-
ফেডের আরেকজন কর্মকর্তা সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দিলেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1008839589.jpg[/IMG]
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বক্তব্যে সান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মেরি ডালি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নীতিনির্ধারকরা শিগগিরই সুদের হার কমানোর জন্য প্রস্তুত হবেন এবং তিনি আরও যোগ করেছেন যে শুল্কজনিত মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব সম্ভবত সাময়িক হবে। শুক্রবার ডালি বলেন, "খুব শিগগিরই নীতিমালা সমন্বয়ের করা হবে, যাতে এটি আমাদের অর্থনীতির চাহিদার সাথে আরও ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।" তিনি উল্লেখ করেন যে শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি "সাময়িক ঘটনা" হবে। "এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানতে আমাদের সময় লাগবে। তবে আমরা অপেক্ষা করতে পারছি না, কারণ এতে শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।" ডালির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে যুক্ত মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বহু অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারী ক্রমবর্ধমানভাবে আশঙ্কা করছেন যে বাড়তি শুল্ক ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগ কমাতে পারে, যা পরবর্তীতে জিডিপির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মার্কেটের ট্রেডাররা ডালির মন্তব্যকে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। ট্রেডাররা আশা করছেন যে সুদের হার হ্রাস করে হলে সেটি অনিশ্চয়তার মধ্যে অর্থনীতিকে সমর্থন দিতে সহায়তা করবে। তবে এটি উল্লেখযোগ্য যে ফেডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এখনও এতোটা স্পষ্টভাবে সুদের হার হ্রাসের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেননি। বরং তাঁরা আসন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল মূল্যায়ন করে অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অবস্থান বজায় রাখতে চাইছেন। এই বছর প্রতিটি বৈঠকে ফেড মুল সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে, যা 4.25–4.5% রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। ডালির মন্তব্য ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি ঘটিয়েছে, যিনি জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সেপ্টেম্বরের নীতিনির্ধারণী বৈঠকেই সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা উন্মুক্ত রয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তীব্র মন্থরতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ডালি বলেন, "কংগ্রেস ফেডকে দুটি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে: পূর্ণ কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা। বর্তমানে এই দুটি লক্ষ্যমাত্রাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে: শুল্ক আরোপের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, আর শ্রমবাজার পরিস্থিতির দুর্বলতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।"
নীতিনির্ধারকরা এখনও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির পরিবর্তনের অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে জুলাই মাসে পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) সূচক টানা চতুর্থ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষণ নিশ্চিত করছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সান ফ্রান্সিসকো ফেডের প্রধানের এই বছর মুদ্রানীতি বিষয়ক সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। EUR/USD: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1715 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই পেয়ারটির মূল্য 1.1750 লেভেল টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1780-এর দিকে মূল্যের মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সহায়তা ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1820 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য মূল্য হ্রাস পায়, তবে আমি কেবলমাত্র মূল্য 1.1685 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয়তার প্রত্যাশা করব। যদি সেই লেভেলে কোনো ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তবে পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের 1.1655 লেভেলের টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত হবে, অথবা 1.1630 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD: পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3540 ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই মূল্যের 1.3565-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যার ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3590। যদি পেয়ারটির মূল্য হ্রাস পায়, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে তা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে গুরুতর আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3470 লেভেলে নামিয়ে আনবে, যেখান থেকে 1.3440 পর্যন্ত দরপতন প্রসারিত হতে পারে
Read more: https://ifxpr.com/3JEKRnm
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের নিউজ ডাইজেস্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1123048196.jpg[/IMG]
প্রযুক্তি খাতের প্রভাবে মার্কিন স্টক সূচকসমূহে দরপতন গত সপ্তাহের শেষ দিনে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে লেনদেন শেষ হয়েছে: S&P 500 0.64% হ্রাস পেয়েছে, নাসডাক সূচক 1.15% হ্রাস পেয়েছে, এবং ডাও জোন সূচক 0.20% হ্রাস পেয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটে প্রযুক্তি খাতের শেয়ারের ব্যাপক বিক্রির কারণে এশিয়ার স্টক মার্কেটও চাপের মধ্যে রয়েছে। বাড়তি অনিশ্চয়তার অন্যতম কারণ হলো গুরুত্বপূর্ণ আইটি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
করেকশনের ঝুঁকিতে ইকুইটি মার্কেট মার্কিন স্টক মার্কেটে করেকশনের ঝুঁকি রয়েছে, কারণ S&P 500 সূচকের মৌলিক মূল্যায়ন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। সূচকটি যদি নির্দিষ্ট রেঞ্জের নিচে নেমে যায়, তবে এটি স্টক বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এমন পরিস্থিতি স্বল্পমেয়াদি ট্রেডারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
ট্রাম্পের শুল্ক অবৈধ ঘোষণা, ডলারের দরপতন আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করেছে, যার ফলে মার্কিন ডলারের দর 5-সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে এবং ফেডের সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশার মধ্যে ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে। এছাড়াও, ইন্টেল মার্কিন সরকার থেকে CHIPS Act-এর আওতায় 5.7 বিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যা কোম্পানিটির জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এই সিদ্ধান্ত সেমিকন্ডাক্টরভিত তিক শেয়ারের প্রতি আগ্রহও বৃদ্ধি করেছে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অংশীদার খুঁজছে মেটা মেটা গুগল এবং ওপেনএআই-এর সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত আলোচনায় বসেছে, যা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে। এই পদক্ষেপ কোম্পানিটির কৌশলগত পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে, কারণ তারা দ্রুত পরিবর্তনশীল খাতে নিজেদের পণ্যের উন্নয়নের গতি বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। নতুন অংশীদারিত্ব কার্যক্রম কোম্পানিটিকে অতিরিক্ত প্রযুক্তি ও সহায়তার উৎস প্রদান করতে পারে। বিস্তারিত জানতে এই এই লিংকে ক্লিক করুন।
শেয়ার দরপতনের পর চাপের মুখে ওরাকল ওরাকলের শেয়ারের মূল্য এক মাসের মধ্যে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর 6%-এর বেশি হ্রাস পেয়েছে, যা এআই অবকাঠামোর ব্যয় বৃদ্ধি এবং কর্মী ছাঁটাই দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ এবং এর টেকসই মুনাফা বৃদ্ধির উপর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করেন এটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করবে। বিস্তারিত জানতে এই এই লিংকে ক্লিক করুন। মনে করিয়ে দিই, InstaForex স্টক, সূচক এবং ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ের জন্য সর্বোত্তম শর্ত প্রদান করে, যা ট্রেডারদের মার্কেটে মূল্যের ওঠানামা থেকে কার্যকরভাবে মুনাফা করতে সহায়তা করে।
Read more: https://ifxpr.com/47X4GjM
-
ইসিবি আপাতত সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1874140721.jpg[/IMG]
গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ইসাবেল স্নাবেল এক বক্তৃতায় বলেছেন যে ইসিবির উচিত সুদের হার বর্তমান স্তরে অপরিবর্তিত রাখা, কারণ এখনও মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সাক্ষাৎকারে এই জার্মান ও হকিশ বা কঠোর অবস্থানের সমর্থক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ব্যাঘাত সত্ত্বেও ইউরোপের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে, যদিও আগামী কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতির হার পূর্বাভাসের চেয়ে কম হতে পারে। স্নাবেল বলেন, "আমার বিশ্বাস আমরা ইতোমধ্যে একটি মাঝারি নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছি, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার আরও কমানোর কোনো কারণ আমি দেখছি না।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমার মতে, শুল্ক সরাসরি মুদ্রাস্ফীতির কারণ।" তার এই বক্তব্য ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এসেছে, যেখানে শুধু বাণিজ্য যুদ্ধই নয় বরং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জও প্রভাব ফেলছে। যদিও তার মন্তব্যে আশাবাদের সুর ছিল, তবে তা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য ঝুঁকিকেও তুলে ধরেছে। প্রত্যাশার চেয়ে কম মূল্যস্ফীতি ভোক্তা চাহিদা ও বিনিয়োগ কার্যক্রমের দুর্বলতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমিয়ে দিতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ইসিবিকে তাদের মুদ্রানীতিতে আরও স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগও দিতে পারে। স্নাবেল আরও বলেন যে বাণিজ্য নীতি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং জনগণের বার্ধক্যের কারণে বিশ্বব্যাপী ঋণের খরচ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত কমতে শুরু করতে পারে। তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আবারও সুদের হার কমানো শুরু করবে—এবং সেটি অনেকের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত ঘটতে পারে।" তার এই মন্তব্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক দুই দিন আগে এসেছে, যেখানে এক সপ্তাহ ধরে ইসিবির কর্মকর্তা কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে সময়কাল। সেই বৈঠকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঋণের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1655 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল এটিই 1.1685 লেভেল টেস্টের সুযোগ করে দেবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1715 পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1740-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে আমি কেবল মূল্য 1.1625 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তবে 1.1605 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1575 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3390 লেভেল নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3430 পর্যন্ত মুভমেন্টের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যদিও মূল্যের এই লেভেলের উপরের অগ্রগতি কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3470 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা 1.3340 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3310 লেভেলের দিকেনামতে পারে এবং পরবর্তীতে 1.3280 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/45OgWln
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ৪ সেপ্টেম্বর
S&P 500 এবং নাসডাক সূচক আবারও প্রবৃদ্ধি শুরু হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/217437683.jpg[/IMG]
গতকালের সেশন শেষে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.51% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর নাসডাক 100 সূচক 1.01% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শিল্পখাত-ভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.05% হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের কর্মসংস্থানের সুযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের কারণে ফেডারেল রিজার্ভ এই মাসের শেষে সুদের হার কমাবে—এই প্রত্যাশা জোরদার করার পর ইনডেক্স ফিউচারস অগ্রসর হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ ও শ্রম পরিবর্তন সংক্রান্ত জরিপে শূন্যপদের হ্রাস দেখা গেছে, যা শ্রমবাজার পরিস্থিতির কিছুটা দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর ফলে ফেড আরও ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে পারে। সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা ইকুইটি মার্কেটকে সহায়তা করে, কারণ ঋণের ব্যয় হ্রাস পেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উদ্দীপিত হয় এবং কর্পোরেট আয় বাড়ে। এছাড়া, কম সুদের হার স্টককে বন্ডের তুলনায় আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, যেগুলোর ইয়েল্ডও সুদের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়। S&P 500 এবং নাসডাক 100 সূচকের ফিউচার 0.02% থেকে 0.03% পর্যন্ত বেড়েছে। ইউরো স্টক্স 50 সূচকের ফিউচার কন্ট্রাক্টের দর অপরিবর্তিত ছিল। ট্রেজারি বন্ড এবং মার্কিন ডলারেও তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। চীনা ইকুইটি মার্কেটে অব্যাহত দরপতনের কারণে এশিয়ার স্টক সূচকের প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়েছে। MSCI আঞ্চলিক ইকুইটি সূচক আগের সেশনে 0.7% বৃদ্ধির পরে 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানি বন্ডের ফিউচারের দর বাড়চ্ছে, কারণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষিত 30-বছরের সরকারি বন্ডের নিলাম ১২ মাসের গড়ের সঙ্গে প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণ চাহিদা পূরণ করেছে। এদিকে, চীনা ইকুইটি মার্কেটে দরপতন অব্যাহত ছিল: CSI 300 সূচক 1.8% হ্রাস পেয়েছে। এর আগে খবর এসেছিল যে আগস্টের শুরু থেকে $1.2 ট্রিলিয়নের প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে দেশটির আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বিবেচনা করছে। আগামীকাল মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টে প্রায় 75,000 কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, আর বেকারত্বের হার 4.3%-এ পৌঁছাতে পারে। টানা চার মাসে 100,000 এর নিচে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে তা 2020 সালের মহামারির শুরুর পর থেকে সবচেয়ে নেতিবাচক সময় হিসেবে চিহ্নিত হবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য পতন ফেডের শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বেগের কারণে সুদের হারের বড় ধরনের হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেপ্টেম্বরেই সুদের হার হ্রাস শুরু করা উচিত এবং আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েকবার সুদের হার হ্রাস বাস্তবায়ন করা উচিত। তিনি আরও যোগ করেন যে, ফেডের কর্মকর্তারা সেপ্টেম্বরের বৈঠকে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সঠিক মাত্রা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কমোডিটি মার্কেটে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো তেলের দরপতন হয়েছে, কারণ ট্রেডাররা আশঙ্কা করছেন OPEC+ সরবরাহ বাড়াতে পারে, অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রির অনুমান অনুযায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টোরেজ হাবে তেলের মজুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেলপ্রতি $67-এ নেমে গেছে, আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দর $64-এর নিচে চলে গেছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স ইনকর্পোরেটেডের বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক উদ্বৃত্তের কারণে আগামী বছর ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি $50-এ নেমে আসবে।
S&P 500-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী , আজ ক্রেতাদের প্রধান কাজ হবে সূচকটির নিকটতম রেজিস্ট্যান্স $6,457 ব্রেক করা। এটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে অব্যাহত রাখবে এবং $6,473 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে। ক্রেতাদের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা হবে $6,490 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে গেলে এবং সূচকটির দর নিম্নমুখী হলে, সূচকটি $6,441 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে গেলে ইন্সট্রুমেন্টটি দ্রুত $6,428 লেভেলের দিকে নেমে যাবে এবং $6,414 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4gbBiZh
-
৫ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1862164432.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এগুলোর প্রায় সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ বা অন্ততপক্ষে তুলনামূলকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। অবশ্যই মূল দৃষ্টি থাকবে মার্কিন ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হারের ওপর। এসব প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের 16–17 সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। যদি বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায় এবং ননফার্ম পেরোল আবারো পূর্বাভাসের নিচে আসে, তবে ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবেই মূল সুদের হার কমাবে। এর ফলে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটতে পারে, যা আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রত্যাশা করছি। অন্যান্য প্রতিবেদনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয়, ইউরোজোনের জিডিপি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মজুরি সম্পর্কিত পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য। তবে আমাদের ধারণা, এসব প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে মার্কেটে দুর্বল অথবা একেবারেই কোনো প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2001205715.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই—এবং আজ সেগুলোর প্রয়োজনও পড়বে না। ট্রেডাররা ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হাতে পাবে। মনে করিয়ে দিই, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবে সুদের হার কমানো শুরু করবে। একমাত্র প্রশ্ন হলো, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কত দ্রুত সুদের হার কমানো হবে। তাই এই পুরো সময়ে মৌলিক প্রেক্ষাপটগত দিক থেকে মার্কিন মুদ্রা উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে থাকবে। চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি চলমান থাকলে মার্কিন ডলারের চাহিদা সৃষ্টির কোনো সুযোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অতিরিক্তভাবে, ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর তালিকায় ফেডের ওপর ট্রাম্পের চাপ প্রয়োগকেও যুক্ত করা যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে ফেডের অর্ধেক সদস্যকে পরিবর্তন করতে চান, যা ফেডের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মার্কিন ডলারের প্রতি আস্থা আরও দুর্বল করতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে। তবে এ সপ্তাহে ভোলাটিলিটি অত্যন্ত কম, এবং কার্যত কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়নি। তাই মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আমরা মার্কেটে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না। মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কেটে কী ঘটবে, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সেই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের ওপর।
Read more: https://ifxpr.com/462HAFN