-
ফেডারেল রিজার্ভের অতি-নমনীয় অবস্থান নীতিনির্ধারকদের মধ্যকার বিভাজন আরও বাড়াতে পারে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2090059217.jpg[/IMG]
ধারণা করা হচ্ছে, দুই দিনব্যাপী নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত বৈঠক শেষে ফেডারেল রিজার্ভ টানা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যাতে করে দুর্বল হয়ে পড়া শ্রমবাজারকে সমর্থন দেওয়া যায়। তবে অক্টোবর পেরিয়ে মুদ্রানীতির নমনীয়করণ পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার যেকোনো প্রচেষ্টা ফেডের ভেতরে এমন কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকে নতুন করে বাধার সম্মুখীন হতে পারে, যারা এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। গত এক মাস ধরে মার্কিন সরকারি কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ থাকায় কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি — যার ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই অনিশ্চিত ও অস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একদিকে, পূর্ববর্তী কিছু সূচক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য দুর্বলতার ইঙ্গিত দেননি। অপরদিকে, কর্মসংস্থান বিষয়ক পরিসংখ্যানে স্পষ্ট স্থবিরতা দেখা যাচ্ছে — যা মুদ্রানীতিতে উদ্দীপনার প্রয়োজনের ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, মূল্যস্ফীতির চাপ তুলনামূলকভাবে মাঝারি হলেও এখনো বিদ্যমান রয়েছে, এবং অতিরিক্ত হারে সুদের হার কমালে সেই চাপ আরও বাড়তে পারে — যা মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির (FOMC) অভ্যন্তরীন মতবিরোধ এই পরিস্থিতিকে আরও অনিশ্চিত করে তুলেছে। যারা ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তারা মনে করেন, শ্রমবাজার সংকট মোকাবেলার ঝুঁকি ইতোমধ্যেই মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে গেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দেওয়া জরুরি — এমনকি তার ফলে মূল্যস্ফীতি হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। অপরদিকে, হকিশ বা কঠোর অবস্থানে থাকা সদস্যরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি এখনই সবচেয়ে বড় হুমকি এবং সেটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে — এমনকি তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর বা বেকারত্ব বেড়ে গেলেও। গত শুক্রবার প্রকাশিত নতুন কনজ্যুমার প্রাইস বা ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফল অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল মুদ্রাস্ফীতি গত তিন মাসের মধ্যেই সর্বনিম্ন গতিতে বেড়েছে। এটি ফেডের জন্য সুদের হার হ্রাসের পক্ষে একটি নির্ধারণকারী উপাদান হতে পারে, যা বছরের শেষ পর্যন্ত মুদ্রানীতি নমনীয় করার ধারাকে বজায় রাখবে। চলতি বছরে নীতিনির্ধারকরা শুল্ক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের প্রভাব বুঝতে অপেক্ষারত ছিলেন। গ্রীষ্মে কর্মী নিয়োগের সংখ্যা রেকর্ড পতনের পর, ফেডের কর্মকর্তারা সেপ্টেম্বরে মূল হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং বছরের শেষ নাগাদ আরও দুইবার সুদের হার কমানোর পূর্বাভাস দেন। এই মাসের শুরুতে দেওয়া এক বিবৃতিতে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেন যে, শ্রমবাজার উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়ে গেছে এবং আরও অবনতির ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, ফিউচার মার্কেটে এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে আগামীকাল শেষ হতে যাওয়া বৈঠকের পরে আরও একবার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হার কমানোর পথে সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে ফেলেছে, এবং ডিসেম্বরেও আরেকবার সুদের হার কমানো হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের শুল্কনীতি এখনো প্রত্যাশিত হারে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারেনি, তবুও নতুন করে বাণিজ্য শুল্ক আরোপসহ নিয়মিত নানা বিধিনিষেধের ঘোষণা উদ্বেগ তৈরি করছে যে, এসব প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। এছাড়া এমন পণ্যখাতেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেগুলো সরাসরি শুল্ক দ্বারা প্রভাবিত হয়নি। ফেডের বহু কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই মন্তব্য করেছেন, মূল্যস্ফীতি গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেডের ২%-এর লক্ষ্যমাত্রাকে অতিক্রম করেছে এবং তারা ২০২৮ সালের আগ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছেন না। দীর্ঘ সময় ধরে এই লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থেকে যাওয়া মানে হলো দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রাস্ফীতি উল্লেখযোগ্যহারে বেড়ে যেতে পারে — যা নীতিনির্ধারকদের জন্য প্রকৃত অর্থেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যেভাবেই হোক, ফেড কর্তৃক অত্যন্ত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের আশঙ্কাই এখন মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের প্রসঙ্গে বলা যায়, ক্রেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1675 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। শুধুমাত্র এই লেভেল পুনরুদ্ধার করতে পারলেই, এই পেয়ারের মূল্যের 1.1700 লেভেল টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.1725-এ যেতে আরে, তবে প্রধান ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1755-এর লেভেল। অন্যদিকে, যদি ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য 1.1645-এ নেমে আসে, তাহলে আমি মূল্য এই লেভেলে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি সেখানে কেউ সক্রিয় না হয়, তাহলে 1.1620-এর লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে অথবা 1.1580 থেকে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ খোঁজা উচিত।
GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3365 লেভেল অতিক্রম করানো উচিত। এটি করতে পারলেই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3400 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে — তবে এই লেভেল ব্রেক করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.3435-এর এরিয়ার আশেপাশের লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 1.3345 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জের ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD পেয়ারের বুলিশ পজিশনের ওপর বড় ধাক্কা হবে এবং মূল্য কমে অন্তত 1.3320-এ চলে আসতে পারে — যারপর 1.3285 পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/47j5ugQ
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ২৯ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1485907720.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার কোনো নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। যদিও সোমবার এবং মঙ্গলবার জার্মানিতে অন্তত কিছুটা স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল (যেগুলোর ফলাফল মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি), বুধবার এই ধরনের কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক, সেইসাথে জেরোম পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/352246692.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ বুধবার শুধুমাত্র একটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে। স্পষ্ট কারণেই বলা যায়, বর্তমানে ফেড বা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কেউই মুদ্রানীতি বা অর্থনীতির ওপর কোনো মন্তব্য বা সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না, তাই আজ শুধুমাত্র ফেডের বৈঠকের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত হবে। ফেডারেল রিজার্ভ যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তা অনেকাংশেই আগে থেকেই জানা — মূল সুদের হার 0.25% হ্রাস করার কথা রয়েছে। তবে, পাওয়েল আজকে সংবাদ সম্মেলনে কী বার্তা দেবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিবেচনা করার মতো একটি বিষয় হলো, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কার্যক্রমের "শাটডাউন" চলছে, যার ফলে অনেক সরকারি সংস্থা বন্ধ রয়েছে। অক্টোবর মাসে শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এখনো প্রকাশিত হয়নি, যার ফলে এসব সূচকের অবস্থা এখনো শুধুমাত্র অনুমানভিত্তিক। ফেড সম্ভাব্যভাবে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে মূল সুদের হার হ্রাস করতে পারে, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ফেড কীভাবে মুদ্রানীতির ব্যাপারে অগ্রসর হবে সেটি বোঝা। আমাদের দৃষ্টিতে, ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান ইতোমধ্যেই মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কথা ছিল। তারপরেও পুরো অক্টোবর মাস জুড়ে বিভিন্ন কারণে ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এলোমেলো মুভমেন্ট বা বিশৃঙ্খল ট্রেডিং দেখা যেতে পারে। দিনের প্রথমার্ধে, একইভাবে স্বল্পমাত্রার ভোলাটিলিটি বজায় থাকতে পারে; তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভোলাটিলিটির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। ইউরো পেয়ারের জন্য ট্রেডিং রেঞ্জ হিসেবে 1.1655-1.1666 গুরুত্বপূর্ণ, যেখান থেকে শর্ট এবং লং – উভয় ধরনের পজিশন বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ড 1.3259 লেভেলের আশেপাশে ট্রেড করছে, যেখান থেকেও ট্রেড করা যেতে পারে। তবে বর্তমানে বেশিরভাগ সিগন্যাল অনুযায়ী মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাচ্ছে না, কারণ মার্কেটে মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা এখনো অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4oMTbRo
-
ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক: মতবিরোধপূর্ণ অবস্থান
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1188676079.jpg[/IMG]
গতকাল মার্কিন ডলারের দঢ় ইউরো, পাউন্ড, জাপানি ইয়েন এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের বিপরীতে দৃঢ়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মূল কারণ হলো আজকের ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পর মার্কেটে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়তে পারে এমন আশংকা করা হচ্ছে। ট্রেডাররা এখন দুটি মূল বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন: এক, মার্কিন সুদের হার 0.25% হ্রাস; দুই, ফেড চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের পক্ষ থেকে কিছু দিকনির্দেশনা—যদি তিনি সম্ভবত জটিল প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন, কারণ নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের ফলে অস্পষ্ট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই মাসের শুরুতে পাওয়েল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC) মূলত শ্রমবাজারে সম্ভব্য ঝুঁকির বিষয়েই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রেখেছে। তবে, গত সপ্তাহে বিলম্বে প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল এসেছে—যা স্বল্পমেয়াদে ফেডের মধ্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থানধারী সদস্যদের ভূমিকা কমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, বিনিয়োগকারীরা এখন শ্রমবাজার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে আরও বেশি মনোযোগী হয়েছেন। যেহেতু ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তাই বর্তমান মূল্যস্ফীতির চাপ এবং ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা নিয়ে সন্তুষ্ট, তাই এখন ফেডের এজেন্ডায় আরও আগ্রাসীভাবে সুদের হার হ্রাস নিয়ে আলোচনা উঠে আসতে পারে। এর ফলে, পাওয়েল হয়তো আবারও মনোযোগ সরিয়ে কর্মসংস্থানকেন্দ রিক নীতিতে ফিরে যেতে পারেন, এবং ফেডকে নিরপেক্ষ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন। ফেডের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বুধবার ঘোষণা করা হবে এবং এর পরে পাওয়েলের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবার ফেড কমিটির পক্ষ থেকে কোনো নতুন অর্থনৈতিক পূর্বাভাস বা সুদের হারের পূর্বাভাস প্রকাশ করা হবে না। ফলে, পাওয়েলের বক্তব্যের দিকেই মনযোগ কেন্দ্রীভূত থাকবে। তার মন্তব্যই পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি নির্ধারণ করে দিতে পারে। যদি তাঁর বক্তব্যে কোনো ধরনের স্পষ্ট বা ঘোলাটে ইঙ্গিত থাকে, তাহলে মার্কেটে প্রবল ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। ট্রেডাররা সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দৃশ্যপট বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিশেষ নজর থাকবে ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং শ্রমবাজারকে সহায়তা করার কৌশলের ওপর কোনো নতুন ইঙ্গিত পাওয়া যায় কি না। ফিউচার মার্কেটের গতিপ্রবাহে দেখা যাচ্ছে যে, বিনিয়োগকারীরা আজকের বৈঠকে সুদের হার 0.25% কমানোকে প্রায় অবধারিত সিদ্ধান্ত হিসেবেই দেখছেন। তবে এই উচ্চ সম্ভাবনা মানে এই নয় যে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ঐক্যমত রয়েছে। কমিটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, যারা শ্রমবাজারের ঝুঁকি স্বীকার করলেও, এখনো মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এছাড়া, আনুষ্ঠানিকভাবে কঠোর অবস্থানে সমাপ্তি টানা হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এমনকি, গত সেপ্টেম্বরে যেখানে নয়জন সদস্য বছর শেষে সর্বোচ্চ একবার সুদের হার কমানোর পক্ষে ছিলেন, এবারের বৈঠকে সেই বিভাজন আরও তীব্র হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, অনেকেই মনে করছেন পাওয়েল আজকের বৈঠক সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন। চলমান সরকারি কার্যক্রমে শাটডাউনের কারণে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান না থাকাও তার এই সতর্ক অবস্থানকে আরও জোরালো করবে।
টেকনিক্যাল চিত্র: EUR/USD বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের জন্য প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1645 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। এটি সম্ভব হলে পরবর্তীতে 1.1668 লেভেল টেস্ট করানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1696 পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি করা কঠিন হতে পারে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1725 লেভেল। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তবে মূল্য 1.1621 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেখানে কেউ সক্রিয় না হলে, এই পেয়ারের মূল্য আবারও 1.1602 লেভেল টেস্ট করতে পারে বা 1.1580 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
টেকনিক্যাল চিত্র: GBP/USD পাউন্ডের ক্রেতাদের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হবে 1.3270 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এটি সম্ভব হলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3310-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে, যদিও এই লেভেল ব্রেক করাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3340 লেভেল। অন্যদিকে, যদি পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3225 লেভেলে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। এই লেভেল যদি ব্রেক করা হয়, তাহলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3180-এর লেভেল পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, এমনকি 1.3140 পর্যন্তও দরপতনের সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4o8ETue
-
ইসিবি চলতি বছরের শেষভাগ পর্যন্ত তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/145167495.jpg[/IMG]
এর আগের দুটি বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) আজ তাদের পরপর তৃতীয় বৈঠকেও সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সদ্যপ্রাপ্ত কিছু নতুন প্রতিবেদনে বাণিজ্য উত্তেজনা এবং ফ্রান্সে উদ্ভূত রাজস্ব সংকট কতখানি ক্ষতিসাধন করেছে — তা বোঝার ক্ষেত্রে আরও স্পষ্ট ধারণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্য আরও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের নীতি অবস্থানের দিকনির্দেশনা ও ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির হার এখনো ইসিবি'র ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার সামান্য ওপরে অবস্থান করছে, তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে — যা ইসিবি'র নীতিনির্ধারকদের সামনে একটি দ্বিধাগ্রস্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়া, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনের পর ফ্রান্সে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়ের ওপরও প্রভাব ফেলছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে ইসিবি যেকোনো নীতিগত অবস্থানের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানেই থাকতে পারে। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, ইসিবি নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাব্য গতিপথ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার অপেক্ষা করবে। এটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য মজুরি এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফার ক্ষেত্রেও, যা বর্তমান অর্থনৈতিক মন্থরতার প্রেক্ষিতে প্রত্যাশানুযায়ী নাও বৃদ্ধি প্রদর্শন পারে। ইসিবির পরবর্তী বৈঠকটি ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং সে সময় পর্যন্ত সর্বশেষ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সম্ভব হবে। বেশিরভাগ বিশ্লেষকদের মতে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ডিপোজিট রেট ২% স্তরেই অপরিবর্তিত থাকবে। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, ঋণ নেয়ার ব্যয় ২০২৭ সাল পর্যন্ত এই মাত্রায়ই থাকবে — যদি না ডিসেম্বরে হালনাগাদ পূর্বাভাসে মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম দেখানো হয়। এখানে লক্ষ্যনীয় যে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসিবির কর্মকর্তারা প্রায় প্রতিনিয়ত প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তব্যকে অনুসরণ করে বলেছেন যে, বর্তমানে ইউরোজোনে বিদ্যমান মুদ্রানীতি "উপযুক্ত স্থলে" রয়েছে। তবে কিছু ঝুঁকি এখনো রয়ে গেছে। একদিকে আগামী বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফ্রান্সে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়েন লেকর্নু ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেডের চাপে আছেন, এবং জার্মানিতে একই ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ-এর দল নির্বাচনী জরিপে ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদে থেকে পিছিয়ে রয়েছে — এসবও ইউরোপের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঝুঁকির সৃষ্টি করছে। আজ প্রকাশিতব্য ইউরোপীয় প্রধান অর্থনীতিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে এইসব প্রভাব অর্থনীতিকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে — তা বোঝা যাবে। তবে, প্রতিবেদনের ফলাফল যদি আরও নেতিবাচকও হয়, তারপরও আগামী কয়েক মাসে ইসিবি'র পক্ষ থেকে আরেকবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা অত্যন্ত কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস বর্তমানে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1645 লেভেল স্পষ্টভাবে ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী করতে হবে। শুধুমাত্র এর ফলে 1.1668 লেভেল টেস্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে পেয়ারটির মূল্য 1.1696 পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1725। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1621 পর্যন্ত নেমে যায়, তাহলে আমি বড় ক্রেতাদের সক্রিয় হওয়ার প্রত্যাশা করবো। যদি কেউ সেখানে সক্রিয় না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1602 লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো হবে, অথবা 1.1580 থেকে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দেখতে হবে।
GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ড ক্রেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3240 লেভেলে নিয়ে যাওয়া এবং এই রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা। কেবলমাত্র এই লেভেলের ওপরে উঠতেই মূল্যের 1.3270-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যাবে, যা অতিক্রম করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3310 এরিয়া। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 1.3190 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD পেয়ারের বুলিশ পজিশনে বড় ধাক্কা দিতে পারে এবং মূল্য কমে 1.3170-এ পৌঁছাতে পারে — যারপর দরপতনের মাত্রা আরও বিস্তৃত হয়ে মূল্য 1.3140-এর দিকেও নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4nsF2Yb
-
আজ যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৩ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1311759646.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: সোমবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর মধ্যে কয়েকটি বেশ উল্লেখযোগ্য। আজ জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে অক্টোবর মাসের উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকের (PMI) চূড়ান্ত অনুমান হিসেবে প্রকাশিত হবে। মনে করিয়ে দিই, মার্কেটে দ্বিতীয় বা চূড়ান্ত অনুমানের প্রভাব সাধারণত খুবই সীমিত থাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে ISM উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক সূচক প্রকাশিত হবে, যা একবারই প্রকাশিত হয় এবং মার্কেটে এই প্রতিবেদনের প্রভাব অনেক বেশি হয়। তাই আজকের দিনটিতে ট্রেডারদের দৃষ্টি মূলত ISM সূচকের দিকেই থাকবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/208600215.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবার অল্প কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত রয়েছে। বিশেষভাবে, আজ ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য মেরি ড্যালি এবং লিসা কুকের ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে মনে রাখতে হবে, ফেডের সর্বশেষ বৈঠক মাত্র কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেই বৈঠকে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই বিস্তারিতভাবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। সংক্ষেপে বললে, বর্তমানে ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তারাই শ্রমবাজার ও বেকারত্ব সংক্রান্ত সামষ্টিক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং সেই প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ করে ডিসেম্বর মাসের চূড়ান্ত নীতিগত বৈঠকে সুদের হার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়াও, আজ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনেরও একটি ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে। তবে ইসিবির মুদ্রানীতির ক্ষেত্রে বর্তমানে কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতির নমনীয়করণ সম্পন্ন করেছে এবং শুধুমাত্র যদি ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে 2%-এর নিচে চলে যায় তাহলে তা পুনরায় শুরু হবে। বর্তমানে এই ধরণের কোনো সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারও অনিশ্চিত ও দিকনির্দেশনাবিহী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। আজ প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের পরিমাণ সীমিত হওয়ায় মার্কেটে ভোলাটিলিটি তুলনামূলকভাবে কম থাকতে পারে। শুক্রবার ইউরোর মূল্য 1.1527 থেকে বাউন্স করে এবং সম্ভাবত 1.1571-1.1584-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে। একইভাবে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছে, যা নির্দেশ করছে এটির মূল্য 1.3203-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে অগ্রসর হতে পারে। তবে যদি উভয় কারেন্সি পেয়ার আবারও এই লেভেল/এরিয়ার নিচে স্থির হয়ে যায়, তাহলে নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে—EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1474 এবং GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে 1.3043।
Read more: https://ifxpr.com/47kvUAe
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৪ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1468686585.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, আর সোমবার প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোও মার্কেটে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি—প্রত্যাশি মুভমেন্ট তো দূরের কথা। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই এখনো "নিম্ন লেভেল" অবস্থান করছে, কিন্তু কারেকশনভিত্তিক মুভমেন্টের কাঠামোর মধ্যেও মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কোনো সম্ভাবনা চোখে পড়ছে না। তাই আজ, যখন কার্যত কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনই প্রকাশিত হবে না, তখন শক্তিশালী প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম—যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেকটি "তথ্যবোমা" মারেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/442492257.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলো নিয়ে মার্কেটে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সকালে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে দুটি বক্তব্য দেবেন; তবে ইসিবি মাত্র গত সপ্তাহেই একটি বৈঠক করেছে, এবং সে বৈঠকের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যেই মার্কেটে সরবরাহ করা হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে লাগার্ডে ঠিক কী নতুন তথ্য দিতে পারেন? সর্বশেষ মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ইসিবির মুদ্রানীতিগত দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন আনেনি, কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার এখনো 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার আশপাশেই রয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রার আশেপাশে মুদ্রাস্ফীতির ওঠানামার বাস্তবে প্রায় কোনো গুরুত্ব নেই। ইসিবি ইতোমধ্যেই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার বাড়ানোর বা কমানোর কোনো বৈধ ভিত্তি তাদের হাতে নেই।
উপসংহার: এ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের আবারও এলোমেলো ও কম অস্থিরতার সাথে ট্রেডিং হতে পারে। 1.1527 লেভেলের কাছাকাছি ইউরোর নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়তে পারে, তবে সোমবারের মতোই অস্থিরতা কম থাকার কারণে সেসব সিগন্যাল থেকেও প্রকৃত লাভের কোনো সম্ভাবনা দেখা নাও যেতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে তৃতীয় বা চতুর্থবারের মতো বাউন্স করে উঠতে পারে, যার ভিত্তিতে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3JvxpCA
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৫ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1160256092.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: বুধবার বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, যার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, গত এক মাস ধরে ট্রেডাররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এবং ইভেন্ট উপেক্ষা করেছে। এর একটি অন্যতম উদাহরণ হল সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত গুরুত্বপূর্ণ ISM উৎপাদন সূচক, যেটির ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল, তবুও আমরা ডলারের কোনো দরপতন দেখতে পাইনি। আজ পরিষেবা খাতের ADP এবং ISM প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি দেখা পারে, যা বুধবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে, অক্টোবর মাসের পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকের দ্বিতীয় মূল্যায়নে প্রকাশিত হবে, তবে এগুলো একেবারেই স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার একটি মাত্র ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত আছে। শুধুমাত্র ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সারাহ ব্রিডেনই বক্তব্য রাখবেন, এবং এর বাইরে আর কিছি। তবে, কারেন্সি মার্কেটের (এবং এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও) সাম্প্রতিক মুভমেন্ট মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির সাথে ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বর্তমানে ট্রেডারদের টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, দিনের দ্বিতীয়ার্ধে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। গতকাল 1.1474-এর কাছাকাছি ইউরোর একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তাই আজ এটির মূল্য 1.1527-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে, 1.2980-1.2993 এর এরিয়া অথবা 1.3043-এর কাছাকাছি নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3LgJlJ3
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৬ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/715285592.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবারও অস্বাভাবিক মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এবার, মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যা আমাদের এই ধারণা পুনরায় নিশ্চিত করছে যে ডলারের বর্তমান মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা অসম্ভব রকমের অযৌক্তিক এবং এই চলমান মুভমেন্টের সাথে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের কোনো সম্পর্ক নেই। মনে করিয়ে দিই, সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ISM ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাকটিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় অনেক নেতিবাচক এলেও সেটি অগ্রাহ্য করা হয়। বুধবার প্রকাশিত ISM সার্ভিস অ্যাকটিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ইতিবাচক ছিল, সেটিও মার্কেটের ট্রেডাররা উপেক্ষা করেছে। একই সময়ে, ADP থেকে প্রকাশিত শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলও প্রত্যাশার থেকে ইতিবাচক ছিল, তাও ট্রেডাররা আমলে নেয়নি; তবে মার্কিন অর্থনীতিতে +42,000 নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, সাধারণভাবে বলতে গেলে, "এটি গড়পরতার নিচের মান।" ফলে, পুরোপুরি টেকনিক্যাল কারণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। দৈনিক টাইমফ্রেমে 1.1400–1.1830-এর ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের দরপতন চলমান রয়েছে। এই দরপতন শীঘ্রই শেষ হতে পারে, এবং আমরা মধ্যমেয়াদে কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করে চলেছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/868524593.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার দিনের মধ্যে একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা মূল্য 1.1474 লেভেল থেকে তিনবার বাউন্স করার ফলে গঠিত হয়েছে। এর ফলে, নতুন ট্রেডাররা মার্কিন ট্রেডিং সেশনে লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন। যেহেতু সিগন্যালটি তুলনামূলকভাবে দেরিতে গঠিত হয়, তাই ট্রেডটি পরবর্তী দিনে নিয়ে যেতে হতো। বর্তমানে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা যেতে পারে, যাতে করে মুনাফার জন্য সুস্থিরভাবে অপেক্ষা করা যায়।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও মার্কিন ডলারের জন্য প্রতিকূল রয়েছে। সুতরাং, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে ইউরোপীয় মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা এখনও প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। তবে আমরা এই রেঞ্জ থেকে মূল্যের বের হওয়ার অপেক্ষায় আছি এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা গতকালের বাই সিগন্যাল অনুসরণ করে মূল্যের 1.1527-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করতে পারেন। এই লেভেল থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1527 লেভেল ব্রেক করে, তাহলে মূল্যের 1.1571-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ রেখে লং পজিশন হোল্ড করে রাখা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। বৃহস্পতিবার, ইউরোজোনে জার্মানির খুচরো বিক্রয় ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নেই, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি খুব বেশি মনযোগ দিচ্ছে না।
Read more: https://ifxpr.com/3JzUVyo
-
পাউন্ডের তীব্র দরপতন হয়েছে — এবং এর পেছনে বস্তুনিষ্ঠ কারণ ছিল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1751369531.jpg[/IMG]
গতকাল, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে বাজেটের অংশ হিসেবে এই মাসের শেষে প্রত্যাশিত আসন্ন কর-বৃদ্ধির ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকার কঠোর কিন্তু ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেবে, তারপর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ১০০ পয়েন্টেরও বেশি কমেছে। ২৬ নভেম্বর ট্রেজারি কর্মকর্তাদের কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কয়েক ডজন সম্ভাব্য কর বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনা করার সময় এই সতর্কতা জারি করা হল। তিনি ৩৫ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত আর্থিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন, যার মধ্যে রয়েছে দেশ ছেড়ে যাওয়া ধনী ব্রিটিশদের জন্য এক্সিট ট্যাক্স এবং প্রিমিয়াম হাউজিংয়ের উপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ সহ সম্ভাব্য পদক্ষেপ। ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিক ছিল। প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে পাউন্ডের তীব্র দরপতন হয়েছিল, যা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার অবনতি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগকে প্রতিফলিত করে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে কর বৃদ্ধি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ধীর করে দিতে পারে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল করে দিতে পারে। নতুন বাজেটকে ঘিরে প্রত্যাশা ব্রিটিশ মুদ্রার উপর একটি বড় আঘাত এনেছে। বিনিয়োগকারীরা নতুন আর্থিক পদক্ষেপের জন্য অপ্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে, এগুলোকে এমন একটি কারণ হিসেবে দেখছেন যা ইতোমধ্যেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে। কিয়ার স্টারমারের প্রস্তাবনা কেবল উদ্বেগ বাড়িয়েছে, তবে উচ্চ কর আরোপের সম্ভাবনা প্রায় অনিবার্য বলে মনে হচ্ছে। স্টারমার লেবার পার্টির এমপিদের বলেছিলেন যে বাজেটটি জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ জনসাধারণের পরিষেবা সুরক্ষার মতো শ্রম মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। তিনি বলেন "এটি আমাদের জাতীয় ঋণ কমাবে এবং জীবনযাত্রার ব্যয় কমাবে।" ইতোমধ্যে, র্যাচেল রিভস কর ব্যবস্থা বিবেচনা করার সময় ধনী ব্রিটিশদের উপর সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন। তিনি বাজেট রেসপনসিবিলিটি অফিস কর্তৃক জারি করা উৎপাদনশীলতার পূর্বাভাসের অবনমনের সুযোগ নিতে চান, যা কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ এবং এটিকে আরও ন্যায্য করে তোলার মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থায়নে অতিরিক্ত ২০ বিলিয়ন পাউন্ডের আঘাতের সম্মুখীন হতে পারে। ব্রেক্সিট, কোভিড-১৯ মহামারী এবং পূর্ববর্তী সরকারগুলোর অধীনে বছরের পর বছর ধরে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণকে দায়ী করে স্টারমার বলেছেন যে পরিস্থিতির যতটুকু অবনতি হয়ে তা আশঙ্কার চেয়েও খারাপ ছিল।দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এর মুখোমুখি হয়ে, আমরা আমাদের দেশকে নতুন করে এবং দীর্ঘমেয়াদীভাবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর কিন্তু ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেব।" GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যের 1.3035-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করাতে হবে। কেবলমাত্র এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3065-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর সুযোগ দেবে, যার উপরে আরও মূল্য বৃদ্ধি বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হল 1.3100 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে মূল্য 1.3000 লেভেলের উপর থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানের উপর একটি গুরুতর আঘাত আনবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2965-এ নেমে যেতে পারে, যার ফলে 1.2930-এর দিকে দরপতন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/3LrLW2I
-
যেসকল ইভেন্টের উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত, ৭ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2124179769.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা: শুক্রবার খুব স্বল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে, কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কেবল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। মনে রাখবেন যে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সাধারণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের শূন্যপদ এবং মজুরি অন্তর্ভুক্ত থাকে। তবে, টানা দ্বিতীয় মাসের মতো, চলমান "শাটডাউনের" কারণে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি, যা এখন সময়কালের দিক থেকে রেকর্ড স্থাপন করেছে। সুতরাং, মার্কিন শ্রম বাজারের বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2064063790.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কিছু ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের আরও বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, তবে এই দুই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই ট্রেডাররা ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য পেয়েছে। গত সপ্তাহে কোনো নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM সূচক ছাড়া) প্রকাশিত না হওয়ায় এবং মার্কিন শ্রমবাজারের অবস্থা মূল্যায়ন করার সময় ADP প্রতিবেদনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া না হওয়ায়, এল্ডারসন, জেফারসন বা মিরান ট্রেডারদের মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম। সবাই নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন জন্য অপেক্ষা করছে, যেটিতে ADP-এর চেয়ে অনেক বেশি খাতের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ গত দুই দিনে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোর মূল্য 1.1527 লেভেল অতিক্রম করেছে, তাই লং পজিশন আজও প্রাসঙ্গিক রয়েছে, যেখানে মূল্যের 1.1571-1.1584-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া অতিক্রম করেছে, যার ফলে সেল সিগন্যাল গঠিত না হওয়া পর্যন্ত লং পজিশন বজায় রাখা সম্ভব, যেখানে মূল্যের 1.3203-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4omlaHy