-
৯ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1895412585.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার (এবং বৃহস্পতিবারের শুরু পর্যন্ত), GBP/USD পেয়ারের মূল্যের দুর্বল নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল — যদিও বাস্তবে এই ধরনের মুভমেন্টের পেছনে কোনো স্পষ্ট মৌলিক কারণ নেই। মনে করিয়ে দিই, পাউন্ডের মূল্য যখন ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে তখন প্রবণতা বুলিশে রূপান্তরিত হয়েছিল। এই সপ্তাহে ব্রিটিশ কারেন্সির জন্য কোনো তাৎপর্যপূর্ণ মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি কার্যক্রমের অচলাবস্থা ও শিকাগোতে অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে স্পষ্টভাবেই ডলারের জন্য নেতিবাচক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এবং বছরের শেষ নাগাদ ফেডারেল রিজার্ভের আরও দুই দফা সুদের হার হ্রাস করবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি অনুযায়ী ডলারের দরপতন হওয়াই স্বাভাবিক, দর বৃদ্ধি নয়। তাই আমাদের দৃষ্টিতে GBP/USD পেয়ারের বর্তমান দরপতন পুরোপুরি অযৌক্তিক। তাত্ত্বিকভাবে, শক্তিশালী পারস্পারিক সম্পর্কের কারণে ইউরোর দরপতনের ফলে পাউন্ডেরও দরপতন হতে পারে; তবে এই ব্যাখ্যাও বিতর্কযোগ্য। যদিও পাউন্ডের বড় আকারে দরপতন হয়নি, তবুও বর্তমানে যখন মুদ্রাটির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়া উচিত, তখন এটির মূল্য কমে যাচ্ছে। সংক্ষেপে, এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্টগুলো এখনো বিশৃঙ্খল এবং দুর্বল কাঠামোবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1309883065.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে আমরা EUR/USD-এর মতো পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। এই পেয়ারের মূল্য ক্রমেই সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো উপেক্ষা করছে। যদিও ট্রেডিং সিগন্যাল এখনো তৈরি হচ্ছে, কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল 1.3413–1.3421 জোনে ট্রেডিংয়ের সময় চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল — প্রত্যেকটিই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই নতুন ট্রেডারদের অবশ্যই বোঝা দরকার, এই মুহূর্তে মার্কেটে যৌক্তিকতার অভাব রয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী মুভমেন্টগুলো ভীষণ অস্থিরতা ও পূর্বাভাসযোগ্য নয়।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্ট অনুযায়ী GBP/USD পেয়ারের মূলয়ের পূর্বের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, তবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এখনও শুরু হয়নি। যেমনটি আগেই উল্লেখ করেছিলাম, মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ নেই, তাই এখনও সময়ের সাথে সাথে আমরা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। তবে, মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি এখনো বেশ জটিল। স্পষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে এবং টেকনিক্যাল স্ট্রাকচারগুলোর ধারাবাহিকতা ভেঙে যাচ্ছে। লোয়ার টাইমফ্রেম (৫ মিনিটে) টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড করা গেলেও, যেকোনো টাইমফ্রেমেই এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো অনির্ভরযোগ্য রয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, বিশেষ করে যখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 লেভেল ব্রেক করে গেছে। মার্কেটের বর্তমান বাস্তবতায়, অনিয়মিত পুলব্যাক ও পূর্বনির্ধারিত সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো উপেক্ষিত থাকারও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স জোনগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে, যা নির্ভর করবে তিনি কী বলেন তার ওপর। ফেডের বর্তমান সুদের হার হ্রাসের আঙ্গিকে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সামগ্রিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে, পাওয়েলের বক্তব্য দিনের প্রধান ইভেন্ট হতে যাচ্ছে। মার্কেটে হঠাৎ করে যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, সে জন্য ট্রেডারদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4oeLUJD
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/529247288.jpg[/IMG]
জাপানিজ ইয়েনের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচ থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 152.87 লেভেল টেস্ট করে, যা ডলার কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, USD/JPY পেয়ারের মূল্যের 35-পিপসের একটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়। জাপানি ইয়েন চাপের মধ্যে ছিল, কারণ গতকাল আরও কয়েকজন মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তা মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সুদের হারের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক অবস্থান গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন। মার্কেটের ট্রেডাররা তাৎক্ষণিকভাবে এই ধরনের বক্তব্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়: জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান কেন্দ্র করে ইয়েন আরও বেশি বিক্রির চাপের মুখে পড়ে। জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টিভঙ্গি নতুন প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের সঙ্গে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তার ওপর USD/JPY পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যত মুভমেন্ট নির্ভর করবে। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো যে, জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত কয়েক মাস ধরেই আরও হকিশ বা কঠোর মুদ্রানীতির ভিত্তি তৈরি করছিল, যেখানে নতুন প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করতে পুনরায় অর্থনৈতিক প্রণোদনামূলক নীতিমালার দিকে ফিরে যাওয়ার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং পরিকল্পনা 2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/646633580.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 153.31-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 152.94-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 153.31-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের দরপতন এবং উল্লেখযোগ্য পুলব্যাকের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 152.66-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 152.94 এবং 153.31-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 152.66-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হওয়ার পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 152.302-এর লেভেল, যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। মূল্য যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 152.94-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 152.66 এবং 152.30-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4ogAEwl
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট – ১৩ অক্টোবর: S&P 500 ও নাসডাক সূচকে তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1161096654.jpg[/IMG]
শুক্রবার নিউইয়র্ক সেশনের শেষে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে বিগত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতনের সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 2.71% হ্রাস পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 3.56% হ্রাস পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ সূচক 1.90% হ্রাস পেয়েছে। আজকের এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে, মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এতে করে গত শুক্রবার তীব্র বাণিজ্য উত্তেজনার ফলে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছিল, তা কিছুটা প্রশমিত হয়। S&P 500-এর ফিউচারের দর 1.3% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নাসডাক 100-এর ফিউচার কন্ট্রাক্টের দর 1.8% উর্ধ্বমুখী হয়েছে, কারণ চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপের হুমকির পর ট্রাম্প প্রশাসন কিছুটা নমনীয় অবস্থানে গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে, ইউএস ট্রেজারি বন্ডের ফিউচার দরপতনের মুখে পড়ে এবং অপরিশোধিত তেলের মূল্য 1.5% বৃদ্ধি পেয়েছে। রূপার দাম কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টও অব্যাহত রয়েছে। গত শুক্রবার মার্কেটে এই অপর্যাপ্ত দরপতনের সরাসরি কারণ ছিল ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণা, যেখানে তারা বেইজিংয়ের রপ্তানি পণ্য নিয়ন্ত্রণের জবাবে চীনের পণ্যের উপর 100% শুল্ক আরোপের প্রস্তুতির কথা জানায়। এই ঘোষণা যেন হঠাৎ বজ্রপাতের মতো এসেছে, যার ফলে ওয়াল স্ট্রিট থেকে শুরু করে টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ পর্যন্ত সব প্রধান সূচকে আতঙ্কজনকভাবে অ্যাসেট বিক্রির প্রবণতা শুরু হয়। পুনরায় পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট দ্রুত বিক্রি করতে বাধ্য হন এবং নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ব্যাপকভাবে মূলধনের স্থানান্তর ঘটে। এই দরপতনের পরিণতি ছিল তাৎক্ষণিক। আমেরিকান ডলার পতনের মুখে পড়ে কারণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূলধন বেরিয়ে যেতে শুরু করে, অপরদিকে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশংকার প্রেক্ষাপটে তেলের দাম ব্যাপক হারে কমে যায়। অপরদিকে, স্বর্ণের মূল্য তীব্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়—যা অনিশ্চয়তার সময়ে নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত। সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের এমন তীব্র দরপতন ছিল বিরল ঘটনা, যার ফলে এই বাণিজ্য উত্তেজনাজনিত প্রতিক্রিয়া এতটা তীব্র হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এপ্রিল মাসে শুল্কের প্রভাবে দরপতনের পর, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসের আশায় মার্কেটে দ্রুত পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছিল। ট্রাম্পের পদক্ষেপের জবাবে, চীন যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্কের ভয় দেখানো বন্ধ করার আহ্বান জানায় এবং অসমাপ্ত বাণিজ্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার ওপর জোর দেয়। বেইজিং এটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, যদি ওয়াশিংটন বিরূপ হস্তক্ষেপ চালিয়ে যায়, তবে চীনের পক্ষ থেকেও পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো দ্বিধা থাকবে না। গতকাল, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা চীনের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী, যদিও ট্রাম্প পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত দেন যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন ফিংয়ের এই আলোচনায় অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। একইসাথে, তিনি সতর্কবার্তা দেন যে পূর্ণমাত্রার বাণিজ্য যুদ্ধ চীনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে। এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনের উপর চাপ বাড়াতে চায় এবং অন্যদিকে মার্কেটের ট্রেডারদের আশ্বাস দিচ্ছে যে পরিস্থিতির আরও অবনতির সম্ভাবনা অনিবার্য নয়। S&P 500-এর টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, আজ ক্রেতাদের মূল লক্ষ্য হবে 6,648-এর কাছাকাছি সর্বনিম্ন রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। সূচকটির দর এই লেভেল অতিক্রম করলে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সূচকটির পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 6,660। ক্রেতাদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে 6,672 লেভেলের ওপরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা—যা তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করে তুলবে। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের চাহিদা হ্রাস পেলে এবং সূচকটির মূল্য নিম্নমুখী হলে, মূল্য 6,638 লেভেলের আশপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করলে, দ্রুত সূচকটির মূল্য কমে গিয়ে 6,630 লেভেলে পৌঁছাতে পারে এবং সেখান থেকে আরও নিম্নমুখী 6,616 এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/476zPzp
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট: ১৪ অক্টোবর – S&P 500 ও নাসডাক সূচকে দরপতনের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/967975562.jpg[/IMG]
গত শুক্রবার, মার্কিন স্টক সূচকগুলো মাঝারি মাত্রার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সাপ্তাহিক ট্রেডিং শেষ হয়েছিল। S&P 500 সূচক 1.56% বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং নাসডাক 100-এর কারেকশনের পর সূচকটি 2.21% বৃদ্ধি পায়। শিল্পখাত কেন্দ্রিক ডাও জোন্স সূচক 1.29% বৃদ্ধি পায়। তবে আজ S&P 500 সূচকের ফিউচার কন্ট্রাক্টের দর 0.7% কমে গেছে, এবং নাসডাক 100 ফিউচারের দর 1% হ্রাস পেয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে চীনের পাল্টা পদক্ষেপের পর, যেখানে তারা হানওয়া ওশেন কোং-এর মার্কিন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নতুন কওরে পরিবহন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইক্যুইটি সূচকসমূহ 1.3% কমে গেছে, যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাপানের নিক্কেই 225 সূচক 3% হ্রাস পেয়েছে, যার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা অন্যতম প্রধান কারণ। একইসঙ্গে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলো আবারও দরপতনের সম্মুখীন হয়। ইয়েন ডলারের বিপরীতে পূর্ববর্তী ক্ষতি পুনরুদ্ধার করে শক্তিশালী হয়েছে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে স্বর্ণের তীব্র দরপতন হয়, আগে মূল্য যতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছিল তার বেশিরভাগই হ্রাস পেয়েছে; এর আগে সকালে রুপার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানোর পর সেটি বড় মাত্রার দরপতনের শিকার হয়। মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ১০-বছর মেয়াদি বন্ডের ইয়েল্ড প্রায় 4.03%-এ পৌঁছেছে। যদিও মার্কিন স্টক মার্কেট শুক্রবারের দরপতন কিছুটা পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে — যা 'দরপতনের সময় ক্রয়ের' কৌশলের মাধ্যমে মাধ্যমে মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয় — তবুও চীনের সর্বশেষ পরিবহ্ন নিষেধাজ্ঞা নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে যে, বাণিজ্য বিরোধ আবারও তীব্র হতে পারে। এই ঝুঁকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার হ্রাসে সম্ভাব্য বিরতির সম্ভাবনা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের আশঙ্কা — এই সব মিলিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিশেষ করে কমোডিটির সাথে সম্পর্কযুক্ত কারেন্সিগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বিনিয়োগকারীরা যারা আগে রাজনৈতিক ঝুঁকিকে উপেক্ষা করছিলেন, এখন তারা আরও সতর্কভাবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবমূল্যায়ন করছেন। চীনের এই পরিবহন নিষেধাজ্ঞা ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্ক সংকেত—যে বাণিজ্য সংঘাত বিভিন্ন রূপে আসতে পারে এবং সাপ্লাই-চেইন ও সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তের জবাবে চীনা প্রধানমন্ত্রী হানওয়া ওশেন-এর পাঁচটি মার্কিন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে ডোমিনো-প্রভাবের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, যেখানে একটি দেশের পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে অন্যান্য দেশের পাল্টা পদক্ষেপ শুরু হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত সংঘাতের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর আগে, মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট জানান যে তিনি এখনো মনে করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বিরল খনিজ উপাদানের রফতানিতে চীন যদি আরও কঠোরতা দেখায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণে সমস্ত বিকল্প উন্মুক্ত রেখেছে। আজ চীন এর প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে যে, বিরল খনিজ উপাদান ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের রফতানি নিয়ন্ত্রণের অর্থ 'পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা' নয়, এবং যেসব আবেদনে নিয়ম অনুসরণ করা হবে, সেগুলোর অনুমোদন অব্যাহত থাকবে। টেকনিক্যাল চিত্র: S&P 500 বর্তমানে S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী ক্রেতাদের প্রধান কাজ হবে $6,616 লেভেলের কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা নো। এই লেভেল অতিক্রম করলে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সুযোগ তৈরি হবে এবং সূচকটি $6,630-এ পৌঁছাতে পারে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হবে $6,638 লেভেলের ওপরে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। তবে যদি ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায় এবং সূচকটির মূল্য নিম্নমুখী হয়, তাহলে মূল্য $6,603 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে, ইন্সট্রুমেন্টটির দর দ্রুত $6,590-এ নেমে যেতে পারে এবং পরবর্তী লক্ষ্য থাকবে $6,517।
Read more: https://ifxpr.com/475tHHz
-
ডলারের তীব্র দরপতন ঘটেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1231559310.jpg[/IMG]
গতকাল, মার্কিন ডলার বেশিরভাগ ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে তীব্রভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে — এবং এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, যদিও সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি নির্ধারণে ফেডের সক্ষমতা ব্যাপকভাবে সীমিত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর বিজনেস ইকোনোমিক্সের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে পাওয়েল বলেন, নীতিনির্ধারকরা সেপ্টেম্বর মাসে যখন সুদের হার কমিয়ে বছরে আরও দুইবার সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, তখন থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। পাওয়েল বারবার কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দুর্বলতার ওপর জোর দিয়েছেন এবং জানান যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। লিখিত বক্তৃতার পরে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, "আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি, যেখানে চাকরির জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা কমে গেলে তা বেকারত্বের হারকেও প্রভাবিত করতে পারে। আমরা একটি ব্যতিক্রমী সময় পার করেছি, যখন সবকিছু একসঙ্গে মন্থর হয়ে গিয়েছে, এবং এখন আমাদের শ্রমবাজারের দিকে দৃষ্টি দেয়ার সময় এসেছে।" এই মন্তব্যগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে এবং মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের আর্থিক নীতিমালাকে আরও নমনীয় করার প্রস্তুতিকে একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করেছে, যা অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন ঘাটতির কারণে, যা বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল হয়ে পড়েছে। যেহেতু প্রতিবেদনভিত্তিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে, তাই ভবিষ্যতে সুদের হার নির্ধারণের সময় ফেডকে পরোক্ষ সূচক এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করতে হবে। এই বাস্তবতা ভবিষ্যৎ পূর্বাভাসে ভুল হওয়ার এবং মার্কেটের পরিস্থিতির পরিবর্তনের প্রতি উপযোগীভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে না পারার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেবে। তবুও, পাওয়েলের মন্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে যে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং প্রবৃদ্ধি ধরে রাখাই ফেডের মূল অগ্রাধিকার। পাওয়েলের বক্তব্যের পর অক্টোবর মাসে সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। ফেডারেল ফান্ড ফিউচার কন্ট্র্যাক্ট অনুযায়ী, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা প্রায় ১০০%-এর কাছাকাছি রয়েছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, ফেড সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার 4.00–4.25% রেঞ্জে নামিয়ে আনে, যা গত ডিসেম্বরের পর প্রথমবারের মতো এই ধরনের পদক্ষেপ ছিল এবং তা গ্রীষ্মকালীন কর্মসংস্থান বৃদ্ধির এক তীব্র মন্দার পরপরই করা হয়। তবে বেকারত্বের হার এখনও তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে — যা মাত্র 4.3%। ফেডের পরবর্তী বৈঠক ২৮–২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। গত মাসে ১৯ জন ফেড সদস্যের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে আরও দুইবার সুদের হার হ্রাস করা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ৯ জন কর্মকর্তা মনে করেন, সুদের হার একবার বা তারও কম কমানো হলেও যথেষ্ট হতে পারে। এখন EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে 1.1630 লেভেল ব্রেক করিয়ে মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করা। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1660 লেভেল টেস্ট করানোর পরিকল্পনা করতে পারবে। এরপর সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1690 লেভেল বিবেচনা করা যেতে পারে — তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে এই উচ্চতায় পৌঁছানো বেশ কষ্টসাধ্য হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1715 লেভেল। যদি ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে 1.1600 লেভেলের দিকে যায়, তাহলে বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। যদি তারা সক্রিয় না হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1570 লেভেলে নেমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1545 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রি করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হবে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3360 ব্রেক করানো। কেবল এরপরই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3390-এ পৌঁছানোর বিষয়ে আশাবাদী হওয়া যাবে, যেখান থেকে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া বেশ কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3425 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হলে, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেলে পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধরনের আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও নিচে 1.3290 এবং সম্ভবত 1.3250-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3IXaq35
-
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/275527015.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরোপীয় মুদ্রার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। বর্তমানে ট্রেডাররা মূলত ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) এবং ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার মধ্যকার পার্থক্যের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে: ইসিবি আপাতত তাদের আর্থিক নীতিমালা পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা করছে না, অন্যদিকে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বছরের শেষ নাগাদ সক্রিয়ভাবে সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে। গতকাল, ইসিবি'র গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য জোয়াখিম নাগেল উল্লেখ করেন যে বর্তমানে সুদের হারে পরিবর্তন আনার কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং তিনি সতর্ক করেন যে মুদ্রাস্ফীতির নির্দিষ্ট কিছু উপাদানের দিকে এখনও সজাগ দৃষ্টি রাখা জরুরি। যদিও এটি এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নয় যে আগামী কয়েক মাসে ঋণ গ্রহণের খরচ কেমন হবে, তবে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান বলেন, ভোক্তা মূল্যস্ফীতি প্রায় ২% লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নাগেল বলেন, "আমি মনে করছি আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি কোনো কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন দেখছি না, যদি না নতুন কিছু সামনে আসে। তবে সত্যি বলতে, আমি এমন কিছুর সম্ভাবনা দেখছি না।" ইসিবির কর্মকর্তারা বর্তমান সুদের হার নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট এবং তারা বারবার বলছেন যে আর্থিক নীতিমালা "সঠিক অবস্থানে" আছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মনে করেন, আগামী দুই বছরে কিছুটা ঘাটতির আশঙ্কা সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি ২%-এর আশেপাশেই থাকবে এবং ইউরোজোন মার্কিন শুল্কের চাপকে সফলভাবেই সামাল দিচ্ছে। তবে, কিছু নীতিনির্ধারক আগামীতে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাও পুরোপুরিভাবে উড়িয়ে দিচ্ছেন না—যা ইতোমধ্যে আটবার কমানো হয়েছে—কারণ তারা আশঙ্কা করছেন মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে যেতে পারে। প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে সম্প্রতি বলেছেন, তিনি কখনোই আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের সমাপ্তির ঘোষণা দেবেন না, কারণ বর্তমান অনুকূল পরিস্থিতিও পরিবর্তিত হতে পারে। উল্লেখ্য, আজ আবারো লাগার্ডের বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। ফ্রাঁসোয়া ভিলরোয়া দ্য গালো ইসিবি'র গভর্নিং কাউন্সিলের একজন সদস্য, যিনি ভবিষ্যতের সুদের হার হ্রাসের বিকল্প উন্মুক্ত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এক আলাদা সাক্ষাৎকারে ফরাসি এই নীতিনির্ধারক বলেন, "যদিও ইসিবি এখন ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে, তবে এর মানে এই নয় যে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে।" তিনি আরও যোগ করেন, "মূল্যস্ফীতির এখন নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এজন্য, যদি আগামীতে কোনো পরিবর্তন আসে, তবে আমার মতে, সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।" বর্তমানে দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালার মধ্যে পার্থক্য বেশ স্পষ্ট: ইউরোর দর আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর মার্কিন ডলারের দরপতন হচ্ছে। সম্ভবত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন 1.1680 লেভেল ব্রেক করিয়ে এই পেয়ারের মূল্যকে উপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এটি করা গেলে মূল্যের 1.1715 লেভেলে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্য 1.1745 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এই লেভেল অতিক্রম করা মূল্যের পক্ষে বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1765 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.1644 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হন, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1614 লেভেলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করা অথবা সরাসরি 1.1580 লেভেল থেকে লং পজিশন ওপেন করাই বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে।
GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3450-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেলটি ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটি সফলভাবে ব্রেক করা গেলে তারা মূল্যকে 1.3480 লেভেলের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার ওপরে মূল্যের আরো অগ্রসর হওয়া কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3525 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন ঘটে, তবে মূল্য 1.3400-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা আবার মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা এতে সফল হয়, তবে মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে সেটি বাই পজিশনের জন্য বড় ধরনের আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3370 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে এবং এমনকি 1.3333 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4ocCXkF
-
১৭ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/361179905.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে এবং ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। চার্টে দেখা যাচ্ছে, এখন মার্কেটে একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, এবং আমরা ব্রিটিশ পাউন্ডের আরও দর বৃদ্ধির আশা করছি। গতকাল যুক্তরাজ্যে আগস্ট মাসের শিল্প উৎপাদন এবং জিডিপি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে আগের মতোই, ব্রিটিশ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করেনি। ট্রেডারদের দৃষ্টি এখন মূলত মার্কিন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ফেডারেল রিজার্ভ, এবং চীনের সঙ্গে বর্ধিত বাণিজ্য যুদ্ধের দিকেই কেন্দ্রীভূত। আমাদের দৃষ্টিতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈশ্বিক মৌলিক অনুঘটক মার্কিন ডলারকে সহায়তা করছে না। গত কয়েক মাসে এই পেয়ার দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি প্রশস্ত সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড করেছে। সাধারণত এমন দীর্ঘ কনসোলিডেশনের পরে নতুন একটি প্রবণতা শুরু হয় — হয় ঊর্ধ্বমুখী নয়তো নিম্নমুখী। এই পর্যায়ে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো কারণ নেই, যার মানে শিগগিরই বুলিশ প্রবণতা শুরু হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1750799140.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার একটি সংকীর্ণ রেঞ্জের মধ্যেই কমপক্ষে পাঁচটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 জোন থেকে পাঁচবার রিবাউন্ড করেছে, যা নতুন ট্রেডারদের জন্য একাধিক এন্ট্রি পয়েন্ট তৈরি হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি না ঘটলেও, আমাদের বিশ্বাস আজকের সেশনে পাউন্ডের মূল্যের 1.3466–1.3475 জোনে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অবশেষে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন সম্ভাব্য বুলিশ প্রবণতা গঠিত হতে শুরু হয়েছে, যার ফলে আরও ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। আগেও বলা হয়েছে যে দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো ভিত্তি নেই। সেই কারণে মধ্যমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত আগ্রাসী পদক্ষেপ মার্কেটে এমন চাপ সৃষ্টি করছে, যা ডলার থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এখন স্পষ্টভাবে বুলিশ প্রবণতা শুরু হয়েছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 রেঞ্জ নিশ্চিতভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে লং পজিশনগুলো আরও শক্তিশালী হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3466–1.3475 জোনের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিপরীতভাবে, যদি মূল্য এই জোনের নিচে নেমে যায়, তাহলে একটি ডাউনওয়ার্ড কারেকশনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590, 1.3643-1.3652, 1.3682, এবং 1.3763। শুক্রবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র— কোনো দেশ থেকেই উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। অতএব, ট্রেডারদের কোনো বড় খবরের ভিত্তিতে মার্কেটে নাটকীয় মুভমেন্টের প্রত্যাশা না করে প্রধানত টেকনিক্যাল সিগন্যাল অনুসরণ করেই ট্রেডিং করতে হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3JhGXkm
-
২০ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/98469334.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যতটা না বেড়েছে তার চেয়ে বেশি পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, গত সপ্তাহেই টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল; সেই অনুযায়ী, এখন ট্রেডাররা সম্পূর্ণ যৌক্তিকভাবেই ইউরোর দর বৃদ্ধির আশা করতে পারেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে সম্প্রতি (আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে), ইউরোর দরপতনের জন্য খুব কম কারণ ছিল, এবং মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্যও তেমন কোনো কারণ ছিল না। তবে দৈনিক টাইমফ্রেম এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যার ফলে প্রায় তিন সপ্তাহব্যাপী যে দরপতন দেখা গেছে, তা অনেক প্রশ্ন উদ্রেক করেছে। শুক্রবার প্রকাশিত ইউরোজোনের সেপ্টেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস এবং প্রাথমিক অনুমান - উভয়ের চেয়ে বেশি এসেছে। মুদ্রাস্ফীতির হার যত বেশি হবে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সুদের হার আরও কমানোর সম্ভাবনা ততটাই কমে যাবে। ফলে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ইউরোর জন্য সহায়ক হিসেবে কাজ করে। কিন্তু দেখা গেছে, ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটির ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যেমনটা প্রত্যাশিত ছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি বিবৃতির মাধ্যমে মার্কেটে উত্তেজনা কিছুটা কমিয়ে দেন, যেখানে তিনি বলেন যে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাড়তি শুল্ক স্থায়ী হবে না। এই ভিত্তিতে, ডলারের দর সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/932989488.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবারের সেশন চলাকালীন সময়ে কার্যত কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। সন্ধ্যার দিকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়ার দিকে হ্রাস পায়, কিন্তু তখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ট্রেডারই উইকএন্ডের জন্য ট্রেডিং থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ, এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য এই এরিয়াতেই অবস্থান করছে এবং এখনো পর্যন্ত নতুন কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অবশেষে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কিছুটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে এবং এখনও সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য বেশ প্রতিকূল। তাই, আমরা 2025 সালে পরিলক্ষিত বুলিশ প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। সোমবারে EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ দিনের বেলা কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। নতুন ট্রেডাররা 1.1655–1.1666 এরিয়ার আশেপাশে একটি সিগন্যাল গঠনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। তবে, সামগ্রিকভাবে আজ এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। সোমবার ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। তাই, আজ আবারও এই পেয়ারের মূল্যের খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাট্যালিটি বা অস্থিরতা দেখা যেতে পারে, কিন্তু ইউরোর মূল্যের মন্থর ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এ মুহূর্তে এই ধরনের মুভমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় সব কারণই বিদ্যমান।
Read more: https://ifxpr.com/4o4yjoA
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২১ অক্টোবর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/239221498.jpg[/IMG]
ইউরোর ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1664 লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। দিনের শুরুতে জার্মানির উৎপাদক মূল্য সূচকের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের প্রকাশের পর ইউরোর চাপে সম্মুখীন হয় এবং মার্কিন সেশনের সময়েও তা পুরোপুরিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়নি। আসন্ন প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন ডলারে বিনিয়োগ করতে শুরু করে, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এবং ইউরোর দরপতন হতে দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় ইউরোর জন্য কোনো সহায়ক কারণ ছিল না, এবং এখন ট্রেডারদের দৃষ্টি আসন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকগুলোর দিকে স্থানান্তরিত হয়েছে—যেগুলো থেকে ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আজ সকালে ইউরোজোন থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই, তাই এখন সমস্ত মনোযোগ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতার দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। সুদের হার সংক্রান্ত বিষয়ে তার সতর্ক অবস্থান, বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি কমতে থাকলে, ইউরোকে সীমিত সহায়তা দিতে পারে। তবে, বর্তমানে উল্লেখযোগ্য শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা খুবই কম। ট্রেডাররা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারণী অবস্থান সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত পাওয়ার আশায় তার প্রতিটি বক্তব্য সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, লাগার্ডের বক্তব্যে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান প্রতিফলিত করার প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে—যেখানে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরা হতে পারে। আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা ১ এবং পরিকল্পনা ২ এর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/387251434.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1674-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে (গাঢ় সবুজ লাইন) 1.1638-এর (চার্টে হালকা সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1674-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র লাগার্ডের কাছ থেকে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া গেলে এই পেয়ার ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1619-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1638 এবং 1.1674-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1619-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1584এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1638-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1619 এবং 1.1584-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/42Puifa
-
২২ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/805521734.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে এবং স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটির সাথে নিম্নমুখী হয়েছে। ইউরো টানা তিন দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে, যদিও এর পেছনে কোনো মৌলিক বা টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটগত যৌক্তিকতা নেই। আমরা এখনো মনে করি যে বর্তমানে মার্কিন ডলারের যেকোনো মূল্য বৃদ্ধিই অযৌক্তিক। ট্রেডারদের দৈনিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান রেঞ্জ-বাউন্ড স্ট্রাকচারের দিকে খেয়াল রাখা উচিত, যা সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের অস্বাভাবিক এবং এলোমেলো মুভমেন্টের প্রধান কারণ। সোমবার এবং মঙ্গলবার উভয় দিনেই ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো ইভেন্টও ছিল না। ফলে, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর খুব একটা সুযোগ ছিল না। লোয়ার টাইমফ্রেমে সম্প্রতি এই পেয়ারের মূল্য একটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সক্রিয় রয়েছে। তবে, স্পষ্ট কোনো কারণ ব্যতীত এই পেয়ারের মূল্য এখনও দরপতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/132071756.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার জুড়ে মাত্র একটি সঠিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল এবং এটি এশিয়ান সেশনের সময় গঠিত হয়। মূল্য 1.1655 লেভেল থেকে নিখুঁতভাবে রিবাউন্ড করে এবং এরপর ৪০ পিপসের মত দরপতন হয়। যারা এই সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রেড করতে পেরেছেন তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বেশ ভালোই মুনাফা করতে পেরেছেন, বিশেষ করে যদি স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটির বিষয়টি বিবেচনা করা হয়।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, আবারও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে এবং এখনও সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। তাই আমরা এখনো ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বুলিশ প্রবণতার আরও বিকাশের আশা করছি। তবে, ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্য চওড়া সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করছে। এই ফ্ল্যাট রেঞ্জই লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভলাটিলিটি এবং অযৌক্তিক মুভমেন্টের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বুধবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে অগ্রসর হতে পারে, কারণ এখনো কোনো মৌলিক অনুঘটক নেই। 1.1571–1.1584 এরিয়ার কাছে পরবর্তী ট্রেডিং সিগন্যালগুলো গঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মূল্য সেখানেই অবস্থান করছিল। ৫-মিনিটের চার্টে দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। বুধবার, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে আরেকবার বক্তব্য দেবেন, তবে তাঁর বক্তব্যের প্রতি ট্রেডারদের আগ্রহের মাত্রা এখন বেশ সীমিত। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে একেবারেই কোনো কিছুই নেই।
Read more: https://ifxpr.com/4oyhYbI