-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১২ আগস্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/874002840.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1633 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। আমি অন্য কোনো এন্ট্রি পয়েন্টও পাইনি। গতকাল একটি কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে, তবে পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আজকের আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। ইউরোজোনের ZEW অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত সূচক এবং জার্মানির বর্তমান পরিস্থিতির সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই সূচকগুলো ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেবে। বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে জার্মানির বর্তমান পরিস্থিতির সূচকের দিকে, কারণ দেশটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। প্রকাশিত প্রতিবেদন বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হবে, যারা বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে ইউরোপীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করতে চান। বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও ভোক্তা ব্যয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। উল্লিখিত সূচকের বৃদ্ধি ইঙ্গিত দিতে পারে যে জার্মান অর্থনীতি ধীরে ধীরে নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে, বিপরীতে সূচকটির পতন ঘটলে সেটি আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দেবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1896723122.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্যভাবে নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1633 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। আমি অন্য কোনো এন্ট্রি পয়েন্টও পাইনি। গতকাল একটি কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে, তবে পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আজকের আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। ইউরোজোনের ZEW অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত সূচক এবং জার্মানির বর্তমান পরিস্থিতির সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই সূচকগুলো ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেবে। বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে জার্মানির বর্তমান পরিস্থিতির সূচকের দিকে, কারণ দেশটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। প্রকাশিত প্রতিবেদন বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হবে, যারা বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে ইউরোপীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করতে চান। বর্তমানে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও ভোক্তা ব্যয়ের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। উল্লিখিত সূচকের বৃদ্ধি ইঙ্গিত দিতে পারে যে জার্মান অর্থনীতি ধীরে ধীরে নতুন বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে, বিপরীতে সূচকটির পতন ঘটলে সেটি আসন্ন অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দেবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1656-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1629-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1656-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1609-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1629 এবং 1.1656-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1609-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1583-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1629-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1609 এবং 1.1583-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/46P02E5
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৩ আগস্ট
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1620 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি অপরিবর্তিত থাকার খবর প্রকাশের পর এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়, যা মার্কিন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির গতিতে সম্ভাব্য মন্থরতার ইঙ্গিত দেয়। এই পরিস্থিতি ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা ইউরোর বিপরীতে কিছুটা দুর্বল হয়। সার্বিক পরিস্থিতি এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত অর্থনৈতিক সূচকগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা অব্যাহত রাখবে এবং মুদ্রাস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছাতে শুরু করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত থাকবে। আজকের দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টে একটি বিরতি দেখা যেতে পারে, কারণ জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং হারমোনাইজড ইনডেক্স অব কনজিউমার প্রাইসেস (HICP) ছাড়া কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। জার্মানির CPI এবং HICP সংক্রান্ত প্রতিবেদন ছাড়া অন্যান্য অর্থনৈতিক সূচকের অনুপস্থিতি দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য মন্থরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। জার্মান মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল সচরাচর পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বিচ্যুত হয় না, তাই শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম। বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কৌশল অবলম্বন করবেন, যাতে জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত পদক্ষেপ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1829019893.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1734-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1692-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1734-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1673-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1692 এবং 1.1734-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1450347537.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1673-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1631-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1692-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1673 এবং 1.1631-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3JePKDk
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৪ আগস্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/60197086.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 147.17-এর প্রাইস লেভেল টেস্ট করেছিল, যা জোড়ার নিম্নমুখী সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ডলার বিক্রি করিনি। 147.17-এর দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের সুযোগ দেয় এবং এই পেয়ারের মূল্য 30 পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। আজ সকালে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট-এর মন্তব্যের পর ইয়েনের দর সব প্রধান মুদ্রাকে ছাড়িয়ে যায়, যেখানে তিনি ইঙ্গিত দেন যে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব জাপান সুদের হার সমন্বয় করবে। জাপানি মুদ্রার দর 0.7% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ডলারে 146.38-এ পৌঁছে। এর আগে বেসেন্ট ফেডকে 150 বেসিস পয়েন্ট বা তার বেশি হারে সুদের হার কমানোর আহ্বান জানান এবং উল্লেখ করেন যে ব্যাংক অব জাপান মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পিছিয়ে রয়েছে, যা সুদের হার বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়। ট্রেডাররা তাৎক্ষণিকভাবে ট্রেজারি সেক্রেটারির মন্তব্যকে উভয় দেশের মুদ্রানীতি পরিবর্তনের সম্ভাব্য সংকেত হিসেবে গ্রহণ করে। বিনিয়োগকারীরা, যারা আগে ফেড এবং ব্যাংক অব জাপানের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন, বেসেন্টের বক্তব্যকে সংকেত হিসেবে ধরে, সম্প্রতি অতিবিক্রিত অবস্থায় থাকা ইয়েন ব্যাপকভাবে কেনা শুরু করেন। বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের একযোগে সুদের হার সমন্বয়ের সম্ভাবনা ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে ডমিনো ইফেক্ট সৃষ্টি করে। ফেড কঠোর আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে পারে এবং ব্যাংক অব জাপান অতিমাত্রায় নমনীয় অবস্থান ত্যাগ করতে পারে—এই প্রত্যাশা অ্যাসেটে বিনিয়োগের পুনর্বিন্যাস ও অস্থিরতা বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/459031042.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.42-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 146.72-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 147.42-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 146.31-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 146.72 এবং 147.42-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 146.31-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 145.70-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস বাউন্সের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 146.72-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 146.31 এবং 145.70-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4llpZhX
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৫ আগস্ট।
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1671-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এর ফলে এই পেয়ারের 30 পয়েন্ট দরপতন হয়েছে। মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচক হঠাৎ 0.9% বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হারে একই ধরনের বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই ফলাফলকে এই ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছেন যে ফেডারেল রিজার্ভ মূল সুদের হারের বিষয়ে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে, ইউরোর বিপরীতে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি একাধিক উপাদানের জটিল মিথস্ক্রিয়ার ফল, এবং মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফল কেবল ইতিমধ্যেই গড়ে ওঠা প্রবণতাগুলোকে আরও জোরদার করেছে। সামনের দিকে তাকালে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারিত হবে ফেড ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী পদক্ষেপ, পাশাপাশি ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অগ্রগতির ওপর। আজ, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায়, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পেতে পারে। সুতরাং, ট্রেডারদের মনোযোগ ইইউ-এর অর্থমন্ত্রীদের আসন্ন বৈঠকের দিকে স্থানান্তরিত হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এই সম্মেলনে ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার সম্পর্কিত বিষয়গুলো আলোচিত হবে। ইইউ-এর অর্থমন্ত্রীদের যেকোনো বিবৃতি বা সিদ্ধান্ত ইউরোর মূল্যের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। বিনিয়োগকারীরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন ইইউ সরকারগুলো বর্তমান সংকট সমাধানে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে কতটা প্রস্তুত। এছাড়া, ইসিবি কর্তৃক ভবিষ্যতে আরও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা সম্পর্কিত যেকোনো মন্তব্যের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ইসিবির আরও আক্রমণাত্মক অবস্থান ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে, অন্যদিকে মুদ্রানীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ইঙ্গিতবাহী সতর্ক মন্তব্য ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2053398861.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1705-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1675-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1705-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1655-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1675 এবং 1.1705-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1451021322.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1655-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1621-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গতকালের প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1675-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1655 এবং 1.1621-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3JfTDI7
-
EUR/USD পেয়ারের সাপ্তাহিক পর্যালোচনা।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1619516151.jpg[/IMG]
আসন্ন সপ্তাহটি বেশ অস্থিতিশীল হতে পারে। এ সপ্তাহের—এবং বলা চলে এ মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট—হচ্ছে ওয়াইওমিংয়ের জ্যাকসন হোল স্কি রিসোর্টে অনুষ্ঠেয় অর্থনৈতিক সিম্পোজিয়াম। সবাই ফেডের চেয়ারম্যানের বক্তৃতার দিকে দৃষ্টি রাখবে, যা হয় বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা নিশ্চিত করবে নয়তো তা খণ্ডন করবে। জেরোম পাওয়েল হয় সম্প্রতি গৃহীত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের বিষয়টি আরও জোরদার করতে পারেন অথবা বিপরীতভাবে সেপ্টেম্বরের সূদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারেন। সিম্পোজিয়ামটি বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) শুরু হবে, তবে এটিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নয়।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিল্ডিং পারমিট বা নির্মাণ অনুমোদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক এবং EUR/USD-এর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি মূল ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক বেশি বা কম হয়। জুন মাসে সূচকটি 0.2%-এ ছিল, যা টানা দুই মাস নেতিবাচক ফলাফল প্রদর্শনের পর ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। জুলাইয়ে সূচকটির 0.1% বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ডলারের ক্রেতাদের জন্য এই সূচকের ইতিবাচক ফলাফল অত্যন্ত জরুরি।
এছাড়া মঙ্গলবার ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর মিশেল বোম্যান বক্তব্য দেবেন। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, জুলাই বৈঠকে তিনি ফেডের সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন (ক্রিস্টোফার ওয়ালারের মতোই)। যদি বোম্যান তার ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান বজায় রাখেন (যদিও কোর CPI এবং PPI দ্রুত বেড়েছে), তাহলে ডলারের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে।
বুধবারের মূল ইভেন্ট হিসেবে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। এটি মনে রাখা দরকার যে, ঐ বৈঠকে নীতিনির্ধারকরা ফেডারেল সূদের হার অপরিবর্তিত রেখেছিলেন। তবে পাওয়েল স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, সেপ্টেম্বরের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত অনিশ্চিত। একইসাথে, কমিটির দুইজন সদস্য (পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে—ওয়ালার ও বোম্যান) সুদের হার হ্রাসের পক্ষে ভোট দেন। এছাড়াও, জুনের তুলনায় জুলাইয়ের বিবৃতির কিছু শব্দচয়ন পরিবর্তন করা হয়। যেমন, জুনে ফেড উল্লেখ করেছিল যে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলো "দৃঢ়ভাবে বাড়ছে।" অথচ জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মূল্যায়ন হ্রাস করে জানায় যে, "সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বছরের প্রথমার্ধে অর্থনৈতিক কার্যক্রম মন্থর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।"
কার্যবিবরণীর মাধ্যমে কমিটির ভেতরে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারীদের প্রভাব মূল্যায়ন করা যাবে। নথিটির ওপর ভিত্তি করে ডলার হয় সমর্থন পেতে পারে নয়তো অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়তে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, ফেডের কার্যবিবরণী সাধারণত EUR/USD-এর ওপর সীমিত প্রভাব ফেলে, কারণ এগুলো বৈঠকের দুই সপ্তাহ পর প্রকাশিত হয় (যখন অনেক সদস্য ইতোমধ্যেই নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করে ফেলেন)। তাছাড়া, জুলাইয়ের বৈঠকের কার্যবিবরণী জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামের ঠিক এক দিন আগে প্রকাশিত হবে।
বৃহস্পতিবার PMI সূচক (আগস্টের ফ্ল্যাশ অনুমান) প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাইয়ের তুলনায় সূচকটিতে সামান্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। বিশেষভাবে, জার্মানির উৎপাদন সংক্রান্ত PMI নেতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা 49.1 থেকে সামান্য কমে 48.8 হবে। পরিষেবা সংক্রান্ত PMI 50 পয়েন্ট সীমার উপরে (50.5) থাকার কথা। তবে ইউরোজোনের পরিষেবা PMI আবার নেতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করতে পারে, যা জুলাইয়ের 51.0 থেকে কমে 50.5 হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। মার্কিন উৎপাদন সংক্রান্ত PMI জুলাইয়ের 49.8 থেকে প্রায় অপরিবর্তিত থেকে আগস্টে 49.9 হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলারের ক্রেতাদের জন্য এই সূচকটি নেতিবাচক ফলাফল থেকে বেরিয়ে 50-এর উপরে ওঠা জরুরি। এছাড়া বৃহস্পতিবার জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়াম শুরু হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর অবস্থানের "ব্যারোমিটার" হিসেবে পরিচিত এই বার্ষিক ইভেন্টে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট এবং সময়োপযোগী বিষয়কে কেন্দ্র করে আলোচনা হয়। উদাহরণস্বরূপ, 2015 সালে সেখানে আলোচনার কেন্দ্র ছিল সাংহাই স্টক মার্কেটের ধস, আর মহামারির সময়ে তা ছিল COVID-19-এর অর্থনৈতিক প্রভাব। এ বছরের মূল আলোচ্য বিষয় হলো শ্রমবাজার (সরকারি শিরোনাম: "Labor Markets in Transition: Demographics, Productivity, and Macroeconomic Policy")। বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে জুলাইয়ের নন ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রেক্ষাপটে, যেখানে কর্মসংস্থানের সংখ্যা 73,000 বেড়েছে তবে পূর্ববর্তী মাসগুলোতর ফলাফল উল্লেখযোগ্য সংশোধন করে নিম্নমুখী করা হয়েছে—যেখানে মোট 258,000 কর্মসংস্থান কম দেখানো হয়েছে। এটি উল্লেখ করা প্রয়োজন যে CME ফেডওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট হার কমানোর সম্ভাবনা বর্তমানে 92%-এ পৌঁছেছে। অক্টোবরের বৈঠকে এই সম্ভাবনা দাঁড়িয়েছে 55% (ধরা হচ্ছে সেপ্টেম্বরেই সুদের হার কমানো হবে)। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে, যদি জেরোম পাওয়েল আবারও সতর্ক ও মাঝারিভাবে "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে মার্কেটে ডলারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে, এমনকি ইউরোর বিপরীতেও। তবে যদি ফেডের চেয়ারম্যান আগামী মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে ইঙ্গিত দেন (যদিও কোর CPI ও হেডলাইন ও কোর PPI উভয়ই দ্রুত বেড়েছে), তাহলে মার্কিন গ্রিনব্যাক বড় ধরনের চাপের মুখে পড়বে। জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে পাওয়েলের বক্তৃতা আসন্ন সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। অন্যান্য মৌলিক বিষয়গুলো গৌণ ভূমিকা পালন করবে।
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, চার-ঘণ্টার চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম ও উপরের লাইনের মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা একইসাথে ইচিমোকু কুমো ক্লাউড এবং টেনকান-সেন ও কিজুন-সেন লাইনের উপরে অবস্থান করছে। ইচিমোকু সূচক একটি বুলিশ "প্যারেড অব লাইন্স" সিগন্যাল তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতি লং পজিশন ওপেন করার সংকেত দিচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1750 (H4-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডের উপরের লাইন), এবং মূল লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1830 (D1-এ বলিঙ্গার ব্যান্ডের উপরের লাইন)।
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৯ আগস্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1638998370.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1674-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রি করার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 20 পয়েন্ট কমেছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া সত্ত্বেও ইউরোপীয় মুদ্রার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। এই ধরনের মুভমেন্টের সম্ভাব্য কারণ ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক। মার্কেটের ট্রেডাররা এই বৈঠককে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্ভাব্য উন্নতির ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা মার্কিন ডলারকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবে পরবর্তী দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হবে আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল এবং গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের আসন্ন বক্তৃতার দিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখবে। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালান্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচকটি, যা মূলধন প্রবাহ ও বহির্গমনের পার্থক্য প্রতিফলিত করে, ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিমাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড। ইতিবাচক ব্যালান্স, যেখানে ইনফ্লো আউটফ্লোকে ছাড়িয়ে যায়, ইউরোজোনে বিনিয়োগ আকর্ষণীয়তা নির্দেশ করে এবং সাধারণত ইউরোকে সহায়তা করে। অপরদিকে, নেতিবাচক ব্যালান্স ইউরোপীয় মুদ্রাকে দুর্বল করতে পারে। অর্থনীতিবিদরা পূর্ববর্তী প্রতিবেদনের তুলনায় ইতিবাচক ব্যালান্সের সামান্য বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছেন। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফলে সামান্য পতন পরিলক্ষিত হলেও তা ইউরোর তীব্র দরপতনের কারণ হবে না। মূল বিষয় হবে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া। যদি ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আসে, তাহলে সাময়িকভাবে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্যথায়, ইউরোর মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2069094180.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1687-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1667-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1687-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1652-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1667 এবং 1.1687-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1652-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1631-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর চাপ বজায় থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1667-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1652 এবং 1.1631-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/45EE44d
-
২০ আগস্ট কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/748392648.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য উভয় দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, তবে মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম ছিল। সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপটের অনুপস্থিততে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির মতো কোনো কারণ ছিল না। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাণ খাত সংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও, প্রত্যাশিতভাবেই সেগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে আমরা বর্তমানে প্রায় ফ্ল্যাট মুভমেন্ট লক্ষ্য করছি। আমরা এখনও মনে করি যে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেনি, যদিও এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করেছে। আমাদের দৃষ্টিতে, ফ্ল্যাট মুভমেন্টটি কেবল মার্কেটে ট্রেডিংয়ের বিরতি, এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। অবশ্যই, এর মানে এই নয় যে আগামী কয়েক দিনে এই পেয়ারের মূল্য কমতে পারবে না। শুক্রবার জেরোম পাওয়েল বক্তব্য দেবেন, এবং ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান মার্কেটে কী বার্তা দেবেন, তা কেউ জানে না। তার অবস্থান অপরিবর্তিত থাকতে পারে, যা মার্কিন ডলারের ক্রেতাদের সহায়তা করতে পারে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিট টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেগুলো থেকে কোনো লাভ আসেনি। সিগন্যালগুলো যথেষ্ট কার্যকর ছিল, কিন্তু মার্কেটে কার্যত তেমন কোনো মুভমেন্ট দেখা যায়নি।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এই বছরের শুরু থেকে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে, তাই প্রথমে মূল্যের এই রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমরা এখনও মধ্যমেয়াদে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হওয়ার জন্য কোনো ভিত্তি দেখছি না, তাই আমাদের ধারণা ডলারের মূল্যের কেবল ছোটখাটো টেকনিক্যাল কারেকশন হতে পারে। বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য আবারও ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে থাকতে পারে, কারণ কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থাকবে না। মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ট্রেডিং করা যেতে পারে, তবে মঙ্গলবার দেখা গেছে যে সিগন্যাল তৈরি হলেও শক্তিশালী মুভমেন্ট নাও তৈরি হতে পারে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1552–1.1563–1.1571, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। বুধবার ইউরোজোনে জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। সাধারণত দ্বিতীয় অনুমান প্রথমটির থেকে আলাদা হয় না, এবং মূলত বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কার্যত সুদের হার হ্রাসের চক্র সম্পন্ন করেছে।
Read more: https://ifxpr.com/4fGLR6g
-
ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/13001867.jpg[/IMG]
অনেক ট্রেডার গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর মিশেল বোম্যানের বক্তব্যের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে তার বক্তব্যে মূলত ব্যাংক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক আলোচনা উঠে এসেছে, যা কারেন্সি মার্কেটে কার্যত কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। বোম্যানের মতে, ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে অবশ্যই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ক্রিপ্টোকারেন্সি মতো নতুন প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগাতে হবে, নতুবা তারা অর্থনীতিতে তাদের প্রাসঙ্গিকতা হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে। ওয়াইওমিং-এ অনুষ্ঠিত একটি ব্লকচেইন বিষয়ক সিম্পোজিয়ামে প্রস্তুত বক্তৃতায় তিনি বলেন, "পরিবর্তন আসছে। আদর্শভাবে, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উচিত ব্যাংকিং সিস্টেমের উপকারে আসবে এমন উপায়ে ব্লকচেইনের নতুন ব্যবহার সম্প্রসারণের অনুমতি দেওয়া।" তিনি আরও যোগ করেন, "যদি আমরা এই পথে এগোতে ব্যর্থ হই, তবে ব্যাংকিং সিস্টেম ভোক্তা, ব্যবসা এবং সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে।" ফেডের বোর্ড অব গভর্নরসে তার অভিজ্ঞতার আলোকে সমর্থিত এই বার্তাটি আর্থিক খাতে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনার আহ্বানের মতো শোনায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদানের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করতে পারে, ঝুঁকি আরও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে এবং ব্যক্তিগতকৃত আর্থিক সেবা দিতে পারে। এসব সুযোগ উপেক্ষা করলে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান হারানোর ঝুঁকি রয়েছে, কারণ আরও দ্রুত ও প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত কোম্পানিগুলো মার্কেট শেয়ার দখল করে নিতে পারে। মূল্যের অস্থিরতা ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামো সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি নতুন অ্যাসেট ক্লাস, যা উপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এগুলো আন্তর্জাতিক পেমেন্ট, উদ্ভাবনী আর্থিক পণ্য এবং বৃহত্তর আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ প্রদান করে। তাই এটা আশ্চর্যের নয় যে বোম্যান শিল্পখাতকে উৎসাহিত করেছেন যাতে তারা নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে ব্লকচেইন ও ডিজিটাল অ্যাসেট সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে সহায়তা করে, পাশাপাশি প্রতারণার মতো সমস্যার সমাধানে নতুন প্রযুক্তির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি সুনামের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর তদারকি সীমিত করার চেষ্টা করবেন এবং নতুন নিয়ম প্রণয়নের সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন। এর আগে, ফেড ও অন্যান্য ব্যাংকিং সংস্থা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে তাদের পরীক্ষকরা আর সুনামের ঝুঁকিকে তদারকি পর্যালোচনার অংশ হিসেবে গণ্য করবে না। এটি কিছু ব্যাংকিং গ্রুপ এবং রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের আহ্বানের প্রেক্ষিতে এসেছিল, যারা এই প্রক্রিয়াটিকে অন্যায্য বলে সমালোচনা করেছিলেন। বোম্যান বলেন, "আমি আরও উৎসাহ দেব যাতে শিল্পখাত নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সাথে সম্পৃক্ত হোক, যাতে আমরা ব্লকচেইন এবং অন্যান্য সমস্যার সমাধানে এর সম্ভাবনা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি আমাদের সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে প্রযুক্তি, নতুন পণ্য ও সেবার গ্রহণ ও একীভূতকরণ সম্ভব হয়।"
যদিও বোম্যান সরাসরি সুদের হার নিয়ে কিছু বলেননি, তবুও তার বক্তব্যের পর বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হতে থাকে। অন্যদিকে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে আরও একটি বড় দরপতন দেখা গেছে। EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1670 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে, এরপর 1.1700 টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। অন্যদিকে, কেবলমাত্র মূল্য 1.1625-এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় আমি ক্রেতাদের সক্রিয় কার্যক্রম প্রত্যাশা করছি। যদি তারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এ নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে 1.3560-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও এর পর আরও মূল্য বৃদ্ধি সম্ভবত কঠিন হবে। পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3590-এ অবস্থান করছে। দরপতনের, বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3445 পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে 1.3405 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3HM32qq
-
কর থেকে বাড়তি আয়ের কারণে যুক্তরাজ্যের বাজেট ঘাটতি সামান্য কমেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1676662253.jpg[/IMG]
যুক্তরাজ্যের বাজেট ঘাটতি জুলাই মাসে প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হ্রাস পাওয়ার খবরে পাউন্ডের দর সামান্য বৃদ্ধি পায়। স্ব-মূল্যায়িত আয়কর প্রদানের ফলে ট্রেজারি বিভাগ অতিরিক্ত রাজস্ব পেয়েছে, যা অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভসকে সাময়িকভাবে স্বস্তি দিয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের পরিমাণকে মাত্র 1.1 বিলিয়ন পাউন্ডে অতিক্রম করেছে, যা এক বছর আগে 3.4 বিলিয়ন পাউন্ড ছিল। এটি নভেম্বরের পর সরকারি বাজেট ঘাটতির প্রথম বার্ষিক হ্রাস এবং গত তিন বছরে জুলাই মাসের সর্বনিম্ন ঋণগ্রহণ। বাজেট দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী 2.1 বিলিয়ন পাউন্ড ঘাটতি হওয়ার কথা ছিল। ঘাটতির এই হ্রাস রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমানোর ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থার উন্নতি প্রতিফলিত করছে। তবে, এই পরিবর্তনগুলো যেসব প্রেক্ষাপটে ঘটছে তা বিবেচনা করা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ, কর রাজস্বের বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, অন্যদিকে ব্যয় হ্রাস কৃচ্ছ্রসাধনের ফল হতে পারে, যা সামাজিক কর্মসূচি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তা সত্ত্বেও, জুলাইয়ে ঋণগ্রহণের পরিমাণ হ্রাস একটি ইতিবাচক সংকেত, যা ব্রিটিশ অর্থনীতির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি এটি দেশটির সরকারকে আর্থিক নীতিমালা বাস্তবায়নে বাড়তি স্বাচ্ছন্দ্যও প্রদান করছে। তবে মনে রাখতে হবে, জুলাইয়ের প্রতিবেদনে কেবল এক মাসের ফলাফল প্রতিফলিত হয় এবং এই প্রবণতা স্থায়ী হবে কিনা তা মূল্যায়নের জন্য আরও প্রতিবেদনের প্রয়োজন। বাজেট ঘাটতির এই হ্রাস রিভসের জন্য স্বস্তির খবর, যিনি শরৎকালীন বাজেট নিয়ে একাধিক কঠিন সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হবেন। পূর্ববর্তী মাসগুলো হতাশাজনক হলেও জুলাইয়ের উন্নতি সার্বিক পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন করতে সহায়তা করেছে।
বছরের প্রথম চার মাসে বাজেট ঘাটতি প্রায় লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ছিল — 60 বিলিয়ন পাউন্ড, যেখানে বাজেট দপ্তর মার্চে পূর্বাভাস দিয়েছিল 59.9 বিলিয়ন পাউন্ড। এই তথ্য প্রকাশের পর মার্কেটে প্রায় কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। অর্থনীতিবিদদের মতে, জুলাই যুক্তরাজ্যের সরকারি আর্থিক অবস্থার জন্য অন্যতম শক্তিশালী মাস, কারণ এই সময়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের দ্বিতীয় স্ব-মূল্যায়িত আয়কর প্রদান করে থাকে।
GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এর নিকটতম রেসিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3530 এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে, যদিও সেই লেভেলের ওপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3560-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3440-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত নেমে যাবে, যার পরবর্তী সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3375-এর লেভেল।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 এর ওপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই 1.1700 এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি মূল্য 1.1625 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1565 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে।
more: https://ifxpr.com/3JqPSzF
-
ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1226112813.jpg[/IMG]
শনিবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের ভাষণ আজ ইউরোর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করেছে। জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে তার বক্তব্যে লাগার্ড নীতিনির্ধারক ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলার আহ্বান জানিয়েছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে সরকার যদি সুদের হার নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করে, তবে অর্থনীতি অকার্যকর হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। লাগার্ড বলেন, "যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জবাবদিহি করতে হবে, আমাদের প্রতিবেদন পেশ করতে হবে এবং সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, সেটা মার্কিন কংগ্রেস হোক বা ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তবে সবচেয়ে জরুরি হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবশ্যই স্বাধীন থাকতে হবে।" তার এই মন্তব্য এমন এক প্রেক্ষাপটে এসেছে যেখানে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উপর আর্থিক ও রাজস্ব নীতি আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার জন্য চাপ বাড়ছে। লাগার্ড জোর দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতাই একটি স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মূলভিত্তি। রাজনৈতিক প্রভাব থেকে স্বাধীন থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কেবল সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক ও পূর্বাভাসের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে, স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক লক্ষ্য এতে কোনো ভূমিকা রাখে না। সরকারি হস্তক্ষেপ সুদের হারকে তাৎক্ষণিক সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে পারে, যেমন নির্বাচনী জনতুষ্টি নীতি, যা শেষ পর্যন্ত মুদ্রার প্রতি আস্থা দুর্বল করে এবং মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায়। লাগার্ড উল্লেখ করেছেন, "ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা এটি প্রমাণ করে যে যেসব দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা রয়েছে সেসব দেশে মুদ্রাস্ফীতি কম এবং দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বেশি স্থিতিশীল হয়।" তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা খর্ব হলে কী ঘটে। লাগার্ড বলেন, "নিয়ন্ত্রণ অকার্যকর হয়ে যায়, কর্তৃপক্ষ এমন কাজ শুরু করে যা তাদের করা উচিত নয়, যার পরবর্তী ধাপ হলো অর্থনীতির ভঙ্গুর পরিস্থিতি। সেটিই হলো অস্থিতিশীলতা, যদি আরও খারাপ কিছু না হয়। এই কারণেই আমি মনে করি যে এটি কখনোই আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত নয়।" EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: বর্তমানে ক্রেতাদের 1.1740 লেভেলের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1780-এর লেভেল টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1830 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সম্ভব, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1865-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি 1.1700 লেভেলের আশেপাশে উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে 1.1655-এর লো পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ভালো হবে বা 1.1625 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা 1.3560-এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3590 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3490-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জের ব্রেকআউট হলে সেটি ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3455-এর দিকে নিয়ে যাবে, সম্ভাব্যভাবে 1.3425 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4g2L67N