-
২১ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/453483854.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট প্রথম তিন দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি সক্রিয় ছিল, তবে সেটি মাত্র আধা ঘণ্টার জন্য হয়েছে। মনে করিয়ে দিই, গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যার জন্য ট্রেডাররা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছিল এবং সেই প্রতিবেদনগুলো ছাড়া আবারও তাঁরা সক্রিয়ভাবে ট্রেডিং শুরু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এগুলো হলো নন-ফার্ম পেরোলস এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনগুলো মূলত সেপ্টেম্বর মাসেই প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল এবং আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে এগুলো থেকে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়, কারণ প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ইতোমধ্যেই বেশ পুরনো হয়ে গেছে। তবে, আমরা মার্কেটে এমন একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করেছিলাম, বিশেষ করে যেখানে প্রকাশিত সূচকগুলোর মান প্রত্যাশার তুলনায় ভিন্ন ছিল। আমরা প্রত্যাশার তুলনায় ভিন্ন ফলাফল দেখেছি, কিন্তু মার্কেটে কোনো শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখিনি। মূলত, প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই পেয়ারের মূল্যের পুরো মুভমেন্ট ৪০ পিপসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, যেটি আমরা প্রায় প্রতিদিনই দেখতে পাই। সারাদিনের সামগ্রিক ভোলাটিলিটিও আবারও কম ছিল এবং প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল শুধু পুরনোই নয়, বরং একটি অপরটির সাথে পরস্পরবিরোধীও ছিল। যেমন—নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যা পূর্বাভাসের তুলনায় ২.৫ গুণ বেশি হলেও, বেকারত্বের হার প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1669726682.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বৃহস্পতিবার চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল; তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এগুলো কীভাবে লাগানো যেতে পারে, যদি সারাদিনের ভোলাটিলিটি ৫০ পিপসের বেশি না হয়? এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে 1.1527 এরিয়া থেকে বাউন্স করে ২০ পিপস কমে যায়। এরপর 1.1527 এরিয়া ব্রেক করার পর মুভমেন্ট আরও কমে যায়। সুতরাং, মূল সমস্যা সিগন্যাল বা লেভেল নয়, বরং মার্কেট স্থবির অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের পুনরায় দরপতন হচ্ছে এবং সম্ভবত একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও অত্যন্ত নেতিবাচক রয়ে গেছে; তাই মূলত কেবলমাত্র টেকনিক্যাল কারণের ভিত্তিতেই ইউরোর দরপতন দেখা যেতে পারে—দৈনিক টাইমফ্রেমে বিদ্যমান ফ্ল্যাট রেঞ্জ এখনো প্রাসঙ্গিক রয়েছে। তবে আমরা এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের সমাপ্তি এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাবর্তনের প্রত্যাশা করছি। এমনকি এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1527-1.1531 এরিয়া থেকে ট্রেডিং শুরু করতে পারেন। যদি এই এরিয়ার ওপরে মূল্যের কনসোলিডেশন হয়, তাহলে মূল্যের 1.1571-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, তাহলে মূল্যের 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ একটি বক্তৃতা প্রদান করবেন। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো ইউরোজোনের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সূচক এবং আমেরিকার কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স, যেগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4pcmY6F
-
২৪ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1757639045.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট গত সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আবারও নিম্নমুখী হয়েছে। এর পেছনে কি কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল? শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তবে প্রায় সবগুলো প্রতিবেদনের ফলাফল একে অপরের সাথে পরস্পরবিরোধী ছিল। ইউরোজোনে প্রকাশিত দুটি বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল সম্পূর্ণভাবে বিপরীতমুখী ছিল, আর একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন একে অপরের সাথে সাংঘর্ষিক ফলাফল প্রদর্শন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ছিল (যার ফলে ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় রাখা সম্ভব হয়নি), এবং জার্মানির উভয় বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্সের বড় ধরনের পতন দেখা গিয়েছে। সম্ভবত এসব বিষয়ে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দরপতনে অবদান রেখেছে। সামগ্রিকভাবে, মার্কিন ডলারের দর আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, বিশেষ করে মার্কেটে ক্রমবর্ধমান চলতি বছরের শেষ বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তে থাকা বেকারত্বের প্রেক্ষাপটে। দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে, তাই তাত্ত্বিকভাবে এই পেয়ারের মূল্য 1.1400 লেভেল পর্যন্ত কমে যেতে পারে, যার ওপর অবস্থান করায় ফ্ল্যাট রেঞ্জ এখনও প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে। তবে আমাদের পূর্বানুমান অনুযায়ী এই সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই এই পেয়ারের মূল্য অন্তত 1.1800 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে প্রত্যাশা করছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/526595236.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে 1.1527-1.1531 এরিয়াতে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয় এবং মার্কিন সেশনে একই ধরণের আরেকটি সিগন্যাল গঠিত হয়। উভয় ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের ১৫-২০ পিপস দরপতন হয়েছিল। রাতে একটি বাই সিগন্যালও গঠিত হয়েছিল, তবে সেটি থেকেও উল্লেখযোগ্য মুনাফা পাওয়া যায়নি। মূল সমস্যা হলো—মার্কেটে এখনও দুর্বল মুভমেন্ট বিরাজ করছে।
সোমবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য আবারও কমে যাচ্ছে এবং সম্ভবত একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক, তাই মূলত কেবল টেকনিক্যাল কারণেই ইউরোর দরপতন হচ্ছে—দৈনিক টাইমফ্রেমের ফ্ল্যাট রেঞ্জ এখনও প্রাসঙ্গিক রয়েছে। তবে আমরা এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের সমাপ্তি এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। এর মধ্যে, ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেও মাঝেমধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ঘটতে পারে। সোমবার, নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1527-1.1531 এরিয়া থেকে ট্রেডিং শুরু করতে পারেন। যদি এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়ার ওপরে কনসোলিডেট করে, তাহলে মূল্যের 1.1571-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। তবে, যদি মূল্য এই এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তাহলে মূল্যের 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। সোমবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে একটি বক্তব্য দেবেন এবং জার্মানির Ifo ইনস্টিটিউটের বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে আমরা এগুলোকে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনায় নিচ্ছি। তাই আজও এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কম থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
Read more: https://ifxpr.com/48vJZLI
-
২৫ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/30857848.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সোমবার পুনরায় EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছিল, কিন্তু ফলাফল হিসেবে আরেকবার আমরা মার্কেটে স্থবির অবস্থা দেখতে পেয়েছি। যেমনটা আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটে হয় কোনো মুভমেন্ট হয় না নয়তো অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যায়। সোমবার কার্যত ট্রেডিং করার কোনো অবস্থা ছিল না। দিনজুড়ে সামগ্রিক ভোলাটিলিটির মাত্রা ছিল ৫০ পিপসের নিচে, এবং এই পেয়ারের মূল্য শুক্রবারের প্রতিষ্ঠিত রেঞ্জের মধ্যেই স্থির ছিল। সামষ্টিক অর্থনীতি প্রেক্ষাপট প্রায় অনুপস্থিত ছিল, জার্মানিতে ব্যবসায়িক আস্থা সূচক প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু সেটিও এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলেনি। মৌলিকভাবে বিশ্লেষণেরও কিছু ছিল না। এদিকে, দৈনিক টাইমফ্রেমে মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থান করার প্রবণতা বজায় রয়েছে। এমনটি গত কয়েক মাস ধরেই চলছে, এবং বর্তমানে শিগগিরই এই পরিস্থিতি অবসানের কোনো লক্ষণ নেই। ফলে মার্কেটে দুর্বল ও অযৌক্তিক মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, ফ্ল্যাট মার্কেটের বাস্তবচিত্র এটাই। বর্তমানে এই ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট শুধুমাত্র স্থানীয় নয়, বরং বৈশ্বিক পর্যায়েও দেখা যাচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/542623769.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার দিনব্যাপী কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল; তবে যৌক্তিক কারণে ট্রেডাররা উল্লেখযোগ্য লাভ অর্জন করতে পারনি। শুরুতে এই পেয়ারের মূল্য 1.1527-1.1531 লেভেল এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল, পরে এটি ব্রেক করে যায় এবং পরবর্তীতে বিপরীত দিক থেকেও আবার ব্রেক করে। প্রতিটি ক্ষেত্রে, মূল্য সর্বাধিক প্রায় ১৫ পিপস সঠিক দিক বরাবর অগ্রসর হয়েছিল। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে, সমস্যা ট্রেডিং সিগন্যাল বা লেভেলগুলোতে নয়, বরং মার্কেটে সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের আবারও দরপতন হচ্ছে এবং সম্ভবত একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক রয়ে গেছে, তাই মূলত কেবল টেকনিক্যাল কারণেই ইউরোর দরপতন হচ্ছে—দৈনিক টাইমফ্রেমের ফ্ল্যাট রেঞ্জ এখনও প্রাসঙ্গিক রয়েছে। তবে আমরা এই ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের সমাপ্তি এবং 2025 সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। এর মধ্যে, ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেও মাঝেমধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ঘটতে পারে। মঙ্গলবার নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1527-1.1531 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন, কারণ অন্য কোনো কার্যকর বিকল্প আপাতত নেই। যদি এই এরিয়ার উপরে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তাহলে মূল্যের 1.1571-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য এই এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তবে মূল্যের 1.1474-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন কার্যকর হয়ে উঠবে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908 এবং 1.1970-1.1988। মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI), খুচরা বিক্রয় এবং ADP (সাপ্তাহিক) শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। যদিও এই প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব সর্বোচ্চ নয়, তবে বর্তমানে এর বাইরে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নেই। আমরা অনুমান করছি, এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে সংযত প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে।
Read more: https://ifxpr.com/43MxXuS
-
USD/CHF পেয়ারের বিশ্লেষণ ও পূর্বাভাস
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1301464498.jpg[/IMG]
আজ দ্বিতীয় দিনের মতো USD/CHF পেয়ারের মূল্যের প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ 0.8100-এর রাউন্ড লেভেলের ঠিক ওপর থেকে কারেকশনের অংশ হিসেবে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এই দরপতনের প্রধান কারণ হচ্ছে মার্কিন ডলারের প্রতি বিদ্যমান নেতিবাচক মনোভাব। মার্কিন ডলার সূচক (DXY), যা অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে, এই সপ্তাহে নতুন সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই ঘটনা ঘটেছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা আরো জোরালো করেছে। বিশেষভাবে, উৎপাদক মূল্যসূচক (PPI) নির্দেশ করে মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হচ্ছে, যখন সেপ্টেম্বরের খুচরা বিক্রয় সূচক প্রত্যাশার তুলনায় কম বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্তভাবে, কনফারেন্স বোর্ডের কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে, কারণ শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে, যা ফেডকে আরেকবার আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সুযোগ করে দিয়েছে। এদিকে, নিউ ইয়র্ক ফেডের প্রেসিডেন্ট জন উইলিয়ামস গত শুক্রবার জানিয়েছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি মুদ্রাস্ফীতিকে লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করবে না। এর আগে, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার উল্লেখ করেন যে শ্রমবাজার এখন এতটাই দুর্বল অবস্থায় যে ডিসেম্বরে সুদের হার ০.২৫% হ্রাস যথার্থ হবে। এরপর মঙ্গলবার ফেডের বোর্ড সদস্য স্টিফেন মিরান এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রতি সমর্থন জানান, এবং দাবি করেন শ্রমবাজার ও অর্থনৈতিক অবস্থা অবনতির কারণে ব্যাপক মাত্রায় সুদের হার হ্রাস করা দরকার, যাতে মুদ্রানীতিকে একটি নিরপেক্ষ পর্যায়ে আনা যায়। ট্রেডাররা দ্রুত সাড়া দিয়েছেন: বর্তমানে প্রায় ৮৫% সম্ভাবনা রয়েছে যে ডিসেম্বরে ফেড সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে। অন্যদিকে, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (SNB) আসন্ন বৈঠকে মূল সুদের হার ০.০০%-এ অপরিবর্তিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন ২০২৭ সালের আগে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/902987826.jpg[/IMG]
এই পরিস্থিতি স্বল্প-মেয়াদে USD/CHF-এর আরো দরপতনের প্রত্যাশা জোরালো করে তুলেছে। ট্রেডিংয়ের কার্যকর সুযোগের জন্য বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আসন্ন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত — বিশেষ করে বেকার ভাতা আবেদন ও নতুন আবাসন বিক্রি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের প্রতি। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ডলারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে, দৈনন্দিন চার্টে অসিলেটরগুলো পজিটিভ জোনে রয়েছে, এবং এই পেয়ার ১০০-দিনের SMA ও ৯ এবং ১৪ পিরিয়ডের EMA-এর ওপরে ট্রেড করছে, যা বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা নিশ্চিত করছে। USD/CHF-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেল 0.8100-এর রাউন্ড লেভেলে রয়েছে; এর ওপরে মূল্য বাড়লে নভেম্বর মাসের সর্বোচ্চ লেভেল 0.8125-এর দিকে যেতে পারে। ৯-দিনের EMA-এ এই পেয়ারের মূল্যের সাপোর্ট রয়েছে; এর নিচে পরবর্তী সাপোর্ট হিসেবে ১০০-দিনের SMA এবং তারপর 0.8000-কে বিবেচনা করা হচ্ছে। নিচের টেবিলে দেখা যাচ্ছে এই সপ্তাহে মার্কিন ডলারের দর প্রধান মুদ্রার তুলনায় কেমন ছিল। এর মধ্যে মার্কিন ডলারের দর ক্যানাডিয়ান ডলারের বিপরীতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/49B780h
-
২৭ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1735418640.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যদিও দিনের মধ্যে এই পেয়ার সাময়িকভাবে দরপতনের সম্মুখীন হয়েছিল। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনই উল্লেখযোগ্য ছিল, যা প্রত্যাশামাফিক মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলেও সামগ্রিক পরিস্থিতিকে তেমনভাবে প্রভাবিত করেনি। কী দেখা গেছে? প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কিছুটা ভালো এসেছে, যার ফলে ডলারের দর কিছুটা বেড়েছে। তবে, ঘন্টাভিত্তিক চার্টে কয়েক দিন আগে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে; দৈনিক চার্টে এখনো মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে এবং দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক পর্যায়ে এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং, এই পেয়ারের মূল্যের সামান্য কারেকশন হয়েছে এবং ফের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। আমরা এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, স্বল্প ও মধ্য-মেয়াদে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে, কারণ বর্তমানে এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য 1.1400-1.1830 রেঞ্জের নিচের সীমানায় এসে পৌঁছেছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2082105762.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার কমপক্ষে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1584 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, এরপর 1.1571-1.1584 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেশন করে। উভয় সিগন্যালই শেষ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়েছে, যেখানে দ্বিতীয়টি মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে সক্রিয় হয়। আবারো 1.1571-1.1584 এরিয়াতে তৃতীয় বাই সিগন্যাল গঠিত হয়, এটি কাঙ্ক্ষিত দিকে তেমন শক্তিশালী মুভমেন্ট সৃষ্টি করেনি, যদিও এখনো সেটিকে ভুল সিগন্যাল ধরা যাচ্ছে না — আজও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং লং পজিশন এখনো ওপেন রাখা যেতে পারে। মূলত, মার্কিন টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল বুধবারের পুরো টেকনিক্যাল চিত্রকেই কিছুটা ব্যাহত করেছে।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। সামগ্রিক মৌলিক এবং সামষ্টিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক রয়েছে, যার মানে কেবলমাত্র টেকনিক্যাল কারণেই ইউরোর দরপতন হতে পারে — দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং অব্যাহত রয়েছে। তবে, আমাদের প্রত্যাশা এই ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট শেষ হয়ে ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে। বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা আবারো 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেডিং শুরু করতে পারেন। এই এরিয়ার ওপরে মূল্যের কনসোলিডেশন হলে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, মূল্যের 1.1655-1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। একই এরিয়ায় নতুন করে রিবাউন্ড হলে পুনরায় লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে, এই এরিয়ার নিচে কনসোলিডেশন হলে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হবে, যেখানে মূল্যের 1.1531-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, আজ ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। বৃহস্পতিবার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে, আজ মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা কিছুটা সীমিত থাকতে পারে, তবে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4oobhbA
-
২৮ নভেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1156842998.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বৃহস্পতিবার খুবই সীমিত মাত্রার অস্থিরতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ার প্রায় সম্পূর্ণভাবে সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করেছে। গতকাল সকালে আমরা সতর্ক করেছিলাম যে এ ধরনের মুভমেন্ট প্রত্যাশিত, কারণ বৃহস্পতিবার কোনো নির্ধারিত মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। শুধুমাত্র সকালে জার্মানি থেকে কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, তবে সেটির ফলাফল পূর্বাভাস অনুযায়ী হওয়ায় এটি ট্রেডারদের জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এই কারণে, ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD-এর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের ধারা অব্যাহত থাকলেও, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বর্তমানে ইউরোর দর সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না, যেভাবে বিগত কয়েক মাসে মার্কিন ডলারের মূল্য একপ্রকার "আকাশ থেকে পতিত" হয়ে বৃদ্ধি দেখিয়েছে। তাই এখন এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট আসন্ন ইভেন্ট ও প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ঠিক একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশন শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছিল কিন্তু মূল্য মাত্র প্রায় ১০ পিপস বৃদ্ধি পেয়েছিল। আবারও মনে করিয়ে দিই, যখন মার্কেট স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে, তখন ট্রেডারদের কাছে কোনো লেভেল বা সিগন্যাল থাকলেও, সেগুলোর কার্যকারিতা সীমিত থাকে। আজ সকালেও, এই পেয়ারের মূল্য পুনরায় 1.1571-1.1584 এলাকার কাছাকাছি অবস্থান করছে, তাই আবারও একটি বাউন্স দেখা যেতে পারে। শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। সামগ্রিক মৌলিক এবং সামষ্টিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচক রয়েছে, যার মানে কেবলমাত্র টেকনিক্যাল কারণেই ইউরোর দরপতন হতে পারে — দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং অব্যাহত রয়েছে। তবে, আমরা আশা করছি এই ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট শেষ হয়ে ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে। মার্কেটে এখনো স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শুক্রবার নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের উপরে কনসলিডেট করলে মূল্যের 1.1655-1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এই লেভেল থেকে মূল্য বাউন্স করলে, আবারও লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি হবে। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের নিচে নেমে গেলে কনসলিডেশন করলে শর্ট পজিশন গ্রহণযোগ্য হবে, যেখানে মূল্যের 1.1531-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, and 1.1970-1.1988। শুক্রবার ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে জার্মানিতে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি ইউরোজোনের একটি দেশ হলেও এটি ইউরোপীয় অর্থনীতির "ইঞ্জিন" হিসেবে পরিচিত। তাই দেশটির মুদ্রাস্ফীতি, খুচরা বিক্রি এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রকাশের পরে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4pCwaku
-
মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইয়েনের দর বৃদ্ধি পেয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/366162736.jpg[/IMG]
আজ জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর কাজুয়ো উয়েদা সুদের হার বৃদ্ধির স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়ার পরই জাপানি ইয়েনের দর হঠাৎ করে বেড়ে যায়। তিনি জানান, ব্যাংক অব জাপানের ডিসেম্বর বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান এবং আক্রমণাত্মকভাবে ইয়েন কেনা শুরু করেন, যার ফলে এটির দর মার্কিন ডলার এবং অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে বৃদ্ধি পায়। মার্কেটের ট্রেডাররা উয়েদার এই মন্তব্যকে এমন সংকেত হিসেবে নিয়েছে যে, বহু বছর ধরে চলা অতিমাত্রায় নমনীয় আর্থিক নীতিমালার যুগ শেষের পথে রয়েছে। দেশজুড়ে বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং ইয়েনের আরও দরপতনের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। উয়েদা জোর দিয়ে বলেন, ব্যাংক অব জাপান মূল্যস্ফীতি এবং মজুরির হারের প্রবণতা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, এবং যদি তারা নিশ্চিত হন যে মূল্যস্ফীতি টেকসইভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাহলে নীতিমালায় পরিবর্তনের বিষয়টি তারা বিবেচনায় নিতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ হবে, যেহেতু তখন পর্যন্ত ব্যাংক অব জাপানের বোর্ড সদস্যদের হাতে বিশ্লেষণের জন্য আরও বেশি প্রতিবেদন থাকবে। "কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাব্য সুবিধা ও অসুবিধাগুলো পর্যালোচনা করবে এবং পরবর্তীতে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা, মূল্যস্ফীতি এবং অর্থবাজারের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে,"—সোমবার নাগোইয়া শহরে স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের সামনে এই মন্তব্য করেন উয়েদা। তিনি আরও যোগ করেন, "সুদের হারের যেকোনো বৃদ্ধি 'নমনীয় নীতিমালার মাত্রা' সংশোধনের প্রতিফলন হবে, কারণ প্রকৃত সুদের হার এখনও অনেক নিচু পর্যায়ে রয়ে গেছে।" ব্যাংকের অব জাপানের সুদের হার বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থবাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। জাপান বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ঋণদাতা দেশ, এবং উচ্চ সুদের হার অন্যান্য নিম্ন সুদের হারসম্পন্ন দেশ থেকে মূলধন বহির্গমনের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। এটি স্টক এবং বন্ডের মতো জাপানি অ্যাসেটের মূল্যেও প্রভাব ফেলতে পারে। একই সময়ে, সুদের হার বৃদ্ধির মাধ্যমে ইয়েনের মূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা ও দেশের অভ্যন্তরে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকেও মন্থর করতে পারে, কারণ উচ্চ সুদের হার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের ঋণ গ্রহণের খরচ বাড়িয়ে তোলে। জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত নীতিমালার প্রেক্ষাপটে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সমর্থনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীন জোটের কিছু সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির অর্থনৈতিক উপদেষ্টারা মনে করছেন, মার্কেটে বিভ্রান্তি এড়াতে ব্যাংক অব জাপানের পক্ষ থেকে জানুয়ারি মাসে সুদের হার বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা আরও উপযুক্ত হবে, বিশেষ করে যখন দেশটির সরকার সম্প্রতি মহামারি-পরবর্তী সবচেয়ে বড় ব্যয়ের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। জানুয়ারির সিদ্ধান্ত উয়েদার পক্ষে প্রসঙ্গত বার্ষিক মজুরি আলোচনা (যা সাধারণত মার্চে সমাপ্ত হয়) থেকে প্রাথমিক প্রবণতা বিশ্লেষণের জন্য আরও সময় দেবে। তবুও, অব্যাহত উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল ইয়েন আগেভাগেই নীতিমালার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। USD/JPY-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 155.70-এর রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করাতে হবে। এতে তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 156.10-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট করানো যথেষ্ট কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হলো 156.70 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তাহলে মূল্য 155.40-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা যদি এতে সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেক হয়ে গেলে এটি ক্রেতাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে এবং USD/JPY পেয়ারের মূল্য 155.05-এর লেভেলে নেমে যেতে পারে, পরবর্তীতে সম্ভাব্যভাবে 154.70 পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/49Ubgsx
-
২ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1009752068.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল এবং এমনকি সারা দিন ধরে বেশ উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট হতেও দেখা গেছে। এই মুভমেন্টগুলো বোঝা সহজ ছিল না, কারণ দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি শুরু হয়েছিল এবং তারপরে উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটে। গতকাল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছিল ISM উৎপাদন কার্যকলাপ সূচক, যা সন্ধ্যার দিকে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়েও নেতিবাচক ছিল এবং এর প্রভাবে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটা উচিত ছিল। তবে, এই সূচকটি প্রকাশ হওয়ার আগেই ডলারের দরপতন শুরু হয়েছিল এবং পরে এটির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। এখানেই অযৌক্তিকতা রয়েছে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা ISM সূচক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই এটির নেতিবাচক ফলাফল সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিল। এর মাধ্যমে দিনের প্রথমার্ধে ডলারের দরপতন ব্যাখ্যা করা যায়। তারপরে, মুনাফা গ্রহণ শুরু হয়েছিল, যে কারণে ISM প্রতিবেদনের ফলাফল আসলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে শুরু করেছিল। যতক্ষণ এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের উপরে অবস্থান করে ততক্ষণ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/203012886.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি সুনির্দিষ্ট ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655-1.1666 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল, যা নতুন ট্রেডারদের শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ করে দিয়েছিল। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ৩৫ পিপ কমে গিয়েছিল, যার ফলে এই একটি ট্রেড থেকে বেশ ভালোই মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। সামগ্রিক মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি মার্কিন ডলারের জন্য বেশ নেতিবাচক রয়ে গেছে, তাই এখনও কেবল টেকনিক্যাল কারণে এই পেয়ারের দরপতন হতে পারে - দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং অব্যাহত রয়েছে। তবে, আমরা আশা করছি এই ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট শেষ হবে এবং ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে। মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা আবার 1.1571-1.1584 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া থেকে বাউন্স করলে মূল্যের 1.1655-1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। অন্যদিকে উল্লিখিত এরিয়ার নিচে কনসলিডেশন হলে মূল্যের 1.1527-1.1531-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। মঙ্গলবার দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, দুটিই ইউরোজোনে প্রকাশিত হবে। প্রথমে (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ) আমরা নভেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান এবং বেকারত্বের হার হাতে পাব। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে মুদ্রাস্ফীতির হার এখন ট্রেডারদের মনোভাবের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে না, তবে এখনও এটি ট্রেডারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।
Read more: https://ifxpr.com/48yKW4Q
-
৩ ডিসেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/116646536.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ: GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট মঙ্গলবার "শোক সভার" মত নিস্তেজভাবে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রথমত, কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের আরও একবার দরপতন লক্ষ্য করা গেছে। দ্বিতীয়ত, মার্কেটের ট্রেডাররা পূর্বে দু'বার সাপোর্ট হিসেবে বিবেচিত 1.3203 লেভেলটিকে কার্যত উপেক্ষা করেছে। তৃতীয়ত, একটি স্থানীয় রেঞ্জ গঠনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। চতুর্থত, গতকাল এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল ৪৩ পিপস। এই ধরনের পরিস্থিতিতে খুব বেশি আশাব্যঞ্জকভাবে ট্রেডিং করার সুযোগ ছিল না। তবুও উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে এখনও ব্রিটিশ পাউন্ড মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। তাই ধীরে হলেও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এই পেয়ারের মূল্য খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মনে হচ্ছে না এবং স্বল্প সময়ে লাভজনক ট্রেডিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে না। বরং, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট উপেক্ষা করে মন্থর ও ক্রমাগত "দুর্বল" মুভমেন্ট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1615093485.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল, তবে এই পেয়ারের মূল্যের মোট অস্থিরতার মাত্রা ৪৩ পিপসের মোট বিবেচনায় এই সিগন্যালগুলো থেকে লাভ করা বেশ কঠিন ছিল। 1.3203–1.3211 লেভেল এলাকায় দুইটি সেল সিগনাল গঠিত হয় এবং গভীর রাতে একটি বাই সিগনাল গঠিত হয়। উভয় সেল সিগনালের সময় এই পেয়ারের মূল্য সর্বোচ্চ ১৫ পিপসের মতো কমেছিল, যা থেকে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা সম্ভব হয়নি। তবে নতুন ট্রেডাররা যদি সন্ধ্যার আগেই তাদের শর্ট পজিশনগুলো ক্লোজ করে দিতেন, তাহলে কোনো লোকসানের সম্মুখীন হওয়ার কথা নয়, কারণ তখনই এটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, মার্কেটে আর কোনো বড় ধরণের মুভমেন্ট হবে না।
বুধবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো গঠিত হচ্ছে, তবে এটির মূল্য আবার একটি নতুন রেঞ্জে আটকে গেছে। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে মার্কিন ডলারের মূল্যের স্থিতিশীল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো মৌলিক কারণ নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকার প্রত্যাশা করছি। দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন বা রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্টের এখনো সমাপ্তি ঘটেনি, তবে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে গঠিত যেকোনো স্থানীয় প্রবণতা, পুনরায় বৈশ্বিক পর্যায়ে একই প্রবণতা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে। বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.3203–1.3211 এরিয়া থেকে নতুন ট্রেডিং সিগনাল গঠনে প্রত্যাশা করতে পারেন, যেটিকে এখন ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে দৃশ্যমান রেঞ্জের নিম্ন সীমা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যদি এই এরিয়া থেকে মূল্যের বাউন্স হতে দেখা যায়, তাহলে মূল্যের 1.3259-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। অপরদিকে, যদি মূল্য এই লেভেলের নিচে কনসলিডেট করে, তবে মূল্যের 1.3096–1.3107-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3211, 1.3259, 1.3329-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। বুধবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না অথবা কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে ISM পরিষেবা কার্যক্রম সূচক, ADP শ্রমবাজার প্রতিবেদন এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
Read more: https://ifxpr.com/3MzM8NM
-
৪ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1553885725.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা: EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট বুধবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে সামান্য একটি পুলব্যাকের পর পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। এটি মনে রাখা জরুরি যে, দৈনিক টাইমফ্রেমে 1.1400 এবং 1.1830 এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জ রয়েছে, যা গত পাঁচ মাস ধরে বজায় রয়েছে। এই সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিচের সীমানার কাছে এই পেয়ারের মূল্যের বিপরীতমুখী মোমেন্টাম শুরু হওয়ার পর, শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই রেঞ্জের উপরের সীমানার দিকে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। তাছাড়া, গত পাঁচ মাসে ইউরোর বিপরীতে ডলারের মূল্যের সঠিকভাবে করেকশন হয়নি এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলে, এই পর্যায়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাই বেশি। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ADP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের সংখ্যা 32,000 কমেছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক একটি ফলাফল। অন্যান্য প্রতিবেদনগুলোর (ISM ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক এবং শিল্প উৎপাদন) ফলাফল তুলনামূলকভাবে কিছুটা ভালো ছিলো; তবে, ১০ ডিসেম্বর ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরের শেষ বৈঠকে বসবে, তাই শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন এই মুহূর্তে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নন-ফার্ম পেরোল ও বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ফেডের বৈঠকের আগে প্রকাশিত হবে না, যার অর্থ হলো—ফেডারেল রিজার্ভ ADP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেবে, যেটির ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় দুর্বল এসেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1029887150.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, দিনের মধ্যে একটি মাত্র বাই সিগনাল গঠিত হয়েছে। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় এই পেয়ারের মূল্য 1.1655-1.1666 রেঞ্জ ব্রেক করে, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ দিয়েছে। তবে, এই পেয়ারের মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে উপরের দিকে যাওয়ার পর মূলত মুভমেন্ট থেমে যায়। তা সত্ত্বেও, আজ যদি এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে, তাহলে পুনরায় মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠন অব্যাহত রয়েছে। সামগ্রিকভাবে, মার্কিন ডলারের ক্ষেত্রে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অত্যন্ত নেতিবাচক রয়ে গেছে; তাই, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। এমনকি টেকনিক্যাল কারণগুলোও এখন ইউরোর পক্ষে কাজ করছে, কেননা দৈনিক টাইমফ্রেমে ফ্ল্যাট রেঞ্জ এখনও বিদ্যমান রয়েছে, যেটির নিম্নসীমা থেকে এই পেয়ারের মূল্যের বিপরীতমুখী মোমেন্টাম শুরু হওয়ার পর শীর্ষ সীমার দিকে মুভমেন্টের যৌক্তিক পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারে, নতুন ট্রেডাররা আবারও 1.1655-1.1666 এরিয়া থেকে ট্রেডিং করতে পারেন। এই এরিয়া থেকে এই পেয়ারের মূল্য বাউন্স করলে মূল্যের 1.1745-1.1754-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। অপরদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়ার নিচে কনসলিডেট করে, তাহলে মূল্যের 1.1584-1.1591-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে। আজ 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে: 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1571-1.1584, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, এবং 1.1970-1.1988। বৃহস্পতিবার ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই দুটি প্রতিবেদনের স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন হওয়ায় মার্কেটে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। আজ নতুন ট্রেডারদের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপরে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
Read more: https://ifxpr.com/3Md9zwt