-
৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2035999098.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। একদিকে, এর অর্থ হলো উভয় প্রধান কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের জন্য কোনও অতিরিক্ত চাপ নেই। অন্যদিকে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কারেকশন করার সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। তাই, কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে নতুন প্রযুক্তিগত সিগন্যালের প্রয়োজন। যেকোনো ক্ষেত্রেই, আজ কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের আশা করা যাচ্ছে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/728524046.jpg[/IMG]
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ফেডারেল রিজার্ভের মনিটারি কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে লরি লোগান, থমাস বারকিন, অস্টান গুলসবি ও অন্যান্য কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা নভেম্বরে সুদের হার ০.৫% কমানোর বিষয়টিকে সমর্থন করছেন, তবে সবাই নয়। তাই মার্কেটের ট্রেডাররা এই বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যে, আর কারা "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থানের পক্ষে আছেন। ফেডের যত বেশি সদস্য ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের পক্ষে থাকবে, ভবিষ্যতে ডলারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তত কমে যাবে। তবে এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই আসন্ন আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের পুরো চক্রটি আংশিক বা পুরোপুরি মূল্যায়ন করে ফেলেছে। ডলারের দরপতনের জন্য নতুন কোন কারণ নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। তবে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিনেও একই সুযোগ ছিল কিন্তু সেটি ঘটেনি। মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং নভেম্বর মাসে ফেডের সুদের হার ০.৫% কমানোর সম্ভাবনা ডলারের ওপর কোন চাপ সৃষ্টি করছে না। যদি কার্যকর সেল সিগন্যাল পাওয়া যায়, তবে কারেকশন ছাড়াই উভয় কারেন্সি পেয়ারের আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more:*https://ifxpr.com/4h0QmZU
-
২১ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1789001783.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই মার্কেটে মনোযোগ দেওয়ার মতো খুব বেশি কিছু নেই। খুব সম্ভবত আমাদের সামনে একটি শান্ত দিন রয়েছে, যেখানে মূল্যের ন্যূনতম পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে। এটি আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন করার একটি ভালো সুযোগ হতে পারে, তবে এই মুহূর্তে, কোনো পেয়ারের মূল্যই ট্রেন্ডলাইন ভেদ করতে পারেনি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1533769989.jpg[/IMG]
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি লরি লোগান এবং নিল কাশকারির ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ছাড়া বা সাম্প্রতিককালে ফেড থেকে নতুন কিছু প্রকাশিত না হলে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আমরা আর কী আশা করতে পারি? আমরা মনে করি FOMC-এর কর্মকর্তারা শুক্রবারের তাদের সহকর্মীদের মতোই মার্কেটে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবেন না। তারা সন্ধ্যার শেষের দিকে কথা বলবেন, এবং দিনের বেলা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা পরিকল্পিত নেই।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই পুনরায় দরপতন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি উভয় পেয়ারের মূল্যের ট্রেন্ডলাইন থেকে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তাহলে নতুন করে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, মূল্যের ভোলাটিলিটি কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং ফ্ল্যাট মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হতে পারে। মনে রাখবেন, ফ্ল্যাট মার্কেটে বেশিরভাগ সিগন্যালই ফলস হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সুতরাং, এমনকি মূল্য ট্রেন্ডলাইন ভেদ করলেও এটিকে ভবিষ্যৎ দর বৃদ্ধির নিশ্চয়তা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more:*https://ifxpr.com/4f8Oyfq
-
২২ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2067113111.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, যার মানে মার্কেটে পর্যবেক্ষণ করার মতো কোন প্রতিবেদন থাকবে না। তবে, গতকাল এই পরিস্থিতি মার্কেটে সারাদিন ধরে নিম্নমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে বাধা দেয়নি। অবশ্যই, এটা ভাবা বোকার মতো কাজ হবে যে আজকের পরিস্থিতি গতকালের মতোই হবে, তবে মার্কেটে এখনও শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, তাই সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছাড়াই ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি প্যাট্রিক হার্কার, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তব্যকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তাত্ত্বিকভাবে, এদের তিনজনই এমন কিছু নতুন তথ্য দিতে পারেন যা ইউরো এবং ডলারের এক্সচেঞ্জ রেটকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, এর সম্ভাবনা খুবই কম। ফেডের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে থাকেন এবং তাদের বক্তব্যের মধ্যে বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়। শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন। ক্রিস্টিন লাগার্ডও গত সপ্তাহের ইসিবির বৈঠকের পর মুদ্রানীতির বিষয়ে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে পারেন, মার্কেটের ট্রেডাররা ইসিবির বৈঠক থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য পেয়েছিল।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনের থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই আবারও নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। তবে উভয় পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা আবারও কম থাকতে পারে। লাগার্ডের বক্তব্য ইউরোর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় তিনি মুদ্রানীতির বিষয়ে মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য প্রদান করবেন বলে মনে হয় না।
Read more: https://ifxpr.com/4eStKZY
-
২৩ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2011152815.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। যুক্তরাষ্ট্রে আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি রাখা যেতে পারে, তবে এটি এতটাই গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন সূচক যে এর উপর ভিত্তি করে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া আশা করা বোকামি হবে। সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ছাড়াই ইউরো এবং পাউন্ড বিক্রি অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের কোনো সংকেত এখনও দেখা যায়নি।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের মূল মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যান এবং প্যাট্রিক হার্কারের বক্তৃতা রয়েছে, সেইসাথে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেনের বক্তৃতাও রয়েছে। তাত্ত্বিকভাবে, এই কর্মকর্তাদের যেকোনো একজন মার্কেটে নতুন তথ্য সরবরাহ করতে পারেন যা ইউরো এবং ডলারের মূল্যের প্রভাবিত করতে পারে। বাস্তবে, এর সম্ভাবনা কম। ফেডের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য দিয়ে থাকেন, এবং তাদের বক্তব্য প্রায়শই ভিন্ন রকম হয়। লাগার্ড গতকাল দুইবার বক্তৃতা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে ইসিবির সুদের হার 0.5% হ্রাসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না এবং সামগ্রিকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে। নতুন কোনো তথ্য ছাড়াই ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত রাখার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইন থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই নিম্নমুখী মুভমেন্ট ধীরে ধীরে চলমান থাকতে পারে। তবে, ভোলাটিলিটি আবারও কম থাকতে পারে। লাগার্ডের বক্তৃতা ইউরোকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে সন্দেহ রয়েছে যে তিনি মুদ্রানীতির বিষয়ে মার্কেটে মৌলিকভাবে নতুন কোনো তথ্য দিতে পারবেন কিনা, বিশেষ করে যেহেতু গত বৃহস্পতিবার থেকে ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।
Read more: https://ifxpr.com/4fad5AE
-
অ্যান্ড্রু বেইলি ব্রিটিশ পাউন্ডকে দরপতনের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না*
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1679017110.jpg[/IMG]
এই সপ্তাহে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির এক বা দুইবার বক্তব্য দেবেন। তবে, এটি পাউন্ডের জন্য কোন "লাইফলাইন" নিয়ে আসবে না। আমরা কেবলমাত্র ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নমনীয় অবস্থানের প্রত্যাশা করতে পারি, কারণ ইউরোজোনের মতোই যুক্তরাজ্যে দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে, যেখানে ইসিবি ইতোমধ্যেই তিনবার সুদের হার কমিয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কেবল একবার সুদের হার কমিয়েছে এবং এখনো পরিস্থিতির উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছে—বিশেষত তারা সেবাখাতে মুদ্রাস্ফীতি এবং কোর ইনফ্লেশনের কমার প্রত্যাশা করছে।
আসুন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দিকে আলাদাভাবে নজর দিই। আমেরিকার অর্থনীতি চাঙ্গা রয়েছে এবং কোন মন্দার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে, ব্রিটিশ অর্থনীতি গত দুই বছর ধরে প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেনি। তবুও, অনেক বিশেষজ্ঞ ব্রিটিশ অর্থনীতির সামান্য প্রবৃদ্ধিকে "কঠিন পরিস্থিতিতে পুনরুদ্ধার" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, যখন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে "অর্থহীন" হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন, কারণ তারা যেকোনো সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হবে বলে মনে করতেন। এখন আমরা বছরের শেষ দিকে এসে পৌঁছেছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়নি। সুতরাং, মার্কেটের ট্রেডাররা শুরুতেই এই দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপারে ভুল মূল্যায়ন করেছিল এবং এখন তাদের কাছে ভুলগুলো সংশোধন করার জন্য কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, আমরা পুরোপুরিভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের অব্যাহত দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি ৭১ পিপস, যা পাউন্ড/ডলার পেয়ারের জন্য "গড়" হিসেবে বিবেচিত হয়। অক্টোবর ২৪, বৃহস্পতিবারে আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2990 এবং 1.2848 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি উপরের দিকে যাচ্ছে, যা নির্দেশ করে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। দরপতনের আগে সিসিআই ইন্ডিকেটর ছয়বার বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছিল। সম্প্রতি, এই ইন্ডিকেটরটি ওভারসোল্ড এরিয়াতে প্রবেশ করেছে এবং বেশ কয়েকটি বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে, যা এই ইঙ্গিত দেয় যে সামনে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.2909 S2 – 1.2878 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.2939 R2 – 1.2970 R3 – 1.3000
Read more:*https://ifxpr.com/4dZs0wN
-
সাপ্তাহিক পর্যালোচনা: অক্টোবরের উষ্ণ সমাপ্তি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/517397031.jpg[/IMG]
চলতি সপ্তাহটি অক্টোবরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সপ্তাহগুলোর একটি হতে। চলতি মাসের শেষভাহে ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় অঞ্চলেই EUR/USD পেয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সপ্তাহের শেষের দিকে এই পেয়ারের মূল্য 1.07 ফিগারের বেসের কাছাকাছি আসবে এবং 1.0700 লেভেলের নিচে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে অথবা এটির মূল্য 1.0840-1.0950 রেঞ্জে ফিরে যেতে পারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে 1.10 ফিগারের দিকে দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার
সোমবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, যেখানে প্রধান আকর্ষণীয় ইভেন্ট হিসেবে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) সহ-সভাপতি লুই ডে গুইন্ডোসের বক্তব্য রয়েছে। অক্টোবরের শুরুর দিকে তিনি ইউরোপীয় অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে "নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিসমূহ অব্যাহত রয়েছে" তবে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম "সময়ের সাথে সাথে শক্তিশালী হওয়া উচিত।" যদি তিনি পুনরায় এই ধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন, তবে ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও, সোমবারে কারেন্সি মার্কেটের ট্রেডাররা কীভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে আমরা সেটি দেখতে পারব। সপ্তাহান্তে, ইসরায়েল ১ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানে আক্রমণ চালায়। ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনার উপর আঘাত হানে, কিন্তু তেল এবং পরমাণু স্থাপনাগুলো এড়িয়ে যায়, যা তেলের দামের ঊর্ধ্বগতিকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। ইরানের প্রতিক্রিয়া দেখা এখনও বাকি আছে, ইরানি মিডিয়া পাল্টা প্রতিশোধের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যখন স্কাই নিউজ আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে ইরান তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে যে তারা ইসরায়েলের হামলার পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকবে।। মার্কেটে এই ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা এখনও অজানা।
মঙ্গলবার
মঙ্গলবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কনফারেন্স বোর্ড কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা প্রধান আকর্ষণীয় ইভেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে সূচকটি ৯৮.৭ এ হ্রাস পায়, এবং অক্টোবরে এই সূচক ৯৯.২ হবে বলে পূর্বাভাস০ দেয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে JOLTS কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা প্রকাশিত হবে। জুন এবং জুলাইয়ে দুই মাস পতনের পর, আগস্টে অপ্রত্যাশিতভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়ে 8.04 মিলিয়ন হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা ৭.৯২ মিলিয়ন পর্যন্ত হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এটি পূর্বাভাসের থেকে অনেক বেশি বা কম হয় তবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে পারে।
বুধবার
বুধবারে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রান্তিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক প্রতিবেদন হাতে পাব। পূর্বাভাস অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.০% হবে, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। দেশটির জিডিপি এই স্তরে পৌঁছানো বা তা অতিক্রম করা ডলারের ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে যেকোনো ধীরগতির ফলে ফেডের আরও আক্রমণাত্মকভাবে নীতিমালা নমনীয়করণের প্রত্যাশা পুনরুজ্জীবিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার
বৃহস্পতিবারও EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ইউরোপীয় সেশনে, ইউরোজোনে গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, অক্টোবরের মোট CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সেপ্টেম্বরে ১.৭% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৯% এ উন্নীত হবে। সাধারণত ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধি ইউরোর জন্য ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে যদি মুদ্রাস্ফীতি ইসিবির লক্ষ্যমাত্রার (২% এর বেশি) উপরে যায়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা শক্তিশালী "ঊর্ধ্বমুখী র্যালি" শুরু করতে পারে। উল্লেখ্য যে, মূল সূচকটি নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাতে পারে এবং ২.৬% এ নেমে আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি কোর CPI ভা মূল ভোক্তা মূল্য সূচক ও পূর্বাভাসের বিপরীতে বৃদ্ধি পায়, তবে ইউরো আরও উল্লেখযোগ্য সমর্থন পাবে। মার্কিন সেশনে, মূল PCE সূচক প্রকাশিত হবে, যা ফেড ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। এই সূচকটি টানা দুই মাস (জুন এবং জুলাই) ২.৬% এ ছিল, তবে আগস্টে এটি ২.৭% এ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেপ্টেম্বরেও এটি ২.৭% এ থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদি এই সূচক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করে, তবে ডলারের ক্রেতারা আরও সুবিধা পেতে পারে, বিশেষত যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোর CPI এবং PPI সূচক বাড়ছে।
শুক্রবার
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে ট্রেডারদের মনোযোগ অক্টোবরের ননফার্ম পে-রোল (NFP) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর থাকবে। গত মাসে, মার্কিন শ্রমবাজার ডলারকে উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রদান করেছিল, কারণ সেপ্টেম্বরের ননফার্ম পে-রোল (NFP) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সমস্ত উপাদানই প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ছিল। অক্টোবরের প্রতিবেদনের ফলাফল হয় এই প্রবণতাকে নিশ্চিত করবে, অথবা প্রত্যাখ্যান করবে। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন মার্কিন বেকারত্বের হার ৪.১%-এ স্থির থাকবে। তবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার দুর্বল থাকতে পারে এবং মাত্র +১১১,০০০ নতুন কর্মসংস্থান যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে, সেপ্টেম্বরে এই বৃদ্ধি ছিল ২৫০,০০০। এডিপি থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের দুর্বল পূর্বাভাসের কারণে, যদি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ১,০০,০০০ এর নিচে নেমে আসে, তবে ডলার ব্যাপক চাপের মুখে পড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সূচক গড় ঘণ্টাপ্রতি আয় বৃদ্ধির সূচকটি সেপ্টেম্বরের ৪.০% স্তরে স্থির থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ডলার ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য, এই সূচকটি অবশ্যই ৪%-এর নিচে নামা উচিত নয়। শুক্রবারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হল ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক, যা ৪৭.২ থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭.৫ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র তখনই এই সূচকটি ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে যদি এটি অপ্রত্যাশিতভাবে সম্প্রসারণ অঞ্চলে প্রবেশ করে এবং ৫০-পয়েন্টের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে।
উপসংহার চলতি সপ্তাহটি অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনায় পরিপূর্ণ। গুরত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উচ্চমাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার কারণ হতে পারে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরিস্থিতি বিক্রেতাদের জন্য খুব বেশি অনুকূল নয়। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, জার্মানি এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি ত্বরান্বিত হবে, যখন মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতি নেতিবাচক হতে পারে। যদি গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের সাথে মিলে যায়, তবে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা শক্তিশালী হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে, যা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.09 রেঞ্জের মাঝামাঝি (1.0950 – সাপ্তাহিক চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের মধ্যম লাইন, যা কিজুন-সেন লাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ) এর দিকে পৌঁছে দিতে পারে। তবে, যদি ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হয় এবং ননফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ফলাফল "ইতিবাচক" আসে, তবে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে আরও তীব্রভাবে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0720 এর সাপোর্ট লেভেলের (D1 টাইমফ্রেমের বলিঙ্গার ব্যান্ডের নিম্ন লাইন) দিকে নেমে যেতে পারে এবং 1.06 রেঞ্জ টেস্টের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
Read more:*https://ifxpr.com/3Ur0Urc
-
২৯ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/712330842.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে জার্মানির GFK কনজিউমার কনফিডেন্স সূচক, যা উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে না, কারণ এটি অপেক্ষাকৃত ছোটখাট একটি প্রতিবেদন। তবে দ্বিতীয় প্রতিবেদন বেশি গুরুত্ব বহন করে: এটি যুক্তরাষ্ট্রের সেপ্টেম্বরের JOLTs কর্মসংস্থান সৃষ্টি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। আগস্টের তুলনায় এই প্রতিবেদনের ফলাফল সামান্য নিম্নমুখী হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে, তবে যেহেতু সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার কমেছে, তাই JOLTs-এর মূল পরিসংখ্যানের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যেতে পারে। এটি আজকের একমাত্র প্রতিবেদন যা মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নতুন কোনো বক্তব্য অনুষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা নেই, যদিও বর্তমানে সেগুলো বিশেষ প্রয়োজনীয় নয়, কারণ ইসিবির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে এখনও পাঁচ সপ্তাহ বাকি। ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও কোনো বক্তব্যের আশা করা হচ্ছে না, কারণ ৬-৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগে তারা আর্থিক নীতিমালা নিয়ে কোন ধরনের আলোচনা করতে পারবেন না।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিং, সম্ভবত ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, যখন ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বাস্তবে, আজ এই কারেন্সিগুলোর মূল্যের বিপরীতমুখী মুভমেন্ট দেখা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে, শুধুমাত্র JOLTs থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনই উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই, উভয় কারেন্সি পেয়ারের জন্য একই দিকনির্দেশনায় বাই বা সেল সিগন্যালের অপেক্ষা করা সম্ভবত বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত হবে, যেন সেগুলো একে অপরের বিপরীত না হয়।
Read more:*https://ifxpr.com/3BZeEmK
-
৩০ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1564353430.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে এবং এগুলোর সবগুলোই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং জিডিপি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ইউরোজোনে জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি প্রতিবেদনের পাশাপাশি ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আজ মার্কেটের বেশ কার্যকর মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপীয় সামষ্টিক প্রতিবেদন থেকে ইউরোর জন্য শক্তিশালী সমর্থনের আশা করা কঠিন, কারণ এই অঞ্চলের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্ভবত পূর্বাভাস ছাড়াবে না, এদিকে জার্মানির বেকারত্বের হার খুব প্রভাবশালী সূচক নয় এবং জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির সামান্য ত্বরণ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না। তবে, দুপুরের দিকে প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেট সেন্টিমেন্টকে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করতে পারে। আজ উভয় পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট হল ইসিবি'র ইসাবেল শ্ন্যাবেলের বক্তব্য। তবে, যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, ইসিবির কৌশল ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে: আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত থাকবে এবং ডিসেম্বরে সুদের হার আরও 0.25% কমানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই, শ্ন্যাবেল আজ নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন বলে মনে হচ্ছে না। যাই হোক না কেন, মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের দিকে নজর রাখবে।
উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করবে, ফলে পূর্বাভাস দেয়া কঠিন। আমরা মনে করি ইউরোপীয় সামষ্টিক প্রতিবেদন থেকে ইউরোর সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে মার্কিন প্রতিবেদনের মাধ্যমে সমর্থন পেলে তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে যদি সেগুলোর ফলাফল গতকালের JOLTs থেকে প্রতিবেদনের ফলাফল মতো হয়। তাই, ইউরো এবং পাউন্ডের ট্রেডাররা সম্ভাব্য সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের দিকে তাকিয়ে আছে।
Read more:*https://ifxpr.com/4fqXk8z
-
৩১ অক্টোবর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/958057788.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে বাস্তবিক অর্থেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন। গতকাল জানা গেছে, জার্মানির মূল্যস্ফীতি ২% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই আজ আমরা যুক্তিসঙ্গতভাবে আশা করতে পারি যে ইউরোজোনের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণের কথা ভাবতে পারে। যদি নভেম্বরেও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায়, তবে ইসিবি পরবর্তী কয়েকটি বৈঠকে সুদের হার হ্রাসে বিরতি গ্রহণ করতে পারে। এই পরিস্থিতি ইউরোকে সমর্থন যোগাবে। আমরা আশা করছি না যে এটি একাই ইউরোর মূল্যের দুই বছর ধরে চলা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরুজ্জীবিত করবে, তবে কমপক্ষে এটি একটি কারেকশনকে উদ্দীপিত করতে পারে। আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক, জবলেস ক্লেইমের সংখ্যা, এবং মার্কিনিদের ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন। আমরা মনে করি এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তবে PCE সূচকটির ফলাফল মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে বিশেষ কিছুই নেই। গতকাল জার্মানির মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল ডিসেম্বর মাসে ইসিবির সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, এবং আজকের ইউরোজোন মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন এ ব্যাপারে সঠিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে। ইসিবি বা ফেডারেল রিজার্ভের তরফ থেকে কোনো বিবৃতি নির্ধারিত নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনগুলোর ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভর করবে, যে সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন ইউরোকে সমর্থন করতে পারে, যখন পাউন্ডের জন্য আবারও কঠিন সময় আসতে পারে। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের PCE সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হলে পাউন্ডের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
Read more:** https://ifxpr.com/3NLmOSj
-
এই সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে কী আশা করা যায়
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1053359693.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে দরপতনের শিকার হচ্ছে, এবং এর জন্য কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা হ্রাসের স্পষ্ট লক্ষণ ছাড়াও, ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালাও মার্কিন ডলারের দুর্বলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে কাজ করছে। ফেডারেল রিজার্ভ এবং বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সপ্তাহে আবারও সুদের হার কমাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরপরই ঘটবে, যেটির ফলাফল এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে এবং ডলারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করছে। প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো, যারা বৈশ্বিক অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশের বেশি দায়িত্বে রয়েছে, এই সপ্তাহে সুদের হার নির্ধারণ করবে, এবং আগামী চার বছরের জন্য মার্কিন নীতিমালার সম্ভাব্য দিক সম্পর্কে কোনো দৃঢ় তথ্যের ওপর নির্ভর করবে। যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫ নভেম্বর নির্বাচনের আগে প্রায় সমান সমান অবস্থানে রয়েছেন, তখন ওয়াশিংটন থেকে লন্ডন পর্যন্ত নীতিনির্ধারকদের উপর চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার জয়ের সম্ভাবনা এক সপ্তাহ আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
নির্বাচনের বাইরেও, মার্কিন নীতিনির্ধারকরা ইতোমধ্যেই সেপ্টেম্বর মাসে সুদের ৫০ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের পর আরও ধীরে ধীরে সুদের হার কমানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। অর্থনীতিবিদরা সাধারণভাবে এই বৃহস্পতিবার সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাসের আশা করছেন, যার পরে ডিসেম্বরে আরেকবার সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। এই পদক্ষেপটি বোধগম্য, বিশেষ করে শুক্রবারের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পরে, যেখানে ২০২০ সালের পর থেকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সবচেয়ে দুর্বল হার পরিলক্ষিত হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ননফার্ম পেরোল কেবলমাত্র ১২,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং আগের দুই মাসের নিয়োগও পূর্বে অনুমানকৃতের চেয়ে দুর্বল ছিল, যা শ্রমবাজারের নেতিবাচক অবস্থা নির্দেশ করে। বেকারত্বের হার ৪.১% এ স্থির ছিল, যখন ঘণ্টাভিত্তিক মজুরির হার বেড়েছে। যদিও ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারা রাজনীতি থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন, তারা নির্বাচনের আগেই সুদের হার কমাতে শুরু করেছেন, যার ফলাফল সম্ভবত ভোটাররা অর্থনীতি সম্পর্কে কী অনুভব করেন তার ওপর নির্ভর করতে পারে। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সম্ভবত জোর দিয়ে বলবেন যে বর্তমান পরিস্থিতিতে তুলনামূলক কম কঠোর নীতি প্রয়োজন, কিন্তু তারপরও তিনি এবং তার সহকর্মীরা নতুন প্রশাসনের সমালোচনার শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও বিভিন্ন ঝুঁকির মুখোমুখি হচ্ছে—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি থেকে শুরু করে দীর্ঘস্থায়ী মুদ্রাস্ফীতি—যদি এর সঙ্গে ট্রাম্পের বিজয় এবং তার শুল্ক আরোপের হুমকি থেকে বৈশ্বিক বাণিজ্যের সম্ভাব্য আঘাতের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংক মঙ্গলবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাজ্য, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র এবং অন্যান্য দেশে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এসব বিষয় কারেন্সি মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে, এবং মার্কিন ডলারের পূর্বাভাস নেতিবাচক বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, ক্রেতাদের মূল্যের 1.0915 এর লেভেলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা প্রয়োজন। সেখান থেকে মূল্যের 1.0935 পর্যন্ত পৌঁছানো সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0955 এর সর্বোচ্চ লেভেল। যদি ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্টটির মূল্য কমে যায়, তবে 1.0860 এর আশেপাশে গুরুত্বপূর্ণ ক্রেতাদের কার্যক্রম আশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তাহলে 1.0830 এর নিম্ন লেভেলের টেস্ট বা 1.0810 থেকে লং পজিশন ওপেন করার জন্য অপেক্ষা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বর্তমান GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুসারে, পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.2995 এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র এটি 1.3040 এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে সক্ষম করবে, যার উপরে ব্রেক করা কঠিন হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3070 এর এরয়া, যার পরে 1.3100 এর দিকে এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র মুভমেন্ট নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে 1.2690 এ বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে সেটি ক্রেতাদের অবস্থানে উল্লেখযোগ্য আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.2925 এর নিম্ন লেভেলে পৌঁছে দেবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের 1.2885 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি করবে।
Read more: