-
ট্রেড করার জন্য শুধুমাত্র নিউজ সাইটের উপর নির্ভরশীল হলে চলবে না নিজের বিচার ক্ষমতাও থাকতে হবে গুলো ব্রোকার পাবে আর আমরা যে ট্রেড ওপেন করি সেখানে কমিশনের কারণে প্রথমে ট্রেড লসে যায় ফরেক্সে খুব ভাল ইমপ্যাক্ট ফেলে এর নিউজ একসাথে নিয়ে যদি আবেগ বাদ দিয়ে ট্রেড করেন তাহলে ইনশাল্লাহ বলা যেতে পারে আপনি ফরেক্স এ কখনই ক্ষতি গ্রস্থ হবেন না অবশ্যই লাভবান হবেন ।কোন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন তার উপর যে এনালাইসিস করা হয় তাই ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস । দেশের অবস্থা কেমন তা সেই দেশের সরকার প্রকাশ করে থাকে । যেমন দেশের বেকার হার কত, চাকরির অবস্থা কেমন । দেশ উন্নতি হচ্ছে কি অবনতি হচ্ছে তা সেই দেশের নিউজ থেকে জানা যায় ।ফরেক্স মার্কেট আমরা লাভ না লস করবো সেটা নির্ভর করে এনালাইসিস এর উপর। আমরা ফরেক্স এ এনালাইসিস করার পূর্বে যে তিনটি অ্যানালিসিস করি সেগুলো প্রত্যেকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারমধ্যে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস, টেকনিক্যাল এনালাইসিস, সেন্টিমেন্টাল এনালাইসিস প্রত্যেকটি একে অপরের সঙ্গে জড়িত। ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস সেই দেশের জিডিপি এর উপর নির্ভর করে। আর জিডিপি নির্ণয় করা হয় সে দেশের রাজনীতি অর্থনীতি জীবনযাত্রার মানের উপর। ট্রেড করার পূর্বে তাই ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করা খুবই জরুরী
-
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস সঠিকভাবে করতে পারলে ফরেক্স মার্কেট থেকে অনেক সহজেই আয় করা সম্ভব।কোন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন তার উপর যে এনালাইসিস করা হয় তাই ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস। দেশের অবস্থা কেমন তা সেই দেশের সরকার প্রকাশ করে থাকে। যেমন দেশের বেকার হার কত, চাকরির অবস্থা কেমন। দেশ উন্নতি হচ্ছে কি অবনতি হচ্ছে তা সেই দেশের নিউজ থেকে জানা যায়। আর এর উপরি বিশেষজ্ঞ গন বিভিন্ন মতামত দিয়ে থাকেন। আর এর উপরি ভিত্তি করে ট্রেডাররা তাদের অবস্থান নির্ধারন করে।মার্কেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়ে থাকে ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস কে। যে যত ভালো ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করতে পারবে সে ফরেক্স থেকে তত আর্নিং করতে পারবে। এজন্য আমরা যে সকল কারেন্সীর উপর ট্রেড করবো তার উপর ফান্ডামেন্টালি নজর রাখতে হবে যাতে করে মার্কেট মুভমেন্টে আমরা লস না করি। ফান্ডামেন্টালি বলতে মুলত একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কি অবস্হায় রয়েছে এই বিষয়টার উপর বিশেষ নজর রাখবো।
-
ব্রোকার হাউজ উভয়েই লাভবান হয়ে থাকি কি দুঃখ কস্ট বা আনন্দের জায়গা?হা, আমার জানামতে ফরেক্সে সুধু আনন্দই নায় কিছু দুঃখ আছে।তবে ধৈরয সহকারে ট্রেড করলে আমরা লাভ করতে পারি। আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন তা হলে দেখবেন আপনি আমি যখন ট্রেড করি সেই সময় ট্রেডের শুরুতেই কিছু লসে ট্রেড ওপেন হয় আর এটি হল ব্রোকার কমিশন যার কারনে লসে ট্রেড ওপেন হয়। আর এই ব্রোকার কমিশনকে আবার সিস্টেম কমিশন বলেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা রাজনৈতিক ইত্তাদির ওপর ভিত্তি করে যে অ্যানালাইসিস করা হয় তাই ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস। কোন দেশের বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভাল হয়, তবে ঐ দেশের কারেন্সি শক্তিশালী হবে। একটি দেশের অর্থনীতি যত ভাল হবে, বিদেশি বিনিয়োগকারিরা তত ঐ দেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। সুতরাং তাদের ঐ দেশের কারেন্সি কিনতে হবে এবং ঐ দেশের কারেন্সির ভ্যালু আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের অরথনিইতিক অবস্থা যদি আরও ভাল হত তবে আরও বিদেশি বিনিয়গকারি এই দেশে বিনিয়োগ করতে ও ব্যবসা সম্প্রসারন করতে আগ্রহী হত। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের টাকার ভ্যালু অনেক বেরে জেত। অন্যান্য কারেন্সির ক্ষেত্রেও একই রকম।
-
//ফরেক্স এ ফান্ডামেন্টাল এর গুরুত্ব অনেক। কোন দেশের ফান্ডামেন্টাল এর উপরই সে দেশের ভবিষ্যত অর্থনীতি নির্ভরশীল। মূলত যাহারা দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেড করে তাহারাই ফান্ডামেন্টল এ্র্যানালাইসিস করে থাকে। দীর্ঘ মেয়াদী ট্রেডের জন্য ফান্ডামেন্টাল এ্যানালইসিসের বিকল্প নাই। আপনি যে ট্রেডারই হোন না কেন আপনাকে অবশ্যই ফান্ডামেন্টাল এ্যানালাইসিস কম বেশি করতে হবে। তা না হলে আপনার এ্যানালাইসিস পরিপূর্ণতা পাবে না।
-
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস হল এক ধরনের বিশ্লেষণ, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে মুদ্রার মান নির্ধারণ করে। এতে মুদ্রাবাজারে প্রভাব ফেলে এমন উপাদান, যেমন - মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, সুদের হার, মোট দেশজ উৎপাদন (gdp) ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা হয়। এই উপাদানগুলো দেখিয়ে দেয় একটি দেশের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল, যা সেই দেশের মুদ্রার উপর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয় এবং সুদের হার বাড়ে, তাহলে সাধারণত সেই দেশের মুদ্রার চাহিদা বাড়ে। ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য উপযোগী, কারণ এটি বাজারের সামগ্রিক চিত্র বুঝতে সাহায্য করে।
-
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস মুদ্রাবাজারে সফলভাবে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বাজারের মূল প্রবণতাগুলি নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। এই বিশ্লেষণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি, সরকারী বাজেট, বাণিজ্য ঘাটতি ও উদ্বৃত্ত, মুদ্রানীতি, এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকে। অর্থনীতির যে কোনো বড় পরিবর্তন, যেমন বেকারত্বের হার বৃদ্ধি বা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মুদ্রার মানে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। তাই, ট্রেডাররা ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস ব্যবহার করে সম্ভাব্য বাজারের ওঠানামা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন। এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি কার্যকরী, তবে ছোট-মেয়াদি ট্রেডাররাও এটি ব্যবহার করতে পারেন যদি তারা বাজারে উল্লেখযোগ্য খবর বা ইভেন্টগুলির প্রতিক্রিয়া দ্রুত ধরতে চান।
-
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে একজন ট্রেডার বুঝতে পারেন কীভাবে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মুদ্রার দামে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি মুদ্রার আন্ডারলাইনিং ভ্যালু বিশ্লেষণ করে এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নির্ধারণে সহায়ক। ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে বড় অর্থনৈতিক সূচকগুলির উপর মনোযোগ দেওয়া হয়, যেমন - মূল্যস্ফীতি, gdp প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য ঘাটতি, বেকারত্বের হার এবং শিল্প উৎপাদন। এসব সূচক পর্যবেক্ষণ করে মুদ্রার ভবিষ্যৎ গতিপথ পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব হয়।
এছাড়াও, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কও মুদ্রার দামে প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা মুদ্রার মান কমিয়ে দিতে পারে। ফলে, ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস ব্যবহারে ট্রেডাররা কৌশলগতভাবে লাভজনক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
-
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে মূলত একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থার মূল্যায়ন করা হয়। এটি বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করে জানতে যে কোনো দেশের মুদ্রা শক্তিশালী হবে কিনা বা দুর্বল হবে কিনা। সাধারণত, যখন একটি দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় থাকে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা থাকে, তখন সেই দেশের মুদ্রার মান বাড়ে। ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য ভালো সুযোগ খুঁজে বের করা যায়।
এই বিশ্লেষণটি ব্যবসায়ীদের বাজারের সংবেদনশীলতাও বুঝতে সাহায্য করে, কারণ বাজারের অনেক পরিবর্তন অর্থনৈতিক ঘটনাগুলির প্রভাবেই ঘটে। উদাহরণস্বরূপ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়ালে সাধারণত মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পায়। তাই, একজন সফল ট্রেডার ফান্ডামেন্টাল এবং টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস একসঙ্গে ব্যবহার করলে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
-
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস মুদ্রাবাজারে দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতা নির্ধারণে অত্যন্ত কার্যকর। এতে মুদ্রার সামগ্রিক মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতে তার বৃদ্ধি বা হ্রাসের সম্ভাব্য কারণগুলো চিহ্নিত করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উৎপাদন শক্তিশালী হয়, তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সেখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে, যা সেই দেশের মুদ্রার চাহিদা বাড়াবে এবং মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের আরেকটি দিক হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভারসাম্য। যদি একটি দেশ বেশি রপ্তানি করে এবং কম আমদানি করে, তাহলে দেশটির মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায়, কারণ অন্যান্য দেশ থেকে সেই মুদ্রায় লেনদেন করতে হয়। ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ট্রেডাররা বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা তাদের সফলভাবে মুদ্রা বাজারে অবস্থান নির্ধারণে সহায়ক।