-
সুদের হার আরও কম হওয়া উচিত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/791952750.jpg[/IMG]
গতকাল, বোস্টনের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সুসান কলিন্স বলেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলতি বছর সুদের হার আরও কমানো উচিত, যাতে শ্রমবাজারকে সহায়তা প্রদান করা যায় — তবে সেইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সুদের হারকে যথেষ্ট উচ্চ পর্যায়ে রাখাও প্রয়োজন। মঙ্গলবার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব বোস্টনের একটি অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তৃতায় কলিন্স বলেন, "যেহেতু মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি কিছুটা সীমাবদ্ধ হয়ে এসেছে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির ঝুঁকি বেড়েছে, তাই শ্রমবাজারকে সহায়তা করার জন্য এ বছর আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের প্রবণতা অব্যাহত রাখা যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে হচ্ছে।" তাঁর এই মন্তব্য এমন এক সময় এসেছে যখন ফেডের ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক চলছে, এবং ট্রেডাররা এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। কলিন্সের বক্তব্য ফেডের দায়িত্বের জটিলতা তুলে ধরেছে — একদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, অন্যদিকে শ্রমবাজারকে সক্রিয় রাখতে হবে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, তবুও তা এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়ে গেছে। তাই কলিন্স ধীরে-ধীরে সুদের হার কমানোর পদ্ধতির পক্ষে মত দিয়েছেন — যা তুলনামূলকভাবে উচ্চ স্তরে সুদের হার বজায় রেখেই গৃহীত হবে এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব হতে পারে। তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে ফেডের নীতিগত কৌশল নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, দ্রুত এবং তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় সুদের হার হ্রাস করা উচিত যাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রাধান্য দেওয়া যায়, যদিও তার ফলে অস্থায়ীভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। অন্যদিকে, অনেকেই আরও সতর্ক পদক্ষেপের পক্ষে যারা মনে করেন, খুব দ্রুত সুদের হার কমালে মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে। কলিন্স বলেন, "সামান্য অতিরিক্ত নমনীয় নীতিমালার পরেও আর্থিক নীতিমালা এখনও কিছুটা সীমাবদ্ধ থাকবে।এর ফলে, যখন শুল্কজনিত প্রভাব অর্থনীতির ভেতর পুরোপুরি কাজ করা শুরু করবে, তখন মুদ্রাস্ফীতি আবারও কমে আসবে।" এখন বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন যে, চলতি মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠেয় ফেডের বৈঠকে সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে — গতকাল ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলও একই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটি হলে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার হ্রাস করা হবে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে, ফেড মূল সুদের হার এক চতুরাংশ পয়েন্ট কমিয়ে 4.00–4.25%-এ নামিয়ে এনেছিল। কলিন্স আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কর্মসংস্থান হ্রাসের পেছনে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা কঠিন — এটি শ্রম চাহিদার কমে যাওয়ার ফল, না কি অভিবাসন কমে যাওয়ার ফলে শ্রমের যোগান কমেছে তা এখনই বলা মুশকিল। তাঁর মতে, বেকারত্বের হার স্থিতিশীল রাখতে যা প্রতি মাসে প্রয়োজন, সেই হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা মহামারির আগের প্রায় 80,000 থেকে কমে এসে এখন 40,000-এ পৌঁছে যেতে পারে। বোস্টন ফেডের প্রধান আরও যুক্ত করেন, তিনি আশা করছেন ২০২৫ সালের শেষ ভাগে এবং ২০২৬ সালের শুরুতে বেকারত্বের হার কিছুটা হলেও বাড়বে – তবে তা তুলনামূলকভাবে সীমিত মাত্রায়। সুসান কলিন্সকে সুদের হারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে তিনি বলেন, আর্থিক নীতিমালা কোনো পূর্ব নির্ধারিত পথ অনুযায়ী চলে না এবং তিনি এমন একটি পরিস্থিতিরও কল্পনা করতে পারেন, যেখানে অক্টোবর মাসে সুদের হার হ্রাসের পর নীতিনির্ধারকরা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন — বিশেষ করে যদি মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, "সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস যথোপযুক্ত হতে পারে, তবে আমি মনে করি আমাদের আগেভাগেই কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।" ফেডের আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষিতে কলিন্সের এইসব মন্তব্যের পর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন শুরু হয়।
ফেডের আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষিতে কলিন্সের এইসব মন্তব্যের পর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন শুরু হয়। এখন EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে 1.1630 লেভেল ব্রেক করিয়ে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1660 লেভেল টেস্ট করানোর পরিকল্পনা করতে পারবে। এরপর সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1690 লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে — তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে এই উচ্চতায় পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1715 লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে 1.1600 লেভেলের দিকে যায়, তাহলে বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। যদি তারা সক্রিয় না হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1570 লেভেলে নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1545 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হবে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3360 ব্রেক করানো। কেবল এরপরই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3390-এ পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী হওয়া যাবে, যেখান থেকে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3425 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হলে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধরনের আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও নিচে 1.3290 এবং সম্ভবত 1.3250-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4n7GMGa
-
মিরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1856210220.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে, কারণ ফেডারেল রিজার্ভের আরও বেশি সংখ্যক কর্মকর্তারা অক্টোবরের শেষের দিকে নির্ধারিত বৈঠকে সুদের হার কমানোর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করছেন। স্টিভেন মিরান, যাকে প্রায়শই 'ট্রাম্প-নিযুক্ত' ফেড কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তিনি গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে এখন নীতিনির্ধারকদের জন্য দ্রুত সুদের হার হ্রাস করা আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বুধবার মিরান বলেন, "বর্তমানে সুদের হার হ্রাসের ফলে সম্ভাব্য ঝুঁকির সম্ভাবনা আগের চেয়ে অনেক কম।" তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধকে ঘিরে বেড়ে চলা অনিশ্চয়তা নতুন করে ব্যাপক ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। তিনি যোগ করেন, "আমি বলব, এখন আমি গত সপ্তাহ বা গত মাসের তুলনায় আরও কম সুদের হার চাই। তবে ঝুঁকির এই পরিবর্তিত ভারসাম্যের পরিপ্রেক্ষিতে, আমি মনে করি এখন আরও নিরপেক্ষ আর্থিক নীতিমালার দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়া জরুরি।" স্পষ্টতই অনেক অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষক মিরানের এই অবস্থানের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে বর্তমান অনিশ্চয়তার মধ্যে অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে সুদের হার হ্রাস অত্যন্ত জরুরি—মার্কিন ডলারে দরপতনের মাধ্যমে এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। তবে অন্যদিকে, দ্রুত সুদের হার কমানোর এই অভিযানের সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত সুদের হার হ্রাসের ফলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে এবং জাতীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটতে পারে। এই কারণেই, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে আরও ভারসাম্যপূর্ণভাব এবং ধাপে ধাপে নীতিমালা নমনীয়করণের প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনে যুক্ত কোম্পানিগুলো নতুন করে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্যযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে — কারণ গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর অতিরিক্ত 100% শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। এর আগে চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জানায় যে তারাও প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের বিক্রয়ের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিবেচনা করবে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই মঙ্গলবার এক বক্তব্যে মার্কিন অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করেন এবং এটি নিশ্চিত করেন যে, চলতি মাসের শেষের দিকে ফেড কর্মকর্তাদের আসন্ন বৈঠকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার এক চতুরাংশ পয়েন্ট (0.25%) হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে মন্থরতা ও সম্ভাব্য বেকারত্বের ঝুঁকি — এই দুটি বিষয়কেই এই সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করতে পারে, যদিও মূল্যস্ফীতি এখনও ফেডের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার ওপরে রয়েছে। বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন 1.1680 লেভেল ব্রেক করিয়ে এই পেয়ারের মূল্যকে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এটি করা গেলে মূল্যের 1.1715 লেভেলে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্য 1.1745 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1765 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.1644 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হন, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1614 লেভেলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1580 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটি সফলভাবে ব্রেক করা গেলে তারা মূল্যকে 1.3480 লেভেলের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার ওপরে মূল্যের আরো অগ্রসর হওয়া কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3525 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3400-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা আবার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তবে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি বাই পজিশনের জন্য বড় ধরনের আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3370 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং এমনকি 1.3333 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4hg3rPh
-
১৭ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/537158787.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: আবারও দেখা যাচ্ছে যে শুক্রবারের ক্যালেন্ডারে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পূর্ববর্তী বিশ্লেষণগুলোতে আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে শুক্রবার কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, কিন্তু তা পুরোপুরি সঠিক নয়। আজ ইউরোজোনে সেপ্টেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হবে। তবে এটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, কারণ দ্বিতীয় অনুমান সাধারণত প্রথম অনুমানের সঙ্গে মিলে যায় এবং এটি কখনোই "উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন" প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয় না। এই প্রতিবেদন ছাড়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2037946343.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত থাকলেও, মার্কেটে সেগুলো সামান্য প্রভাব ফেলবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এই সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) কর্মকর্তাদের অন্তত ২০টি বক্তব্য অনুষ্ঠিত হয়েছে — কিন্তু এর কোনোটিই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। পূর্বে যেমনটি বলা হয়েছে, ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েল — উভয়েই গত কয়েক সপ্তাহে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন, যার ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে বেশ ভালোভাবে বুঝে নিতে পেরেছে যে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা কোন দিকে এগোচ্ছে। ইসিবি সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না, যেহেতু বর্তমানে এটি করার দরকার নেই। আর ফেডের পক্ষ থেকে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে, কারণ মার্কিন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট সূচকগুলোর ফলাফল এখনো বেশ দুর্বল। একই সঙ্গে, এটি স্পষ্ট যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কাছ থেকেও নিকট ভবিষ্যতে কোনো আর্থিক প্রণোদনামূলক পদক্ষেপের আশা করা যাচ্ছে না, কারণ যুক্তরাজ্যে ইতোমধ্যে এক বছরের বেশি সময় ধরে ধারাবাহিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে এবং বর্তমানে এটি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ পর্যায়ে অবস্থান করছে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং সেশন, সাম্প্রতিককালে ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউটের ভিত্তিতে প্রধান দুটি কারেন্সি পেয়ার — EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। EUR/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, 1.1655–1.1666 জোন সফলভাবে ব্রেকআউট করে মূল্য ইতোমধ্যেই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাই লং পজিশন এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে এবং আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সুযোগ তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যও 1.3413–1.3421 জোনের ওপর উঠে গেছে, যা 1.3466–1.3475 এরিয়ার দিকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্ভাবনা উন্মুক্ত করেছে। যেহেতু সপ্তাহের শেষ দিনে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছি, তাই পুরো শুক্রবারজুড়েই উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3IPeen1
-
২০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1414317671.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। তাই আজ ট্রেডাররা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণ পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, এর বাইরে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্যও এখন খুব একটা গুরুত্ব বহন করছে না, কারণ ট্রেডাররা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে। শুধুমাত্র ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালাকে কেন্দ্র করে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে, যদিও সেটিও এখন তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/350483387.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার খুবই অল্প সংখ্যক ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে, যার প্রায় কোনোটিই ট্রেডারদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। গত কয়েক সপ্তাহে, আমরা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি), ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড (BoE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) অনেক প্রতিনিধির বক্তব্য পর্যবেক্ষণ করেছি। সেই হিসেবে, ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত। সোমবার ইসাবেল স্ন্যাবেল-এর (ইসিবির প্রতিনিধি) নির্ধারিত বক্তৃতা খুব সম্ভবত মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন যে, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে। তবে, নতুন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার আরও কমানোর পক্ষপাতী ছিল না। তাই নতুন মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যান প্রকাশ পেলেও, নীতিগত অবস্থানে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটের পর ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর জন্য 1.1655–1.1666 লেভেলে একটি শক্তিশালী ট্রেডিং এরিয়া রয়েছে, যেখান থেকে পরবর্তী সিগনালের উপর ভিত্তি করে লং অথবা শর্ট পজিশনের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.3413–1.3421 এরিয়া ইতোমধ্যেই ব্রেক করা হয়েছে, যার ফলে 1.3466–1.3475 জোনের দিকে আরও মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/47asBM5
-
যুক্তরাজ্যে সরকার কর্তৃক ঋণ গ্রহণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1437974179.jpg[/IMG]
বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে যুক্তরাজ্য সরকার পূর্বাভাসের চেয়ে £7.2 বিলিয়ন বেশি ঋণ গ্রহণ করেছে—এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। এটি অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভসের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ, যিনি বর্তমানে প্রকাশিতব্য বাজেট পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন যার লক্ষ্য হলো আর্থিক খাত পুনরুদ্ধার করা। যদিও ঋণগ্রহণে এই আকস্মিক বৃদ্ধি পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না, তবে এটি সরকারের ঘোষিত সরকারি ঋণ গ্রহণের মাত্রা স্থিতিশীল করা এবং বাজেট ঘাটতি হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস এবং দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এই মুহূর্তে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনাগুলোর জন্য অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড যদি মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও দীর্ঘ সময় ধরে সুদের হার উচ্চ পর্যায়ে ধরে রাখে, তাহলে এতে দেশটির সরকারের ঋণ গ্রহণের ব্যয় বেড়ে যাবে এবং আর্থিক খাতের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হবে, যা দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলিতে বিনিয়োগ হ্রাস ঘটাতে পারে। রিভসের আসন্ন বাজেট পরিকল্পনাটি বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকগণ সতর্কভাবে পর্যালোচনা করবে। আর্থিক খাত পুনরুদ্ধারের জন্য তাঁর পরিকল্পনার বিশ্বাসযোগ্যতা ও বাস্তবতাই মূলত ব্রিটিশ মুদ্রার স্থিতিশীলতা ও যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থার বিষয়টি নির্ধারণ করবে। রিভস রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপের প্রস্তাব দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে স্থিতিশীল আর্থিক নীতিমালা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা তার জন্য অত্যন্ত কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির বাজেট ঘাটতি বর্তমানে £99.8 বিলিয়নে পৌঁছেছে, যা অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটি (OBR)-এর মার্চ মাসের পূর্বাভাস £92.6 বিলিয়নের চেয়েও বেশি। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসেই যুক্তরাজ্য সরকার £20.2 বিলিয়নের ঋণ গ্রহণ করেছে, যা করোনা মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণগ্রহণ। মূলত সরকারি ঋণের উপর উচ্চ সুদ পরিশোধ করার কারণে পরিস্থিতির এইরূপ অবনতি ঘটেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, উচ্চ সুদের হার, কল্যাণ খাতে ব্যয় হ্রাস স্থগিত রাখা, এবং OBR-এর পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত উৎপাদনশীলতা সংশোধনের ফলে রিভসকে প্রায় £35 বিলিয়ন অতিরিক্ত অর্থ খুঁজে বের করতে হবে—যা শুধুমাত্র ব্যয় ও আয়ের ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য নির্ধারিত £9.9 বিলিয়ন রিজার্ভ পূরণ করতেই লাগবে। ঘাটতির পরিমাণ OBR-এর পূর্বাভাস ও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি, যদিও এই মাসের শুরুতে এক সংশোধনের মাধ্যমে রিভস অতিরিক্ত £2 বিলিয়ন VAT রাজস্ব পেয়েছেন। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ONS) জানিয়েছে, এই সংশোধন মূলত HM রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টমস-এর পক্ষ থেকে বিতরণ করা ভুল ভ্যাট সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কারণে করা হয়েছে। ONS আরও জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে বাজেট ঘাটতি ছিল এই রেকর্ড চালুর (১৯৯৩) পর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাসিক ঘাটতি এবং এটি OBR-এর পূর্বাভাস £20 বিলিয়নের প্রায় কাছাকাছি ছিল। অর্থনীতিবিদরা গড় পূর্বাভাস দিয়েছিলেন £20.8 বিলিয়ন। উল্লেখ্য, উপরের সব ঘটনাপ্রবাহের ফলে পাউন্ডের সামান্য দরপতন ঘটেছে। বর্তমানে GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে $1.3405-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এটিই এই পেয়ারের মূল্যের $1.3440-এর দিকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যার উপরে যাওয়ার অনেক কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে $1.3485 এর আশেপাশের লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রয়ের প্রবণটা বাড়লে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে সম্ভবত $1.3370 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় একটি আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে $1.3335 পর্যন্ত নামিয়ে আনবে, যার পরে $1.3295 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারণের সম্ভাবনাও থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4onMTHA
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২২ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1811796241.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে আগামী এক ঘণ্টার মধ্যে সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ৪.০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। আমাদের ধারণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃদ্ধি পেলে (বা তার চেয়েও বেশি বৃদ্ধি পেলে), যা বিগত এক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে—মূল সুদের হার হ্রাসের বিষয়ে এখন কোনো আলোচনাই হওয়া উচিত নয়। তাই ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির এই প্রবণতা ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য একটি সহায়ক মৌলিক কারণ হতে পারে। জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1682289966.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট তালিকাভুক্ত থাকলেও, বাস্তবে সেগুলোর মধ্যে কোনোটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত কয়েক সপ্তাহে, আমরা ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB), ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BOE), এবং ফেডারেল রিজার্ভের একাধিক প্রতিনিধির বক্তব্য শুনেছি, ফলে এই তিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান অবস্থান এখন স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের নতুন কোনো মন্তব্য মার্কেটে নতুন করে চিন্তার খোরাক যোগাবে বলে মনে হয় না। মনে করিয়ে দিই যে, ইউরোজোনে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল — যা আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সম্ভাবনা হ্রাস করেছে। তাছাড়া, মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ প্রতিবেদন ছাড়াও, ইসিবি প্রধান ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানোর বিষয়ে অনিচ্ছুক ছিলেন। ফলে নতুন মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও নীতিগত অবস্থানের দিক থেকে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। উপসংহার: চলতি সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারো স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটি ও ফ্ল্যাট মুভমেন্ট বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোর (EUR/USD) জন্য 1.1571–1.1584 এরিয়ায় একটি কার্যকর ট্রেডিং জোন রয়েছে, যেখান থেকে লং ও শর্ট উভয় ধরনের পজিশনের কথা ভাবা যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য (GBP/USD) বর্তমানে 1.3329–1.3331 এবং 1.3413–1.3421 এরিয়ার মাঝামাঝি নির্দিষ্টভাবে অবস্থান করছে। তবে আবারও মনে করিয়ে দিই—বর্তমানে মার্কেটে ভলাটিলিটি অত্যন্ত কম এবং কার্যকর কোনো সামষ্টিক প্রেক্ষাপট কার্যত অনুপস্থিত। শুধুমাত্র আজ প্রকাশিতব্য মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে পাউন্ডের মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4qlPH9R
-
বিটকয়েনের মূল্য কি $100,000-এর নিচে নেমে যাবে?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1077031714.jpg[/IMG]
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের $100,000-এর নিচে নেমে যাওয়াটা একরকম "অনিবার্য"। যদিও যৌক্তিকভাবে এটি একপ্রকার বিপরীত ধরণের পরিস্থিতি—কারণ এই দরপতন হয়তো পরবর্তী বুলিশ মুভমেন্টের আগে বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য মার্কেটে এন্ট্রি করার শেষ সুযোগ হতে পারে। মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই, এই একই বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিটকয়েনের মূল্য $135,000-এ পৌঁছাবে এবং বছরের শেষে সম্ভবত এটির মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ $200,000-এ পৌঁছাবে। তবে বর্তমানে তারা সতর্ক করে বলছেন, সাময়িকভাবে বিটকয়েনের মূল্যের $100,000-এর নিচে নেমে যাওয়াটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চাপ বনাম ক্রিপ্টো মার্কেট: আতঙ্ক, বাণিজ্য যুদ্ধ ও ডলার ৬ অক্টোবর বিটকয়েনের মূল্য $126,000-এ পৌঁছেছিল, এটি শুধু স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেল ছিল না; বরং এটি মার্কেটে নতুন পর্ব শুরুর ইঙ্গিত দেয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড উল্লেখ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসেট বিক্রির ধারা শুরু হয়। এই ধরনের আশংকা বিনিয়োগকারীদের মার্কিন ডলারে বিনিয়োগে বাধ্য করে — এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর জন্য বিষের মতো কাজ করে। বিটকয়েনও এর ব্যতিক্রম নয়। যেহেতু ঐতিহ্যবাহী মার্কেটে লিকুইডিটি ফেরার কোনো লক্ষণ নেই এবং আর্থিক নীতিমালা নমনীয় সকল প্রত্যাশা অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, তাই বিটকয়েন বর্তমানে এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে এটিতে বিনিয়োগের ঝুঁকি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।
বিটকয়েনের মূল্য $100,000-এর নিচে নেমে যাবে—কিন্তু এই দরপতন খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না: বরং এটি নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিটকয়েনের সম্ভাব্য সময়িক দরপতনকে ঝুঁকি হিসেবে দেখছে না, বরং এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে। তাদের মতে, আগামী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করার আগেই "মার্কেটকে দুর্বল বিনিয়োগকারীদের ঝেঁটিয়ে বের করে দিতে হবে।" যারা এই "দরপতনের" সময় বিটকয়েন কিনতে পারবে, তারা আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের শুরুতেই উপকৃত হতে পারে। ব্যাংকটি সম্ভাব্য নিম্ন লেভেল চিহ্নিত করতে তিনটি সূচকের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছে: ১. স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মধ্যে বিনিয়োগ প্রবাহ পূর্ববর্তী সপ্তাহে স্বর্ণের দরপতনের মধ্যেই বিটকয়েনের মূল্য দৈনিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়েছিল। যদি এই বিপরীতমুখী পারস্পারিক সম্পর্ক বহাল থাকে, তাহলে এটি ঐতিহ্যবাহী নিরাপদ বিনিয়োগের খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাসেট থেকে ক্রিপ্টোর দিকে বিনিয়োগ প্রবাহ শুরু হওয়ার সংকেত দিতে পারে। ২. ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক হঠাৎ ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান ফেডারেল রিজার্ভ যদি শুধুমাত্র নিরপেক্ষ থাকার সংকেতও দেয়, তাহলে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হবে। আর্থিক নীতিমালা কঠোর করার পদক্ষেপ স্থগিত করার যেকোনো ইঙ্গিত সরাসরি লিকুইডিটি বাড়িয়ে দেবে এবং ডিজিটাল অ্যাসেটের মূল্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ৩. টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের স্থিতিশীলতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কারেকশনের মাঝেও বিটকয়েনের মূল্য এখন পর্যন্ত ৫০-সপ্তাহের মুভিং অ্যাভারেজের (২০২৩ সালে যা ছিল প্রায় $25,000-এ) উপরে রয়েছে। এই আপট্রেন্ড লাইনটি বুলিশ মার্কেটের অন্তর্নিহিত কাঠামোগত শক্তিমত্তা নির্দেশ করে।
অপশন বনাম ফিউচার: পরিণত মার্কেটের ইঙ্গিত যখন মার্কেটের বেশিরভাগ ট্রেডার স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিতর্ক করছে, বিটকয়েনের মার্কেটের কাঠামো কিন্তু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চেকঅনচেইনের তথ্য অনুযায়ী, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিটকয়েন অপশনে মোট ওপেন ইন্টারেস্ট ফিউচারের তুলনায় বেশি হয়েছে: যা যথাক্রমে $108 বিলিয়ন বনাম $68 বিলিয়ন। যেখানে আগে ট্রেডাররা উচ্চ লিভারেজসম্পন্ন ফিউচারের উপর নির্ভর করতেন, এখন তারা ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য অপশনের দিকে ঝুঁকছে। অপশন ব্যবহার করে ফোর্সড লিকুইডেশনের ঝুঁকি ছাড়াই ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা থেকে সুরক্ষিত থাকা যায় — যা প্রতিষ্ঠানিক মানসিকতা ও ঝুঁকি পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিপক্বতা নির্দেশ করে। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ব্ল্যাকরকের তৈরি আইশেয়ার্স বিটকয়েন ট্রাস্ট (IBIT)-এ অপশনের সূচনা বিটকয়েনের প্রতিষ্ঠানিক রূপান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
অক্টোবর: স্বর্ণ–বিটকয়েনে সম্পর্ক ছিন্ন অক্টোবর মাসটি বেশ ব্যতিক্রমধর্মী ছিল: স্বর্ণ ও বিটকয়েনের মূল্য সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে গিয়েছে। যেখানে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১০% বৃদ্ধি পেয়েছে, শেখানে বিটকয়েনের মূল্য ৬% কমেছে। এতে "ডিজিটাল স্বর্ণ বনাম সত্যিকারের স্বর্ণের" দীর্ঘদিনের পারস্পারিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে। আসলে, এই বিচ্যুতি দুইটি অপ্রাসঙ্গিক কারণের ফল। অক্টোবরের ২১–২২ তারিখে স্বর্ণ দরপতন মূলত মার্কেটের ওভারহিট পরিস্থিতির ফল ছিল, পক্ষান্তরে ক্রিপ্টো মার্কেট সপ্তাহখানেক আগেই কারেকশনের মাধ্যমে "পেইন পয়েন্ট" অতিক্রম করেছিল, যখন প্রায় ১৭% দরপতনের পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, আগে থেকেই বিটকয়েনের মূল্যের কারেকশন শুরু করেছিল।
বিভিন্ন ধরণের অনুঘটক, বিভিন্ন ধরণের প্রভাব স্বর্ণের মূল্য মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হয়। তার বিপরীতে, বিটকয়েনের মূল্য বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ কারণ দ্বারা প্রভাবিত—যেমন লিভারেজ, ইটিএফে বিনিয়োগ প্রবাহ, এবং অন-চেইন রিডিস্ট্রিবিউশন। এই বিষয়গুলোই ক্রিপ্টো মার্কেটকে আলাদা করে তুলেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাইবিটের মতো প্ল্যাটফর্মে টোকেনাইজড গোল্ড (XAUTUSDT) ঠিকই স্পট মার্কেটের মুভমেন্ট অনুসরণ করেছে, যাতে কোনো ব্যতিক্রম বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি—এটি ট্রেডারদের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত। এই ইকোসিস্টেম এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যা বড় ধরনের অস্থিতিশীলতার মধ্যে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সক্ষম।
ট্রেডারদের জন্য এর মানে কী দাঁড়ায়? বিটকয়েনের মূল্য এখন টার্বুলেন্সের জোনে প্রবেশ করছে। শক্তিশালী হোল্ডাররা এখনো সক্রিয় রয়েছে, এবং প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ফিউচারের তুলনায় অপশনের দিকে ঝুঁকছেন। স্বল্পমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের আরও ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবং বিটকয়েনের মূল্য $95,000–$97,000 রেঞ্জে আরেকবার দরপতনের শিকার হতে পারে। তবে ৬–১২ মাসের সময়কাল বিবেচনায় নিলে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং প্রতিষ্ঠানিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ভিত্তিতে মনে করা যায় যে দীর্ঘমেয়াদে বিটকয়েনের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3Jsqo5n
-
মার্কিন ডলার চাপের সম্মুখীন হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/62463545.jpg[/IMG]
২০২৫ সালে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পদপ্রাপ্তির অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার সম্প্রতি তার অবস্থানে হঠাৎ বড় রকমের পরিবর্তন এনেছেন — যা আপাতদৃষ্টিতে কারেন্সি মার্কেটে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ওয়ালার ফেডের পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে মার্কিন প্রশাসনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন। বহু বিশ্লেষকের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিফেন মিরানের মতো চাপের মধ্যে রয়েছেন, যিনি আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমাতে জোর দিয়ে আসছেন। ফলে ওয়ালার কার্যত হোয়াইট হাউস প্রশাসনের সমর্থন পাওয়ার জন্য একটি কৌশলগত ভিত্তি গড়ে তুলছেন। তবে, এমন পদক্ষেপের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। একদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রতি আনুগত্য তার কাঙ্ক্ষিত পদ লাভের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে, হঠাৎ নীতিগত অবস্থানের পরিবর্তন তাকে ফেডের অন্যান্য সদস্য এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের আস্থার বাইরে ঠেলে দিতে পারে — যারা এতদিন তাকে একজন রক্ষণশীল এবং পূর্বাভাসযোগ্য নীতিনির্ধারক হিসেবে বিবেচনাক করে এসেছে। ফেডের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তীব্র বিতর্ক চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মূলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে এবং এই স্বাধীনতার ওপর যেকোনো রাজনীতিক চাপ জাতীয় মুদ্রার প্রতি আস্থা নষ্ট করতে পারে এবং আর্থিক খাতে গুরুতর অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। একজন অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ হিসেবে ওয়ালার এই সূক্ষ্ম ভারসাম্যের বিষয়টি ভালোভাবেই বোঝেন, এবং ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে আর্থিক ব্যবস্থা বিপন্ন না করে সতর্কতার সাথে এগিয়ে চলা তার কর্তব্য। গত কয়েক মাস ধরে ওয়ালার পুনরায় সুদের হার কমানোর পক্ষে কথা বলে আসছেন, যদিও তার কয়েকজন সহকর্মী তার বক্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখেছেন। তবে মাত্র গত সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোই যথেষ্ট হবে। অথচ এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গেছে। নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক ইভেন্টে ওয়ালার বলেন, "আমরা সবাই বুঝি যে, মার্কেট এবং মার্কিন জনগণের স্বার্থে একটি সুস্পষ্ট ও ধারাবাহিক নীতিমালার জন্য আমাদের নিজ নিজ অবস্থানের ব্যাপারে কিছুটা সমঝোতায় আসতে হবে।" এটা মনে করিয়ে দেয়া উচিত যে ট্রাম্প শুধু ফেডের পরবর্তী চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টিই পর্যালোচনা করছেন না—তিনি ফেডের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য বৃহত্তর পর্যায়ে প্রচারণাও চালাচ্ছেন। তিনি সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক প্রভাব কমিয়ে আনতে চান। সুদের হার কমানোর চাপ দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা চান ফেড নিজেদের কর্মদক্ষতা নতুন করে মূল্যায়ন করুক এবং প্রয়োজনে বড় পরিসরের কাঠামোগত সংস্কারে এগিয়ে আসুক। যেহেতু ওয়ালার জেরোম পাওয়েলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন (যার মেয়াদ ২০২৫ সালের মে মাসে শেষ হবে), তাই তার দৃষ্টিভঙ্গি এখন সর্বদিক থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ওয়ালারের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান সুদের হার আরও কমানোর দিকেই ইঙ্গিত করে, এবং এই বিষয়ে তার প্রকাশ্য সমর্থন দেখে অনেকেই সন্দেহ করছেন যে, তিনি কৌশলগতভাবে নিজেকে চেয়ারম্যান পদের জন্য উপযুক্ত করে তুলছেন। চলতি বছর জুড়ে বেশ কিছু বিষয়ে তিনি এগিয়ে ছিলেন — যেমন ট্রাম্প কর্তৃক শুল্ক আরোপের ফলে মূল্যস্ফীতি এককালীনভাবে বাড়বে বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, আবার শ্রমবাজারের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করতেও তিনিই প্রথম মন্তব্য করেন। গত জুনে তিনি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার স্পষ্ট লক্ষণ দেখিয়ে প্রথম নীতিনির্ধারক হিসেবে পুনরায় সুদের হার হ্রাসের আহ্বান জানান। এমনকি জুলাই মাসের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকে যখন বেশির ভাগ সদস্য সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ছিলেন, তখন ওয়ালার ভিন্নমত পোষণ করেন। এটাই প্রথমবার নয় যে, ওয়ালার তার সহকর্মীদের সন্দেহ সত্ত্বেও নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখেছেন। ২০২২ সালেও তাকে সমালোচিত হতে হয়েছিল, কারণ তিনি বলেছিলেন ফেড শ্রমবাজারে ব্যাপক বেকারত্ব সৃষ্টি না করেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ফেডের প্রতিনিধিদের বক্তব্য যতটা 'নমনীয়' হবে, মার্কিন ডলারের ওপর চাপও ততটাই বাড়বে।
টেকনিক্যাল পূর্বাভাস — EUR/USD বর্তমানে ইউরোর ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1620 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। মূল্য কেবল এই লেভেল ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারলেই 1.1650 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। এরপর পেয়ারটির মূল্য 1.1700 এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও এটি সফলভাবে করতে হলে মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সহায়তার প্রয়োজন হবে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1725 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য 1.1590 লেভেলে থাকা অবস্থায় ক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। যদি বড় ক্রেতারা সেখানে সক্রিয় না হন, তাহলে পরবর্তী সম্ভাব্য লং এন্ট্রির জন্য হয়ত 1.1545 লেভেল ব্রেকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে বা 1.1500 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে।
টেকনিক্যাল পূর্বাভাস — GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য লক্ষ্য হবে 1.3360-এ অবস্থিত রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3385 এর দিকে মুভমেন্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করতে পারে, যদিও এই লেভেল অতিক্রম করাও বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3420 লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের দরপতনের হয়, তাহলে মূল্য 1.3320 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয় এবং এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে এটি বুলিশ পজিশনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আঘাত হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3280 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3250 পর্যন্তও দরপতন হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3J3TVlU
-
পণ্য তৈরি করে দিন যেখানে কোন এঈই
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২৭ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2001958640.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার একটি মাত্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। আজ জার্মানিতে Ifo বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। বলা বাহুল্য যে এটি একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক মৌলিক প্রভাবক কিংবা উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রায় উপেক্ষা করে চলেছে। ফলে, আজ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব অত্যন্ত দুর্বল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/268300298.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। এই সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলোর প্রতিও ট্রেডারদের আগ্রহ খুবই কম। সব ট্রেডারদের কাছে এটি এখন স্পষ্ট যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল সুদের হার ০.২৫% কমাবে এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মুদ্রানীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না। তাই, সম্ভবত মার্কেটে এই দুটি বৈঠকের প্রভাব বেশ কম থাকবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রমে অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জেরোম পাওয়েল কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি পাওয়া যেতে পারে, তবুও এখনো এটি স্পষ্ট নয় যে শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদন ঠিক কবে প্রকাশিত হবে। আজ ক্রিস্টিন লাগার্ডের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, দুটি কারেন্সি পেয়ারের ক্ষেত্রেই আবারও খুব দুর্বল এবং এলোমেলো ট্রেডিং পরিলক্ষিত হতে পারে। ইউরোর জন্য একটি উপযুক্ত ট্রেডিং এরিয়া হলো 1.1655 থেকে 1.1666 রেঞ্জ, যেখানে লং এবং শর্ট — উভয় ধরনের পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড বর্তমানে 1.3329–1.3331 রেঞ্জের কাছাকাছি ট্রেড করছে, যা একটি ট্রেডিং রেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে, অধিকাংশ ট্রেডিং সিগন্যালের ক্ষেত্রে বর্তমানে মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারছে না, কারণ মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা মাত্রা খুবই দুর্বল রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4oIBjai