-
মার্কিন সরকারের শাটডাউনের ঝুঁকিতে স্বর্ণের দর রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/50272875.jpg[/IMG]
ডলারের দরপতনের মধ্যে স্বর্ণের মূল্য আউন্সপ্রতি প্রায় $3,800-এ উঠে নতুন সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন সরকারের শাটডাউনের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। স্বর্ণের দর 1.4% বৃদ্ধি পেয়ে আউন্সপ্রতি $3,814-এ পৌঁছায়, যা গত মঙ্গলবারের রেকর্ড ভেঙে টানা ছয় সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখে। রূপার দর 2.4% বৃদ্ধি পেয়েছে, একইসাথে প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মার্কেটে অব্যাহত অস্থিরতা এবং এই ধাতুগুলোর এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে প্রবাহিত মূলধনের কারণে হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর থেকে শক্তিশালী চাহিদা—বিশেষত উদীয়মান বাজারগুলো থেকে—স্বর্ণের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৈদেশিক রিজার্ভকে স্বর্ণ দিয়ে বৈচিত্র্যময় করা ডলার ও অন্যান্য মুদ্রার মূল্যের ওঠানামার বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা মার্কেটে অস্থিরতা থাকা সত্ত্বেও স্বর্ণের উচ্চমূল্য বজায় রাখতে সহায়তা করছে। বিনিয়োগকারীরা সোমবার নির্ধারিত মার্কিন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সাথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের আগে নেতিবাচক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন—যা ফেডারেল সরকারের ফান্ডিং শেষ হওয়ার একদিন আগে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই প্রভাবে ডলারের দরপতনের আশা করা হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদি ব্যয়ের বিল নিয়ে সমঝোতায় ব্যর্থতা শাটডাউন নিয়ে আসতে পারে, যা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে, বিশেষত শুক্রবারের বহুল প্রত্যাশিত কর্মসংস্থান প্রতিবেদন, যাতে সেপ্টেম্বরে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দুর্বলতা দেখা যাবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন। দুর্বল ডলার সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জন্য মূল্যবান ধাতুগুলোকে সস্তা করে তোলে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফেডের অক্টোবরের নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের পক্ষে অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে—এই পরিস্থিতি স্বর্ণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। তবে, ফেডের সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ ঘিরে অনিশ্চয়তা এখনও উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে, কারণ গত সপ্তাহে নীতিনির্ধারকরা আর্থিক নীতিমালা নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। বার্কলেস পিএলসি সম্প্রতি উল্লেখ করেছে যে মূল্যবান ধাতুগুলো ডলার এবং মার্কিন ট্রেজারির তুলনায় অতিমূল্যায়িত বলে মনে হচ্ছে না, যেখানে ফেডের পদক্ষেপ সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়টি কিছুটা প্রতিফলিত হওয়া উচিত, বিশেষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতার সম্ভাব্য হুমকির কথা বিবেচনা করলে। এই বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম 45% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর শক্তিশালী চাহিদা এবং ফেডের সুদের হার হ্রাসের নতুন প্রত্যাশার ফলে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। স্বর্ণের মূল্য এখন টানা তৃতীয় প্রান্তিক বৃদ্ধির পথে রয়েছে। মূল্যবান ধাতু সমর্থিত ETF-এ মূলধন প্রবাহ ইতোমধ্যেই 2022 সালের পর সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং ডয়েচে ব্যাংক এজি-সহ প্রধান ব্যাংকগুলো জানিয়েছে যে তারা আশা করছে স্বর্ণের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
স্বর্ণের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস ক্রেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স $3,802-এ অবস্থিত। এই লেভেল ব্রেক করলে $3,849 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বুলিশ প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে $3,906-এর লেভেলকে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, যদি পুলব্যাক ঘটে, তবে বিক্রেতারা মূল্যকে $3,756 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই লেভেল ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হবে এবং স্বর্ণের মূল্য $3,705-এ নেমে যেতে পারে , এমনকি $3,658 পর্যন্ত আরও দরপতন ঘটতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3IjGG04
-
৩০ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/559697022.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যার অধিকাংশই জার্মানি থেকে প্রকাশিত হবে। ইউরোর জন্য জার্মানির প্রতিব্দন গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জার্মানি ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি। তবে এটি ২৭টি দেশের মধ্যে কেবল একটি দেশ, তাই জার্মানির প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া সাধারণত সীমিত হয়। আজকের প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে খুচরা বিক্রয়, বেকারত্বের হার, বেকারের সংখ্যা পরিবর্তন, এবং মুদ্রাস্ফীতি। স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে মুদ্রাস্ফীতি, যা বৃদ্ধি পেয়ে 2.3%-এ পৌঁছাতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি যত বেশি হবে, ইউরোর জন্য তত ভালো, কারণ এতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) আরেক দফা আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের সম্ভাবনা হ্রাস পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ JOLTs চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, আর যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশিত হবে। অর্থাৎ, বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং এর মধ্যে কিছু প্রতিবেদনের ফলাফল নিশ্চিতভাবেই মার্কেটে মুভমেন্ট সৃষ্টি করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/928141389.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার আরও বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে, তবে আমরা প্রতিটি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বক্তৃতা নিয়ে আলোচনা করব না। শুধু গতকালই ইসিবি এবং ফেডের প্রতিনিধিদের অন্তত দশটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেগুলো মার্কেটে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য, যদিও এটিও ট্রেডারদের মধ্যে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করবে না। বর্তমানে ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই, তাই লাগার্দের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বা দৃঢ় কোনো বক্তব্যের আশা করা উচিত নয়। কেবল সেপ্টেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ইসিবির অবস্থানের পরিবর্তন হতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য দুই দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, যা নির্দেশ করে যে ইউরোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে। EUR/USD: 1.1745–1.1754 এরিয়া এখনও প্রাসঙ্গিক, কারণ গতকাল এখান থেকে একটি রিবাউন্ড ঘটেছে। GBP/USD: মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া ব্রেক করেছে, তাই নতুন লং পজিশনের লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3466–1.3475 লেভেল এখনও সঠিক রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3KNgcof
-
৩ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, এবং এর মধ্যে কেবল একটিই সত্যিকার অর্থে গুরুত্বপূর্ণ - সেটি হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে প্রকাশিতব্য পরিষেবা খাতের PMI। এই সূচকের পাশাপাশি, আমরা জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইইউ-এর পরিষেবা খাতের PMI-এর দ্বিতীয় অনুমান, সেইসাথে ইইউ-এর উৎপাদক মূল্য সূচকও প্রকাশিত হতে দেখব। তবে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। এছাড়াও, আজ যুক্তরাষ্ট্রে নন-ফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের কথা ছিল, তবে সম্ভবত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া মার্কিন সরকারের "শাটডাউন"-এর কারণে তা প্রকাশ করা হবে না। অতএব, আজ ট্রেডারদের মূল মনোযোগ ISM পরিষেবা খাতের PMI-এর উপর থাকবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1017082263.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাপতি ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা। লাগার্ড সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারেন, অন্যদিকে অ্যান্ড্রু বেইলি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করতে পারেন। উভয় বক্তৃতাই সম্ভাব্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ফেডের প্রতিনিধিদেরও বেশ কয়েকটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, যারা শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের প্রতিবেদন প্রকাশিত না হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীসের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন। ফেডের পরবর্তী বৈঠক অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হবে নির্ধারিত হয়েছে, যার মধ্যে শাটডাউন শেষ হয়ে যেতে পারে। তবে, শাটডাউনের কারণে অক্টোবরের প্রতিবেদন "অসম্পূর্ণ" হতে পারে। সুতরাং, ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের দিকেও বাড়তি মনোযোগ দেয়া উচিত।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/105018233.jpg[/IMG]
উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোর মূল্যেরও নিম্নমুখী প্রবণতা সম্পন্ন হয়েছে (যদিও এটির মূল্য এখনও ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেনি)। ইউরোর ট্রেডিং জোন হচ্ছে 1.1745–1.1754, যেখানে পাউন্ডের ক্ষেত্রে এন্ট্রি এরিয়া হচ্ছে 1.3466–1.3475 এবং 1.3413–1.3421।
Read more: https://ifxpr.com/4nzkUEV
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ৬ অক্টোবর: S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে সামান্য কারেকশন হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1687457237.jpg[/IMG]
গত শুক্রবার, মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফলের সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.01% বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক 0.28% হ্রাস পেয়েছে। শিল্পখাতভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.51% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রযুক্তি খাতভিত্তিক কোম্পানিগুলোর স্টকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুক্রবার কিছুটা মন্থর হয়, রেকর্ড উচ্চতা থেকে মূল্য়ের কারেকশন শুরু হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঘিরে প্রচলিত আশাবাদের মধ্যে হামাসকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর বার্তা এবং মার্কিন সরকারের চলমান শাটডাউনের ফলে অর্থনৈতিক দুর্বলতার লক্ষণ প্রকাশের কারণে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছেদ পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ঋণ গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ 10-বছর মেয়াদী বন্ডের ইয়েল্ড বা লভ্যাংশ শুক্রবার একদিনেই পাঁচ বেসিস পয়েন্টের বেশি কমে যায়। প্যালান্টির টেকনোলজিস ইনকর্পোরেটেডের স্টক সবচেয়ে বেশির দরপতনের তালিকায় অন্যতম ছিল, বড় ধরনের যোগাযোগ সংকট সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর যেটির দর ৭.৫% হ্রাস পেয়েছে। দিনের শেষভাগে দরপতন সত্ত্বেও S&P 500 সূচকে সামান্য প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল—এটি জুলাই মাসের পর থেকে এখন পর্যন্ত সূচকটির সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পরিণত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্কবার্তায় বলেন, যদি হামাস গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ থামাতে তার প্রস্তাবে সম্মত না হয়, তাহলে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। নিউইয়র্ক মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার কিছু আগে হামাস ট্রাম্পের প্রস্তাবের কিছু শর্ত—যার মধ্যে জিম্মি মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—গ্রহণ করে, ফলে হামাস রবিবার পর্যন্ত বেঁধে দেয়া সময়সীমার আগেই সাড়া দিয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত ISM পরিষেবা খাতের প্রতিবেদনের ফলাফল অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে—যেখানে মহামারির পর প্রথমবারের মতো ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড হ্রাস পায় এবং নতুন অর্ডার বৃদ্ধির সংখ্যা খুবই কম ছিল। এটি উদ্বেগের বিষয়, কারণ পরিসেবা খাত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি—জিডি ি এবং কর্মসংস্থানের একটি বড় অংশের উৎস। এই মন্থরতার কারণ হিসেবে একাধিক বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি এবং ক্রেতাদের চাহিদা কমে যাওয়া। ঋণ গ্রহণের খরচ বেড়ে যাওয়া ব্যবসাগুলোর ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, আর পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের আয় হ্রাস পাচ্ছে—যা পরিষেবা খাতের চাহিদাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। তবে, ISMসূচকের হতাশাজনক ফলাফল সত্ত্বেও এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে সামগ্রিকভাবে দেশটির পরিষেবা খাত এখনো স্থিতিশীল রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে সোয়াপ ট্রেডারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে যে অক্টোবর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমাবে, যদিও শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি। গত সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায় এ নিয়ে যে, আরও কতটা সুদের হার কমানো প্রয়োজন—পূর্বে তারা সুদের হার এক-চতুর্থাংশ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে এনেছিল। শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট অস্টেন গুলসবী তার আগের অভিমত পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সুদের হার কমানোর ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের অত্যন্ত সতর্ক হয়ে অগ্রসর হওয়া উচিত। অন্যদিকে, ফেডের গভর্নর স্টিভেন মিরান, যিনি সেপ্টেম্বর মাসে আরও বড় ধরনের হ্রাসের পক্ষে ছিলেন, বলেন—যদি আবাসন মূল্য অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়, তবে তিনি মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করবেন। কমোডিটি মার্কেটে, OPEC+-এর সরবরাহ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি $61-এর নিচে নেমে যায়, যদিও গাজা সংঘর্ষ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরে শুক্রবার তেলের মূল্য কিছুটা বেড়ে যায়। স্বর্ণের মূল্য পরপর সপ্তম সপ্তাহে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার হ্রাস এবং অব্যাহত মুদ্রাস্ফীতি জনিত উদ্বেগের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ ক্রয় বাড়িয়ে দিয়েছে। S&P 500 সূচকের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল $6,743 অতিক্রম করানো। সূচকটির দর এই লেভেল ব্রেক করলে নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে এবং পরবর্তী লেভেল $6,756-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। পাশাপাশি, বুলিশ ট্রেডারদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো $6,769 লেভেলের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, যা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায় এবং সূচকটি মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য $6,727 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের পক্ষ থেকে সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক হলে, সূচকটি দ্রুত $6,711 পর্যন্ত এবং সেখান থেকে $6,697 লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3VRgdKg
-
ইউরোপীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিবৃতি ইউরোর জন্য আংশিকভাবে সহায়ক হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/905814042.jpg[/IMG]
ফ্রান্সের রাজনৈতিক সংকটের ঝুঁকি যখন ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সরকারের শাটডাউনের দিকেই মোড় নিয়েছে, তখন ইউরোর দর দ্রুতই মার্কিন ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) দুই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি এখন এমন কোনো গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে না—কোনোদিক থেকেই নয়—যার ফলে তারা সুদের হার পরিবর্তনের ব্যাপারে এখনই কোনো সম্ভাবনা প্রকাশ করছেন না। এই অবস্থান ইউরোপীয় মুদ্রার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ানোর একটি অতিরিক্ত কারণ হিসেবে কাজ করছে। ইসিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গিনদোস এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন স্বীকার করেছেন যে একাধিক উপাদান এখন মূল্যস্ফীতিকে উভমুখীভাবে প্রভাবিত করছে। সোমবার মাদ্রিদে এক সম্মেলনে লুইস দে গিনদোস বলেন, "আমরা বলতে পারি যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকিগুলো এখন অনেকটাই ভারসাম্যপূর্ণ—আম া আমাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলছি এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও নিশ্চিত করা সম্ভব। আমরা আমাদের মুদ্রানীতির বর্তমান অবস্থানকে গ্রহণযোগ্য হিসেবেই বিবেচনা করছি। এর পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির হার, আমাদের নিজস্ব ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস এবং মুদ্রানীতি পরিবর্তনের কার্যকারিতা।" বিনিয়োগকারীরা এ বক্তব্যগুলোর প্রতি সতর্ক আশাবাদের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এটিকেই সুদের হার কমানোর সংকেতের অনুপস্থিতি হিসেবে দেখছেন, যা ইউরোপীয় অ্যাসেটের জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ইসিবি এখন থেকে সুদের হার পরিবর্তনের পূর্বে আগত প্রতিবেদনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। ইসিবির বেশিরভাগ নীতিনির্ধারক মনে করছেন তারা তাদের বর্তমান মুদ্রানীতির কাঠামো নিয়ে সন্তুষ্ট এবং নতুন করে নীতিমালা নমনীয় করতে হলে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের এতটাই ভিন্ন ধরনের ফলাফল আসতে হবে, যা এ মুহূর্তে তাদের মূল্য পূর্বাভাসের বাইরে। ইসিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছর মুদ্রাস্ফীতি ১.৭%-এ নেমে আসবে এবং এরপর ২০২৭ সালে তা আবার ১.৯%-এ ফিরে যাবে। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়বে—যা মূলত জার্মানি এবং অন্যান্য দেশগুলোর বাজেট ব্যয় বৃদ্ধির কারণে হবে। ফিলিপ লেইন উল্লেখ করেন—যদিও এই মুহূর্তে তিনি আরও নমনীয় আর্থিক নীতিমালার পক্ষে নন, কিন্তু নীতিনির্ধারকদের সামনে দুটি বিকল্প খোলা রয়েছে: সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা অথবা আরও কমানো। তিনি বলেন, "যদি মুদ্রাস্ফীতির হার নিম্নমুখী বা উর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, তাহলে একটু হ্রাসকৃত সুদের হার মধ্যমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা আরও ভালোভবে অর্জনে গ্রহণযোগ্য হতে পারে।" ফ্রাঙ্কফুর্টে এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইন আরও উল্লেখ করেন, "পদ্ধতিগতভাবে, আমাদের মুদ্রানীতি এমন হতে হবে যাতে এটি মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের প্রতি যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারে।"
EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র বর্তমানে ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1720 লেভেল ব্রেক করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কেবল এই লেভেল ব্রেক করা গেলে 1.1745 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1775 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ক্রেতাদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেলে পৌঁছানো কঠিন হবে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1820 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1685-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করছি। সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না হলে, 1.1655-এর লেভেল রিটেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই সঙ্গত হবে অথবা 1.1610 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য এই মুহূর্তে মূল লক্ষ্য হলো 1.3500 লেভেলের নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল ব্রেক করলে এই পেয়ারের মূল্য 1.3540-এ পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে, তবে এর পরে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট কঠিন হবে। দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3565 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3460 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইবে । যদি তারা সেখানে নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত যেতে পারে এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3365 পর্যন্তও নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4nFlcKs
-
মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্প্রসারিত হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1575618325.jpg[/IMG]
গতকাল বেশ কিছু মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল — যার মধ্যে ইউরো ও জাপানি ইয়েন সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। মিনিয়াপলিস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিল কাশকারির মন্তব্যের পর আবারও মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়, যেখানে তিনি সতর্ক করেন যে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার দ্রুত কমিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। মুদ্রানীতি নমনীয়করণের ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশার মধ্যে তার এই বক্তব্য কারেন্সি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। বিনিয়োগকারীরা, আগেভাগে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের ঝুঁকিগুলো বিবেচনায় নিয়ে, আবারও ডলারকেই তুলনামূলকভাবে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। কাশকারির মন্তব্য ফেডারেল রিজার্ভের সামনে থাকা মূল নীতিগত দ্বিধা স্পষ্ট করেছে। একদিকে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা ও কমতে থাকা মূল্যস্ফীতি সুদের হার কমানোর পক্ষে যৌক্তিকতা সৃষ্টি করছে; অন্যদিকে, অতিরিক্ত নমনীয় আর্থিক নীতিমালা নতুন করে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ফেডের প্রতি আস্থা দুর্বল করে দিতে পারে। এদিকে, ডলারের দর বৃদ্ধির প্রবণতা অন্যান্য মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে — বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর ক্ষেত্রে, যেগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এর ফলে মূলধন প্রবাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং এসব দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। মঙ্গলবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অর্থনীতি প্রতিপাদ্যে মিনেসোটা স্টার ট্রিবিউন কর্তৃক আয়োজিত একটি প্যানেল আলোচনায় কাশকারি বলেন, "আমরা অর্থনীতিতে মারাত্মক মূল্যস্ফীতির প্রবণতা লক্ষ্য করতে পারি। মূলত, আপনি যদি অর্থনীতিকে এর প্রকৃত উৎপাদন ও মূল্য নির্ধারণ সক্ষমতার চেয়ে দ্রুতগতিতে টানার চেষ্টা করেন, তাহলে শেষ পর্যন্ত আপনি শুধু বাড়তি মূল্যস্ফীতিই পাবেন।" মিনিয়াপলিস ফেড প্রেসিডেন্ট, যিনি এই বছর ফেডারেল ওপেন মার্কেট কওমিটির ভোটাধিকারপ্রাপ্ত সদস্য না হলেও নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, তিনি আরও সতর্ক করে বলেন যে বর্তমানে স্ট্যাগফ্লেশনের বা অর্থনৈতিক স্থবিরতার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে — কারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীর হচ্ছে এবং মূল্যস্ফীতি স্থায়ী হয়ে আছে। তিনি বলেন, "আমরা যে কিছু প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করছি, তা স্ট্যাগফ্লেশনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।"
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এখন মার্কেট বেশিরভাগ ট্রেডার ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের দেওয়া বক্তব্যের ওপর আরও ঘনিষ্ঠভাবে নজর দিচ্ছেন। সামনের দিনগুলোতে ডলারের মূল্যের মুভমেন্ট নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন — যা সরকারি অচলাবস্থা নিরসনের পর প্রকাশিত হবে — এবং ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের ওপর নির্ভর করবে। যদি মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী হতে থাকে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুর্বলতা স্পষ্ট হয়, তাহলে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, যা ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে। তবে, যদি মূল্যস্ফীতি উচ্চতর পর্যায়ে থাকে, তাহলে ফেড মুদ্রানীতি নমনীয় করা থেকে বিরত থাকতে পারে, যা ডলারের মূল্যকে বর্তমান লেভেলে থাকার জন্য সমর্থন প্রদান করা অব্যাহত রাখবে। EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী এখন ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1650 লেভেলে পুনরুদ্ধারের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। কেবল এই লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে পারলে 1.1680 লেভেল টেস্ট করার সম্ভাবনা তৈরি হবে। সেখান থেকে 1.1715 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে তা সম্ভব হবে শুধুমাত্র বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা থাকলে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে 1.1745 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে আমি মূল্য 1.1610 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য কার্যকলাপের প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও কেউ সক্রিয় না হয়, তবে 1.1570 এরিয়া রিটেস্ট বা 1.1530 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই যুক্তিসঙ্গত হবে।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে 1.3405 লেভেলের রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যার ওপরে পৌঁছানোটা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3490। অন্যদিকে, দরপতন ঘটলে মূল্য 1.3365 রেঞ্জে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে, তাহলে সেটি বুলিশ পজিশনের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং GBP/USD-এর মূল্য কমে 1.3325 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে 1.3280 লেভেল পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে বিবেচিত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4h1np0d
-
৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/788010538.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বৃহস্পতিবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং সবগুলো প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ। জার্মানিতে আমদানি, রপ্তানি এবং ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ট্রেডারদের মনোভাবের উপর অর্থবহ কোনো প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এমন মনে হতে পারে যে গতকাল প্রকাশিত জার্মানির শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল ইউরোর দরপতনের কারণ হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে—উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই ইউরোর দরপতন থেমে যায়। আজ যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্র—এই তিনটি প্রধান অঞ্চলের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে প্রায় কিছুই নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো — জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য। তবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট, কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেডের চেয়ারম্যানের বক্তৃতার গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন ফেডারেল রিজার্ভ কীভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে এবং মাসের শেষে সুদের হার নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা নিরসনের অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল ফেডের সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অনেক কর্মকর্তাই আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার পক্ষে মত দিয়েছেন। তবে মনে রাখা উচিত, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থা চলছিল না। আমরা এখন এমন এক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি, যেখানে প্রধান অর্থনৈতিক সূচকগুলোও প্রকাশিত হচ্ছে না। এই ধরণের প্রেক্ষাপটে ফেড "অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের" অবস্থান গ্রহণ করতে পারে: "যেহেতু প্রতিবেদন নেই — সেহেতু কোনো সিদ্ধান্ত নয়।" সংক্ষেপে বলা যায়, পাওয়েলের কাছে অনেক প্রশ্ন রয়েছে — এবং এই বক্তব্যই পুরো সপ্তাহের ট্রেডিংয়ের একমাত্র উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষভাগের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারেরই বিশৃঙ্খল ও অযৌক্তিক ট্রেডিং অব্যাহত থাকতে পারে। পুরো সপ্তাহজুড়েই উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চিত ছিল, আর পাওয়েলের বক্তব্য হয়তো মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলবে। নতুন ট্রেডারদের জন্য এখনো নিকটবর্তী গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা জোন থেকে ট্রেড করা সম্ভব; তবে মনে রাখতে হবে, মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি পরিপূর্ণ বা ধারাবাহিক পরিকল্পনা জন্য আদর্শ নয়। সতর্কতা অবলম্বন এবং যথাযথ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
Read more: https://ifxpr.com/4pYai45
-
১০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/321960769.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: পুরো সপ্তাহজুড়েই যেমনটি দেখা গেছে, শুক্রবারও খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূলত, এ পর্যন্ত এই সপ্তাহে একমাত্র উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রইতিবেদন ছিল জার্মানির শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন, যেটির ফলাফল আবারও অত্যন্ত দুর্বল এবং নেতিবাচক ছিল। এর বাইরে কিছু চোখে পড়ার মতো কিছু ঘটেনি। আজ যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজ্যুমার সেনটিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এটি খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কোনো সূচক নয়, এবং এই সপ্তাহে পরিলক্ষিত মার্কেটের পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেইচ্ছে যে ট্রেডাররা এখন আর ডলার কেনার পেছনে স্পষ্ট কোনো কারণ খুঁজছেন না — সেই একই মার্কিন ডলার যা বিগত আট মাসে আগ্রাসীভাবে বিক্রি হয়ে আসছিল।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ দুটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য মুসালেম এবং গুলসবি আজ বক্তব্য দেবেন। তবে মনে রাখা দরকার, গতকাল জেরোম পাওয়েল বক্তব্য দিয়েছেন এবং তিনি স্পষ্ট করেছেন যে ফেডের বর্তমান অবস্থান হলো: মুদ্রানীতির ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভরশীল, এবং ভবিষ্যতে সুদের হার কমানো হবে কি না, তা নির্ধারিত হয়নি। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে পাওয়েল একই কথা গত কয়েক মাস ধরে বারবার বলে এসেছেন। তিনি বছরের শেষ নাগাদ দুইবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নাকচ করে দিচ্ছেন না, কিন্তু তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়নি। বর্তমান প্রশ্ন হলো: যদি অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রম অচলাবস্থা চলতে থাকে, তাহলে ফেড কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, যখন মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং শ্রমবাজার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনসমূহই প্রকাশিত হয়নি?
উপসংহার: চলতি সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, এখনও প্রধান দুই কারেন্সি পেয়ারের (EUR/USD এবং GBP/USD) বিশৃঙ্খল ও অযৌক্তিক ট্রেডিং দেখা যাচ্ছে। এ পর্যন্ত উভয় পেয়ারের মূল্যের মূলত নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে — এবং কেন এমন হচ্ছে, তা স্পষ্ট করে বলা খুবই কঠিন। এর মানে হলো, আজ ইউরো ও পাউন্ডের দর আরও কমে যেতে পারে — এই মুহূর্তে এটি ঘটার জন্য বিশেষ কোনো কারণ প্রয়োজন নেই। সুতরাং, আজ 1.1571–1.1584 জোন থেকে EUR/USD-এর ট্রেডিং করা যেতে পারে, এবং 1.3329–1.3331 জোন থেকে GBP/USD-এর ট্রেড করা যেতে পারে ।
Read more: https://ifxpr.com/4pZU4rb
-
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/109414521.jpg[/IMG]
ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, অপরদিকে মার্কিন ডলার দরপতনের শিকার হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন রবিবার চীনের সঙ্গে পুনরায় বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তারপরও কারেন্সি ট্রেডাররা এখনো সতর্ক অবস্থান বজায় রেখেছে, এমনকি যখন মার্কিন স্টক মার্কেটে স্থিতিশীলতার প্রাথমিক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স বেইজিংকে অনুরোধ করেছেন যেন বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে দেশটি একটি যৌক্তিক পথ গ্রহণ করে। তিনি বলেন, যদি বাণিজ্য সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ট্রাম্পের কূটনৈতিক সক্ষমতা আরও বাড়বে। পরে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে সম্ভাব্য আপসের ইঙ্গিত দেন, কিন্তু পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন যে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধ চীনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, "চীনকে নিয়ে চিন্তা করবেন না—সব ঠিক হয়ে যাবে! সম্মানিত চেয়ারম্যান শি সম্প্রতি কঠিন সময় পার করেছেন। তিনি নিজের দেশে অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে আসতে চান না, আমিও তা চাই না। যুক্তরাষ্ট্র চীনকে সাহায্য করতে চায়, ক্ষতি করতে নয়!" ভ্যান্স ও ট্রাম্পের বিবৃতিগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বাণিজ্য সংঘর্ষ পুনরায় তীব্রতর হওয়ার কারণে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে বিঘ্ন ঘটেছে এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকলে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে। যেখানে ভ্যান্স সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান, ট্রাম্প সেখানে অপেক্ষাকৃত কঠিন অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আপসের ইঙ্গিত অনেকেই ইতিবাচক বলে গ্রহণ করলেও, চীনের প্রতি তাঁর সতর্কবার্তা ইঙ্গিত দেয় তিনি দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বিশ্লেষকদের মতে, দুই পক্ষই বাণিজ্যযুদ্ধের চড়া মূল্য সম্পর্কে সচেতন। বিশেষ করে চীন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হ্রাস পেলে দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা এবং কর্মসংস্থানে সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। ট্রাম্প ও ভ্যান্সের বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাম্প্রতিক বাণিজ্যভিত্তিক সিদ্ধান্তগুলো পরিবর্তনে চাপ দিয়ে যাবে, আবার একই সময়ে মার্কেটের বিচলিত বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতেও চাইছে যে এই উত্তেজনার আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা অনিবার্য নয়। সর্বাধিক সম্ভাব্য দৃশ্যপট হলো, দুই পক্ষই এখন সবচেয়ে আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে এবং মে মাসে নির্ধারিত নতুন শুল্ক আরোপের সময়সীমা আরও দীর্ঘস্থায়ীভাবে স্থগিত হতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, শুধু ডলারেরই দরপতন হয়নি—শুক্রবার স্টক মার্কেট, তেল এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি েও গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপভাবে অ্যাসেট বিক্রির প্রবণতা দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প হুমকি দেন যে, চীনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য পদক্ষেপের উত্তর দেওয়া হবে। এর আগে, রবিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রকে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি বন্ধ করতে হবে এবং অবশিষ্ট বাণিজ্য সমস্যার সমাধানে আরও আলোচনার প্রয়োজন। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, "প্রতিটি পদক্ষেপে উচ্চ শুল্কের হুমকি প্রদান চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার উপযুক্ত পথ নয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান অবস্থান অব্যাহত রাখতে, তবে চীন উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না এবং নিজের আইনগত অধিকার রক্ষা করতে কঠোর অবস্থান নেবে।" এই সবকিছু শুরু হয়েছিল গত সপ্তাহে, যখন চীন নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ ঘোষণা করে। এর প্রতিক্রিয়ায়, ট্রাম্প শুক্রবার ঘোষণা দেন যে, ১ নভেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনের পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপ করা, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের রপ্তানি সীমিত করা হবে এবং সম্ভবত চীনের জন্য বিমান উপাদান সরবরাহও স্থগিত হতে পারে। যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, ফরেক্স মার্কেট—বিশেষত মার্কিন ডলার—এই ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে দরপতনের শিকার হয়েছে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD এই মুহূর্তে ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1630 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্য 1.1660 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে। সেখান থেকে 1.1690-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডাররা সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। উর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হল 1.1720। যদি এই পেয়ারে মূল্য হ্রাস পায়, তবে মূল্য 1.1590 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ক্রেতারা সক্রিয় হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা উপস্থিত না থাকে, তবে 1.1545-এর লেভেল টেস্ট করা পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত অথবা 1.1510 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করার চিন্তা করা যেতে পারে। বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3360 লেভেলের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করানো। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হলে এই পেয়ারের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3390। এই লেভেল অতিক্রম করলে পরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যদিও সেখানে পৌঁছানো মূল্যের পক্ষে কঠিন হবে। চূড়ান্ত ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3425-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3290-এর দিকে চলে যাবে, এবং সেখান থেকে মূল্য আরও কমে 1.3260 পর্যন্ত যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/48rUxfp
-
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এ বছর আর সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1512880680.jpg[/IMG]
ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারক মেগান গ্রীন যখন ইঙ্গিত দেন যে তিনি অন্তত ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার কথা ভাবছেন, তখন ব্রিটিশ পাউন্ড চাপের মুখে পড়ে। গ্রীনের মতে, বিদ্যমান নীতিমালা মূল্যস্ফীতির ওপর দীর্ঘস্থায়ী চাপ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট কঠোর নয়। গত সোমবার লন্ডনে 'সোসাইটি অব প্রফেশনাল ইকোনোমিস্ট' সম্মেলনে বক্তব্য প্রদানকালে গ্রীন বলেন, এখন সুদের না কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিদ্যমান। তার দৃষ্টিতে, আগেভাগেই আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা হলে সেটি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিতে পারে, এবং পরবর্তীতে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ও কঠোর নীতিমালা আরোপের প্রয়োজন সৃষ্টি করতে পারে। এমন পরিস্থিতি কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর আঘাত হানবে না, বরং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটেও অস্থিরতা তৈরি করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। গ্রীন জোর দিয়ে বলেন, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি মোকাবেলায় দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ সুদের হারের দরকার হবে, যাতে চাহিদা কিছুটা দমন করে মূল্যস্ফীতির হার কমানো যায়। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং নতুন করে সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও সতর্কভাবে আর্থিক নীতিমালা বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করছে। গ্রীনের মতে, সুদের হার কমানো বন্ধ রাখা হলে সেটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আগের কঠোর আর্থিক নীতিমালার প্রভাব মূল্যায়নের জন্য আরও সময় দেবে—বিশেষ করে অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতির উপর তার প্রভাব মূল্যায়নের জন্য এটি করা প্রয়োজন। এই প্রতিবেদন-নির্ভর এবং সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নীতিগত ভুল এড়াতে সহায়তা করবে এবং মূল্যস্ফীতির হার লক্ষ্যমাত্রায় স্থায়ী প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রত্যাশা করছেন যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC) আগামী নভেম্বর সভায় সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেবে—যা হবে আগস্ট ২০২৪-এ শুরু হওয়া তিন মাসব্যাপী সুদের হার হ্রাসে প্রথম বিরতি। গ্রীনের মন্তব্যে বোঝা যায়, ফেব্রুয়ারি বৈঠকে যেখানে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা দুই-তৃতীয়াংশ মূল্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে, সেই বৈঠকও তিনি এড়িয়ে যেতে আগ্রহী হতে পারেন। ট্রেডাররা আরও প্রত্যাশা করছে যে ডিসেম্বরেও সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। MPC-তে দায়িত্বপ্রাপ্ত চারজন বাইরের সদস্যদের একজন হিসেবে, গ্রীন সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার ৪%-এ অপরিবর্তিত রাখতে সংখ্যাগরিষ্ঠের সঙ্গে একমত ছিলেন এবং আগস্ট মাসে যখন গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি ঋণ সুদের হার হ্রাসের পক্ষে নিয়ন্ত্রণকারী ভোট দেন, সেসময়ে নয় সদস্যের কমিটিতে গ্রীন ছিলেন চারজন ভিন্নমতালম্বীদের একজন। "আমি মনে করি আমাদের আর্থিক নীতিমালা এখনও কিছুটা কঠোর,"—গ্রীন বলেন। "তবে আগের চেয়ে কম কঠোর, এবং এটা উদ্বেগের কারণ—বিশেষ করে যখন আমি দেখতে পাচ্ছি যে গত ১২ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি আবার বাড়ছে।" ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আশা করছে মুদ্রাস্ফীতি অচিরেই ৪%-এর আশেপাশে পৌঁছাবে—যা তাদের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। "আমার উদ্বেগের কারণ হলো, আমরা সম্প্রতি এমন একটি সময় পার করেছি, যখন মুদ্রাস্ফীতি ১১%-এ পৌঁছেছিল, এবং আমার বিশ্বাস এটি মানুষের আচরণে প্রভাব ফেলেছে,"—তিনি আরও বলেন। "মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের প্রক্রিয়া এখনো চলমান রয়েছে, কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে সেটির গতি কমছে।" গ্রীনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে টেকসই সাফল্য আনতে হলে—বিশেষ করে যখন মূল্যস্ফীতির হার বেশ 'অস্থিতিশীল' প্রমাণিত হচ্ছে—তখন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে ট্রেডারদের প্রত্যাশার আরও কঠোর রাখতে হবে। "এর একটি উপায় হতে পারে প্রথমে সুদের হার বাড়ানো, তারপর কমানো,"—তিনি বলেন। "তবে আমি মনে করি, এইভাবে ঘন ঘন নীতিমালা পরিবর্তন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থার ব্যাঘাত ঘটে।" যেমনটি উপরে উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রীনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ পাউন্ড দরপতনের মুখে পড়ে। সাধারণত মার্কেটের স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা পাউন্ডকে সমর্থন করে, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে—যেখা ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি বাণিজ্য সংকট এবং কম প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিতে রয়েছে—এই অবস্থান কেবল স্টার্লিং-এর দুর্বলতাই বাড়িয়ে তোলে। টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম কাজ হবে 1.3295 লেভেল ব্রেক করানো। এতে সফল হলে তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3325-এর লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারে পারবে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করাও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.3360-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য 1.3260 লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইবে। এই লেভেল সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনে গুরুতর আঘাত হানতে পারে এবং GBP/USD-এর মূল্য 1.3230 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি সম্ভাব্যভাবে মূল্য আরও কমে 1.3200 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে মূল্যকে 1.1600 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এই লেভেল নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে পেয়ারটির মূল্যের 1.1630 লেভেলে পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1660 পর্যন্ত বাড়তে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সমর্থন ছাড়া তা অর্জন করা কঠিন হতে পারে। আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে এই পেয়ারের মূল্য 1.1690-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে যেতে পারে। যদি দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য 1.1570 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে বড় কোনো ক্রেতা সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য 1.1545 লেভেলে পর্যন্ত নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অধিক যুক্তিযুক্ত হবে অথবা 1.1510 লেভেলের আশপাশ থেকে লং পজিশন ওপেন করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4qewW8o