-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ সেপ্টেম্বর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/80610592.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্রই শূন্যের উপরে ওঠা শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 147.96 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ডলার কেনার জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়নি। গতকাল USD/JPY পেয়ারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়নি, যদিও মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের বক্তব্যে তুলনামূলকভাবে কঠোর অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছিল। বরং ডলারের অবস্থান কিছুটা দুর্বল হয়েছিল, যা সম্ভবত ফেডের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে মার্কেটের ট্রেডারদের পুনর্মূল্যায়নের কারণে হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মনে হচ্ছে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে আসার ঝুঁকির দিকে ক্রমবর্ধমান মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের পরবর্তী দিকনির্দেশনা নির্ধারিত হবে মার্কিন সামষ্টিক পরিসংখ্যান দ্বারা, তাই দিনের প্রথমার্ধে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই—বিশেষ করে জাপানে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা না থাকায়। এ কারণে রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং করা উচিত হবে, যেখানে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2-এর উপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1322761908.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 148.33-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 147.91-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 148.33-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের মূল্যের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 147.71-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 147.91 এবং 148.33-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 147.71-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে যাওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 147.28-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 147.91-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 147.71 এবং 147.28-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nkUFlt
-
স্বর্ণের ট্রেডিং সিগন্যাল, ২৪-২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫: মূল্য $3,791 (8/8 মারে - 38 SMA)-এর নিচে থাকা অবস্থায় স্বর্ণ বিক্রি করুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1315478679.jpg[/IMG]
ইউরোপীয় সেশনে স্বর্ণের মূল্য প্রায় 3,791.08-এর নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে। এই লেভেল থেকে আমরা একাধিক টেকনিক্যাল কারেকশন লক্ষ্য করেছি, তাই আগামী দিনগুলোতে এই ইন্সট্রুমেন্টটির বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে ট্রেড করার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বর্ণের দর 38-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ এরিয়ায় প্রায় 3,697 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। যদি স্বর্ণের মূল্য প্রায় 3,790-এর লেভেলের কাছে একটি ডাবল টপ প্যাটার্ন গঠন করে, তাহলে এটি স্বল্পমেয়াদে শর্ট পজিশন হোল্ড করে রাখার স্পষ্ট সিগন্যাল হিসেবে দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের মূল্য 3,791-এর লেভেল ব্রেক করে, তাহলে মূল্য +1/8 মারে লেভেলের প্রায় 3,828 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ঈগল সূচক নেগেটিভ সিগন্যাল দিচ্ছে, তাই যেকোনো টেকনিক্যাল রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এবং যতক্ষণ স্বর্ণের মূল্য 3,800 এর নিচে কনসোলিডেট করে, এটি সেল সিগন্যাল হিসেবে গণ্য হবে, যার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে আপট্রেন্ড চ্যানেলের নিচের অংশ প্রায় $3,700-এর লেভেল। যদি স্বর্ণের মূল্য আপট্রেন্ড চ্যানেল ব্রেক করে এবং 38-পিরিয়ড মুভিং এভারেজ 3,697-এর নিচে কনসোলিডেট করে, তবে এটি স্বল্পমেয়াদী সেল সিগন্যাল হিসেবে ধরা হবে। স্বর্ণের মূল্য সাইকোলজিক্যাল লেভেল $3,500 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। আগামী কয়েক ঘণ্টার জন্য আমাদের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা হলো 3,770 বা 3,785 এর আশেপাশে টেকনিক্যাল রিবাউন্ড হলে স্বর্ণের সেল করা। স্বর্ণের মূল্য এই দুই লেভেলের নিচে থাকা অবস্থায়, ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করবেন।
Read more: https://ifxpr.com/4muo3Es
-
https://forex-images.ifxdb.com/userf...4ed88ca429.jpg
USD/CHF। বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (SNB) সুদের হার সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হবে, এরপর ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মার্টিন শ্লেগেলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক আবারও মূল সুদের হার 0.0%-এ অপরিবর্তিত রাখবে, যা পরপর দ্বিতীয় বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত হবে, যদিও গত বছরের মার্চ থেকে টানা ছয়বার সুদের হার হ্রাস করা হয়েছিল। ট্রেডাররা প্রত্যাশা করছে এই বছর আর সুদের হার কমানো হবে না, তবে আগামী বছরের সম্ভাব্য পদক্ষেপ এখনো অনিশ্চিত। বিনিয়োগকারী ও ট্রেডারদের শ্লেগেলের বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ এতে নেতিবাচক সুদের হার নীতির পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিত থাকতে পারে। এই সিদ্ধান্ত সুইস ফ্রাঁর বিনিময় হারের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে এবং USD/CHF-এর মূল্যের মুভমেন্টে মোমেন্টাম নিয়ে আসবে। সুইজারল্যান্ডের মুদ্রাস্ফীতি এখনো SNB-এর লক্ষ্যমাত্রার নিচে রয়েছে, আর ফ্রাঁ সাম্প্রতিককালে শক্তিশালী হওয়ায় সেটি আবারও ব্যাংকটিকে নেতিবাচক সুদের হারের নীতি পুনরায় চালু করার কথা ভাবতে প্ররোচিত করতে পারে। এর ফলে "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা কার্যত বাতিল হয়ে যায় এবং ইঙ্গিত দেয় যে সুইস ফ্রাঁর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা কম। SNB-এর সিদ্ধান্তকে ঘিরে মূল ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে USD/CHF পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 0.7940 সাপোর্ট লেভেলের আশেপাশে সংকীর্ণ রেঞ্জে ওঠানামা করছে, যেখানে 9-দিন EMA অবস্থান করছে, মার্কিন ডলারের মাঝারি মেয়াদী দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণ করলে এই পেয়ারের মূল্য 0.7900 লেভেল—যা সাপ্তাহিক সর্বনিম্ন লেভেল এবং আগের দিন টেস্ট করা হয়েছিল—থেকে রিবাউন্ড অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দেবে এবং এই সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেভেল প্রায় 0.7975 লেভেলের উপরে ব্রেক করতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে, ক্রেতাদের লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে সাইকোলজিক্যাল লেভেল 0.8000-এ নিয়ে যাওয়া। অন্যদিকে, অপ্রত্যাশিত "হকিশ বা কঠোর" অবস্থান এই পেয়ারের তীব্র দরপতন ঘটাবে এবং মূল্যকে আবার 0.7900 লেভেলে ফিরিয়ে আনবে। আরও দরপতন বিক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত সেল সিগন্যাল হিসেবে ধরা হবে, যেখানে প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হবে 0.7855-এর কাছাকাছি অবস্থিত ইন্টারমিডিয়েট সাপোর্ট এবং 0.7830 লেভেলে চূড়ান্তভাবে পতন ঘটতে পারে—যা 2011 সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন লেভেল এবং গত সপ্তাহে রেকর্ড করা হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/46EXUwW
-
২৬ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/440968356.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেট করার পর পুনরায় নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক মুভমেন্ট ছিল। প্রবণতা এখন বিয়ারিশে পরিবর্তিত হয়েছে, তাই দরপতনই প্রত্যাশিত। তবে, বৃহস্পতিবারের দরপতন কেবল টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণেই ঘটেনি। মার্কিন সেশনে আমরা যেসব প্রতিবেদনের দিকে নজর দিতে বলেছিলাম সেগুলো প্রকাশিত হয়: ডিউরেবল গুডস অর্ডার এবং দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। উভয় প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডার ও বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, যা ডলারের মূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে উদ্দীপিত করেছে। সুতরাং, স্থানীয় পর্যায়ে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার যথেষ্ট ভিত্তি ছিল; তবে বৈশ্বিক পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদে মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে। মনে করিয়ে দিই, অনেক সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে, আর ফেড পুনরায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করা শুরু করেছে, যা ডলারের জন্য শক্তিশালী বিয়ারিশ ফ্যাক্টর।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এটি পুরো ইউরোপীয় সেশন জুড়ে গঠিত হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য 1.1737–1.1745 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করেছে। মাত্র প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে মূল্য 1.1655–1.1666 জোনে পৌঁছে গেছে। হঠাৎ করে দরপতন শুরু হওয়ায় শর্ট পজিশনে দ্রুত এন্ট্রি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যারা এতে সফল হয়েছেন তারা প্রায় 30–40 পিপস মুনাফা অর্জন করেছেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2111287177.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে বৈশ্বিক পর্যায়ে EUR/USD পেয়ারের একটি নতুন কারেকশন শুরু হয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের সহায়তায় হয়েছে। তবে সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য নেতিবাচক, তাই আমরা এখনো ডলারের শক্তিশালী দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। আমাদের দৃষ্টিতে, আগের মতোই মার্কিন মুদ্রার কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করা যেতে পারে—যার একটি আমরা বর্তমানে লক্ষ্য করছি। শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে; তবে উল্লেখযোগ্য হলো, বৃহস্পতিবার এই দরপতনের জন্য শক্তিশালী কারণ ছিল, কিন্তু আজ তা নাও থাকতে পারে। তাই আজ শুক্রবার যেকোনো দিকে মুভমেন্ট হতে পারে, এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আবারও ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। শুক্রবার ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে, সেইসাথে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এবং মার্কিন PCE মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যেগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা লাগার্দের বক্তব্যে তেমন কিছু আশা করছি না, তবে মার্কিন সূচকগুলোর ফলাফল ডলারের বিনিময় হারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/48GrO6m
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ সেপ্টেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/243670357.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1689 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। এই লেভেলের দ্বিতীয়বার টেস্ট হওয়ার সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যা সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর হওয়ার সুযোগ দেয়, যদিও এই পেয়ারের বড় ধরনের দরপতন হতে দেখা যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, যা মুদ্রাস্ফীতির মাঝারি পর্যায়ের চাপ নির্দেশ করে। এই বিষয়টি বৈশ্বিক ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে ঝুঁকি ও সুযোগের পুনর্মূল্যায়নের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তুলনামূলকভাবে বেশি স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করা মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য চাপের মুখে পড়ে, বিশেষত ইউরোর বিপরীতে। বিনিয়োগকারীরা, যারা ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক আক্রমণাত্মক অবস্থানের প্রত্যাশা করছিলেন, এখন আরও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে বিবেচনা করতে বাধ্য হচ্ছেন । পূর্বাভাস অনুযায়ী PCE সূচকের প্রকাশিত ফলাফলকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও সতর্ক অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে মার্কিন অ্যাসেঁটের প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ হ্রাস পাচ্ছে এবং উচ্চ রিটার্ন প্রদান করতে পারে এমন অ্যাসেটের দিকে মূলধন প্রবাহ শুরু হচ্ছে। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোন থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, কেবল বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেলের একটি বক্তব্য প্রত্যাশিত। কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বক্তব্য বিশেষ গুরুত্ব পাবে এবং মার্কেটে মুভমেন্টের সম্ভাব্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। নাগেলের অবস্থান, ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে তার মূল্যায়ন এবং নিকট ভবিষ্যতের পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে ঘনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য ইসিবির পরিকল্পনা নিয়ে যেকোনো সংকেত খুঁজবেন। সুদের হার সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আজ আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে বেশি মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1760-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1735-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1760-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র ইসিবির প্রতিনিধিগণ দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1721-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1735 এবং 1.1760-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1721-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1695-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1735-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1721 এবং 1.1695-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4pKkAV9
-
৩০ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1810995098.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবারের বেশিরভাগ সময় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করেছে। এটি বলা যায় না যে ডলারের তীব্র দরপতন হয়েছে, তবে টানা দুই দিন ধরে এটির দরপতন অব্যাহত রয়েছে। একইভাবে বলা যায় না যে মার্কিন সরকারী শাটডাউনের হুমকি বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে—যদিও ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে এই ধরনের কারণ প্রায় নিশ্চিতভাবেই বড় ধরনের প্রভাব ফেলত। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলারের দর তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে আমরা একটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন এঁকেছি, তবে এটি কিছুটা অনিশ্চিত। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোন—কোনো জায়গাতেই গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যার মাধ্যমে দিনেরবেলা স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার কারণটি ব্যাখ্যা করা যায়। আমাদের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী, মধ্যমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। যদিও বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে মৌলিক পটভূমি উপেক্ষা করছে, তবে এমন পরিস্থিতি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। এ সপ্তাহে মার্কিন মুদ্রার সামনে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কারণ রয়েছে, কারণ শ্রমবাজার, বেকারত্ব এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/152412418.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে সোমবার বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সবগুলোই প্রত্যাশা অনুযায়ী কার্যকর ছিল না। আমরা পূর্বের 1.1737–1.1745 রেঞ্জ পরিবর্তন করে এখন 1.1745–1.1754 এরিয়া নির্ধারণ করেছি। তাই ট্রেডারদের আজ এই আপডেটেড রেজিস্ট্যান্স জোন নিয়েই কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও বজায় রয়েছে। সামগ্রিকভাবে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ডলারের জন্য অনুকূল নয়, তাই আমরা এখনও মার্কিন মুদ্রার বড় ধরনের দর বৃদ্ধির আশা করছি না। আমাদের মতে, আগের মতোই, ডলারের মূল্যের কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের ওপর নির্ভর করা যেতে পারে—এবং বর্তমানে আমরা একটি কারেকশন লক্ষ্য করছি। মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের 1.1745–1.1754 রেঞ্জে ট্রেডিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকালই এই এরিয়া থেকে একটি রিবাউন্ড ঘটেছিল, যা দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.1655–1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করলে লং পজিশনের সুযোগ তৈরি হবে, যেখানে মূল্যের 1.1808-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ সপ্তাহে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি প্রভাবশালী হবে, একই সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ডলারের মূল্যকে নিম্নমুখী করার চেষ্টা করছেন।
Read more: https://ifxpr.com/4mD1q0D
-
৩ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/889024144.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, অপ্রত্যাশিতভাবে EUR/USD পেয়ারের দরপতন ঘটেছে। এর অর্থ এই নয় যে ডলারের মূল্য যথেষ্ট বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন করে স্থানীয় পর্যায়ে "ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা" শুরু হবে। তবে, এই সপ্তাহে মার্কেটে খুবই মিশ্র এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, ট্রেডাররা মার্কিন মুদ্রার জন্য প্রতিকূল অনেক কারণকে উপেক্ষা করেছে। যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল ডলারের দরপতনের জন্য আনুষ্ঠানিক কারণ ছিল। ইউরোজোনের বেকারত্বের হার অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে 6.3%-এ পৌঁছেছে, যা ইউরোর দরপতনের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবুও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমে শাটডাউন শুরু হয়েছে এবং শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আবারও দুর্বলতা দেখা গিয়েছে। আমাদের মতে, এই দুটি কারণ ইইউ-এর বেকারত্বের হারের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটিও লক্ষণীয় যে মুদ্রানীতির ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্রেডাররা এখন প্রায় 100% নিশ্চিত যে ফেড চলতি বছর শেষের আগে দুইবার সুদের হার কমাবে। তবে, আপাতত, এই সমস্ত কারণগুলোকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, যা মার্কেটের মুভমেন্টকে অযৌক্তিক করে তুলছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল—কিন্তু এটি একটি কার্যকর সিগন্যাল ছিল। ৫ ঘন্টা ধরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1745–1.1754-এর রেজিস্ট্যান্স জোনের আশেপাশে কনসলিডেট করেছিল। অবশেষে যখন রিবাউন্ড ঘটে, তখন মূল্য প্রায় ৫০ পিপস সঠিক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। যদিও এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666-এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, তবুও নতুন ট্রেডাররা মুনাফার জন্য ম্যানুয়ালি এই ট্রেড ক্লোজ করতে পারতেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1991359221.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে এবং এখনও মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে উঠতে পারেনি। ডলারের মৌলিক পটভূমি দুর্বল রয়েছে, তাই আমরা মার্কিন মুদ্রার মূল্যের দৃঢ় বৃদ্ধির আশা করছি না। আগের মতোই, ডলারের মূল্যের কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করা যেতে পারে, যার মধ্যে একটি আমরা বর্তমানে হতে দেখছি। শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের আবার 1.1745–1.1754 জোনের মধ্যে ট্রেড করার সম্ভাবনা রয়েছে। এই জোন থেকে একটি রিবাউন্ড হলে মূল্যের 1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এই জোন ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে মূল্যের 1.1808-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আরও যৌক্তিকভাবে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। শুক্রবার, ইইউতে ক্রিস্টিন লাগার্ড বক্তব্য দেবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, প্রাথমিকভাবে নন-ফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্বের হার প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু শাটডাউনের কারণে তা ইভেন্ট ক্যালেন্ডার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে আইএসএম পরিষেবা বিষয়ক পিএমআই।
Read more: https://ifxpr.com/4o5qb6Y
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৬ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/720094237.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করে ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 147.45 লেভেলটি টেস্ট করে—যা ডলার ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 10 পিপস পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হয়। জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সানায়ে তাকাইচি দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন—এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ইয়েন মার্কিন ডলারের বিপরীতে 300 পিপস দরপতনের শিকার হয়। তার অর্থনৈতিক উদ্দীপনা পরিকল্পনা এবং নমনীয় মুদ্রানীতি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ফরেক্স মার্কেটে ইয়েন বিক্রির প্রবণতা জোরদার করে। তাকাইচির নেতৃত্ব গ্রহণকে মার্কেটে স্পষ্টভাবে এই ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে যে, আগ্রাসী সরকারি ব্যয়ের নীতিমালা ও নিম্ন সুদের হারভিত্তিক "আবেনোমিকস" কৌশল চলমান থাকবে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে যে, যেসব নীতিমালা স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করতে পারে, সেগুলো দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি ইয়েনের আরও দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এখন এটি স্পষ্ট যে, স্বল্প-মেয়াদে ইয়েনের কার্যকারিতা মূলত নির্ভর করবে নতুন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ ও ব্যাংক অব জাপানের অবস্থানের ওপর। যদি তাকাইচি বড় আকারে প্রণোদনা কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেন এবং ব্যাংক অব জাপান মূল্যস্ফীতি নিয়ে নমনীয় অবস্থান অব্যাহত রাখে, তাহলে ইয়েনের মূল্যের ওপর নিম্নমুখী চাপ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আজকের ট্রেডিং কার্যক্রমে আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 151.02-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 150.35-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 151.02-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের দরপতন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 150.06-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 150.35 এবং 151.02-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/985890134.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 150.06-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 149.70-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 150.35-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 150.06 এবং 149.70-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3IHYiTt
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৭ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1507916442.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামা শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 150.26 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ডলার বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এই সিগন্যালের ফলস্বরূপ এই পেয়ারের মূল্য 40 পয়েন্টেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে। গতকাল বিকেলে যখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে বাজেট আলোচনা আরেক দফা ব্যর্থ হয় এবং সরকারি শাটডাউন আরও দীর্ঘায়িত হয় তখন মার্কিন ডলার মাঝারি মাত্রায় দরপতনের শিকার হয়। উল্লেখ্য যে দীর্ঘমেয়াদি শাটডাউন মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থা হ্রাস করে। এতে শুধু মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবই নয়, শাটডাউনের একটি সরাসরি প্রভাব অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রবাহের ওপরও পড়ে। যখন সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, তখন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশে বিলম্ব ঘটে, যার ফলে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায় এবং বিশ্লেষক ও ট্রেডারদের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরি করা কঠিন হয়ে পড়ে। সময়মতো প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে মার্কেটে একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। এসব কারণ সত্ত্বেও, জাপানি ইয়েনের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারেনি। জাপানে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ঘোষণাটি, যা গতকাল দেওয়া হয়েছে, এখনও ইয়েনের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করছে। নতুন নেত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, তিনি ভবিষ্যতের সংস্কারের ক্ষেত্রে নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে চান এবং প্রয়োজনে অর্থনৈতিক প্রণোদনা পুনরায় চালু করবেন। এই অবস্থান আবারো ব্যাংক অব জাপানের সুদের হার বৃদ্ধির পরিকল্পনার সাথে বিরোধ সৃষ্টি করছে। আজকের ট্রেডিং কৌশল হিসেবে আমি মূলত বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1837933365.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 150.97-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 150.58-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 150.97-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের দরপতন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 150.30-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 150.58 এবং 150.97-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 150.30-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 149.98-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এটি বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 150.58-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 150.30 এবং 149.98-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/42q6deL
-
স্বর্ণের মূল্য $4,000-এর উপরে পৌঁছেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/540102464.jpg[/IMG]
মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে শিগগিরই স্বর্ণের মূল্য $4,000-এ পৌঁছতে পারে। গতকাল সেই পূর্বাভাস বাস্তবে পরিণত হয়েছে। স্বর্ণের স্পট মূল্য প্রথমবারের মতো আউন্স প্রতি $4,000 অতিক্রম করেছে এবং বর্তমানে মূল্য প্রায় $4,036-এর আশেপাশে স্থির আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকার অচলাবস্থার কারণে দেশটির অর্থনীতিতে সম্ভাব্য গুরুতর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় স্বর্ণের মূল্য এই মাইলফলক অর্জন করেছে। স্বর্ণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ মাত্র দুই বছর আগেও এটি $2,000-এর নিচে ট্রেড করছিল। শুধু এই বছরেই, স্বর্ণের দর 50%-এর বেশি বেড়েছে — যার পেছনে কাজ করছে বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা, ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন, এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ। এতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বিশ্বের বৃহৎ ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনাসমূহ, যখন বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে স্বর্ণের ক্রয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। স্বর্ণের মূল্যের সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ ওয়াশিংটনের বাজেট সংকটের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা মার্কেটের সম্ভাব্য অস্থিরতা থেকে সুরক্ষা খুঁজছেন। আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে ফেডারেল রিজার্ভের অপেক্ষাকৃত নমনীয় অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত স্বর্ণকে আরও সহায়তা করেছে, কারণ স্বর্ণে সুদ নেই। বিনিয়োগকারীরাও এর প্রতিক্রিয়ায় ইটিএফে তাদের অ্যাসেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে। এমনকি, শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই, বাস্তব-স্বর্ণ ভিত্তিক ইটিএফে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাসিক বিনিয়োগ প্রবাহ দেখা গেছে। পাশাপাশি, ফেড কর্তৃক সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাজনিত কারণে দুর্ব হয়ে পড়া মার্কিন ডলার বিদেশি ক্রেতাদের কাছে স্বর্ণকে তুলনামূলকভাবে আরও সাশ্রয়ী করে তুলেছে—যা চাহিদা আরও বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে, এই সমস্ত উপাদানগুলোর একত্রিত প্রভাবে বর্তমানে স্বর্ণের ধারাবাহিক দর বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিনিয়োগকারীদের মনে রাখতে হবে যে স্বর্ণের মূল্যেরও অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিভিন্ন সম্ভাব্য পরিস্থিতি বিবেচনা করা উচিত। পোর্টফোলিওর বৈচিত্র্যময়তা বজায় রাখা এবং শুধুমাত্র স্বর্ণের ওপর মূলধন সংরক্ষণের নির্ভরশীলতা এড়ানো জরুরি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/152089511.jpg[/IMG]
ইতিহাস অনুযায়ী, প্রায়শই বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক সংকটের সময়ে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে থাকে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর স্বর্ণের দর প্রতি আউন্সে $1,000 ছাড়িয়েছিল, কোভিড-১৯ মহামারির সময় $2,000 অতিক্রম করেছিল, এবং ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, তখন তা $3,000 ছুঁয়েছিল। এখন, একটি নতুন অস্থিতিশীলতার পটভূমিতে এই মূল্যবান ধাতুটির দর $4,000 অতিক্রম করেছে— যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মৌখিক আক্রমণ। এর মধ্যে রয়েছে সরাসরি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে হুমকি এবং গভর্নর লিসা কুককে পদ থেকে সরানোর প্রচেষ্টা — যা সম্ভবত ফেডের স্বাধীনতার ওপর এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, এখন ক্রেতাদের জন্য নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স হলো $4,062। স্বর্ণের মূল্য সফলভাবে এই লেভেল ব্রেকআউট কওরে ঊর্ধ্বমুখী হলে $4,124 এরিয়ার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যার ওপরে ওঠা কিছুটা কঠিন হতে পারে। বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা $4,186-এর লেভেল। যদি দরপতন শুরু করে, তাহলে মূল্য $4,008 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে চাইবে। যদি স্বর্ণের মূল্য নিশ্চিতভাবে এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, তবে তা ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং স্বর্ণের দর $3,954 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে আরও দরপতনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হলো $3,906।
Read more: https://ifxpr.com/46ZMnIK