-
৩ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/973292476.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মানে কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ওপর ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়বে। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। প্রতিটি সূচকেরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে; তবে, মার্কিন ISM সূচক সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়াও, ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশ করা হবে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক। তাই, সোমবার অত্যন্ত অস্থির ট্রেডিং দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে, সোমবারের জন্য তেমন কোনো বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, উইকেন্ডে ঘটে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা মার্কেটে শক্তিশালী প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। শনিবার রাতে, হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, এই দুই নেতা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। আলোচনায় উভয় দেশের প্রধানের মধ্যে মতোবিরোধ সৃষ্টি হয় এবং তারা যে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন, সেটি শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। জেলেনস্কি হতাশ হয়ে ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন, এবং ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনের জন্য সকল প্রকার আর্থিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। আমরা মনে করি যে মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকেই, অথবা সোমবার এশিয়ান সেশনে ফরেক্স মার্কেটে এই ঘটনাটি প্রভাব ফেলতে পারে।
উপসংহার: সামগ্রিকভাবে, সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ বেশিরভাগ বিষয়ই নিম্নমুখী প্রবণতার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, মার্কেটে সেশন শুরু হওয়ার সময় ট্রেডারদের সম্ভাব্য গ্যাপ এবং এশিয়ান সেশনের উচ্চ অস্থিরতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। দৈনিক ট্রেডিংয়ের পুরোটা সময় জুড়ে অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বাজার পরিস্থিতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যার ফলে সোমবার কিছুটা অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, ইউরো এবং পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/3QH8ufa
-
৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/990983561.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের বেকারত্বের হার প্রকাশ করা হবে। তবে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হারের মতো ট্রেডারদের ওপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলে না, তাই সম্ভাব্যভাবে ট্রেডাররা এটিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপেক্ষা করতে পারে। এছাড়াও, আজ জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: যদিও মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন একটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। সোমবার, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিবৃতি দেবেন, যা সন্ধ্যার দিকে মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গত পরশু, হোয়াইট হাউসে ঘটে যাওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতির পর ডলারের তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। পরে, ট্রাম্প ঘোষণা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদান করা বন্ধ করবে এবং চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করবে। এই পরিস্থিতির আলোকে, যদি মার্কিন ডলার আজ থেকে পুনরায় শক্তিশালী হতে শুরু করে, তবে এটি আশ্চর্যের কিছু হবে না। তবে, ট্রাম্পের অপ্রত্যাশিত নীতিগুলোর কারণে ট্রেডাররা ডলার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় থাকতে পারেন। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগপ্রবণ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ। ইউরো, পাউন্ড এবং ডলারের ক্ষেত্রে শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং ট্রেডাররা এই সিদ্ধান্তগুলোকে কীভাবে ব্যাখ্যা করে সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সৃষ্ট মতবিরোধ মার্কেটে ডলার বিক্রির সরাসরি কারণ ছিল বলে মনে হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/41DIqrH
-
বোনাসের কোন খবর নাই কেন?????
-
৫ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1027212449.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, এবং ইউরোজোনে সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ISM সূচক। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শ্রম বাজার পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়। তবে, এই প্রতিবেদনটি সাধারণত নন-ফার্ম পেরোলস (NFP) প্রতিবেদনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা ট্রেডারদের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। যাই হোক, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনকে ট্রেডাররা বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে না, কারণ তারা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তৃতার ওপর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি এবং প্রধান অর্থনীতিবিদ হু পিলের বক্তৃতা রয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে যে উভয় কর্মকর্তাই মুদ্রানীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করবেন এবং যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি ও জিডিপি প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন। তাদের বক্তব্য ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে; তবে বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে মার্কিন ডলার এবং মার্কিন স্টক বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প যত বেশি বক্তব্য দিচ্ছেন, ডলার তত বেশি দুর্বল হচ্ছে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্য অস্থিরতার সম্মুখীন হতে পারে, কারণ বর্তমানে আবেগপ্রবণভাবে ট্রেডিং করা হচ্ছে এবং ট্রাম্প এর প্রধান কারণ। ইউরো, পাউন্ড, এবং ডলারের জন্য মূল বিষয় শুধু ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নয়, বরং ট্রেডাররা কীভাবে সেগুলো ব্যাখ্যা করছে। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তগুলোকে নেতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করছে।
Read more: https://ifxpr.com/4bpbO8p
-
৬ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/586020973.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। এই সপ্তাহে ইতোমধ্যেই প্রচুর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যা ইউরো, পাউন্ড বা ডলারের উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করেনি। মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে, যা মূলত ট্রেডারদের আতঙ্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মার্কিন বৈদেশিক নীতির সাথে সম্পর্কিত আবেগপ্রবণ প্রত্যাশার ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে, তবে এটি সম্ভবত একটি স্বল্পমেয়াদী কারেকশন হবে, যা সামগ্রিক শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের মূল ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বৈঠক; তবে, এটি বাজার পরিস্থিতির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইসিবি আবারও মূল সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে, যা তাত্ত্বিকভাবে ইউরোর জন্য নেতিবাচক হওয়া উচিত। তবে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়গুলো বেশি প্রভাব ফেলছে। যদিও ইসিবির ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা বেশ স্পষ্ট, তবুও কারেন্সি মার্কেটে ট্রাম্পের প্রভাব অনেক বেশি দৃশ্যমান। ফলস্বরূপ, আজ মার্কিন ডলার কিছুটা শক্তিশালী হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্টে কোন যৌক্তিক ধারাবাহিকতা দেখা যাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা কতদিন ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের কারণে ডলার বিক্রি করতে থাকবে, তা এখনো অনিশ্চিত। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে আবেগপ্রবণ হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং এই আবেগের প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্য। ইউরো, পাউন্ড এবং ডলারের জন্য ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত মূল বিষয় নয়, বরং ট্রেডাররা কীভাবে সেগুলো ব্যাখ্যা করছে সেটাই মূল আলোচ্য বিষয়। বর্তমানে, মার্কেটের ট্রেডাররা এসব সিদ্ধান্তকে নেতিবাচকভাবে দেখছে।
Read more: https://ifxpr.com/3DnaAhl
-
মার্কিন ইতিহাসেr প্রথম হোয়াইট হাউস ডিজিটাল অ্যাসেট সামিট!
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1809921262.jpg[/IMG]
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক, যিনি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি কৌশলগত ক্রিপ্টোকারেন্সি রিজার্ভ পরিকল্পনা প্রস্তুত করছেন, যা এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। তবে, এই পরিকল্পনাটি শুধুমাত্র বিটকয়েনভিত্তিক হবে না—এর পাশাপাশি বিকল্প টোকেনও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। লুটনিক উল্লেখ করেছেন যে ট্রাম্প একটি বিটকয়েন রিজার্ভ গঠন গুরুত্ব স্বীকার করেন, তবে ৭ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য হোয়াইট হাউস ডিজিটাল অ্যাসেট সামিটে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়েও আলোচনা করা হবে। এই ঐতিহাসিক সামিট ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রিপ্টো নিয়ন্ত্রণ ও নীতিমালা এবং এই খাতে সরাসরি বিনিয়োগের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। লুটনিক জানিয়েছেন ট্রাম্পের ক্রিপ্টো রিজার্ভ পরিকল্পনায় বিটকয়েন বিশেষ মর্যাদা পাবে। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে, ট্রাম্প বলেছেন যে "মার্কিন ক্রিপ্টো রিজার্ভ" ক্রিপ্টো খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে, যা বাইডেন প্রশাসনের তথাকথিত "দুর্নীতিগ্রস্ত আক্রমণের" কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে রিপল, সোলানা এবং কার্ডানো এই রিজার্ভের অংশ হবে। ট্রাম্প তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের "ক্রিপ্টো রাজধানী" হিসেবে গড়ে তুলতে চান। ডেভিড স্যাকস এবং বো হাইনস দ্বারা আয়োজিত এই সামিটে ক্রিপ্টো খাতের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করবেন, যার মধ্যে মাইকেল সেলার, ব্র্যাড গারলিংহাউস এবং সের্গেই নাজারভ রয়েছেন। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে: মার্কিন আর্থিক ব্যবস্থায় ডিজিটাল অ্যাসেটের ভবিষ্যৎ, জাতীয় অবকাঠামোতে ডিজিটাল মুদ্রার একীভূতকরণ, ক্রিপ্টোকারেন্সি জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রণয়ন। এছাড়া, দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম সপ্তাহে, ট্রাম্প এক্সিকিউটিভ অর্ডার ১৪১৭৮ স্বাক্ষর করেন, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তি ও ডিজিটাল অ্যাসেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য জারি করা হয়েছে। এই আদেশ বিশেষভাবে সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (CBDC) সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকে মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে, যা ট্রাম্পের মতে আর্থিক স্থিতিশীলতা, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং মার্কিন সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই নির্বাহী আদেশ CBDC-এর তৈরি, ইস্যু এবং ব্যবহারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই ঘোষণার পর, বিটকয়েনের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং সাম্প্রতিক দরপতন থেকে পুনরুদ্ধার করেছে। তবে, দৈনিক চার্টের প্রযুক্তিগত সূচক অনুসারে, অসসিলেটরগুলো এখনো ইতিবাচক সংকেত দেয়নি, অর্থাৎ নিশ্চিত বুলিশ প্রবণতা এখনো শুরু হয়নি।
Read more: https://ifxpr.com/3DaGeP9
-
সবার দৃষ্টি এখন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ওপর রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/635942772.jpg[/IMG]
শুক্রবার ইউরো-ডলার পেয়ারের মূল্য 1.0834 লেভেলে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে মার্কিন ডলারের দুর্বলতা নির্দেশ করে। উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির পরও, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা 1.09 লেভেল ব্রেকের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0890 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবে ট্রেডাররা মূল্য ঐ লেভেলে থাকা অবস্থায় মুনাফা সংগ্রহ করেছিল। ফলে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই পেয়ারের মূল্য 50 পিপস হ্রাস পেয়েছে। EUR/USD পেয়ারের সাপ্তাহিক চার্টে দেখা যাচ্ছে যে, গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য 500 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে—গত ১৬ বছরে এটি ছিল সবচেয়ে দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। এর মূল কারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে স্থবিরতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা হোয়াইট হাউসের প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক আরোপসংক্রান্ত বিরোধের ফলে সৃষ্ট হয়েছে। পূর্বে, নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পর সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা ডলারের পক্ষে কাজ করেছিল, কিন্তু এখন আমরা এর বিপরীত প্রভাব দেখছি। মার্কেটের ট্রেডাররা যৌক্তিকভাবে ধারণা করছে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতার প্রতিক্রিয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ ডিসেম্বরের তুলনায় আরও বেশি আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করতে বাধ্য হবে। ট্রেডারদের প্রত্যাশাও পরিবর্তিত হয়েছে। ট্রেডাররা নিশ্চিত যে এই মাসে ফেডের বর্তমান নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আসবে না, তবে ভবিষ্যৎ বৈঠকে আর্থিক নীতিমালা কিছুটা নমনীয় হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। CME FedWatch টুল অনুযায়ী, মে মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ৫০% পর্যন্ত বেড়েছে, এবং জুন মাসে এটি ৮৭% এ পৌঁছেছে। নমনীয় নীতিমালার প্রত্যাশা কেবলমাত্র সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাবের কারণে বাড়েনি, বরং দুর্বল অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কারণেও এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক, খুচরা বিক্রয়, এবং ভোক্তা আস্থা সূচক প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যা মার্কিন ডলারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। ফেব্রুয়ারির নন-ফার্ম পে-রোল (NFP) প্রতিবেদনের ফলাফলও হতাশাজনক ছিল। দেশটির কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়ে 150,000-এ পৌঁছেছে, যা ১২ মাসের গড় 170,000 এর তুলনায় কম ছিল, এবং পূর্ববর্তী দুই মাসের (জানুয়ারি ও ডিসেম্বর) পরিসংখ্যান সংশোধন করে আরও কমানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার (U3) 4.1%-এ পৌঁছেছে, যা প্রত্যাশিত 4.0%-এর চেয়ে বেশি। শ্রমবাজারের বিস্তৃত সূচক U6 হার 8.0%-এ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অক্টোবর ২০২১ সালের পর সর্বোচ্চ। শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার 62.4%-এ নেমে এসেছে, যা জানুয়ারি ২০২৩ সালের পর সর্বনিম্ন। মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন এই উদ্বেগজনক চিত্রকে আরও জোরদার করতে পারে, যা মার্কিন ডলারের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে। আগামী সপ্তাহে, প্রধান মূল্যস্ফীতি সূচক—CPI এবং PPI—প্রকাশিত হবে, যা নমনীয় আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের প্রত্যাশাকে আরও শক্তিশালী বা দুর্বল করতে পারে। বুধবার, ১২ মার্চ, ফেব্রুয়ারির ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত তিন মাস ধরে সামগ্রিক CPI-এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে, জানুয়ারিতে এটি 0.5% এ পৌঁছেছে। তবে, ফেব্রুয়ারিতে এটি কমে 0.3%-এ নেমে আসার পূর্বাভাস রয়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, সূচকটি টানা চার মাস বৃদ্ধি পেয়েছে (অক্টোবর থেকে জানুয়ারি), যা সর্বোচ্চ 3.0%-এ পৌঁছেছিল, তবে এটি 2.9%-এ নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে মূল CPI মাসিক ভিত্তিতে 0.4% থেকে 0.3% কমতে পারে এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 3.3% থেকে 3.2% এ হ্রাস পেতে পারে। বিশ্লেষকরা কেবল মূল্যস্ফীতির সামান্য হ্রাসের আশা করছেন, তবে মূল বিষয় হলো যে, এমনকি যদি ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় (অথবা আরও দুর্বল আসে), তবুও মার্কিন ডলার চাপের মধ্যে থাকবে। মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি নির্ধারণে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক—উৎপাদন মূল্যসূচক (PPI)—পরদিন, ১৩ মার্চ প্রকাশিত হবে। এটিতেও একই ধরণের প্রবণতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেখানে টানা কয়েক মাসের বৃদ্ধির পর সূচকটি কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। শুক্রবার, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো বুথ স্কুল অফ বিজনেসে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন যে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের অগ্রগতি "সম্ভবত অব্যাহত থাকবে, তবে এটি অনিয়মিত হতে পারে।" যদি আসন্ন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনে দুর্বলতা দেখা যায় (বিশেষ করে জানুয়ারির মূল PCE সূচকের মন্থরতার পরিপ্রেক্ষিতে), তাহলে মে মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে, যা নমনীয় নীতিমালার পক্ষে যাবে। বর্তমানে, এই সম্ভাবনা ৫০/৫০। উল্লেখযোগ্যভাবে, শুক্রবার পরিলক্ষিত EUR/USD-এর শেষ মুহূর্তের দরপতন পাওয়েলের বক্তব্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী অবস্থায় অর্যেছে এবং ফেডের অতিরিক্ত সুদের হার কমানোর কোন জরুরি প্রয়োজন নেই। তবে, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, পাওয়েল মূলত ফেডের মার্চের বৈঠকের কথা বলেছেন, যেখানে ট্রেডাররা নীতিমালায় কোনো পরিবর্তনের আশা করছে না। দ্বিতীয়ত, তিনি তার বক্তব্যে বাড়তি অনিশ্চয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন যে বাণিজ্য শুল্কের প্রভাব এবং ভোক্তা আস্থার পতন এখনো সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করা হয়নি, উল্লেখ করে বলেন, "এই পরিবর্তনের ফলাফল অর্থনীতি এবং মার্কিন মুদ্রানীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।" অর্থাৎ, পাওয়েলের শুক্রবারের বক্তব্যকে খুব বেশি কঠোর বলা যাবে না। EUR/USD-এর মূল্যের যেকোনো নিম্নমুখী কারেকশনকে এই পেয়ার ক্রয়ের সুযোগ হিসেবে দেখা উচিত। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0850 এর লেভেল, যা সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ড সূচকের উপরের লাইন। মূল লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.0950 এর লেভেল, যা একই টাইমফ্রেমে কুমো ক্লাউডের উপরের সীমানা।
Read more: https://ifxpr.com/4kupRgW
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি – ১১ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1745334719.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কেটে ব্যাপকভাবে স্টক বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত ছিল, তবে এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে এই প্রবণতা কিছুটা মন্থর হয়ে যায়, যা মার্কিন স্টক ইনডেক্স ফিউচার, ট্রেজারি ইয়েল্ড, এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি মূল্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। তবে, মার্কেটে এখনো চাপ বিরাজ করছে, কারণ ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের শুল্ক নীতিমালা এবং সরকারি ব্যয় হ্রাসের কারণে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে। S&P 500 ফিউচার 0.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এশিয়ান ট্রেডিং সেশনের শুরুর দিকে এটি 1% এর বেশি হ্রাস পেয়েছিল। নাসডাক 100 সূচক এবং ইউরোপীয় স্টকের ফিউচার কন্ট্রাক্টেও সামান্য পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছে। মঙ্গলবার, এশিয়ার স্টক মার্কেটের প্রধান সূচকসমূহ পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলে নেমে আসে, কারণ নাসডাক 100 সূচক ২০২২ সালের পর সবচেয়ে বড় দৈনিক দরপতনের শিকার হয়। হংকং এবং চীনের স্টক সূচকগুলোও দরপতন কিছুটা পুষিয়ে নিয়েছে। ২-বছরের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড পুনরুদ্ধার হয়েছে, যা আগে অক্টোবরের পর সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছেছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুই মাস পার হওয়ার পর, বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি ক্রমাগত নেতিবাচক হয়ে উঠছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে বাণিজ্য যুদ্ধ, সরকারি ব্যয় হ্রাস, এবং দীর্ঘদিনের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্কের পরিবর্তনের কারণে। কিছু বিনিয়োগকারী এই পরিবর্তনকে চীনের এবং হংকংয়ের বাজারে বিনিয়োগের সুযোগ হিসেবে দেখছেন, যেখানে চীনা সরকার সম্ভাব্যভাবে প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান করবে আশা করা হচ্ছে। যদিও বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে দূরে সরে আসছে, চীনের মূল ভূখণ্ডের বিনিয়োগকারীরা গতকাল রেকর্ড পরিমাণ স্টক কিনেছে, বিশেষ করে চীনের AI সেক্টরে ডিপসিক স্টার্টআপের অগ্রগতির কারণে মার্কেটে ইতিবাচক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। এদিকে, সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের কৌশলবিদরা মার্কিন স্টকের রেটিং "ওভারওয়েট" থেকে "নিউট্রাল" করেছে এবং চীনের রেটিং "ওভারওয়েট" এ উন্নীত করেছে, কারণ তারা মনে করছে যে মার্কিন স্টক মার্কেট বর্তমানে স্থবির অবস্থায় রয়েছে। সিটিগ্রুপ চীনের রেটিং উন্নীত করার কারণ হিসেবে মার্কেটে সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর দেশটির আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছে। এর আগে, HSBC কৌশলবিদরা ইউরোপীয় (যুক্তরাজ্য ব্যতীত) স্টক মার্কেটের রেটিং "আন্ডারওয়েট" থেকে "ওভারওয়েট" এ উন্নীত করেছে, কারণ তারা মনে করছে যে ইউরোজোনে সম্ভাব্য রাজস্ব প্রণোদনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার S&P 500 সূচক 2.7% এবং নাসডাক 100 সূচক 3.8% দরপতনের শিকার হয়েছে। একপর্যায়ে, উভয় সূচকের দরপতন 5%-এর বেশি ছিল। বৃহৎ মূলধনী কোম্পানিগুলোর মধ্যে, টেসলা ইনকর্পোরেটেডের শেয়ারের দর 15% হ্রাস পেয়েছে, এবং এনভিডিয়ার শেয়ারের দর প্রায় 7% হ্রাস পেয়েছে। মঙ্গলবার, G10 কারেন্সির বেশিরভাগই মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ান ডলার এবং নিউজিল্যান্ড ডলার এশিয়ান সেশনে কিছুটা দুর্বল ছিল। সুইস ফ্রাঁ এবং জাপানি ইয়েনের মতো ঐতিহ্যগত নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বীকৃত মুদ্রাগুলো ভালো পারফরম্যান্স করেছে। ইউরো এখনো ক্রেতাদের আকর্ষণ করছে, কারণ ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি উন্নত হচ্ছে। কমোডিটি মার্কেটে, তেলের দাম টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য হ্রাস পাচ্ছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছে যে শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক নীতিগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে পারে। স্বর্ণের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে মার্কিন স্টক মার্কেটের দরপতনের প্রভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলোর মূল্য নতুন বার্ষিক সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছেছে।
S&P 500-এর টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ এখনো S&P 500 সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার বিরাজ করছে। ক্রেতাদের আজকের প্রধান লক্ষ্য হবে $5,645 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এটি সফল হলে, সূচকটির মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে $5,670 লেভেলে পৌঁছাতে পারে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল হলো $5,692, যেখানে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারলে মার্কেটে তাদের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত হবে। তবে, যদি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার আগ্রহ আরও কমে যায়, তাহলে ক্রেতাদের অবশ্যই $5,617 লেভেলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যদি সূচকটির দর এই লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যায়, তাহলে সূচকটির দর দ্রুত $5,594 পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে এবং সম্ভবত $5,567 পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/43BAJn5
-
১২ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1688835148.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে বর্তমানে অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মতোই এটিও তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ট্রেড করছে এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উপেক্ষা করছে। এমনকি যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়—যা 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের আরও কঠোর আর্থিক নীতিমালা প্রণয়নের ইঙ্গিত দিতে পারে—তবুও এর প্রভাবে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। ডলারের দর হয়তো 50-60 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে আরেকবার ডলার বিক্রির প্রবণতার মধ্যে এই বৃদ্ধি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিলিয়ে যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য রয়েছে, যেখানে ক্রিস্টিন লাগার্ডে, ফিলিপ লেন এবং জোয়াকিম নাগেলের বক্তৃতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও মূলত ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও ঘোষণার দিকেই নজর দিচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিরতিহীনভাবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত শুক্রবার, তিনি কানাডাকে ১৯০৮ সালে প্রণীত সীমান্ত চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে মার্কিন-জাপান বাণিজ্য চুক্তি প্রধানত জাপানের জন্য লাভজনক। মঙ্গলবার, তিনি কানাডার স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ, সকল দেশের স্টিল ও অন্যান্য আমদানিকৃত পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক কার্যকর হতে যাচ্ছে। যেকোনো মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের উপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা আসতে পারে। উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই ওঠানামা করতে পারে, কারণ বর্তমান মার্কেট মূলত আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যক্রম দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আরও চাপের মধ্যে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি মার্কিন মূল্যস্ফীতি কমে যায়, তাহলে এটি ডলার বিক্রির আরও একটি কারণ হিসেবে কাজ করবে।
Read more: https://ifxpr.com/420fwlG
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৩ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/908809974.jpg[/IMG]
S&P 500 এবং নাসডাক সূচকের ফিউচার আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে, যা গতকাল প্রকাশিত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের অপ্রত্যাশিত ফলাফলের কারণে ঘটেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির চাপ হ্রাস পেয়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ছিল। এশিয়ার স্টক সূচকসমূহেও দরপতন ঘটেছে, যা গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান উচ্চ অস্থিরতার ধারাবাহিকতা হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই অবস্থার ফলে হেজ ফান্ডগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে এবং ওয়াল স্ট্রিটের কৌশলবিদরা মার্কিন স্টক মার্কেটে আরও দরপতনের পূর্বাভাস দিয়েছে। আজ, মার্কিন ও ইউরোপীয় ফিউচার 0.5% হ্রাস পেয়েছে, যখন নাসডাক 100 কন্ট্রাক্ট 0.9% হ্রাস পেয়ে বুধবারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। বিপরীতে, ট্রেজারি বন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কাজুও উয়েদা মজুরি এবং ভোক্তা ব্যয়ের উন্নতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করার পর ইয়েন শক্তিশালী হয়েছে। স্টক মার্কেটের এই ওঠানামা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে, বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান আক্রমণাত্মকভাবে স্টকের বিক্রয়ের প্রবণতার কারণে এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। উচ্চ বেকারত্বের হার এবং ফেডারেল চাকরির ছাঁটাইয়ের কারণে আরও অস্থিরতার মাত্রা আরও বেড়েছে, যা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন সম্পর্কিত ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যার ফলে কিছু বিনিয়োগকারী তাদের মূলধন মার্কিন স্টক মার্কেট থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে, বিশ্লেষকরা মার্কিন স্টক মার্কেট সম্পর্কে আরও সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছে। গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড সাম্প্রতিক সময়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে, যা পূর্বে সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেড এবং HSBC হোল্ডিংস পিএলসি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ধারাবাহিকতা। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, সিটিগ্রুপ মার্কিন স্টক মার্কেটের রেটিংকে "ওভারওয়েট" থেকে "নিউট্রাল"-এ নামিয়ে এনেছে, যখন চীনের রেটিংকে "ওভারওয়েট"-এ উন্নীত করেছে। স্টক মার্কেটে সাম্প্রতিক অস্থিরতা মূলত এই উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত হয়েছে যে ভোক্তা মূল্য সূচকের (CPI) সামান্য বৃদ্ধির প্রতিবেদন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালায় তাৎক্ষণিক কোনো পরিবর্তন আনবে না। ফেডারেল রিজার্ভ উচ্চ সুদের হার বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা বাড়ছে, যা নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। গতকাল, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ঘোষণা করেছেন যে তার দল শনিবারের সম্ভাব্য সরকারি শাটডাউন প্রতিরোধ করতে রিপাবলিকানদের ব্যয়ের বিল ব্লক করবে। তিনি রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা ডেমোক্র্যাটদের অর্থায়ন পরিকল্পনাকে অনুমোদন করুক, যা এপ্রিল ১১ পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি নির্দেশ করে যে স্টকের মার্কেটের সাম্প্রতিক সর্বনিম্ন লেভেলটি প্রকৃতপক্ষে সর্বনিম্ন লেভেল নাও হতে পারে, কারণ আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুল্ক সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন করে আমদানিকৃত ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর 25% শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা ব্যবস্থা নেবে, যা বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি, কানাডা আনুমানিক $20.8 বিলিয়ন মূল্যের মার্কিন পণ্যের উপর 25% শুল্ক আরোপ করেছে—যার মধ্যে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়াস্বর প এসেছে। কমোডিটি মার্কেটের হালনাগাদ তথ্য কমোডিটি মার্কেটে, স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি বর্তমানে আউন্স প্রতি $2,940 লেভেলে ট্রেড করছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার তেলের দাম হ্রাস পেয়েছে, যা পূর্ববর্তী দুই সপ্তাহের ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর পরিলক্ষিত হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/41MbgVB
-
১৪ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1074177591.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাজ্য জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি, GDP প্রতিবেদনটিতে প্রান্তিক ভিত্তিকের পরিবর্তে মাসিক ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশিত হবে, তাই ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া খুবই সীমিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জার্মানিতেও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে এটি ট্রেডারদের কাছ থেকে খুব বেশি আগ্রহ আকর্ষণ করবে না। এর প্রধান কারণ হলো এটি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় অনুমান এবং এটি শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের 27টি দেশের মধ্যে একটি দেশের মুদ্রাস্ফীতির চিত্র উপস্থাপন করে। গত দুই সপ্তাহে, ট্রেডাররা আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও উপেক্ষা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশ করা হবে, তবে এটিকেও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: যদিও শুক্রবার নির্ধারিত কোন গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত এবং বিবৃতির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। বর্তমানে আলোচনার মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ, কানাডার সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতের সমাধান। ফলে, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে কী ধরনের নতুন খবর প্রকাশিত হতে পারে তা আগে থেকে অনুমান করা অসম্ভব। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেট আবেগ দ্বারা চালিত হচ্ছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছেন। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য না আসে, তবে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সামান্য কারেকশন দেখা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এই মুহূর্তে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হওয়ার কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/3DHkDhk
-
১৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1097473178.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যার মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে, গত দুই সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি বেশ কম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর পরিবর্তে, তারা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত তথ্য এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক এমন যেকোনো বৈশ্বিক সংবাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এই সপ্তাহে, মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্য দরপতন এড়াতে সক্ষম হয়েছে, তবে এটি এখনো পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। মনে হচ্ছে, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের নতুন শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার (যেমন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর শুল্ক আরোপ) জন্য অপেক্ষা করছে, যা ডলারের আরও বিক্রির প্রবণতার অনুঘটক হতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা। তবে, লাগার্ড প্রায়শই বক্তৃতা দিয়ে থাকেন, তাই মার্কেটে নতুন কোন তথ্য আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থান ইতোমধ্যেই স্পষ্ট: মূল সুদের হার আরও কমানো হতে পারে, কারণ মুদ্রাস্ফীতি এখন আর উদ্বেগের কারণ নয় এবং গত ২.৫ বছরে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত দুর্বল ছিল। তাই, ইসিবির প্রেসিডেন্ট সোমবার নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগের সাথে ট্রেডিং করা হচ্ছে, যার প্রধান অনুঘটক ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। বিপরীতে, যদি ট্রাম্পের পদক্ষেপের ব্যাপারে নতুন কোনো তথ্য না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই হয় হালকা কারেকশন দেখা যেতে পারে অথবা সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে। এখনো পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/3DYvseW
-
১৮ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/844910002.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোজোন এবং জার্মানিতে ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট বা অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে, যা আমাদের মতে ট্রেডারদের উপর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, হাউজিং স্টার্টস, বিল্ডিং পারমিট এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এসব প্রতিবেদন ডলারের মূল্যের দৈনিক মুভমেন্টের উপর সামান্য প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এর বেশি কিছু ঘটবে না। সোমবারের ট্রেডিংয়ে দেখা গেছে যে, কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলারের দরপতন হতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধিদের কাছে খুব বেশি প্রশ্ন নেই। ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এই সপ্তাহে বৈঠকে বসবে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় নিশ্চিত যে কোনোভাবেই মুদ্রানীতি পরিবর্তন করা হবে না। তাই মূল পরিস্থিতি অ্যান্ড্রু বেইলি এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের উপর নির্ভর করছে। তবে, বৈঠকের দুই দিন আগে, মুদ্রানীতি কমিটির কোন সদস্যই সাক্ষাৎকার দিতে বা বর্তমান পরিস্থিতি এবং আসন্ন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারেন না। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে সম্পূর্ণরূপে আবেগের সাথে ট্রেডিং পরিচালিত হচ্ছে এবং এর একমাত্র পরিচালক হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তাহলে ডলার পুনরায় চাপের মুখে পড়তে পারে। যদি ট্রাম্পের কাছ থেকে কোনো নতুন সংবাদ না আসে, তবুও ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এখন শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4iByEw7
-
১৯ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/648560458.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে। মার্কিন ডলার দুর্বল হওয়ার লক্ষণ দেখিয়ে যাচ্ছে, তবে সামনে কী হতে পারে? বুধবার ইউরোজোনে ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে; তবে, এই ফলাফলে সাধারণত প্রাথমিক প্রতিবেদনের তুলনায় খুব বেশি পার্থক্য দেখা যায় না, তাই মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। আজ অন্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক। মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত অনুমানযোগ্য হলেও, জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন এবং "ডট প্লট" চার্ট মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে। বর্তমানে, ট্রেডারদের কাছে মুদ্রানীতি প্রধান আলোচ্য বিষয় নয়, তবে এই ইভেন্টটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পূর্ববর্তী "ডট প্লট" পূর্বাভাস অনুসারে, 2025 সালে দুইবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা ছিল। যদি আজকের চার্টে প্রত্যাশিত সুদের হারের পরিবর্তন দেখা যায়—কম বা বেশি—তবে এটি মার্কিন ডলারের সঙ্গে সম্পর্কিত ট্রেডিং কৌশলগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে। পাওয়েলের বক্তব্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে—যদি তিনি আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেন, তবে এটি ডলারকে আরও দুর্বল করতে পারে। তবে, আমরা আশা করছি যে বৃহস্পতিবারের মধ্যে মার্কেটে আবারও মূল প্রবণতায় ফিরে আসবে, যা ডলারের বিক্রির দিকে পরিচালিত করবে, যা মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে হয়েছে।
উপসংহার: বুধবার দিনভর, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ বর্তমানে মার্কেটে আবেগ দ্বারা ট্রেডিং পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল প্রভাবক হিসেবে কাজ করছেন। সন্ধ্যায় স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে "ঝড়" উঠতে পারে, যা সাময়িকভাবে ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। তবে, ফেডের মুদ্রানীতিও এই মুহূর্তে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নির্ধারণের প্রধান উপাদান নয়। মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে সম্ভাব্যভাবে সম্পূর্ণ বাণিজ্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা অব্যাহতভাবে মার্কিন ডলারের নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করছে।
Read more: https://ifxpr.com/3Y1OlV8
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পর্যালোচনা: প্রবৃদ্ধির পর দরপতন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/854307784.jpg[/IMG]
S&P 500 স্টক মার্কেটের পর্যালোচনা – ১৯ মার্চ মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতন। কনসোলিডেশন। ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের দিকে দৃষ্টি। মঙ্গলবার প্রধান মার্কিন স্টক সূচক: ডাউ জোন্স -0.6%, নাসডাক -1.7%, S&P 500 সূচক -1.1%, S&P 500 সূচক বর্তমানে 5,614 পয়েন্টে রয়েছে, রেঞ্জ 5,500 – 6,000। সকল সেক্টরে দরপতনের সাথে স্টক মার্কেটে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। প্রধান স্টক সূচকগুলো সেশনের সর্বনিম্ন লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়েছে, যেখানে দরপতনের হার ছিল 0.6% - 1.7%। S&P 500 সূচক (-1.1%) এবং নাসডাক কম্পোজিট (-1.7%) টানা দুইদিনের বৃদ্ধির পর নিম্নমুখী হয়েছে, তবে আগের অর্জিত মুনাফা সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়নি। S&P 500 এবং নাসডাক কম্পোজিট যথাক্রমে গত বৃহস্পতিবার সেশন শেষ হওয়ার সময়ের তুলনায় 1.7% এবং 1.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহৎ মূলধনসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরপতনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল, যার মধ্যে রয়েছে টেসলা (TSLA 225.31, -12.70, -5.3%), এনভিডিয়া (NVDA 115.52, -4.00, -3.4%), মেটা প্লাটফর্ম (META 582.36, -22.54, -3.7%), এবং অ্যালফাবেট (GOOG 162.67, -3.90, -2.3%)। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া-এর ইভেন্ট সংক্রান্ত খবর বিশ্লেষণ করছিল, তবে এই ঘোষণাগুলো স্টকের মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। অন্যদিকে, অ্যালফাবেট ঘোষণা করেছে যে তারা ক্লাউড সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপার উইয ইনকর্পোরেটেড-কে $32 বিলিয়নে অধিগ্রহণ করবে। ভূরাজনৈতিক ঝুঁকিও মার্কেটে দরপতনের কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। তবে, পণ্য মূল্য এবং ট্রেজারি বন্ডের গতিবিধিতে এই উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়নি। ট্রেজারি বন্ড সাধারণত ভূরাজনৈতিক সংকটের সময় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়, তবে ১০-বছর মেয়াদী ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড ৩ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.২৮% হয়েছে এবং ২-বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট কমে ৪.০৪% হয়েছে, যা শুধুমাত্র সামান্য পরিবর্তন নির্দেশ করে। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সাধারণত তেলের দাম বৃদ্ধি পায়, তবে WTI অপরিশোধিত তেলের ফিউচার গতকাল 1.2% হ্রাস পেয়ে প্রতি ব্যারেল $66.78 হয়েছে। ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপ স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের পরও মার্কেটে এর তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এই ফোনালাপের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয় যে উভয় নেতা প্রথমে জ্বালানি এবং অবকাঠামোগত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছেন, এরপর কৃষ্ণ সাগরে নৌবাহিনীর যুদ্ধবিরতি এবং পরবর্তীতে পর্যায়ে তারা একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তির দিকে অগ্রসর হবেন। তবে, ট্রাম্প এই আলোচনায় সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং এটি তার প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি বলে মনে হয়েছে। যদিও মস্কোর বক্তব্য ইতিবাচক ছিল, ট্রাম্প ফোনালাপের পরপরই তার নির্ধারিত ভাষণ বাতিল করেন। সাধারণত, ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকেন, তবে এইবার তার প্রতিক্রিয়া অনেক দেরিতে এসেছে। এটি স্পষ্ট যে ট্রাম্প সরাসরি একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি আশা করেছিলেন, যা এই ফোনালাপে হয়নি। বিশেষ করে, তার ব্যক্তিগত দূত উইথঅফ ফোনালাপের ঠিক আগে মস্কোতে শীর্ষ রাশিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকে বসেছিলেন, যেখানে প্রধান আলোচনার বিষয়গুলো আগেই চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। ফোনালাপের পর মস্কো এক্সচেঞ্জ সূচক ১% হ্রাস পেয়েছে। এটি মাঝারি মাত্রার দরপতন হলেও এটি এই আলোচনার ফলাফলের প্রতি রাশিয়ান বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত করে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: গতকাল প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে ফলাফল মিশ্র ছিল: ফেব্রুয়ারিতে আবাসন নির্মাণ শুরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, আমদানি ও রপ্তানি মূল্য বার্ষিক ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির পরিবর্তন নির্দেশ করেছে। বছরের শুরু থেকে স্টক সূচকসমূহের পারফরম্যান্স: ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ: -1.7% S&P 500 সূচক: -4.5% S&P মিডক্যাপ 400 সূচক: -5.6% নাসডাক কম্পোজিট: -9.4% রাসেল 2000: -8.1% অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: ফেব্রুয়ারির আবাসন নির্মাণ শুরুর সংখ্যা: 1.501 মিলিয়ন (সর্বসম্মত পূর্বাভাস: 1.385 মিলিয়ন) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 1.350 মিলিয়ন (পূর্বে ছিল 1.366 মিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির বিল্ডিং পারমিট: 1.456 মিলিয়ন (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: 1.450 মিলিয়ন) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 1.473 মিলিয়ন (পূর্বে ছিল 1.483 মিলিয়ন) মূল বিশ্লেষণ: ফেব্রুয়ারিতে আবাসন নির্মাণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উন্নত আবহাওয়ার কারণে সম্ভব হয়েছে। এটি দক্ষিণ অঞ্চলে 18.3% বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে, যেখানে জানুয়ারিতে 23% পতন হয়েছিল। ফেব্রুয়ারির রপ্তানি মূল্য: +0.1% (পূর্ববর্তী: +1.3%) কৃষিপণ্য বাদে রপ্তানি মূল্য: +0.1% (পূর্ববর্তী: +1.5%) ফেব্রুয়ারির আমদানি মূল্য: +0.4% (পূর্ববর্তী: সংশোধিত হয়ে +0.3% থেকে +0.4%) তেল বাদে আমদানি মূল্য: +0.3% (পূর্ববর্তী: +0.1%) ফেব্রুয়ারির শিল্প উৎপাদন: +0.7% (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: +0.2%) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: +0.5% থেকে +0.3% ফেব্রুয়ারির উৎপাদন ক্ষমতার ব্যবহার: 78.2% (সম্মতিসূচক পূর্বাভাস: 77.7%) পূর্ববর্তী পরিসংখ্যান সংশোধিত হয়েছে: 77.8% থেকে 77.7% মূল বিশ্লেষণ: শিল্প উৎপাদনে শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখা গেছে, যা মূলত গাড়ি এবং যন্ত্রাংশ উৎপাদনে 8.5% বৃদ্ধির ফলে সম্ভব হয়েছে। সম্ভবত এই খাত নতুন শুল্ক আরোপের প্রত্যাশায় হয়েছে। গাড়ি উৎপাদন গত মাসের তুলনায় 11.5% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি ঋতুভিত্তিক বার্ষিক হারে 10.35 মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছেছে। বুধবার প্রকাশিতব্য নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন: 07:00 ET: MBA সাপ্তাহিক বন্ধকী সূচক (পূর্ববর্তী: +11.2%) 10:30 ET: সাপ্তাহিক অপরিশোধিত তেলের মজুদ (পূর্ববর্তী: +1.45 মিলিয়ন ব্যারেল) 16:00 ET: জানুয়ারির নেট TIC ফ্লো (পূর্ববর্তী: $72.0 বিলিয়ন) অতিরিক্তভাবে, মার্চ মাসের FOMC-এর বৈঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে 14:00 ET-এ। উল্লেখ্য: ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার পরিবর্তন করবে না বলে মনে হচ্ছে, তবে বিবৃতিতে গৃহীত অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হবে। এনার্জি: Brent অপরিশোধিত তেল: $70.20। মার্কিন মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতার কারণে তেলের দাম প্রায় $1 কমেছে। যদি মার্কিন স্টক মার্কেটের দরপতন অব্যাহত থাকে, তাহলে তেলের দাম $70-এর নিচে নেমে যেতে পারে। উপসংহার: ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ফেডের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বিবৃতি সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত। বর্তমানে, মার্কিন স্টক মার্কেট একটি গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং সূচকটি সেই লেভেল থেকে কিছুটা নেমে এসেছে, যা সম্ভাব্যভাবে ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে সতর্কভাবে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মিখাইল মাকারভ আরও বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন:
Read more: https://ifxpr.com/4iHyjYH
-
ফেডারেল রিজার্ভ স্টক মার্কেটকে জীবনরক্ষাকারী লাইফবোট উপহার দিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/473479657.jpg[/IMG]
২৪-ঘণ্টার চার্টে #SPX-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার যথেষ্ট স্পষ্ট। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বৃহৎ পরিসরে ফাইভ-ওয়েভ গঠন, যা এতটাই প্রশস্ত যে এটি প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিনে সবচেয়ে ছোট স্কেলেও পুরোপুরি ফিট হয় না। সহজ কথায়, মার্কিন স্টক সূচকগুলো দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। তবে আমরা জানি, একসময় যেকোনো প্রবণতাই শেষ হয়। এই মুহূর্তে, ওয়েভ 5 of 5 সম্ভবত সম্পন্ন হয়েছে, কারণ ইনস্ট্রুমেন্টটি 6,093 লেভেল (ওয়েভ 4 থেকে 200.0% ফিবোনাচ্চি এক্সটেনশন) অতিক্রম করতে চারবার ব্যর্থ হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে, একটি করেকটিভ ওয়েভ সিকোয়েন্স এখন গঠিত হচ্ছে। মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত উত্তপ্ত, এবং বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ এখন "বাবল" সম্পর্কে সতর্ক করছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে, আমরা একটি সম্পূর্ণ জটিল করেকটিভ স্ট্রাকচার a-b-c-d-e দেখতে পাচ্ছি, যার পর একটি ঊর্ধ্বমুখী a-b-c প্যাটার্ন দেখা গেছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে একটি নতুন নিম্নমুখী স্ট্রাকচার গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যার প্রথম ওয়েভটি স্পষ্টত একটি ইম্পালসের মতো বলে মনে হচ্ছে। তাই, আমি একটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ 2 বা b গঠনের প্রত্যাশা করছি, যার পর দরপতন আবার শুরু হতে পারে। আমার বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি দৈনিক ওয়েভ কাউন্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, যা S&P 500-এর দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী মুভমেন্ট নির্দেশ করে।
ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান ট্রেডারদের আতংক প্রশমিত করেছে, তবে ঝুঁকি রয়ে গেছে আগে যেমনটি সতর্ক করেছিলাম, #SPX এখন করেকটিভ ওয়েভ b গঠন করতে শুরু করেছে, যা সূচকটির দরকে 5,825 পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে—যা ওয়েভ a থেকে 50.0% ফিবোনাচ্চি রিট্রেসমেন্টের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এর মানে, মার্কিন স্টক মার্কেট স্বল্পমেয়াদে প্রবৃদ্ধির প্রদর্শন করতে পারে, তবে এটি পরবর্তী দরপতনের আগে সম্ভবত একটি করেকটিভ বাউন্স হবে। অবশ্য, ওয়েভ স্ট্রাকচার বিভিন্নভাবে বিকশিত হতে পারে—রিট্রেসমেন্ 38.2% বা এমনকি 76.4%ও হতে পারে, তবে আপাতত আমাদের একটি বেসলাইন সিকোয়েন্স রয়েছে। এই সপ্তাহের FOMC-এর বৈঠকে এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কেবল মার্কেটের ট্রেডাররাই ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে আতংকিত হচ্ছে—ফেড নয়। ফেড মার্কিন অর্থনীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখতে পায়নি। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আশা করছে মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হবে এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির গতি কমবে। তাই, পূর্বাভাস অনুযায়ী মুদ্রানীতির নমনীয়করণ ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে। তবে, মনে করিয়ে দিতে চাই যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানকে আমলে নিয়েছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মার্কিন অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি, যা এখনো সতর্কভাবে নেতিবাচক রয়ে গেছে। তবুও, ফেড কিছুটা হলেও মার্কেটের ট্রেডারদের শান্ত করতে পেরেছে, যদিও স্পষ্টভাবে অস্বীকার করা যাবে না—মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতিতে হচ্ছে। হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের আশংকা অনুযায়ী নয়, কিন্তু মন্থর হচ্ছে। তাই, আমার ওয়েভ স্ট্রাকচার এখনও সঠিক রয়েছে। চূড়ান্ত মন্তব্য #SPX-এর বর্তমান ওয়েভ বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে ইনস্ট্রুমেন্টটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, আমি 6,125 লেভেল এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিমালার দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁর কার্যকলাপ—বাণিজ্ যুদ্ধ, শুল্ক, এবং আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ—মার্কিন অর্থনীতি এবং কর্পোরেট আয়ের স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে, যা নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। মার্কিন স্টক মার্কেটে "বাবল" পুরোপুরি তৈরি হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে আরও একটি ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভের সম্ভাবনা আছে, তারপরে একটি বিয়ারিশ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। ২৪-ঘণ্টার চার্ট দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা নিশ্চিত করেছে। হায়ার টাইমফ্রেমে ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও স্পষ্ট: একটি সম্পূর্ণ ফাইভ-ওয়েভ গঠন, যার ভিতরে পঞ্চম ওয়েভে আরেকটি পাঁচ-ওয়েভ প্যাটার্ন—এটি একটি নিশ্চিত নির্দেশক যে এই ওয়েভের গঠন সম্ভবত শেষের কাছাকাছি রয়েছে। সব মিলিয়ে এটি দীর্ঘ এবং জটিল করেকশনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যা সম্ভবত ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিমালা: ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজবোধ্য এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল প্যাটার্নে ট্রেড করা কঠিন এবং এটি প্রায়শই হঠাৎ পরিবর্তিত হয়। প্রবণতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকলে মার্কেটের বাইরে থাকাই ভালো। কখনোই মূল্যের মুভমেন্টের শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। তাই সবসময় স্টপ লস অর্ডার ব্যবহার করুন। ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণাত্মক পদ্ধতি এবং ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করা যায়, যাতে আরও পরিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।
Read more: https://ifxpr.com/4huB7r3
-
২৪ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/618102918.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা টেকনিক্যাল পরিস্থিতি এবং বিদ্যমান বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে পুরোপুরি যৌক্তিক ছিল। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং এর পেছনে মাত্র একটি কারণ ছিল — সেটি হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রোটেকশনিস্ট বা সুরক্ষাবাদী নীতিমালা। অন্যান্য সমস্ত বিষয় প্রায় উপেক্ষিতই হয়েছিল। তবে বুধবার সন্ধ্যায় এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ এখনো আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না এবং পূর্বের মতোই ২০২৫ সালে দুইবারের বেশি সুদের হার হ্রাসের কোনো সম্ভাবনা রাখছে না। উপরন্তু, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে ফেড কোনো সমস্যাও দেখছে না। সুতরাং, মার্কিন ডলার অতিরিক্ত ও দীর্ঘ সময় ধরে অযৌক্তিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে। সেই হিসেবে, বর্তমানে অন্তত একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট হিসেবে হলেও এই পেয়ারের দরপতন সম্পূর্ণভাবে যৌক্তিক। অবশ্যই, আগামীতে অল্প সময়ের মধ্যে ৬ মাস থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত চলমান দীর্ঘমেয়াদি নিম্নমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে এই প্রত্যাশা করা করা অতিরিক্ত আশাবাদী হতে পারে, কিন্তু এই প্রবণতা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেগুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করার বিশেষ কোনো যৌক্তিকতা ছিল না। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা খুব কম ছিল। দ্বিতীয়ত, উভয় সিগন্যালই মার্কেটে ট্রেডিং হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে গঠিত হয়েছিল। যদি এগুলো শক্তিশালী এবং স্পষ্ট সিগন্যাল হতো, তাহলে ট্রেড করার যৌক্তিকতা থাকতে পারত। কিন্তু বাস্তবে এমনটি ছিল না।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ সেটা হতে দিচ্ছে না। আমরা এখনো মধ্যমেয়াদে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যদিও ট্রাম্পের কার্যক্রমের প্রভাবে ডলারের দরপতন আর কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতাই বিরাজ করছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য অকারণে বৃদ্ধি পায়নি, তবে আবারও এটি অতিরিক্ত এবং অযৌক্তিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টের টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার অনুযায়ী, সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও হ্রাস পেতে পারে। পাউন্ড আবারও অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে দামী হয়ে উঠেছে। ৫ মিনিটের চার্টে প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107। সোমবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হলেও, এগুলো সামগ্রিকভাবে নয় বরং মূলত স্থানীয় পর্যায়ে মার্কেট সেন্টিমেন্টে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4hHJeAH
-
অর্থনৈতিক যুদ্ধ: তেল, গ্যাস এবং নিষেধাজ্ঞার প্রতিযোগিতার ভূ-রাজনৈতিক খেলা
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/501493805.jpg[/IMG]
অর্থবাজারে প্রতিটি দিন যেন বাজারের আধিপত্য নিয়ে এক যুদ্ধ। যেদিন ট্রেডাররা মূল্যের উত্থান উদ্যাপন করে, পরদিনই পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারে। শুক্রবার, ন্যাচারাল গ্যাস ফিউচারের দর হঠাৎই বেড়ে যায়, যা বুলিশ ট্রেডারদের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে ক্রুড অয়েল একই রকম পারফরম্যান্স করতে পারেনি। একবার আবারও নিউ ইয়র্ক মারকেন্টাইল এক্সচেঞ্জ (NYMEX) হয়ে ওঠে বড় মুভমেন্টের মঞ্চ। এপ্রিলে ডেলিভারির জন্য ন্যাচারাল গ্যাস ফিউচারের দর 0.48% বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি মিলিয়ন BTU-তে $3.99 এ পৌঁছায়। যদিও সেশনের সর্বোচ্চ মূল্য প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল, তবে $3.866 এর সাপোর্ট এবং $4.259 এর রেজিস্ট্যান্স মার্কেটে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে এবং ধারণা দেয় যে এই মুভমেন্ট এখানেই শেষ নয়। অন্যদিকে, মার্কিন ডলার সূচক — যা ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর নির্ধারণ করে — শুক্রবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সূচকটি 0.28% বৃদ্ধি পেয়ে 103.79 এ পৌঁছেছিল। বহু ট্রেডারের জন্য, ডলার সূচকের মুভমেন্ট একটি নির্ভরযোগ্য সংকেত হিসেবে কাজ করে: ডলারের দর বাড়লে, সাধারণত তেল ও গ্যাসের মতো কমোডিটির ওপর চাপ পড়ে। তবে এই পরিস্থিতিতেই অনেক অভিজ্ঞ ট্রেডাররা কৌশলগত এন্ট্রি পয়েন্ট খুঁজে পায়।
তেলের বাজারে ভিন্ন চিত্র WTI ক্রুড অয়েলের মার্কেট ততটা গতিশীলতা সৃষ্টি হয়নি। NYMEX-এ মে মাসের ডেলিভারির জন্য WTI ফিউচারের দর 0.40% কমে প্রতি ব্যারেল $68.34-এ নেমে আসে। ইউরোপিয়ান সেশনে প্রবণতা আরও নিম্নমুখী হয়, যেখানে দর আরও 0.07% কমে $68.02-এ পৌঁছায়। এখানে গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স যথাক্রমে $66.09 এবং $68.61-এ অবস্থান করছে। ICE-এ ট্রেড করা ব্রেন্ট ফিউচারেও চাপ সৃষ্টি হতে দেখা গেছে, যা 0.19% কমে প্রতি ব্যারেল $71.86-এ ট্রেড করা হয়েছে।
চীনে ইরানি তেলের রপ্তানি নিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্র চীনের উদ্দেশে পাঠানো ইরানি তেলের চালানকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার ফলে মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বাড়ে। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় স্বাধীন রিফাইনারি শোগোয়াং লুকিং পেট্রোকেমিকেল এবং একাধিক ট্যাঙ্কার রয়েছে যেগুলো চীনে ইরানি তেল সরবরাহ করে। ফেব্রুয়ারি থেকে এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ নিষেধাজ্ঞা — যা ইঙ্গিত দেয় যে, ওয়াশিংটন আবারও তেহরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে। নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি তেল এখন চীনে আরও জটিল এবং ব্যয়বহুল রুটে পাঠানো হচ্ছে। তবে স্থানীয় সূত্র বলছে, চীনা কোম্পানিগুলো তাদের সরবরাহ পুনর্বিন্যাস করছে এবং আমদানি অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাসে চীনে ইরানি তেল আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে দৈনিক 1.43 মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছায়, যা জানুয়ারিতে ছিল 898,000 ব্যারেল। এর একটি বড় অংশকে আনুষ্ঠানিকভাবে মালয়েশিয়ার তেল হিসেবে লেবেল করা হয় — যা বৈশ্বিক বাণিজ্য নেটওয়ার্কের সৃজনশীলতাকে নির্দেশ করে।
রাশিয়া এবং ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং উৎপাদন পরিস্থিতি ফেব্রুয়ারি ও মার্চ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ আরও বাড়িয়েছে, বিশেষত জ্বালানি রপ্তানি লক্ষ্য করে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সরবরাহ সীমিত করা হলেও এটি মার্কেটে কিছু ট্রেডিংয়ের সুযোগও তৈরি করছে। ২০২৫ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একট নির্বাহী আদেশে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহাল করেন। মাত্র তিন সপ্তাহ পর, ২৪ ফেব্রুয়ারি, আরও এক নিষেধাজ্ঞায় ঘোষণা করা হয় যেখানে ইরানি তেল খাতের সঙ্গে যুক্ত ৩০ ব্যক্তি ও ট্যাঙ্কারকে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ, আরও ১৩টি ট্যাঙ্কার এবং ১৮টি কোম্পানি ও ব্যক্তি নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হয়। তবুও, ইরানের তেল উৎপাদন স্থিতিশীল রয়েছে। দেশটিতে ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদন ছিল দৈনিক ৪.৮ মিলিয়ন ব্যারেল, যা জানুয়ারির সমান। এটি জানুয়ারি ২০২৩ সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য, কারণ তখন উৎপাদন ছিল মাত্র ৩.৭ মিলিয়ন ব্যারেল — যা এই ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর কৌশল রপ্ত করেছে। রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানি ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। ১২ মার্চ পর্যন্ত বিদেশি কোম্পানিগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত ব্যাংকগুলোর (সবারব্যাংক, ভিটিবি, আলফা-ব্যাংক, সভকমব্যাংক) মাধ্যমে রাশিয়ান তেল ও গ্যাস কিনতে পারত। এই লেনদেন একটি নবায়নযোগ্য জেনারেল লাইসেন্সের মাধ্যমে সম্ভব হতো, যা প্রতি দুই মাসর পরপর নবায়ন করা হতো। তবে এবার যুক্তরাষ্ট্র লাইসেন্সটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। CBS সহ অন্যান্য বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদে নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরান বা রাশিয়ার তেল রপ্তানিতে বড় প্রভাব ফেলবে না। তবে ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক চাপ তেলের দামে সহায়ক হতে পারে। CBS অনুমান করেছে, এই লাইসেন্স বাতিল করলে তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে $5 পর্যন্ত বাড়তে পারে। তবুও, মার্চ ১২ থেকে ২০ এর মধ্যে ব্রেন্টের দর কেবল $70.9 থেকে $71.1 পর্যন্ত বেড়েছে — যা তুলনামূলকভাবে সীমিত বৃদ্ধি। যদি ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার আর্থিক খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা হ্রাস করে, তাহলে তেলের পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা দূর হতে পারে। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি এখনো অনেক দূরের ব্যাপার। উপসংহার উৎপাদন পরিসংখ্যান স্থিতিশীল দেখালেও, জ্বালানি বাজার ভূ-রাজনৈতিক ঘটনার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এমনকি মূল্যের সামান্য পরিবর্তনও দীর্ঘমেয়াদি ট্রেডিং কৌশলের সুযোগ এনে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4kZgNB0
-
২৭ মার্চ কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/616811613.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে, এবং এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত প্রতিবেদনের সংখ্যা আরও কম। একমাত্র যেটি কিছুটা গুরুত্ব রাখে তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান। মার্কেটে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি 2.3% হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। যদি প্রকৃত ফলাফল এর চেয়ে কম হয়, তাহলে ডলার বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি তৈরি হতে পারে, যদিও তা খুব বেশি হবে না, কারণ বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মূল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাপ্তাহিক বেকার ভাতার আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে এই প্রতিবেদন খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং সাধারণত মূল ফলাফলে পূর্বাভাস থেকে তেমন বিচ্যুতি দেখা না। আজ জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একেবারেই কোন প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির বক্তব্য রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য। তবে মনে রাখা দরকার যে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি তাদের নীতিগত বৈঠক সম্পন্ন করেছে, তাই মাত্র এক বা দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে এমন সম্ভাবনা খুব কম। আবার, লাগার্দের বক্তব্য সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তাই দিনের বেলায় ট্রেডিং চলাকালীন সময়ে এটি কোনো প্রভাব ফেলবে না — এমনকি তাত্ত্বিকভাবেও নয়। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শুরু হওয়া দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যই নিজ নিজ অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসোলিডেট করেছে, এবং ফেডের বর্তমান অবস্থান ডলারের পূর্বের দরপতন কিছুটা পুনরুদ্ধার করার সুযোগ দিচ্ছে। অবশ্য, কেউই জানে না ট্রাম্প কখন নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক ঘোষণা করবেন বা সেগুলোর ধরণ কেমন হবে, তবে এই বিষয়টি বারবার ডলারের দরপতন ঘটানোর একমাত্র চালিকা শক্তি হতে পারে না। বর্তমানে নিম্নমুখী কারেকশনের চেয়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
Read more: https://ifxpr.com/4l5RNYR
-
মার্কিন স্টক মার্কেট দরপতনের সম্মুখীন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1808943946.jpg[/IMG]
S&P 500 মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ২৭ মার্চ নতুন করে শুল্ক আরোপের আশঙ্কা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তার মধ্যে মার্কিন স্টক মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। বুধবারের প্রধান মার্কিন স্টক সূচকসমূহের ফলাফল: ডাও জোন্স সূচক: -0.3%, নাসডাক সয়চক: -2.0%, S&P 500 সূচক: -1.1%, S&P 500 সূচক: 5,712, ট্রেডিং রেঞ্জ: 5,500–6,000। প্রধান সূচকগুলোতে দিনের শেষে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 0.3% হ্রাস পেয়েছে, S&P 500 সূচক 1.1% হ্রাস পেয়েছে এবং নাসডাক কম্পোজিট সূচক 2.0% হ্রাস পেয়েছে। আজকের দরপতনের ফলে S&P 500 সূচক আবার 200-দিনের মুভিং অ্যাভারেজ (5,756)-এর নিচে নেমে গেছে। ডাও সূচক, যা একদিন আগেই এই বছর প্রথমবারের মতো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন, তা আবার দরপতনের শিকার হয়েছে। শুরুর দিকে কিছুটা ক্রয়ের আগ্রহ দেখা গেলেও বৃহৎ মূলধনসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর স্টকগুলোর ক্রমাগত পতনের কারণে সূচকগুলোর ওপর চাপ তৈরি হয়। ট্রেডিং সেশনের পরে মার্কেটজুড়ে বিক্রির প্রবণতা আরও বাড়ে, যখন খবর আসে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমদানিকৃত গাড়ির ওপর 25% শুল্ক আরোপ করবেন। এই পদক্ষেপটি গাড়ির মূল্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং কানাডা, মেক্সিকো ও ইউরোপসহ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারদের প্রভাবিত করতে পারে। টেসলা (TSLA 272.06, -16.08, -5.6%) দরপতনের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় ছিল, যদিও বছরের শুরুতে দুর্বল পারফরম্যান্স থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পর এই সপ্তাহে এখনও এটির স্টকের মূল্য 9.4% উপরে রয়েছে। তবে বার্ষিক ভিত্তিতে এখনো 32.6% নিচে রয়েছে। এনভিডিয়া (NVDA 113.76, -6.93, -5.7%) এবং অন্যান্য চিপ নির্মাতাদের স্টকেরও উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ৫০টিরও বেশি চীনা কোম্পানিকে অ্যাডভান্সড চিপ রপ্তানির ব্ল্যাকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করেছে, এবং FT জানিয়েছে যে চীনের উপর নতুন বিধিনিষেধ এনভিডিয়ার আঞ্চলিক বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। PHLX সেমিকন্ডাক্টর ইনডেক্স (SOX) 3.3% হ্রাস পেয়ে ট্রেডিং শেষ করে। এই স্টক বিক্রির প্রবণতা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তীব্র প্রভাব ফেলেছে, যা সেশনের সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। এরপরের ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলো ছিল যোগাযোগ পরিষেবা (-2.0%) এবং কনজিউমার ডিসক্রেশনারি (-1.7%)। অন্যদিকে, প্রতিরক্ষামূলক খাত হিসেবে বিবেচিত কনজিউমার স্ট্যাপলস (+1.4%) এবং ইউটিলিটি (+0.7%) খাতভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্টকের মূল্য সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা প্রতিফলিত করে। বন্ড মার্কেটে মাঝারি ধরনের ক্ষতি দেখা গেছে। ১০ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ৩ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 4.34%-এ পৌঁছেছে, এবং ২ বছরের বন্ডের ইয়েল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 4.01% হয়। এই প্রেক্ষাপটে, আজ ৫-বছরের ট্রেজারি নোটের $70 বিলিয়নের অকশন তুলনামূলকভাবে দুর্বল চাহিদা দেখিয়েছে, তবে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল। চলতি বছরের পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ: -0.2%, S&P 500 সূচক: -2.9%, S&P মিডক্যাপ 400: -4.2%, নাসডাক কম্পোজিট সূচক: -7.3%, রাসেল 2000 সূচক: -7.0% অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সংক্ষেপ: MBA সাপ্তাহিক মর্টগেজ অ্যাপ্লিকেশন বা বন্ধকী আবেদন সূচক: -2.0% (পূর্ববর্তী: -6.2%) ফেব্রুয়ারির টেকসই পণ্যের অর্ডার: +0.9% (প্রত্যাশা: -1.2%); পূর্ববর্তী ফলাফল সংশোধিত হয়ে +3.1% থেকে +3.3% হয়েছে টেকসই পণ্যের অর্ডার (পরিবহন বাদে): +0.7% (প্রত্যাশা: +0.1%); পূর্ববর্তী ফলাফল সংশোধিত হয়ে 0.0% থেকে +0.1% হয়েছে। প্রধান বার্তাটি হলো, টেকসই পণ্যের অর্ডারের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এসেছে। তবে এই ইতিবাচক তথ্যকে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পতন কিছুটা ভারসাম্যহীন করেছে, যা নন-ডিফেন্স ক্যাপিটাল গুডস (এয়ারক্রাফট বাদে) অর্ডারে 0.3% হ্রাসের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। বৃহস্পতিবারের দিকনির্দেশনা: সকাল ৮:৩০ (ET): চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি (তৃতীয় অনুমান; পূর্বাভাস: 2.3%, পূর্ববর্তী: 2.3%) চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি ডেফ্লেটর (তৃতীয় অনুমান; পূর্বাভাস: 2.4%, পূর্ববর্তী: 2.4%) সাপ্তাহিক প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতা আবেদনের তথ্য (পূর্বাভাস: 225,000; পূর্ববর্তী: 223,000) চলমান জবলেস ক্লেইমস বেকার ভাতার আবেদন (পূর্ববর্তী: 1.892 মিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির অগ্রিম গুডস ট্রেড ব্যালান্স (পূর্ববর্তী: -$153.3 বিলিয়ন) ফেব্রুয়ারির প্রাথমিক রিটেইল ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: -0.1%) ফেব্রুয়ারির প্রাথমিক হোলসেল ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: +0.7%) সকাল ১০:০০ (ET): ফেব্রুয়ারির পেন্ডিং হোম সেলস (প্রত্যাশা: +2.9%; পূর্ববর্তী: -4.6%) সকাল ১০:৩০ (ET): সাপ্তাহিক ন্যাচারাল গ্যাস ইনভেন্টরি (পূর্ববর্তী: +9 বিলিয়ন কিউবিক ফিট) এনার্জি মার্কেট: ব্রেন্ট ক্রুড: $73.70 — যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দুর্বল হওয়া ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও তেলের দাম এক মাসের সর্বোচ্চ লেভেলে রয়েছে। উপসংহার: গতকালের বড় দরপতন সত্ত্বেও, মার্কিন স্টক মার্কেটের বুলিশ প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। দরপতনের ক্ষেত্রে লং পজিশন ধরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি এখনো S&P 500 সূচকে বিনিয়োগ না করে থাকেন, তাহলে জানিয়ে দিতে চাই যে মূল্য বর্তমান লেভেলে থাকা অবস্থায় SPX ইনস্ট্রুমেন্ট কেনার উপযুক্ত সময়।
Read more: https://ifxpr.com/3Y770il
-
মার্কিন স্টক মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1007153088.jpg[/IMG]
মার্কিন স্টক মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। পর্ব ২ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান স্টক সূচকগুলোর পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স -0.9%, নাসডাক +0.1%, S&P 500 সূচক -0.2%, S&P 500 সূচক: 5,062, ট্রেডিং রেঞ্জ: 4,800–5,700। সপ্তাহের প্রথম সেশনে স্টক মার্কেটে চরম অস্থিরতা দেখা গেছে এবং গড়পরতার তুলনায় ট্রেডিং ভলিউম বেশি ছিল। S&P 500 সূচক (-0.2%), যেটি বিয়ার মার্কেট জোনে (সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ থেকে 20% নিচে) ট্রেড করছিল এবং সেশনের লো লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছিল, তার দৈনিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন লেভেলের মধ্যে 400 পয়েন্টের বেশি ওঠানামা হয়েছে। মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার পর সূচকটি 4.7% পর্যন্ত নিচে নেমে যায় এবং সর্বোচ্চ পয়েন্টে 3.4% পর্যন্ত রিবাউন্ড করে। নাসডাক কম্পোজিট সূচক, যেটি দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন পয়েন্টে পৌঁছাতে 800 পয়েন্টের বেশি হারিয়েছিল, শেষ পর্যন্ত 0.1% ঊর্ধ্বমুখী হয়ে লেনদেন শেষ করতে সক্ষম হয়—যা বিশাল মূলধনসম্পন্ন কোম্পানি এবং চিপমেকারদের শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে হয়েছে। সেশনের সর্বনিম্ন থেকে প্রাথমিক রিবাউন্ডটি ঘটে এক ভ্রান্ত প্রতিবেদনের পর, যেখানে বলা হয়েছিল NEC ডিরেক্টর কেভিন হাসেট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীন ব্যতীত অন্য দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করার কথা ভাবছেন। পরবর্তীতে হোয়াইট হাউস এই প্রতিবেদন "ভুল সংবাদ" বলে অভিহিত করে এবং জানায়, যদি চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আরোপিত 34% শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে বুধবার থেকে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত 50% শুল্ক আরোপ করা হবে। এই ঘোষণার পর পুনরায় মার্কেটে স্টক বিক্রির প্রবণতা শুরু হয়, যদিও প্রধান সূচকগুলো সেশনের সর্বনিম্ন লেভেলের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উপরে ছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল ট্রেজারি মার্কেটে বিপরীতমুখী প্রবণতা, যা সূচকগুলোর নিম্নমুখী প্রবণতা কিছুটা কমিয়ে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মার্কেটে ইয়েল্ড বা লভ্যাংশ কমছিল, তবে ঐদিন ১০ বছরের বন্ডের লভ্যাংশ ১৭ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় 4.16%-এ, এবং ২ বছরের বন্ডের লভ্যাংশ ৬ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 3.73%-এ পৌঁছায়।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত স্টক মার্কেটের পারফরম্যান্স: ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ: -10.8% S&P 500 সূচক: -13.9% S&P মিডক্যাপ 400 সূচক: -16.1% রাসেল 2000 সূচক: -18.8% নাসডাক কম্পোজিট সূচক: -19.2% আজ খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার ক্রেডিট $0.8 বিলিয়ন হ্রাস পেয়েছে (সম্মিলিত পূর্বাভাস ছিল +$15.1 বিলিয়ন)। জানুয়ারিতে এটি পূর্বের $18.1 বিলিয়ন থেকে ঊর্ধ্বমুখীভাবে সংশোধিত হয়ে $8.9 বিলিয়ন হয়েছে। মূল বিষয় হলো, গত চার মাসে তৃতীয়বারের মতো ফেব্রুয়ারিতে কনজিউমার ক্রেডিটের পতন ঘটেছে। জ্বালানি: ব্রেন্ট ক্রুডের দর $64.90-এ পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক ইকুইটি মার্কেটে তীব্রভাবে বিক্রি প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে তেলের দামে সামান্য বৃদ্ধির পেয়েছে, যার ফলে দাম $65-এর কাছাকাছি পৌঁছেছে। এটি ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ শুরুর আগের দামের তুলনায় প্রায় $10 কম। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সংঘাতের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্থরতার আশঙ্কা এবং অপরিশোধিত তেলের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় তেলের বাজার এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে।
উপসংহার: ২ এপ্রিল ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এর চিত্র ক্রমে স্পষ্ট হচ্ছে। এই যুদ্ধে মূল ফ্রন্টলাইন হলো যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন। দ্বিতীয় প্রধান পক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যারা একদিকে সীমিত পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে, অন্যদিকে আলোচনার চেষ্টা করছে। জাপান ট্রাম্পের সঙ্গে সক্রিয় আলোচনায় রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইউরোপ ও জাপান তুলনামূলকভাবে কম শুল্কের মুখোমুখি হয়েছে, যেখানে চীনের ওপর ইতোমধ্যে 34% ও 20% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে—যা মোট 54%—এবং ৮ এপ্রিলের মধ্যে চীন যদি নিজেদের 34% পাল্টা শুল্ক না তুলে নেয়, তাহলে আরও 50% শুল্ক আরোপের হুমকি দেয়া হয়েছে। চীন ইতোমধ্যে সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত নেই। 100% শুল্ক আরোপ হলে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়তে পারে—যা ১৯৭৮ সালের নিক্সন-কিসিঞ্জার যুগ থেকে চলমান গভীর বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের সমাপ্তি ঘটাবে। এখন বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এই বাণিজ্য যুদ্ধের যৌক্তিক পরিণতি হিসেবে চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক উত্তেজনার বড় রকমের বৃদ্ধি ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সরাসরি সামরিক সংঘাত এবং তার বৈশ্বিক প্রভাবের ঝুঁকি বাস্তবরূপ ধারণ করেছে। মার্কিন স্টক মার্কেটে পূর্বাভাস: সাম্প্রতিক সর্বনিম্ন লেভেল এবং নিম্নমুখী লেভেল থেকে ওপেন করা লং পজিশনগুলো হোল্ড করে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধজনিত উদ্বেগ সত্ত্বেও মার্কিন স্টক মার্কেটে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শক্তিশালী পুলব্যাকগুলো নতুন করে ক্রয় করার সুযোগ এনে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3G35h7N
-
১০ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনই ট্রেডারদের জন্য এখনও কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি খুব একটা প্রভাব ফেলছে না, কারণ প্রায় সবাই আশা করছে 2025 সালে এটি দ্রুত বাড়বে। অতএব, আজ যদি মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেও, তাও ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আবার বাড়ানোর জন্য এখন সুদের হার কমাবে—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। সারাদিনে আর কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/491975540.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: এখনো ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা করার তেমন কোনো অর্থ নেই। গত সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের পরও ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকাল ধরে চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যেন কেবলমাত্র বৃহত্তম দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বিবৃতির দিকেই মনোযোগ দেন। ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, "অন্যায় দূর করার" লক্ষ্যে নেওয়া তার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিক্রিয়া জানালে, তার জবাবে নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করা হবে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন ব্যতীত সকল দেশের জন্য ৯০ দিনের জন্য শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর 10% হারে নির্ধারিত শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ট্রাম্পের মতে, এই সময়টি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নির্ধারিত। তবে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা চীনের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা এখনও অত্যন্ত কম। উপসংহার: এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনো আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, ফলে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো স্পষ্ট যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। কয়েক ঘণ্টা পরপরই বাণিজ্যযুদ্ধ সম্পর্কিত সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, এবং আজ প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনও মার্কেটের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4jwehRj
-
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্ক আরোপে বিলম্বের ঘোষণায় স্টক মার্কেটে দুর্দান্ত উত্থান
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1843085031.jpg[/IMG]
মার্কিন স্টক মার্কেট সম্প্রতি কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অভিজ্ঞতা লাভ করেছে। বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ঘোষণার পর প্রধান স্টক সূচকগুলো রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করে। S&P 500 সূচক 9.52% বৃদ্ধি পায়, ডাও জোন্স 7.87% এবং নাসডাক 12.16% বৃদ্ধি পায়—২০০১ সালের পর এটি নাসডাকের সবচেয়ে ইতিবাচক দৈনিক পারফরম্যান্স। হোয়াইট হাউসের একটি অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ মার্কেট এই উত্থান সৃষ্টি করে। চীনের সঙ্গে টানাপোড়েন এবং শুল্ক 125% পর্যন্ত বাড়ানো সত্ত্বেও, মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করে যে, যারা পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি—তাদের জন্য নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাগুলোর ওপর ৯০ দিনের বিরতি থাকবে। এই পদক্ষেপটি অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে আসে এবং ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কিছুটা হ্রাস করে। বিনিয়োগকারীরা এটি এই বার্তাই হিসেবে নিয়েছে যে, কঠোর বক্তব্য সত্ত্বেও হোয়াইট হাউস এখনো সব বড় অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাত আরও বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত নয়। নাসডাকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় নেতৃত্ব দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্টরা। টেসলার শেয়ারের দর 22.7% বেড়েছে, এনভিডিয়ার স্টকের দর 18.7% বেড়েছে, অ্যাপলের স্টকের মূল্য 15.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, মেটার স্টকের দর 14.8% এবং অ্যামাজনের স্টকের মূল্য 12% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কোম্পানিগুলো বৈশ্বিক বিনিয়োগ মনোভাবের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং এগুলোর স্টকের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি এই ইঙ্গিত দেয় যে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটে মূলধন ফেরত আসছে। S&P 500 এবং নাসডাক 100 সূচকের টেকনিক্যাল পরিস্থিতি S&P 500 সূচক আজকের সেশন 5,340 লেভেলে থাকা অবস্থায় শুরু করেছে—যা সম্প্রতি 5,300–5,320 এর রেজিস্ট্যান্সের সামান্য ওপরে, এবং এখন তা স্বল্পমেয়াদি সাপোর্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। আরও শক্তিশালী সাপোর্ট জোন 5,270 থেকে 5,285 এর মধ্যে গঠিত হয়েছে, যেখানে সূচকটি ব্রেকআউটের আগে কনসোলিডেট করছিল। এর নিচে 5,170 এর কাছাকাছি একটি গুরুত্বপূর্ণ লেভেল রয়েছে, যা গতকালের তীব্র প্রবৃদ্ধির সূচনা স্থান। যদি এই নাটকীয় মুভমেন্টের পর মার্কেটে কারেকশন শুরু হয়, তাহলে এই জোনগুলো বুলিশ প্রবণতা দৃঢ়তা যাচাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। বর্তমানে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্যান্স 5,370–5,385 জোনে রয়েছে, এবং পরবর্তী বড় টার্গেট হলো সাইকোলজিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ 5,450 লেভেল—যা সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যের কাছাকাছি। নাসডাক 100 এখন 18,700 এর কাছাকাছি ট্রেড করছে। এত শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পর সূচকটি টেকনিক্যালি ওভারবট অবস্থায় রয়েছে, তবে বুলিশ মোমেন্টাম এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো ব্রেক হয়ে গেছে, যেখানে 18,400 এখন নিকটতম সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। 18,100 লেভেলের আশেপাশে আরও শক্তিশালী সাপোর্ট জোন রয়ে গেছে, যেখানে ব্রেকআউটের আগে কনসোলিডেশন ও ভলিউম অ্যাকিউমুলেশন ঘটেছিল। পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স 18,850–18,900 এর মধ্যে অবস্থিত, এবং 19,000 একটি বড় সাইকোলজিক্যাল রেঞ্জ হিসেবে সামনে রয়েছে। বর্তমান টেকনিক্যাল সেটআপ এই ইঙ্গিত দেয়, স্বল্পমেয়াদি কারেকশন বা সাইডওয়েজ কনসোলিডেশনের সম্ভাবনা বেশ উচ্চ। এত তীব্র ইমপালস মুভমেন্টের পর মার্কেটের ট্রেডার সংবাদ প্রক্রিয়া করতে এবং প্রফিট লক করতে কিছুটা সময় নিতে পারে। তবে, মৌলিক বিশ্লেষণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পক্ষে রয়েছে। ঘোষিত শুল্ক বিরতির বিষয়টি শুধু একটি বিরতি নয়—বরং এটি মার্কেটে একটি শক্তিশালী বার্তা যে, মার্কিন প্রশাসন আলোচনার জন্য উন্মুক্ত এবং বাণিজ্য সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে আগ্রহী। এই বার্তাটি চীনের প্রতি তীব্র বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। 125% শুল্ক বৃদ্ধির পরও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক খোলা রাখা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন স্থিতিশীল করতে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে। শক্তিশালী শ্রমবাজার প্রতিবেদন, ইতিবাচক কর্পোরেট আয় এবং বাণিজ্য যুদ্ধের আলোচনার বিরতি—এই তিনটি মিলে স্থির ও মাঝারি মেয়াদি প্রবৃদ্ধির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। তবে পরিস্থিতি এখনও নাজুক। হোয়াইট হাউসের একটি টুইট বা বক্তব্য মুহূর্তেই মার্কেটে পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে। এখন বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতির দিকে যাচ্ছে।
টেসলা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে: নতুন প্রবৃদ্ধির সূচনা, নাকি বুল ট্র্যাপ? টেসলা ইনকর্পোরেটেড (TSLA) শেয়ারের দাম গত দিনের ক্লোজিংয়ের তুলনায় 22.58% বেড়েছে। আজ কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য কিছুটা কারেকশনের মধ্যে রয়েছে। মৌলিক বিশ্লেষণ 2025 সালে টেসলা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে—এর মধ্যে রয়েছে বিক্রির পরিমাণ হ্রাস, বিশেষ করে চীনা গাড়ি নির্মাতাদের সাথে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, এবং সিইও ইলন মাস্কের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কারণে উদ্ভূত রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। এই কারণগুলো মিলিয়ে বছরের শুরু থেকে টেসলার শেয়ারের মূল্য 34.6% কমেছে। তবে, কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন উদ্বেগগুলো অতিরঞ্জিত। যেমন, বেঞ্চমার্ক আগামী দ্বিতীয় প্রান্তিকে নতুন একটি মডেলের লঞ্চ এবং টেক্সাসের অস্টিনে রোবোট্যাক্সির সীমিত রোলআউটকে ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির প্রধান অনুঘটক হিসেবে উল্লেখ করেছে। এছাড়াও, টেসলার অপ্টিমাস রোবোটিক্স প্রোগ্রামের সম্ভাবনার দিকটিও গুরুত্বসহকারে আলোচনায় এসেছে—যা কোম্পানিটিকে স্বয়ংক্রিয় গাড়ির সমাধানের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারে। যদিও বেঞ্চমার্ক তাদের পূর্ববর্তী প্রাইস টার্গেট $475 থেকে কমিয়ে $350 করেছে, তবুও তারা টেসলাকে তাদের শীর্ষ বিনিয়োগ আইডিয়ার তালিকায় রেখেছে। অন্যদিকে, ওয়েডবুশের বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি এবং মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তৈরি হওয়া একটি "পারফেক্ট স্টর্ম" এর কথা উল্লেখ করে তাদের ১২ মাসের প্রাইস টার্গেট 43% কমিয়ে $550 থেকে $315 করেছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ টেসলার শেয়ার বর্তমানে $263.90 এ ট্রেড করছে। সর্বোচ্চ মূল্য ছিল 18 ডিসেম্বর, 2024-এ—$488.54। টেসলার শেয়ারের প্রধান সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেলসমূহ সাপোর্ট: $225 এবং $186 রেজিস্ট্যান্স: $360 এবং $421 বিনিয়োগকারীদের এই লেভেলগুলো সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা উচিত, কারণ যেকোনো দিকের ব্রেকআউট টেসলার শেয়ারের মূল্যের পরবর্তী বড় মুভমেন্টের ইঙ্গিত দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42sp5sH
-
১৫ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/389305103.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এগুলো মার্কেটে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করছে না। এই প্রতিবেদনগুলো স্বল্পমেয়াদি বা স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এটি সবাই জানে যে মার্কিন অর্থনীতি এতটা খারাপ অবস্থায় নেই যে ডলার শত শত বা হাজার হাজার পিপস দরপতনের শিকার হবে। আজ ইউরোজোনে ZEW ইকোনমিক সেনটিমেন্ট সূচক এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতার আবেদন ও বেতন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যের এই পরিসংখ্যানগুলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিগত অবস্থানে প্রভাব ফেলতে পারে—তবে এখন কে-ই বা সে অবস্থানের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে? ডলার এখনও দরপতনের শিকার হচ্ছে, এমনকি ফেডারেল রিজার্ভ তুলনামূলকভাবে কঠোর অবস্থানে থাকলেও।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ বাদে অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে হয় না। অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের প্রতি পরামর্শ দেব, বিশ্বের বৃহত্তম দেশ ও অর্থনৈতিক জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের দিকে মনোযোগ দিতে। ট্রাম্প বলেছেন, "অন্যায্যতা দূর করার" লক্ষ্যে তার নেওয়া পদক্ষেপের বিপরীতে যেকোনো প্রতিক্রিয়া নতুন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কের মাধ্যমে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চীন বাদে সব দেশের জন্য ৯০ দিন শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে সমানভাবে ১০% আমদানি শুল্ক কার্যকর থাকবে। ট্রাম্পের মতে, এই সময়টি বাণিজ্য আলোচনা চালানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে, এবং চীন থেকে আপসমূলক উদ্যোগ আসবে বলে মনে করার কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টিতে বর্তমানে চীন এবং ইউরোজোনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। মার্কেটে এখনও আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই বর্তমানে মূল্যের মুভমেন্টে কোনো যৌক্তিকতা দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত খবর আসছে, এবং কখন এই ধরনের খবর আসবে বা ট্রাম্প পরবর্তীতে কী পদক্ষেপ নেবেন, তা অনুমান করা একেবারেই অসম্ভব।
Read more: https://ifxpr.com/42eiT8U
-
-
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পূর্বাভাস – ১৮ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/993928484.jpg[/IMG]
গতকাল নিয়মিত ট্রেডিং সেশন শেষে মার্কিন স্টক মার্কেটের সূচকসমূহে মিশ্র ফলাফল দেখা গেছে। S&P 500 সূচক 0.13% বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে নাসডাক 100 সূচক 0.13% হ্রাস পেয়েছে। ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ 1.33% দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ এশিয়ার স্টক সূচকগুলো সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মূলত অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কৌশল অনুসরণ করছে—বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে চলমান শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনার অগ্রগতির জন্য। বাণিজ্যনীতির অনিশ্চয়তা মার্কেটের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এর ফলে অনেক কোম্পানি বড় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে, কারণ নতুন শুল্ক তাদের লাভজনকতা ও প্রতিযোগিতার সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এই সতর্ক মনোভাব ট্রেডিং ভলিউমেও প্রতিফলিত হচ্ছে—যা তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। অনেকেই লিকুইড অ্যাসেট ধরে রাখার পথ বেছে নিচ্ছে যাতে দ্রুত পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানানো যায়। জাপানের নিক্কেই-225 সূচক 0.8% বৃদ্ধির, অন্যদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সূচকসমূহ 0.4% হ্রাস পেয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনা জাহাজের মার্কিন বন্দরে প্রবেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছে। আজ গুড ফ্রাইডে উপলক্ষে অঞ্চলটির বেশিরভাগ মার্কেট বন্ধ থাকায় অস্থিরতার মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে। তবে উপরের বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ট্রেডাররা এখনো নির্দিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতির দিকে নজর রাখছে, যাতে বোঝা যায় ভবিষ্যতে শুল্কনীতি কীভাবে গড়ে উঠবে। ট্রাম্প জাপানের সঙ্গে আলোচনাকে "গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি" হিসেবে উল্লেখ করায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও তেমনই অগ্রগতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করা হয়নি, ফলে এটি কেবল ট্রাম্পের কথাবার্তার অংশ হিসেবেই থেকে যেতে পারে। আগের সেশনে দুর্বল হওয়ার পর শুক্রবার ইয়েনের মূল্য তুলনামূলকভাবে স্থির ছিল। জাপানের প্রধান আলোচকগণ জানিয়েছেন যে বৈঠকে মুদ্রা সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি, যা মার্কিন পক্ষ থেকে উচ্চতর এক্সচেঞ্জ রেট চাওয়ার শঙ্কা কিছুটা কমিয়েছে। যদিও ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি, তবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ সম্পদ চুক্তিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন এবং জানিয়েছেন যে এটি আগামী সপ্তাহেই স্বাক্ষরিত হতে পারে। ফেব্রুয়ারি থেকে এমন বক্তব্য বারবার আসছে, তাই এগুলোর তথ্যগত গুরুত্ব এখন অনেকটাই কমে গেছে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি চীনের ওপর আর শুল্ক বাড়াতে চান না, কারণ এতে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে কথার সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই—কারণ ঠিক এই মন্তব্যের পরই যুক্তরাষ্ট্র চীনা জাহাজের ওপর শুল্ক আরোপ করে, যা বৈশ্বিক জাহাজ চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র করে তুলতে পারে। এর ফলে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শিপিং কোম্পানি যেমন কাওয়াসাকি কিসেন কাইশা লিমিটেড এবং এইচএমএম কোং-এর শেয়ার দরপতনের শিকার হয়েছে। গতকাল ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে কটাক্ষ করে বলেন, চাইলে খুব দ্রুতই তাকে সরিয়ে দেয়া সম্ভব এবং ফেডারেল রিজার্ভের উচিত ছিল ইতোমধ্যেই সুদের হার কমানো। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, চাইলে তিনি পাওয়েলকে পদত্যাগে বাধ্য করতে পারেন। S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, আজ ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে মূল্যকে $5305 রেজিস্ট্যান্স লেভেল অতিক্রম করানো। এতে সফল হলে সূচকটির আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সুযোগ তৈরি হবে এবং $5342 পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভব হবে। $5399 লেভেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য, কারণ এটি তাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। যদি মার্কেটে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের চাহিদা কমে যায় এবং সূচকটির দর নিম্নমুখী হয়, তাহলে ক্রেতাদের মূল্যকে $5296 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত $5226 পর্যন্ত কমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে $5195 পর্যন্ত নিম্নমুখী হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42xIpVq
-
২১ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2054644718.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। তাই, ধরুন যদি ট্রেডাররা আজ মার্কেটের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুসরণ করতে চায়ও, বাস্তবিক অর্থে আজকের জন্য তেমন কিছু নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। অন্তত এখন ইউরোর মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখা যাচ্ছে (সংবাদ প্রত্যাশায়), আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কোনো স্পষ্ট কারণ বা ভিত্তি ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ বাদে অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার তেমন প্রয়োজন নেই। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানো অব্যাহত রাখেন, তবে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে তারা যাতে বড় বড় দেশ এবং জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত মন্তব্যের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখেন। যেকোনো রকম উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত নতুন করে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে, আবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের ইঙ্গিত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, যা বৈশ্বিকভাবে বহু দেশকে প্রভাবিত করেছে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংঘাত এখনও নিষ্পন্ন হয়নি এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের মূল উদ্বেগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পাশাপাশি, ট্রাম্প আবারও সুদের হার কমাতে ফেডারেল রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন, এমনকি তিনি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন—যদিও তার সে ধরনের সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই। বুধবার সন্ধ্যায় ফেডের চেয়ারম্যান স্পষ্ট করে বলেছেন, সুদের হার হ্রাসের জন্য স্পষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি দরকার, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। স্পষ্টতই ট্রাম্প এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমন আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আত্মবিশ্বাসের সাথে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, অথচ ইউরো এখনো ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে। আজ যদি মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো কোনো খবর আসে, তাহলে তা একমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি না এলে, বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
Read more: https://ifxpr.com/3RX4gAH
-
২২ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/587424873.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। সুতরাং, যদি মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি মনোযোগ দিতেও চাইত, আজ সেরকম কিছুই নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। উপরন্তু, সোমবার দেখা গিয়েছে যে, হোয়াইট হাউস থেকে কোনো খবর না থাকলেও ডলারের বড় ধরনের দরপতন হতে পারে। তাই, আজও মার্কিন মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকলে আমরা অবাক হব না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়াতে থাকেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব, গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের আরও দরপতন ঘটাতে পারে। অন্যদিকে, উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ—যা বর্তমানে অনুপস্থিত—ডলারকে সমর্থন দিতে পারে। তবে নতুন কোনো শিরোনাম ছাড়াও ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন, যা বৈশ্বিকভাবে অনেক দেশকেই প্রভাবিত করবে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করছে। ট্রাম্প আবারও ফেডারেল রিজার্ভের ওপর সুদের হার কমানোর চাপ প্রয়োগ করছেন এবং এমনকি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন, যদিও তার সেই ক্ষমতা নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ট্রাম্পের কার্যকলাপের প্রতি স্পষ্টভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং সেটি ডলার বিক্রি করে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমনটা আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, এবং সোমবার ইউরোর মূল্যও সেই ধারায় যোগ দিয়েছে। আজ মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টিকারী যেকোনো সংবাদ সম্ভাব্যভাবে কেবলমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। যদি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো খবর না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ধরন পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আগের মতোই, কেবলমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতেই ট্রেডিং করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4jMX0n5
-
২৩ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/806785451.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এর সবকটাই পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতে এপ্রিল মাসের পারচেসিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (PMI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই সূচকগুলো ইউরোপের অনেক দেশ, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হবে। ইউরোপে ব্যবসায়িক কার্যকলাপে মন্থরতার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা সম্ভবত বুলিশ ট্রেডারদের সন্তুষ্ট করবে না। একই সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও বাজার পরিস্থিতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল সাধারণত মূল্যের মুভমেন্টে খুব বেশি প্রতিফলিত হয় না এবং ট্রেডারদের মনোভাবেও তা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে PMI সূচকগুলো কমে গেলে ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আগের মতোই, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন শুল্ক আরোপ করে অথবা বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করে, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব যে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ এবং অর্থনৈতিক জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্যের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখুন। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধির ঘটনা নতুন করে ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, যেকোনো ধরনের উত্তেজনা প্রশমনের সংকেত ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ দেখা যায়নি, এবং নতুন কোনো ঘটনা ছাড়াই ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। গতকাল ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত 145% শুল্ক বহাল রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটেই স্বস্তির আভা দেখা গেছে। বিটকয়েন, মার্কিন ডলার, এবং মার্কিন স্টক সূচকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে ট্রাম্প ব্যাখ্যা করেননি যে কখন বা কী শর্তে এই শুল্ক হ্রাস করা হবে। এবং যদি চীনের সাথে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত না হয়, তাহলে হোয়াইট হাউজ সম্ভবত এই সংঘাত নিরসনের পথে এগোবে না। তবে, ট্রাম্পের ক্ষেত্রে, কোনকিছুই অসম্ভব নয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মঙ্গলবার আমরা মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখেছি, যা বুধবারের প্রথমার্ধেও অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য পুরোপুরি মূল্যায়ন করেনি। এছাড়াও, এপ্রিল মাসের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকগুলোর ফলাফল থেকে ইউরো এবং পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি পারে, যা ব্যবসায়িক কার্যকলাপ মন্থর হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4cNBk7Z
-
ট্রাম্প চীনের উপর চাপ কমাচ্ছেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/235915862.jpg[/IMG]
24-ঘণ্টার চার্টে #SPX এর ওয়েভ প্যাটার্ন মোটামুটি স্পষ্ট। বৈশ্বিক ফাইভ-ওয়েভ স্ট্রাকচারটি এত বিস্তৃত যে এটি টার্মিনাল স্ক্রিনের লোয়ার স্কেলেও পুরোপুরি ধরছে না। সহজ কথায়, যুক্তরাষ্ট্রের স্টক সূচকগুলো দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল—কিন্তু আমরা জানি যে প্রবণতা সর্বদা পরিবর্তিত হয়। এই মুহূর্তে, আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইন্সট্রুমেন্টটি চারবার 6,093 লেভেল ব্রেকের চেষ্টা করেছে, যা ওয়েভ 4 থেকে 200.0% ফিবোনাচ্চি লেভেলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, তবে তা সফল হয়নি। আমার দৃষ্টিতে, আমরা শিগগিরই একটি কারেকটিভ ওয়েভ সিরিজের ধারাবাহিকতা দেখতে পারি। মার্কিন স্টক মার্কেট দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত অস্থিতিশীল ছিল, এবং ট্রাম্প একটি চেইন রিঅ্যাকশন শুরু করেছেন। 4-ঘণ্টার চার্টে (উপরের চিত্র), আমরা একটি নতুন ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্টের বিকাশ দেখতে পাচ্ছি, যা বেশ বিস্তৃত হতে পারে। স্ট্রাকচারে এখনো পঞ্চম ওয়েভ অনুপস্থিত, তাই আমি মনে করি S&P 500 সূচকের দরপতন এখনো শেষ হয়নি। এটি মনে রাখা জরুরি যে ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ করলে—অথবা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা শুল্ক আরোপিত হলে—মার্কিন স্টক মার্কেটে নতুন করে বিক্রির প্রবণতা আসতে পারে। বর্তমানে, অনুমানকৃত ওয়েভ 4 এখনো গঠনের মধ্যে রয়েছে এবং এটি অভ্যন্তরীণভাবে বেশ জটিল হতে পারে। #SPX তীব্রভাবে পুনরুদ্ধার করেছে, তবে নিম্নমুখী প্রবণতার গঠন এখনো চলছে। আমরা এখন অনুমানকৃত ওয়েভ 4-এর মধ্যে একটি জটিল কারেকটিভ স্ট্রাকচারের গঠন প্রত্যক্ষ করছি। আমি এই মুহূর্তে প্রবণতার পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখছি না। S&P 500 সূচকের সাম্প্রতিক পুনরুদ্ধার মূলত ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ সম্পর্কিত অবস্থান নমনীয় করার ফলাফল। মনে করিয়ে দিই যে কয়েক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প 75টি দেশের আমদানিকৃত পণ্যের শুল্কের ওপর 90 দিনের ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে, তিনি চীনের উপর আরোপিত শুল্কের বোঝা কমানোর কথা বলেছেন। এটি এখনও স্পষ্ট নয় কতটা কমানো হবে, কখন বা কী শর্তে হবে, তবে চীন এবং অন্যান্য দেশের প্রতি অবস্থান স্পষ্টভাবেই নমনীয় হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা বুঝতে পেরেছে যে বাণিজ্য যুদ্ধের ব্যাপক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়ানো যেতে পারে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টক বিক্রির প্রবণতা বন্ধ হয়েছে। তবে বাণিজ্য উত্তেজনার পূর্ণ প্রশমন নিয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি, কারণ ট্রাম্প আরোপিত সকল শুল্ক প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছেন না। আমি সন্দিহান যে সব দেশই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে কিনা। আমি বিশেষভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যেখানে আলোচনা করে কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা এখনো অত্যন্ত কঠিন। সুতরাং, সম্প্রতি মার্কেটে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বেশ যৌক্তিক, তবে ভবিষ্যতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে হলে বাণিজ্য উত্তেজনা সম্পর্কিত ইতিবাচক খবরের দরকার হবে। এই ধরনের খবর না থাকলে, S&P 500 সূচকের বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে। সারসংক্ষেপ #SPX-এর বিশ্লেষণের ভিত্তিতে, আমি এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট শেষ হয়েছে। ট্রাম্প এখনো এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং মার্কিন কর্পোরেশনগুলোর স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে (যেমন: বাণিজ্য যুদ্ধ, শুল্ক আরোপ, আমদানি নিষেধাজ্ঞা, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ), যার কারণে আমরা এখন একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার সূচনা দেখছি। যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটে যে "বাবল" তৈরি হয়েছিল তা বহু বছর ধরে ফুলে উঠেছিল—এবং ট্রাম্প সেটিকে ফুটিয়ে দিয়েছেন। 4-ঘণ্টার চার্টেও ভবিষ্যতে আরও দরপতনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পর্যায়ে, আমরা ওয়েভ 5 এর গঠনের প্রত্যাশা করছি, যার লক্ষ্য 4,614 এর আশেপাশে। হায়ার টাইমফ্রেমে, ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও স্পষ্ট: একটি সম্পূর্ণ ফাইভ-ওয়েভ স্ট্রাকচার, যার মধ্যে ওয়েভ 5-এর মধ্যে একটি ফাইভ-ওয়েভ সাবস্ট্রাকচার রয়েছে। আপওয়ার্ড ট্রেন্ড সেগমেন্ট শেষ হয়েছে। সুতরাং, আমি একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি ডাউনওয়ার্ড সেগমেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমার বিশ্লেষণের মূলনীতি ওয়েভ স্ট্রাকচার সহজ এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল প্যাটার্নে ট্রেড করা কঠিন এবং প্রায়শই অনিশ্চিত হয়ে থাকে। যদি মার্কেটে অনিশ্চয়তা বিরাজ করে, তাহলে মার্কেট থেকে দূরে থাকাই ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে কখনোই 100% নিশ্চয়তা থাকে না—সবসময় স্টপ লস অর্ডার ব্যবহার করুন। ইলিয়ট ওয়েভ বিশ্লেষণ অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি এবং ট্রেডিং কৌশলের সাথে কাজে লাগানো যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3S3Vy3G
-
২৫ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1762003475.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলো এখন আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো 90% প্রকাশিত প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করে চলেছে। আজকের তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় (রিটেইল সেলস) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তিন মাস আগে হলে এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করত, কিন্তু এখন আর তেমনটা হচ্ছে না। বর্তমানে, সবকিছুই একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও মন্তব্যের উপর নির্ভর করছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে থাকেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে দেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের আরও দরপতনের কারণ হতে পারে, অন্যদিকে উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো সংকেত ডলারের শক্তিশালীকরণে সহায়তা দিতে পারে। এই সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করেছেন, তবে এটিকে এখনো উত্তেজনা প্রশমন হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জানা মতে, আমরা অবাক হব না যদি চীনের উপর শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি আবার তা বাড়িয়ে দেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর বাণিজ্য শুল্ক 145% স্তরে রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটে স্বস্তির ঢেউ সৃষ্টি করেছে। তবে একই সময়ে, চীন জানিয়েছে যে ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনা বর্তমানে চলছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে যে আলোচনা চলছে, তবে ইউরোপীয় কমিশন এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবিগুলো বুঝতে পারছে না। সুতরাং, আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান অংশীদারের সাথে আলোচনা হয়তো হচ্ছে না, অথবা আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ডলারের জন্য ইতিবাচক খবর ইতোমধ্যে মার্কেটে বিবেচিত হয়েছে, তাই এখন উভয় পেয়ারের নতুন করে বড় ধরনের দরপতনের আশা করা কঠিন। ইউরোর মূল্যের 1.1275 লেভেল পর্যন্ত নামার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আরও দরপতনের সম্ভাবনা এখন সন্দেহজনক। ব্রিটিশ পাউন্ডও ইউরোর পথ অনুসরণ করতে পারে, তবে ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে নতুন করে মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারেন।
Read more: https://ifxpr.com/3YLd806
-
২৮ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/195306966.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি, তাই সোমবারও বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করার নেই। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে এমন কোনো বক্তব্য দিতে পারেন, যা আবার ট্রেডারদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করবে, তবে স্বাভাবিকভাবেই, আমরা এটি অনুমান করতে পারি না যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কখন কি ঘোষণা দিতে পারেন।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার তেমন কোনো মানে নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করে বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে দেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল ধরে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি নতুন করে ডলারের দরপতনের কারণ হতে পারে। আবার, উত্তেজনা প্রশমনের যেকোনো সংকেত ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হতে পারে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান নমনীয় করেছেন, তবে এটিকে এখনো উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া বলা যাবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে যতটুকু জানি, আমরা এতে অবাক হব না যদি চীনের উপর আরোপিত শুল্কে ছাড়ের ঘোষণা দেওয়ার পরে তিনি আবার তা বাড়িয়ে দেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক 145% এর স্তিরে রাখার পরিকল্পনা করছেন না, যা সব মার্কেটেই স্বস্তিজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে একই সাথে চীন জানিয়েছে যে বর্তমানে ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনা চলছে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে কিছু আলোচনা চলছে, তবে ইউরোপীয় কমিশন এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি বুঝতে পারছে না। সুতরাং, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রধান অংশীদারের সাথে হয়তো কোনো আলোচনা চলছে না, অথবা তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাই, খুব শীঘ্রই ডলার শক্তিশালী হওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ এখন পর্যন্ত যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা বাস্তবিক অর্থে বাণিজ্য সংঘাতের উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনা প্রতিফলিত করছে না।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, তবে ফ্ল্যাট মার্কেট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কেবলমাত্র ট্রাম্পের মাধ্যমে প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। নতুবা, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা এবং সাইডওয়েজ মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4jPkCXZ
-
২৯ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1934078341.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই গুরুত্বপূর্ণ নয়। যদি আমরা জার্মানির GfK ভোক্তা আস্থা সূচক বা ইউরোজোনের ভোক্তা মনোভাবের মতো সব স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন বাদ দিই, তাহলে কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের JOLTS থেকে প্রকাশিতব্য জব ওপেনিংস বা চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনই রয়ে যায়। উল্লেখযোগ্য যে, এই প্রতিবেদন যথেষ্ট বিলম্বে প্রকাশিত হয়, এবং তাই এটি বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবণতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। সমস্ত যুক্তি অনুযায়ী, বড় পরিসরে আমদানি শুল্ক আরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হতে পারে এবং বেকারত্ব বাড়তে পারে। ফলে, মার্চের JOLTS প্রতিবেদনের তুলনায় এপ্রিলের নন-ফার্ম পে-রোলস এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার কোনো অর্থ নেই। ট্রাম্প নতুন নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বাড়িয়ে চললে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। যেকোনো উত্তেজনার বৃদ্ধি ডলারের আরেক দফা দরপতনের দিকে নিয়ে যেতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনের প্রতি তার অবস্থান কিছুটা নমনীয় করা শুরু করেছেন, তবে এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, এটা অবাক করার মতো হবে না যদি তিনি চীনের জন্য শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আবার তা বাড়িয়ে দেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি চীনা পণ্যের ওপর 145% শুল্ক বজায় রাখার কোনো ইচ্ছা পোষণ করছেন না, যা মার্কেটে কিছুটা স্বস্তির সঞ্চার ঘটিয়েছে। তবে, মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে কোনো আশাবাদের ঢেউ দেখা যায়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো উত্তেজনা প্রশমনের কোনো দৃশ্যমান ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছে না, তাই তারা মার্কিন মুদ্রা কেনার জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। এমনকি সোমবারেও, যখন কোনো সংবাদ ছিল না এবং ট্রেডাররা সক্রিয় ছিল, তখনও মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির পথই অনুসরণ করেছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, তবে আমরা সম্ভবত ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখতে পাব — অন্তত ইউরোর ক্ষেত্রে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য এখনো অনেক বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করছে, এবং এর জন্য কোনো সংবাদের প্রয়োজন হচ্ছে না। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
Read more: https://ifxpr.com/3GxjQ3C
-
মার্কিন জিডিপি এবং পিসিই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে না (সম্ভাব্যভাবে #NDX এবং #SPX-এ পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/264670905.jpg[/IMG]
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের কারণে সৃষ্টি চলমান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বেশ ক্লান্ত। পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত অনিশ্চিত রয়ে গেছে, ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন পুরোপুরিভাবে আজ প্রকাশিতব্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে — বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের দিকে। মূল দৃষ্টি থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন জিডিপি এবং পিসিই সূচকের ওপর। সম্মিলিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য মন্থর হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি 2.4% থেকে কমে মাত্র 0.2%-এ নেমে আসতে পারে — এটি এতটাই নেতিবাচক ফলাফল, যা পরিসংখ্যানগত ত্রুটির মধ্যেই পড়ে, এবং এর মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যার সঙ্গে যুক্ত থাকবে বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব। আজ, মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের ক্লান্তিকর শুল্ক কাহিনি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মার্চ মাসের পিসিই (Personal Consumption Expenditures) মূল্য সূচকের দিকে মনোযোগ দেবে। এই সূচকটি বার্ষিক ভিত্তিতে 2.5% থেকে 2.2%-এ হ্রাস পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং মাসিক ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারির 0.3% বৃদ্ধির বিপরীতে এবার 0.0% পরিবর্তনের পূর্বাভাস রয়েছে। কোর PCE সূচকটিও বার্ষিক ভিত্তিতে 2.8% থেকে 2.6%-এ নামতে পারে এবং মাসিক প্রবৃদ্ধি 0.4% থেকে কমে 0.1%-এ নেমে আসতে পারে। এর পাশাপাশি আয় ও ব্যয়ের তথ্যও গুরুত্ব পাবে। ব্যক্তিগত আয় 0.8% থেকে 0.4%-এ নামার এবং ব্যয় 0.4% থেকে 0.6% বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। ট্রেডার এবং মার্কিন ডলার এই প্রতিবেদনগুলোর প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? জিডিপির পতন ঘটলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে ট্রেজারি বন্ডের চাহিদা বাড়তে পারে। একই সময়ে, যদি সত্যিই PCE সূচকের পতন নিশ্চিত হয়, তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। পূর্বেই যেমন বলা হয়েছে, এর প্রধান কারণ হবে মে অথবা জুনে 0.25% হারে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার প্রতি ট্রেডারদের প্রত্যাশা বৃদ্ধি। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন স্টক মার্কেট সমর্থন পেতে পারে, কারণ সুদের হার কমার প্রত্যাশা ইক্যুইটির চাহিদা বাড়াতে পারে। তবে, ডলারের দরপতনের মাত্রা সম্ভবত সীমিত থাকবে। ডলার সূচক 99.00-এর নিচে নামলেও 98.00-এর উপরে থাকতে পারে। এর কারণ ইউরোজোনে প্রত্যাশিত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আবারও সুদের হার কমাতে বাধ্য করতে পারে, ফলে ফেডের সঙ্গে সুদের হার পার্থক্য ভারসাম্যপূর্ণ থাকবে। আজকের প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি অ্যাসেটের মূল্যের উপর সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ ট্রাম্পকে ঘিরে চলমান বিশৃঙ্খলা সবকিছু ছাপিয়ে ফেলছে। অনিশ্চয়তাই এখনো মার্কেটের প্রধান চালক।
Read more: https://ifxpr.com/3GvTz5P
-
মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক হতে পারে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1678486161.jpg[/IMG]
এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাত্রা সম্ভবত ধীর হয়েছে, যদিও বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে — যা শ্রমবাজারের ইতিবাচক কিন্তু স্বল্প চাহিদার ইঙ্গিত দেয়। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্য নীতি শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি করছে। গত মাসের শুরুতে আরোপিত নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পর এটি হবে প্রথম প্রতিবেদন, যেটিতে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব প্রতিফলিত হতে শুরু করবে। এপ্রিল মাসে ননফার্ম পেরোল 138,000 পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মার্চ মাসের প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ফলাফলের পর পূর্বাভাস দেইয়া হয়েছে। বেকারত্বের হার 4.2% থাকারই পূর্বাভাস রয়েছে। উল্লেখ্য, মার্কিন শ্রম দপ্তর কর্তৃক প্রকাশিতব্য এটিই প্রথম প্রতিবেদন হবে, যেটি ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক শুল্ক আরোপের পর প্রকাশিত হচ্ছে। এই প্রতিবেদনটি তৈরিতে ব্যবহৃত জরিপগুলো এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে সম্পন্ন হয়েছে, যখন ট্রাম্প একদিকে কিছু শুল্ক স্থগিত করেছিলেন, অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক বাড়িয়েছিলেন — যার ফলে বড় ও ছোট উভয় ধরনের ব্যবসার মধ্যে অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়। অভিবাসন এবং বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধিনিষেধ আগামী মাসগুলোতে পেরোলের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যদিও অনেক অর্থনীতিবিদ এপ্রিলের প্রতিবেদনে এর খুব বেশি প্রভাবের প্রত্যাশা করছেন না। এছাড়াও, মৌসুমি কারণগুলোর কারণে এপ্রিল মাস সাধারণত তুলনামূলকভাবে সহায়ক হয় — বিশেষ করে পরিষেবা খাতে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে কর্মী নিয়োগ শুরু হওয়ার ফলে। শ্রমবাজারে উল্লেখযোগ্য অবনতি মে মাসে দৃশ্যমান হতে পারে। ৬ জুনে প্রকাশিতব্য মে মাসের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনে লজিস্টিকস, লেজার এবং হসপিটালিটি খাতে নিয়োগের আরও তীব্র মন্থরতা দেখা যেতে পারে। সাধারণভাবে, অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ঐতিহাসিকভাবে কম থাকবে — যা 4.2%-এ থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর অন্যতম কারণ হলো, কোভিড-পরবর্তী শ্রমিক ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার পর কোম্পানিগুলো হয়তো খরচ কমিয়ে কর্মীদের ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। পাশাপাশি, গত গ্রীষ্ম থেকে অভিবাসনের তীব্র হ্রাসের ফলে শ্রমবাজারে প্রবেশকারীর সংখ্যা কমে গেছে — যা শ্রমচাহিদা দুর্বল করলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি ঠেকাতেও সাহায্য করছে। বারক্লেস পিএলসির অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছেন, "আমরা এখনো মনে করি মধ্য-মেয়াদে বেকারত্বের হারের নিম্নমুখীতা বজায় থাকবে, যেখানে অভিবাসন নীতিমালাই শ্রম সরবরাহের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।" "তবে, আমরা মনে করি যে ভবিষ্যতের প্রান্তিকগুলোতে শ্রমচাহিদার পতন এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এই প্রভাবকে কিছুটা ভারসাম্য এনে দেবে।" সিটিগ্রুপ ইনকর্পোরেটেডের অর্থনীতিবিদরাও একই মত পোষণ করেন, যারা প্রত্যাশা করছেন যে সম্মিলিত পূর্বাভাসের তুলনায় কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি কম হবে — যা প্রায় 105,000-এর মতো হতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভ শ্রমবাজার পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ উদ্বেগ বেড়েছে যে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। নীতিনির্ধারকরা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য দু'দিনব্যাপী বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ বর্তমানে, ক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্য হবে 1.1337 লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই 1.1386 লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হবে। এরপর পেয়ারটির মূল্য 1.1437 লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ছাড়া মূল্যের এই লেভেল পর্যন্ত পৌঁছানো কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1487। যদি ইনস্ট্রুমেন্টটির দরপতন হয়, তাহলে আমি 1.1265 লেভেলের কাছাকাছি শক্তিশালী ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি সেখানে প্রতিক্রিয়া না দেখা যায়, তাহলে 1.1215-এর নতুন লো অথবা 1.1185 লেভেল থেকে লং পজিশনে এন্ট্রির কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো 1.3315 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। কেবল তখনই মূল্যের 1.3354 লেভেলের দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে — যার উপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3394 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা 1.3280 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ব্রেক ব্রেক করে নিচের দিকে যেয়ে ক্রেতাদের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে এবং পেয়ারটির মূল্য 1.3250 এবং পরবর্তীতে 1.3205 লেভেলের দিকে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে।
https://ifxpr.com/3GvGjOG
-
৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1509178763.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI ছাড়া আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে এটি নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা আদৌ এটির প্রতি মনোযোগ দেবে কিনা। গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা বেশিরভাগ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকেই উপেক্ষা করেছে। মনে রাখা দরকার, সপ্তাহান্তে কারেন্সি মার্কেট বন্ধ থাকে, ফলে কোনো সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় না। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো "উইকএন্ড" নেই — তাই সোমবারে তিনি হঠাৎ করে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে বা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসতে পারে, যেটার প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয়ে আলোচনা করার তেমন কিছু নেই — যদিও এই যুদ্ধে আপাতত বিরতি নেয়া হয়েছে। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে ডলারের দরপতন দীর্ঘায়িত হতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আবারও মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা শুরু হতে পারে, আর উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। ট্রাম্প এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখালেও, এটিকে এখনো সত্যিকারের উত্তেজনা প্রশমন বলা যাবে না। ট্রাম্প সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, যদি তিনি আবারো শুল্ক বাড়ান তাহলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প বুঝে গেছেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ মার্কিন অর্থনীতির ধ্বংস ডেকে আনতে পারে, তাই খুব শিগগিরই নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। একইসাথে, চীনের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ক আলোচনা এখনো শুরু হয়নি, যার মানে "145% – 125%" হারে আরোপিত দণ্ডমূলক শুল্ক এখনো বলবৎ রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই বুধবারে দেখেছি যে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রতি মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট বজায় থাকতে পারে, তাই 1.1275 লেভেল থেকে একটি বাউন্স হলে সেটি নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করতে পারে। এখনো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যদিও এটি টানা চার দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে। আনুমানিক 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ই প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ট্রেডিংয়ের জন্য এখন একমাত্র ভরসা হচ্ছে টেকনিক্যাল লেভেল — যদিও দুঃখজনকভাবে ট্রেডাররা সবসময় তা অনুসরণ করে না।
Read more: https://ifxpr.com/4d6gT6n
-
৬ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/374859143.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। ইউরোজোন এবং জার্মানিতে এপ্রিল মাসের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচকের দ্বিতীয় সংশোধিত হিসাব প্রকাশিত হবে, তবে এসব প্রতিবেদন খুব একটা গুরুত্ব পাবে বলে মনে হচ্ছে না। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা একাধিক মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করেও স্বাভাবিকভাবে ট্রেডিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তাই ইউরোপে প্রকাশিত এই সংশোধিত পরিষেবা সংক্রান্ত সূচকগুলো বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করবে না। একই কথা যুক্তরাজ্যের একই সূচকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্যান্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করা এখনো খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও এই বাণিজ্য সংঘাত বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আবারও মার্কিন ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। এই সংঘাতের নতুন করে বাড়তি উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ডলারের আরও দরপতন ঘটতে পারে, অপরদিকে যদি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকেই অগ্রগতি হয়, তাহলে ডলার সমর্থন পেতে পারে। যদিও সম্প্রতি ট্রাম্প তার বক্তব্যে চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয়তা দেখিয়েছেন, তবে এটিকে এখনই প্রকৃতভাবে "বাণিজ্য উত্তেজনার প্রশমন" বলা যাচ্ছে না। ট্রাম্পের অতীত পদক্ষেপ বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, তিনি যেকোনো সময় আবারও শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে পারেন — সেটি কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার হবে না। ট্রাম্প জানেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হলে আমেরিকার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই অদূর ভবিষ্যতে তার পক্ষ থেকে খুব একটা আগ্রাসী পদক্ষেপের আশা করা যাচ্ছে না। তবে এখনো পর্যন্ত চীনের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়নি, অর্থাৎ দণ্ডমূলক 145%–125% শুল্ক এখনো কার্যকর রয়েছে। গত বুধবার আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। EUR/USD পেয়ারের সাইডওয়েজ ট্রেডিং অব্যাহত থাকতে পারে এবং 1.1275 লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ড হলে নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো শক্তিশালীভাবে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কিন্তু ইতোমধ্যে এটি টানা চার দিন ধরে দরপতনের মধ্যে রয়েছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলে মনে হচ্ছে। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে—যা দুর্ভাগ্যবশত অনেক সময় প্রত্যাশিত ফলাফল দিতে ব্যর্থ হয়।
Read more: https://ifxpr.com/3GBkBZF
-
৭ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/668716116.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং যেগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর প্রভাবও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের উপর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরোর মূল্য এখনো সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে—তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত ও কম দৃশ্যমান। সারাদিনে একমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি করতে পারে, তবে সেটিও কেবল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যায়? সর্বোচ্চ ২০–৩০ পিপসের মুভমেন্ট? এমনকি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া এখনো অন্য কোনো মৌলিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা স্থগিত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লে ডলারের দরপতন হতে পারে, অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এটিকে এখনই 'বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন' বলা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি, তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাম্প জানেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে নতুন করে আগ্রাসী পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা কম। গত বুধবার আমরা দেখেছি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আজ সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে কিছুটা "ডোভিশ" না নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, তবে আমাদের মতে ফেড এখনো মূলত মুদ্রাস্ফীতির দিকেই নজর রাখছে। তাই তাদের অবস্থানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না। তবুও, যদি নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তাহলে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরো এখনো সাইডওয়েজ ট্রেডিং করছে, যদিও 1.1275 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এখনো কিছুটা বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও, কার্যত এখনো রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেবল সন্ধ্যার FOMC-এর বৈঠক থেকে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটিও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হচ্ছে না।
-
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে প্রস্তুত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1351343408.jpg[/IMG]
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আজ 0.25 পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং জুনে আরও একবার সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এটি ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো পরপর দুইবার সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, কারণ মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। চার্টে দেখা যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ পাউন্ড যথেষ্ট নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন যে যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারকেরা মূল সুদের হার ৪.৫০% থেকে ৪.২৫%-এ নামিয়ে আনবেন, এবং মুদ্রানীতি কমিটির নয়জন সদস্যের মধ্যে অন্তত একজন সুদের হার 0.50 পয়েন্ট কমানোর পক্ষে ভোট দিতে পারেন। ফিউচার মার্কেটেও সুদের হার 0.25 কমানোর সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা হয়েছে এবং পরবর্তী বৈঠকে আরেকবার সুদের হার কমানোর ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মনে রাখা দরকার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু করে তিনবার সুদের হার কমিয়েছে এবং ট্রাম্পের শুল্কনীতির ঝুঁকি এবং মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বগতির কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে তা অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে, এখন যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এখন অর্থনীতিকে সমর্থন দেওয়াই শ্রেয়, অপেক্ষা না করে ভবিষ্যতে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের অনিশ্চিত প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়াই উচিত। এই সিদ্ধান্ত পাউন্ডের ওপর অবশ্যই প্রভাব ফেলবে এবং স্বল্পমেয়াদে কিছুটা ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া, এটি অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে অনুপ্রাণিত করতে পারে যাতে তারা বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে তাদের অর্থনীতিকে সহায়তা করতে একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। তবে, এটা জানা জরুরি যে সুদের হার কমানো কোনো সর্বজনীন সমাধান নয়। এর কার্যকারিতা অনেকাংশেই নির্ভর করে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের আগ্রহ এবং ভোক্তাদের খরচের প্রস্তুতির উপর। যদি অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকে, তাহলে সুদের হার কমিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো সম্ভব নাও হতে পারে। যদিও আজকের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবুও কিছু সদস্য আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। এটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের প্রতি শক্তিশালী সমর্থনের সংকেত দেবে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য স্বাতী ধিংরা, অ্যালান টেইলর এবং ক্যাথরিন ম্যান এর আগে অস্বাভাবিকভাবে সুদের হার 0.50 পয়েন্ট হ্রাসের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তবে সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে যুক্ত হন। পরবর্তী দিকনির্দেশনার ক্ষেত্রে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ফেব্রুয়ারির পর থেকে তাদের পূর্বাভাস পরিবর্তন করেনি, যখন তারা বিনিয়োগকারীদের সতর্ক এবং ধীরগতিতে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা করতে বলেছিল। "সতর্কতা" শব্দটি যুক্ত করা হয়েছিল, যাতে কমিটি ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রভাব মূল্যায়নের জন্য সময় পায়। যদি আজকের বিবৃতে থেকে সেই শব্দটি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঝুঁকি বেশি—যা আবারও ইঙ্গিত দেবে যে সুদের হার কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এই পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা সংকেত, এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে মূল্যকে 1.3365 এর নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা 1.3399 লেভেলের দিকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারবে, যেটি ব্রেকআউট করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়া কঠিন হতে পারে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3437 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্যকে 1.3285 লেভেল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে 1.3260 এর নিম্ন লেভেল এবং সম্ভবত 1.3235 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3F5ouW3