-
হারমনি ওএসের গ্রাহক ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে
হুয়াওয়ের অপারেটিং সিস্টেম হারমনি ওএস সংবলিত ডিভাইসের সংখ্যা ১৫ কোটি ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি শুরু হওয়া হুয়াওয়ে ডেভেলপার কনফারেন্স ২০২১-এ এ তথ্য নিশ্চিত করেন চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটির নির্বাহী পরিচালক রিচার্ড ইয়ু। খবর গিজমোচায়না।
চলতি ডেভেলপার কনফারেন্সে হুয়াওয়ে তাদের সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম হারমনি ওএস ৩ উন্মোচন করেছে। নতুন সফটওয়্যারটি ডেভেলপাররা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন। ২২ অক্টোবর শুরু হওয়া সম্মেলনটি ২৪ অক্টোবর শেষ হবে। এতে হারমনি ওএসের পাশাপাশি স্মার্ট হোম, স্মার্ট অফিস, এইচএমএমএস কোর ও অন্যান্য প্রযুক্তি উন্মোচন করছে হুয়াওয়ে।
বর্তমানে যে ১৫ কোটি ডিভাইসে হারমনি ওএস ব্যবহূত হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ওয়াচ ও ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)। বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ ও সহযোগিতার কথা মাথায় নিয়ে এ অপারেটিং সিস্টেমটি ডিজাইন করা হয়েছে। রিচার্ড ইয়ু জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ২০ কোটি ডিভাইসে হারমনি ওএস ব্যবহূত হবে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমের প্রতি জোর দেয় হুয়াওয়ে। চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটির স্মার্টফোন খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও বিভিন্ন সফটওয়্যার প্লাটফর্মের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে তারা।
বণিক বার্তা
-
১ হাজার কোটি ডলার আয় কমেছে সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানির
চলতি বছর বিতর্কিত একটি প্রাইভেসি নীতি গ্রহণ করেছে অ্যাপল। অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি (এটিটি) নামে অ্যাপ স্টোরের এ ফিচারে বিজ্ঞাপন ব্যবসায় ঝুঁকিতে পড়েছে সোস্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলো। অ্যাপল ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপলের এ পলিসি গ্রহণের ফলে ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ১ হাজার কোটি ডলার খোয়াচ্ছে ফেসবুক, টুইটার, স্ন্যাপ ও ইউটিউবের মতো কোম্পানি। খবর টেক টাইমস।
গ্রাহকের ডাটা সংগ্রহের প্রশ্নে অ্যাপল নতুন নীতিমালার প্রচলন করেছে চলতি বছর, যার ফলে ডাটা সংগ্রহ করার আগে ব্যবহারকারীর অনুমতি নিতে হচ্ছে অ্যাপগুলোকে। অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি (এটিটি) নীতিমালা আনার ঘোষণা ২০২০ সালে দিলেও চলতি বছরের এপ্রিলে এসে কার্যকর করেছে অ্যাপল । ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সাম্প্রতিক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, অ্যাপলের নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার পর স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবের মতো বহুল ব্যবহূত সামাজিক মাধ্যমগুলোর আয় কমেছে ৯৮৫ কোটি ডলার।
এটিটির ফলে আইফোন ব্যবহারকারী গ্রাহকদের কাছে নিজেদের আন্ডারওয়্যার পৌঁছানো কত কঠিন হয়েছে এ নিয়ে লোটামি সিওও মাইক উসলি জানান, আমরা যদি ১ হাজার পুরুষের কাছে আন্ডারওয়্যার বিক্রি করতে চাই, আমাদের অন্তত দুই হাজার জনকে তো দেখাতে হবে। আবার এটাও জানতে হবে আমাদের বিজ্ঞাপন পুরুষের কাছে পৌঁছেছে নাকি নারীদের কাছে। এটিটির ফলে যা বেশ কঠিন ঠেকেছে।
বণিক বার্তা
-
৩৩ কোটি ৪০ লাখ স্মার্টফোন বিক্রির পরিকল্পনা স্যামসাংয়ের
আগামী বছর ৩৩ কোটি ৪০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রির পরিকল্পনা করছে স্যামসাং। কোম্পানির তথ্যসূত্রের বরাতে দি ইলেক নামে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্যামসাংয়ের পরিকল্পনায় বলা হয়, মোট স্মার্টফোনের ২৮ কোটি ৫০ লাখ ইউনিট নিজস্ব কারখানায় এবং বাকি ৪ কোটি ৯০ লাখ ইউনিট অন্য ম্যানুফ্যাকচারার ের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করবে তারা। ২০২২ সালে স্যামসাং তাদের ফ্ল্যাগশিপ ফোন গ্যালাক্সি এস সিরিজ নির্মাণ করবে ৫ কোটি ৪০ লাখ ইউনিট। এছাড়া নিজেদের ফোল্ডিং ফোন তৈরি হবে ১ কোটি ৩০ লাখ ইউনিট, যা ২০২১ সালের ৭০ লাখ ইউনিট লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ। দি ইলেকের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, স্যামসাংয়ের সাশ্রয়ী এন্ট্রি লেভেলের ফোন বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ১৭ কোটি ৬০ লাখ। মাঝারি পর্যায়ের ৯ কোটি ১০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করতে চাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি।
বণিক বার্তা
-
তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতে পিসি বিক্রি হয়েছে ৪৫ লাখ ইউনিট
বিশ্বব্যাপী চলমান সরবরাহ চেইন সংকট ও লজিস্টিকস সমস্যা থাকা সত্ত্বেও ভারতে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বিক্রি বেড়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতে ৪৫ লাখ পিসি বিক্রি হয়েছে। আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশ। এ নিয়ে টানা পাঁচ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দেখল ভারতের পিসি বাজার।
জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ডেস্কটপ, নোটবুক ও ওয়ার্কস্টেশনসহ অন্যান্য পিসি বিক্রির রেকর্ড গড়েছে ভারত। ৮০ শতাংশ বাজার শেয়ারের মাধ্যমে শীর্ষে ছিল নোটবুক। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের থেকে চাহিদা বৃদ্ধিতে গত প্রান্তিকে ভারতে নোটবুকের বিক্রি ৩০ লাখ ইউনিট ছাড়িয়েছে। ধীরে ধীরে অফিস-আদালত চালু হওয়ায় ডেস্কটপ পিসি বিক্রি হয়েছে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ।
ভারতের বাজারে নোটবুকের চাহিদা এখনো বেশ চাঙ্গা। তবে পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় বিদ্যমান চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে বিক্রেতারা। তৃতীয় প্রান্তিকে ভারতের বাজারে সর্বোচ্চ পিসি বিক্রি করেছে এইচপি। এ নিয়ে টানা তৃতীয় প্রান্তিকের মতো ভারতের বাজারে শীর্ষস্থান ধরে রাখল মার্কিন এ প্রযুক্তি জায়ান্টটি। বাণিজ্যিক ও ভোক্তা সেগমেন্টে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাজার শেয়ার ছিল এইচপির। বাণিজ্যিক সেগমেন্টে ৩০ শতাংশ বাজার শেয়ারের মাধ্যমে নিরঙ্কুশ অবস্থান তাদের। তবে ভোক্তা সেগমেন্টে এইচপির বাজার শেয়ার কিছুটা কমে ২৫ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সার্বিক পিসির বাজারে ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ বাজার শেয়ার নিয়ে দ্বিতীয় স্থান ডেল টেকনোলজিসের। প্রথমবারের মতো ভারতে ডেলের পিসি বিক্রি ১০ লাখ ইউনিট ছাড়িয়েছে। ভোক্তা সেগমেন্টে ১৯ দশমিক ২ শতাংশ বাজার শেয়ারের মাধ্যমে লেনোভোকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক কোম্পানিটি।
বণিক বার্তা
-
আইফোন ছাড়াই কাজ করবে অ্যাপলের হেডসেট
আগামী বছরের কোনো এক সময় অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেট উন্মোচন করবে প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। নতুন প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী হেডসেটটি ম্যাকের মতো শক্তিশালী হবে। এমনকি আইফোন ছাড়াও ব্যবহার করা যাবে। খবর গিজমোচায়না।
৯টুম্যাকে প্রকাশিত অ্যাপলের গবেষক মিং চি কুর সর্বশেষ ইনভেস্টরস নোট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কু বলেন, কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্টটি ম্যাকের সমান কম্পিউটিং সক্ষমতা দিয়ে হেডসেটটি বাজারে আনবে। এতে যে চিপ ব্যবহার করা হবে, তা বাজারে থাকা অন্যান্য এআর হেডসেটের চেয়ে ব্যতিক্রম। গবেষকের তথ্যানুযায়ী, আগামী ১০ বছরের মধ্যে অ্যাপল আইফোনের জায়গায় অগমেন্টেড রিয়েলিটিকে (এআর) স্থলাভিষিক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যার প্রথম ধাপ হচ্ছে এ হেডসেট।
২০২২ সালে অ্যাপল পণ্য বাজারজাতে যে সময় নির্ধারণ করেছে সেটি মিং চি কুর চতুর্থ প্রান্তিকের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলে গেছে। তিনি বলেন, ম্যাকবুকে যে এমওয়ান প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসরগুলোতে এর সমপরিমাণ কম্পিউটিং সক্ষমতা থাকবে। অন্যদিকে কমদামি প্রসেসরে সাধারণ কম্পিউটিং সক্ষমতা থাকবে। অ্যাপলের এআর হেডসেটে সনির দুটি ফোরকে মাইক্রো ওলেড ডিসপ্লে প্যানেলের পাশাপাশি ভিআর ব্যবহারের ফিচারও থাকতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মিং চি।
বণিক বার্তা
-
স্মার্ট হোম ডিভাইসে ঝুঁকছে প্রযুক্তি জায়ান্টরা
ঘরের আলো জ্বালানো থেকে শুরু করে দরজা তালা দেয়ার ক্ষেত্রে বাসাবাড়ি ও শোবার ঘরে ঢুকেছে বিভিন্ন স্মার্ট হোম ডিভাইস। করোনাকালে বাসা থেকে কাজ বৃদ্ধিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম টুলস হিসেবেও জায়গা করে নিচ্ছে তারা। বাজারের চাহিদার দিকে তাকিয়ে অ্যামাজন, মেটা ও গুগলের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা ঝুঁকছে বিভিন্ন স্মার্ট হোম অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।
পারিবারিক ও কর্মজীবনের মধ্যে ফারাক ঘুচিয়ে দিয়েছে করোনা মহামারী। ঘরে থেকে বা অফিসের বাইরে থেকে কাজ আগে যেখানে ছিল অল্প কতকের, সেখানে কভিডকালে প্রায় প্রত্যেকেই তাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এতে বিভিন্ন স্মার্ট হোম ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীলতা আরো বেড়েছে। এখন হয়তো কোনো জরুরি ভার্চুয়াল মিটিং কিংবা ব্যস্ত শিডিউল ঠিক রাখার জন্য অনেকে নির্ভর করছে অ্যালেক্সা কিংবা গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টে ওপর। বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন মানুষকে কিছুটা আয়েস দিচ্ছে তেমনি বাড়িয়ে দিচ্ছে উদ্বেগও। স্মার্ট হোম ডিভাইসগুলো হয়তো অনেকের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দিয়েছে, কায়িক পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে, কিন্তু তাতে নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকিতে পড়ারও ঝুঁকি রয়েছে, যা ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে বিপদে ফেলতে পারে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানকেও। এজন্য বিভিন্ন স্মার্ট হোম ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতার আহ্বান রাখেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
বণিক বার্তা
-
ফেসবুক-টিকটকে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিয়ে অসন্তুষ্ট মার্কিনরা
ব্যক্তিগত ডাটার সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতি আস্থা নেই সংখ্যাগরিষ্ঠ আমেরিকানের। কিন্তু এসব সেবা গ্রহণ ছাড়া তাদের কাছে কোনো বিকল্প নেই। ওয়াশিংটন পোস্ট ও স্কার স্কুলের নতুন এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ডেইলি ডট।
গত নভেম্বরে প্রাপ্তবয়স্ক ১ হাজার ১১২ জন আমেরিকানের ওপর জরিপটি চালানো হয়েছে। তারা বলছেন, প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর ওপর বেশকিছু ইস্যুতে আস্থার ঘাটতি রয়েছে। কীভাবে তাদের অনলাইন তত্পরতা নজরদারির আওতায় যাচ্ছে কিংবা মনিটাইজ হচ্ছে, সে ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সীমিত নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি তাদের জন্য উদ্বেগের।
ওয়াশিংটন পোস্ট ও স্কার স্কুলের জরিপে দেখা গেছে, ফেসবুক ও টিকটকের সেবা নিয়ে অধিকাংশ আমেরিকানের আস্থার সংকট রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আন্তঃসম্পর্কিত বিশ্বে তাদের এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন তারা। এর সমাধান হিসেবে ৬৪ শতাংশের দাবি ক্রমবর্ধমান সরকারি নীতিমালা।
সব প্রযুক্তি কোম্পানিকে অবশ্য সমান চোখে দেখছেন না মার্কিনরা। নয়টি শীর্ষ কোম্পানিতে ব্যক্তিগত তথ্য ও ডাটার সুরক্ষা নিয়ে তাদের আস্থা কতটুকু—এমন প্রশ্নের জবাবে ৭২ শতাংশ জানান, ফেসবুকে তাদের তেমন আস্থা নেই কিংবা একেবারেই আস্থা নেই।
বণিক বার্তা
-
নিষেধাজ্ঞার ধাক্কায় হুয়াওয়ের আয় কমেছে ২৯%
সদ্য বিদায়ী ২০২১ সালে হুয়াওয়ের আয় আগের বছরের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটির স্মার্টফোন বিক্রি তলানিতে গিয়ে ঠেকায় তাদের আয়ে বড় ধরনের এই পতন হলো। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
বছরের শেষ দিন কর্মীদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান গিয়ু পিং জানান, ২০২১ সালে কোম্পানির আয় আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ৪০০ কোটি ইউয়ান বা ৯ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারে।
ব্যবসায় এ টানাটানি নিয়েই ২০২২ সাল শুরু করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। সেখান থেকে উত্তরণের পথ কী হতে পারে, সেটাও কর্মীদের লিখেছেন গিয়ু।
নতুন বছরের বার্তায় গিয়ু জানান, সব মিলিয়ে কোম্পানির কার্যক্রমে তিনি সন্তুষ্ট। তবে নতুন বছরেও যে নানা চ্যালেঞ্জ থাকবে, সে বিষয়ে তার সন্দেহ নেই। ব্যবসার অনিশ্চিত পরিবেশ, প্রযুক্তির রাজনীতিকরণ ও ক্রমবর্ধমান বিশ্বায়নবিমুখ আন্দোলন বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে।
বণিক বার্তা
-
চতুর্থ প্রান্তিকে বৈশ্বিক পিসি বিক্রি ৫ শতাংশ কমেছে
গত বছরের শেষ প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) বিক্রি কমেছে ৫ শতাংশ। করোনা মহামারীর কারণে কয়েক প্রান্তিকে বেশ চাঙ্গা বিক্রির পর পিসি বিক্রিতে শ্লথগতি দেখা যাচ্ছে। গবেষণা সংস্থা গার্টনারের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।
গার্টনার জানায়, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী পিসি বিক্রি ৮ কোটি ৮৩ লাখ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালের একই প্রান্তিকের চেয়ে যা ৪৬ লাখ ইউনিট কম।
যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটভিত্তি গবেষণা সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক মিকাকো কিতাগাওয়া জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পিসি বিক্রি কমার কারণ হচ্ছে চলমান সরবরাহ চেইন সংকট এবং ক্রোমবুকের চাহিদা হ্রাস। মহামারীর কারণে পিসি বিক্রিতে যে চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছিল তা সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছার পর কমতে শুরু করেছে।
টানা ছয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির পর চতুর্থ প্রান্তিকে প্রথমবারের মতো কমল পিসি বিক্রি। অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাসা থেকে কাজ ও ক্লাসনির্ভর হয়ে পড়লে পিসি বিক্রি বেড়েছিল।
গত প্রান্তিকে পিসি বিক্রি কমলেও বছরওয়ারি বিক্রি রেকর্ড সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। গার্টনার বলছে, গত বছর পিসি বিক্রি ছিল ২০১৩ সালপরবর্তী সর্বোচ্চ। গত বছর বৈশ্বিক পিসি বিক্রি ১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি ৯৮ লাখ ইউনিট।
কিতাগাওয়া বলেন, গত বছর পিসির গড় মূল্য বৃদ্ধিতে নির্মাতা কোম্পানিগুলোর আয় বেড়েছে। আরো দু-তিন বছর অন্তত পিসি বিক্রি মহামারী-পূর্ব সময়ের জায়গায় যাচ্ছে না।
বণিক বার্তা
-
২০২১ সালে ইউরোপের স্মার্টফোন বাজার ৮% সম্প্রসারণ, রেকর্ড বিক্রি ভারতের
২০২০ সালে করোনার অভিঘাতে স্মার্টফোন বাজার বেশ ধাক্কা খেলেও ২০২১ সালে বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সরবরাহ চেইন সংকট ও চিপস্বল্পতার মধ্যেও গত বছর ৮ শতাংশ সম্প্রসারণ হয়েছে ইউরোপের স্মার্টফোন বাজার। এদিকে ভারতে স্মার্টফোন বিক্রি ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ইউনিট। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছর ইউরোপের স্মার্টফোন বাজারে শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়েছে। শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোয় বেশ কয়েকবার রদবদল হয়েছে। প্রথম ফাইভজি আইফোন উন্মোচনের মাধ্যমে ৩৪ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে ২০২১ শুরু করেছিল অ্যাপল। গত ফেব্রুয়ারিতে গ্যালাক্সি এস২১ সিরিজ উন্মোচনের ফলে ওই মাসে স্যামসাংয়ের বিক্রি বাড়ে ২৪ শতাংশ। এতে ইউরোপের বাজারে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে অবস্থান পুনরুদ্ধার করে তারা। কিন্তু মে মাসে ভিয়েতনাম কারখানায় কয়েক সপ্তাহ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় অবস্থান হারায় তারা। এতে জুনে প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাজারে শীর্ষ স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হয়ে দাঁড়ায় শাওমি।
চীনা ব্র্যান্ডটির চমকের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে রাশিয়া, স্পেন ও ইতালির মতো বাজারে রেকর্ড স্মার্টফোন বিক্রি। ইউরোপের বাজারে শীর্ষস্থানে অবস্থান অবশ্য মাত্র এক মাসের ছিল শাওমির। জুলাইয়ে এ সিরিজের ফোনের মাধ্যমে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করে স্যামসাং। গ্যালাক্সি জি ফোল্ড ৩ ও ফ্লিপ ৩ ফোনের মাধ্যমে পরবর্তী কয়েক মাস শীর্ষস্থান ধরে রাখে দক্ষিণ কোরীয় স্মার্টফোন জায়ান্টটি। অ্যাপলের আইফোন ১৩ উন্মোচনের পর ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে শীর্ষস্থান ধরে রাখে অ্যাপল।
বণিক বার্তা