-
সপ্তাহের তৃতীয় দিন সূচক বেড়েছে বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারে। মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৩৫৮ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হয়েছে। এ বাজারে ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের কর্মদিবসে ১ হাজার ৩৪৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ছিল।ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে ১৩০টির দর বেড়েছে, ১৬৮টির কমেছে, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৫টির দর।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৪৭৫ পয়েন্ট হয়েছে। সিএসইতে ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ছিল। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে ১০৬টির দর বেড়েছে, ১১৭টির কমেছে এবং ৬২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1732567929.jpg[/IMG]
-
অবশেষে নয় বছর পর প্রত্যাহার করা হলো শেয়ারবাজারের ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার নিষেধাজ্ঞা। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আজ বুধবার এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে আজ বিএসইসির পক্ষ থেকে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এমন এক সময়ে বিএসইসি এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল, যখন শেয়ারবাজারে চাঙাভাব দেখা যাচ্ছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা। বাজার মূলধন পৌঁছেছে সাড়ে চার লাখ কোটি টাকার রেকর্ড উচ্চতায়। এর আগে ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ধস নামলে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিএসইসি দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। সম্প্রতি বিএসইসি দেশের ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে বিদেশেও ব্রোকারেজ হাউসের ডিজিটাল বুথ খোলার নীতিমালা চালু করে। এরপরই ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় আজ।
-
বছরের শেষ লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়ে ৫ হাজার ৪০২ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।ডিএসই সূচক সর্বশেষ এর চেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল ২০১৯ সালের ৩০ জুন; সেদিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৪২১ পয়েন্টের ঘরে।বুধবার ছিল ২০২০ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের শেষ দিন। বছরের শেষ দিন ব্যাংক হলিডে থাকায় বৃহস্পতিবার আর লেনদেন হবে না।বুধবারের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৪০২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে পৌঁছেছে।সূচকের সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে ঢাকা পুঁজিবাজারে; সব মিলিয়ে ১ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে এদিন, যা গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।এর আগে এর চয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল ২৮ জুন। সেদিন ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।ডিএসইতে বুধবার হাতবদল হওয়া ৩৬২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ১২০টির দর বেড়েছে, ১৬৫টির কমেছে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭টির দর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/960520254.jpg[/IMG]
ঢাকার মত চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) এদিন সূচক বেড়েছে। এ বাজারের প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ১৫ হাজার ৫৯২ পয়েন্ট হয়েছে।সিএসইতে ৭১ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ৪২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ছিল।এ বাজারে লেনদেন হওয়া ২৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ৯৮টির দর বেড়েছে, ১৪৩টির কমেছে এবং ৪৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
নতুন বছরের প্রথম লেনদেনে সূচকের রেকর্ড উত্থান হয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে।রোবব র ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিন থেকে ২১৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বা ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬১৮ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।এই সূচক গত সাড়ে ২১ মাসের মধ্যে বেশি। এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ এর চেয়ে বেশি সূচক ছিল ৫ হাজার ৬৩১ পয়েন্ট।রোববার ঢাকার বাজারে একহাজার ৯২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা আগের কর্মদিবসে ১ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ছিল।এই লেনদেন গত ছয় মাসের মধ্যে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি লেনদেন ছিল ২৮ জুন ২০২০। সেদিন লেনদেন ছিল ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৫ লাখ।ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৩টির, আর কমেছে ৫৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির দর।ঢাকার অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৫৭ দশমিক শূন্য ৪১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৯৯ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১১৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৭৮ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1278597942.jpg[/IMG]
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৭২ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।সিএসইতে ৬৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৭১ কোটি ১২ লাখ টাকা।সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৮টির, কমেছে ৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির দর।
-
নতুন বছরের দ্বিতীয় লেনদেন দিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক পৌঁছেছে ২২ মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে, লেনদেন ছাড়িয়েছে গেছে ২১ শ কোটি টাকা।সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৬৫২ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট হয়েছে।ডিএসইএক্স এর ঘরে এর আগে এর চেয়ে বেশি পয়েন্ট ছিল ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ। সেদিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৬৫৩ দশমিক ২২ পয়েন্টে।ঢাকার বাজারে এদিন ২ হাজার ১৯৩ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯২৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।এর আগে ২০২০ সালের ২৮ জুন ঢাকার পুঁজিবাজারে ২ হাজার ৫৪৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা লেনেদেন হয়েছিল। সেদিন গ্লাক্সোস্মিথক্ল ইন (জিএসকে) বাংলাদেশের ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি শেয়ার ইউনিলিভার ওভারসিজ হোল্ডিংস বিভির কাছে হস্তান্তরের ফলে মন্দার পুঁজিবাজারে হঠাৎ উল্লম্ফন দেখা দিয়েছিল।তার চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল সর্বশেষ ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর। সেদিন ২ হাজার ৭১০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল ঢাকার বাজারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1324034981.jpg[/IMG]
সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ১৫৭টির দর বেড়েছে, ১৪২টির কমেছে; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির দর।চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ১০৭ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ১৬ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে পৌঁছেছে।সিএসইতে ৮১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এদিন, যা আগের দিন ৬৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা ছিল।এ বাজারে লেনদেন হওয়া ২৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের মধ্যে ১৪৭টির দর বেড়েছে, ১০৪টির কমেছে এবং ৪০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
1 Attachment(s)
আইপিওর ক্ষেত্রে নতুন বিধান বিনিয়োগ বাড়াবে শেয়ারবাজারে
[ATTACH]13317[/ATTACH]
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর লটারি তুলে নেওয়া ও আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষক ও বাজারসংশ্লিষ্টরা আইপিও আবেদন করতে হলে সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম বিনিয়োগের যে বিধান করা হয়েছে, সেটিকেও স্বাগত জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্ট সবাই।গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিওতে লটারিপদ্ধতি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পাশাপাশি আইপিও আবেদনের আগে একজন বিনিয়োগকারীর সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হয়। এ ছাড়া আইপিও আবেদনের ন্যূনতম চাঁদা নির্ধারণ করা হয় ১০ হাজার টাকা। তবে আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে কোনো ঊর্ধ্বসীমা রাখা হয়নি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যখন কোনো আইপিওতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আবেদন (ওভার সাবস্ক্রিপশন) জমা পড়বে, তখন প্রত্যেক আবেদনকারী একজন আবেদনকারী ধরে তার ভিত্তিতে শেয়ার বণ্টন করা হবে। আর যখন প্রয়োজনের চেয়ে কম আবেদন (আন্ডার সাবস্ক্রিপশন) জমা হবে, তখন যিনি যত টাকার আবেদন করেছেন, তার ভিত্তিতে শেয়ার বণ্টন করা হবে।এদিকে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসইসির নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ যেমন বাড়বে, তেমনি আইপিওতে আবেদনও অনেক গুণ বেড়ে যাবে। বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দুইটি অংশ আছে। তার মধ্যে একদল সেকেন্ডারি বাজারে নিয়মিত লেনদেন করেন। অন্য দলটি শুধু আইপিও বাজারনির্ভর। বিএসইসির নতুন বিধানের ফলে সেকেন্ডারি বাজারের বিনিয়োগকারীরাও যেমন আইপিওতে আবেদনে আগ্রহী হবেন, তেমনি আইপিও আবেদনকারীদের সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম বিনিয়োগ করতেই হবে।জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, আইপিওর ক্ষেত্রে লটারি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো। এতে করে আইপিওতে আবেদনকারী অনেক বেড়ে যাবে। কারণ আবেদন করলেই সবাই কমবেশি শেয়ার পাবেন।সম্প্রতি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সবচেয়ে বড় মূলধনী কোম্পানি রবির আজিয়াটার আইপিওতে প্রায় ১২ লাখ ৮০ হাজার বিও (বেনিফিশারি ওনার্স) হিসাব থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবেদন করেন। এর মধ্যে প্রতি তিনজনে একজন আবেদনকারী লটারির পর রবির ৫০০ করে শেয়ার পেয়েছেন। যদি এসব বিনিয়োগকারীর আইপিও আবেদনের আগে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বা সেকেন্ডারি বাজারে ২০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে হতো, তাহলে সেকেন্ডারি বাজারে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসত।একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংকার বলছেন, আইপিও আবেদনের আগে সেকেন্ডারি বাজারে ন্যূনতম বিনিয়োগের বিধানের ফলে বাজারে যেসব নতুন বিনিয়োগ আসবে, তা ঘুরেফিরে দীর্ঘমেয়াদে বাজারে থাকবে। কারণ, আইপিওতে আবেদন করতে হলেই ন্যূনতম বিনিয়োগ দেখাতে হবে। তাই যেসব বিনিয়োগকারী শুধু আইপিওতেই বিনিয়োগ করেন, তাঁরা নির্দিষ্ট পরিমাণ একটি অর্থ দীর্ঘমেয়াদি সেকেন্ডারি বাজারে বিভিন্ন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে রাখবেন।প্রসঙ্গত শেয়ারবাজারে আইপিওর কাজটি করে থাকে মার্চেন্ট ব্যাংক। তাদের একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে আইপিও প্রক্রিয়ার সময় ও খরচ কমিয়ে আনার কথা বলে আসছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। এ জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকারদের অনেকে বিএসইসির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে লটারি পদ্ধতি তুলে নেওয়ার কথা বলে আসছিলেন।সাধারণত যারা শেয়ারবাজারে আইপিওকেন্দ্রিক ব্যবসা করেন, তাঁদের কেউ কেউ আইপিওতে আবেদনের জন্য বিভিন্ন নামে বছরের পর বছর শত শত বিও হিসাব সংরক্ষণ করে থাকেন। শুধু আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে এসব বিও হিসাব ব্যবহার করা হয়। এতে লটারিতে আইপিও শেয়ার পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু এ কারণেই বার্ষিক মাশুল দিয়ে অনেকে বিভিন্নজনের নামে বিও হিসাব সংরক্ষণ করেন। আইপিওতে আবেদন করে শেয়ার না পেলেও পুরো টাকা ফেরত পাওয়া যায়, তাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না।স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শেয়ার ও বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলের হিসাবে, গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৪ হাজার বিও হিসাব শেয়ারশূন্য অবস্থায় আছে। এসব বিও হিসাবের বড় অংশই মূলত আইপিও আবেদনের জন্য ব্যবহার হয়।যদি এ ছয় লাখ বিও হিসাব থেকে আগামীতে আইপিও আবেদন করতে হয়, তাহলে প্রত্যেক বিও হিসাবের বিপরীতে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ করতে হবে। তাতে সেকেন্ডারি বাজারে প্রায় ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ আসবে।জানতে চাইলে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ মুসা প্রথম আলোকে বলেন, লটারি পদ্ধতি তুলে দেওয়ার ফলে আইপিওতে আবেদনকারী অনেক বেড়ে যাবে। কারণ, সবাই শেয়ার পাবেন, এ নিশ্চয়তা থেকে সবাই আবেদন করবেন। এ ছাড়া আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিনিয়োগের যে সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, তাতে সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগ বাড়বে। পাশাপাশি আইপিওর জন্য শত শত বিও হিসাব সংরক্ষণের প্রবণতাও কমে যাবে।
-
1 Attachment(s)
৩০ শতাংশ শেয়ার নেই কোম্পানিগুলোতে নতুন বোর্ড গঠন! পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বর্তমানে ২৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করা ঐ কোম্পানিগুলোতে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ রোবাবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিষয়টি দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বর্তমানে ২৯টি কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই। এর মধ্যে ৯টি কোম্পানিতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ হতে কিছু শেয়ার বাকি আছে। তারা সময়ে চেয়ে আবেদন করেছে। নির্ধারিত অল্প সময়ের মধ্যে তারা কোটা পূরণ করবে। আর বাকি ২০টি কোস্পানির শেয়ার ধারণ করতে অন্তত ৩-২৯ শতাংশ শেয়ার কিনতে হবে। ফলে এই ২০ কোম্পানিতে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে বোর্ড পুনঃগঠনের নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো- ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, নর্দান জুট, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, ফার্মা এইড, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, স্যালভো কেমিক্যালস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, কে অ্যান্ড কিউ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যাল, অগ্নি সিস্টেম, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, অ্যাপোলো ইস্পাত, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল, ফ্যামিলিটেক্স, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, ফু-ওয়াং সিরামিকস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন এবং ইমাম বাটন।
[ATTACH=CONFIG]13331[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
নতুন বছরে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত কয়েক মাস ধরেই শেয়ারবাজার ছিল চাঙ্গা। গত মাসে শেয়ারবাজারের বাজারমূলধন রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। আর বছরের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক দেড়বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠে আসে। লেনদেনও বাড়তে থাকে। ডিএসইর লেনদেন গত এক দশকের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টিকা অনুমোদনকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তারা ভাবছেন খুব শিগিগরই করোনার প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। এদিকে করোনা টিকার ব্যবসায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল ভালো মুনাফা করবে এই প্রত্যাশায় শেয়ারটির দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে গত কয়েক মাসে। এছাড়া পুরো ওষুধ খাতেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। যা বাজারকে চাঙ্গা করতে সহায়তা করেছে।
[ATTACH]13339[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারী, ভার নিতে পারছে না ডিএসই ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে
[ATTACH]13357[/ATTACH]
হাজার হাজার বিনিয়োগকারী হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে। বিনিয়োগকারীদের সেই ভার নিতে পারছে না সংস্থাটির আইটি ব্যবস্থা। ফলে লেনদেন করতে গিয়ে নানাভাবে সমস্যার মুখে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের ভার নিতে না পেরে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের স্বাভাবিক কার্যক্রম লেনদেন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ ব্যাহত হয়। তাতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিএসইর ওয়েবসাইটের যে সক্ষমতা, তাতে প্রতি সেকেন্ডে একসঙ্গে ৪ হাজার ৮০০ হিট নিতে পারে। কিন্তু গতকাল লেনদেন শুরুর পরপর প্রতি সেকেন্ডে ওয়েবসাইটটিতে হিট হয় ৫ হাজারের বেশি। এতে ওয়েবসাইটটির গতি কমে যায়। তাতে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য-উপাত্ত (রিয়েল টাইম ডেটা) পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী বা বিনিয়োগকারীরা। পরে হিট কমিয়ে দিয়ে ওয়েবসাইটের স্বাভাবিক অবস্থা ধরে রাখা হয়। একই অবস্থা ছিল ডিএসইর মোবাইল অ্যাপেও।ডিএসইর সংশ্লিষ্ট সূত্রটি আরও জানায়, ডিএসইর মোবাইল অ্যাপের যে সক্ষমতা, তাতে প্রতি সেকেন্ডে একসঙ্গে ৩০০ জন ব্যবহারকারী বা বিনিয়োগকারীর হিট নিতে পারে অ্যাপটি। কিন্তু গতকাল লেনদেন শুরুর বিভিন্ন পর্যায়ে গিয়ে এ অ্যাপে বিনিয়োগকারীর হিট প্রতি সেকেন্ডে ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। যখনই হিট ৫০০ ছাড়িয়েছে, তখনই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা কোনো লেনদেন করতে পারেননি। পরে হিট কমে গেলে লেনদেনও স্বাভাবিক হয়। এভাবে দিনভর বিভিন্ন সময়ে হিট বেড়ে যাওয়ার কারণে মোবাইল অ্যাপের লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে। বিনিয়োগকারীদের ভার নিতে না পেরে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের স্বাভাবিক কার্যক্রম লেনদেন চলাকালে হঠাৎ হঠাৎ ব্যাহত হয়। তাতে লেনদেনে বিঘ্ন ঘটে।ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল থেকে ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপসহ লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কোনো সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের অনেকে বলছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণেই লেনদেন বিঘ্নিত হয়েছে।
-
1 Attachment(s)
অনেক বিনিয়োগকারি রবির শেয়ার ক্রয় করতে চাচ্ছেন কিন্তু তারা ক্রয় করতে পারছেনা কারন রবির শেয়ার হল্টেড। হল্টেড এর অর্থ হল যখন কোন শেয়ার বায়ারলেস অথবা সেলারলেস থাকে তখন সেই শেয়ারকে হলট্রেড বলা হয়ে থাকে। রবির শেয়ার ক্রয় করার অধিক চাহিদার প্রখান্তরে রবির শেয়ার বিক্রয় করার জন্য কোন বিনিয়োগকারি না থাকায় রবি হলট্রেড হয়। রবির শেয়ার এতবেশি হওয়া সত্ত্বেও রবির সেলার না থাকার কারনে রবির ট্রাঞ্জেকশন খুবি স্বল্প পরিমাণে হচ্ছে যার কারনে অনেক বিনিয়োগকারি রবির শেয়ার কিনতে চাইলেও রবির শেয়ার সেলারলেস হওয়ার কারনে অনেকেই রবির শেয়ার ক্রয় করতে পারছেনা। বিশেষ করে নতুন বিনিয়োগকারিরা আপনারা যখন শেয়ার ক্রয় করার অর্ডার প্লেস করেন দেখাযায় তার আগে লাখ লাখ বিনিয়োগকারিরা অর্ডার প্লেস করে রাখেন কিন্থু যেহেতু বাজারে রবির শেয়ারের সেলার কম থাকায় আপনাদের প্রত্যাশিত শেয়ার ক্রয় করতে পারছেনা। কিন্তু যখন শেয়ার বাজারে রবির শেয়ারের বায়ার ও সেলারের সমতা থাকবে তখন সবাই রবির শেয়ার ক্রয় করতে পারবেন।
[ATTACH=CONFIG]13375[/ATTACH]