-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৩ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1508240657.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত সীমিত পর্যায়ের ভোলাটিলিটি দেখা গেছে — যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ট্রেডারদের জন্য একরকম স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া ও কোনো ইভেন্ট না থাকা সত্ত্বেও মার্কিন ডলারের মূল্য আবারও অকারণে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, এই পেয়ারের মূল্য 1.1584 লেভেল সফলভাবে ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়নি, যদিও বর্তমানে মূল্যের মুভমেন্টের ধরন দেখে মনে হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে মূল্য এই লেভেল ব্রেক করতে পারে। ফলে আমরা এখনো ডলারের এমন এক মূল্য বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি যা বৈশ্বিক মৌলিক প্রেক্ষাপট এবং স্বল্পমেয়াদি টেকনিক্যাল চিত্র—উভয়ের সাথেই সাংঘর্ষিক। উল্লেখযোগ্য যে, প্রায় সব মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ এখনো মার্কিন ডলারের বিপক্ষে রয়েছে, এবং ঘন্টাভিত্তিক চার্টে পূর্বে এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনও ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। তবে এখনো কোনো প্রকৃত বুলিশ প্রবণতা গঠিত হয়নি। এই পেয়ারের মূল্য প্রতিদিনই যেন যান্ত্রিকভাবে ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে এবং গড়ে ২০ পিপস হ্রাস পাচ্ছে। এই ধরনের মুভমেন্ট এখনো অযৌক্তিক এবং ভোলাটিলিটিও অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। দৈনিক চার্টে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের একটি ফ্ল্যাট বা সাইডওয়েজ রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা সম্ভবত মার্কেটে পরিলক্ষিত বর্তমান মুভমেন্টের মূল কারণ।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1655282433.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার একটি নির্ভরযোগ্য ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571–1.1584 জোন থেকে নিখুঁতভাবে বাউন্স করে—যা নতুন ট্রেডারদের জন্য লং পজিশন ওপেন করার একটি সুযোগ তৈরি করে। তবে মার্কেটে পর্যাপ্ত ভোলাটিলিটি না থাকায় মাত্র ২০–২৫ পিপসের মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন বুলিশ প্রবণতা প্রাথমিক ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক। সেই অনুযায়ী, আমরা এখনো ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরাবৃত্তির প্রত্যাশা করছি। তবে এই পেয়ারের মূল্য দৈনিক চার্টের ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত, আমরা সম্ভবত লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি এবং এলোমেলো মুভমেন্ট দেখতে থাকব। বৃহস্পতিবার ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্র — কোথাও কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 1.1571–1.1584 জোনে রয়েছে, তাই এই এরিয়াতেই নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ৫-মিনিট চার্টে দৈনিক ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণে রাখা উচিত: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। গত কয়েক সপ্তাহে ক্রিস্টিন লাগার্ড বেশ কয়েকবার বক্তব্য দিলেও তা মার্কেটে প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং তার সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি — যেকারণে আজ মৌলিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/47z0KoN
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৪ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/402336283.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যায়নি। কার্যত কোনো মুভমেন্টই দেখা যায়নি, এবং প্রতিদিনই ভোলাটিলিটি রেকর্ড মাত্রায় কমে যাচ্ছে। যদিও সপ্তাহের শুরুতে আমরা খুবই দুর্বল হলেও একটি নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করেছি, বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জে থাকার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে যে, মার্কেট কার্যত "স্থবির" হয়ে পড়েছে। তবে আজ মার্কেটে আবার সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ এই সপ্তাহে আজই প্রথম কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সেই কারণে, ভোলাটিলিটির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দুঃখজনকভাবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করছে, যা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক মুভমেন্টের প্রধান কারণ। তাই আজকে তুলনামূলকভাবে বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও, মূল্যের যৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাবে এমন সম্ভাবনা কম। টেকনিক্যাল দিক থেকেও পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করলেও... এরপর আর কিছুই হয়নি। এখনো পর্যন্ত কোনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়নি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/258889434.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, এবং সেটি বেশ কার্যকর ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের একদম শুরুতেই, এই পেয়ারের মূল্য 1.1584 লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং দিনের শেষে মূল্য ২০ পিপস পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে মূল্যের ভোলাটিলিটির মাত্রার প্রেক্ষাপটে, এটি তুলনামূলকভাবে বেশ ভালো মুভমেন্ট।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য আবারও ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, যদিও মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো পর্যন্ত মার্কিন ডলারের জন্য বেশ নেতিবাচক। তাই, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে বলে আশা করছি। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে, এই কারণে লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি এবং মূল্যের অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ আজ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। 1.1571–1.1584 জোনে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠকের আশা করা যেতে পারে। গতকাল এই জোনে ইতোমধ্যে একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। আজকের পুরো পরিস্থিতিই নির্ভর করবে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ধরন ও ফলাফলের ওপর। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলর উপর দৃষ্টি দেয়া উচিত: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনে অক্টোবর মাসের পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। অতিরিক্তভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে এই সপ্তাহের "প্রধান প্রতিবেদন" হিসেবে বিবেচিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তাই আজ মার্কেটে অন্তত কিছুটা মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3JasqHj
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৭ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1940123368.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো স্পষ্ট প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়নি। দিনজুড়ে ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেগুলো ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার কথা ছিল। তবে, মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্টের পরিবর্তে খুব সামান্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা গেছে। ইউরোপীয় কারেন্সির মূল্যের আবারও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ভালো সুযোগ ছিল, তবে ট্রেডাররা যদি এটি না কেনে এবং সামগ্রিকভাবে ট্রেডিংয়ের প্রতি তাঁদের আগ্রহ না থেকে, তাহলে মৌলিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট যাই হোক না কেন, কোনো মোমেন্টাম তৈরি হবে না। মূলত, আমরা কেবলমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া দেখেছি, যা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দেশটির কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে ধীরগতিতে বেড়ে ৩%-এ পৌঁছেছে। এই ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভের আসন্ন বৈঠকগুলোতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া মাত্র ৫ মিনিট স্থায়ী হয়, যার ফলে ডলার ৪০ পিপস দরপতনের শিকার হয়। এটাই সারাদিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট ছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/29399727.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবারের সেশনে একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা বর্তমানে ভোলাটিলিটির মাত্রা বিবেচনায় নিলে অস্বাভাবিক নয়। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রকাশের পর এই পেয়ারের মূল্যের 1.1655-এ পৌঁছায়, তারপর সামান্য বিচ্যুতির সাথে এই পেয়ারের দরপতন হয়। নতুন ট্রেডাররা এই সেল সিগন্যাল কাজে লাগাতে পারতেন, তবে যৌক্তিক কারণেই এই দরপতনের মাত্রা দুর্বল ছিল।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কিছুটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। অতএব, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে অবস্থায় করার প্রবণতা বজায় আছে, যার ফলে লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং অনেক সময় অযৌক্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। সোমবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, তবে সম্ভবত আবারও খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা দেখা যাবে। 1.1571–1.1584 এরিয়া অথবা 1.1655–1.1666 রেঞ্জের মধ্যে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988। সোমবার, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা আকর্ষণীয় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা আবার প্রায় শূন্যে নেমে আসতে পারে। এটি মনে রাখা প্রয়োজন, এমনকি গত শুক্রবার প্রকাশিত আটটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের ফলাফলও কোনো উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সৃষ্টি করেনি।
Read more: https://ifxpr.com/47OrosX
-
কেন স্বর্ণের মূল্য আউন্স প্রতি $4,000-এর নিচে নেমে গেল?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1408860892.jpg[/IMG]
এই সপ্তাহের শুরুতে তীব্র দরপতনের পর, স্বর্ণের মূল্য প্রতি আউন্সে $4,000-এর নিচে নেমে গেছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীন মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির ফলে নিরাপদ অ্যাসেটের প্রতি চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। স্বর্ণের মূল্যের এই লেভেলটি মনস্তাত্ত্বিকভাব গুরুত্বপূর্ণ একটি লেভেল হিসেবেও বিবেচিত হয়। স্বর্ণের মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি স্বল্পমেয়াদী ট্রেডারদের লং পজিশন ক্লোজ করতে প্ররোচিত করতে পারে, যা বিয়ারিশ প্রবণতা আরও জোরালো করে তুলবে। তবে, বর্তমানে দরপতন হওয়া সত্ত্বেও, স্বর্ণের চাহিদাকে সমর্থন করার পেছনের মৌলিক উপাদানগুলো এখনো যথেষ্ট শক্তিশালী। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির অনিশ্চয়তা — এসবই স্বর্ণের চাহিদাকে এখনও সহায়তা করে যাচ্ছে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা থাকা অবস্থায়, ট্রেডাররা এখনো স্বর্ণকে অস্থির সময়েও একটি নির্ভরযোগ্য সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখনো স্বর্ণের প্রতি আগ্রহী, কারণ তারা রিজার্ভে বৈচিত্র্য আনতে এবং মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা কমাতে চায়। আগামী সপ্তাহগুলোতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে থাকবে। যদি আলোচনায় অচলাবস্থা শুরু হয় বা বাণিজ্যসংক্রান্ত উত্তেজনা আবার বাড়ে, তাহলে স্বর্ণের চাহিদা আবারও বেড়ে যেতে পারে এবং মূল্য $4,000 বা তারও ওপরে পৌঁছে যেতে পারে। অন্যদিকে, যতক্ষণ না স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টির জন্য নতুন কোনো অনুঘটক সামনে আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি চাপের মধ্যে থাকতে পারে। মঙ্গলবার, স্বর্ণের মূল্য $3,973-এ নেমে আসে — যা আগের সেশনে 3.2% দরপতনের পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় ঘটেছে। তবুও চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত স্বর্ণের দাম ৫০% এরও বেশি বেড়েছে। বর্তমান দরপতন বড় ট্রেডার এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য বড় পরিসরে স্বর্ণ ক্রয়ের একটি সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যারা ১০ বছরেরও বেশি সময় আগে শেষবার স্বর্ণ কিনেছিল, তারা এখন মধ্য-মেয়াদী থেকে দীর্ঘ-মেয়াদে অতিরিক্ত স্বর্ণ সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করছে। এছাড়াও আশা করা হচ্ছে যে, বুধবার শেষ হওয়া দুই দিনব্যাপী বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে। সাধারণত সুদের হার হ্রাস স্বর্ণের মূল্যের জন্য ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে স্বর্ণের টেকনিক্যাল পরিস্থিতি অনুযায়ী, ক্রেতাদের প্রথম লক্ষ্য হবে স্বর্ণের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল $3,954-এ পুনরুদ্ধার করা। এটি করা গেলে, তারা স্বর্ণের মূল্যকে $4,008 লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে — তবে এই লেভেল ব্রেকআউট করে স্বর্ণের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা থাকবে $4,062 লেভেল। অন্যদিকে, যদি স্বর্ণের দরপতন হতে থাকে, তাহলে মূল্য $3,906 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে এবং স্বর্ণের মূল্য অন্তত $3,849 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যেখানে থেকে $3,802 পর্যন্তও দরপতন হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4qqcAJf
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৯ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1357172512.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবার খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। সারাদিন জুড়ে ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতার সম্মুখীন হয়েছিল, যার ফলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোপীয় মুদ্রারও দরপতন হতে শুরু করে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ইউরোর মূল্য কিছুটা পুনরুদ্ধার করে, কিন্তু স্থানীয় কারণে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত ছিল। অতএব, আমরা গতকাল ইউরোর মূল্যের যেটুকু তীক্ষ্ণ মুভমেন্ট দেখেছি, যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস বিবৃতি না দিলে তা হয়ত দেখা যেত না। দৈনিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের মোট ভোলাটিলিটি ছিল 43 পিপস। আজ সন্ধ্যায়, ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে (বা বলা ভালো, শেষ হবে), তাই নতুন ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার প্রত্যাশা করতে পারেন। যদিও ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ওয়াকিবহাল রয়েছে। ফেড ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করতে পারে, পরপর দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার 0.25% হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। যুক্তি অনুযায়ী, আজও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকবে, তবে লক্ষ্যণীয় যে, সম্প্রতি ইউরোর মূল্য বাড়ছে না, যদিও ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল ভিত্তি রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2026182562.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি ও একরকম এলোমেলো মুভমেন্টের কারণে, যেকোনো ট্রেডিং সিগন্যাল, লেভেল বা জোন কাজে লাগিয়ে মুনাফা অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে গিয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655-1.1666 এরিয়ার কাছ থেকে বাউন্স করেছিল, যা পরবর্তীতে আর ব্রেক করা সম্ভব হয়নি। এরপর এই পেয়ার প্রায় ২০ পিপস দরপতনের শিকার হয়ে আবার 1.1655-1.1666 রেঞ্জে ফিরে আসে।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার কিছু লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। একটি নতুন আপট্রেন্ড লাইন গঠিত হয়েছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য প্রতিকূল। ফলে, আমরা 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। যদিও দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করছে, যা মার্কেটে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি ও লোয়ার টাইমফ্রেমে অযৌক্তিক মুভমেন্টের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বুধবার, নতুন ট্রেডাররা আবার 1.1655-1.1666 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে আরেকটি বাউন্স হলে সেটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করলে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবেই এই পেয়ারের মূল্যের কোনো লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করিনি, কারণ ভোলাটিলিটির মাত্রা এখনো অত্যন্ত কম। ৫ মিনিট টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। বুধবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যা সম্ভাব্যভাবে মার্কেটে শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42ZRRC7
-
USD/JPY: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ অক্টোবর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/412487408.jpg[/IMG]
USD/JPY পেয়ারের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 152.18 লেভেল টেস্ট করে, যা ডলার বিক্রি করার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ২৫ পিপস পর্যন্ত কমে যায়। গতকাল জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার পর, যেখানে তিনি বলেন যে ভবিষ্যতের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে অর্থনৈতিক সূচকের ওপর নির্ভর করবে, এর প্রেক্ষিতে জাপানি ইয়েন মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়। ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যানের মতে, অক্টোবরে সুদের হার হ্রাস মূলত ঝুঁকিমুক্ত থাকার পদক্ষেপ ছিল, এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে এখনো অস্পষ্টতা রয়েছে। কারেন্সি মার্কেটে এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পূর্বানুমানযোগ্য ছিল: অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকে পড়তে বাধ্য হয়, যার ফলে ইয়েনের আকর্ষণ হ্রাস পায়। ফেডের চেয়ারম্যানের মন্তব্যের পরে মার্কেট, যারা এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে আরও আগ্রাসীভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করা হবে বলে আশা করছিল, তারা তাদের প্রত্যাশা সংশোধন করে নেয়—যার ফলে ইয়েনের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। আজকের এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে, ইয়েন আবার দরপতনের শিকার হয়, যখন ব্যাংক অফ জাপান তাদের মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ব্যাংকে অব জাপানের বোর্ড মেম্বার নাওকি তামুরা ও হাজিমে তাকাতা টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দেন। বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন ব্যাংক অফ জাপানের গভর্নর কাজুয়ো উয়েদা-র সংবাদ সম্মেলনের দিকে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতের নীতিগত পদক্ষেপ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়—কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ইয়েনের চলমান দুর্বলতার কারণে ব্যাংক অব জাপান প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হতে পারে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর জোর দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1266666521.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 153.82-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 153.14-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 153.82-এর লেভেলে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করব (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি)। USD/JPY পেয়ারের কারেকশন এবং উল্লেখযোগ্য দরপতনের সময় এই পেয়ার ক্রয় করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 152.76-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 153.14 এবং 153.82-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 152.76-এর (চার্টে হালকা লাল লাইন) লেভেল পৌঁছানোর পর USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা এই পেয়ারের দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 152.02-এর লেভেল (গাঢ় লাল লাইন), যেখানে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, সেই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস রিবাউন্ডের আশা করছি। যতটা সম্ভব উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময় 153.14-এর লেভেলে পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি USD/JPY পেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 152.76 এবং 152.02-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3Wrv66q
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৩১ অক্টোবর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2019321099.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও গতকাল এই পেয়ারের মূল্য আরেকবার অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছিল। ইউরোপীয় মুদ্রা আবারও দরপতনের শিকার হয়েছে; দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান বজায় রেখেছে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বহাল রয়েছে। অতএব, আমরা এখনো শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। গতকাল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে খুব সামান্যই যৌক্তিকতা ছিল। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই সকাল থেকেই ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করতে শুরু করে। এর মানে, ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের অপেক্ষাও করেননি, বরং তাঁরা ফেডের বৈঠকের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিলেন, যেটিকে একেবারে "ব্যাপকভাবে ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান বলা যাবে না। পরবর্তীতে, জার্মানি ও ইউরোজোন থেকে প্রকাশিত জিডিপির প্রতিবেদনের ফলাফল নতুন কোনো সংকটের ইঙ্গিত দেয়নি। জার্মানির বেকারত্বের হারও হতাশাজনক ছিল না। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতিও প্রত্যাশার চেয়ে কম এসেছে। তাই, কোনো প্রতিবেদন থেকেই ইউরোর দরপতনের সঠিক কারণ দেখা যায়নি। একই কথা ইসিবির বৈঠকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, ট্রেডাররা যেমনটি প্রত্যাশা করেছিল, ঠিক সেরকম সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/531946787.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়ার নিচে এসে স্থির হয়, এবং এরপরই সকল মুভমেন্টের সমাপ্তি ঘটে। তাই, নতুন ট্রেডারদের পক্ষে এই একটি শর্ট পজিশন থেকে লাভ করা কঠিন ছিল, তবে লোকসানও হয়নি, কারণ মূল্য এই এরিয়াটির আশপাশেই ছিল।
শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, আবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন চলমান থাকার ইঙ্গিত পরিলক্ষিত হচ্ছে। নতুন করে এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করেছে, এবং সামগ্রিক মৌলিক ও আর্থিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। সুতরাং, টেকনিক্যাল দিক থেকে ইউরোপীয় মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের গঠন ও সেখানে অবস্থান করার প্রবণতা এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে, তাই আমরা প্রতীক্ষা করছি কখন এই প্রবণতা শেষ হবে এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে। শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন, যেখানে এই মুহূর্তে এই পেয়ারের মূল্য অবস্থান করছে। এই এরিয়া থেকে মূল্য বাউন্স করলে সেটি শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.1527-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। এই এরিয়ার ওপর কনসোলিডেশন হলে সেটি লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে মূল্যের 1.1655-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য আপনি এই লেভেলগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। শুক্রবার ইউরোজোনে মাত্র দুটি প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে গতকাল মার্কেটে প্রকাশিত আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ট্রেডাররা কার্যত উপেক্ষা করেছে। আজ, জার্মানির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের প্রকাশিত হবে। এটি মনে রাখা জরুরি যে, ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব খুবই সামান্য।
Read more: https://ifxpr.com/47sOHbj
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৩ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/646230328.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট শুক্রবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের চলমান নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যদিও এর পেছনের কারণগুলো কিছুটা সন্দেহজনক ছিল। সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, নতুন ট্রেডারদের জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। মনে করিয়ে দিই, ইউরোপীয় ইউনিয়নে মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন দুটি ধাপে প্রকাশিত হয়, যার মধ্যে প্রথম প্রতিবেদনটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুক্রবার, অক্টোবর মাসের প্রাথমিক (প্রথম) অনুমান প্রকাশিত হয়, যেখানে বার্ষিক ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল 2.1% — যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের সঙ্গেই সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। অর্থাৎ, প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কোনো ফলাফল ছিল না এবং আবারও ইউরোর দরপতন শুরু হওয়ার জন্য কোনো যৌক্তিক কারণও ছিল না। পূর্বাভাস ও প্রকৃত ফলাফলের তুলনার বাইরে গিয়ে, আমরা এই বিষয়টির ওপর নজর দিতে পারি যে ইউরোপে মূল্যস্ফীতি মন্থর হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলে সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) "ডোভিশ" বা নমনীয় অবস্থান সম্ভবত আরও দৃঢ় হচ্ছে, এবং এর ফলে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে যায়। তবে, এই ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতির পতন এতটাই সামান্য যে ইসিবি কেবল তখনই পদক্ষেপ নেবে যদি মুদ্রাস্ফীতির হার 2%-এর নিচে নেমে আসে। সুতরাং, শুক্রবারের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ইসিবির আর্থিক নীতিমালায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। ইউরোপীয় মুদ্রা এখন শুধুই টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে দরপতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1864734223.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার সারাদিনে একটি মাত্র সেল ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, প্রায় সারাদিন ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের কনসোলিডেশন হয়েছে। মার্কিন ট্রেডিং সেশন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়া ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, যার ফলে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1527-এর প্রথম লক্ষ্যমাত্রা নেমে আসে এবং সেই লেভেল থেকে বাউন্স করে। তাই, নতুন ট্রেডারদের জন্য মুনাফা নিশ্চিত করার দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার আবারও মার্কেটে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বিরাজ করছে, তবে এর মাঝেও স্বল্প পরিসরে মুনাফা করা সম্ভব হয়েছে।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের আবারও দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়েছে এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। তাই টেকনিক্যাল কারণে ইউরোর এই দরপতন আরও কিছুদিন বজায় থাকতে পারে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার বিষয়টি এখনো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট স্ট্রাকচার যা শেষ হওয়ার পরেই নতুন করে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1527 লেভেলে ট্রেড করতে পারেন। এই লেভেল থেকে বাউন্স হলে মূল্যের 1.1571-1.1584 এরিয়ার দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। তবে মূল্য এই লেভেলের নিচে মূল্য স্থিতিশীল হলে 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। সোমবার ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে ISM সূচকের ওপর, যেটির ফলাফলের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/43Nkhzq
-
কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ৪ নভেম্বর:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1598470804.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সোমবার সামান্য অস্থিরতার মধ্যেই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে মার্কেটে যে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা গেছে, তা বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠেনি, কারণ উল্লেখযোগ্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। তবে সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM থেকে উৎপাদন খাতভিত্তিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হয়েছে, যেটি একমাত্র অনুমান হিসেবেই প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনের গুরুত্ব যতই হোক না কেন, আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পূর্বাভাস এবং প্রকৃত ফলাফলের মধ্যে পার্থক্য। আমরা জানতে পারলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতে আবারও চাপের মধ্যে পড়েছে, যদিও পূর্বাভাসে এই খাত সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখানো হয়েছিল। ফলে, প্রতিবেদনটির ফলাফল মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার তুলনায় অনেক নেতিবাচক ছিল, যা সাধারণ পরিস্থিতিতে ডলারের দরপতন ঘটিয়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করার কথা। কিন্তু, এবার আমরা এই পেয়ারের মূল্যের কোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখিনি। সেই কারণে, আমরা আবারও আমাদের পাঠকদের এ বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছি যে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক, এবং এমনটি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আগের মতোই চলমান রয়েছে। অক্টোবর মাসেও আমরা খুবই সীমিত এবং পূর্বাভাসযোগ্য মুভমেন্ট দেখেতে পেয়েছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/722738222.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার 1.1527 লেভেলের কাছাকাছি দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা এতটাই কম ছিল যে এই সিগন্যালগুলোর কোনোটিই প্রকৃত অর্থে মুনাফা দিতে পারেনি। আমরা পূর্বেও উল্লেখ করেছি, যদি কোনো দিনে এই পেয়ারের মূল্যের কেবলমাত্র 40 পিপসের মধ্যে মুভমেন্ট হয়, তাহলে ট্রেডিং সিগন্যাল যতই শক্তিশালীই হোক না কেন, মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই সীমিত। মার্কেটে এখনো কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো স্পষ্টভাবে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকার ইঙ্গিত প-পাওয়া যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুকূল নয়। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ইউরোপীয় মুদ্রা আরও দরপতন হতে পারে। তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে, যা থেকে বের হওয়ার পর পুনরায় একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3102-1.3107 এরিয়ার মধ্যে স্বাচ্ছন্দ্যে ট্রেড করতে পারেন। এটি শুধুমাত্র একটি লেভেল নয়, বরং দৈনিক টাইমফ্রেমে সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানাও। এখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের একটি উল্লেখযোগ্য বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, কিন্তু যদি ক্রয়ের প্রবণতা কম থাকে, সেক্ষেত্রে মার্কেটে বিশেষ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাবে না। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। মঙ্গলবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তাই আজ এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বৃদ্ধির খুব একটা প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতাভিত্তিক বা দিকনির্দেশনামূলক মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশ কম।
Read more: https://ifxpr.com/4qF8JYP
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং, ৫ নভেম্বর
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/838529588.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবার কোনো কারণ ছাড়াই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল। গতকাল, একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু লাগার্ডে মুদ্রানীতি বা অর্থনীতির নিয়ে কোনো আলোচনা করেননি। অতএব, এই ইভেন্টের কারণে নতুন করে ইউরোর দরপতন হয়নি। তবুও, আমরা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে একই কথার পুনরাবৃত্তি করছি: বর্তমানে কেবল টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে দরপতন হচ্ছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি মার্কিন ডলারের জন্য এখনও অনুকূল নয়। দৈনিক টাইমফ্রেমে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য কেবল সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের লাইন থেকে নিচের লাইনে নামছে আর উঠছে । তবে, লোয়ার টাইমফ্রেমে সামগ্রিক পরিস্থিতি ট্রেডিংয়ের জন্য বিশেষভাবে ইতিবাচক নয়। গতকাল, দুটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল যা কাজে লাগানো যেত। হায়ার টাইমফ্রেমে কোন প্রবণতা বিরাজ করে তা বিবেচ্য নয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/225688766.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল যা নতুন ট্রেডাররা সহজেই কার্যকর করতে পারতেন। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.1527 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল এবং মার্কিন সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.1474 থেকে সক্রিয়ভাবে বাউন্স করে। সুতরাং, প্রথমে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, তারপরে লং পজিশন। উভয় ট্রেডই মুনাফার সাথে ক্লোজ করা যেত ছিল।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য ইতোমধ্যেই একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, এবং মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুকূল নয়। তাই শুধুমাত্র টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ইউরোপীয় মুদ্রা আরও দরপতন হতে পারে তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্য একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে, যা থেকে বের হওয়ার পর 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.1455-1.1474 এরিয়ায় ট্রেড করতে পারবেন। গত রাতে এই লেভেলের কাছাকাছি একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তাই নতুন ট্রেডাররা এই এরিয়ার উপর ভিত্তি করে ট্রেড করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য 1.1455-1.1474 এরিয়া দৃঢ়ভাবে ব্রেক করে অতিক্রম করলে 1.1413-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচন করতে পারেন consider the levels: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। বুধবার, ইউরোজোনে কেবলমাত্র পরিষেবা খাতের কার্যকলাপ সংক্রান্ত সূচকসমূহের দ্বিতীয় মূল্যায়ন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ADP এবং ISM থেকে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রত্যাশিত। প্রথম প্রতিবেদনটি বর্তমানে মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য একমাত্র প্রতিবেদন। দ্বিতীয়টিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক।
Read more: https://ifxpr.com/4qKkA7Y