-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৪ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1576681729.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1678-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, — যা ইউরো বিক্রি করার একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের দরপতন ঘটেনি, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লোকসান গুনতে হয়েছে। সপ্তাহান্তে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর 30% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কারেন্সি মার্কেটকে প্রভাবিত করে। ইউরো তীব্র চাপের মুখে পড়ে, বিপরীতে ডলার সমর্থন পায় এবং শক্তিশালী হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও উদ্বেগের জন্ম দেয়। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন, এই পদক্ষেপটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে একটি পূর্ণমাত্রার বাণিজ্যযুদ্ধের সূচনা করতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্রাসেলস ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, যদি মার্কিন শুল্ক কার্যকর হয়, তাহলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত। আগামী দিনগুলোতে বাণিজ্য সংক্রান্ত এই বিরোধ সমাধানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র প্রতিনিধি দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আলোচনা থেকেই নির্ধারিত হবে বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনৈতিক ব্লকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের দিকনির্দেশনা। আজ খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, এবং ইউরোগ্রুপের বৈঠকই প্রধান মনোযোগের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেখানে মার্কিন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা ব্যবস্থা এবং ভবিষ্যৎ বাণিজ্যিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এই ইস্যুটিই স্বল্পমেয়াদে ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা রাখবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1262971395.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1717-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1672-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1717-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1651-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1672 এবং 1.1717-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1651-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1610-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1672-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1651 এবং 1.1610-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nI4g6x
-
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাল্টা শুল্কের দ্বিতীয় তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/493296716.jpg[/IMG]
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্কের দ্বিতীয় তালিকা চূড়ান্ত করেছে, যার মোট পরিমাণ 72 বিলিয়ন ইউরো। এই পদক্ষেপটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষিতে নেয়া হয়েছে, যা ইউরোপীয় স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক এবং গাড়ির ওপর সম্ভাব্য শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ থেকে শুরু হয়েছিল। ব্রাসেলসের সূত্রমতে, নতুন তালিকায় কৃষিপণ্য ও টেক্সটাইল থেকে শুরু করে শিল্পপণ্য এবং হাইটেক যন্ত্রপাতিসহ বিস্তৃত পরিসরের পণ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হচ্ছে মার্কিন অর্থনীতির ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা, বিশেষত দেশটির সেইসকল অঙ্গরাজ্যগুলোর ওপর যারা মার্কিন প্রশাসনের সুরক্ষাবাদী নীতিকে সমর্থন করে। একই সঙ্গে ইইউ জোর দিয়ে বলছে, তারা এখনও সংলাপ ও আপসের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেছেন, "ইউরোপ ভয় পাবে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।" এই পাল্টা শুল্ক 1 আগস্ট থেকে কার্যকর হতে পারে এবং বাণিজ্য যুদ্ধকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সবচেয়ে সংবেদনশীল পণ্যের তালিকায় রয়েছে বোয়িং কোম্পানির বিমান, গাড়ি এবং বার্বন হুইস্কি। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, রাসায়নিক ও প্লাস্টিকসামগ্রী, চিকিৎসা সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, মদ এবং অন্যান্য কৃষিপণ্যের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। সম্পূর্ণ তালিকাটি ইউরোপীয় কমিশনের প্রস্তুত করা 206 পৃষ্ঠার একটি নথিতে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে, তালিকাটিতে 95 বিলিয়ন ইউরো মূল্যের মার্কিন পণ্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে এটি হ্রাস করা হয়েছে। তবে এই তালিকা কার্যকর করতে এখনও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন প্রয়োজন। এই পদক্ষেপ ইইউ-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পূর্বে অধিকাংশ পণ্যের ওপর 25% পাল্টা শুল্ক এবং গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর অতিরিক্ত 25% শুল্ক আরোপ করেছিলেন। আলোচনার সুযোগ দিতে সাধারণ শুল্কহার সাময়িকভাবে 10%-এ নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহের শেষে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইইউ যদি 1 আগস্টের মধ্যে কোনো চুক্তিতে না আসে, তাহলে সব পণ্যের ওপর শুল্ক 30%-এ উন্নীত করা হবে। সপ্তাহান্তে, ইইউ ঘোষণা করেছে যে তারা প্রথম তালিকাভুক্ত 21 বিলিয়ন ইউরো মূল্যের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক স্থগিতাদেশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা ট্রাম্পের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছিল। ইইউ-এর নতুন শুল্কের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত মার্কিন শিল্পপণ্যের মূল্য 65 বিলিয়ন ইউরোরও বেশি, যার মধ্যে প্রধানত বিমান (প্রায় 11 বিলিয়ন ইউরো), যন্ত্রপাতি (9.4 বিলিয়ন ইউরোরও বেশি) এবং গাড়ি (প্রায় 8 বিলিয়ন ইউরো) রয়েছে। শুল্কের আওতায় থাকা মার্কিন কৃষি ও খাদ্যপণ্যের পরিমাণ 6 বিলিয়ন ইউরোর বেশি, যার মধ্যে ফল ও শাকসবজি (প্রায় 2 বিলিয়ন ইউরো) এবং অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় (1.2 বিলিয়ন ইউরো) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিস্তৃত এই প্যাকেজে আরও রয়েছে সুনির্দিষ্ট যন্ত্রপাতি (প্রায় 5 বিলিয়ন ইউরো), খেলনা ও শখের সামগ্রী (500 মিলিয়ন ইউরোর বেশি), স্পোর্টিং ফায়ারআর্মস (প্রায় 300 মিলিয়ন ইউরো) এবং বাদ্যযন্ত্র (প্রায় 200 মিলিয়ন ইউরো)। যদি মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে, তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের ওপর—বিশেষত ইউরোর ওপর—চাপ আরও বেড়ে যেতে পারে। বর্তমানে EUR/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1700 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার হলেই 1.1720-এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1750 লেভেলে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1790-এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1660 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। সেখানে যদি ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1625-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত দরপতনের জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে অথবা 1.1595 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। বর্তমানে GBP/USD-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3455-এর রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.3490-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, যদিও মূল্যের ওই লেভেলের ওপরে উঠা পারা কঠিন হবে। বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3530-এর লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3410-এর লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3375-এর সর্বনিম্ন লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং আরও দরপতনের ক্ষেত্রে মূল্যের 1.3346 লেভেলের দিকে ধাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/452NjMx
-
১৬ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/585066698.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই GBP/USD কারেন্সি পেয়ারেরও তীব্র দরপতন ঘটেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতনের মাত্রা ইউরোর তুলনায় বেশি ছিল; তবে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের ক্ষেত্রেই মূল্যের মুভমেন্ট এখনো একটি বিস্তৃত টেকনিক্যাল কারেকশনের মধ্যেই রয়েছে, যা হায়ার টাইমফ্রেমগুলোতে বিশেষভাবে দৃশ্যমান। ফলে, আমরা মনে করি না যে ট্রেডারদের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না, যার ফলে গত পাঁচ মাস ধরে ডলার দুর্বল হয়েছে। যদি এখন কোনো অলৌকিক উপায়ে মার্কিন কারেন্সির দর বৃদ্ধি পায়, তবে সেটি কেবল একটি বিষয়ই নির্দেশ করে—ট্রেডাররা ডলার বিক্রি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এবং এখন কেবল মুনাফা গ্রহণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ট্রেডাররা EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের লং পজিশন ক্লোজ করছে, যার ফলে ইউরো ও পাউন্ডের চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে এবং এর ফলস্বরূপ ডলারের দর পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার মাত্র একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। 1.3458 একটি নতুন লেভেল, যা পূর্ববর্তী বিশ্লেষণের অংশ ছিল না। মার্কিন সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, যার ফলে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পায়। তবে, এই দরপতন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পেয়ারের এই দরপতন নিছক একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ বিদ্যমান নেই। তবুও, ট্রেডাররা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেও ট্রেড করতে পারে, এবং এখন আমরা সেটাই দেখছি। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেট করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য কোনো টেকনিক্যাল ভিত্তি নেই। বুধবার GBP/USD পেয়ারের আরও দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে ট্রেডারদের উচিত মার্কেটের সামগ্রিক পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক মৌলিক উপাদানগুলো বিবেচনায় নেওয়া, কারণ সেগুলো এখনো স্পষ্টভাবে মার্কিন ডলারকে কোনো সমর্থন প্রদান করছে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3458, 1.3518–1.3532, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। বুধবার যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের তুলনায় এটি ট্রেডারদের জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ, তথাপি সকালের দিকেই এই প্রতিবেদনের প্রভাবে একটি অস্থির মুভমেন্ট দেখা দিতে পারে। গতকাল যেমনটা দেখা গেছে, অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সবসময় একরকম হয় না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/202502935.jpg[/IMG]
Read more: https://ifxpr.com/3ItRhoR
-
স্বর্ণের (XAU/USD) ট্রেডিং সিগন্যাল (১৭-২১ জুলাই, ২০২৫)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1351107893.jpg[/IMG]
মূল্য $3,329 (200 EMA - 5/8 মারে) এর উপরে থাকা অবস্থায় স্বর্ণ ক্রয় করা যেতে পারে।
স্বর্ণ বর্তমানে 3,335 এর আশেপাশে ট্রেড করছে, যেখানে 3,320 এর সর্বনিম্ন এবং গতকাল মার্কিন সেশনে 3,377 এর সর্বোচ্চ লেভেল থেকে রিবাউন্ড করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাওয়েলকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার পরই স্বর্ণের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যায়। H4 চার্ট অনুযায়ী, স্বর্ণের মূল্য এখন আপট্রেন্ড চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করছে এবং আসন্ন ঘণ্টাগুলোতে 3,329 এ অবস্থিত 200 EMA-র আশেপাশে একটি টেকনিক্যাল রিবাউন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অথবা স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেলের বটম প্রান্ত 3,310 পর্যন্তও নেমে আসতে পারে। সম্ভাব্যভাবে আগামী দিনগুলোতে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে এবং মূল্য 3,398 লেভেলের 7/8 মারে লেভেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা আপট্রেন্ড চ্যানেলের টপ লেভেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেল তীব্রভাবে ব্রেক নিম্নমুখী হয়, তাহলে আমরা 3/8 মারে সাপোর্ট 3,242 লেভেলের দিকে একটি শক্তিশালী দরপতন দেখতে পারি। আগামী কয়েক দিনে স্বর্ণের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ঈগল ইন্ডিকেটর একটি পজিটিভ সিগন্যাল দেখাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে যেকোনো টেকনিক্যাল রিবাউন্ডকে ক্রয় অব্যাহত রাখার সুযোগ হিসেবে দেখা হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3GQUwGb
-
১৮ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1487895486.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের খুবই সীমিত মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও, আগেই যেমনটি বলা হয়েছে, মার্কেট বর্তমানে নিজের নিয়মে চলছে। সপ্তাহের শুরুতে আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি যে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও ডলারের মূল্য শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে, জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার গুজবের পর মার্কেটে 'ঝড়' সৃষ্টি হয়েছে, এবং ব্রিটিশ বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের প্রতি ট্রেডাররা সম্পূর্ণভাবে উদাসীন ছিল। তাই, আমরা এখনও মনে করি যে, এই পেয়ারের সাম্প্রতিক দরপতন কেবলমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন। কেন এটি হওয়া প্রয়োজন? যাতে বিনিয়োগকারীরা—বি েষ করে মার্কেট মেকাররা—লং পজিশন থেকে কিছু প্রফিট গ্রহণ করতে পারে এবং নতুন লং পজিশন গঠন শুরু করতে পারে। আমাদের মতে, "2025 সালের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা" চলতে থাকবে। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি স্বল্পমেয়াদে ট্রেন্ড রিভার্সালের ইঙ্গিত দেবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 জোন থেকে দুইবার রিবাউন্ড করে, কিন্তু কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট শুরু করতে ব্যর্থ হয়। এই পেয়ার 1.3413–1.3421-এর উপরে কনসোলিডেটও করতে পারেনি। ফলে, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারেন, কিন্তু এর ফলে লাভ বা লোকসান কিছুই হয়নি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/775760423.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পেয়ারের এই দরপতন নিছক একটি টেকনিক্যাল কারেকশন, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ বিদ্যমান নেই। তবুও, ট্রেডাররা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেও ট্রেড করতে পারে, এবং এখন আমরা সেটাই দেখছি। যতক্ষণ না মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেট করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত গত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য কোনো টেকনিক্যাল ভিত্তি তৈরি হবে না। শুক্রবার আবারও GBP/USD পেয়ারের দরপতন হতে পারে, কারণ সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে এমন কোনো শক্তিশালী অনুঘটক নেই যা মার্কেটে বুলিশ বা বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি করবে—যদি না, অবশ্যই, ট্রাম্প আবার নতুন শুল্ক ঘোষণা করেন বা "বিশবারের মতো পাওয়েলকে বরখাস্ত করেন।" ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এখন নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3458, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832। শুক্রবার যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হচ্ছে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক। যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, তবে এই সূচকের প্রভাবে মার্কেটে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
Read more: https://ifxpr.com/4kJ2v68