-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2115413119.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ ওপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার এই লেভেলের টেস্ট হওয়ার সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যার ফলে এই পেয়ারের সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় এবং পেয়ারটির মূল্য 30 পয়েন্ট হ্রাস পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক, যা মূলত মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক, 0.2% বেড়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বেশি। একইসাথে, মার্কিন আয় ও ব্যয়ের প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতির চাপ দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যা ডলারের চাহিদা হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও PCE সূচক পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য বেশি এসেছে, সামগ্রিক চিত্রে এটি ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতির হ্রাসের দিকেই ইঙ্গিত করছে। আজ মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতিগুলোর ভোক্তা চাহিদা ও মুদ্রাস্ফীতিকে প্রতিফলিত করা সূচকের দিকে মনোযোগ দেবেন। ফ্রান্স ও জার্মানিতে প্রকাশিতব্য ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেবে। বিশ্লেষকরা এই প্রতিবেদনগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন যাতে বোঝা যায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। পূর্বাভাস থেকে প্রকৃত ফলাফলের যেকোনো বিচ্যুতি মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, আজ ইউরোজোনের বেসরকারি খাতের ঋণগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সূচকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলোর দ্বারা গৃহীত ঋণের পরিমাণ প্রতিফলিত করে এবং এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। ঋণগ্রহণের পরিমাণ বাড়লে তা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের প্রসার ও ভোক্তাদের আস্থার বৃদ্ধি নির্দেশ করতে পারে, অন্যদিকে সূচকটি হ্রাস পেলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। সম্মিলিতভাবে, এই সকল প্রতিবেদন ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবে এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সহায়তা করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2011596384.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1795-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1746-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1795-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1712-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1746 এবং 1.1795-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1712-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1650-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1746-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1712 এবং 1.1650-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nwEW3e
-
পহেলা জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1806931846.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এটি সম্ভবত অবাক করার মতো কিছু নয়, যদিও দিনের সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইউরোর দর বৃদ্ধির পরিবর্তে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। জার্মানিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক 2%-এ নেমে এসেছে, যা প্রত্যাশার বিপরীত ফলাফল, এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ট্রেডারদের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি পরিমাণে কমেছে। তবুও, দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য একটি শক্তিশালী সাইডওয়েজ রেঞ্জে আটকে ছিল এবং দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় যা পরবর্তীতে বজায় ছিল। এটি আবারও প্রমাণ করে যে, মার্কেটে বর্তমানে কেউই কোনো পরিস্থিতিতেই ডলার কিনতে আগ্রহী নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডলারের দরপতনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বা স্থানীয় কারণের প্রয়োজন নেই। গতকাল নতুন করে ডলার বিক্রির জন্য কোনো উদ্দীপক ছিল না, তবে আসল কারণ গত পাঁচ মাস ধরেই বিদ্যমান—ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই দরপতনের জন্য যথেষ্ট।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/918881619.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়ায় বাউন্স করেছিল, তবে মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থার মধ্যে থাকায় এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ২০ পিপস হ্রাস পেয়েছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়া ব্রেক করে উপরের দিকে উঠে যায়, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করে। আজ সকালে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1802 এর নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ১-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনেও এটি চলমান থাকবে। ডলারের স্থিতিশীল দরপতনের মূল কারণ হলো, ট্রাম্প এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি ট্রাম্প সম্পর্কিত কোনো নতুন সংবাদ না থাকলেও, এই তথ্যটিই ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি, এবং ট্রাম্প ও ফেডারেল রিজার্ভের মধ্যকার দ্বন্দ্ব—সবই ডলারের উপর আস্থা কমিয়ে দিয়েছে—এবং এর বাইরে আর কোনো কারণের প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার, সম্ভবত EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এটি ঘটতে হলে, কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1800-এর লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যাওয়া প্রয়োজন। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1802, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইসাথে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিবেদন প্রকাশেরও কথা রয়েছে। ইউরোজোনে একাধিক মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনও থাকবে। এছাড়া, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ভাষণ দেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ISM ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/240711397.jpg[/IMG]
Read more: https://ifxpr.com/4kiMqUz
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/405369732.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1800-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি। এই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা এই পেয়ারের বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ দেয়; তবে, এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়, কারণ ইউরোর দরপতন চলমান ছিল। গতকালের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ডলারের জন্য সহায়ক ছিল। ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান পাওয়েল বলেন যে ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান বাণিজ্যনীতি এখনো সুদের হার কমানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেনি—এটিও ডলারের দর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। আজ আমরা ইউরোজোনের বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যের প্রত্যাশা করছি। এই প্রতিবেদন ও ইভেন্ট এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তীব্রভাবে বাড়াতে পারে। বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইউরোপীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বা সম্ভাব্য দুর্বলতা প্রতিফলিত করে। বেকারত্বের হার কমলে এটি ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি আস্থা বাড়াতে পারে এবং ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে। লাগার্দের ভাষণে যদি আর্থিক নীতিমালা নিয়ে আলোকপাত করা হয়—তাহলে এটি ট্রেডারদের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবে। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্য গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবে, যাতে সুদের হার পরিবর্তনের সম্ভাব্য সংকেত খুঁজে পাওয়া যায়। যদি ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে ইসিবি মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দেয়, তবে EUR/USD পেয়ারের দরপতন হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1579645737.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1859-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1811-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1859-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1789-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1811 এবং 1.1859-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1789-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1742-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1811-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1789 এবং 1.1742-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3I7yu2t
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুলাই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/156969200.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1759-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। ADP রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতে 33,000 জন লোক চাকরি হারিয়েছে। এই তথ্যই মার্কিন ডলারের দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ইউরোকে শক্তিশালী করে তোলে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পতন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আরও জোরদার করেছে, যা সম্ভবত ফেডারেল রিজার্ভকে নিকট ভবিষ্যতে পুনরায় সুদের হার কমাতে প্ররোচিত করতে পারে। মূলত ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মসংস্থান হ্রাসের প্রবণতা দেখা গেছে, যা পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ADP থেকে নেতিবাচক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও, এগুলো সবসময় শ্রমবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরিভাবে প্রতিফলিত করে না। মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রায়শই ADP থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তুলনায় ভিন্ন হয়। এই অফিসিয়াল প্রতিবেদন আজ প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং দিনের দ্বিতীয়ার্ধের পূর্বাভাসে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এদিকে, ইউরোপীয় সেশনের সময় ইউরোজোন দেশগুলোর পরিষেবা খাত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যবিবরণীও প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এগুলো ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিতে পারে। PMI সূচকগুলো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রধান শিল্পখাতে ক্রয় ব্যবস্থাপকদের মনোভাব প্রতিফলিত করে। অন্যদিকে, ইসিবির মিনিট বা কার্যবিবরণী ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত ধারণা দেবে। ইসিবির মূল্যস্ফীতি ঝুঁকি ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়নের ওপর বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1832-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1801-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1832-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1785-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1801 এবং 1.1832-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1785-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1754-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1801-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1785 এবং 1.1754-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/44wyYGP