বেশি অস্পষ্ট, কারণ একটি চুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটির বিষয়বস্তু বা পরিসর সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যাবে না বলে মনে হচ্ছে, কারণ আজ কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশনা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেটগুলো বন্ধ রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের কারণে মার্কিন শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো শুক্রবার নয়, বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/401nqtR
-
৭ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2143515633.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার বেশ অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। মনে করিয়ে দিই, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কার্যত ছুটির দিন ছিল। সোমবারও খুব একটা ট্রেডিং কার্যক্রম নাও দেখা যেতে পারে। জার্মানিতে শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খুব কমই ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে ২০২৫ সালে এই প্রতিবেদন ইউরোর জন্য তেমন কোনো তাৎপর্য বহন করছে না, কারণ ডলারের দরপতনের মাঝে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। সোমবার ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনের ফলাফলের ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার সম্ভাবনা খুবই কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারে একেবারেই কোনো উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। গত দুই সপ্তাহে ইসিবি, ফেড ও এমনকি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (যা বেশ বিরল একটি ঘটনা) গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের বেশ কিছু বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে খুব অল্প কিছু বক্তব্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সেগুলো মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইসিবি ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, ফেডও ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, সেইসাথে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও একই কারণে উদ্বিগ্ন—এবং সম্মিলিতভাবে সবাই ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের কারণে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে, যার সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনো দৃশ্যমান নয়। নিকট ভবিষ্যতে এই উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে, কারণ "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৫টির মধ্যে মাত্র ৩টি দেশের সাথে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তদুপরি, ট্রেডাররা বুঝতে পারছে না যে এতে খুশি হওয়ার কী আছে, বিশেষত যদি ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত সকল শুল্কই বহাল থাকে। চীনের সঙ্গে চুক্তি বিষয়ক পরিস্থিতিও পুরোপুরি অস্পষ্ট—চুক্তির ঘোষণা দেয়া হলেও এর বিষয়বস্তু বা ব্যাপ্তি সম্পর্কে কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। ভিয়েতনামের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে তো বোঝাই যাচ্ছে না, আদৌ মার্কেটে এর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই অত্যন্ত ধীর গতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে আজও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হতে পারে, যেখানে কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট না-ও দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3I9Xnut
-
ইলন মাস্কের আমেরিকা পার্টি বিটকয়েন ও ডিজিটাল অ্যাসেটের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1439124473.jpg[/IMG]
সম্প্রতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল "আমেরিকা পার্টি" বিটকয়েনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। টেসলার সিইও নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘোষণা দিয়েছেন। বিটকয়েনকে দলীয়ভাবে গ্রহণ করা হবে কিনা—এই প্রশ্নের জবাবে মাস্ক বলেন, "ফিয়াট বা নগদ অর্থের ব্যবস্থা নিরাশাজনক, তাই হ্যাঁ, আমরা ক্রিপ্টোকারেন্সি উপর গুরুত্ব দিচ্ছি।" এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে ক্রিপ্টো কমিউনিটির মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল অ্যাসেটের প্রতি ভালবাসা এবং মার্কেটে প্রভাব সৃষ্টির জন্য পরিচিত মাস্ক কার্যত বিটকয়েনের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এই পদক্ষেপের প্রভাব শুধুমাত্র বিটকয়েনের ওপর নয়, বরং সমগ্র রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হতে পারে। কারণ একটি রাজনৈতিক দলের বিটকয়েনের প্রতি সমর্থন মানে শুধু প্রযুক্তিকে সমর্থন করা নয়, বরং ডিজিটাল অ্যাসেটকে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্যে সংহত করার ঘোষণাও। এর মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য সহায়ক আইন প্রণয়ন, যুক্তরাষ্ট্রে যেটি ইতোমধ্যেই কিছু রাজনীতিবিদ সক্রিয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেইসাথে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থ রক্ষায় লবিং ও বিটকয়েনকে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহারের প্রসার অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। মনে করিয়ে দিই, গত শনিবার মাস্ক এক জরিপের মাধ্যমে জনমত যাচাই করার পর আমেরিকা পার্টি গঠনের ঘোষণা দেন। নতুন এই দল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের দুই-দলীয় ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায়। মাস্ক শনিবার এক্স-এ পোস্ট করে লেখেন, "অপচয় ও ঘুষের মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করার ক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট যে আমরা গণতন্ত্রিক দেশে বাস করি না। আজ নতুন আমেরিকা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য।" আমেরিকা পার্টির যাত্রা শুরু হয়েছে ইলন মাস্ক এবং তার পূর্বের ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে $3.4 ট্রিলিয়নের "বিগ, বিউটিফুল বিল" নিয়ে ব্যাপক আলোচিত দ্বন্দ্বের পর। এই ব্যয় প্যাকেজটিকে মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাড়াবে বলে সমালোচনা করেছিলেন। ট্রাম্প গত শুক্রবার বিলটি স্বাক্ষর করেন। এদিকে, ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে এক পোস্টে বলেন, মাস্ক "পুরোপুরিভাবে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন," এবং যুক্তরাষ্ট্রে কখনও কোনো তৃতীয় রাজনৈতিক দল সফল হয়নি বলেও মন্তব্য করেন। ইতোমধ্যেই আমেরিকা পার্টি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চালু করেছে এবং অনেক বিলিয়নিয়ার নতুন দলের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমেরিকা পার্টি এখনো ফেডারেল ইলেকশন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়নি এবং মাস্কও এখনো বিস্তারিত রোডম্যাপ উপস্থাপন করেননি।
Read more: https://ifxpr.com/4ks3OpZ
-
১০ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2006027536.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারে খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে এবং এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না। তাহলে আজ ট্রেডাররা কীসের উপর দৃষ্টি দেবে? জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্বিতীয় অনুমান? না কি মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন? বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, শক্তিশালী প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম। তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে, কারেন্সি মার্কেটে প্রায়শই অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করে। যেকোনো সময় শক্তিশালী মুভমেন্ট অথবা নতুন কোনো প্রবণতা শুরু হতে পারে, এমনকি স্পষ্ট কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব ছাড়াও এটি হতে পারে। তাই, যদি নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়, তাহলে সেগুলোর ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডের কর্মকর্তা—ক্রিস্ োফার ওয়ালার, মেরি ডালি এবং অ্যালবার্ট মুজালেমের ভাষণ উল্লেখযোগ্য। তবে, ফেডের বর্তমান অবস্থান এখন ইসিবির মতোই বেশ স্পষ্ট: পাওয়েল এবং তাঁর টিম ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব দেখতে ও মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য, এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা প্রশমনের জন্য অপেক্ষা করতে চায়। সুতরাং, নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এর কোনো সমাধানের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—যার মধ্যে একটি আবার অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ। উপরন্তু, বিনিয়োগকারীরাও আশাবাদের তেমন কিছু দেখছে না, কারণ ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত সমস্ত শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও এক দফা শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের জন্য যারা এখনো ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে আগ্রহ দেখায়নি (প্রায় সবাই), এবং এর পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। তাই, আমরা এখনো ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো জোরালো কারণ দেখছি না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ের, সম্ভবত নিম্নমুখী প্রবণতার সাথেই EUR/USD এবং GBP/USD কারেন্সি পেয়ারেরট্রেড করা হবে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলমান রয়েছে, তবে এটি যেকোনো সময় শেষ হয়ে যেতে পারে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে উভয় পেয়ারেরই একটি করে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, এবং এই লাইন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি আবারও উর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হওয়ার সংকেত দিবে।
Read more: https://ifxpr.com/4ktRKo0
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ১১ জুলাই
রেকর্ড উচ্চতায় ওঠার পর S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে দরপতন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/344182913.jpg[/IMG]
বুধবার মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে লেনদেন শেষ হয়, যেখানে S&P 500 সূচক 0.27% বৃদ্ধি পায়, নাসডাক 100 সূচক 0.09% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক 0.43% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারগুলো নিম্নমুখী হয়ে পড়ে এবং মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়িয়ে অধিকাংশ বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্ক বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। S&P 500 এবং ইউরোপীয় ইকুইটির ফিউচার চুক্তিগুলো ট্রাম্পের ঘোষণার পর 0.2% কমে যায়—যেখানে তিনি বলেন, তিনি সার্বজনীন শুল্কহার 10% থেকে বাড়িয়ে 15% থেকে 20% করার পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প কানাডার নির্দিষ্ট আমদানিকৃত পণ্যের ওপর 35% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর কানাডিয়ান ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ট্রাম্পের এই অপ্রত্যাশিত মন্তব্য আর্থিক বাজারে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে দেয়। প্রস্তাবিত এই বিস্তৃত শুল্ক নীতিগুলো তার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি থেকে একটি বড় বিপরীতমুখী পদক্ষেপ এবং তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে এমন পদক্ষেপ আমদানি মূল্যে বৃদ্ধি, marrkin কোম্পানির প্রতিযোগিতা হ্রাস এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমিয়ে দিতে পারে। এদিকে, গোল্ডম্যান শ্যাক্সের কৌশলবিদরা জাপান ছাড়া এশিয়ার আঞ্চলিক ইকুইটিগুলোর ওপর তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত করায় এশিয়ান সূচকগুলো আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়—তারা উন্নততর সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কমে আসা শুল্ক ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন। এই সপ্তাহে বাণিজ্য উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে, কারণ ট্রাম্প বিভিন্ন বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন—যার মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অকল্যাণকর বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তিগুলো পুনর্গঠন করতে চাইছেন। তা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা শেয়ারে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছেন, এবং বৃহস্পতিবার S&P 500 সূচকের নতুন সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানোর পর লেনদেন শেষ হয়েছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা ধীর প্রবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা থেকে মনোযোগ সরিয়ে আয়ের মৌসুমের প্রস্তুতিতে মনোনিবেশ করছেন। অন্যদিকে, চীনের মন্থর অর্থনীতিকে সহায়তা করতে বেইজিং একটি নতুন আর্থিক ও রাজস্ব প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে দুর্বল অভ্যন্তরীণ চাহিদা, রিয়েল এস্টেট খাতের সংকট, এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে এমন পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে পিপলস ব্যাংক অব চায়না সুদের হার কমিয়ে ব্যবসা ও ভোক্তাদের জন্য ঋণগ্রহণ সহজতর করা। এছাড়াও, সরকারের অবকাঠামো প্রকল্প—যেমন সড়ক, রেলপথ এবং বিমানবন্দরে—ব্যয বাড়ানোর বিষয়টিও বিবেচনাধীন। এই বিনিয়োগগুলো অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে উদ্দীপিত করার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তদুপরি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য কর হ্রাসের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে, যাতে আর্থিক চাপ কমে এবং পুনঃবিনিয়োগ ও উৎপাদন সম্প্রসারণ সম্ভব হয়—যা চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ। টেকনিক্যাল দিক থেকে, আজ ক্রেতাদের লক্ষ্য থাকবে সূচকটির $6,267 লেভেল ব্রেক করা। এই লেভেল সফলভাবে অতিক্রম করতে পারলে মূল্য $6,276 পর্যন্ত উঠতে পারে এবং পরবর্তী লক্ষ্য হবে $6,285—যা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করবে। বিপরীত দিকে, যদি ঝুঁকি গ্রহণের মনোভাব কমে যায়, তবে ক্রেতাদের $6,257 লেভেলের কাছাকাছি সক্রিয় থাকতে হবে। এই লেভেলের নিচে নেমে গেলে সূচকটির দর $6,245 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এবং সম্ভাব্যভাবে আরও নিম্নমুখী হয়ে $6,234 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3GEIMqf
-
১৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1205967764.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। স্মরণ করা যাক, গত সপ্তাহেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র — উভয় অঞ্চলেই — কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা, ভাষণ বা উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদিনের মতো নতুন করে শুল্ক আরোপ ও বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে গেছেন। তবে কোনো এক অজানা কারণে, মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এই ঘোষণাগুলো সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে। বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল ভিত্তিতে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে। সোমবার ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/566845609.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। আমরা বহুবার বলেছি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ফেডারেল রিজার্ভ (ফেডের), অথবা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড-এর প্রতিনিধিদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটের উপর কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিগত অবস্থান এখন একেবারে স্পষ্ট। কোনো প্রশ্ন নেই এবং মুদ্রানীতির পরিবর্তনের প্রভাবও এখন প্রায় শূন্যের কোঠায় রয়েছে। মনে করিয়ে দেই, 2025 সালে ইউরো ও পাউন্ড — উভয় কারেন্সিই — ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো নমনীয় মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে, যার কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। বরং পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত কেবল তিনটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন — যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। তদুপরি, সব ধরনের শুল্ক এখনও কার্যকর থাকায়, মার্কেটে আশাবাদী হওয়ার মতো কোনো বাস্তব ভিত্তিও নেই। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আবারও তাদের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না (প্রায় সব দেশই), এবং একই সঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেন। সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে মার্কেটের অবস্থা ভালো হচ্ছে না। তাই আমরা এখনো ডলারের মূল্য বৃদ্ধির জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুবই ধীর গতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন বা ইভেন্ট নেই। টেকনিক্যাল কারেকশন চলমান রয়েছে, তবে যেকোনো সময় তা শেষ হয়ে যেতে পারে। উভয় পেয়ারের ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে — যদি মূল্য এই ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে, তবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4eNOAul
-
GBP/USD. বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস, ১৫ জুলাই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/904162744.jpg[/IMG]
আজ GBP/USD পেয়ার 1.3430–1.3435 লেভেলের মধ্যে কনসোলিডেশনের মধ্যে রয়েছে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্য এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের সময় রেকর্ডকৃত তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের তুলনায় সামান্য ওপরে অবস্থান করছে। এই মূহূর্তে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে মৌলিক দিক থেকে এই প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতারই সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে পরবর্তীতে সম্ভাব্যভাবে এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের হতাশাজনক ফলাফল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আগস্ট মাসে আরেকবার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে আরও জোরালো করেছে। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা কমে যাওয়ার বিপরীতে অবস্থান করছে, যা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। যদিও সাময়িকভাবে মার্কিন ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম থেমে যাওয়ায় এই পেয়ারের দরপতন কিছুটা সীমিত হয়েছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, 4-ঘণ্টার চার্টে এই পেয়ারের মূল্য 100-পিরিয়ড সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার বিষয়টি গত সপ্তাহে বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল ছিল। তবে একই টাইমফ্রেমে রিলেটিভ স্ট্রেন্থ ইনডেক্স (RSI) ইতোমধ্যে ওভারসোল্ড স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে দৈনিক ভিত্তিতে কনসোলিডেশন অথবা একটি সামান্য রিবাউন্ড দেখা যেতে পারে। তবে, যেকোনো প্রকার রিবাউন্ডের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3475 লেভেলের আশেপাশে রেজিস্ট্যান্সের মুখোমুখি হবে, যা মূল্যকে 1.3500 সাইকোলজিক্যাল রেজিস্ট্যান্সের নিচে আটকে রাখবে। এই লেভেলের ওপরে একটি স্থিতিশীল মুভমেন্ট শর্ট কাভারিং শুরু করতে পারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে ধাপে ধাপে 1.3550 মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স, তারপর 1.3600-এর রাউন্ড লেভেল এবং 1.3620–1.3625 সাপ্লাই জোনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, বিয়াররা নতুন শর্ট পজিশন নেওয়ার আগে 1.3400-এর গুরুত্বপূর্ণ সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট লেভেলের স্পষ্টভাবে ব্রেকআউটের পর মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার অপেক্ষায় থাকবে। এই পরিস্থিতিতে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য দ্রুতগতিতে নিম্নমুখী হতে পারে এবং পরবর্তীতে মূল্য গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট 1.3355 লেভেল যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, এরপর মূল্য 1.3300-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। আরও দরপতন হলে পেয়ারটির মূল্য 100-দিনের সিম্পল মুভিং এভারেজ (SMA) এর দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা বর্তমানে 1.3265 লেভেলের আশেপাশে অবস্থান করছে।
Read more: https://ifxpr.com/44uLlV5
-
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/629134065.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কিন ডলার বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যদিও জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি টানা পাঁচ মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের সাম্প্রতিক ফলাফল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে কোম্পানিগুলো এখন ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কজনিত কিছু খরচ আরও সরাসরিভাবে ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI), যা সাধারণত খাদ্য ও জ্বালানির মতো অস্থির উপাদান বাদ দিয়ে গণনা করা হয়, মে মাসের তুলনায় 0.2% বেড়েছে। গাড়ির দামের পতন সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত পণ্যের — যেমন খেলনা এবং গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির দামের সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যে দ্রুততম বৃদ্ধিই দেখা গেছে। এই প্রতিবেদন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারকদের কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করছে না, কারণ তারা এখনো বিভক্ত যে আরোপিত শুল্ক এককালীনভাবে প্রভাব ফেলবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। তথাপি, এই ফলাফল উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার পক্ষে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য আরোপিত শুল্কের প্রভাবের প্রমাণ হিসেবে কাজ করতে পারে, যদিও সুদের হার হ্রাসের পক্ষে খুব বেশি যৌক্তিকতা নেই। বিনিয়োগকারীরা এখনো আশা করছে যে দুই সপ্তাহ পর ফেডের বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিতই থাকবে। উল্লেখযোগ্য যে, জুন মাস ছিল পঞ্চম মাস, যখন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদারের উপর শুল্ক কার্যকর থাকা সত্ত্বেও মুদ্রাস্ফীতিতে কোনো আকস্মিক বৃদ্ধি দেখা যায়নি। তবুও, ফেডের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আছে এমন আরও নিশ্চিয়তা প্রয়োজন, তাই মাসের শেষে কোনো বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা কম। তবে বর্তমান প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সুদের হার হ্রাসের জন্য চাপ বাড়তে পারে। এর আগেই আরেকটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, ফলে এখনই ফেডের নীতিমালায় বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। খাদ্য ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পণ্য মূল্য 0.2% হারে বেড়েছে, যা গত মাসে স্থির ছিল। খেলনার দাম 2021 সালের শুরু থেকে সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে, 2022 সালের পর গৃহস্থালী পণ্য ও স্পোর্টস পণ্যের সর্বোচ্চ বৃদ্ধিও দেখা গেছে। গৃহস্থালী যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে প্রায় পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ মূল্য বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, নতুন ও পুরোনো গাড়ির দাম কমেছে। ইনফ্লেশন ইনসাইটস এলএলসি-এর প্রেসিডেন্ট ওমর শরীফ জানিয়েছেন, যদি অটোমোবাইল বাদ দেওয়া হয়, তাহলে জুনে মূল পণ্যের দাম 0.55% বেড়েছে—যা 2021 সালের নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ মাসিক বৃদ্ধি। তবে মুদ্রাস্ফীতির অনেক সূচক প্রত্যাশার নিচে আসায় প্রশ্ন উঠছে যে ট্রাম্পের শুল্কগুলো কতটা বিস্তৃতভাবে ভোক্তা পণ্যের দামে প্রভাব ফেলবে। কিছু কোম্পানি আগেভাগে পণ্য মজুদ করে বা লাভের পরিমাণ কমিয়ে দাম বাড়ার চাপ থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে পেরেছে। জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিষেবার মূল্য 0.3% বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিষেবা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে আবাসন খাত, তবে হোটেল ভাড়া কমার ফলে আবাসন খরচের বৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ফেড যেসব পরিষেবা সূচক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তার মধ্যে একটি — যেটি আবাসন ও জ্বালানি বাদ দিয়ে পরিমাপ করা হয় — জুনে 0.2% বেড়েছে, যার পেছনে হাসপাতাল পরিষেবা খরচের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে। তবুও, ফেড সুদের হার কমাতে বিলম্ব করতে পারে—এই আশঙ্কা কারেন্সি মার্কেটে প্রতিফলিত হয়েছে, যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের দরপতন ঘটেছে। EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3IM2Asl
-
ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টর ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/404916391.jpg[/IMG]
গতকাল, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি শিগগিরই ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন—যা মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতন ঘটিয়েছে, আর মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হয়েছে। মঙ্গলবার পিটসবার্গে এআই সম্মেলনে যোগ দিয়ে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, "সম্ভবত, আমরা চলতি মাসের শেষে স্বল্প হারে শুল্ক আরোপ দিয়ে শুরু করব এবং ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এক বছরের মতো সময় দেব, এরপর শুল্ক অনেক বেশি হবে।" তিনি আরও জানান, সেমিকন্ডাক্টরের ক্ষেত্রেও সময়সূচি "প্রায় একই রকম" হবে এবং চিপের উপর শুল্ক আরোপ প্রক্রিয়া "সহজতর" করা হবে, যদিও এ নিয়ে তিনি অতিরিক্ত কোনো তথ্য দেননি। চলতি মাসের শুরুতে এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি আসন্ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তামার ওপর 50% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে শুল্ক 200% পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা করছেন, যেহেতু কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনতে এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই 1962 সালের ট্রেড এক্সপ্যানশন অ্যাক্টের সেকশন 232-এর আওতায় ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের আমদানি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এ ধরনের মাত্রায় শুল্ক আরোপ করা হলে এলি লিলি অ্যান্ড কো, মার্ক অ্যান্ড কো, ও ফাইজার ইনকর্পোরেটেডের মতো ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে, যাদের উৎপাদন কার্যক্রম বিদেশে — ফলে আমেরিকান ভোক্তাদের ওষুধের দাম বেড়ে যেতে পারে। ট্রাম্প প্রস্তাবিত সেমিকন্ডাক্টর পণ্যে শুল্কের ক্ষেত্রেও একই ঝুঁকি বিদ্যমান রয়েছে, যা কেবল চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানই নয়, অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের মতো স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স কো.-এর মতো জনপ্রিয় ল্যাপটপ ও স্মার্টফোন নির্মাতাদেরও প্রভাবিত করতে পারে। পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, যদি শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে বিদেশে উৎপাদন—যা এতদিন উৎপাদন খরচ কমাতে সাহায্য করেছে—ততটা কার্যকর থাকবে না, যার প্রভাব পড়বে মূল্য নির্ধারণ কৌশল ও মার্কিন ভোক্তাদের ওষুধের ক্রয়ক্ষমতার ওপর। কোম্পানিগুলো বাড়তি খরচ নিজেরা বহন করবে নাকি তা সরাসরি গ্রাহকের ওপর চাপিয়ে দেবে—তা এখনো স্পষ্ট নয়। মার্কিন মূল্যস্ফীতির সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে তাদের কিছু বাড়তি খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই প্রবণতা কতদূর গড়াবে। সেমিকন্ডাক্টর খাতেও একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কেবল চিপ নির্মাতাদেরই নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনে ইলেকট্রনিকস ব্যবহার করা ভোক্তাদেরও প্রভাবিত করতে পারে। অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের দাম বাড়লে, চাহিদা কমে যেতে পারে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। গতকাল ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন যে, তিনি ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে এক চুক্তিতে পৌঁছেছেন যাতে পূর্ব ঘোষিত 32% শুল্ক কমিয়ে 19%-এ আনা হবে। চুক্তির অংশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে $15 বিলিয়ন মূল্যের জ্বালানি পণ্য, $4.5 বিলিয়ন মূল্যের কৃষিপণ্য এবং 50টি বোয়িং কো. বিমানের অর্ডার দিতে সম্মত হয়েছে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি শুল্ক আরোপ কার্যকর হওয়ার আগেই—যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা—"দুই বা তিনটি" দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করতে পারেন এবং ভারতের সঙ্গে চুক্তিকে সবচেয়ে সম্ভাব্য বলে উল্লেখ করেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা—যাদে ওপর সম্ভাব্য 30% শুল্ক আরোপ হতে পারে—এই সপ্তাহেই মার্কিন আলোচকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল দৃশ্যপট অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যের 1.1625 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই 1.1660-এর লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1690-এর দিকে একটি মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এই মুভমেন্ট হওয়া বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1720 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যা, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয়তা আশা করা যায়। সেখানে ক্রয়ের আগ্রহ না দেখা গেলে, 1.1550-এর লেভেল টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1495 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমেই 1.3420-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করতে হবে। কেবল তখনই তারা মূল্যকে 1.3464-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যেটি অতিক্রম করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3500 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3375 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচে নেমে গেলে সেটি ক্রেতাদের জন্য তা বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3335 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে , এবং এমনকি মূল্য 1.3290-এও পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4nY8CGM