-
-
GBP/USD: ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৯ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2144193615.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2980 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। এছাড়াও, আমি মার্কেটে এন্ট্রির জন্য অন্য কোনো এন্ট্রি পয়েন্টও খুঁজে পাইনি। গতকাল, পাউন্ডের মূল্য মাসিক সর্বোচ্চ 1.30 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছিল, যা যুক্তরাজ্য থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এবং এই পেয়ারের মূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে ঘটেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ নীতিমালা নিয়ে ট্রেডারদের আশাবাদ এই মূল্য বৃদ্ধিকে সমর্থন যুগিয়েছে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির স্থায়িত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন রয়েছে, বিশেষ করে আজকের ফেডারেল রিজার্ভ বৈঠকের আগে। ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতা মূলত কয়েকটি উপাদানের ওপর নির্ভর করবে, যার মধ্যে অন্যতম এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই দিনের প্রথমার্ধে পাউন্ডের মূল্য পুনরায় সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেল টেস্ট করার চেষ্টা করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3020-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2991-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3020-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2975-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2991 এবং 1.3020-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2975-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল টেস্ট করার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2945-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2991-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2975 এবং 1.2945-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২০ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1740319407.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। তবে, সন্ধ্যার দিকে গঠিত দুটি সিগন্যাল স্পষ্ট কারণবশত উপেক্ষা করা উচিত ছিল। এতে 1.2980-1.2993 এরিয়ায় দুটি সেল সিগন্যাল ছিল। উভয় ক্ষেত্রেই, এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপসও কমেনি। এই সিগন্যালগুলো ছিল একই ধরনের, অর্থাৎ নতুন ট্রেডাররা কেবল একটি শর্ট পজিশনে এন্ট্রি করতে পারত। এমনকি সেই ট্রেডও মুনাফার সাথে ক্লোজ করা যেত, কারণ দিনের বাকি সময় এই পেয়ারের মূল্য এন্ট্রি পয়েন্টের নিচেই ছিল। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, ইতোমধ্যেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ এটি প্রতিরোধ করে চলেছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনও 1.1800-এর দিকে GBP/USD-এর দরপতনের প্রত্যাশা করছি। তবে, ট্রাম্পের নীতিমালা ডলারকে কতদিন দুর্বল করে রাখবে তা অনিশ্চিত। এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। আপাতত, দীর্ঘমেয়াদে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অযৌক্তিক ছিল না, তবে এটি খুব বেশি শক্তিশালী ও অপ্রত্যাশিত ছিল। বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যত আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেদাররা এখন ডলার বিক্রি করার জন্য কোনো কারণের প্রয়োজন মনে করছে না। তবে, আমরা একটি নিম্নমুখী কারেকশনেরও প্রত্যাশা করছি।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমের গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধান ইভেন্ট হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক ও গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে এবং বেকারত্ব ও মজুরি বৃদ্ধির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। নির্ধারিত ইভেন্টগুলোর কারণে, মার্কেটে উচ্চ মাত্রার অস্থিরতার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, আমরা মনে করি যে যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল দীর্ঘমেয়াদে পাউন্ডকে সমর্থন করার সম্ভাবনা কম।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২১ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/42206259.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2965 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণেই, আমি পাউন্ড ক্রয় করিনি। মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠকের পরে, যেখানে ৮-১ ভোটে মূল সুদের হার 4.5%-এ অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে মত দেয়া হয়, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, পূর্বে যারা আরও ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতির পক্ষে ছিলেন, তারাও এবার সুদের হার কমানোর পক্ষে কোনো আহ্বান জানাননি, এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি তার সহকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। এই প্রেক্ষাপটে, পাউন্ডের উপর পুনরায় চাপ সৃষ্টি হয় এবং এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত থাকে। জাতীয় অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও সতর্ক অবস্থানের তুলনায় বেশি প্রভাব বিস্তার করে। আজ, যুক্তরাজ্যের নেট পাবলিক সেক্টর ঋণ এবং কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (CBI) থেকে প্রকাশিত শিল্প আদেশ সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জাতীয় অর্থনীতির অবস্থা প্রতিফলিত করে এমন এই ধরনের অর্থনৈতিক সূচক সাধারণত মুদ্রার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হয়, তবে এটি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করতে পারে। দুর্বল ঋণ এবং শিল্প আদেশের তথ্য পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত বাই সিগন্যাল এবং সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবো। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3004-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2947-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3004-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2913-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2947 এবং 1.3004-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2913-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2865-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2947-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2913 এবং 1.2865-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1369102970.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে, 1.2913 লেভেল থেকে একটি বাউন্স দেখা যায় এবং পেয়ারটির মূল্য প্রায় ৫০ পিপস ঊর্ধ্বমুখী হয়। দুর্ভাগ্যবশত, সবচেয়ে নিকটতম টার্গেট থেকে মাত্র ৭ পিপস দূরে এসে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যায়, তাই ট্রেডটি টেক প্রফিটের সাথে ক্লোজ করা সম্ভব হয়নি। এরপর আবারও 1.2913 থেকে একটি বাউন্স দেখা যায়, এবং তারপর মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে যায়। টেকনিক্যালি, সব সিগন্যালই ভুল ছিল, কারণ কোনো সিগন্যালেই মূল্য টার্গেট লেভেলে পৌঁছায়নি। তবে কোন লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না, কারণ প্রতিবারই মূল্য অন্তত ২০ পিপস সঠিক দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। তৃতীয় সিগন্যালটি উপেক্ষা করাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত ছিল। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্পের কার্যকলাপ সেটিকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা এখনো মধ্যমেয়াদে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, তবে ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রভাবে ডলারের এই দরপতন আর কতদিন স্থায়ী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার পরিবর্তিত হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এখনো নিম্নমুখী প্রবণতাই বিরাজ করছে। পাউন্ডের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পেছনে কারণ থাকলেও, আবারও অতিরিক্ত ও অযৌক্তিকভাবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ ঘণ্টাভিত্তিক চার্টের টেকনিক্যাল স্ট্রাকচার এই সম্ভাবনাকেই সমর্থন করছে। পাউন্ড আবারও অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে দামী হয়ে উঠেছে। ৫ মিনিটের চার্টে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই এবং যুক্তরাষ্ট্রে কেবল নিউ হোম সেলস বা নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের উপর সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম থাকবে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ মার্চ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/179830119.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2875 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি এবং কোনো ট্রেডও করিনি। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি হ্রাস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ি আমদানির ওপর 25% শুল্ক আরোপের ঘোষণার ফলে পাউন্ডের দরপতন ঘটে। যদিও এই পদক্ষেপকে মার্কিন শিল্প ও কর্মসংস্থানের জন্য ইতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তবে বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে এটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এর ফলে সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের ওপর চাপ সৃষ্টি হয় এবং পাউন্ডের মূল্যও হ্রাস পায়। আজ দিনের প্রথমার্ধে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের MPC সদস্য স্বাতি ধিংগ্রার বক্তব্য দেবেন। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এবং ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির বিষয়ে তিনি কী মন্তব্য করেন, ট্রেডাররা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, বিশেষ করে যেহেতু আজ যুক্তরাজ্য থেকে অন্য কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। মূল্যস্ফীতির চাপ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কী ভাবছে, তা নিয়ে ধিংগ্রা মন্তব্য করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে গতকাল মূল্যস্ফীতি হ্রাসের প্রেক্ষাপটে সুদের হারের পরিবর্তন সংক্রান্ত যেকোনো ইঙ্গিত ট্রেডাররা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2961-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2929-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2961-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2905-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2929 এবং 1.2961-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2905-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2875-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2929-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2905 এবং 1.2875-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
৯ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/299078490.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। সারাদিন ধরে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়নি, তবে সন্ধ্যায় চীনের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা আসে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূচনা করে। পাউন্ডের 500 পিপস দরপতনের পর এখনই ধরে নেওয়ার সময় আসেনি যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। ট্রাম্প চাইলে এই পুরো পরিস্থিতি খুব সহজেই "মেরামত" করতে পারেন। তিনি আর কতদূর যেতে পারেন এই মুহূর্তে আমরা সেটি কল্পনা করতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছি! কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাও এখন একধরনের আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়েছে। যেখানে আগে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেশটির অর্থনীতির অংশ হতে চাইতেন, এখন অনেকেই সেই দেশ থেকে দূরে থাকতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে; আমাদের দৃষ্টিতে সেটিই হয়তো সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি নয়। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পরিণতি নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা না করে ট্রাম্প 'সর্বশক্তি' নিয়ে মাঠে নেমেছেন—আর গলফ ক্লাবে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করছেন। সংক্ষেপে, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে এবং বাণিজ্যযুদ্ধ আরও জটিল আকার ধারণ করছে। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5 মিনিট টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার কমপক্ষে তিনটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। 1.2791–1.2798 জোন থেকে মূল্য দুইবার বাউন্স করেছে এবং 1.2723 লেভেল থেকে একবার বাউন্স করেছে। তিনটির মধ্যে দুটি ট্রেডেই মূল্য টার্গেট লেভেলে পৌঁছেছিল। তৃতীয় ট্রেডটি সম্ভবত স্টপ লসের মাধ্যমে ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে, তুলনামূলকভাবে সীমিত দৈনিক মুভমেন্ট থেকেও মঙ্গলবার 70–80 পিপস পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব ছিল। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: 1 ঘণ্টার টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনও ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমরা আর দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করছি না। শুক্রবার এই পেয়ারের যে বড় ধরনের দরপতন দেখা গেছে, তা একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশনের সূচনা হতে পারে। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করছে। একবার ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণার কথা বললেই ডলার আবারও দরপতনের শিকার হচ্ছে। আর এখনো কেউ যদি মনে করে এটিই ডলারের শেষ দরপতন—তাহলে তারা সত্যিই খুব আশাবাদী! বুধবার GBP/USD পেয়ারে মূল্যের অস্থিরতা এবং ঝড়ো মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। আজ পাউন্ড ও ডলারের মূল্যের দিকনির্দেশনা কী হবে, তা পূর্বাভাস দেওয়া প্রায় অসম্ভব। আপাতত যুক্তিসঙ্গতভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রয়েছে এবং এই প্রবণতা সারাদিন ধরে অব্যাহত থাকতে পারে। 5 মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3225, 1.3272। বুধবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোন দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে নিশ্চিতভাবেই দিনব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা সামনে আসতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা উচ্চ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং মার্কিন ডলারের আরেক দফা দরপতনের সম্ভাবনাও যথেষ্ট প্রবল।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/742388973.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2803 এর লেভেল টেস্ট করে—যা পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপসের বেশি কমে যায়। FOMC-এর সাম্প্রতিক বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হলেও মার্কেটে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যত সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে বিরতি আসবে বলে মূল্যায়ন করে নিয়েছে। বরং, পাউন্ডের ওপর চাপ এসেছে ট্রাম্পের ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত করার ঘোষণার প্রেক্ষিতে। আজ এই পেয়ারের মূল্যের আরও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা যেতে পারে, কারণ যুক্তরাজ্য থেকে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত সতর্ক অবস্থানে থাকবে, যেটি ফেডের আর্থিক নীতিমালা নির্ধারণে প্রভাব ফেলবে। তবে, স্থানীয় কিছু বিষয়ও বিবেচনায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতা, যেটি মাঝে মাঝেই সামনে আসে, সেটিও বিবেচনায় রাখতে হবে। যুক্তরাজ্য থেকে কোন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ার কথা থাকায় পাউন্ডের ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ার পরিবর্তে তারা সহায়তা পেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2956-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2887-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2956-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। চলমান কারেকশনের সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2838-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2887 এবং 1.2956-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2838এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2764-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে—যতটা সম্ভব উচ্চ মূল্যে শর্ট পজিশনে এন্ট্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2887-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2838 এবং 1.2764-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
১১ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/531968341.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট গত ২৪ ঘণ্টায় GBP/USD পেয়ারের মূল্য 170 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকে। কয়েক দিন আগেই আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে, তবে এটাও বলেছিলাম যে এটি খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। যেমনটা দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প চীনের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করার ডলার আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে। পূর্বেই বলা হয়েছে, ডলারের দরপতন অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলতে পারে কারণ ট্রাম্প চীন ও অন্যান্য দেশের ওপর অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করতে পারেন। হায়ার টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্রও এখন উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে শুরু করেছে, তাই বর্তমানে এসব বিশ্লেষণের গুরুত্ব তুলনামূলকভাবে কম। আমাদের আগে ট্রাম্পের শুল্ক বাস্তবায়নের সময়কাল পার করতে হবে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে, তখন আমরা হায়ার টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল অবস্থা নতুন করে মূল্যায়ন করতে পারবো এবং উপসংহার টানতে পারবো।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/428774995.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যদিও পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট ইউরোর তুলনায় ততটা শক্তিশালী ছিল না। ফলে নতুন ট্রেডারদের লাভ ইউরোর মতো বেশি না হলেও, কিছুটা আয়ের সুযোগ অবশ্যই ছিল। আজ ট্রাম্পের জন্য একটি নতুন দিন—মানে, আমরাও নতুন নতুন সুযোগ পেতে পারি।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ১ ঘণ্টার চার্টে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ট্রাম্প এখনো ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরুর পর থেকেই আমরা দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেওয়া থেকে বিরত রয়েছি। শুক্রবার এই পেয়ারের তীব্র দরপতন দেখা গিয়েছিল, যা একটি বড় কারেকশনের সূচনা হতে পারে। তবে মার্কেট এখনো ট্রাম্প এবং তার সিদ্ধান্তের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণা করলেই ডলার পুনরায় দরপতনের শিকার হয়। শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বজায় থাকতে পারে। আজ পাউন্ড এবং ডলারের মূল্য কোন দিকে যাবে সে পূর্বাভাস দেওয়া কার্যত অসম্ভব। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাই এখন পর্যন্ত যথার্থ বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু বেইজিং অথবা ওয়াশিংটন থেকে আজ কী ধরনের খবর আসবে, তা কেউ জানে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য যেসব লেভেল ব্যবহার করা যেতে পারে: 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3225, 1.3272। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে আমরা মনে করছি না যে মার্কেটের ট্রেডাররা সেগুলোতে খুব একটা মনোযোগ দেবে। আর মনোযোগ দিলেও, এগুলোর বাস্তব কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৫ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/656601702.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3154 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। আমি অন্য কোনো কার্যকর এন্ট্রি পয়েন্টও খুঁজে পাইনি। গতকাল যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন না আসায়, দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য যে দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছিল, সেটিই বজায় রয়েছে। তবে আজকের পরিস্থিতি অনেক বেশি জটিল হতে পারে। GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রয়োজন। যদি এই সূচকগুলোর যেকোনো একটির ফলাফল হতাশাজনক হয়, তবে সেটি ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাজ্যে জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা জাতীয় শ্রমবাজারের স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেটি কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়, যা পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে। বেকারত্বের হার — অর্থাৎ শ্রমশক্তিতে থাকা মোট বেকার মানুষের শতাংশ — দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার আরেকটি মূল নির্দেশক। উচ্চ বেকারত্বের হার অর্থনৈতিক মন্দা, ভোক্তা ব্যয়ের নিম্নগতি এবং সামাজিক অস্থিরতা নির্দেশ করতে পারে। অন্যদিকে, বেকারত্বের হার কম হলে মজুরি বৃদ্ধি পায় এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেতে পারে। গড় আয় বৃদ্ধির হার কর্মীদের উপার্জনে পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরে। গড় মজুরি বৃদ্ধি উচ্চ উৎপাদনশীলতা, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণ হতে পারে। গড় মজুরি কমে গেলে সেটিও পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে। যদি ট্রেডাররা নেতিবাচক ফলাফল উপেক্ষা করে, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3288-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3225-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3288-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3190-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3225 এবং 1.3288-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3190-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3135-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3225-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3190 এবং 1.3135-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৬ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/830082197.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের উপরে উঠা শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3238 এর লেভেল টেস্ট করে — যা চলমান প্রবণতা অনুযায়ী পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকেনি এবং এর ফলে লোকসানের সাথে ট্রেডটি ক্লোজ হয়। গতকালের যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেকারভাতার আবেদন প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে এবং এর সঙ্গে সঙ্গে গড় মজুরিও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এই পরস্পরবিরোধী ফলাফল শুরুতে ট্রেডারদের মধ্যে দ্বিধা সৃষ্টি করলেও, পরে তারা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ডোভিশ বা নমনীয় আর্থিক নীতিমালার দিকেই মনোযোগ দেয়— ব্যাংকটির কর্মকর্তাগণ একই অবস্থান বজায় রাখতে চায়, কারণ দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। আজ যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং কোর ইনফ্লেশন সম্পর্কিত নতুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এখন মুদ্রাস্ফীতি স্থায়ী হওয়ার যেকোনো সংকেত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড তাদের পরবর্তী বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে পারে। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মিশ্র বা হতাশাজনক হয়, তাহলে পাউন্ডের মূল্যবৃদ্ধি স্বল্পস্থায়ী হতে পারে। কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তনের ইঙ্গিতেও সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া জানায়। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3355-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3297-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3355-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3252-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3297 এবং 1.3355-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3252-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3196-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3297-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3252 এবং 1.3196-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৭ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1047528393.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3257 এর লেভেল টেস্ট করেছিল—যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। কিছুক্ষণ পরেই 1.3257 লেভেলের আবারও টেস্ট হয়, এবং সেই সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যার ফলে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। তবে, এই পেয়ারের মূল্যের বড় ধরনের কোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়নি। গতকাল জেরোম পাওয়েল মন্তব্য করেছেন যে ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিমালার পরিণাম ফেডের লক্ষ্য অর্জনে বিলম্ব সৃষ্টি করতে পারে—যা পাউন্ডের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ডলারের প্রতি আগ্রহ আবারও বৃদ্ধি পায়। তিনি আরও বলেছেন, এই বছর আবারও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা খুব একটা নেই এবং ভবিষ্যতে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনাও তিনি একেবারে উড়িয়ে দেননি। তবে, কিছু অর্থনীতিবিদ মনে করছেন ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা স্বল্পমেয়াদে কিছু ঝুঁকি তৈরি করলেও দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও বর্তমানে যে অনিশ্চয়তা ও জটিলতা বিরাজ করছে, সেই প্রেক্ষাপটে ফেড আরও নমনীয় নীতিমালা গ্রহণ করতে পারবে না—যা আপাতত ব্রিটিশ পাউন্ডের পক্ষে কাজ করছে। যেহেতু আজ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, সেক্ষেত্রে যদি এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী কারেকশন হয়, তাহলে GBP/USD পেয়ারের মার্কেটে বড় ক্রেতারা আবারও সক্রিয় হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3271-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3230-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3271-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3203-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3230 এবং 1.3271-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3203-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3171-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3203-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3230 এবং 1.3171-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৮ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1433128561.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ ওপরে অবস্থান করছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3249 লেভেল টেস্ট করে—যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড ক্রয় করিনি। দীর্ঘ একটি বিরতির পর আবারও 1.3249 লেভেল টেস্ট হয়। ঠিক সেই মুহূর্তে MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে যাওয়া শুরু করছিল, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস বা বেকারভাতার আবেদনের সংখ্যা প্রত্যাশার তুলনায় ধীরগতিতে বেড়েছে এবং বিল্ডিং পারমিট বা নির্মাণ অনুমোদনের শক্তিশালী পরিসংখ্যানও GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল এবং মূল্য আবারও মাসিক সর্বোচ্চ লেভেলে ফিরে আসে। এটি ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের স্পষ্ট বুলিশ প্রবণতা নির্দেশ করে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক থেকে উদ্ভূত ভূরাজনৈতিক ঝুঁকির প্রেক্ষাপটে পাউন্ডকে একটি অপেক্ষাকৃত আকর্ষণীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তাই পাউন্ডের ক্রেতাদের সামনে সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেল আপডেট করার সুযোগ থাকতে পারে। যদিও টেকনিক্যাল চিত্র এই সম্ভাবনাকে সমর্থন করছে, তবুও সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেলে উল্লেখযোগ্য রেজিস্ট্যান্স রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কিছুটা বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এই লেভেল ব্রেক করতে হলে একটি শক্তিশালী মৌলিক অনুঘটকের প্রয়োজন হবে, যা বর্তমানে অনুপস্থিত। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3326-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3279-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3326-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3254-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3279 এবং 1.3326-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3254-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3209-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3279-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3254 এবং 1.3209-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২১ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/143183034.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ ওপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3268 এর লেভেল টেস্ট ঘটেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণেই আমি পাউন্ড কিনিনি। আজ মার্কিন ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়েছে, এর পেছনে দুটি মূল কারণ রয়েছে—চীনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোন ধরনের ছাড় না দেওয়ার খবর এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অসন্তোষের কারণে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে পদচ্যুত করার সম্ভাবনা। ফেডের নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। পাওয়েলের সম্ভাব্য পদত্যাগ নিয়ে গুঞ্জন ফেডের স্বাধীনতা ও স্থিতিশীল আর্থিক নীতিনির্ধারণ করার সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই দুইটি বিষয় মার্কিন মুদ্রার জন্য নেতিবাচক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, যার ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহে ডলারের আরও দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—বিশেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে এবং ফেড নেতৃত্বের বিষয়টি অমীমাংসিত থাকে। যেহেতু আজ যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই, তাই বর্তমানে মার্কেটে ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করে তেমন কোনো লাভ করা যাবে না। মার্কেটের ট্রেডাররা যুক্তরাজ্য থেকে প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন ছাড়া বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিরুদ্ধে ট্রেড করতে চাইবে না, ফলে বিক্রেতারা মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় চাপ সৃষ্টি করতে পারবে না। উপরন্তু, যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কোনো নেতিবাচক ফলাফল না থাকায়, এটি পরোক্ষভাবে পাউন্ডের মূল্যের স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করতে পারে। স্পষ্ট কোনো হতাশার কারণ না থাকায়, বিনিয়োগকারীরা পাউন্ড বিক্রি করতে চাইছে না, যাতে ভবিষ্যতের ইতিবাচক কোনো খবরে লাভের সুযোগ না হারিয়ে যায়। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3446-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3399-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3446-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। আজ এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3356-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3399 এবং 1.3446-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3356-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3304-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3399-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3356 এবং 1.3304-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২২ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1795977515.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার পুরো দিনজুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় ছিল। সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র—কোন দেশ থেকেই উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না, এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পও নতুন করে কোনো শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত ছিলেন। তবুও, বিশ্ববাজারে সামগ্রিকভাবে এখনও মার্কিন ডলারের প্রতি তীব্র নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। ফলে, আমরা মার্কেটে ট্রেডিং শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ডলারের আরেকটি দরপতনের আশা করিনি, তবে আবারও বলি, এখন এই ধরনের পরিস্থিতি আর অবাক করার মতো কোন বিষয় নয়। মার্কিন ডলার টানা দুই মাস ধরে (মোট তিন মাস) অবিরাম দরপতনের শিকার হচ্ছে। নতুন দিন শুরু হয়েছে ডলারের আরেকটি দরপতনের মাধ্যমে—আবারও রাতে দরপতন হয়েছে। এই মুহূর্তে, মার্কিন মুদ্রার কোনো সুযোগই নেই। এটির দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সেরা সিগন্যালটি রাতের বেলা দেখা যায়। মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার সাথে সাথে 1.3272 লেভেল থেকে মূল্য বাউন্স করে কমপক্ষে 140 পিপস পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে এই সিগন্যাল থেকে লাভ নেওয়া কঠিন ছিল, কারণ এটি রাতের বেলা পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় বাই সিগন্যালটি 1.3365 লেভেলের কাছে গঠিত হয়, যা নিয়ে কাজ করা তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল, যদিও এর পরে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যায়নি। তৃতীয় সিগন্যালটি আবারও একই 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি তৈরি হয় রাতের শেষ দিকে। তারপর, মূল্য আবারও 1.3365 থেকে বাউন্স করে এবং রাতে ভালো রকমের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখায়।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও পুরোপুরিভাবে ট্রাম্পের পদক্ষেপের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আছে। ফলে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকছে। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনও সম্পূর্ণভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল—আর কিছুই নয়। মঙ্গলবার আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হতে পারে, যদিও এর পেছনে কোনো স্থানীয় কারণ নেই। ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপে তাড়াহুড়া করছেন না, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমছে, এবং ব্রিটিশ অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তবুও, ট্রেডাররা আপাতত এসব কিছুই গুরুত্ব দিচ্ছে না। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলো ব্যবহার করে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3272, 1.3365, 1.3428–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। তবুও, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ এপ্রিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1147443738.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3356 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড বিক্রির জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 30 পিপসের বেশি কমেছে। গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তিনি চীনের ওপর আরোপিত শুল্ক কমাতে প্রস্তুত এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। এই ঘোষণার ফলে ডলারের তীব্র দর বৃদ্ধি এবং পাউন্ডের দরপতন দেখা গেছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য সম্পর্কে একটি অপ্রত্যাশিত মোড়ের সংকেত দিচ্ছে। তিনি পূর্বে আরোপিত শুল্ক কমানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যা বেইজিংয়ের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব নমনীয় হতে পারে এমন ইঙ্গিত দেয়। পাওয়েল প্রসঙ্গে তার দ্বিতীয় মন্তব্যও মার্কেটের গতিশীলতায় প্রভাব ফেলেছে। ফেডের চেয়ারম্যানকে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর রাজনৈতিক চাপ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছে। আজ যুক্তরাজ্যের উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতের PMI সূচকগুলোর মিশ্র ফলাফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত পরিষেবা খাতের ফলাফলের দিকেই ট্রেডাররা দৃষ্টি দেবে। এই খাতে উল্লেখযোগ্য অবনতি হলে পাউন্ডের আরও দরপতন ঘটতে পারে। এর পাশাপাশি, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্যটি মার্কেটের ট্রেডাররা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীরা সতর্কভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে যেকোনো সংকেতের জন্য অপেক্ষা করছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে পরিষেবা খাতের পরিস্থিতির ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত দিকনির্দেশনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে। পরিষেবা খাতের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, যা পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3360-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3325-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3360-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র PMI সূচকের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3295-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3325 এবং 1.3360-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3295-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3239-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3325-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3295 এবং 1.3239-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৫ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/450728311.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ ওপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3322 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি পাউন্ড ক্রয় করিনি। মূল্য 1.3295 এর লেভেল ব্রেক করে নিচে নামার পরে এই পেয়ার বিক্রির জন্য অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গতকাল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি ঘটাতে পারেনি। বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত ইতোমধ্যে এই ইতিবাচক সংকেত মূল্যায়ন করেছে এবং এখন ফেডারেল রিজার্ভের আরও সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে। যদি ফেড নমনীয় নীতিমালার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার প্রস্তুতি নিশ্চিত করে, তাহলে ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে, তাই ইতিবাচক ফলাফল সত্ত্বেও ডলার দুর্বল হওয়ার বিষয়টি বিস্ময়কর নয়। আজ যুক্তরাজ্যে মার্চ মাসের খুচরা বিক্রয় (রিটেইল সেলস) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটিতে জ্বালানি ব্যয় সমন্বয় করা হয়। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল আসে, তাহলে আবারও GBP/USD পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে। খুচরা বিক্রয় ভোক্তা চাহিদা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। খুচরা বিক্রয়ের পতন অর্থনৈতিক দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয় এবং এর ফলে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর গতি ত্বরান্বিত হতে পারে—যা ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য নেতিবাচক। GBP/USD পেয়ারের ওপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে। খুচরা বিক্রয়ের প্রতিবেদনের ফলাফল বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির প্রত্যাশা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করতে পারে, যা পাউন্ডের চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা তৈরি করতে পারে, ফলে GBP/USD পেয়ারের দরপতন ঘটতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3329-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3292-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3329-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3271-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3292 এবং 1.3329-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3271-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3240-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ার বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3292-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3271 এবং 1.3240-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২৮ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1396856274.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ইউরোর মতোই, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও বেশ ছোট একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়ে গেছে। তবে, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের এখনো সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। পাউন্ডের মূল্য ডলারের বিপরীতে চমৎকার স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে এবং খুব কমই মার্কিন মুদ্রার বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়েছে। গত সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়জুড়ে আমরা এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখেতে পেয়েছি। ট্রাম্প এক সপ্তাহ ধরে নতুন করে শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা থেকে বিরত ছিলেন, এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বা টেকসই পণ্যের অর্ডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটে তেমন আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারেনি। তাই, পরবর্তী মুভমেন্ট তখনই প্রত্যাশিত হতে পারে, যখন ট্রাম্প মার্কেটে নতুন কোনো বোমা ফেলবেন। সম্প্রতি, ট্রাম্প চীনের প্রতি তার অবস্থান নমনীয় করেছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্ক চমৎকার হবে এবং অবশ্যই একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হবে। তবে, একই সাথে চীন জানিয়েছে যে তারা ট্রাম্পের সাথে কোনো আলোচনায় এখনও যোগ দেয়নি।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবল ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে, তাই পাউন্ডের মূল্য স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। তাই, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। ভবিষ্যতে হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট পরিবর্তিত হতে পারে, তবে বর্তমানে এমন কোনো লক্ষণ নেই। সোমবারে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও এই প্রবণতা দেখিয়েছে যে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ডলার কিনতে প্রস্তুত নয়। তাই, এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ বা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য উপযুক্ত লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবারে যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তাই, আজ প্রবণতাভিত্তিক শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করা উচিত হবে না। তবে, মনে রাখতে হবে যে ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে মার্কেটে মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেন।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ এপ্রিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/295849922.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3352 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়েছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। 1.3404 লেভেলে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রি করে প্রায় 15 পিপস লাভ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার আরও কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই, যা পাউন্ড স্টার্লিংকে সমর্থন করছে এবং মার্কিন ডলারের বিপরীতে এর মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। ভূরাজনৈতিক প্রভাবকেও অবমূল্যায়ন করা কঠিন, এবং বাণিজ্য সংঘাতের সমাধানের দিকে যেকোনো ইতিবাচক অগ্রগতি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের প্রতি আগ্রহকে আরও উদ্দীপিত করতে থাকবে, যার মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডও রয়েছে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই এখন ট্রেডারদের দৃষ্টি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মার্কেটস এবং ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি গভর্নর স্যার ডেভিড র্যামসডেনের বক্তব্যের দিকে থাকবে। তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ মনোভাব—বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার বিষয়ে—কিছুটা আলোকপাত করা হতে পারে। যেহেতু মুদ্রাস্ফীতি সক্রিয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে, তাই সুদের হার কমানোর কারণগুলোও ধীরে ধীরে কমে আসছে। ফলে, মার্কেটের ট্রেডাররা এখন র্যামসডেনের বক্তব্যের মধ্যে আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের যেকোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিতের সন্ধান করবে। বিনিয়োগকারীরা লক্ষ্য রাখবে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার ঝুঁকিকে কতটা গুরুতরভাবে দেখছে এবং অর্থনীতিকে সমর্থন করতে আর্থিক চাপ কমাতে প্রস্তুত কিনা।র্যামসডেনের কাছ থেকে ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা সংক্রান্ত যেকোনো মন্তব্যের দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া হবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3486-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3424-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3486-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র র্যামসডেন সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3383-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3424 এবং 1.3486-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3383-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3334-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। শুধুমাত্র র্যামসডেন ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করলে এই পেয়ার বিক্রি করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3424-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3383 এবং 1.3334-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
৩০ এপ্রিল কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1519565590.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবারের আরেকটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের পর মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য কারেকশন করে নিম্নমুখী হয়েছে। সোমবার বা মঙ্গলবার — কোনো দিনেই এই ধরনের মুভমেন্টকে সমর্থন দেয়ার মতো কোনো মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও উল্লেখযোগ্য কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে এখানে মনে রাখার বিষয় হচ্ছে, ডলার বিক্রির যৌক্তিকতা দিতে মার্কেটের ট্রেডারদের এখন আর কোনো খবরের প্রয়োজন হচ্ছে না। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং সদ্য পুনর্নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাণিজ্য নীতিমালাই মার্কিন ডলারের ধারাবাহিক দরপতনের জন্য যথেষ্ট কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রেডাররা এখন আর নিয়মিত সামষ্টিক প্রেক্ষাপটের দিকেও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। মৌলিক অনুঘটক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালাও উপেক্ষিত হচ্ছে। এইবার, 1.3440 লেভেল এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা থামিয়ে দিয়েছে, তবে এখন কেউ কি সত্যিই শক্তিশালী ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে বাজি ধরবেন?
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট মঙ্গলবার, ইউরোর মতোই 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে পাউন্ডের চারটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। পাউন্ডের মূল্য 1.3421–1.3440 এরিয়া থেকে চারবার বাউন্স করলেও কখনোই নিকটতম টার্গেট লেভেল 1.3365 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। ফলে, নতুন ট্রেডাররা সারাদিন জুড়ে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়েও শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। তবে, শুধুমাত্র ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করার মাধ্যমে মুনাফা করা গেছে। বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে। এর ফলে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। অর্থাৎ, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে — এবং অন্য কিছু এতে প্রভাব ফেলছে না। ভবিষ্যতে হয়তো মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাব পরিবর্তিত হতে পারে, তবে এখনো এর কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য কিছুটা রিট্রেস করে নিম্নমুখী হতে পারে, তবে যদি পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি অকারণ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়, তাহলেও তা অবাক করার মতো কিছু হবে না। এখন পুরোপুরিভাবে টেকনিক্যাল ভিত্তিতে ও গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলোর ওপর নির্ভর করে ট্রেডিং করা হচ্ছে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ জিডিপি এবং ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবুও, এই প্রতিবেদনগুলো যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রায় ৯০% উপেক্ষা করছে। প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে — যা ডলার বিক্রির আরেকটি কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ মে (মার্কিন সেশন)
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1520261959.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের প্রথমার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3294 এর লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি। সামনে মার্কিন ননফার্ম পেরোল, বেকারত্বের হার এবং গড় ঘণ্টাভিত্তিক আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সূচকগুলো ঐতিহ্যগতভাবে বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকদের ঘনিষ্ঠ মনোযোগ আকর্ষণ করে, কারণ এগুলো মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির সম্ভাব্য দিক নির্দেশনার মূল সূচক হিসেবে কাজ করে। কৃষি খাত ছাড়া মার্কিন অর্থনীতিতে মোট কতগুলো নতুন চাকরি সৃষ্টি বা হ্রাস পেয়েছে সেটি ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ, ভোক্তা ব্যয়ের বৃদ্ধি এবং সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। তবে, অনেক অর্থনীতিবিদই এই সূচকের পতনের প্রত্যাশা করছেন — যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতির ইঙ্গিত এবং উদ্দীপনামূলক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করতে পারে। বেকারত্বের হার — যা কাজ না থাকা ও সক্রিয়ভাবে চাকরি খুঁজছে এমন শ্রমশক্তির শতাংশ নির্দেশ করে — আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। যেহেতু এই হার এখনো ঐতিহাসিকভাবে নিম্নমুখী স্তরে রয়েছে, তাই এটি স্থিতিশীল থাকলে অন্যান্য প্রতিবেদনের প্রভাবে অস্থিরতা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেলেও পরবর্তী সময়ে মার্কেটকে কিছুটা স্থিতিশীল করতে সহায়তা করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করবো। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3384-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3326-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3384-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3281-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3326 এবং 1.3384-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3281-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3221-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3326-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3281 এবং 1.3221-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
৫ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার অত্যন্ত বিশৃঙ্খলভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এমন মুভমেন্টের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছিল না। শুক্রবার এবং পুরো সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যার কারণে সম্ভবত ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দেখা গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, মার্কিন পরিসংখ্যানের কিছুটা শক্তিশালী ফলাফলই এখন একটি বড় অর্জন হিসেবে ধরা হচ্ছে। বেকারত্বের হার না বাড়ায় এবং ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যাওয়ায় ডলার শক্তিশালী হয়েছে। তবে, সামগ্রিকভাবে মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর এই ধরনের ফলাফলকে "অত্যন্ত ইতিবাচক" বলা যায় না, তাই ডলারের মূল্যের উত্থান ছিল অনেকটা টেকনিক্যাল কারণে প্রতিক্রিয়ার ফলাফল। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার এর চেয়েও বেশি শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছিল, যদিও তখনকার সব মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফ স্পষ্টতই দুর্বল ছিল। তাই বলা যায়, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো ডলারকে সহায়তা করছে না — অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মার্কেট ট্রেডারদের দ্বারা উপেক্ষিত হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/555180559.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে শুক্রবার কোনো নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। গত সপ্তাহের শুরুর দিকে নতুন ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির সুযোগ ছিল, কিন্তু শুক্রবার সেরকম কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি। ইউরোপীয় সেশনের সময় স্পষ্ট হয়ে যায় যে 1.3289–1.3297 জোনটি মূল্যের জন্য বাস্তবিক অর্থে কোনো রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করছে না। মার্কিন সেশনে ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, যা আবার নতুন করে একাধিক দিকে মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারত — এবং বাস্তবেও তাই হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1495486182.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে, যার ফলে পাউন্ডের মূল্য এখনো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো সম্পূর্ণভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে — অন্য কিছু নয়। হয়তো ভবিষ্যতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাব প্রতি বদলাবে, তবে এখনো সে রকম কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সোমবার নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক ছিল, এবং ভবিষ্যতে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আরও ভালো হবে এমন আশা করার কোনো কারণ নেই। ডলারের জন্য আপাতত শুধুই টেকনিক্যাল রিবাউন্ডের সুযোগ রয়েছে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলোতে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3289–1.3297, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবার যুক্তরাজ্যে আবারো কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, এবং যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটিকেও খুব সহজেই উপেক্ষা করতে পারে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
-
GBP/USD: পাউন্ড এবং রাজনীতি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1717087383.jpg[/IMG]
গত সপ্তাহে টানা তিন দিনের দরপতনের পর সোমবার পাউন্ডের মূল্যের রিবাউন্ড দেখা যায়। স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে পাউন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে, যেখানে নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টি কনজারভেটিভ ও লেবার উভয় দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে, মার্কিন ডলারের সামগ্রিক শক্তিশালী মুভমেন্টের মধ্যে GBP/USD পেয়ারেরও দরপতন ঘটে, যেখানে অর্থনৈতিক মন্দার ইঙ্গিত উপেক্ষা করে ডলার ঊর্ধ্বমুখী হয়। এপ্রিলের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল এবং চীনের প্রতি ট্রাম্পের অবস্থান নমনীয় করার ফলে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা তৈরি হয় এবং মূল্য সাপ্তাহিক সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছায়। তবে সোমবার এই পেয়ারের ক্রেতারা পুনরায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং মূল্য 1.33 রেঞ্জের মধ্যে ফিরে আসে। এই সপ্তাহে ট্রেডারদের দৃষ্টি ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক (যা ৭ মে শেষ হবে ) এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের (পরদিন সিদ্ধান্ত জানা যাবে) দিকেই থাকবে। বাইরের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রভাবেও মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—বিশেষ করে যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা পুনরায় আলোচনার টেবিলে বসেন। দেখা যাচ্ছে, নাইজেল ফারাজের রাজনৈতিক সাফল্যের প্রভাব থেকে মার্কেট দ্রুত পুনরুদ্ধার করেছে। যদিও তিনি অনেক আসনে জয়ী হয়েছেন এবং যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে শতাব্দীপ্রাচীন দুই দলের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, তবুও ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ছিল সীমিত। রিফর্ম ইউকে স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন অর্জন করেছে। এই অপ্রত্যাশিত ফলাফল অনেক প্রভাবশালী গণ্যমাধ্যমের (যেমন পলিটিকো ও দ্য ইকোনোমিস্ট) দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তারা বলেছে, ফারাজ ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন—এখন এই সম্ভাবনাকে আর রাজনৈতিক কল্পকাহিনি হিসেবে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এইরকম শিরোনামের মাঝেও GBP/USD পেয়ার মাত্র কয়েক ডজন পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি—এবং সেটিই যথার্থই ছিল। প্রথমত, রিফর্ম ইউকে গত সপ্তাহে ছয়টি মেয়র নির্বাচনের মধ্যে মাত্র দুটি জিতেছে। দ্বিতীয়ত, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৯ সালের আগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নেই, তাই ফারাজের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা এখনো অনেক দূরের এবং অনুমাননির্ভর বিষয়। তৃতীয়ত, রিফর্ম ইউকে বাস্তব প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত; তাদের নেতারা যদি নতুন দায়িত্বে ব্যর্থ হন, তাহলে পুরো আন্দোলনের গ্রহণযোগ্যতাই প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। অর্থাৎ, ফারাজের সাফল্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে—বিশেষ করে বৈশ্বিকভাবে ডানপন্থী পপুলিজমের উত্থানকে (যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প, ফ্রান্সে লে পেন, অস্ট্রিয়ায় ফ্রিডম পার্টি, জার্মানিতে AfD) বিবেচনায় নিলে। তবে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে—বিশেষ করে সংসদীয় স্তরে—বড় কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এই কারণেই সোমবার পাউন্ড কিছুটা সমর্থন খুঁজে পায়, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের দুর্বলতার মধ্যে। ডলার সূচক কমে 99.00 লেভেলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যা মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় এবং বুধবারের ফেড সভার আগে ট্রেডারদের অপেক্ষার মনোভাবকে প্রতিফলিত করছে। ফেডের আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা বেশি, এবং তারা হয়তো বর্ধিত মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা (যা ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের মতে 6.5%—যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ) তুলে ধরবে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বৃহস্পতিবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়ে নমনীয় নীতিমালার পথে আরও এক ধাপ এগোতে পারে। এই দুটি পরিস্থিতিই মার্কেটে অনেকটাই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তাই এখন ট্রেডাররা মূলত আগাম দিকনির্দেশনার দিকেই মনোযোগী। রয়টার্স পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, অধিকাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ফেড সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ২৫ পয়েন্টের হারে দুইবার সুদের হার কমাতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ব্যাপারেও একই প্রত্যাশা করা হচ্ছে—এই মাসেই আরও একবার সুদের হার কমানো হতে পারে। এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকগুলোর আগমুহূর্তে GBP/USD ট্রেডাররা পাউন্ড বা ডলারের পক্ষে বড় পজিশন নেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। ফারাজের রাজনৈতিক ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.32-এর মাঝামাঝি লেভেলে নামিয়ে এনেছে, তবে 1.3250–1.3350 রেঞ্জের নিচের সীমার কাছাকাছি লাভ নেওয়া হয়েছে। সোমবার ক্রেতারা পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যকে এই রেঞ্জের উপরের সীমা টেস্ট করার দিকে নিয়ে গেছে, কিন্তু মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে ISM পরিষেবা সূচক 50.2 এর পূর্বাভাস ছাপিয়ে 51.6-এ পৌঁছানোর পর। আমার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, চলমান অনিশ্চয়তা (ফেড ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য আলোচনা) বিবেচনায় GBP/USD পেয়ারটি এই রেঞ্জের মধ্যেই ট্রেড করতে থাকবে। গত তিন সপ্তাহে ক্রেতারা বহুবার এই পেয়ারের মূল্যকে 1.34 লেভেলে নিতে চেয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই মূল্য 1.3250–1.3350 করিডোরে ফিরে এসেছে—যা এই সপ্তাহের বড় ইভেন্টগুলোর আগে এক ধরনের "হোল্ডিং জোন" হিসেবে কাজ করছে।
-
GBP/USD. পাউন্ডের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1242872864.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার ব্যাপক শক্তিশালী হওয়ার কারণে GBP/USD পেয়ারটি আবারও চাপের মুখে পড়েছে। গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মে মাসের বৈঠকের ফলাফল এবং ওয়াশিংটন ও লন্ডনের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণার পর পাউন্ডের মূল্য 1.34 জোনে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় — 1.3401 পর্যন্ত পৌঁছানোর পর পেয়ারটির মূল্য 1.3230–1.3320 রেঞ্জে ফিরে আসে এবং সাইডওয়েজ মুভমেন্টে শুরু যায়। আজ খবর এসেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তিন মাসের জন্য বাণিজ্য যুদ্ধে বিরতি নিতে সম্মত হয়েছে (যেখানে চীন শুল্ক 125% থেকে কমিয়ে 10% এবং যুক্তরাষ্ট্র 145% থেকে কমিয়ে 30% করেছে), যার ফলে মার্কেটে মার্কিন ডলার ব্যাপকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য যুদ্ধে বিরতির বাইরেও আরও কিছু কারণ পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। যদিও মৌলিকভাবে কিছু ইতিবাচক উপাদান পাউন্ডকে সহায়তা করেছে, তবে সেগুলোর ঘাটতি ছিল, যা ক্রেতাদেরকে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি স্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনে বাধা দিয়েছে। যেমন, মার্কেটের ট্রেডাররা শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তির খবরে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরে জানা যায় যে চুক্তিটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর হয়নি—বিস্তারিত বিষয়াবলী এখনো আলোচনাাধীন এবং এটি চূড়ান্ত হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে। তদুপরি, এটি প্রকাশ পেয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ পণ্যের ওপর শুল্ক 10% এর নিচে নামাতে আগ্রহী নয়। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য থেকে গাড়ি আমদানিতে শুল্ক 27% থেকে কমিয়ে 10% করা হতে পারে, তার বেশি নয়। অর্থাৎ, প্রাথমিকভাবে চুক্তিটি যতটা চমকপ্রদভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, বাস্তবে বিষয়টি সেরকম নয়; এটি ছিল কেবল একটি খসড়া মতৈক্য। এই কারণেই GBP/USD পেয়ারের ক্রেতারা মূল্যকে 1.3400 এর ওপরে ধরে রাখতে পারেনি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও মিশ্র বার্তা দিয়েছে—একদিকে তারা ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়েছে, অন্যদিকে তারা পরিষ্কার করে জানি দিয়েছে যে মুদ্রানীতি দ্রুত নমনীয় করা হবে না। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি বলেন, সুদের হার "স্বয়ংক্রিয়ভাবে" নির্ধারিত হয় না। তদ্ব্যতীত, এই বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস 0.75% (ফেব্রুয়ারির পূর্বানুমান) থেকে বাড়িয়ে 1.0% করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল GBP/USD পেয়ারের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোতে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রদর্শিত হয়, তাহলে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের সমাপ্তি হওয়ার প্রেক্ষিতে পাউন্ড সমর্থন পেতে পারে। অন্যদিকে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এই পেয়ারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে। আগামীকাল, ১৩ মে, যুক্তরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটির বেকারত্বের হার 4.5%-এ বেড়ে যেতে পারে। এটি গত চার মাস ধরে 4.4% ছিল, তাই বেকারত্ব সামান্য বৃদ্ধি পেলেও পাউন্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তদুপরি, বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা—এই প্রতিবেদনের আরেকটি উপাদান—পাউন্ডের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই সংখ্যা জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে (জানুয়ারিতে 2.8K, ফেব্রুয়ারিতে 16.5K, মার্চে প্রায় 19K)। বিশ্লেষকরা এপ্রিল মাসে 22.3K-তে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছেন। এতে একটি নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি হতে পারে। এদিকে, মজুরি প্রবৃদ্ধি 5.6% থেকে কমে 5.2%-এ নামতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি আসন্ন প্রতিবেদন সকল উপাদানের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না আসে বা "নেতিবাচক অঞ্চলে" প্রবেশ করে, তাহলে এটি শ্রমবাজারে অস্থিতিশীলতা ও ট্রেডারদের মধ্যে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা আরও বাড়াবে। এর ফলে ব্রিটিশ মুদ্রার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। তবে সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হচ্ছে বৃহস্পতিবার, ১৫ মে প্রকাশিতব্য মার্চ মাসের জিডিপি প্রবৃদ্ধির সংক্রান্ত প্রতিবেদন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, মার্চ মাসে কোনো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়নি (ফেব্রুয়ারির 0.5% বৃদ্ধির তুলনায়)। পাশাপাশি প্রান্তিকভিত্তিক জিডিপি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, 2025-এর প্রথম প্রান্তিক দেশটির জিডিপি 0.6% বাড়বে (2024-এর চতুর্থ প্রান্তিকে 0.1% ছিল), এবং বার্ষিক ভিত্তিতে 1.6% হবে (পূর্ববর্তী ছিল 1.5%)। আবারও বলছি, মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া নির্ভর করবে আসন্ন প্রতিবেদনের "ফলাফল"-এর উপর (বিশেষত প্রান্তিকভিত্তিক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে)। যদি শ্রমবাজার ও জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হয়, তাহলে GBP/USD বিক্রেতারা 1.30 জোনের দিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করতে পারে, বিশেষ করে যখন ডলার আরও শক্তিশালী হচ্ছে। তবে যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যায়, তাহলে ক্রেতারা একটি শক্তিশালী কারেকশন শুরু করতে পারে (1.32 এরিয়ার দিকে), বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক উদ্দীপনা ম্লান হতে শুরু করবে। কারণ, ৯০ দিনের যুদ্ধবিরতি যুদ্ধের সমাপ্তি নয়, এবং আলোচনা সফল বা ব্যর্থ—উভয় দিকেই যেতে পারে। তাই উচ্চস্বরে প্রচারিত ভূরাজনৈতিক শিরোনামগুলো সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রভাব ছাপিয়ে গেলেও, সামষ্টিক প্রতিবেদনগুলো এখনো গুরুত্বপূর্ণ, এবং "ইতিবাচক ফলাফল" প্রকাশিত হলে এই প্রতিবেদনগুলো যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখন পুরোপুরি ঊর্ধ্বমুখী ডলারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা বর্তমানে বাজার পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। বিক্রেতারা এখন D1 টাইমফ্রেমে বলিঞ্জার ব্যান্ডের নিচের লাইন 1.3270 সাপোর্ট লেভেলের টেস্ট ঘটাচ্ছে। যদি বিক্রেতারা মূল্যকে দিয়ে এই লেভেলের ব্রেক ঘটায়, তাহলে পরবর্তী টার্গেট হবে 1.3070 (দৈনিক চার্টে কিজুন-সেন লাইন)।
-
-
GBP/USD পেয়ারের পূর্বাভাস: ১৬ মে, ২০২৫[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1837289293.jpg[/IMG]
ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবারও বৃদ্ধি পায় এবং 1.3344–1.3357 রেজিস্ট্যান্স জোনের দিকে নতুন করে মুভমেন্ট শুরু করে। এই জোন থেকে একটি রিবাউন্ড হলে সেটি মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করতে পারে এবং মূল্য আবারও কমে 1.3205-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেলের দিকে যেতে পারে। তবে যদি 1.3344–1.3357 এরিয়া ব্রেকআউট করে মূল্য উপরের দিকে যায়, তাহলে পরবর্তী 1.3425 লেভেলের দিকে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সাম্প্রতিক বুলিশ প্রবণতার কারণে এই পেয়ারের মূল্যের ওয়েভের গঠন আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ সম্পন্ন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ আগের সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করেছে, আবার সর্বশেষ নিম্নমুখী ওয়েভও আগের সর্বনিম্ন লেভেল ব্রেক করেছে—যা বিয়ারিশ থেকে বুলিশ প্রবণতায় সম্ভাব্য রূপান্তরের ইঙ্গিত দেয়। তবে ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক ঘোষণা না করলে বা সম্প্রসারিত বাণিজ্য চুক্তির খবর না থাকলে ক্রেতাদের জন্য মূল্যকে 1.3425 লেভেলের ওপরে নিয়ে যাওয়া কঠিন হতে পারে। যদিও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এটি প্রমাণিত যে—বিক্রেতাদের জন্যও এটি করা সহজ নয়। আমার দৃষ্টিতে, সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভটি ছিল একটি ব্যতিক্রম; ক্রেতাদের প্রকৃত শক্তি 1.3344–1.3357 জোনে প্রকাশ পাবে। বৃহস্পতিবারের সংবাদভিত্তিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের ক্রেতাদের কিছুটা সমর্থন যুগিয়েছে। যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যার ফলে পাউন্ডের ক্রেতারা একটি নতুন—যদিও দুর্বল—আক্রমণ চালাতে পেরেছে, যা শিল্প উৎপাদনের দুর্বল প্রতিবেদন দ্বারা আংশিকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এপ্রিল মাসে উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) মাসিক ভিত্তিতে 0.5% হ্রাস পেয়েছে। তবে আমরা আগেই জানি যে দেশটির CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচকও 2.4% থেকে 2.3%-এ নেমে এসেছে। এর ফলে ফেড এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যেখানে চাপ উপেক্ষা করা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। ট্রেডাররা সুদের হার হ্রাসের দাবি করছে, ট্রাম্প মুদ্রানীতির নমনীয়করণের জন্য চাপ দিচ্ছেন, এবং কেবল জেরোম পাওয়েলই এখনো তার অবস্থানে অটল রয়েছেন— তিনি মনে করে মূল্যস্ফীতি আবার বাড়তে পারে বলে। তবে সামষ্টিক প্রতিবেদনের সমর্থন ছাড়া পাওয়েল বেশিদিন নিজের অবস্থানে থাকতে পারবেন না। তাই, এই পেয়ারের বিক্রেতাদের এখন দ্রুত ভালো খবর দরকার—যেমন, শুল্ক হ্রাস, বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর, বা অন্য কোনো ইতিবাচক খবর। নাহলে ক্রেতারা আবারও মুদ্রানীতির নমনীয়করণের প্রত্যাশায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পারে। ৪-ঘন্টার চার্টে, পেয়ারটির মূল্য 1.3435-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেল থেকে রিবাউন্ড করেছে, মার্কিন ডলারের পক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এখন 76.4% রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.3118-এর দিকে মূল্য নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। আজ কোনো ইন্ডিকেটরে ডাইভারজেন্স গঠিত হচ্ছে না। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ড চ্যানেল এখনো একটি বুলিশ প্রবণতা নির্দেশ করছে। কেবলমাত্র এই চ্যানেল নিশ্চিতভাবে ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে দীর্ঘমেয়াদী বিয়ারিশ প্রবণতা শুরু হতে পারে।
-
১৯ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1066511829.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও কমেছে, যদিও এর পেছনে বাস্তবিক অর্থে কোনো কারণ ছিল না। যেখানে ইউরোর মূল্যের স্পষ্ট নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, সেখানে পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট বরং ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ছিল। তাই এটিকে বিদ্যমান প্রবণতার অংশ হিসেবে গণ্য করা যায় না। বরং এটি ছিল একটি এলোমেলো মুভমেন্ট, যার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট ইভেন্ট বা খবরের প্রয়োজন ছিল না। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে প্রকাশিত কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাবে সূচক, যেটির ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল এবং আগের ফলাফল থেকেও দুর্বল ছিল। বিল্ডিং পারমিট বা নির্মাণ অনুমোদন ও হাউজিং স্টার্ট বা আবাসন নির্মাণের সূচনা সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল তুলে ধরে কী লাভ, যদি ট্রেডাররা সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করে?
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট শুক্রবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর প্রভাবে এই পেয়ারের মূল্যের পেয়ারের মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3329 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে এবং ধীরে ধীরে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.3259 পর্যন্ত নেমে আসে। তাই নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করে প্রায় ৫০ পিপস লাভ করতে পারতেন। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপের উপর নির্ভর করছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো গৃহীত নীতিমালার প্রতি সংশয় প্রদর্শন করছে। মনে রাখতে হবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সেটি ডলারের জন্য ইতিবাচক, পাউন্ডের জন্য নয়—কারণ এর আগে প্রতিটি শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত খবরে ডলারের দরপতন ঘটেছে। এখন, বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের খবরের প্রভাবে যেকোনো ডলারের শক্তিশালী হওয়া স্বাভাবিক। তবুও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো মার্কিন ডলারের উপর আস্থা রাখতে পারছে না। সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টও প্রধানত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর দ্বারা প্রভাবিত হবে। সন্দেহ নেই, মার্কেটের ট্রেডাররা আবারো যেকোনো সুযোগে ডলার বিক্রি করার চেষ্টা করবে অথবা নতুন কোনো সংবাদ প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করবে। দিন দিন বাজার পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই থাকছে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421–1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580–1.3598। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই সম্ভবত আমরা আবার একটি সীমিত রেঞ্জের ট্রেডিং কার্যক্রম দেখতে পারি। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারো সংবাদ শিরোনামে চলে আসতে পারেন, কিংবা যেকোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে—কিন্তু এসব ঘটনা আগে থেকে অনুমান করা একেবারেই অসম্ভব।
-
২০ মে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1551102178.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার জুড়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল এবং আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হতে পারে, 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এটাই সত্য, কারণ পুরোনো ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট এবং নতুন একটি ট্রেন্ডলাইনের গঠন সেই বিষয়টির প্রমাণ। তবে, যদি আপনি টাইমফ্রেম বড় করেন বা দূর থেকে চার্টটি দেখেন, তাহলে স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে যে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এই পেয়ারের মূল্য একটি সাইডওয়ে রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে। এই পুরো সময়ে মাত্র একবার মূল্য 1.3203–1.3440 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের বাইরে বেরিয়েছিল, তাও খুব স্বল্প সময়ের জন্য। এখন যেহেতু এই পেয়ারের মূল্য উল্লিখিত রেঞ্জের উপরের সীমানার কাছাকাছি চলে এসেছে, তাই যুক্তিসঙ্গতভাবে একটি বিপরীতমুখী মুভমেন্ট এবং এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই ব্রিটিশ মুদ্রার আরেকটি দরপতনের সম্ভাবনা আছে। তবে এখানে একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ — বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় যেকোনো পরিস্থিতিতেই ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত, যেমনটা সোমবার দেখা গেছে। এই পেয়ারের মূল্য এক মাস ধরে স্থবির ছিল এবং সঠিকভাবে কোনো কারেকশনও ঘটেনি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ট্রেডাররা আবার তিন মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করার জন্য প্রস্তুত। এমনকি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমিত হলেও তা দুর্বল ডলারের কোনো উপকারে আসেনি। GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছে, যদিও সেগুলোর সবগুলোই প্রকৃতপক্ষে ইউরোর সিগন্যালের তুলনায় দুর্বল সিগন্যাল ছিল। প্রথমে পেয়ারটির মূল্য 1.3329 লেভেল ব্রেক করে, কিন্তু 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি একটি ভুল সেল সিগনাল গঠিত হয়, যা ট্রেডিং সেটআপটিকে নষ্ট করে দেয়। 1.3365 এর ব্রেকআউটও কৃত্রিম ছিল। এই লেভেলের নিচে কনসোলিডেশন হলেও তা কোনো নতুন মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারেনি। ফলে শুধুমাত্র প্রথম বাই সিগনালটি লাভজনক ছিল। দ্বিতীয় ট্রেডটি লোকসানের সাথে ক্লোজ হয়েছে, এবং তৃতীয় ও চতুর্থ ট্রেডটি ব্রেকইভেনে স্টপ লসের সাথে ক্লোজ হয়েছে। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত, এবং এখনও ট্রেডারদের মধ্যে তার নীতিমালা নিয়ে প্রবল সংশয় বজায় রয়েছে। মনে রাখা দরকার, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও সেটি মূলত ডলারের জন্যই ইতিবাচক — কারণ প্রতিবারই শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণার পর ডলারের দরপতন হয়েছে। এখন, বাণিজ্যযুদ্ধ প্রশমনের যেকোনো খবরের প্রভাবেই ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ট্রেডাররা এখনও মার্কিন ডলারের উপর আস্থা রাখতে ইচ্ছুক নয়। মঙ্গলবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে মার্কেটের ট্রেডাররা আবার ডলার বিক্রি করার নতুন অজুহাত খুঁজবে বা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ খবরের অপেক্ষা করবে। প্রতিদিনের মতো আজও কারেন্সি মার্কেটের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে: 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329, 1.3365, 1.3421-1.3440, 1.3488, 1.3537, 1.3580-1.3598। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই সম্ভবত আবারও নির্দিষ্ট রেঞ্জ-ভিত্তিক ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো সময় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসতে পারেন বা কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির খবর আসতে পারে। তবে এই ধরনের পরিস্থিতি আগেভাগে অনুমান করা সম্ভব নয়। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/430499785.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3344–1.3357 সাপোর্ট জোন থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যার ফলে রিভার্সাল ঘটে এবং পাউন্ডের মূল্য 1.3425 লেভেলের ওপরে উঠে যায়। এর ফলে, আজ 161.8% ফিবোনাচি রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.3520 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য 1.3425-এর নিচে কনসোলিডেট করে, তাহলে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে এবং এই পেয়ারের মূল্য আবার 1.3344–1.3357 এর সাপোর্ট জোনের দিকে নেমে যেতে পারে। সাম্প্রতিক বুলিশ মুভমেন্টের ফলে ওয়েভ স্ট্রাকচার আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সর্বশেষ আপওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী হাই লেভেল ব্রেক করেছে, কিন্তু শেষ ডাউনওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী লো ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে, আগের "বিয়ারিশ" প্রবণতা এখন "বুলিশ"-এ রূপান্তরিত হয়েছে। তবে 1.3425-এর উপরে আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের জন্য নতুন কোনো ঘোষণার প্রয়োজন হতে পারে—বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন শুল্ক বা আমদানি শুল্ক আরোপের খবর। এখন পর্যন্ত, বিক্রেতারা শুধুমাত্র দুর্বল হয়েছে ও নিষ্ক্রিয় ছিল। মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য সংবাদ ছিল না, তবে বুধবার সকালে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শুরুতেই উল্লেখ করা দরকার যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মাত্র এক সপ্তাহ আগে সুদের হার কমিয়েছিল, কারণ মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছিল বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল। অথচ আজ প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, হেডলাইন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স এপ্রিল মাসে 2.6% থেকে বেড়ে 3.5%-এ পৌঁছেছে। এটি স্পষ্টত ট্রাম্পের শুল্কের প্রতি দেশটির অর্থনীতির প্রতিক্রিয়া। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি আগেই সতর্ক করেছিলেন যে বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে—এবং বাস্তবে সেটাই ঘটেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে: যদি মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা থাকত, তাহলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেন সুদের হার কমিয়েছে? কোর CPI-ও 3.4% থেকে বেড়ে 3.8% হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রেই ফলাফল ট্রেডারদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। পাউন্ডের মূল্য রাত থেকেই ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে, যেন অনেক প্রফেশনাল ট্রেডার আগেই জানতেন মূল্যস্ফীতি বাড়তে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক, ক্রেতারা এখন আবার আক্রমণাত্মক অবস্থানে এসেছে, এবার দৃঢ় মৌলিক ভিত্তিও রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেড হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে—ফলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পক্ষ থেকে শিগগিরই আরও নীতিমালার নমনীয়করণ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম। ৪-ঘণ্টার চার্টে, পেয়ারটির মূল্য 100.0% ফিবোনাচি লেভেল 1.3435-এ ফিরে এসেছে। এই লেভেল থেকে যদি নতুন রিবাউন্ড ঘটে, তাহলে মার্কিন ডলারের পক্ষে মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং মূল্য 1.3118-এর দিকে নামতে পারে। অন্যদিকে, 1.3435-এর ওপরে কনসোলিডেশন ঘটলে পরবর্তী ফিবোনাচি লেভেল 127.2% – 1.3794 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী মুভ চালিয়ে যেতে পারে। আজ কোনো ইনডিকেটরে ডাইভারজেন্সের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1703937350.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল, তবে এর কোনোটিই খুব বেশি শক্তিশালী ছিল না। শুরুতে, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর পেয়ারটির মূল্য 1.3421–1.3440 এরিয়ার ওপরে কনসোলিডেট করে। সে সময় নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন, তবে ট্রেডাররা পাউন্ডের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দীর্ঘায়িত করতে ব্যর্থ হয়। পরে, একই এরিয়ার কাছাকাছি দুটি সেল সিগনাল গঠিত হয়, কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই কোনো কার্যকর ফলাফল আসেনি। দ্বিতীয় ট্রেডটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়, আর তৃতীয়টি ভুল সিগনালের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউট করাই যুক্তিযুক্ত ছিল না। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং ট্রেডাররা তার নীতিমালার প্রতি প্রবল সংশয় প্রদর্শন করছে।। মনে রাখা দরকার: যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক হ্রাস মূলত ডলারের পক্ষেই কাজ করা উচিত ছিল, পাউন্ডের পক্ষে নয়। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমিয়েছে এবং ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে—তাতেও পরিস্থিতি ডলারের পক্ষেই থাকার কথা। অথচ, আমরা ঠিক উল্টো প্রতিক্রিয়া ও মূল্যের মুভমেন্ট দেখছি। বৃহস্পতিবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং নির্ভর করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো যেকোনো অজুহাতে ডলার বিক্রির সুযোগ খুঁজে বেড়াবে অথবা নতুন খবরের জন্য অপেক্ষা করবে। দিন যায়, দিন আসে—কিন্তু মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতিতে প্রকৃতপক্ষে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ৫-মিনিট চার্টে প্রাসঙ্গিক ট্রেডিং লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3537, 1.3580–1.3598। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র—উভয দেশেরই সার্ভিস ও ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলো ট্রেডারদের মধ্যে থাকা বুলিশ সেন্টিমেন্টে বিঘ্ন ঘটানোর সম্ভাবনা কম। বরং এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সেই বুলিশ সেন্টিমেন্টকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2013126462.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তবে সেগুলোর কোনোটিই খুব বেশি কার্যকর ছিল না। সমস্যা ছিল, পুরো দিনজুড়ে এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ট্রেডারদের কাছে 1.3421–1.3443 জোনের ব্রেক ঘটানোর মতো পর্যাপ্ত মোমেন্টাম ছিল না—বিশেষ করে যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাঝারি মানের ফলাফল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনের তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল প্রেক্ষাপটে। উপরন্তু, এই পেয়ার বিক্রির জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য কারণও ছিল না। ফলে, মূল্য এই জোন থেকে একাধিকবার রিবাউন্ড করেছে, কিন্তু কোনো উল্লেখযোগ্য দরপতন হয়নি। শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত কার্যক্রম দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং ট্রেডারদের মধ্যে তার নীতিমালার প্রতি সংশয়ী মনোভাব বজায় রয়েছে। মনে রাখতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক হ্রাস—দুটি বিষয়ই মূলত ডলারের পক্ষে কাজ করার কথা। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার হ্রাস এবং ফেড সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও সেটি ডলারের জন্য সহায়ক হওয়া উচিত। অথচ আমরা উল্টো পরিস্থিতি দেখছি—মার্কেটের ট্রেডাররা ডলারের ক্ষেত্রে ৯০% ইতিবাচক বিষয় উপেক্ষা করছে। শুক্রবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে এই পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা হয়তো ডলার বিক্রির জন্য যেকোনো অজুহাত খুঁজবে বা নতুন প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করবে। প্রতিদিনের মতোই মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3421–1.3443, 1.3537, 1.3580–1.3598 শুক্রবার যুক্তরাজ্যে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এটি ট্রেডারদের মধ্যে চলমান "সর্বদা কিনুন" মনোভাবের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। ২৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ ক্যালেন্ডার একেবারেই ফাঁকা।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৬ মে
ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য অংশীদারদের প্রতি নমনীয় অবস্থানের ফলে বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, যার ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ কিছুটা কমেছে। এর প্রভাবে ব্রিটিশ কারেন্সি সমর্থন পেয়েছে, কারণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা যুক্তরাজ্যের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এর পাশাপাশি, অভ্যন্তরীণ মৌলিক উপাদানগুলোও পাউন্ডের শক্তিশালী হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি ও জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ছিল, যার ফলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করতে আরও সুদের হার হ্রাস করতে পারে এমন সম্ভাবনা বেড়েছে। আজ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত না থাকায় স্বল্পমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট এখন যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যনীতির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অনুপস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনুমাননির্ভর ট্রেডিং এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখার সুযোগ তৈরি করে, যা সাধারণত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সমর্থন যোগায়। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3651-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3596-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3651-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3567-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3596 এবং 1.3651-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3567-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3528-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3596-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3567 এবং 1.3528-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে: [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1575677767.jpg[/IMG]
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1521443363.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.3553 এর লেভেলের টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর একই লেভেল আবার টেস্ট করা হয়, যার মাধ্যমে বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ পাওয়া যায়, তবে এতে এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ১৫ পিপস বৃদ্ধি পায়। আজ ব্রিটিশ রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (CBI) থেকে প্রকাশিত হবে। তবে এই প্রতিবেদনের ফলাফল ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে না। যদিও এটি উল্লেখ করা জরুরি যে পাউন্ডের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনো যথেষ্ট ইতিবাচক। মুদ্রাস্ফীতির গতি কমার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ওপর সুদের হার কমানোর চাপ তৈরি করছে। এর ফলে স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে পারে, যা এই চ্যালেঞ্জিং সময়েও পাউন্ডকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা ঘিরে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে, তা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করছে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3601-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3573-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3601-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকায় পাউন্ডের মূল্য আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3543-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3573 এবং 1.3601-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3543-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3512-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3573-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3543 এবং 1.3512-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ২৮ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/435046414.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মতো একই কারণে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যও নিম্নমুখী হয়েছে। তবে এটি বলা যাবে না যে ব্রিটিশ মুদ্রার বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে — যেকোনো মুহূর্তে আবার ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। মূল্য ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের কিজুন-সেন লাইনের কাছ থেকে রিবাউন্ড করে আবারও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। সোমবার ও মঙ্গলবার মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট কারণ ছিল, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা অবশেষে শুধুমাত্র ইউরো বা পাউন্ড নয়, বরং অন্যান্য মৌলিক প্রেক্ষাপটের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। তবে মনে রাখা জরুরি, বর্তমান মুভমেন্টটিকে শুধুমাত্র একটি স্বল্পমেয়াদি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যায় — এটি এর বেশি কিছু নয়। ঘণ্টাভিত্তিক চার্ট অনুযায়ী অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ৪-ঘণ্টা ও দৈনিক টাইমফ্রেমেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান, এমনকি বিশ্লেষণ ছাড়াও এটি স্পষ্ট। বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো মার্কেটের মূল প্রভাবক হিসেবে রয়ে গেছে, এবং ইতিবাচক সংবাদের ঘাটতি রয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছু প্রতিবেদন এলেও, সেগুলো ডলারের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক এখনো বলবৎ রয়েছে এবং অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, তা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে স্থায়ী ক্ষতি ডেকে আনবে — এটি ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পেরেছে এবং এখন তারা ডলার কিনতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে অনিচ্ছুক। মঙ্গলবারের ট্রেডিং সিগন্যালগুলো খুব দুর্বল ছিল। মূল্য ঘন ঘন দিক পরিবর্তন করেছে, যা পরোক্ষভাবে নির্দেশ করে যে ডলার শক্তিশালী হতে হিমশিম খাচ্ছে। মার্কিন সেশনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারকে কিছুটা সমর্থন দেয় — যেখানে এপ্রিল মাসে অর্ডার ৬.৩% হ্রাস পায়, যেখানে পূর্বাভাস ছিল ৭.৮% হ্রাসের। তবে এটিকে সত্যিকার অর্থে ইতিবাচক প্রতিবেদন বলা কঠিন। COT রিপোর্ট
COT রিপোর্ট ব্রিটিশ পাউন্ডের COT রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে গত কয়েক বছরে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মনোভাব বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। লাল এবং নীল লাইন — যা কমার্শিয়াল ও নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশন নির্দেশ করে — প্রায়ই একে অপরকে অতিক্রম করেছে এবং সাধারণত শূন্যের কাছাকাছি অবস্থান করেছে। বর্তমানে সেগুলো আবার কাছাকাছি রয়েছে, যা লং ও শর্ট পজিশনের প্রায় সমতা নির্দেশ করে। তবে গত দেড় বছরে নিট পজিশনের সংখ্যায় ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির কারণে ডলার এখনো দুর্বল হতে থাকায় ব্রিটিশ পাউন্ডের প্রতি মার্কেট মেকারদের চাহিদার তেমন গুরুত্ব নেই। যদি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ার ধারাবাহিকতা আবার শুরু হয়, তাহলে ডলার শক্তিশালী হওয়ার একটি সুযোগ পেতে পারে — কিন্তু সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপ 1,400 লং কন্ট্রাক্ট ক্লোজ করেছে এবং 1,800 শর্ট কন্ট্রাক্ট ওপেন করেছে, যার ফলে নিট লং পজিশনের সংখ্যা 3,200 কমেছে। সম্প্রতি পাউন্ডের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তবে এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এর একমাত্র কারণ হচ্ছে ট্রাম্পের গৃহীত নীতি। একবার এই প্রভাব নিরপেক্ষ হয়ে গেলে, ডলারের দর আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। নিজস্ব কোনো আভ্যন্তরীণ চালিকা শক্তির কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও, এই মুহূর্তে "ট্রাম্প ফ্যাক্টর" ট্রেডারদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যথেষ্ট।
GBP/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, যা বর্তমানে একটি অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল দ্বারা সমর্থিত। এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট পুরোপুরিভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের অগ্রগতির ওপর নির্ভর করছে। মার্কেটের ট্রেডারদের সামগ্রিক মনোভাব এবং বিশেষ করে আমেরিকা ও তার প্রেসিডেন্টের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এখনো অত্যন্ত নেতিবাচক, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। ডলার নিয়মিতভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে এবং যখনই শুল্কসংক্রান্ত কোনো খবর আসে, তখন সেই দরপতন আরও তীব্র হয়। ২৮ মে আমরা নিম্নোক্ত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো তুলে ধরছি: 1.2863, 1.2981–1.2987, 1.3050, 1.3125, 1.3212, 1.3288, 1.3358, 1.3439, 1.3489, 1.3537, 1.3637–1.3667, 1.3741। সেইসাথে, সেনকৌ স্প্যান বি (1.3302) এবং কিজুন-সেন (1.3489) থেকেও সিগন্যাল আসতে পারে। যদি মূল্য ২০ পিপস প্রত্যাশিত দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত — যাতে সম্ভাব্য ভুল সিগন্যাল থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। ইচিমোকু ইনডিকেটরের লাইনগুলো দিনের বেলায় অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই সিগন্যাল নির্ধারণের সময় তা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। এই বৈঠকে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং মুদ্রাস্ফীতির অনিশ্চিত পূর্বাভাস কারণে নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। যেহেতু এই তথ্য তখন ডলারকে কোনো সমর্থন দিতে পারেনি, তাই আজও এই কার্যবিবরণীর প্রভাবে তেমন কোনো মুভমেন্ট সৃষ্টির প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। চিত্রের ব্যাখা: মূল্যের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল – গাঢ় লাল লাইন; যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে। তবে এগুলো সরাসরি ট্রেডিং সিগন্যাল নয়। কিজুন সেন ও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন – শক্তিশালী ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইন, যা ৪-ঘণ্টা চার্ট থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্সট্রিম লেভেল – হালকা লাল লাইন; যেখানে পূর্বে মূল্য রিবাউন্ড করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। হলুদ লাইন – ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল প্যাটার্ন নির্দেশ করে। COT ইন্ডিকেটর 1 – চার্টে প্রতিটি গ্রুপের ট্রেডারদের নিট পজিশনের পরিমাণ প্রদর্শন করে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/748501017.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.3461 এর লেভেল টেস্ট করে — যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কোর্ট ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত বৈশ্বিক শুল্ক বাতিল করার খবরের পর, ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন ঘটে, যার ফলে চলতি মাসে পাউন্ডের মূল্য যতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছিল তা পুরোপুরিভাবে মিলিয়ে যায়। এই দরপতন সেইসব বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অপ্রত্যাশিত ধাক্কা হয়ে এসেছে, যারা ব্রিটিশ অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের প্রত্যাশার ভিত্তিতে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতার আশা করছিল। আদালতের রায় কার্যত যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের বাণিজ্যনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাতিল করে দিয়েছে, যা মুদ্রাবাজারে ঝুঁকি মূল্যায়নের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করবে। এছাড়া, মার্কিন প্রশাসনের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যনীতি সংক্রান্ত পদক্ষেপ ঘিরে অনিশ্চয়তাও পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, শুল্ক প্রত্যাহার হয়তো বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিমালায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও বিস্তৃত পরিবর্তনের সূচনা মাত্র, যা যুক্তরাজ্যের মতো বিশ্ববাজারে সংযুক্ত অর্থনীতির উপর নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। আজ যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা না থাকায়, ট্রেডাররা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারক কমিটির সদস্যদের বক্তব্যের দিকে মনোযোগ দেবে। আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ কাঠামোতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত খোঁজার জন্য ট্রেডাররা সারাহ ব্রিডেনের বক্তব্য বিশ্লেষণ করবেন। ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা, ঋণদানের সাথে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি এবং ব্যাংকগুলোর মূলধনের পর্যাপ্ততা সম্পর্কে তার মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অন্যদিকে, অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতির পথনির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি কবে সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি এবং মন্দার ঝুঁকি সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষক ও ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3506-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3455-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3506-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংস হিসেবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3425-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3455 এবং 1.3506-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3425-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3372 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3455-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3425 এবং 1.3372-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে: হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই। মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত। নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন। মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1050171191.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3461-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণে, আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। মূল্য 1.3491 লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ারে ক্রয়ের ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যায়। গতকালের মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায় বিশ্ববাজারে অপ্রত্যাশিত এবং দ্ব্যর্থবোধক বার্তা প্রদান করেছে। সাময়িকভাবে হলেও বাণিজ্য শুল্ক পুনর্বহালের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও চরম আকার ধারণ করতে পারে এই আশঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা পোর্টফোলিও পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে, যার ফলে মার্কিন অ্যাসেট থেকে মূলধন অপসারণ ঘটে এবং ডলারের দরপতন শুরু হয়। এই পদক্ষেপ মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের স্বতন্ত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং নির্বাহী শাখার বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের একটি নজির তৈরি করে। নিঃসন্দেহে বাণিজ্য শুল্ক ঘিরে আইনি লড়াই অব্যাহত থাকবে, এবং এই দ্বন্দ্বের ফলাফল মার্কিন ও বৈশ্বিক উভয় অর্থনীতির ওপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে। যেহেতু আজ যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই এবং আজ মে মাসের শেষ দিনের ট্রেডিং, তাই মাসিক সর্বোচ্চ লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা বা পাউন্ডের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা খুবই কম। বরং, আগে থেকে ওপেন করা লং পজিশন থেকে কিছু প্রফিট বুকিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, যা একটি সামান্য নিম্নমুখী কারেকশন শুরু করতে পারে। তবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো তুলনামূলকভাবে সহায়ক। যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি কমছে, যা ব্যবসা ও গৃহস্থালির জন্য ইতিবাচক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3530-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3488-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3530-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3461-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3488 এবং 1.3530-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3461-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3416 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3488-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3461 এবং 1.3416-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/334883185.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ ওপরে উঠে গিয়েছিল, তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3494-এর লেভেল টেস্ট করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি পাউন্ড ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস অনুযায়ী ছিল, যার ফলে একটি সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং সীমাবদ্ধ থাকে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় পাউন্ডের মূল্যের উর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী মুভমেন্টের জন্য কোনো প্রভাবশালী উদ্দীপনা তৈরি হয়নি। ট্রেডাররা অপেক্ষা করার ও পর্যবেক্ষণের মনোভাব গ্রহণ করেছে এবং ফেডারেল রিজার্ভ ও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও স্পষ্ট সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ ট্রেডারদের মধ্যে অনেকটাই সতর্ক মনোভাব বিরাজ করছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মুদ্রাস্ফীতি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকিগুলো বিশ্লেষণ করছে। হোয়াইট হাউসের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর বৈশ্বিক অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে, যা ট্রেডিং কার্যক্রমকে নিরুৎসাহিত করছে এবং সীমিত রেঞ্জে কনসোলিডেশনে ভূমিকা রাখছে। আজ যুক্তরাজ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে: ম্যানুফ্যাকচারিং PMI, অনুমোদিত মর্টগেজ অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা এবং ব্যক্তিগত নিট ঋণের পরিমাণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো ব্রিটিশ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও মুদ্রাস্ফীতির চাপ মোকাবেলায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা মূল্যায়নের সুযোগ দেবে। ম্যানুফ্যাকচারিং PMI সূচকটি ব্যবসায়িক মনোভাব ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা প্রতিফলিত করে। যদি এর মান ৫০-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি প্রবৃদ্ধির সংকেত, আর যদি ৫০-এর নিচে নামে, তাহলে এটি সংকোচনের ইঙ্গিত দেয়। অনুমোদিত মর্টগেজ অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা হলো আবাসন বাজার পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বোঝা যায় আবাসন চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক দায়ভার গ্রহণে ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে, অন্যদিকে সূচকটি হ্রাস পেলে সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে সতর্ক মনোভাব থাকার ইঙ্গিত দেয়। সবশেষে, ব্যক্তিগত নিট ঋণপ্রদান সংক্রান্ত প্রতিবেদন ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত করে। ঋণপ্রদান বৃদ্ধি পাওয়া মানে ভোক্তারা বেশি ব্যয় করছে এবং অর্থনীতিতে উদ্দীপনার ইঙ্গিত রয়েছে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/804619970.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3575-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3528-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3575-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3483-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3528 এবং 1.3575-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3483-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3416 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3528-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3483 এবং 1.3416-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/587055049.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দুপুরে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3555 লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি পাউন্ড কিনিনি। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে মুদ্রানীতির ব্যাপারে কোনোকিছু উল্লেখ করা হয়নি, ফলে ISM প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশ হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন ডলার সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট সংকেত না পাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা আবারও অপেক্ষারত অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে এই বাস্তবতা যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো অন্যান্য প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি 'ডোভিশ বা নমনীয়' মনোভাব দেখাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে এমন দৃঢ় মনোভাব না থাকার কারণে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা ডলারের প্রতি আস্থার অভাব সৃষ্টি করছে। আজ পার্লামেন্টে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সুতরাং GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টির বিষয়টি একরকম অনিবার্য। পার্লামেন্ট সদস্যদের সামনে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তাদের বক্তব্য সাধারণত ট্রেডারদের অতিরিক্ত মনোযোগ আকর্ষণ করে এবং কারেন্সি মার্কেটে জোরালো জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেয়। বিনিয়োগকারীরা বক্তাদের বক্তব্যে সূক্ষ্ম সংকেত খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে—বিশেষ করে সুদের হারের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ সম্পর্কে। দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পূর্বাভাসের দিকে। যদি কোনো সংকেত পাওয়া যায় যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রাস্ফীতির হ্রাসের গতি নিয়ে সন্তুষ্ট এবং তারা আরও নমনীয় মুদ্রানীতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাহলে পাউন্ডের দরপতন ঘটতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3564-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3526-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3564-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ ইতিবাচক মন্তব্য করলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3509-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3526 এবং 1.3564-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3509-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3478-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3526-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3509 এবং 1.3478-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2042880129.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস বিকেলের দিকে যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3502 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত কৌশল পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছে এবং ডলারকে শক্তিশালী করেছে। ট্রাম্প হঠাৎ করেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন বিবৃতির মাধ্যমে বিশ্ববাজারকে অস্থির করে তুলছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের অনিশ্চিত বাণিজ্য নীতির প্রতিফলন ঘটায়, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে, বিশেষ করে মার্কিন ডলারের দিকে। যেকোনো নতুন বাণিজ্য উত্তেজনার ইঙ্গিতই মার্কেটে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, কারণ তা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হ্রাস ঘটায়। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে—কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনো সুদের হার কমানোর ব্যাপারে কোনো তাড়াহুড়ো করছে না। আজ দিনের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যের সার্ভিসেস PMI এবং কম্পোজিট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর দুর্বল ফলাফল GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ আরও বাড়াতে পারে। যদি PMI সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কম আসে, তাহলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের শঙ্কাকে আরও জোরালো করবে, যা পাউন্ডের চাহিদা হ্রাস করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3573-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3526-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3573-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3496-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3526 এবং 1.3573-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3496-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3458-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে মূল্যের উপরের দিকে যাওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে এই পেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3526-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3496 এবং 1.3458-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।