-
১৮ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1536206736.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে দিনের বেলায় ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না। আমাদের বিশ্বাস, ট্রেন্ডলাইন এবং গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো ব্রেক করতে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বিক্রেতাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডলার অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থানে রয়েছে, এবং ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতের প্রশমনের সম্ভাবনা, পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা—এই দুইটি বিষয়ই ট্রেডারদের মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করতে আরও উৎসাহিত করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/967907585.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠককেই গুরুত্ব দেওয়া যায়, কারণ এগুলো কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যকার চলমান সামরিক সংঘাত সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা মনে করি না যে এই আলোচনা সহজ, সরল বা দ্রুত হবে। সব ধরনের যুদ্ধবিরতির শর্ত আলোচনা এবং সমঝোতায় পৌঁছাতে একটি বৈঠক যথেষ্ট নয়—এর বাইরে আরও বহু বৈঠকের প্রয়োজন হবে। তবুও, এটি সঠিক পথের দিকে একটি পদক্ষেপ। ট্রেডারদের কাছে মূল অগ্রাধিকার হিসেবে এখনও বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে। আমরা মনে করি যে, যেকোনো বাণিজ্যচুক্তিতে যদি শুল্ক বহাল থাকে, তাহলে সেটিও বাণিজ্যযুদ্ধই—শু ুমাত্র "অন্য রূপে।" যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলো লাভজনক। তাই অনুরূপ প্রতিটি নতুন চুক্তি মার্কিন ডলারের সাময়িক দর বৃদ্ধির প্রেরণা জোগাতে পারে। তবে বৈশ্বিক এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়টি মাথায় রাখবে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দৃঢ় দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছিল, তবে মূল্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা সাপোর্ট লাইনে এসে আটকে যায়। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে, এবং তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ডলার বিক্রির জন্য কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না।
Read more: https://ifxpr.com/4mGahz4
-
ইউরোর ইতিবাচক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1347090632.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার যখন ফেডারেল রিজার্ভের আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে – যা আগামী মাস থেকেই শুরু হতে পারে – তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নিং কাউন্সিলের সবচেয়ে বিপ্লবী সদস্য তার পদ ছাড়ার আগে শেষ একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসিবির অন্যতম হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য রবার্ট হোল্ৎসমান, যিনি সুদের হার হ্রাস সংক্রান্ত আলোচনায় কখনো কখনো এককভাবে "না" বলেছেন, তিনি চান বাইরের পর্যবেক্ষকরা যেন নীতিনির্ধারকদের মানসিকতা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন যখন তারা ঋণের খরচ নির্ধারণ করেন। অস্ট্রিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ সাবেক অর্থমন্ত্রী মার্টিন কোশারের কাছে হস্তান্তরের আগে হোল্ৎসমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "যখন আমরা কাজ শুরু করি, সর্বসম্মতি একটি শক্তিশালী ও ইতিবাচক সংকেত, কিন্তু যদি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্পষ্ট না হয় যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, কারণ সব সিদ্ধান্তেই যৌক্তিকতা থাকে, তখন আমি মনে করি সর্বসম্মতি থেকে বিচ্যুতি বিনিয়োগকারীদের বার্তা প্রদান করে।" যখন মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসে, হোল্ৎসমান জুন মাসের সুদের হার কমানোকে সমর্থন করেননি, যা ঋণগ্রহণের খরচ আরও কমাতো। তিনি সুদের হার কমানোর প্রচারণার সময় নেওয়া অন্যান্য পদক্ষেপও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। হোল্ৎসমানের অবস্থান প্রকাশ করে যে তিনি আগেভাগে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অবশ্যই ইতিবাচক সংকেত হলেও, তিনি জোর দিয়েছেন প্রবণতার স্থায়িত্ব নিয়ে সতর্ক মূল্যায়নের ওপর। তার মতে, সুদের হার হ্রাস নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির ঢেউ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে মার্কিন বাণিজ্য নীতি থেকে উদ্ভূত চলমান অনিশ্চয়তার কারণে। জুলাই মাসে ফ্রাঙ্কফুর্টে তার বিদায়ী নৈশভোজে তিনি প্রথম বেশি স্বচ্ছতার আহ্বান জানালেন, যখন ক্রিস্টিন লাগার্দ তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ইসিবি কীভাবে আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে পারে। হোল্ৎসমান বলেছিলেন, "কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্নমত প্রদান করা অন্যদের তুলনায় সহজ। তবে এমন মুহূর্তও এসেছে যখন আমার মতে সর্বসম্মতি থেকে বিচ্যুতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।" এই বিদায়ী পরামর্শই ইসিবির হোল্ৎসমানের ছয় বছরের মেয়াদের ইতি টানল শেষ, যেখানে ৭৬ বছর বয়সী এই নীতিনির্ধারক ইউরোজোনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির উল্লম্ফন মোকাবিলায় গৃহীত নজিরবিহীন সুদের হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রবল সমর্থক ছিলেন। এই বছরে ইসিবির জনবলের বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে, হোল্ৎসমান বলেননি তার জায়গায় হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণকারীদের নেতৃত্ব কে নিতে পারেন। তিনি বলেন, "সাতজন নতুন সদস্য আসছে, আমি ধরে নিতে পারি অন্তত একজন বা দুজন এক্ষেত্রে নেতৃত্ব নিতে পারেন, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আমি জানি অনেকে প্রায়শই আমার মূল বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নয়।" উল্লেখযোগ্য যে ইসিবির হকিশ বা কঠোর অবস্থান সাধারণত ইউরোকে সমর্থন করে, অন্যান্য অ্যাসেটের বিপরীতে এটির মূল্য বৃদ্ধি করে।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1730 লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটি করা হলে 1.1770 লেভেলের টেস্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1790 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1825-এর লেভেল। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে কেবল মূল্য 1.1695 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় আমি উল্লেখযোগ্য ক্রয়চাপের আশা করছি। যদি সেখানে বড় ক্রেতারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1660 লেভেলের টেস্টের জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1635 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা ভালো হবে। GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3555-এ নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই 1.3590 লেভেলে মুভমেন্টের সুযোগ তৈরি করবে, যা ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3615 এরিয়া। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা পুনরায় মূল্যকে 1.3520 লেভেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধাক্কা আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3480-এ নেমে আসবে, যেখানে দরপতন আরও প্রসারিত হয়ে মূল্য 1.3445 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
Read more:https://ifxpr.com/4lTeSgN
-
২০ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/230216749.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার মাত্র দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোজোনে জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হবে। ইউরোপের প্রতিবেদনটির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, তাই এটির ফলাফল ট্রেডারদের প্রভাবিত করবে এমন সম্ভাবনা কার্যত নেই। যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনতির ফলাফল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি পুনরায় মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে ব্রিটিশ কারেন্সির দর বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে স্বল্পমেয়াদে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও হ্রাস পাবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1204890816.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার ওয়ালার এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মনে করিয়ে দিই যে, ফেড সেপ্টেম্বর মাসে মূল সুদের হার কমানোর দিকে এগোচ্ছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে একাধিকবার সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। FOMC কমিটির প্রায় অর্ধেক সদস্য মনে করেন যে ধীরে ধীরে সুদের হার কমানো প্রয়োজন। ফেডের যত বেশি সদস্য নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে, মার্কিন ডলারের পুনরায় দরপতনের সম্ভাবনা ততই বাড়বে। এখনও বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিতে যদি শুল্ক বজায় থাকে, তবে তা মূলত "ভিন্ন মোড়কে" একই বাণিজ্য যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো অবশ্যই লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন এ ধরনের চুক্তি মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে বৈশ্বিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে। এই পরিস্থিতিতে, ডলারের মূল্য শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করবে এমন সম্ভাবনা কম। সম্প্রতি ট্রাম্প নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করেননি, কারণ তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাত সমাধানে ব্যস্ত। তাই এই বিষয়টি কিছুটা নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় ডিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আবারও দুর্বল থাকবে। ইউরোর মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ব্রেক করার পর ধীরগতির নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, অন্যদিকে 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ট্রেড করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3HHZHJ1
-
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/130812187.jpg[/IMG]
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে সুদের হার কমানোর মাত্রা পুনর্বিবেচনা করতে চাপ দিচ্ছে। বুধবার জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.8%-এ পৌঁছেছে, যা জুন মাসের 3.6%-এর তুলনায় বেশি। অর্থনীতিবিদরা দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 3.6%-এ স্থিতিশীল থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। মুদ্রাস্ফীতির এই বৃদ্ধি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের উপর চাপ বাড়িয়ে তুলেছে, যা সুদের হার কমানোর মাত্রা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগামী বছরেই মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসবে বলে আশা করছে, তবে জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির কারণে এই ধারণা জোরদার হয়েছে যে সুদের হার নিয়ে আরও সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে হবে।
আজকের এই ঊর্ধ্বমুখী মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালের জানুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমান ভাড়া, হোটেল এবং জ্বালানির উচ্চমূল্য এই বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে। সেবাখাতের মুদ্রাস্ফীতি—যা মৌলিক মূল্যস্ফীতির অন্যতম প্রধান সূচক—5%-এ পৌঁছেছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের 4.9% পূর্বাভাসকেও অতিক্রম করেছে। এই প্রতিবেদন আরও নিশ্চিত করেছে যে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভস এপ্রিল মাসে যে কর ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করেছিলেন, তার প্রভাব হিসেবে কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত বিলিয়ন পাউন্ডের খরচ ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদক্ষেপ বোধগম্য হলেও, এটি ভোক্তা চাহিদার স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালক। এর ফলাফল স্পষ্ট: বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবারগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে যারা আগে থেকেই আর্থিক চাপের মধ্যে আছে। এর ফলে ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেতে পারে, যা খুচরা বাজারসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। এছাড়া, কর বৃদ্ধির ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির কারণে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি ভোক্তারা আরও মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে, তবে তারা উচ্চ মজুরি দাবি করতে পারে, যা কোম্পানিগুলোকে পুনরায় পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য করবে এবং এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির একটি চক্র সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতিও বেশ দ্রুত বেড়ে 4.9%-এ পৌঁছেছে, যা আগের মাসের 4.5%-এর তুলনায় বেশি এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এই প্রেক্ষাপটে, ৭ আগস্ট ধার্যকৃত সুদের হার প্রত্যাশার তুলনায় কম হারে কমানোর সিদ্ধান্তের পর ট্রেডাররা ভবিষ্যৎ সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা কমিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের পর কিছু নীতিনির্ধারক সতর্ক করেছিলেন যে ভোক্তারা হারানো ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলে মজুরি ও দামের উপর প্রভাব তৈরি হতে পারে। পরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে অর্থনীতি ও শ্রমবাজার প্রত্যাশার চেয়ে ভালোভাবে টিকে আছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রেডাররা নভেম্বর মাসে সুদের হার সম্ভাবনা এক-তৃতীয়াংশ এবং বছরের শেষে সম্ভাবনা মাত্র 50% হিসেবে মূল্যায়ন করেছিল। এই ধরনের ফলাফল রিভস এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্যও ধাক্কা, যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন কর্মজীবী মানুষের জীবনমান উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এখন বরং বাস্তব আয়ের পুনরুদ্ধার স্থবির হয়ে পড়েছে, কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিপরীতে রয়েছে শ্রমবাজারের দুর্বলতা, এবং সমালোচকরা এর জন্য অক্টোবর মাসের কর বৃদ্ধির বাজেটকে দায়ী করছেন।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এ নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে 1.3560-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও এর পর আরও মূল্য বৃদ্ধি সম্ভবত কঠিন হবে। পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3590-এ অবস্থান করছে। দরপতনের, বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3445 পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে 1.3405 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1670 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে, এরপর 1.1700 টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। অন্যদিকে, কেবলমাত্র মূল্য 1.1625-এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় আমি ক্রেতাদের সক্রিয় কার্যক্রম প্রত্যাশা করছি। যদি তারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4mPQXzk
-
শ্রমবাজারের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতিই বড় উদ্বেগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1001468272.jpg[/IMG]
গতকাল ডলারের ফেডের কার্যবিবরণীর দ্বারা প্রায় কোনোভাবেই প্রভাবিত হয়নি, এবং এর পেছনে যৌক্তিক কারণও ছিল। গত মাসের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভের বেশিরভাগ কর্মকর্তারা জোর দিয়েছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বেগকে ছাপিয়ে গেছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার নির্ধারণকারী কমিটির মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। ফেডের জুলাইয়ের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্যের গভীরতা স্পষ্ট হয়েছে। যদিও সবাই একমত ছিলেন যে মার্কিন অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে, তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রমবাজারকে সহায়তা করার সর্বোত্তম উপায় নিয়ে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। ফেডের অনেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় উচ্চস্তরে বজায় থাকতে পারে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাদের যুক্তি ছিল যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার ঝুঁকি অতিরিক্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণের ঝুঁকির চেয়ে বেশি। এই সদস্যরা জোর দিয়ে বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতিকে 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফেরাতে ফেডকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে আরও কিছু সদস্য শ্রমবাজারে উচ্চ সুদের হারের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, কঠোর মুদ্রানীতি ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করেছে এবং বেকারত্বের হার বাড়াচ্ছে। এই সদস্যরা সতর্কভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে ছিলেন এবং অতিরিক্ত কঠোর আর্থিক নীতিমালার ঝুঁকি বিবেচনা করার পরামর্শ দেন। তাদের মতে, শ্রমবাজার এখনো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে এবং উচ্চ সুদের হারে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য যে এই বৈঠকের পরপরই ফেডের কয়েকজন সদস্য তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। তাদের আরও নমনীয় অবস্থান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে। গত মাসে নীতিনির্ধারকেরা সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে 4.25%–4.50%-এর মধ্যে রাখেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম ছয় মাসে মন্থর অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মধ্যে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাড়তি অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। সে সময় শ্রমবাজারকে "সহনশীল" বলা হলেও মুদ্রাস্ফীতিকে "বাড়তি" বলা হয়েছিল। সাম্প্রতিক তথ্যে অনুযায়ী পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে কোম্পানিগুলো উৎপাদন ব্যয়ের চাপ সামাল দিতে দাম বাড়ানো শুরু করেছে। ঠিক তারপরেই ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ আগামী বছরও পণ্যমূল্যের ওপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ বজায় রাখবে। সম্ভবত জেরোম পাওয়েল আগামীকাল জ্যাকসন হোলে অনুষ্ঠেয় তার বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন। অনেকে তার অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন, যা কারেন্সি মার্কেটের ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 এর ওপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই 1.1700 এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি মূল্য 1.1625 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলের 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1565 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে। GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এর নিকটতম রেসিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3530 এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে, যদিও সেই লেভেলের ওপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3560-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3440-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত নেমে যাবে, যার পরবর্তী সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3375-এর লেভেল।
Read more: https://ifxpr.com/4oObu9r
-
ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তা পাওয়েলের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1963715726.jpg[/IMG]
জেরোম পাওয়েল তার ভাষণে এ বছরের সেপ্টেম্বরেই সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দেওয়ার পরপরই, ফেডের কিছু প্রতিনিধিরা তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে, শিকাগো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি জেরোম পাওয়েলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, কারণ পাওয়েল চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর আট বছরের মেয়াদে ফেড কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিন্নমতকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জটিল এবং প্রায়শই পরস্পরবিরোধী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। মূল সিদ্ধান্তগুলোতে ঐক্য বজায় রাখা — বিশেষ করে মহামারির সময় এবং পরবর্তীতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি সময় — পাওয়েলের দক্ষতা প্রদর্শন করে যে তিনি কীভাবে ভিন্নমতের দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্রিত করতে এবং আপসের সমাধান খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ কাজ নয়, কারণ প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব অঞ্চলের এবং খাতের অভিজ্ঞতা থেকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসেন। পাওয়েলের সকল মতামত শোনা ও বিবেচনা করার ক্ষমতা, একই সাথে সহকর্মীদের নির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে রাজি করানো — এগুলো তার সাফল্যের মূল কারণ। গুলসবিকে পাওয়েলের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটিতে অস্বাভাবিকভাবে কম ভিন্নমতের ভোট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে সদস্যদের একই মতামত থাকার কারণে নয়, বরং পাওয়েলের ঐকমত্য গড়ে তোলার দক্ষতার কারণে হয়েছে। গুলসবি বলেন, "আমি মনে করি তিনিই ফেডের প্রথম চেয়ারম্যান যিনি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়ার যোগ্য, এবং তার অসাধারণ বিচক্ষণতা রয়েছে। তাছাড়া, এই কমিটির সাথে কাজ করার সময় তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হয়েছেন।" প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে মনোনীত করার পর পাওয়েল 2018 সালে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ দেন। সেন্ট লুইস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাওয়েলের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির 62টি বৈঠকে মোট 18টি ভিন্নমতের ভোট হয়েছে — অর্থাৎ গড়ে প্রতি 3.4 টি বৈঠকে একটি করে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হয়েছে। তার পূর্বসূরি জ্যানেট ইয়েলেন 32টি বৈঠকে 22টি ভিন্নমত (প্রতি 1.5 বৈঠকে একটি) এবং বেন বারনানের আমলে 66টি বৈঠকে 48টি ভিন্নমত (প্রতি 1.4 বৈঠকে একটি) রেকর্ড করা হয়েছিল। আগেই যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, গত শুক্রবার পাওয়েল ফেডের চেয়ারম্যান হিসেবে জ্যাকসন হোলে তার শেষ ভাষণ দিয়েছেন, যেখানে তিনি সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। তার মেয়াদ ২০২৬ সালের মে মাসে শেষ হবে।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: বর্তমানে ক্রেতাদের 1.1740 লেভেলের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1780-এর লেভেল টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1830 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সম্ভব, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1865-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি 1.1700 লেভেলের আশেপাশে উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে 1.1655-এর লো পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ভালো হবে বা 1.1625 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা 1.3560-এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3590 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3490-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জের ব্রেকআউট হলে সেটি ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3455-এর দিকে নিয়ে যাবে, সম্ভাব্যভাবে 1.3425 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/41hXpXS
-
২৬ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/166302177.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার প্রতিবেদন-ই উল্লেখযোগ্য। মনে রাখা উচিত, এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ভোক্তাদের বড় অংকের কেনাকাটায় আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। ফলস্বরূপ, এটি পরোক্ষভাবে ভোক্তা আস্থা এবং সঞ্চয়ের পরিবর্তে খরচ করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। তাই, অর্ডার বৃদ্ধি পেলে সেটি মার্কিন অর্থনীতি এবং ডলারের জন্য ইতিবাচক সংকেত, আর পতন হলে তা নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার এই প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। সোমবার সন্ধ্যায় মার্কিন ডলার অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী হয়েছিল, এবং এর ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া এখনও কঠিন। ডলারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সেরা পরিস্থিতি হলো, সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক মূল সুদের হার না কমানো। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুব একটা নির্ভরযোগ্য সমর্থন নয়, কারণ এই ক্ষেত্রে আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রয়েছে। আসন্ন বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন এবং সদস্য পরিবর্তনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও নিয়ন্ত্রণযোগ্য করার চেষ্টা করছেন। ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে। যেহেতু আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের কোনো প্রকার লক্ষণ দেখছি না, তাই মধ্যমেয়াদে ডলারের বাই পজিশনের জন্য কোনো ভিত্তি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধির উপর নির্ভর করতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। কেবল মার্কিন সেশনের শুরুতে মার্কেটে অপ্রত্যাশিত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যখন ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছে ইউরোর দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই স্থানীয় পর্যায়ে 1.1571 লেভেলের দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডিং করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3HOWFmp
-
ট্রাম্প কুককে "শুভ বিদায়" জানালেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1268693217.jpg[/IMG]
মর্টগেজ ডকুমেন্ট জালিয়াতির অভিযোগের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান লিসা কুককে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে একটি গুরুতর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে। এই সিদ্ধান্ত আর্থিক ও রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বহু অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষক ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, জোর দিয়ে বলেছেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থা দুর্বল করতে পারে এবং ফিনান্সিয়াল মার্কেটকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন যে কুক পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন এবং তার নীতিমালা মার্কিন জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেনি। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্টের অধিকার আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করার, যারা তার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন করেন, যাতে তার নীতিমালা কার্যকর করা যায়। জালিয়াতির অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তবে তা কুকের জন্য এর গুরুতর আইনি পরিণতি বয়ে আনতে পারে এবং তার সুনামকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ট্রাম্পের সমালোচকরা দাবি করছেন, কুককে অসম্মানিত করার জন্য এবং তার অপসারণকে যৌক্তিক করার জন্য বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, কুককে বরখাস্ত করার যথেষ্ট ভিত্তি তার হাতে রয়েছে—ওয়াশিংটনে ফেড বোর্ড অব গভর্নর্সে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি এক বা একাধিক মর্টগেজ লোন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কুক সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন যে ট্রাম্পের তাকে বরখাস্ত করার কোনো অধিকার নেই এবং তিনি পদত্যাগ করবেন না। তার আইনজীবী অ্যাবে লোয়েল জানান, তারা ট্রাম্পের "অবৈধ পদক্ষেপ" ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন। কুক বলেন: "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তিনি আমাকে বরখাস্ত করেছেন, কিন্তু আইন অনুযায়ী এর কোনো ভিত্তি নেই এবং তার সে ক্ষমতাও নেই। আমি পদত্যাগ করব না। আমি মার্কিন অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাব, যেমনটি আমি 2022 সাল থেকে করে আসছি।" প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক 2022 সালে নিয়োগ পাওয়া কুকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল 2038 সালে। তাকে সরানো হলে ট্রাম্পের ফেড বোর্ড অব গভর্নর্সে সাত আসনের মধ্যে চারটিতে প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি হবে। ফেড এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সোমবার কুককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, "মার্কিন জনগণকে অবশ্যই ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালা প্রণয়ন ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সততার উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে। আর্থিক বিষয়ে আপনার অসততা এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক আচরণের আলোকে তারা, আর আমি, আপনার সততার প্রতি আস্থা রাখতে পারছি না।" কুকের আইনজীবীর মতে, তিনি অবিলম্বে আদালতে পুনর্বহালের জন্য আবেদন করতে পারেন যতক্ষণ না মামলার প্রক্রিয়া শেষ হয়। কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি, যদিও গত সপ্তাহে বিচার বিভাগ জানিয়েছিল যে তদন্ত শুরু হতে পারে। উপরোক্ত মতো, ফিনান্সিয়াল মার্কেটে এই খবরের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এই ঘোষণার পর মার্কিন ডলার সূচক, দুই-বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইয়েল্ডস, এবং S&P 500 ফিউচারের দর কমে গেছে, আর দশ-বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড সামান্য বেড়েছে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্তমানে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1690 লেভেল টেস্ট করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। সেখান থেকে 1.1740 লেভেলের দিকে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1780-এর লেভেল। যদি দরপতন হয়, আমি আশা করছি মূল্য 1.1600 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রম দেখা যাবে। যদি বড় ক্রেতারা সক্রিয় না তাহলে, তবে 1.1565 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1530 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3490 ব্রেক করাতে হবে। কেবল এটিই তাদেরকে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3523-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে, যার ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া মূল্যের পক্ষে কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3560 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন হয়, তবে বিক্রেতারা মূল্য 1.3440 লেভেলে থাকা অবস্থায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাঁরা সফল হলে ও এই রেঞ্জের ব্রেকআউট ঘটলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় ক্ষতি ডেকে আনবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3420-এর লেভেলে নামিয়ে আনবে, যেখানে দরপতন আরও বিস্তৃত হয়ে এই পেয়ারের মূল্য 1.3390 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4mAyFTd
-
২৮ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/78127911.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার আবারও খুব অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে আজ দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজ মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা প্রথম বা তৃতীয় অনুমানের তুলনায় অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেগুলোর ক্ষেত্রেও মার্কেটে সবসময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টটি হয় না। সুতরাং বলা যায়, আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1912998725.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য হলো ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালারের বক্তব্য। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে কি না, তা নিয়ে মার্কেটে তীব্র বিতর্ক চলছে। ক্রিস্টোফার ওয়ালার ট্রাম্পের সমর্থক এবং খোলাখুলিভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য, তাই তার বক্তব্যের সুর নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে, এখনো ফেডের মধ্যে পর্যাপ্ত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানধারীদের ভোট নেই যা সুদের হার কমানোর নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবুও, 17 সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির ভারসাম্যে পরিবর্তন হতে পারে। ডলারের জন্য সর্বোচ্চ ইতিবাচক পরিস্থিতি হবে যদি সেপ্টেম্বর মাসে ফেড মূল সুদের হার না কমায়। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুবই প্রশ্নবিদ্ধ একটি সহায়ক কারণ, কারণ এক্ষেত্রে মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের সুদের হার কমানো সময়ের ব্যাপার, তবে কখন এটি কার্যকর হবে এবং কত দ্রুত এরপরে সুদের হার হ্রাস করা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে এটির সদস্যপদ পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। ট্রেডারদের জন্য এখনো বাণিজ্য যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই আমরা মাঝারি-মেয়াদে ডলার কেনার কোনো কারণও দেখছি না। এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে 50% করেছেন। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ওপর নির্ভর করতে পারে, যা টেকনিক্যাল কারণ বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের প্রভাব হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে, আবারও টেকনিক্যাল সূচকের ওপর ভিত্তি করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছাকাছি ইউরোর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, যা 1.1571-এর দিকে নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্টের ইঙ্গিত দেবে। গতরাতে 1.3518–1.3532 এরিয়ার কাছাকাছি পাউন্ড স্টার্লিংয়ের একটি নতুন সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই পাউন্ডেরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য খুব কম কারণ রয়েছে, এবং আজও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/45TbFYx
-
২৯ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সূচি নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে এগুলো ইউরোজোনের একটি মাত্র দেশের প্রতিবেদন, আর বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে খুব সামান্য প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রে আজকের প্রধান প্রতিবেদন হলো PCE সূচক, যা মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যভাবে বললে, এই সূচক ব্যক্তিগত ভোগ্য ব্যয়ের পরিবর্তন প্রদর্শন করে। সাধারণত এটি মাসিক ভিত্তিতে 0.2% থেকে 0.3% পর্যন্ত পরিবর্তিত হয় এবং মার্কেটে তেমন কোনো শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। মুদ্রাস্ফীতির গতিশীলতা পরিমাপের প্রধান সূচক হিসেবে ভোক্তা মূল্য সূচকই (CPI) বিবেচিত হয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1209667740.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গুইন্ডোসের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ইসিবি কার্যত মুদ্রানীতি নমনীয় করার চক্র সম্পন্ন করেছে এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল হয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের আরোপের প্রতিক্রিয়াতেও খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি। সুতরাং, বর্তমানে ইসিবির সুদের হার আরও কমানোর জন্য কোনো কারণ নেই। কেবল মুদ্রাস্ফীতি যদি অব্যাহতভাবে কমতে থাকে, তবেই নতুন করে সুদের হার কমানো যেতে পারে। ট্রেডারদের কাছে বাণিজ্য যুদ্ধই মূল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেহেতু বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাই মার্কেটে মাঝারি-মেয়াদে ডলার ক্রয়ের কোনো কারণও দেখা যাচ্ছে না। এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে 50% করেছেন। আগের মতোই, কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন কোনো ইভেন্ট/প্রতিবেদনের কারণে মার্কিন মুদ্রার দর স্থানীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি পেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/67397995.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে আবারও টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছাকাছি ইউরোর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, অথবা গতকাল একই এরিয়ার বাই সিগন্যাল অনুসরণ করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারে। গতকাল 1.3518–1.3532 এরিয়ায় পাউন্ড স্টার্লিংয়ের চারটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, যা শুক্রবার এটির মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে, এবং ফ্ল্যাট (সাইডওয়েজ) মুভমেন্টের স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4p3rtAM