-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1870468758.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, নতুন করে এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, যদিও এই প্রবণতা এখনও কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা আশা করছি যে ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকবে। ফেডারেল রিজার্ভ 2025 সালে মাত্র 1-2 বার সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা ট্রেডারদের পূর্ববর্তী প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি হকিশ বা কঠোর অবস্থান নির্দেশ করে। অন্যান্য কারণের সঙ্গে এই বিষয়টি সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারকে সমর্থন যোগাবে। যখন মূল্য ইচিমোকু সূচকের লাইন এবং ট্রেন্ড লাইনের নিচে স্থিতিশীল হবে তখন টেকনিক্যাল কারেকশন শেষ হওয়ার সংকেত পাওয়া যাবে। ২৩ জানুয়ারির জন্য, নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ: 1.0124, 1.0195, 1.0269, 1.0340-1.0366, 1.0461, 1.0524, 1.0585, 1.0658-1.0669, 1.0757, 1.0797, এবং 1.0843। সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.0308) এবং কিজুন-সেন (1.0359) লাইনগুলো পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত। সিগন্যালটি ভুল প্রমাণিত হলে সম্ভাব্য লোকসানের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো মার্কিন জবলেস ক্লেইম সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনা, যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এর ফলে, আজ আমরা মার্কেটে বেশ শান্ত মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1363472283.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত অস্বাভাবিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় যখন জেরোম পাওয়েল ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেন তখন থেকে এই ধরনের পরিস্থিতি দেখা গেছে। যদিও মার্কিন মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, পাওয়েল বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, শ্রম বাজার, বেকারত্ব, এবং মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। আমরা মনে করি মার্কেটের ট্রেডাররা পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারত, তবে অজ্ঞাত কোন কারণে তেমনটি যায়নি। গতকাল, মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এবং ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া বিশেষভাবে লক্ষণীয় ছিল। গতকাল প্রকাশিত জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে একটি ধারাবাহিক প্রবণতা দেখা গেছে। যদিও তিনটি প্রতিবেদনই পূর্বাভাসের তুলনায় দুর্বল ছিল, পৃথকভাবে দেখলে ভিন্ন চিত্র উঠে আসে, মার্কিন অর্থনীতি 2.3% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, জার্মান অর্থনীতি 0.2% সংকুচিত হয়েছে এবং ইউরোপীয় অর্থনীতি কোনো প্রবৃদ্ধিই দেখায়নি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে, কোন অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে? এরপর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এই বৈঠকের ফলাফল সম্পূর্ণভাবে ডোভিশ বা নমনীয় ছিল, কারণ সুদের হার আবারও কমানো হয়েছে, যা মার্কেটে আগে থেকেই প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। ক্রিস্টিন লাগার্ডও নিশ্চিত করেছেন যে পরিকল্পিত গতিতেই মুদ্রানীতি শিথিলকরণ অব্যাহত থাকবে। এই ঘোষণার পর, শুরুতে ইউরোর মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পায়, তবে সন্ধ্যার মধ্যে আবার এটির মূল্য আগের অবস্থানে ফিরে আসে। টেকনিক্যাল সূচক অনুযায়ী, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে, তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে, এবং মূল্য ইচিমোকু সূচকের লাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। গতকাল মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে এটি কার্যকর ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.0453-1.0461 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে নিচের দিকে নামতে শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ, ইউরোর মূল্য প্রায় ৩০ পিপস হারায়, যা ট্রেডারদের জন্য স্পষ্ট মুনাফার সুযোগ তৈরি করে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/610790793.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0404 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২০ পিপস নিচে কমে যায়, তবে মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকির কারণে স্বল্পমেয়াদে অস্থিরতা সৃষ্টি হলেও দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে। বিনিয়োগকারীরা মনে করছে যে এই পদক্ষেপ কার্যকর হতে কিছুটা সময় লাগবে, যা বিভিন্ন সরকারকে কৌশলগত পদক্ষেপ এবং আলোচনার জন্য সুযোগ দেবে। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিমালা ঘিরে মৌলিক অনিশ্চয়তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে, যা ইউরোর আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করছে। আজকের দিনে, ইউরোর উপর চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে, বিশেষ করে দিনের প্রথমার্ধে, কারণ ইউরোজোনের ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই পরিসংখ্যান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যাতে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা যায়। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আসে, তাহলে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শুধুমাত্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন দ্বারা নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক কারণ এবং অন্যান্য মুদ্রার, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের পারফরম্যান্স দ্বারাও প্রভাবিত হয়। ট্রেডারদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সকল কারণ বিবেচনায় রাখা উচিত। এটি মনে রাখা জরুরি যে পূর্বাভাসসমূহ সম্ভাবনামূলক, এবং প্রকৃত বাজার পরিস্থিতি পূর্বাভাসের তুলনায় আলাদা হতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0527-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0466-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0527-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন জিডিপি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির সম্ভাবনার উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0442-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0466 এবং 1.0527-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0442-এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0389-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0466-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0442 এবং 1.0389-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
গত সপ্তাহে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0500 লেভেল টেস্ট করেছিল কিন্তু মূল্য এই গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স লেভেলের (D1 টাইমফ্রেমে বলিংগার ব্যান্ডস সূচকের উপরের লাইন) ওপরে স্থিতিশীল হতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের আকস্মিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মূলত ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধির কারণে হয়েছিল, যখন ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা শুল্ক আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নেন। এর পরিবর্তে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট "পারস্পরিক শুল্ক পদ্ধতি" প্রস্তুতের জন্য একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন। পাশাপাশি, এটি নিশ্চিত হয় যে এই শুল্ক সব দেশের জন্য সমান হবে না, বরং প্রতিটি দেশের জন্য আলাদাভাবে করের হার নির্ধারণ করা হবে। একটি কর্মপরিষদ এপ্রিল পর্যন্ত এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করবে, যার পর ট্রাম্প পৃথক দেশভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেবেন। মার্কেটের ট্রেডাররা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে, যদিও এই বিষয়টি পুরোপুরি আলোচনা থেকে চলে যায়নি—এটি কেবল কয়েক মাসের জন্য স্থগিত হয়েছে। তবে এটি বিনিয়োগকারীদের মনোবল পুনরুদ্ধার করার জন্য যথেষ্ট ছিল, যা ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি করে এবং নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0500 লেভেল টেস্ট করতে সক্ষম হয়।
তবে, পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সূত্র অনুযায়ী, ব্রাসেলস যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যার মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট আমেরিকান খাদ্যপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হতে পারে। গুজব রয়েছে যে প্রথম ধাপে ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহৃত সয়াবিনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। যদি ইইউ এই ধরনের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা ফিরে আসতে পারে, যা ডলারের চাহিদা বাড়িয়ে তুলতে পারে। আগামী সপ্তাহের ক্যালেন্ডারে বড় কোনো ইভেন্ট নেই, তবে অল্প কয়েকটি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার-মঙ্গলবার সোমবার ফেডারেল রিজার্ভের দুইজন কর্মকর্তার বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তারা হচ্ছেন ফিলাডেলফিয়া ফেডের প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক হার্কার এবং ফেড গভর্নর মিশেল বোম্যান। বিনিয়োগকারীরা মূলত বোম্যানের বক্তব্যের দিকেই বেশি মনোযোগ দেবে, কারণ হার্কার এই বছর ভোটাধিকার প্রাপ্ত নন এবং তিনি জুনে অবসর নেবেন। ফলে, তার বক্তব্য মার্কেটে তেমন প্রভাব ফেলবে না। অপরদিকে, বোম্যানের মন্তব্য মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। জানুয়ারির শেষ দিকে তার সর্বশেষ প্রকাশ্য বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন যে ফেডের ভবিষ্যৎ নীতিগত সিদ্ধান্ত "সতর্ক ও ধীরগতিতে নেওয়া উচিত, কারণ মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে এবং এটি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি বিদ্যমান"। তবে, তিনি এই মন্তব্যটি সর্বশেষ CPI ও PPI প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই করেছিলেন, যেখান জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি নির্দেশিত হয়েছিল। মঙ্গলবার জার্মানিতে ফেব্রুয়ারির ZEW সূচক প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুসারে, জার্মানির বিজনেস সেন্টিমেন্ট সূচক ১৯.৯ পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে, যা জুলাই ২০২৪ সালের পর সর্বোচ্চ স্তর, যেখানে জানুয়ারিতে এই সূচক ১০.৩ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল। ইউরোপের সামগ্রিক ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচকও ইতিবাচক গতিশীলতা দেখাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ২৪.৩ পয়েন্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। মঙ্গলবারের মূল বক্তারা হচ্ছে সান ফ্রান্সিসকো ফেড প্রেসিডেন্ট মেরি ডালি (যিনি এই বছর ভোটাধিকারপ্রাপ্ত) ও ফেড গভর্নর মাইকেল বার, যিনি তার স্থায়ী ভোটাধিকারের কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই দুইজন কর্মকর্তাই সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর মন্তব্য করতে পারেন এবং ২০২৪ সালে মুদ্রানীতি নমনীয় করার সম্ভাবনা মূল্যায়ন করতে পারেন।
বুধবার বুধবার, ফেডের জানুয়ারির বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। ওই বৈঠকে, ফেড মুদ্রানীতির অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে মুদ্রানীতি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়, কারণ মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চমাত্রায় রয়েছে এবং মার্কিন অর্থনীতি ভালো অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া, ফেড তাদের আগের বিবৃতির "মূল্যস্ফীতি ২% লক্ষ্যমাত্রার দিকে এগোচ্ছে" বাক্যাংশটি বাদ দিয়ে "মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ পর্যায়ে রয়েছে" বলে উল্লেখ করেছে। এই পরিবর্তন হকিশ বা কঠোর অবস্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা সাম্প্রতিক মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি ফেডের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। পাওয়েল এই পরিবর্তনকে "প্রযুক্তিগত" হিসেবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন, যা কোনো গভীর অর্থ বহন করে না বলে দাবি করেছেন। ফলে, FOMC-এর মিনিট বা কার্যবিবরণী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে; যদি এটি হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের বার্তা বহন করে, তাহলে সাম্প্রতিক CPI এবং PPI প্রতিবেদনের প্রেক্ষাপটে মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য সমর্থন পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার, মার্কিন সেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যদিও এগুলো গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয়। ফেব্রুয়ারির ফিলাডেলফিয়া ফেড ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই সূচক 44.3 থেকে 19.4 এ নেমে আসতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশার চেয়েও দুর্বল হয়, তাহলে এটি মার্কিন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, সাপ্তাহিক বেকার ভাতা আবেদন (জবলেস ক্লেইমস) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল +213,000, এবং আগামী সপ্তাহের জন্য এটি প্রায় +214,000-এ থাকার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে, যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম বা বেশি হয়, তাহলে এটি EUR/USD পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বৃহস্পতিবার ফেড কর্মকর্তাদের মধ্যে ফেডের ভাইস চেয়ারম্যান ফিলিপ জেফারসন, সেন্ট লুইস ফেড প্রেসিডেন্ট আলবার্তো মুসালেম (যিনি ২০২৫ সালে ভোটাধিকার পাবেন), শিকাগো ফেড প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবী (যার এই বছর ভোটাধিকার রয়েছে) বক্তব্য দেবেন।
শুক্রবার সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে PMI সূচক প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী: জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচক 45.4 এ পৌঁছাতে পারে এবং ইউরোজোনের সামগ্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 46.9 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই সূচকগুলো সংকোচন অঞ্চলে থাকার পূর্বাভাস রয়েছে, তবে সামান্য উন্নতি দেখা যেতে পারে। অন্যদিকে, সার্ভিসেস PMI সূচক ইতিবাচক অঞ্চলে থাকার সম্ভাবনা থাকলেও সামান্য হ্রাস পেতে পারে—যা জার্মানিতে 52.4 এবং ইউরোজোনের ক্ষেত্রে 51.1-এ পৌঁছাতে পারে। যদি এই সূচকগুলোর প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়, তাহলে এটি EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বাড়াতে পারে। শুক্রবার মার্কিন সেশনে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে, যা 51.2 স্তরে থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলার ক্রেতাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে এই সূচক 50 পয়েন্টের নিচে না নামে, কারণ এটি সূচকটির নিম্নমুখী হওয়ার সংকেত দেবে।
শুক্রবার মার্কিন সেশনে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে, যা 51.2 স্তরে থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলার ক্রেতাদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে এই সূচক 50 পয়েন্টের নিচে না নামে, কারণ এটি সূচকটির নিম্নমুখী হওয়ার সংকেত দেবে। ট্রেডারদের মিশিগান ইউনিভার্সিটি কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স-এর উপরও নজর রাখা উচিত। এই সূচক গত দুই মাস ধরে নিম্নমুখী রয়েছে, এবং ফেব্রুয়ারিতে এটি তৃতীয়বারের মতো কমে 67.2 পয়েন্টে নেমে আসতে পারে। তবে, যদি এই সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আসে, তাহলে এটি মার্কিন ডলারকে ব্যাপক সমর্থন প্রদান করতে পারে। দৈনিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য এখনো কুমো ক্লাউডের মধ্যে অবস্থান করছে এবং বলিঙ্গার ব্যান্ডস সূচকের মাঝারি ও উপরের লাইনের মধ্যে ওঠানামা করছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানার ওপরে স্থিতিশীল হয়, তাহলে ইচিমোকু সূচকে একটি বুলিশ "প্যারেড অব লাইন্স" সংকেত তৈরি হবে, যা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.06 লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.0390 লেভেলের নিচে নেমে যায়, তাহলে মূল্য বলিঙ্গার ব্যান্ডস সূচকের মাঝারি ও নিম্ন লাইনের মধ্যে অবস্থান করবে এবং ইচিমোকু সূচকের সব লাইনের নিচে চলে যাবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2121805345.jpg[/IMG]
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1396929370.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নেমে আসতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0530 এর লেভেল টেস্ট করে। এটি ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য 25 পিপস হ্রাস পায়। গতকাল ইউরোজোনের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং জার্মানির আর্থিক নীতিমালার সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ইউরোর ক্রয়ের প্রবণতা বৃদ্ধি করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য নতুন মাসিক সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছায়। বার্লিনের এই সাহসী পদক্ষেপ, যা ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আর্থিক ঝুঁকি নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়, কারেন্সি মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বিনিয়োগকারীরা ইউরোপীয় অর্থনীতির সম্ভাবনা পুনর্মূল্যায়ন করছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উদ্দীপনার প্রত্যাশা করছে। তবে, জার্মানি ও ইউরোপ দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে অবমুক্ত সম্পদগুলো কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারবে কিনা, সেটাই ভবিষ্যতে মার্কেটের গতিপথ নির্ধারণ করবে। আজ, ইউরোজোনের কম্পোজিট ইনডেক্স এবং পরিষেবা PMI সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা থমকে যেতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় নেতিবাচক হয়, তাহলে এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি সীমিত থাকবে। পরিষেবা খাতে মন্দার ইঙ্গিত অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। যেহেতু ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামীকাল সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, তাই ইউরোর মূল্যের আরও শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। তাই উচ্চ মূল্যে ক্রয় করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ইউরোজোনের উৎপাদন মূল্য সূচকও বিবেচনায় নেওয়া উচিত। এই সূচকের পতন ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে, যা ইসিবিকে প্রণোদনা ব্যবস্থা শিথিল করার গতি কমাতে বাধ্য করতে পারে, ফলে এটি ইউরোর জন্য ইতিবাচক হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0703-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0648-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0703-এর লেভেলে গেলে, আমি মার্কেটের বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র ইউরোজোনের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0609-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0648 এবং 1.0703-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1183088767.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0609-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0557-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0648-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0609 এবং 1.0557-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1207305357.jpg[/IMG]
বুধবার, EUR/USD কারেজন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য নতুন ভিত্তি স্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি আশ্চর্যের কিছু নয়, কারণ ট্রেডাররা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত সংবাদ—বিশেষ করে নতুন শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণাগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তবে, তারা সাধারণত এই শুল্ক বিলম্ব বা বাতিল হওয়া সংক্রান্ত খবর উপেক্ষা করছে। বাস্তবিক অর্থে, এই ধরনের পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে: যখন ট্রাম্প নতুন করে আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন, তখন ডলার দুর্বল হয়ে পড়ে; বিপরীতে, যখন তিনি এই শুল্কগুলো স্থগিত করেন বা বাতিল করেন, তখন ডলার সাধারণত পুনরুদ্ধার করে না। তাই, আমরা মনে করছি যে ডলারের বর্তমান দরপতন পুরোপুরি যৌক্তিক নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলো উপেক্ষা করছে এবং এমনভাবে আচরণ করছে যেন ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার শূন্যে নামিয়ে এনেছে এবং মার্কিন অর্থনীতি ইতোমধ্যে মন্দার মধ্যে রয়েছে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার, ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, মূল্য 1.0888-1.0896 এর রেঞ্জ থেকে বাউন্স করে মাত্র 20 পিপস বৃদ্ধি পায়, যা ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করার জন্য যথেষ্ট ছিল এবং এর ফলে এই ট্রেড ক্লোজ হয়ে যায়। এরপর, একই রেঞ্জ থেকে আরেকটি সামান্য রিবাউন্ড ঘটে, এবং আবারও মূল্য প্রত্যাশিত দিকনির্দেশে 20 পিপস বৃদ্ধি পায়।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/730486861.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর দেখা গেছে, যা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত ঘটনাগুলোর দ্বারা চালিত হয়েছিল। মার্কেটের ট্রেডাররা আপাতত ডলারের বিক্রয়ে বিরতি নিয়েছে, তবে এটি কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত। সম্প্রতি, ট্রেডাররা কেবল শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে এবং অন্যান্য সমস্ত খবর উপেক্ষা করেছে। এমনকি যখন ট্রাম্প নিজেই তার শুল্ক বাতিল বা স্থগিত করেন, তখনও ডলার শক্তিশালী হয় না। ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা মনে করি যে মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত আগেভাগেই ডলারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মাত্র এক সপ্তাহেরও বেশি সময়ে 600-পিপসের দরপতন অতিরিক্ত বলে মনে হচ্ছে, যা একটি কারেকশনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে। পাশাপাশি, দৈনিক এবং মাসিক উভয় টাইমফ্রেমেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে একটি উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা গেছে। গতকাল প্রকাশিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল ছিল এবং এটি এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/906464338.jpg[/IMG]
500 পিপসের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পর EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে এবং নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গত সপ্তাহে, ক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.0900 রেঞ্জের মধ্যে স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং মূল্য 1.0806 পর্যন্ত নামিয়ে এনেছিল। যদিও সপ্তাহের শেষে EUR/USD ক্রেতারা কিছু মুনাফা অর্জন করেছে, তবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্পষ্টভাবেই গতি হারিয়েছে। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য মূল্য 500 পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ মার্কেটে মার্কিন অর্থনীতি মন্দার দিকে ধাবিত হতে পারে এমন উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, জেপিমরগ্যানের প্রধান অর্থনীতিবিদ ব্রুস ক্যাসম্যান বলেছেন যে এই বছর অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা 40%, যা বছরের শুরুতে 30% অনুমানের তুলনায় বেশি। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে যদি ট্রাম্পের ঘোষিত পারস্পরিক শুল্কগুলো এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়, তাহলে এই ঝুঁকি 50% বা তার বেশি হতে পারে। ১৯ মার্চে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ পরবর্তী বৈঠকের ফলাফল উপস্থাপন করবে, যা এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই, EUR/USD পেয়ারের ট্রেডাররা মূলত মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মার্চ মাসের বৈঠকের দিকে দৃষ্টিপাত করবে, যদিও এই বৈঠকের আনুষ্ঠানিক ফলাফল আগেই অনেকাংশে নির্ধারিত হয়েছে। তবুও, আসন্ন সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সোমবার সোমবারের এশিয়ান সেশনে, চীনে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিশেষ করে, দেশটির শিল্প উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দেশটির শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে 5.3%-এ পৌঁছাতে পারে, যা আগের মাসে 6.2%-এ বৃদ্ধির তুলনায় কম। তবে, দেশটির খুচরা বিক্রয় 3.8%-এ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, যা গত বছরের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ স্তর। যদি চীনের প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডলার চাপের মুখে পড়তে পারে। সোমবার মার্কিন সেশনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। জানুয়ারির ফলাফল এই সূচকের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, কারণ সংখ্যাতাত্ত্বিকভ বে প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি না হয়ে, দেশটির খুচরা বিক্রয় নেতিবাচক অঞ্চলে নেমে গিয়েছিল, যা ভোক্তা কার্যকলাপের পতন নির্দেশ করে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে খুচরা বিক্রয় 0.7% বৃদ্ধি পেতে পারে (গাড়ি বিক্রয় বাদ দিলে, সূচকটি 0.4% বৃদ্ধি পেতে পারে)। এছাড়া, সোমবার নিউ ইয়র্ক এম্পায়ার স্টেট থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স বা উৎপাদন কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক 5.7 পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে মার্চে এটি -1.9 পয়েন্টে নামার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মঙ্গলবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথমত, দেশটিতে আমদানি মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে, যা মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা পরিবর্তনের প্রাথমিক সূচক হিসাবে বিবেচিত হয়। এই মাসে, সূচকটি -0.1% এ তীব্রভাবে হ্রাস পেতে পারে, যা আগের দুই মাসের বৃদ্ধির পর নতুন করে পতন নির্দেশ করে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি 1.4% এ হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর অর্থ হলো, আমদানি মূল্যের প্রবণতা মুদ্রাস্ফীতির অন্যান্য সূচক যেমন কোর পিসিই সূচক, CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক এবং PPI বা উৎপাদক মূল্য সূচকের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গৃহ নির্মাণ অনুমোদনের পরিমাণ প্রকাশিত হবে। জানুয়ারিতে এই সূচক মাত্র 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে ফেব্রুয়ারিতে পূর্বাভাস অনুযায়ী এটি -0.4% হ্রাস পেতে পারে। দিনশেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচকটির নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ ডিসেম্বরে 1.0% বৃদ্ধি পাওয়ার পর, জানুয়ারিতে তা 0.5% এ নেমে আসে, এবং ফেব্রুয়ারিতে মাত্র 0.2% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার বুধবারকে সম্ভবত এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। দুই দিনের বৈঠকের শেষে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ তাদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, CME FedWatch টুল অনুযায়ী, 98% সম্ভাবনা রয়েছে যে ফেড তাদের বর্তমান মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত রাখবে। ফলে, ফেডের বিবৃতি, জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য এবং হালনাগাদকৃত অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের দিকে ট্রেডাররা দৃষ্টিপাত করবে। ট্রেডারদের জন্য সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। CME FedWatch অনুসারে, মে মাসের বৈঠকে 30% সম্ভাবনা রয়েছে যে সুদের হার কমানো হতে পারে। তবে, জুন মাসে মুদ্রানীতি শিথিল করার ব্যাপারে ট্রেডাররা প্রায় নিশ্চিত, যেখানে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 80%। ফেডের বক্তব্য ট্রেডারদের মনোভাবকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ফেড ইঙ্গিত দেয় যে মে মাসে সুদের হার কমানো সম্ভব, তাহলে মার্কিন ডলার প্রবল চাপের মুখে পড়তে পারে, কারণ ট্রেডাররা বর্তমানে এই ধরনের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত নয়। এছাড়া, ফেডের হালনাগাকৃত পূর্বাভাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেতে পারে। নিউ ইয়র্ক ফেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান উইলিয়াম ডাডলি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে, তবে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাস বাড়তে পারে। সম্ভাবনা রয়েছে যে মধ্যমেয়াদী পূর্বাভাসে এই বছর দুইবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তবে, কিছু বিশ্লেষকের মতে, ডট প্লট পূর্বাভাসে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান প্রতিফলিত হতে পারে, যেখানে সুদের হার তিনবার ২৫-বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে। বৃহস্পতিবার এদিন, EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং মূলত আগের দিনের মোমেন্টামের উপর ভিত্তি করে চলতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা মার্চ মাসের ফেডের বৈঠকের ফলাফল বিশ্লেষণ করবে। এছাড়া, বৃহস্পতিবার কিছু গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথমত, সাপ্তাহিক বেকার ভাতার জন্য প্রাথমিক আবেদনসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সাম্প্রতিক সপ্তাহে সংখ্যাটি 220,000-এ সামান্য হ্রাস পেয়েছিল, তবে এই সপ্তাহে 222,000-এ সামান্য বৃদ্ধি হতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়, তাহলে এটি EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। দ্বিতীয়ত, ফিলাডেলফিয়া ফেডের উৎপাদন সূচক প্রকাশিত হবে। জানুয়ারিতে এই সূচকটি 44.3 পয়েন্টে ছিল, তবে ফেব্রুয়ারিতে 18.1 পয়েন্টে নেমে এসেছে। মার্চে আরও পতন হয়ে 12.1 পয়েন্টে নামার পূর্বাভাস রয়েছে। শেষে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহবিক্রয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচক নেতিবাচক প্রবণতা দেখাতে পারে। জানুয়ারিতে 4.9%-এ নেমে আসার পর, ফেব্রুয়ারিতে 5.1%-এ আরও হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। শুক্রবার শুক্রবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তুলনামূলকভাবে তেমন কিছু নেই। EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য প্রধান আকর্ষণ হবে নিউ ইয়র্ক ফেডের প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামসের বক্তৃতা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মার্চের শুরুতে উইলিয়ামস মন্তব্য করেছিলেন যে "মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রত্যাশাগুলো নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা যাচ্ছে না"। শুক্রবার, তিনি সাম্প্রতিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং মার্চ মাসের ফেড বৈঠকের ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করার সুযোগ পাবেন। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে বলিঙ্গার ব্যান্ডস ইনডিকেটরের মিডিয়ান (1.0880)-এর কাছাকাছি অবস্থান করছে। এই লেভেলটি টেনকান-সেন এবং কিজুন-সেন লাইনগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি কুমো ক্লাউডের ওপরে রয়েছে। বিক্রেতারা একাধিকবার এই সাপোর্ট লেভেলের নিচে মূল্যকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তবে সফল হয়নি। দৈনিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য বলিঙ্গার ব্যান্ডসের মিডিয়ান ও আপার লাইনের মধ্যে রয়েছে এবং ইচিমোকু ইনডিকেটরের সমস্ত লাইনের ওপরে অবস্থান করছে, যার মধ্যে কুমো ক্লাউডও রয়েছে। এটি লং পজিশন ওপেন করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক সংকেত প্রদান করছে। প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0930, যা চার-ঘণ্টার চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের আপার লাইন। প্রধান লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0980, যা দৈনিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডসের আপার লাইন।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/423873768.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0893 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, প্রত্যাশিত নিম্নমুখী মুভমেন্ট না হওয়ায় এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়েছে। এর আগে প্রকাশিত মার্কিন খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফলের প্রভাবে স্পষ্টভাবেই মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটেছিল, যা ইউরোর বিক্রির জন্য এন্ট্রি কার্যকর হওয়া থেকে বিরত রেখেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনকে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার লক্ষণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর মুদ্রানীতি বজায় রাখার সম্ভাবনাকে হ্রাস করেছে। যেহেতু এটি মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রথম দুর্বল ফলাফল নয়, তাই ডলার ক্রমাগত ইউরোর বিপরীতে মূল্য হারাচ্ছে, এটি কোনো বিস্ময়কর বিষয় নয়। আজ, ইউরোজোনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ইউরোজোনের ট্রেড ব্যালেন্স এবং জার্মানি ও ইউরোজোনের জন্য ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট বা অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক, যার মধ্যে বর্তমান পরিস্থিতির সূচকও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ইউরো ক্রেতাদের মনোভাবের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই সূচকগুলোর শক্তিশালী ফলাফল EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও দৃঢ় করবে, অন্যদিকে হতাশাজনক ফলাফলে মূল্যের কারেকশন ঘটাতে পারে, যা স্পেকুলেটিভ ট্রেডিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবো।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0969-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0924-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0969-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়, বিশেষত যদি জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।গুরুত্বপূর্ ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0904-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0924 এবং 1.0969-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0904-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0868-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। জার্মানির সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0924-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0904 এবং 1.0868-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট (১৯ মার্চ)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1455992978.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখিয়েছে। দৈনিক মুভমেন্ট বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে বৃদ্ধি পেয়েছে, তারপর হ্রাস পেয়েছে, এবং পরবর্তীতে আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তিনটি মুভমেন্টের মধ্যে দুটি মুভমেন্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, কারণ ইউরোজোন এবং জার্মানির ZEW সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফলও প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল। তবে, সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদানগুলোর দ্বারা সমর্থিত ছিল না, যা মূল্যের বর্তমান প্রবণতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা তুলে ধরে। মার্কেটের ট্রেডাররা হয়তো সম্পূর্ণরূপে আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল উপেক্ষা করছে এবং ডলার বিক্রি করছে, অথবা প্রতিবেদনের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং পরে আবার ডলার বিক্রি করছে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান প্রবণতাকে যৌক্তিক বলে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। তবে, এর মানে এই নয় যে বর্তমানে ট্রেডিং করা অসম্ভব। বর্তমানে মূল্যের মুভমেন্টের ধরন বোঝা দরকার। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালার কারণে মার্কিন ডলার দুর্বল হচ্ছে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তবে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা কমছে। যেহেতু মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখনো ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারকে বেশি সমর্থন করছে, আমরা এখনও এই পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও বৈশ্বিক নীতিমালা সংক্রান্ত ঘোষণা মার্কিন ডলারের মূল্যকে অব্যাহতভাবে নিম্নমুখী করছে। ফলস্বরূপ, মার্কেটে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদানগুলোর চেয়ে রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক প্রভাব বেশি পড়ছে, যার ফলে ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার, ইউরোর মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদানগুলো বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে ধারাবাহিকভাবে প্রভাবিত করছে না। ফলে, 1.0940-1.0952 এরিয়ার কাছাকাছি থেকে এখনও ট্রেডিং করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমের গুরুত্বপূর্ণ লেভেলসমূহ: 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0952, 1.1011, 1.1048। বুধবার, ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, তবে এটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে, সন্ধ্যার দিকে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, পাওয়েলের বক্তব্য এবং "ডট প্লট" চার্ট মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।