-
১৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/965688067.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও, এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক কিছুটা দৃষ্টি পাওয়ার মতো, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বাকি সময়ে ট্রেডাররা কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতির উপর নির্ভর করতে পারে, যিনি হয়তো নতুন করে শুল্ক আরোপ বা জেরোম পাওয়েলকে পুনরায় বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে আরেক দফা ঝড় তুলতে পারেন। ইউরোজোন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে একেবারেই কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ভাষণ নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা অনেকবার বলেছি যে, তাদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে এবং ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই তা বুঝে ফেলেছে। এখনও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের সুস্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়ে সন্দেহও রয়েছে, আর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতেও শুল্ক বাড়িয়েছেন। এই নিরুৎসাহজনক মৌলিক প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলার সক্রিয়ভাবে শক্তিশালী হয়েছে, যা মৌলিক পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার নতুন তরঙ্গ শুরু হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1042187853.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ার খুব ধীর গতিতে ট্রেড করতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে তা শেষ হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের গঠিত হয়েছে এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। ইউরোর মূল্য 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বর্তমান নিম্নমুখী মুভমেন্টের সমাপ্তির সংকেত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4kOQsV3
-
২১ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1084819573.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্যই, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে শুল্ক সংক্রান্ত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা "জেরোম পাওয়েলকে আবারও বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে হঠাৎ করে মার্কেটে ঝড় সৃষ্টি করতে পারেন। তবে, এ ধরনের ঘটনাগুলো পূর্বানুমান করা সম্ভব নয়। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এখনো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মৌলিক দিক থেকেও সোমবার কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিনিধির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে, বর্তমানে তাদের মন্তব্যের প্রভাব খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা অনুসরণ করছে এবং এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পুরোপুরি পরিষ্কার। এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের বিষয় রয়ে গেছে এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বেশ জটিল, কারণ ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার মধ্যে একটি চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে পুনরায় শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনাগ্রহী, একই সঙ্গে তিনি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্কও বাড়িয়েছেন। এই নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—যা মৌলিক প্রেক্ষাপটের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রস্তুতি নিচ্ছি। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট না থাকায়, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুব ধীরগতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে এটি শেষ হতে পারে। উভয় পেয়ারের চার্টে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে এবং সেগুলো ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। ইউরোর মূল্য ইতোমধ্যে 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বিয়ারিশ প্রবণতা শেষ হওয়ার একটি প্রাথমিক সতর্ক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/46Ppqte
-
২২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/283815311.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। সুতরাং, সারাদিন ধরেই মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে নতুন কোনো শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বা "জেরোম পাওয়েলকে আবার বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে আবারও আলোচনার মূল কেন্দ্রে উঠে আসতে পারেন। তবে এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। গতকাল উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সেগুলোর ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনালগ্নে রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/620040966.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে পাওয়েলের ভাষণ অবশ্যই আলাদা গুরুত্ব বহন করে। তবে এটি আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কিত কোনো সংকেতের কারণে নয়, বরং ফেডারেল রিজার্ভের পুনর্গঠন বাজেট সংক্রান্ত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ট্রেডারদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পাওয়েল পূর্বে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে ট্রাম্প যে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণেই ফেডের চেয়ারম্যানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন, তা স্পষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে, এবং এর সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি এখনও ডলার এবং সামগ্রিক কারেন্সি মার্কেটের জন্য একটি মুখ্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে এবং এটি আরও কিছুদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই, আমরা প্রতিদিন একই জিনিস বলছি দেখে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি জটিলই রয়ে গেছে, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান আলোচনার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন—যার মধ্যে একটি আবার প্রশ্নবিদ্ধ। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো সেইসব দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনিচ্ছুক। পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্যের উল্লেখযোগ্যভাবে কারেকশন হয়ে, তাই এখন আমরা আশা করছি যে হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হবে বলে । উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, শুধুমাত্র একটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই মন্থর ট্রেডিং হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর মানে অবশ্য এই নয় যে আজ ইউরো ও পাউন্ডের দরপতন হতে পারবে না, তবে এটি নির্দেশ করে যে নিকট ভবিষ্যতে আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4l1DovK
-
২৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1337643327.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—তবে এটি মার্কেটে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে, দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার মধ্য দিয়ে রেঞ্জ-বাউন্ড ট্রেডিং দেখা যেতে পারে। আবারও দৃষ্টি যাচ্ছে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের দিকে, কারণ তখন সাধারণত ইউরোপীয় সেশনের তুলনায় বেশি সক্রিয় ও গতিময় মুভমেন্ট দেখা যায়। উল্লেখযোগ্য যে, মার্কেটে এখনও ডলার বিক্রির পক্ষে একাধিক কারণ রয়েছে। তাই ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু না থাকলেও মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বক্তব্য প্রদান করেছেন, তবে এতে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে আসেনি। পাওয়েল পদত্যাগ করেননি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি, এবং মুদ্রানীতির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। বাণিজ্যযুদ্ধই এখনও মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে, এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আগামী আরও কিছুদিন মার্কিন ডলারের উপর প্রভাব ফেলতে থাকবে। তাই যদি প্রতিদিন আমরা একই ধরনের ব্যাখ্যা প্রদান করি, তা দেখে বিস্ময়ের কিছু নেই—কারণ সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এখনও জটিল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাম্প গত সাড়ে চার মাস ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেইসব দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী নয়। একইসঙ্গে, তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের আমদানির উপর শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। এই নতুন শুল্কগুলো এখনো বাজারমূল্যে প্রতিফলিত হয়নি, কারণ ট্রেডাররা মূলত টেকনিক্যাল কারেকশন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের অনুপস্থিতির কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যের টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, ফলে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ইউরোর জন্য মূল বিবেচ্য এরিয়া হলো 1.1740–1.1745 এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3518–1.3532।
Read more: https://ifxpr.com/3IIyGp1
-
২৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1593937950.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এগুলোর ধরন অনেকটাই একরকম। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—যেকোনো সূচকের ফলাফল যদি পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সূচকগুলোকে ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না—বিশেষ করে তখন, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলার টানা ছয় মাস ধরে দরপতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/677538514.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রথমত, আজ ইসিবির পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ইসিবি মূল সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে দিলেও ইউরোর দর স্থায়ীভাবে বাড়ছে। অর্থাৎ, বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতির সঙ্গে ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের তেমন কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই, ইসিবি কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে—তবে সেই প্রতিক্রিয়া সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না, কারণ গত ছয় মাস ধরে মার্কেটে ইউরোর মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। মার্কেটের ট্রেডারদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিবেচিত হচ্ছে। এবং এখনো এর অবসানের কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আরও দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল্যের মূল অনুঘটক হিসেবে রয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। তাই যদি আমরা প্রতিদিন একই বার্তার পুনরাবৃত্তি করছি, সেটি দেখে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র তিনটি দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—তাও এর একটি প্রশ্নবিদ্ধ— ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশেষ করে যেসব দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তাদের উপর। একইসঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো এই নতুন শুল্কগুলোর প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করতে পারেনি, কারণ এই সময়টায় মার্কেটে টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমরা আশা করছি যে সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি চলমান থাকবে। ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 জোন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ইতোমধ্যে ব্রেক করা হয়েছে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া হলো 1.3574–1.3590।
Read more: https://ifxpr.com/4lV16uw
-
২৫ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1147159991.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও, প্রতিটি প্রতিবেদনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে—যা দিনের সবচেয়ে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন। এর বিপরীতে, যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকের দুর্বল ফলাফলের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের আংশিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছিল; আজকেও একই রকম পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে—সেটি হচ্ছে ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই ধরনের পণ্য সাধারণত উচ্চ মূল্যের হয়ে থাকে, তাই এটি ভোক্তাদের আস্থা ও মনোভাবের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের একটি নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলো বাস্তবিক অর্থে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। আগেও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির প্রাসঙ্গিকতা একদম কমে এসেছে—প্রথমত, একমাত্র মার্কিন ডলারই ধারাবাহিকভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থানের ব্যাপারে এখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুরোপুরি ধারণা রয়েছে। তাই, কোনো হঠাৎ অবস্থাকনের পরিবর্তন বা নীতিগত পালাবদলের সম্ভাবনা নেই, যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য এখন আর বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারছে না। এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং এর সমাধানের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়টি সম্ভবত দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল অনুঘটক হয়ে থাকবে। তাই প্রতিদিন একই কথার পুনরাবৃত্তি করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন—এর মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে আবার ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতে নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে ট্রেডাররা এখনো এই নতুন সব শুল্ককে সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করেনি, কারণ সম্প্রতি টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD ও GBP/USD—উভয় পেয়ারের মূল্যের আবার ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তাই আমরা আশা করছি সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/40zZwFY