-
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/706531818.jpg[/IMG]
মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল অনেক প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যদিও প্রধান কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল এবং সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে, মূল মুদ্রাস্ফীতি "নিম্নমুখী" ছিল, যা এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকে পতনের ইঙ্গিত দেয়। এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায়, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.03 লেভেলের আশেপাশে স্থির ছিল এবং এমনকি 1.0350 রেজিস্ট্যান্স লেভেলও টেস্ট করেছিল, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড ইন্ডিকেটরের মিডিয়ান লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। কিন্তু সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন কি সত্যিই ডলারের জন্য ক্ষতিকর? এবং বর্তমান মৌলিক পরিস্থিতিতে লং পজিশন কি সত্যিই নির্ভরযোগ্য? এগুলো বিবেচনা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ল্যাটিন ভাষায় একটি উক্তি আছে, "In dubio pro reo," যার অর্থ "সন্দেহ থাকলে, আসামির পক্ষে থাকুন।" পুনর্বিবেচনা করলে এটি বোঝায় যে ট্রেডাররা বর্তমানে তাদের সংশয়পূর্ণ বিষয়গুলো এমনভাবে ব্যাখ্যা করছেন যা ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা জাগায়। উদাহরণস্বরূপ, মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন টানা তৃতীয় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে, যা বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.3%-এ পৌঁছেছে, যদিও এটি 3.5%-এর পূর্বাভাস থেকে সামান্য নিচে ছিল। এটি 2023 সালের মার্চ মাস থেকে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির হার নির্দেশ করে। তবে মূল্য উৎপাদক মূল্য সূচক পূর্বাভাস অনুযায়ী 3.5% এ স্থিতিশীল ছিল। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, এই প্রতিবেদনের সামগ্রিক নেতিবাচক ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। একই রকম পরিস্থিতি বুধবার দেখা গিয়েছিল যখন প্রধান মুদ্রাস্ফীতি মাসিক ভিত্তিতে 0.4% বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা 2024 সালের মার্চ থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি এবং ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মাস বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। বার্ষিক ভিত্তিতে, দেশটির প্রধান মুদ্রাস্ফীতি 2.9% এ পৌঁছেছে, যা 2023 সালের জুলাইয়ের পর সবচেয়ে শক্তিশালী বৃদ্ধি। সূচকটি এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বছরের শুরুর ছয় মাসের ক্রমাগত পতনের পর ইতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করে। মূল মুদ্রাস্ফীতি, যা খাদ্য এবং জ্বালানি মূল্যের প্রভাব বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়, "নিম্নমুখী" হয়েছে—এটি প্রধান মুদ্রাস্ফীতি থেকে আলাদা, যা পূর্বাভাস অনুযায়ী ফলাফল প্রদর্শন করছে। মাসিক ভিত্তিতে, মূল মুদ্রাস্ফীতি সূচক 0.2%-এ নেমে এসেছে, যা টানা চার মাস 0.3% ছিল। বার্ষিক ভিত্তিতে, এই সূচকটিও 3.2%-এ নেমে এসেছে। যদিও এটি মনে হতে পারে যে উভয় উপাদানই পতন দেখাচ্ছে, এটি উল্লেখযোগ্য যে মূল মুদ্রাস্ফীতি এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পতন দেখিয়েছিল এবং গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে 3.2%-এ পৌঁছেছিল। আগস্টে সূচকটি একই স্তরে স্থির ছিল। তবে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মূল মুদ্রাস্ফীতি সামান্য বেড়ে 3.3%-এ পৌঁছেছিল এবং ডিসেম্বর মাসে এটি আবার 3.2%-এ ফিরে আসে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে প্রকৃতপক্ষে এই সূচক নিম্নমুখী হচ্ছে না; বরং মূল মুদ্রাস্ফীতি অপেক্ষাকৃত উচ্চ স্তরে স্থবির রয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের জন্য উদ্বেগজনক। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানির দাম বেড়েছে, যা 0.5% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে পূর্বে এটি 3.2% কমেছিল। প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রায় পাঁচ শতাংশ (4.9%) বেড়েছে, যা নভেম্বরে 1.8% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এছাড়াও, খাদ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে 2.5% বৃদ্ধি পেয়েছে (নভেম্বরে 2.4%-এর তুলনায়)। পরিবহন পরিষেবার খরচ 7.3% বেড়েছে, যেখানে আগের প্রতিবেদনে 7.1% বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যদিকে, নতুন এবং ব্যবহৃত গাড়ির দাম সামান্য কমেছে, যা যথাক্রমে 0.4% এবং 3.3%-এ নেমে এসেছে। প্রতিবেদনে এই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে যে সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও কিছু বিশ্লেষক বলছেন যে প্রত্যাশার তুলনায় এটি তেমন তীব্র নয়। একই সময়ে, মূল মুদ্রাস্ফীতি স্থবির হয়ে রয়েছে, এবং এই মুহূর্তে কোনো নিম্নমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত নেই। CPI এবং PPI প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় ট্রেডাররা অত্যধিক আবেগপ্রবণ হয়ে উঠেছে। অনেক ট্রেডাররা মনে করছেন যে মুদ্রাস্ফীতির সামান্য চাপ ফেডারেল রিজার্ভকে এই বছর আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার সুযোগ দেবে। তবে, ডিসেম্বর মাসের হালনাগাদকৃত ডট প্লটের পূর্বাভাস অনুযায়ী, 2025 সালে ফেড 25 বেসিস পয়েন্ট করে দুইবার সুদের হার হ্রাস করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, আমার মতে এই সিদ্ধান্তগুলো সময়পযোগী নয় এবং ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এখনও শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে, এবং মুদ্রাস্ফীতির সূচকগুলো হয় বাড়ছে বা স্থিতিশীলতা দেখাচ্ছে, টেকসইভাবে হ্রাস পাচ্ছে না। ট্রেডারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ফেডের পদক্ষেপগুলো প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে। CME FedWatch অনুযায়ী জানুয়ারি বৈঠকে কোনো সুদের হারে পরিবর্তন না হওয়ার সম্ভাবনা 97%, এবং মার্চের জন্য এটি 72%। বর্তমানে মে মাসে 25 পয়েন্টের সুদের হার হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা 50/50, যা আগে 60% ছিল। তবে, মে মাসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে এখনও পাঁচ মাস বাকি রয়েছে, তাই এত আগাম সম্ভাবনার উপর আলোচনা করার সময় এখনও আসেনি। সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়নি, তবে এটির উল্লেখযোগ্য দরপতনও ঘটেনি, কারণ এই প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি প্রদর্শন করে। EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধিকে শর্ট পজিশনে এন্ট্রির সুযোগ হিসাবে দেখা উচিত, বিশেষ করে যদি ক্রেতারা মূল্যকে দিয়ে 1.0350-এর মধ্যবর্তী রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করাতে ব্যর্থ হয়, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিডিয়ান লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0300 এর লেভেল, যা দৈনিক চার্টে টেনকান-সেন লাইনের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0230 এর লেভেল, যা একই টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের লোয়ার লাইনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
more: https://ifxpr.com/3PAayFr
-
১৭ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/358487629.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই তুলনামূলকভাবে উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি প্রদর্শন করছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখন মার্কেটে মুভমেন্টের মূল প্রভাবক নয়। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল বেশ কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর কোনটাই মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। আজ যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিসেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান এবং যুক্তরাষ্ট্র শিল্প উৎপাদন, নির্মাণ অনুমোদন এবং নতুন আবাসন বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর কোনোটির ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বিচ্যুত হয়, তবে আমরা মার্কেটে তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখতে পারি। তবে, আজকের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতির বড় কোনো পরিবর্তন ঘটাবে বলে মনে হয় না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো জোয়াকিম নাগেলের (বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট) ভাষণ। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোজোনে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না বা কোন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট: তারা কোনো বিরতি বা ব্যাঘাত ছাড়াই আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের অব্যাহত রাখবে। সুতরাং, নাগেলের কাছ থেকে এমন কোনো তথ্য পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে না যা আজ মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে আমরা মার্কেটে মাঝারি মাত্রার মুভমেন্টের আশা করতে পারি, কারণ আজ কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। সবচেয়ে লক্ষণীয় প্রতিবেদন হবে যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত তথ্য এবং যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন। এই সপ্তাহের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের আলোকে, সম্ভাবনা রয়েছে যে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে। তবে, আজকের ট্রেডিং সিদ্ধান্তগুলো মূলত প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করবে।
Read more: https://ifxpr.com/42kaj8S
-
২০ জানুয়ারি কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1876035650.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ার একটি স্থানীয় হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং চালিয়ে গেছে। তবে, গত সপ্তাহের মার্কেট মুভমেন্টকে ফ্ল্যাট বলা যাবে না। মূল্য 1.2107 এর লেভেল টেস্ট করেছে, সেখান থেকে রিবাউন্ড করে ন্যূনতম কারেকশন করেছে এবং তারপর ধীরে ধীরে মূল্য নিম্নমুখী হয়ে দরপতন অব্যাহত রেখেছে। একটি প্রকৃত ফ্ল্যাট মার্কেট প্রতিষ্ঠার জন্য তৃতীয় রেফারেন্স পয়েন্ট প্রয়োজন। যদি পরপর দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় মূল্য 1.2107 লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়, তবে এই পেয়ারের মূল্য দীর্ঘ সময়ের জন্য এই হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে, পুনরায় ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন শুরু হওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ ছিল। দুটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে), জিডিপি প্রতিবেদন, খুচরা বিক্রয়, এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল সবই যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দুর্বলতা বা ফেডারেল রিজার্ভের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা নির্দেশ করেছে। ফলে, পাউন্ডের মূল্য কেবলমাত্র সামান্য কারেকশন করতে পেরেছে এবং এখন আরও দরপতনের জন্য প্রস্তুত। আমরা এই মুহূর্তে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ দেখছি না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের মতো এই পেয়ারেরও দুটি বাই সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। মূল্য 1.2164-1.2170 রেঞ্জ থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে এবং প্রতিবারই মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলস্বরূপ, নতুন ট্রেডাররা দুটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পেয়েছে, প্রতিটি ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হতে পারে। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারকে সমর্থন যুগিয়েছে, তবে এটি আশ্চর্যজনক যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2164-1.2170 এর জোন ব্রেক করেনি।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা সম্পূর্ণভাবে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের আশা করছি, কারণ আমাদের মতে এটি সবচেয়ে যৌক্তিক দৃশ্যপট। সুতরাং, আমরা আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি; তবে, ট্রেডারদের সর্বদা টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। এই সপ্তাহে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে সম্ভবত পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে, এবং এক্ষেত্রে কোনো বাধা সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সোমবার, শান্তভাবে এই পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে তবে মূল্য 1.2164-1.2170 এর রেঞ্জ ব্রেক করতে পারে, যা নতুন করে নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু করবে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2316, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যাবে না। তবে, যদি মূল্য 1.2164-1.2170 এরিয়া ব্রেক করে যায়, তবে পাউন্ডের মূল্যের তীক্ষ্ণ নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/680193061.jpg[/IMG]
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
http://forex-bangla.com/customavatars/1210003730.jpg
চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/4awxuz2
-
এক বছরে ১৯% প্রবৃদ্ধি: কীভাবে ট্রাম্প বৈশ্বিক বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম বদলে দিচ্ছেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1977480406.jpg[/IMG]
বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেজাভু দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রভাবে অর্থবাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়েছে। একদিকে, শেয়ারহোল্ডাররা তার ব্যবসাবান্ধব এজেন্ডা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল। অন্যদিকে, তিনি পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন এমন মন্তব্য করার পর মুদ্রা বাজার অপেক্ষারত অবস্থায় স্থবির হয়ে পড়ে।
শুল্ক আরোপের হুমকির শংকায় ডলারের দর বৃদ্ধি শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা ডলারের মূল্যের তীব্র ওঠানামার কারণ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, নতুন শুল্কনীতি অবিলম্বে কার্যকর হবে না এমন প্রত্যাশায় ডলারের মূল্য কমে যায়। তবে, ট্রাম্প পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর ডলারের মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কানাডিয়ান ডলারের বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর পাঁচ বছরের সর্বোচ্চ ১.৪৫২-এ পৌঁছানোর পর ১.৪৪-এ নেমে আসে। তবে, মেক্সিকান পেসোর বিপরীতে, এটি নভেম্বরের শীর্ষ স্তরের নিচে রয়ে গেছে।
অস্থিরতাই নতুন স্বাভাবিকতা বাজারে বর্তমান ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অস্থির সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন যে স্টক মার্কেটের ট্রেডাররা এখন আরও সংযত এবং আতঙ্কিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড বেড়েছে, তবে স্টক ফিউচারগুলো সংক্ষিপ্ত বৃদ্ধির পর প্রারম্ভিক অবস্থানে ফিরে এসেছে। ফলে, নাসডাক ফিউচার ০.০৮% কমেছে, যখন S&P 500 ফিউচার মাত্র ০.০৭% বেড়েছে।
ইউরোপীয় বাজারে দরপতন ইউরোপীয় বাজারগুলোও দরপতনের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। EUROSTOXX 50 ফিউচার ০.২৫% কমেছে, এবং FTSE সূচক ০.০২% কমেছে। অঞ্চলটির মুদ্রাগুলোও চাপের মুখে পড়েছে, ইউরো এবং পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর প্রায় ০.৩% হ্রাস পেয়েছে।
জাপানি ইয়েন: স্থিতিশীলতার অনন্য উদাহরণ মার্কেটের অস্থিরতার মাঝেও, জাপানি ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অফ জাপানের মুদ্রানীতি কঠোর হওয়ার উপর বাজি ধরেছেন, যদিও জাপানি অটো শিল্পের ওপর মার্কিন শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের প্রভাবে পূর্ব পরিচিত গতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে: অস্থিরতা এবং নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি মনোযোগ রয়েছে। তবে, ট্রেডাররা নতুন পরিস্থিতির মানিয়ে নিতে প্রস্তুত, যদিও জোরালো মন্তব্যের প্রতি তারা সংযতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।
নিক্কেই: সতর্ক প্রবৃদ্ধি জাপানের নিক্কেই সূচক (.N225) অনিশ্চয়তার মধ্যে দরপতন এবং মৃদু প্রবৃদ্ধির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেছে। দিনের শেষে সূচকটি ০.১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীদের সাধারণ সতর্কতাকে প্রতিফলিত করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি: মিমকয়েনের উত্থান এবং বিটকয়েনের রেকর্ড রাজনৈতিক সংবাদগুলোর মধ্যে ক্রিপ্টো মার্কেটে অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন কয়েনের আবির্ভাব হয়েছে—মার্কেটে ট্রাম্পের ছবি সম্বলিত একটি মিম কয়েন ছাড়া হয়েছে। এটির বাজার মূলধন $১০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে, যা পুরো ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য একটি নতুন রেকর্ড স্থাপন করে $১০৯,০০০-এ পৌঁছায়, যদিও পরে এটি $১০২,০০০-এর নিচে নেমে আসে। এই বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের ডিজিটাল সম্পদের মূল্যের ওঠানামার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত থাকার প্রতি বাড়তি আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
চীন এবং হংকং: ঝড়ের আগের থমথমে পরিস্থিতি? হংকংয়ের শেয়ার বাজার স্থিতিশীল ছিল, এবং ইউয়ানের মূল্য রাতারাতি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অবিলম্বে শুল্ক আরোপ না করায় চীনের বাজার কিছু সময়ের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন যে ট্রাম্পের চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার কৌশল তার প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি বলে মনে হচ্ছে।
কানাডা, মেক্সিকো এবং চীন নিয়ে বিশ্লেষকরা যা বলছেন নোমুরার ম্যাক্রো স্ট্র্যাটেজিস্ট নাকা মাতসুজাওয়া বলেন, ট্রাম্প সম্ভবত কানাডা এবং মেক্সিকোকে সরাসরি প্রতিযোগী হিসেবে দেখছেন না, বরং চীনের রপ্তানির মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করছেন। তিনি বলেন, "কানাডা এবং মেক্সিকোর ওপর শুল্ক কেবল একটি বাণিজ্য কৌশলের অংশ হতে পারে।"
নতুন এজেন্ডার চ্যালেঞ্জগুলো ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদ বাণিজ্য সংস্কার, কর ছাড়, অভিবাসন এবং ডিরেগুলেশন সংক্রান্ত উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা দিয়ে শুরু করেছেন। এই উদ্যোগগুলো কর্পোরেট মুনাফা বাড়াতে পারে, তবে মুদ্রাস্ফীতি এবং উচ্চ সুদের হারের ঝুঁকি রয়েই গেছে।
জ্বালানি খাতের দিকে দৃষ্টি তার শপথ গ্রহণ বক্তৃতায়, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের তেল, গ্যাস এবং জ্বালানি শিল্পকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, এগুলোকে তিনি "অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের চাবিকাঠি" বলে অভিহিত করেছেন। তিনি শুল্ক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন, যা রক্ষণশীল নীতিমালা প্রণয়নের জল্পনা-কল্পনা বাড়িয়েছে।
কঠোরতা ও নমনীয়তার ভারসাম্য বক্তৃতায় কঠোর অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করা সত্ত্বেও, বিনিয়োগকারীরা নতুন প্রশাসনের অর্থনৈতিক বিষয়ে আরও পরিমিত দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করেছেন, যা প্রথম মেয়াদের তুলনায় ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বিশ্ববাজারের জন্য আরও পূর্বানুমানযোগ্য হতে পারে বলে আশা বাড়িয়েছে।
ব্যাংকিং খাতের উত্থান ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নিয়ম-কানুন সহজ করার প্রতিশ্রুতি অর্থবাজারে উত্সাহ সৃষ্টি করেছে, বিশেষত ব্যাংকিং খাতে। প্রধান আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে, যা ওয়াল স্ট্রিট সিইওদের মন্তব্যে সাহায্য পেয়েছে। তাদের আয়ের প্রতিবেদনে, তারা ব্যবসার জন্য নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে নতুন প্রশাসনের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প এবং ক্রিপ্টো মার্কেট: উচ্চ প্রত্যাশা দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল অ্যাসেটের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ নিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি খাত সংশ্লিষ্টরা বেশ আশাবাদী। ঘোষিত উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে বিটকয়েনের জন্য একটি ফেডারেল রিজার্ভ তৈরি, ক্রিপ্টো কোম্পানিগুলোর জন্য ব্যাংকিং সহজলভ্য করা, এবং একটি বিশেষ ক্রিপ্টোকারেন্সি কাউন্সিল গঠন। এই পদক্ষেপগুলো ক্রিপ্টো খাতকে বৈধতার নতুন স্তরের দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সি সূচনা, যা একদিনেই $৮ বিলিয়ন বাজার মূলধন অর্জন করেছে, মার্কেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলছেন: মার্কেটের ওপর এর প্রভাবের প্রেক্ষিতে এমন পদক্ষেপ কতটা নৈতিক?
বিটকয়েন: রেকর্ড এবং কারেকশন ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ বক্তৃতার পর, বিটকয়েনের মূল্যের অত্যন্ত অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এটির মূল্য রাতারাতি $১০৯,০৭১ এর সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছানোর পর, কারেকশন হয়ে মূল্য $১০২,০০০-এ নেমে আসে। মার্কেটের এই ধরনের মুভমেন্ট ব্যাখ্যা করে যে বিনিয়োগকারীরা আরও সুনির্দিষ্টভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত নীতিমালার প্রত্যাশা করেছিলেন, যা তারা পাননি।
S&P 500 সূচকের অস্থিরতা: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটছে কি? ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে বাজারগুলো তীব্র ধাক্কা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের প্রথম বছরে, S&P 500 সূচক ১৯.৪% বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং পুরো মেয়াদে প্রায় ৬৮% বৃদ্ধি পায়। তবে, এই বৃদ্ধি তীব্র অস্থিরতার সাথে হয়েছে, যা বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিও গতিশীল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ২০১৭ সালে শপথ গ্রহণের পর, S&P 500 সূচক দৈনিক ভিত্তিতে ০.৩% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছিল, এবং মার্কেটের অনেক ট্রেডাররা এইবার পরিস্থিতি কেমন মোড় নেয় তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন। যেহেতু সোমবার ছুটির দিন ছিল, তাই মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রেডারদের স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে না।
একটি নতুন অধ্যায় নাকি একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি? ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ বড় প্রতিশ্রুতি এবং বিনিয়োগকারীদের উচ্চ প্রত্যাশার মাধ্যমে শুরু হয়েছে। নিয়মকানুন সহজতর করা, ব্যবসা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি খাতকে সমর্থন করা, এবং ডিরেগুলেশন ও কর হ্রাসের মাধ্যমে অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার আকাঙ্ক্ষা প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে, চলমান অস্থিরতা এবং বাণিজ্য বিরোধের ঝুঁকি অর্থবাজারের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ।
বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন: "কীভাবে?" ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো সতর্কতা প্রদর্শন করছে। বিনিয়োগকারীদের প্রধান উদ্বেগ হলো "কীভাবে" নতুন পরিস্থিতি মোড় নেবে: প্রশাসন কীভাবে ব্যয়, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার কমাবে? গুড লাইফ ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজার্স অফ নোভা-এর প্রেসিডেন্ট, জোশ স্ট্রেঞ্জ বলেন, "এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা বোঝা।"
ট্রেজারি বন্ড: ইয়েল্ডের পতন মার্কিন ট্রেজারি বন্ড মিশ্র মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। ১০ বছর মেয়াদী বন্ডের ইয়িল্ড ৬.৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.৫৪৪০%-এ নেমে এসেছে, এবং ২ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ৪.৭ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.২২৫৫%-এ পৌঁছেছে। এই পতন অনিশ্চয়তার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
ডলার এবং অন্যান্য মুদ্রা: সতর্ক পুনরুদ্ধার মুদ্রা বাজারে, ডলার সকালের দরপতন পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং দুই সপ্তাহের নিম্ন স্তর থেকে সরে এসেছে। ইউরোর দর ০.৩% কমে $১.০৩৮৫-এ নেমেছে, যখন পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর ০.৩২% হ্রাস পেয়ে $১.২২৯০-এ পৌঁছেছে।
চীন: বাণিজ্য হুমকি এবং সতর্কতা চীনের বিনিয়োগকারীরা সতর্কভাবে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়টি মূল্যায়ন করছেন। চীনা আমদানির ওপর শুল্ক ৬০% পর্যন্ত বাড়ানোর হুমকি থাকা সত্ত্বেও, অবিলম্বে কোনো পদক্ষেপের অভাবে মার্কেট আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্লু-চিপ CSI300 সূচক ০.১৩% হ্রাস পেয়েছে, এবং শাংহাই কম্পোজিট সূচক ০.৩৫% হ্রাস পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কেটের ট্রেডারদের সতর্ক অবস্থান প্রতিফলিত করে, যারা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নিতে চান না।
হংকং: এশীয় মার্কেটের উজ্জ্বল দিক আঞ্চলিক বাজারের সাধারণ অস্থিরতার মধ্যে, হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ০.৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। সূচকটির প্রবৃদ্ধি বৃহত্তর MSCI এশিয়া-প্যাসিফিক এক্স-জাপান সূচকের জন্য একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, যা ০.৩৪% বৃদ্ধি পেয়েছে।
অস্থিরতা এখনও প্রধান আলোচ্য বিষয় কিছু পুনরুদ্ধার সত্ত্বেও, বিশ্ববাজার স্থবির অবস্থায় রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতিমালার বাস্তব প্রভাব মূল্যায়ন করতে আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন। প্রত্যাশা বেশ ব্যাপক, তবে অনিশ্চয়তা এখনও সতর্কতা থাকার নির্দেশ করছে।
তেলের বাজার চাপের মুখে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে তেল এবং গ্যাস উৎপাদন সর্বাধিক করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর তেলের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে তিনি জ্বালানি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করবেন। ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস-এর দর কমে $৮০.১৮ প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন স্তরের কাছাকাছি। আমেরিকান WTI ক্রুড-এর মূল্যও ১.৪৬% কমে $৭৬.৭৪ প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে। সরবরাহ বেশি হওয়ার শংকায় এই দরপতন ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের তাদের পূর্বাভাস পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে।
মার্কিন জ্বালানি নীতি ট্রাম্পের তেল এবং গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত তার অর্থনৈতিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোকে তুলে ধরে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্পূর্ণ জ্বালানি নির্ভরতা আহ্বান তার আলোচনার দীর্ঘদিনের অংশ, তবে বর্তমান পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে যদি সরবরাহ চাহিদাকে ছাড়িয়ে যায়।
আবারো স্বর্ণের দিকে ট্রেডারদের দৃষ্টি তেলের দাম হ্রাস এবং অর্থবাজারের সাধারণ অনিশ্চয়তার মধ্যে, স্বর্ণ আবারো আলোচনায় এসেছে। মূল্যবান ধাতুটির স্পট মূল্য ০.৫% বৃদ্ধি পেয়ে $২,৭২২.০১ প্রতি আউন্সে পৌঁছেছে, যা অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে মার্কেটের ট্রেডারদের নিরাপদ বিনিয়োগের অনুসন্ধানের প্রবণতা প্রতিফলিত করে। ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জ্বালানি নীতির পরিবর্তনের প্রতি তাদের সংবেদনশীলতাকে তুলে ধরে। যদি মার্কিন তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে সঙ্গতি না থাকে, তবে তেলের দাম চাপের মুখে থাকতে পারে। একইসঙ্গে, স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে বিনিয়োগকারীরা আরও সতর্ক হচ্ছেন এবং প্রশাসনের কাছ থেকে আরও স্পষ্ট সংকেতের অপেক্ষা করছেন। পণ্য বাজারের পরিস্থিতি এখনও অস্থির, এবং ট্রাম্পের নতুন উদ্যোগগুলোর প্রভাব সর্বদাই বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে।
Read more: https://ifxpr.com/4jrdiCq
-
ট্রাম্পের কারণে মার্কিন স্টক সূচকসমূহ প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1710777182.jpg[/IMG]
4-ঘণ্টার চার্টে #SPX-এর ওয়েভ বিশ্লেষণ কিছুটা অস্পষ্ট, এবং আমি এটি 24-ঘণ্টার চার্টের ওয়েভ বিশ্লেষণের সঙ্গে পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছি (নিচের ছবিটি দেখুন)। 24-ঘণ্টার চার্টে প্রথমে লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্যটি হলো বৈশ্বিক পর্যায়ে পাঁচ-ওয়েভের গঠন, যা এতটাই বিস্তৃত যে এটি সর্বনিম্ন স্কেলেও টার্মিনাল উইন্ডোর মধ্যে ফিট হয় না। সহজভাবে বলতে গেলে, মার্কিন স্টক সূচক দীর্ঘ সময় ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা জানি যে প্রবণতা পরিবর্তন হয়। বর্তমানে, আমরা এখনও ওয়েভ 5-এর মধ্যে ওয়েভ 5 নির্মাণের পর্যায়ে আছি। সম্প্রতি, এই ইনস্ট্রুমেন্ট 6093 এর লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ফিবোনাচি স্কেলে 200.0% এর সমতুল্য, তবে এটি অর্জিত উচ্চ লেভেল থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো দরপতন ঘটায়নি। 4-ঘণ্টার চার্টে (উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে), আমরা একটি সম্পন্ন পাঁচ-ওয়েভের গঠন এবং এর পর একটি জটিল কারেকটিভ প্যাটার্ন দেখতে পারি। এটি উল্লেখযোগ্য যে ওয়েভ গঠনগুলি স্পষ্ট এবং সহজবোধ্য হওয়া উচিত যাতে অনিশ্চয়তা এড়ানো যায়। যত বেশি জটিল ওয়েভ গঠিত হয়, ততই লাভজনকভাবে ট্রেড করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। যদি সাম্প্রতিক দরপতনকে "বুলিশ ফ্ল্যাগ" হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়, তবে S&P 500 সূচকের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, এবং নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 6124 এবং 6221-এর লেভেল নির্ধারণ করা যেতে পারে। স্টক মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পকে নিয়ে শঙ্কিত হলেও তাকে উপেক্ষা করছে মঙ্গলবার S&P 500 সূচক 41 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আমি এটিকে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি বলব না, সূচকটি গত দুই বছর ধরে ঠিক এইভাবেই বৃদ্ধি পাচ্ছে—ধীরে ধীরে এবং প্রায় প্রতিদিনই একই পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই প্রবণতার ভিত্তিতে, আমি বিশ্বাস করি যে ট্রাম্পের পদক্ষেপ আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ওপর প্রভাব ফেলেননি বা তাদের সমর্থন করবেন না। অন্য কথায়, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করেছিল, এবং এর পরিস্থিতি প্রধানত ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতির উপর নির্ভরশীল। নিশ্চিতভাবেই, ট্রাম্পের কিছু কিছু সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের মার্কিন কোম্পানিতে বিনিয়োগের ইচ্ছাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, এখন পর্যন্ত, তিনি কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেননি; বরং তার মনোযোগ অভিবাসন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ন্যাটো, এবং বৈশ্বিক সংঘাত শেষ করার মতো বিষয়ে কেন্দ্রীভূত রয়েছে। 78 বছর বয়সী ট্রাম্প মনে করেন, তিনি এমন একটি প্রজন্ম রেখে যেতে চান যারা তাকে পরিবর্তনকারী নেতা হিসেবে মনে রাখবে। এর ফলে, বর্তমানে মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং কোম্পানিগুলোর জন্য বিশেষভাবে উদ্বেগজনক কিছু নেই। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, বড় স্টক সূচকগুলো দীর্ঘমেয়াদি কারেকশনের সম্মুখীন হতে পারে। এই সম্ভাব্য ফলাফলটি ওয়েভ বিশ্লেষণ এবং ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী বছরে সীমিত মাত্রার আর্থিক শিথিলতার প্রত্যাশার মাধ্যমে সমর্থিত। যখন মার্কেটে FOMC-এর আর্থিক নীতিমালার পরিবর্তনের প্রত্যাশা করা হয়েছিল তখন S&P 500-এর সর্বশেষ বৃদ্ধি ঘটেছিল। যদিও ফেড গত সেপ্টেম্বরে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু হয়েছিল, সূচকটি এখনও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, আমি এই সূচকের স্থায়ী প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে সন্দিহান, এমনকি যদি "বুলিশ ফ্ল্যাগ" থেকে ব্রেকআউটও ঘটে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/742123383.jpg[/IMG]
উপসংহার S&P 500 (#SPX)-এর উপর আমার বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে সূচকটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে অব্যাহত রয়েছে। এই প্রবণতা শীঘ্রই শেষ হতে যাচ্ছে এমন কোনো দৃঢ় সংকেত নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোর ওয়েভ বিশ্লেষণ বেশ জটিল এবং অস্পষ্ট ছিল। আমি "বুলিশ ফ্ল্যাগ" প্যাটার্নের দিকে মনোযোগ দেওয়ার এবং ট্রাম্পের নীতিগুলোর প্রভাব বিবেচনা করার পরামর্শ দিচ্ছি। যদি তার উদ্যোগগুলো মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য কম সুবিধাজনক হয়—যেমন বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক, আমদানি শুল্ক, এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক—তাহলে নতুন করে এই সুচকের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। হায়ার স্কেলে, ওয়েভ গঠনটি অনেক বেশি স্পষ্ট, যা একটি স্বতন্ত্র পাঁচ-ওয়েভের প্যাটার্ন দেখায়, যেখানে পঞ্চম ওয়েভের মধ্যে আরও একটি পাঁচ-ওয়েভ গঠন রয়েছে। এই পঞ্চম ওয়েভটি শেষের দিকে থাকতে পারে, যা একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং জটিল কারেকশনের সূচনা নির্দেশ করতে পারে, যা সম্ভবত ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
আমার বিশ্লেষণের মূল নীতি ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজ এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল স্ট্রাকচার ট্রেডিংয়ে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে এবং প্রায়ই পরিবর্তিত হয়। মার্কেটের পরিস্থিতি অস্পষ্ট হলে, মার্কেট থেকে দূরে থাকা ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে কখনো ১০০% নিশ্চিত হওয়া যায় না। তাই সর্বদা স্টপ লস ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিংয়ের কৌশলের সঙ্গে একত্রিত করা যায় এবং করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4aqAnkC
-
২৩ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1735337590.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে—স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, মাত্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাপ্তাহিক আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইম বা বেকার ভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সাধারণত পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি প্রদর্শন করে না এবং বাজার পরিস্থিতির ওপর কম প্রভাব ফেলে। তাই, আমরা আজ মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না। তবে, যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন হুমকি ও শর্ত আরোপ অব্যাহত রাখেন, তাহলে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে বিশেষ কিছু উল্লেখযোগ্য নেই। যদিও গতকাল ক্রিস্টিন লাগার্ডের একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে আজ ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। তবে, এটি সাময়িক বিরতি। আগামী সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বৈঠক শুরু হবে, এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরো ও পাউন্ডের মূল্য যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা ধরে রাখা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা প্রায় 90%, যখন ফেডারেল রিজার্ভের একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: সাপ্তাহিক ট্রেডিংয়ের শেষভাগে, মার্কেট তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারই বর্তমানে কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যদিও এই কারেকশনগুলো খুব শক্তিশালী নয়। ফলে, আজ উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না, কারণ সপ্তাহের শুরুতে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টগুলো ন্যায়সঙ্গত বা যৌক্তিক ছিল না। তবে, আমরা আশা করছি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত থাকতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40HX2py
-
মার্কিন স্টক সূচকসমূহের কারেকশন এবং ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অস্থায়ী হতে পারে (স্থানীয় পর্যায়ে নাসডাক CFD-এর পতনের এবং USD/CAD পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/951946738.jpg[/IMG]
আগামী সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা নিঃসন্দেহে বিশ্ববাজার দৃশ্যমান প্রভাব ফেলবে। প্রথমেই, আমরা গত সপ্তাহের প্রধান রাজনৈতিক এবং ভূরাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন অনেক বক্তব্য দিয়েছেন এবং পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা সরাসরি বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো আমদানির ওপর শুল্ক এবং কর আরোপ, যা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সাথে মিলিত হয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। শুক্রবার, ডাভোস ফোরামে অনলাইনে বক্তব্য দেওয়ার সময়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও সুদের হার কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এই বিবৃতিটি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের চাহিদা বাড়িয়েছে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা এবং বেশ কয়েকটি বৃহৎ মার্কিন কোম্পানির আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকায়, বিনিয়োগকারীরা পূর্বে ওপেন করা পজিশনগুলো কমানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। শুল্ক পরিকল্পনা এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চলমান আলোচনা মার্কিন ইক্যুইটিগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, অন্যদিকে নিরাপদ বিনিয়োগের মুদ্রা হিসেবে ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। তবে, ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির আসন্ন সভা এবং সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা এখনও অনিশ্চিত। ফেডারেল ফান্ড ফিউচার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৪.২৫%-৪.৫০% সীমার মধ্যে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার ৯৯.৫% সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের ভবিষ্যৎ সুদের হার কমানোর বিষয়ে বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি থাকবে। অনেক বিনিয়োগকারী মনে করেন যে, গ্রীষ্মের আগে সুদের হার কমার সম্ভাবনা নেই। তাই, যদি FOMC-এর বিবৃতি এবং পাওয়েলের মন্তব্যে নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি না পাওয়া যায়, তাহলে ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের তুলনামূলকভাবে কম প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের প্রতি ঘনিষ্ঠ নজর রাখবেন, যা 3.1% থেকে 2.7% প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। মোটের ওপর, ফেডের আসন্ন সভা, সম্ভবত জিডিপি প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, এবং বৃদ্ধি পাওয়া PCE-এর সাথে শুল্ক সংক্রান্ত উদ্বেগ যুক্ত হয়ে মার্কিন ইক্যুইটিতে আরও কারেকশনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই সময়ে, ডলার সম্ভবত সমর্থন পাবে। তদ্ব্যতীত, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব কানাডার প্রত্যাশিত সুদের হার হ্রাস ইউরো এবং কানাডিয়ান ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত মার্কিন ডলারের বিপরীতে।
কীভাবে মার্কিন ইক্যুইটি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ডলারের শক্তিশালী হওয়ার নেতিবাচক প্রবণতাগুলো পাল্টানো যেতে পারে? ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কিছু আশাব্যঞ্জক ঘোষণা এই অবস্থার পরিবর্তনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কর্পোরেট করের বোঝা হ্রাস করার তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য চাহিদা বৃদ্ধি করবে। তদুপরি, এই সপ্তাহে প্রত্যাশিত বৃহৎ কোম্পানির ইতিবাচক আয়ের প্রতিবেদন ইক্যুইটি মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম সৃষ্টি করতে পারে। মার্কিন অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ট্রাম্পের উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনাগুলো বিবেচনায় নিয়ে, স্টক মার্কেটে যেকোনো কারেকশন স্বল্পমেয়াদী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে পতন নতুন ক্রয়ের সুযোগ এনে দিতে পারে, যার ফলে প্রধান স্টক সূচকগুলো আবার ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অর্জন করতে পারে। দৈনিক পূর্বাভাস
নাসডাক (#NDX) FOMC-এর সভার ফলাফল এবং এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রত্যাশায় নাসডাক CFD পতনের শিকার হয়েছে। মার্কেটে ক্রমাগত নেতিবাচক অনুভূতির কারণে নাসডাক CFD 21,000.00 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। USD/CAD এই পেয়ারটির মূল্য 1.4300–1.4465 এর সাইডওয়েহ রেঞ্জে রয়েছে। ব্যাংক অব কানাডার সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাস, ফেডের অপরিবর্তিত সুদের হার এবং মার্কেটে সামগ্রিক নেতিবাচক পরিস্থিতির সাথে যুক্ত হয়ে এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত রেঞ্জের উপরের সীমা 1.4465 এর দিকে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3PR9nBr
-
২৮ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/135901125.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি প্রতিবেদন হল মার্কিন ডিউরেবলস গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ডিউরেবল গুডস সাধারণত উচ্চ মূল্যের পণ্য, যা আংশিকভাবে মার্কিন ভোক্তাদের আর্থিক পরিস্থিতির সূচক হিসেবে কাজ করে। যদি এই পরিসংখ্যানের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক হয়, তবে এটি মার্কিন ডলারকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে পারে। এছাড়াও, আগামীকাল FOMC-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরেকটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, লাগার্ড গত সপ্তাহে বুধবার, শুক্রবার এবং গতকাল সোমবারও বক্তৃতা দিয়েছেন, যেখানে কোনো উল্লেখযোগ্য নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার ইসিবির বছরের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সম্পূর্ণরূপে সুদের হার 0.25% হ্রাসের আশা করছে। এর বিপরীতে, বুধবার অনুষ্ঠিতব্য FOMC-এর বৈঠকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা নেই। এর ফলে, মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরো মার্কিন ডলারের তুলনায় অসুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ইউরোর মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুধুমাত্র একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলেই মনে হচ্ছে এবং এর বেশি কিছু নয়। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সম্ভবত উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের 80% মুভমেন্ট টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হবে। আমরা মনে করি, মার্কিন ডলারের মূল্যের পুনরুদ্ধার অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ গত তিন সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত এই কারণে যে বর্তমান মুভমেন্ট কারেকশনের ভিত্তিতে হচ্ছে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিঃসন্দেহে ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের ডলার এবং মার্কিন শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে অনীহা বাড়িয়েছেন, তবে মার্কিন ডলার শুধুমাত্র ট্রাম্পের বৈশ্বিক নীতির প্রভাবে চাপের মধ্যে থাকতে পারে না।
Read more: https://ifxpr.com/3CuY4fd
-
এআই-ভিত্তিক স্টকের নতুন যুগ? ওয়াল স্ট্রিটে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনভিডিয়া
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/650478009.jpg[/IMG]
এনভিডিয়া এবং এআই-ভিত্তিক স্টকের পুনরুদ্ধারে মার্কিন স্টক মার্কেটে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি মঙ্গলবার মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে এআই-সংশ্লিষ্ট টেক জায়ান্টদের দৃঢ়তার ফলে মূল সূচকসমূহ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। আগের দিনের দরপতনের পর, বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার কেনার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন।
নাসডাক সূচকে প্রবৃদ্ধি, এনভিডিয়ার শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন নাসডাক প্রযুক্তি সূচক ২% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর এআই চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার স্টকের মূল্য দ্রুত পুনরুদ্ধার করে ৮.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি এমন এক পরিস্থিতির পর ঘটলো, যেখানে আগের দিনে কোম্পানিটি ১৭% দরপতনের শিকার হয়, যার ফলে এটির বাজার মূলধন $593 বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছিল— যা একক ট্রেডিং সেশনে কোনো পাবলিক কোম্পানির জন্য সর্বোচ্চ লোকসান।
প্রযুক্তি খাতে রেকর্ড প্রবৃদ্ধি S&P 500-এর প্রযুক্তি খাত (.SPLRCT) ৩.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ দৈনিক বৃদ্ধি। অন্যদিকে, সেমিকন্ডাক্টর খাত (.SOX) ১.১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ খাতের পুনরুদ্ধার প্রতিফলিত করছে।
বিনিয়োগকারীরা অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের আয়ের প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে অ্যাপলের শেয়ারের দর ৩.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা অ্যাপল (AAPL.O) এবং মাইক্রোসফট (MSFT.O)-এর আসন্ন আয়ের প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখছেন। এই কোম্পানিগুলো তাদের সর্বশেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছে, যা মার্কেটের ভবিষ্যৎ মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: এআই খাতে মার্কিন নেতৃস্থানীয় কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ গতকালের প্রযুক্তি খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্টকের দরপতন চীন থেকে প্রকাশিত সংবাদ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল: দেশটির স্থানীয় স্টার্টআপ ডিপসিক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল উন্মোচন করেছে, যা দাবি করছে যে এটির পারফরম্যান্স মার্কিন শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মডেলের সমতুল্য বা এমনকি উন্নততর, কিন্তু এটির খরচ অনেক কম। এই খবর বিনিয়োগকারীদের সতর্ক সংকেত প্রদান করে, কারণ চীনা কোম্পানির প্রতিযোগিতার কারণে এআই খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
অস্থিরতার পর শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি: বিনিয়োগকারীরা বাজারে ফিরে আসছে মঙ্গলবার, মার্কিন স্টক মার্কেটের প্রধান সূচকগুলো প্রযুক্তি খাতের অস্থিরতার কারণে সাম্প্রতিক কারেকশনের পর প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। বিনিয়োগকারীরা সক্রিয়ভাবে শেয়ার ক্রয় করছে, এবং এনভিডিয়ার স্টকের মূল্যের দ্রুত বৃদ্ধি এই প্রবণতার একটি স্পষ্ট নিশ্চিতকরণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
অস্থায়ী পতন নাকি দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা? নিউ জার্সির নিউ ভারননের চেরি লেন ইনভেস্টমেন্টস-এর পার্টনার, রিক মেকলার বলেন,"আমরা একটি স্বাভাবিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করছি, যা তখনই ঘটে যখন বাজার পরিস্থিতি অস্পষ্ট থাকে এবং নির্দিষ্ট ঘটনাগুলোর চেয়ে সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরিবর্তনের দিকে মনোযোগ থাকে।" তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তি খাত, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) খাত, দীর্ঘদিন ধরে সামান্য কারেকশনের ঝুঁকিতে ছিল। মেকলার যোগ করেন, "চীনা স্টার্টআপ ডিপসিক সংক্রান্ত সংবাদ শুধুমাত্র একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, তবে আজ আমরা বাজারে সুযোগ সন্ধানী বিনিয়োগকারীদের ফিরে আসতে দেখছি। অনেকেই এই খবরকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না, কারণ ডিপসিক সম্পর্কে খুব কম তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে।" প্রধান সূচকসমূহে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে বাজার পরিস্থিতি পরিবর্তনের ফলে স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ (.DJI) 136.77 পয়েন্ট বা +0.31% বৃদ্ধি পেয়ে 44,850.35-এ পৌঁছেছে। S&P 500 (.SPX) 55.42 পয়েন্ট বা 0.92% বৃদ্ধি পেয়ে 6,067.70-এ পৌঁছেছে। প্রযুক্তি খাতভিত্তিক নাসডাক কম্পোজিট সূচক (.IXIC) 391.75 পয়েন্ট বা 2.03% বৃদ্ধি পেয়ে 19,733.59-এ পৌঁছেছে। এনভিডিয়ার স্টকের দরপতনের পর পুনরুদ্ধার এনভিডিয়ার ফরওয়ার্ড প্রাইস-টু-আর্নিংস রেশিও (P/E), যা কোম্পানিটির পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি প্রধান সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, ডিসেম্বর ২০২৩-এর পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। তবে, এটি কোম্পানিটির স্টকের সাম্প্রতিক দরপতনের পর দ্রুত পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করেনি, যেখানে স্টকের ব্যাপক বিক্রির কারণে দরপতন ঘটেছিল। স্বল্পমেয়াদী অস্থিরতা সত্ত্বেও, এনভিডিয়া এবং সামগ্রিক মার্কিন স্টক মার্কেট গত দুই বছর ধরে এআই উন্মাদনার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ এখনো উচ্চমাত্রায় রয়েছে, যা এই খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়িয়ে তুলছে। কর্পোরেট রিপোর্ট বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করছে প্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, শক্তিশালী কর্পোরেট প্রতিবেদন দ্বারা বাজারের ইতিবাচক গতিশীলতা সমর্থিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ক্রুজ অপারেটর রয়্যাল ক্যারিবিয়ান (RCL.N)-এর শেয়ারের দর ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ কোম্পানিটি বাৎসরিক মুনাফার পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে যা বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। প্রান্তিক-ভিত্তিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের মৌসুম হওয়ায়, বিনিয়োগকারীরা বাজারের বর্তমান প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নির্ধারণের জন্য বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর আর্থিক ফলাফলের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছে। বোয়িং চমকে দিল, জিএম হতাশ করলো: বিনিয়োগকারীরা শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত ঝুঁকি পর্যালোচনা করছে মার্কিন স্টকে মার্কেটে মিশ্র মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, বিনিয়োগকারীরা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগ লোর কর্পোরেট প্রতিবেদন ও সম্ভাব্য শুল্ক সংক্রান্ত ঝুঁকি পর্যালোচনা করছে। বোয়িং মুনাফায় প্রবেশ করলো, যদিও বার্ষিক ভিত্তিতে লোকসান হয়েছে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং (BA.N)-এর শেয়ারের দর ১.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা সম্ভবত বিনিয়োগকারীদের এয়ার ট্রাভেলের ভবিষ্যৎ ও বিমান সংক্রান্ত চাহিদার পুনরুদ্ধার সম্পর্কে আশাবাদের কারণে হয়েছে। জেনারেল মোটরস চাপে সম্মুখীন: শেয়ারের ৮.৯% দরপতন জেনারেল মোটরস (GM.N)-এর জন্য সেশনটি ততটা ইতিবাচক ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতি এমন একটি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে সংগতিপূর্ণ ছিল না। এই প্রেক্ষাপটে, কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য ৮.৯% হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরবরাহ শৃঙ্খলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিতে পারে। ট্রাম্পের নতুন শুল্ক হুমকি: চিপ এবং স্টিল শিল্পের উপর চাপ সোমবার সন্ধ্যার ভাষণে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন অর্থনৈতিক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমদানি করা সেমিকন্ডাক্টর, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং স্টিলের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। যদি এই নীতিমালা কার্যকর হয়, তবে এটি মার্কিন কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন ঘটাতে পারে, বিশেষত যেসব প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল। ফেডের ২০২৫ সালে প্রথম সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুতি ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীরা এখন আসন্ন ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে নজর রাখছে। বুধবার, ফেডের মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যা হবে নতুন বছরের প্রথম নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত। তবে, বিশ্লেষকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি পরিবর্তন সম্পর্কে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। স্টক মার্কেট: নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে (NYSE) ১.১৩:১ অনুপাতে দরপতনের শিকার স্টকের সংখ্যা মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া স্টকের সংক্যার তুলনায় বেশি ছিল। তবে, ১৬৫টি স্টকের দর নতুন উচ্চতায় এবং ৪৬টি স্টকের দর নতুন সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে, যা নির্দেশ করে যে কিছু প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্র এখনো বজায় রয়েছে। নাসডাকে, পরিস্থিতি আরও সংকীর্ণ ছিল: ২,১৮৮টি স্টকের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ২,২১৬টি স্টক দরপতনের শিকার হয়েছে, ফলে ১.০১:১ অনুপাতে বিক্রেতাদের পক্ষে ভারসাম্য তৈরি হয়েছে। ট্রেডিং ভলিউম স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল বাজারে ট্রেডিং কার্যক্রম স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। মঙ্গলবার, মার্কিন স্টক এক্সচেঞ্জগুলোতে ১৩.৮৭ বিলিয়ন লেনদেন হয়েছে, যা গত ২০ দিনের ট্রেডিংয়ের গড় ১৫.৫ বিলিয়ন শেয়ারের চেয়ে কম। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার পুনরুদ্ধারের উপর বাজি ধরছে এনভিডিয়ার (NVDA.O) স্টকের রেকর্ড দরপতনের পর, দ্রুত মুনাফা অর্জনের আশায় বিনিয়োগকারীরা লিভারেজড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF) ক্রয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা আশা করছে যে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি হিসেবে এনভিডিয়া দ্রুত বাজার মূলধন পুনরুদ্ধার করবে। দ্রুত বিনিয়োগ প্রবাহ: এনভিডিয়া-কেন্দ্রিক ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের নজর এনভিডিয়ার দ্রুত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তৈরি বৃহত্তম ফান্ডগুলো স্বল্পমেয়াদি ট্রেডারদের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, যারা চিপ নির্মাতার প্রতিষ্ঠানের স্টকের মূল্যের অস্থিরতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার, অ্যাসেট ম্যানেজাররা নিশ্চিত করেছেন যে লিভারেজড এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড (ETF)-এ ব্যাপক বিনিয়োগ প্রবাহ ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের এনভিডিয়ার দৈনিক রিটার্নের দ্বিগুণ মুনাফা অর্জনের সুযোগ দিয়ে থাকে। চীনা প্রতিযোগিতার প্রভাব: এনভিডিয়ার বাজার মূলধনের রেকর্ড পতন সোমবার, এনভিডিয়ার বাজার মূলধন এক দিনে নজিরবিহীন দরপতনের শিকার হয়। এই পতন চীনা স্টার্টআপ ডিপসিকের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মডেল উন্মোচনের ঘোষণার পরপরই ঘটেছে, যা এনভিডিয়ার উন্নত প্রযুক্তির সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রানাইটশেয়ার্স-এ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রবাহ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ফান্ড গ্রানাইট শেয়ার্স 2x Long NVDA Daily ETF (NVDL.O), যা এনভিডিয়ার প্রবৃদ্ধির ওপর দ্বিগুণ রিটার্ন প্রদান করে। গ্রানাইট শেয়ার্স-এর সিইও, উইল রাইন্ড বলেন, "আমরা আমাদের লং ফান্ডে প্রায় $1 বিলিয়ন বিনিয়োগ প্রবাহ দেখেছি।" তবে, এই বৃহৎ বিনিয়োগ প্রবাহ সত্ত্বেও এটি এখনো বিক্রির চাপ পুরোপুরি সামলাতে পারেনি। ফান্ডটির অ্যাসেট $৬ বিলিয়ন থেকে কমে প্রায় $৪.৩ বিলিয়নে নেমে এসেছে। লিভারেজড ফান্ডের ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে LSEG-এর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার এনভিডিয়া-কেন্দ্রিক চারটি 2x লিভারেজড ETF-এর প্রতিটির মূল্য ৩৩% থেকে ৩৪% পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। তবে, ট্রেডাররা এখনো এই উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে অর্থ ঢালছে। উদাহরণস্বরূপ, Direxion Daily NVDA Bull 2x Shares ETF (NVDU.O), যেটির অ্যাসেটের মূল্য $৪৩৫ মিলিয়ন, সেটি $৬১.৪ মিলিয়ন নতুন বিনিয়োগ প্রবাহ নথিভুক্ত করেছে। অদ্ভুতভাবে, এর বিপরীতমুখী ফান্ড, যা এনভিডিয়ার দরপতনের ওপর বাজি ধরছে, সেটিও প্রায় $৩ মিলিয়ন নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে, যা মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে মতবিরোধের ইঙ্গিত দেয়। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়ার অস্থিরতার ওপর বাজি ধরছে সাম্প্রতিক ধস সত্ত্বেও, এনভিডিয়া এখনো স্টক মার্কেটের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের আশাবাদী মনোভাব কোম্পানিটির স্টকের চাহিদা বাড়িয়ে তুলছে, এবং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডাররা মূল্যের উচ্চ ওঠানামা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে এটি নির্ধারিত হবে যে এনভিডিয়া দ্রুত পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা, নাকি কারেকশন দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট: বাজারের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চমাত্রার প্রত্যাশা এখনো বজায় রয়েছে। এনভিডিয়া মিনি-ফান্ডে রেকর্ড লেনদেন চারটি লিভারেজড ETF-এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট ফান্ড, Leverage Shares 2x Long NVDA Daily ETF (NVDG.O), যার মোট অ্যাসেট $৩ মিলিয়ন, তাৎক্ষণিকভাবে সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগ প্রবাহের তথ্য সরবরাহ করেনি। তবে লেনদেনের পরিসংখ্যানই বাজার পরিস্থিতি প্রকাশ করছে। Themes ETFs-এর প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, পল মারিনো, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে Leverage Shares-এর কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করেন, জানান যে সোমবার এই ইন্সট্রুমেন্টের ট্রেডিং ভলিউম গড়ের তুলনায় ছয় গুণ বেশি ছিল। এনভিডিয়া স্পেকুলেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এনভিডিয়া লিভারেজড ফান্ডগুলোর উচ্চ ট্রেডিং কার্যক্রম দেখিয়ে দিচ্ছে যে বাজারে প্রচুর স্পেকুলেটিভ ট্রেডার সক্রিয় রয়েছে, যারা মূলত মূল্যের অস্থিরতার ওপর মুনাফা করতে চায়। মারিনো ব্যাখ্যা করেন, "লেনদেনের পরিমাণ আমাদের বলে দেয় যে বাজারে কতজন বিনিয়োগকারী এনভিডিয়ার ওপর বাজি ধরছে।" ফান্ডটি সোমবারের ট্রেডিং সেশন ইতিবাচকভাবে শেষ করেছে এবং মঙ্গলবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে অনেক বিনিয়োগকারী সাম্প্রতিক দরপতনকে বাজার থেকে বের হওয়ার সংকেত হিসেবে দেখছে না, বরং কম দামে বাজারে প্রবেশের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করছে। এনভিডিয়া: এআই বাজারের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকার লড়াই স্টক মার্কেটের বিনিয়োগাকারীরা এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনভিডিয়ার কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাজার মূলধনের রেকর্ড পতনের পর, এনভিডিয়া এখনো উচ্চমাত্রার ট্রেডিং কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে, এবং লিভারেজড ফান্ডগুলো এখন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ কৌশলগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। কোম্পানিটি দ্রুত তার হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে পারবে নাকি অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার: এনভিডিয়ার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে না, বরং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডাররা দ্রুত প্রবণতা পরিবর্তনের আশায় ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। *এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ আপনার সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রদান করা হয়, ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/3Epp2p0
-
৩০ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/390196692.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে নির্ধারিত রয়েছে। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, ইউরোজোন, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় ট্রেডাররা বুধবারের FOMC-এর বৈঠক এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। ফলে, এই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের কারণে কিছুটা গুরুত্ব হারাতে পারে। এছাড়াও, ইইউ-এর বেকারত্ব হার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন আজ ট্রেডারদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য মার্কেটে তেমন শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি, তবে তার মাঝারি হকিশ বা কঠোর অবস্থান ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার কারণ হিসেবে কাজ করছে। যদি আজ ইসিবি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান বজায় রাখে, তাহলে মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। লাগার্ড এবং তার সহকর্মীরা নিয়মিতভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ইসিবি মুদ্রানীতিকে আরও শিথিল করতে প্রস্তুত, তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বড় কোনো চমকের আশা করা হচ্ছে না। তবে, মার্কেটে ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি অনুঘটকের প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়াও, জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী অবস্থার নিশ্চিতকরণ প্রদান করতে পারে, এদিকে ইউরোজোনের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
উপসংহার: বৃহস্পতিবার মার্কেটে বেশ অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। যদিও FOMC-এর বৈঠকের পর মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি এবং ইসিবির কাছ থেকেও বড় কোনো চমকের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না, তবুও এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি সৃষ্টি করতে পারে, এমনকি কোনো নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছাড়াই এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যেঁতে পারে। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মূলত উপলব্ধ তথ্যের ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করবে। মাঝারি মেয়াদে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, তবে সামনের কয়েক দিন নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাই বেশি।
Read more: https://ifxpr.com/3CvPfBM