-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2115413119.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ ওপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার এই লেভেলের টেস্ট হওয়ার সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যার ফলে এই পেয়ারের সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় এবং পেয়ারটির মূল্য 30 পয়েন্ট হ্রাস পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক, যা মূলত মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক, 0.2% বেড়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বেশি। একইসাথে, মার্কিন আয় ও ব্যয়ের প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতির চাপ দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যা ডলারের চাহিদা হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও PCE সূচক পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য বেশি এসেছে, সামগ্রিক চিত্রে এটি ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতির হ্রাসের দিকেই ইঙ্গিত করছে। আজ মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতিগুলোর ভোক্তা চাহিদা ও মুদ্রাস্ফীতিকে প্রতিফলিত করা সূচকের দিকে মনোযোগ দেবেন। ফ্রান্স ও জার্মানিতে প্রকাশিতব্য ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেবে। বিশ্লেষকরা এই প্রতিবেদনগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন যাতে বোঝা যায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। পূর্বাভাস থেকে প্রকৃত ফলাফলের যেকোনো বিচ্যুতি মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, আজ ইউরোজোনের বেসরকারি খাতের ঋণগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সূচকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলোর দ্বারা গৃহীত ঋণের পরিমাণ প্রতিফলিত করে এবং এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। ঋণগ্রহণের পরিমাণ বাড়লে তা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের প্রসার ও ভোক্তাদের আস্থার বৃদ্ধি নির্দেশ করতে পারে, অন্যদিকে সূচকটি হ্রাস পেলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। সম্মিলিতভাবে, এই সকল প্রতিবেদন ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবে এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সহায়তা করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2011596384.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1795-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1746-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1795-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1712-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1746 এবং 1.1795-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1712-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1650-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1746-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1712 এবং 1.1650-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nwEW3e
-
পহেলা জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1806931846.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এটি সম্ভবত অবাক করার মতো কিছু নয়, যদিও দিনের সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইউরোর দর বৃদ্ধির পরিবর্তে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। জার্মানিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক 2%-এ নেমে এসেছে, যা প্রত্যাশার বিপরীত ফলাফল, এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ট্রেডারদের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি পরিমাণে কমেছে। তবুও, দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য একটি শক্তিশালী সাইডওয়েজ রেঞ্জে আটকে ছিল এবং দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় যা পরবর্তীতে বজায় ছিল। এটি আবারও প্রমাণ করে যে, মার্কেটে বর্তমানে কেউই কোনো পরিস্থিতিতেই ডলার কিনতে আগ্রহী নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডলারের দরপতনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বা স্থানীয় কারণের প্রয়োজন নেই। গতকাল নতুন করে ডলার বিক্রির জন্য কোনো উদ্দীপক ছিল না, তবে আসল কারণ গত পাঁচ মাস ধরেই বিদ্যমান—ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই দরপতনের জন্য যথেষ্ট।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/918881619.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়ায় বাউন্স করেছিল, তবে মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থার মধ্যে থাকায় এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ২০ পিপস হ্রাস পেয়েছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়া ব্রেক করে উপরের দিকে উঠে যায়, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করে। আজ সকালে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1802 এর নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ১-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনেও এটি চলমান থাকবে। ডলারের স্থিতিশীল দরপতনের মূল কারণ হলো, ট্রাম্প এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি ট্রাম্প সম্পর্কিত কোনো নতুন সংবাদ না থাকলেও, এই তথ্যটিই ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি, এবং ট্রাম্প ও ফেডারেল রিজার্ভের মধ্যকার দ্বন্দ্ব—সবই ডলারের উপর আস্থা কমিয়ে দিয়েছে—এবং এর বাইরে আর কোনো কারণের প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার, সম্ভবত EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এটি ঘটতে হলে, কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1800-এর লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যাওয়া প্রয়োজন। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1802, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইসাথে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিবেদন প্রকাশেরও কথা রয়েছে। ইউরোজোনে একাধিক মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনও থাকবে। এছাড়া, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ভাষণ দেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ISM ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/240711397.jpg[/IMG]
Read more: https://ifxpr.com/4kiMqUz
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/405369732.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1800-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি। এই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা এই পেয়ারের বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ দেয়; তবে, এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়, কারণ ইউরোর দরপতন চলমান ছিল। গতকালের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ডলারের জন্য সহায়ক ছিল। ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান পাওয়েল বলেন যে ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান বাণিজ্যনীতি এখনো সুদের হার কমানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেনি—এটিও ডলারের দর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। আজ আমরা ইউরোজোনের বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যের প্রত্যাশা করছি। এই প্রতিবেদন ও ইভেন্ট এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তীব্রভাবে বাড়াতে পারে। বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইউরোপীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বা সম্ভাব্য দুর্বলতা প্রতিফলিত করে। বেকারত্বের হার কমলে এটি ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি আস্থা বাড়াতে পারে এবং ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে। লাগার্দের ভাষণে যদি আর্থিক নীতিমালা নিয়ে আলোকপাত করা হয়—তাহলে এটি ট্রেডারদের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবে। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্য গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবে, যাতে সুদের হার পরিবর্তনের সম্ভাব্য সংকেত খুঁজে পাওয়া যায়। যদি ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে ইসিবি মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দেয়, তবে EUR/USD পেয়ারের দরপতন হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1579645737.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1859-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1811-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1859-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1789-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1811 এবং 1.1859-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1789-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1742-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1811-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1789 এবং 1.1742-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3I7yu2t
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুলাই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/156969200.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1759-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। ADP রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতে 33,000 জন লোক চাকরি হারিয়েছে। এই তথ্যই মার্কিন ডলারের দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ইউরোকে শক্তিশালী করে তোলে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পতন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আরও জোরদার করেছে, যা সম্ভবত ফেডারেল রিজার্ভকে নিকট ভবিষ্যতে পুনরায় সুদের হার কমাতে প্ররোচিত করতে পারে। মূলত ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মসংস্থান হ্রাসের প্রবণতা দেখা গেছে, যা পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ADP থেকে নেতিবাচক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও, এগুলো সবসময় শ্রমবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরিভাবে প্রতিফলিত করে না। মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রায়শই ADP থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তুলনায় ভিন্ন হয়। এই অফিসিয়াল প্রতিবেদন আজ প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং দিনের দ্বিতীয়ার্ধের পূর্বাভাসে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এদিকে, ইউরোপীয় সেশনের সময় ইউরোজোন দেশগুলোর পরিষেবা খাত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যবিবরণীও প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এগুলো ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিতে পারে। PMI সূচকগুলো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রধান শিল্পখাতে ক্রয় ব্যবস্থাপকদের মনোভাব প্রতিফলিত করে। অন্যদিকে, ইসিবির মিনিট বা কার্যবিবরণী ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত ধারণা দেবে। ইসিবির মূল্যস্ফীতি ঝুঁকি ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়নের ওপর বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1832-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1801-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1832-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1785-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1801 এবং 1.1832-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1785-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1754-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1801-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1785 এবং 1.1754-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/44wyYGP
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1525391529.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1778-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। তবুও, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক ভালো এসেছিল, যার ফলে এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.1724 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে যায়। সেই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেয়ার ক্রয় করার ফলে মার্কেট থেকে অতিরিক্ত 30 পিপস মুনাফা করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার 4.1%-এ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, ননফার্ম পেরোল সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও ইতিবাচক আসায়, মার্কেটে আবারও মার্কিন ডলারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিতে উৎসাহিত হয়ে বিনিয়োগকারীরা ঐতিহ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিক্রি করে ডলারে মূলধন স্থানান্তর করা শুরু করে। শ্রমবাজার পরিসংখ্যানের এই ইতিবাচক ফলাফল স্বল্পমেয়াদে ডলারের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে, যেহেতু ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হারে পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে "অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের" নীতিই ধরে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন এবং ভোক্তা ব্যয়সংক্রান্ত সূচকগুলোর দিকে দৃষ্টি থাকবে। প্রথমেই জার্মানি ও ফ্রান্সের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শিল্পপণ্যের চাহাবাহার পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটায় — এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এরপর প্রকাশিত হবে ইতালির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান, যা ভোক্তা কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। সকালের সেশন শেষ হবে ইউরোজোনের উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশের মাধ্যমে, যা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত পণ্যের মূল্যের পরিবর্তন তুলে ধরে এবং মূল্যস্ফীতি সূচকের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়। ইউরোজোনের উৎপাদক মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি ভবিষ্যতে ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সামগ্রিকভাবে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের প্রতি এর সহনশীলতার মূল্যায়নে সহায়ক হবে। ফলাফলসমূহ ইউরোর বিনিময় হারকে প্রভাবিত করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/302866152.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1822-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1787-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1822-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1765-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1787 এবং 1.1822-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1765-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1728-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1787-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1765 এবং 1.1728-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3Ib6MSo
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৭ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1570165138.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1787-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশ সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করিনি। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের ছুটির কারণে ট্রেডিং ভলিউম অত্যন্ত ছিল, যা মার্কেটকে প্রভাবিত করেছে। বর্তমানে ট্রেডাররা মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে, যদিও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই সেইসব বাণিজ্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, যারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছায়নি, যা আলোচনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পক্ষের ওপর চাপ তৈরি করেছে। মার্কিন পক্ষ তাদের কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। বাণিজ্য বিধিনিষেধ নমনীয় করার এবং ইউরোপীয় বাজারে মার্কিন পণ্যের প্রবেশাধিকার দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা কিছু ইইউ দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে, কারণ তারা তাদের জাতীয় অর্থনীতি ও উৎপাদকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আলোচনার গতি এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে। আজ সকালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জার্মানির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ইউরোজোনের সেন্টিক্স বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংক্রান্ত সূচক, এবং সেইসাথে ইউরোজোনের মে মাসের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল নিঃসন্দেহে মার্কেটে প্রভাব ফেলবে এবং ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামা ঘটাতে পারে। জার্মানির শিল্প উৎপাদনের ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে, যা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইসিবিকে আরও সতর্ক মুদ্রানীতি গ্রহণে প্রণোদিত করতে পারে। সেন্টিক্স সূচক একটি নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক সূচক, যা স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে। এই সূচকের পতন ঘটলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশাবাদী মনোভাব এবং বিনিয়োগে হ্রাসের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে, খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল ভোক্তাদের ব্যয়ের অবস্থা প্রতিফলিত করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সবশেষে, জোয়াকিম নাগেলের বক্তব্যও গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হবে, কারণ এতে ইসিবির ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেখা যেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1128954276.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1822-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1787-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1822-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1763-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1787 এবং 1.1822-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1763-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1728-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1787-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1763 এবং 1.1728-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4krLz43
-
EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা ৮ জুলাই, ২০২৫
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1777620991.jpg[/IMG]
সোমবার সারাদিনই নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে, যদিও ডলারের শক্তিশালী হওয়ার পেছনে বাস্তব কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না বললেই চলে। স্মরণ করিয়ে দিই, সপ্তাহান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ঘোষণা করেছেন যে "কালো তালিকাভুক্ত" সব দেশের ওপর শিগগিরই শুল্ক বাড়ানো হবে, অন্যদিকে ওলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি "আমেরিকান পার্টি" গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার লক্ষ্য হবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় দলের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করা। ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির ইচ্ছা এখন নতুন কিছু নয়। বিশ্ববাসী ইতোমধ্যেই তাঁর কৌশল ভালোভাবে বুঝে গেছে: প্রথমে তিনি হুমকি দেন, চূড়ান্ত শর্ত এবং দাবি আরোপ করেন। প্রতিপক্ষ যদি তাঁর শর্তে রাজি হয়, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। না হলে, আরও হুমকি দেন এবং অবশেষে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপ করেন। সুতরাং আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এখন আর অপ্রত্যাশিত কোনো বিষয় নয়। সোমবার ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছিল, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা উচিত? আমরা বহুবার বলেছি, ডলার মাঝে মাঝে শুধু প্রফিট টেকিং বা লং পজিশন ক্লোজ কারণে শক্তিশালী হতে পারে। কিন্তু ডলারের মূল্যের টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা অবাস্তব। গত সপ্তাহেই মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যার মধ্যে এমন প্রতিবেদনও ছিল যা জুলাই বা সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমিয়েছে। তাহলে কি এতে ডলার খুব একটা উপকৃত হয়েছে? অতএব, আপনি যদি দেখেন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় এটি কেবল শর্ট পজিশনের প্রফিট টেকিং এর ফলাফল—তার বেশি কিছু নয়। বিশেষ করে যেহেতু ঘোষিত শুল্ক বৃদ্ধিগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদিও কালকেই ৯ জুলাই, এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তিনটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, তবুও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ হিসেবি পদক্ষেপ নিয়েছেন: তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব দেশ ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে—কিন্তু তা কার্যকর হবে পহেলা আগস্ট থেকে। অর্থাৎ, পরাজয়ের বাস্তবতা স্বীকার করে, ট্রাম্প আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশগুলোকে অতিরিক্ত সময় দিয়েছেন। এর মানে কী? ট্রাম্প সরাসরি শুল্ক বাতিল করতে পারেন না। আবার স্বীকারও করতে পারেন না যে তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, অন্তত আংশিকভাবে। 75টি দেশের মধ্যে মাত্র 3টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে—এমন অবস্থায় তাঁর আরও সময় দেয়া দরকার ছিল, কিন্তু সেটা দুর্বলতা প্রকাশ না করেই। কারণ উচ্চ আমদানি শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও ইতিবাচক নয়, কারণ তা মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় এবং নিম্ন-আয়ের জনগণের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করে। আর মাস্কের সম্ভাব্য রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন থেকে যায়—এই অসন্তুষ্ট ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে সমর্থন করবে? অতএব, বলা যায় যে ট্রাম্প "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" বাড়িয়েছেন এবং আগামী তিন সপ্তাহে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ বাড়াবেন, আরও কার্যকর চুক্তির দাবি জানাবেন। সামনে নতুন হুমকিও আসতে পারে।
অস্থিরতার মাত্রা এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের পর্যালোচনা গত ৫ দিনের ট্রেডিংয়ে (৮ জুলাই পর্যন্ত) EUR/USD-এর মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা ছিল 73 পয়েন্ট, যা "মাঝারি" মাত্রার হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা মঙ্গলবার 1.1623 থেকে 1.1770 এর মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করছি। সিনিয়র লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা এখনো বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। CCI ইনডিকেটর ওভারবট জোনে প্রবেশ করেছে এবং একাধিক বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে। তবে, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে এই সংকেতগুলো সাধারণত রিভার্সাল নয়, বরং শুধুমাত্র কারেকশনের ইঙ্গিত দেয়। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.1597 S2 – 1.1475 S3 – 1.1353 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.1719 R2 – 1.1841 R3 – 1.1963
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির দ্বারা মার্কিন ডলার প্রবলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। এছাড়াও, মার্কেটের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী আগত প্রতিবেদনের ফলাফল ভুলভাবে বিশ্লেষণ করছে অথবা উপেক্ষা করছে, যার ফলে ডলারের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। আমরা এখনো মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ডলার কেনার ব্যাপারে চরম অনীহা দেখছি, তা যে পরিস্থিতিতেই হোক না কেন। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে থাকে, তাহলে মূল্যের 1.1623-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা কম। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের ওপরে থাকে, তবে চলমান প্রবণতার ধারাবাহিকতায় মূল্যের 1.1841-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4nQZ54e
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৯ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1563652539.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732-এর লেভেল টেস্ট করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়বার মতো 1.1732-এর লেভেলের টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়, কিন্তু এর পরেও এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়। গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কঠোর শুল্ক নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ইচ্ছার কথা জানান, যা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ডলারকে সমর্থন দেয়। ট্রাম্প কিছু দেশকে—যেখানে সম্ভবত ইইউ-ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—শুল্ক ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দেন, যার ফলে ইউরো তৎক্ষণাৎ দরপতনের সম্মুখীন হয়। আজ, দিনের প্রথমার্ধে, ইউরো চাপের মধ্যে থাকতে পারে, কারণ ইউরোজোনে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির ইঙ্গিত খুঁজতে ট্রেডাররা তার বক্তব্য সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তাঁর মন্তব্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত প্রতিফলিত হলে সেটি ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে, অন্যদিকে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত ইউরোর ওপর চাপ আরও বৃদ্ধি করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/767171237.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1764-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1726-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1764-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1698-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1726 এবং 1.1764-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1698-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1654-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের বিক্রয়ের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1726-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1698 এবং 1.1654-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3IhIxSE
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1849002240.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1698-এর লেভেলটি টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। দিনের বাকি সময়ে আমি আর কোনো সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট দেখতে পাইনি। বুধবার এই পেয়ারের মূল্য চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করা অবস্থায়ই দৈনিক ট্রেডিং শেষ হয়েছে, কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হয়নি। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC)-র সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের নতুন কোনো তথ্য দেয়নি, যদিও এতে ফেডের সদস্যদের মধ্যে সুদের হারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিদ্যমান মতানৈক্যের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কমিটির কিছু সদস্য অব্যাহত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও মন্থর হওয়ায় কঠোর মুদ্রানীতি ধরে রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে, কিছু সদস্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বর্তমানে উচ্চ সুদের হার ইতোমধ্যেই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ও বিনিয়োগে চাপ সৃষ্টি করছে, এবং আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হলে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলতে পারে। আজ মূলত জার্মানির জুন মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং ইতালির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর ট্রেডারদের দৃষ্টি থাকবে। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা থাকায়, এটি ইউরোকে তেমনভাবে শক্তিশালী করবে না। তবে পূর্বাভাসের তুলনায় যেকোনো বিচ্যুতি স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামার কারণ হতে পারে। জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি এলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক অবস্থান নিতে পারে। ইতালির শিল্প উৎপাদন দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হওয়ার ইঙ্গিত দেবে, যা ইউরোর জন্য ইতিবাচক। বিপরীতে, উৎপাদন কমে গেলে সেটি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার বার্তা দেবে এবং ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবুও, এই প্রতিবেদনের গুলোর সামগ্রিক প্রভাব ইউরোর উপর সীমিত থাকবেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি এবং ইউরোজোনের অর্থনীতির সার্বিক অবস্থাই ইউরোর উপর বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি আগের মতোই পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1775-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1746-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1775-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1729-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1746 এবং 1.1775-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1729-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1705-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1746-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1729 এবং 1.1705-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/406h2BC
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১১ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1072306799.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র জিরো লাইনের নিচের দিকে যাওয়া শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1725-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। যা ইউরোর শর্ট এন্ট্রির বৈধতা নিশ্চিত করে এবং 40 পয়েন্টেরও বেশি দরপতনের দিকে নিয়ে যায়। যেসব দেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, তাদের উপর অতিরিক্ত 35% শুল্ক আরোপের হুমকি মার্কিন ডলারকে সমর্থন দিয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলো, যার মধ্যে ইউরোও রয়েছে, তীব্রভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ, ইউরোজোনজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকলেও, জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি থাকবে। বিনিয়োগকারীরা জার্মানির পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) এবং ফ্রান্সের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে লক্ষ্য রাখছে, কারণ এই দুই প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর ভবিষ্যৎ মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। ঐতিহ্যগতভাবে, জার্মানির পাইকারি মূল্য সূচককে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসে একটি নেতৃস্থানীয় সূচক হিসেবে দেখা হয়, কারণ পাইকারি মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি শেষ পর্যন্ত ভোক্তা মূল্য সূচকেও প্রতিফলিত হতে পারে। বিপরীতে, পাইকারি মূল্য সূচকের পতন মুদ্রাস্ফীতির চাপ দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে এবং ভোক্তা মূল্য সূচকের সম্ভাব্য হ্রাস নির্দেশ করতে পারে। পরবর্তীতে, ফ্রান্সের ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রকাশিত হবে। এই সূচকটি পরিবারের দ্বারা কেনা পণ্য ও সেবার দামের পরিবর্তন প্রতিফলিত করে। CPI বৃদ্ধি পেলে সেটি ইসিবি সুদের হারে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে প্ররোচিত করতে পারে, অন্যদিকে CPI হ্রাস পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান নীতি বজায় রাখা বা তা আরও শিথিল করার দিকে এগোতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব। বাই সিগন্যাল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1889804185.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1744-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1694-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1744-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1670-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1694 এবং 1.1744-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1670-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1616-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1694-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1670 এবং 1.1616-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/40cZBiM