-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৪ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1576681729.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1678-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, — যা ইউরো বিক্রি করার একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের দরপতন ঘটেনি, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লোকসান গুনতে হয়েছে। সপ্তাহান্তে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর 30% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কারেন্সি মার্কেটকে প্রভাবিত করে। ইউরো তীব্র চাপের মুখে পড়ে, বিপরীতে ডলার সমর্থন পায় এবং শক্তিশালী হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের জন্ম দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন, এই পদক্ষেপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে একটি পূর্ণমাত্রার বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা করতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্রাসেলস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, যদি মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়, তাহলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। আগামী দিনগুলোতে বাণিজ্য সংক্রান্ত এই বিরোধ সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনা থেকেই নির্ধারিত হবে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক ব্লকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের দিকনির্দেশনা। আজ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, এবং ইউরোগ্রুপের বৈঠকই প্রধান মনোযোগের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেখানে মার্কিন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই ইস্যুটিই স্বল্পমেয়াদে ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1262971395.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1717-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1672-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1717-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1651-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1672 এবং 1.1717-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1651-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1610-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1672-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1651 এবং 1.1610-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nI4g6x
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাল্টা শুল্কের দ্বিতীয় তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/493296716.jpg[/IMG]
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্কের দ্বিতীয় তালিকা চূড়ান্ত করেছে, যার মোট পরিমাণ 72 বিলিয়ন ইউরো। এই পদক্ষেপটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নেয়া হয়েছে, যা ইউরোপীয় স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক এবং গাড়ির ওপর সম্ভাব্য শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ থেকে শুরু হয়েছিল। ব্রাসেলসের সূত্রমতে, নতুন তালিকায় কৃষিপণ্য ও টেক্সটাইল থেকে শুরু করে শিল্পপণ্য এবং হাইটেক যন্ত্রপাতিসহ বিস্তৃত পরিসরের পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে মার্কিন অর্থনীতির ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা, বিশেষত দেশটির সেইসকল অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর যারা মার্কিন প্রশাসনের সুরক্ষাবাদী নীতিকে সমর্থন করে। একই সঙ্গে ইইউ জোর দিয়ে বলছে, তারা এখনও সংলাপ ও আপসের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, "ইউরোপ ভয় পাবে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।" এই পাল্টা শুল্ক 1 আগস্ট থেকে কার্যকর হতে পারে এবং বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সবচেয়ে সংবেদনশীল পণ্যের তালিকায় রয়েছে বোয়িং কোম্পানির বিমান, গাড়ি এবং বার্বন হুইস্কি। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, রাসায়নিক ও প্লাস্টিকসামগ্রী, চিকিৎসা সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, মদ এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। সম্পূর্ণ তালিকাটি ইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তুত করা 206 পৃষ্ঠার একটি নথিতে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে, তালিকাটিতে 95 বিলিয়ন ইউরো মূল্যের মার্কিন পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে এটি হ্রাস করা হয়েছে। তবে এই তালিকা কার্যকর করতে এখনও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। এই পদক্ষেপ ইইউ-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বে অধিকাংশ পণ্যের ওপর 25% পাল্টা শুল্ক এবং গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর অতিরিক্ত 25% শুল্ক আরোপ করেছিলেন। আলোচনার সুযোগ দিতে সাধারণ শুল্কহার সাময়িকভাবে 10%-এ নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহের শেষে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইইউ যদি 1 আগস্টের মধ্যে কোনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে সব পণ্যের ওপর শুল্ক 30%-এ উন্নীত করা হবে। সপ্তাহান্তে, ইইউ ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথম তালিকাভুক্ত 21 বিলিয়ন ইউরো মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছিল। ইইউ-এর নতুন শুল্কের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত মার্কিন শিল্পপণ্যের মূল্য 65 বিলিয়ন ইউরোরও বেশি, যার মধ্যে প্রধানত বিমান (প্রায় 11 বিলিয়ন ইউরো), যন্ত্রপাতি (9.4 বিলিয়ন ইউরোরও বেশি) এবং গাড়ি (প্রায় 8 বিলিয়ন ইউরো) রয়েছে। শুল্কের আওতায় থাকা মার্কিন কৃষি ও খাদ্যপণ্যের পরিমাণ 6 বিলিয়ন ইউরোর বেশি, যার মধ্যে ফল ও শাকসবজি (প্রায় 2 বিলিয়ন ইউরো) এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় (1.2 বিলিয়ন ইউরো) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিস্তৃত এই প্যাকেজে আরও রয়েছে সুনির্দিষ্ট যন্ত্রপাতি (প্রায় 5 বিলিয়ন ইউরো), খেলনা ও শখের সামগ্রী (500 মিলিয়ন ইউরোর বেশি), স্পোর্টিং ফায়ারআর্মস (প্রায় 300 মিলিয়ন ইউরো) এবং বাদ্যযন্ত্র (প্রায় 200 মিলিয়ন ইউরো)। যদি মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে, তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের ওপর—বিশেষত ইউরোর ওপর—চাপ আরও বেড়ে যেতে পারে। বর্তমানে EUR/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1700 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার হলেই 1.1720-এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1750 লেভেলে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1790-এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1660 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। সেখানে যদি ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1625-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত দরপতনের জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে অথবা 1.1595 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। বর্তমানে GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3455-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.3490-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, যদিও মূল্যের ওই লেভেলের ওপরে উঠা পারা কঠিন হবে। বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3530-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3410-এর লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3375-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং আরও দরপতনের ক্ষেত্রে মূল্যের 1.3346 লেভেলের দিকে ধাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/452NjMx
-
১৬ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/585066698.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই GBP/USD কারেন্সি পেয়ারেরও তীব্র দরপতন ঘটেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের মাত্রা ইউরোর তুলনায় বেশি ছিল; তবে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের ক্ষেত্রেই মূল্যের মুভমেন্ট এখনো একটি বিস্তৃত টেকনিক্যাল কারেকশনের মধ্যেই রয়েছে, যা হায়ার টাইমফ্রেমগুলোতে বিশেষভাবে দৃশ্যমান। ফলে, আমরা মনে করি না যে ট্রেডারদের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না, যার ফলে গত পাঁচ মাস ধরে ডলার দুর্বল হয়েছে। যদি এখন কোনো অলৌকিক উপায়ে মার্কিন কারেন্সির দর বৃদ্ধি পায়, তবে সেটি কেবল একটি বিষয়ই নির্দেশ করে—ট্রেডাররা ডলার বিক্রি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এবং এখন কেবল মুনাফা গ্রহণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ট্রেডাররা EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের লং পজিশন ক্লোজ করছে, যার ফলে ইউরো ও পাউন্ডের চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ফলস্বরূপ ডলারের দর পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার মাত্র একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। 1.3458 একটি নতুন লেভেল, যা পূর্ববর্তী বিশ্লেষণের অংশ ছিল না। মার্কিন সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, যার ফলে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পায়। তবে, এই দরপতন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পেয়ারের এই দরপতন নিছক একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ বিদ্যমান নেই। তবুও, ট্রেডাররা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেও ট্রেড করতে পারে, এবং এখন আমরা সেটাই দেখছি। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেট করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য কোনো টেকনিক্যাল ভিত্তি নেই। বুধবার GBP/USD পেয়ারের আরও দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে ট্রেডারদের উচিত মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক মৌলিক উপাদানগুলো বিবেচনায় নেওয়া, কারণ সেগুলো এখনো স্পষ্টভাবে মার্কিন ডলারকে কোনো সমর্থন প্রদান করছে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3458, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। বুধবার যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের তুলনায় এটি ট্রেডারদের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ, তথাপি সকালের দিকেই এই প্রতিবেদনের প্রভাবে একটি অস্থির মুভমেন্ট দেখা দিতে পারে। গতকাল যেমনটা দেখা গেছে, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সবসময় একরকম হয় না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/202502935.jpg[/IMG]
Read more: https://ifxpr.com/3ItRhoR
-
স্বর্ণের (XAU/USD) ট্রেডিং সিগন্যাল (১৭-২১ জুলাই, ২০২৫)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1351107893.jpg[/IMG]
মূল্য $3,329 (200 EMA - 5/8 মারে) এর উপরে থাকা অবস্থায় স্বর্ণ ক্রয় করা যেতে পারে।
স্বর্ণ বর্তমানে 3,335 এর আশেপাশে ট্রেড করছে, যেখানে 3,320 এর সর্বনিম্ন এবং গতকাল মার্কিন সেশনে 3,377 এর সর্বোচ্চ লেভেল থেকে রিবাউন্ড করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাওয়েলকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার পরই স্বর্ণের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। H4 চার্ট অনুযায়ী, স্বর্ণের মূল্য এখন আপট্রেন্ড চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করছে এবং আসন্ন ঘণ্টাগুলোতে 3,329 এ অবস্থিত 200 EMA-র আশেপাশে একটি টেকনিক্যাল রিবাউন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অথবা স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেলের বটম প্রান্ত 3,310 পর্যন্তও নেমে আসতে পারে। সম্ভাব্যভাবে আগামী দিনগুলোতে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে এবং মূল্য 3,398 লেভেলের 7/8 মারে লেভেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা আপট্রেন্ড চ্যানেলের টপ লেভেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেল তীব্রভাবে ব্রেক নিম্নমুখী হয়, তাহলে আমরা 3/8 মারে সাপোর্ট 3,242 লেভেলের দিকে একটি শক্তিশালী দরপতন দেখতে পারি। আগামী কয়েক দিনে স্বর্ণের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ঈগল ইন্ডিকেটর একটি পজিটিভ সিগন্যাল দেখাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে যেকোনো টেকনিক্যাল রিবাউন্ডকে ক্রয় অব্যাহত রাখার সুযোগ হিসেবে দেখা হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3GQUwGb
-
১৮ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1487895486.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের খুবই সীমিত মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও, আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, মার্কেট বর্তমানে নিজের নিয়মে চলছে। সপ্তাহের শুরুতে আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি যে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও ডলারের মূল্য শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে, জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার গুজবের পর মার্কেটে 'ঝড়' সৃষ্টি হয়েছে, এবং ব্রিটিশ বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রতি ট্রেডাররা সম্পূর্ণভাবে উদাসীন ছিল। তাই, আমরা এখনও মনে করি যে, এই পেয়ারের সাম্প্রতিক দরপতন কেবলমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন। কেন এটি হওয়া প্রয়োজন? যাতে বিনিয়োগকারীরা—বি েষ করে মার্কেট মেকাররা—লং পজিশন থেকে কিছু প্রফিট গ্রহণ করতে পারে এবং নতুন লং পজিশন গঠন শুরু করতে পারে। আমাদের মতে, "2025 সালের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা" চলতে থাকবে। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি স্বল্পমেয়াদে ট্রেন্ড রিভার্সালের ইঙ্গিত দেবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 জোন থেকে দুইবার রিবাউন্ড করে, কিন্তু কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট শুরু করতে ব্যর্থ হয়। এই পেয়ার 1.3413–1.3421-এর উপরে কনসোলিডেটও করতে পারেনি। ফলে, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারেন, কিন্তু এর ফলে লাভ বা লোকসান কিছুই হয়নি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/775760423.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পেয়ারের এই দরপতন নিছক একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ বিদ্যমান নেই। তবুও, ট্রেডাররা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেও ট্রেড করতে পারে, এবং এখন আমরা সেটাই দেখছি। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেট করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য কোনো টেকনিক্যাল ভিত্তি তৈরি হবে না। শুক্রবার আবারও GBP/USD পেয়ারের দরপতন হতে পারে, কারণ সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে এমন কোনো শক্তিশালী অনুঘটক নেই যা মার্কেটে বুলিশ বা বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি করবে—যদি না, অবশ্যই, ট্রাম্প আবার নতুন শুল্ক ঘোষণা করেন বা "বিশবারের মতো পাওয়েলকে বরখাস্ত করেন।" ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3458, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক। যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, তবে এই সূচকের প্রভাবে মার্কেটে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
Read more: https://ifxpr.com/4kJ2v68
-
২১ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/964305252.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করার পর ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। দিনের শেষ নাগাদ এই পেয়ারের মূল্য 1.1666 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভে; এবং ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। তবে, সপ্তাহের শেষে ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যকে এই দুটি বাধা অতিক্রম করাতে ব্যর্থ হয়। শুক্রবারের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচকের কথা উল্লেখ করা যায়, যা জুলাই মাসে 61.8-এ পৌঁছেছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য বেশি। একই সময়ে, মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা বেড়ে যায়, তবে আমাদের মতে, ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন এবং শক্তিশালী 1.1666 লেভেলটি ডলারের দরপতন প্রতিরোধ করতে বড় ভূমিকা পালন করেছে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং নতুন সপ্তাহে মূল্যের কমপক্ষে 1.1563 লেভেলে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়ে গেছে। মার্কিন ডলারের দর শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা ওপর ভিত্তি করে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারের পক্ষে নেই। ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ওপরে মূল্যের কনসোলিডেশন ঘটলে, ডলারের মূল্যের তিন সপ্তাহব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তির ইঙ্গিত পাওয়া যাবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1485964749.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, ইউরোর মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া টেস্ট করে এবং সেখান থেকে তীব্রভাবে রিবাউন্ড করে। এতে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়, যার ফলে পেয়ারটির মূল্য 20–25 পিপস হ্রাস পায়। এই ট্রেডিং সিগন্যালটি এড়িয়ে যাওয়া যেত, কারণ এটি মার্কেটে লেনদেন শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তৈরি হয়েছিল। তবে, যদি নতুন ট্রেডাররা এটি অনুসরণ করতেন, তাহলে তারা সামান্য লাভ করতে পারতেন। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের হচ্ছে; তবে এটি সামগ্রিক ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে প্রভাবিত করছে না। আমরা মনে করি না যে ডলারের দীর্ঘমেয়াদি দরপতন শেষ হয়েছে। মার্কিন ডলার ছয় মাস ধরে দরপতনের মধ্যে রয়েছে এবং কেবল কয়েক সপ্তাহ ধরে কারেকশন শুরু হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে, তাই এখনই মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যাশা করা যৌক্তিক নয়। সোমবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য আবার 1.1563 লেভেলের দিকে মুভমেন্ট শুরু করতে পারে, কারণ মূল্য ট্রেন্ডলাইন কিংবা 1.1666-এর রেজিস্ট্যান্স কোনোটিই ব্রেক করতে পারেনি। তবে, আমরা মনে করি বর্তমান নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ করার একটি নতুন প্রচেষ্টার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে যখন বর্তমান মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডলারের মূল্যের স্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে গুরুতর অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। সোমবার ইউরোজোন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। যদি না ট্রাম্প মার্কেটে আরেকটি "ঝড়" সৃষ্টি করেন, আমরা সারাদিন জুড়ে এই পেয়ারের মূল্যের শান্ত মুভমেন্ট এবং স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার প্রত্যাশা করছি।
Read more: https://ifxpr.com/3GYtRY5
-
২২ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1212126193.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার, সম্ভবত EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তিন সপ্তাহব্যাপী চলমান নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে। মনে করিয়ে দিই, অন্তত গত দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যাপক পরিমাণ প্রতিবেদন এসেছে, যা আমেরিকান কারেন্সি শক্তিশালী হওয়ার পক্ষে কোনো যৌক্তিকতা দেয়নি। বিশেষ করে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ফেডারেল রিজার্ভের ভবন পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে জেরোম পাওয়েলকে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং ১ আগস্ট থেকে নতুন হারে শুল্ক কার্যকর হতে চলেছে। তদুপরি, গত তিন সপ্তাহে কোনো বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়নি। অতএব, ডলারের দর বৃদ্ধির পেছনে কোনো মৌলিক ভিত্তি ছিল না। একই সঙ্গে, আমরা আগেও একাধিকবার উল্লেখ করেছি, এমন নেতিবাচক মৌলিক প্রেক্ষাপটেও বিনিয়োগকারীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডলার বিক্রি করতে পারে না। আমরা যা দেখেছি, তা ছিল নিছকই একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, যা এখন যৌক্তিকভাবে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সোমবার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—কোথ ও কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল না, শুধু ট্রাম্প আবারও ইইউ থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর সম্ভাব্যভাবে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1345659545.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন সেশনের শুরুতেই এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ব্রেক করে উপরের দিকে প্রায় 40–50 পিপস অগ্রসর হয়। সিগন্যালটি খুবই স্পষ্ট ছিল, এবং নতুন ট্রেডাররাও সহজেই এটি বুঝে শান্তিপূর্ণ "সোমবারে" মুনাফা করতে পারত। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সম্ভবত তিন সপ্তাহ ধরে চলা কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু ট্রাম্পের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং পাওয়েল ও বাণিজ্য যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়েছে, তাই মাঝারি মেয়াদে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার এখনও কোনো ভিত্তি নেই। ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করা হয়েছে, ফলে ইউরোর মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ 1.1666 এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল এবং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখনো এমন প্রতিবেদন আসছে যা বিনিয়োগকারীদের ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করছে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার কেবল একটিমাত্র মাঝারি গুরুত্বসম্পন্ন ইভেন্ট নির্ধারিত আছে: ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের আশা করছি না, তবে পাওয়েল তাঁর বিরুদ্ধে আনা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলতে পারেন।
Read more: https://ifxpr.com/4o26uO8
-
EUR/USD: ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1851746786.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে যাওয়া শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1693-এর লেভেল টেস্ট করেছিল —যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য মাত্র 10 পিপস কমে যায়, তারপর আবার ইউরোর চাহিদা ফিরে আসে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন না হওয়ায় ইউরো আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পাওয়েলের সম্ভাব্য পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা মার্কিন ডলারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। আজ ইউরোজোন থেকে একমাত্র প্রতিবেদন হিসেবে কনজ্যুমার কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে কোনো বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে, মার্কেটে হঠাৎ রিভার্সাল ঘটার প্রবণতা দেখা যায়—বিশেষ করে যখন পরিস্থিতি শান্ত মনে হয়। যদিও এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ সূচক নয়, তারপরও ভোক্তাদের আস্থার ফলাফল মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। যদি এই পরিসংখ্যানের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে নেতিহাচক হয়, তাহলে এটি ইউরো বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এবং কারেকশন শুরু হতে পারে। তাছাড়া, বাহ্যিক প্রভাবগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনা আগামী দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। দৈনিক কৌশলের হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1794-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1749-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1794 point-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1725-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1749 এবং 1.1794-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/72919693.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1725-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1684-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1749-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1725 এবং 1.1684-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/44Jp3Pv
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৪ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/22582697.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1723-এর লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। 1.1723-এর লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ দেয় এবং এর ফলস্বরূপ এই পেয়ারের মূল্য 35 পয়েন্টেরও বেশি ঊর্ধ্বমুখী হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান আবাসন বিক্রয়ের বড় ধরনের পতন ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার ফলে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। মার্কিন আবাসন বাজার বিশেষত সেকেন্ডারি মার্কেটে সক্রিয় কার্যক্রমের পতন সাধারণত একটি মন্দার ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে, বিনিয়োগকারীরা নেতিবাচক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস নিয়ে শঙ্কিত হয়ে ডলার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিয়ে অন্যান্য মুদ্রায় স্থানান্তর করেন, যার ফলে ডলারের দর ও বিনিয়োগের আকর্ষণ উভয়ই কমে যায়। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) আসন্ন বৈঠকের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যেখানে মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা হবে। এরপর ক্রিস্টিন লাগার্ডের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিতব্য প্রেস কনফারেন্সটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশ্লেষকরা একমত যে ইসিবি বক্তব্য—বিশেষ করে ভবিষ্যতে আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণ বিষয়ক দিকনির্দেশনা—ইউর র বিনিময় হারের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। যদি ইসিবি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে সুদের হার কমানোর চক্রের সমাপ্তি ঘটেছে, তবে তা ইউরোর মূল্যের আরও একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। অন্যথায়, ইউরোর চাহিদা কমে যেতে পারে। এছাড়াও, আজ ইউরোজোনে জুলাই মাসের উৎপাদন সংক্রান্ত PMI, পরিষেবা সংক্রান্ত PMI এবং কম্পোজিট PMI প্রকাশিত হবে। এগুলো ইউরোজোনের অর্থনীতির প্রধান সূচক এবং ইউরোর মূল্যে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। উৎপাদন সংক্রান্ত PMI শিল্প উৎপাদনের প্রবণতা নির্দেশ করে, পরিষেবা সংক্রান্ত PMI পরিষেবা খাতের অবস্থা তুলে ধরে, আর কম্পোজিট PMI দুই খাতের ফলাফল একত্র করে ইউরোজোনের অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে। এই সূচকগুলোর বৃদ্ধি সাধারণত অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধির ইতিবাচক সংকেত হিসেবে ধরা হয়। এই ক্ষেত্রে, বিনিয়োগকারীরা ইউরো ক্রয় করে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। তবে PMI-এর পতন অর্থনৈতিক মন্দা বা প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির ইঙ্গিত দিতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের ইউরো বিক্রির দিকে নিয়ে যাবে, কারণ তারা মনে করতে পারেন ইসিবিকে অর্থনীতিকে প্রণোদনা দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে হতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/262580435.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1819-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1785-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1819-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1756-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1785 এবং 1.1819-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1756-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1725-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। ইসিবির বৈঠকের পর এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1785-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1756 এবং 1.1725-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি। চার্টে কী আছে:
Read more: https://ifxpr.com/46r6zVd
-
২৫ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/913815992.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য কোনো মুভমেন্ট দেখা যায়নি এবং সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হওয়া সত্ত্বেও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার মধ্যেই এই পেয়ারের মূল্য স্থবির ছিল। এদিন জার্মানি, ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক (PMI) প্রকাশিত হয়; তবে সেগুলোর ফলাফল উল্লেখযোগ্য ছিল না, তাই এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বা সামগ্রিক প্রবণতায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠকও ট্রেডারদের মনোভাবে তেমন কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি, কারণ ইসিবি কোনো উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং বৈঠক-পরবর্তী চূড়ান্ত বিবৃতিতেও কোনো তাৎপর্যপূর্ণ বা মার্কেটে ব্যাপক মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বক্তব্য ছিল না। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পেয়ারের মূল্য রাতভর অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটির নিচে কনসোলিডেশন করে। তবে আমরা মনে করি, এই পরিস্থিতিকে সতর্কতার সঙ্গে মূল্যায়ন করা উচিত। গতকাল এই পেয়ারের মূল্য কার্যত একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে ছিল। এবং যখন মূল্য রেঞ্জের ভেতর থাকে, তখন সিগনালগুলো অনেক সময় ভুল বলে প্রমাণিত হয়। এই মুহূর্তে আমরা এটি বলতে পারছি না যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনের শুরুতেই—যখন ইসিবি বৈঠকের ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছিল—এই পেয়ারের মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়া থেকে কিছুটা উপরে বাউন্স করে, যদিও সেটি খুব একটা নির্ভুল বাউন্স ছিল না। আমরা এই সিগনালকে সঠিক মনে করি না, কারণ এটি ইসিবির বৈঠকের ফলাফল ঘোষণার সময় গঠিত হয়েছিল—যে সময় হঠাৎ ও আবেগতাড়িতভাবে মুভমেন্টের দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের তিন সপ্তাহব্যাপী কারেকশন সম্ভবত শেষ হয়েছে। যেহেতু সম্প্রতি ট্রাম্পের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং পাওয়েলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ও বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে, তাই মাঝারি মেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই মুহূর্তে আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তির ঘটেছে বলে মনে করছি না। শুক্রবার, পুনরায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, এবং আমরা নতুন ট্রেডারদের পরামর্শ দেব 1.1740–1.1745 এরিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে। আজকের সেশনেও এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জে থাকতে পারে, কারণ আজও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই এবং সাম্প্রতিক সময়ে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা দেখা যায়নি। তবুও, 1.1740–1.1745 এর আশপাশে বাই ও সেল—দুই ধরনের ট্রেড সিগনাল গঠিত হতে পারে। 5 মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। শুক্রবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3IIBr9T