-
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৮ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৪৫৩ ও ২৪০৭ পয়েন্টে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। বৃহস্পতিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪১টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৩৯টি কোম্পানির শেয়ারের দর। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো-বেক্সিমকো লিমিটেড, আলিফ ইন্স্যুরেন্স, ইসলামি ফাইন্যান্স, অ্যাপোলো ইস্পাত, মালেক স্পিনিং, ফুওয়াং সিরামিক, আইএফআইসি ব্যাংক, সাইনপুকুর, বেক্সিমকো ফার্মা ও ডেল্টা স্পিনিং। এর আগে লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইর সূচক বাড়ে ২৬ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1164031648.jpg[/IMG]
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৩৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ সময়ে ৭৮টি কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৩২টি কোম্পানির দর। অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টি কোম্পানির শেয়ারের দর।
-
1 Attachment(s)
আতঙ্কের দিনে পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়ে শত কোটি শেয়ার লেনদেন হল। প্রতিটি ব্যাংকের শেয়ারবাজারে তাদের বিনিয়োগসংক্রান্ত তথ্য দিনে দিনে জানাতে হবে-বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন নির্দেশনার আতঙ্কে ছিল পুঁজিবাজার। আজ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বিবি’র এমন নির্দেশনায় শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে তেমনটাই ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু উল্টোচিত্র দেখা গেছে পুঁজিবাজারে। সূচকের ব্যাপক উত্থানের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনেও রয়েছে দারুণ ইতিবাচক প্রভাব। সবচেয়ে ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে আজ ১৬ আগস্ট পুঁজিবাজারে শত কোটি শেয়ার লেনদেন করে যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ডে পরিণত হয়েছে। মূলত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের নতুন নির্দেশনা বাজার ভালো রাখতে সহায়তা করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
[ATTACH=CONFIG]15080[/ATTACH]
জানা যায়, আজ ১৬ আগস্ট ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৭৪ শতাংশ বা ৪৯.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৭৪৮.৯২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.৮০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৬৮.৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.০৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪২৭.৬২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টির, কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৫৪.৪০ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ১০১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬৩ শেয়ার ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫৪ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ৯২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.৬৯ শতাংশ বা ১৩৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৬৫০.১৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৭০টির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১১৬ কোটি ২২ লাখ ৮ হাজার ৯১২ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮০ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৬ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৪৩২ টাকা।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]15090[/ATTACH]
গত এক বছরে বিএসইসির বেশ কিছু সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ফলে দেশের পুঁজিবাজার তার হতাশাজনক অবস্থা থেকে ইতিবাচক ধারায় ঘুরে দাঁড়ায়। আস্থা ফিরে আসে বিনিয়োগকারীদের। ডিএসই ইনডেক্স ইতিমধ্যে রেকর্ড গড়েছে। সামনে আরও সুবাতাসের আভাস মিলছে পুঁজিবাজারে। ফলে বিনিয়োগকারীদের ধারণা ডিএসইএক্স ইনডেক্স ৮ হাজার যাবে। এতে করে দেশের পুঁজিবাজার নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে। পুঁজিবাজারে ৮ হাজার সূচক সময়ের দাবি, নতুন রেকর্ড সৃষ্টির আভাস! করোনাভাইরাসের মধ্যেও বিশ্ব পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ গ্রহণের রেশিও বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আরও নতুন উচ্চতায় উঠতে পারে দেশের শেয়ারবাজার এমনটাই ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা। এম সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী প্রভাষক কাজী হোসাইন আলী বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর বেশ কিছু ভালো উদ্যোগ গ্রহণের ফলে নতুন উচ্চতায় একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ইনডেক্স ৮ হাজার এখন সময়ের দাবি। বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৭ হাজার যাওয়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। বিএসইসির এক সিদ্ধান্তে সেটির অবসান ঘটেছে। এখন ডিএসইএক্স ইনডেক্স ৮ হাজার যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুঁজিবাজারে ২০১০ সালে সবচেয়ে বড় ধস হয়। এর আগে ২০০৯ সালে রমরমা ছিল পুঁজিবাজার। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও পুঁজিবাজারের অবস্থান আর ভালো হয়নি। মাঝে কয়েকবার বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। আবার নিম্নমুখী হয়েছে বাজার। অবশেষে দীর্ঘ এক যুগ পর পুঁজিবাজারে সুদিন ফিরেছে। এরপর দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে বাজার নিয়ে আবার ভাবতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক বাজারচিত্রে দেখা যায়, একই সঙ্গে বাড়ছে প্রায় সব ধরনের শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটদর। একই সঙ্গে বাড়ছে সূচক ও বাজার মূলধন, বর্তমানে যা রেকর্ড অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৯ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৭৪৮ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। ডিএসইর এ সূচকটি চালুর পর থেকে সর্বোচ্চ অবস্থানে ওঠে। এর আগে সূচক কখনও এ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। রের্কড পর্যায়ে রয়েছে ডিএসইর অন্যান্য সূচক। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ৯ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬৮ দশমিক ৮৩ ও দুই হাজার ৪২৭ দশমিক ৬২ পয়েন্টে।
এদিকে বর্তমানে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের বাজার মূলধন সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে ডিএসইর বাজার মূলধন রয়েছে পাঁচ লাখ ৪৯০ হাজার কোটি টাকা, যা আগে কখনও হয়নি। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বাজারে বর্তমান যে পরিস্থিতি রয়েছে, তা বিরাজ করলে অচিরে বাজার মূলধন ছয় লাখ কোটি টাকা হয়ে যাবে।
অন্যদিকে বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি এমন থাকলে অচিরে লেনদেন তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বাজার পরিস্থিতি ঠিক থাকলে সূচক কত হলে লেনদেন কত হচ্ছে, তা ভাবার বিষয় নয়। পুঁজিবাজারের ইতিহাসে মাত্র এক দিন তিন হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হতে দেখা যায়। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়। সেদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, এ সময়ের জন্য এটা অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। এবং এটা শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক। কারণ ইনডেক্স ৭ হাজার যাওয়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল। তারা ভেবেছিল মার্জিন হার রেশিও কমে গেলে একটা বিক্রির চাপ বাড়তে পারে। নতুন নির্দেশনার ফলে এখন বিনিয়োগকারীদের মাঝে অস্থিরতা বা অনিশ্চয়তা কাজ করবে না। এখন তারা স্বাভাবিক গতিতে বিনিয়োগের সাথে সর্ম্পকিত থাকবে।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত পুঁজিবাজারের সার্বিক যে পরিস্থিতি রয়েছে তাকে ভালো বলতে হবে। এখনও স্বাভাবিক রয়েছে পুঁজিবাজার। তবে খেয়াল রাখতে হবে, বাজার যেন ২০১০ সালের মতো না হয়। তেমন কোনো পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। কয়েক দিন আগে বিমা কোম্পানির শেয়ারদর একটু বেশি বেড়ে গিয়েছিল, এখন আবার দর কমছে। এটা স্বাভাবিক বাজারের লক্ষণ। তবে এর মাঝেও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের বিনিয়োগ করতে হবে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে। একই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো পর্যায়ে রয়েছে। লেনদেন যা হচ্ছে তাও সন্তোষজনক। আমরা চেষ্টা করছি পুঁজিবাজার পরিস্থিতি যেন আরও ভালো হয়। এজন্য আমরা ভালো কোম্পানির আইপিওর অনুমোদন দিচ্ছি। সবমিলে পুঁজিবাজারের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের পর থেকে ক্রমেই ভালো হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় অর্থাৎ ১৯৭১ সালে দেশের পুঁজিবাজারের অবস্থা থাইল্যান্ড ও কোরিয়ার সমান ছিল। এখন তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তবে আমরা শিগগিরই তাদের ধরে ফেলব।’ পৃথিবীর জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ উপমহাদেশ থেকে অর্জিত হয় জানিয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই মাটি সোনার মাটি। এখানে প্রাকৃতিক এবং খনিজ সম্পদে ভরপুর। এখানে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানবসম্পদ।’ পুঁজিবাজারের বর্তমান উন্নতি কারও একক অবদান নয় বরং সবার সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১০-১১ সালে কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে বেশিরভাগ শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ে। হুজুগে মেতে মৌলভিত্তি যাচাই না করে বিনিয়োগকারীরা এসব অতিমূল্যায়িত শেয়ার কেনেন। পরবর্তী সময়ে বাজারে পতন হলে তাদের বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হয়, যার মাশুল তারা আজও দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১০ সালের শেষদিকে যারা বিনিয়োগ করেছিলেন, তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সে সময় মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ডিএসইর সূচক প্রায় ১২০০ পয়েন্ট বেড়ে ৮৯১৮-এ অবস্থান করে। আর ডিএসইর লেনদেন গিয়ে দাঁড়ায় ৩২৪৯ কোটি টাকায়। কোনো কোনো শেয়ার ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত অতিমূল্যায়িত হয়ে পড়ে। এর পরপর বাজারে ধস নামে। ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর এক দিনের ব্যবধানে সূচকের পতন হয় ৬০০ পয়েন্ট। পরবর্তী সময়ে সূচক সাড়ে তিন হাজারের ঘরে নেমে যায়। লেনদেন চলে যায় ২০০ কোটি টাকার নিচে। সে সময় যারা অতিমূল্যায়িত শেয়ার কিনেছিলেন, তারা আজও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
-
1 Attachment(s)
টানা ৪ কার্যদিবস উত্থানের পর আজ কারেকশনের মধ্য লেনদেন শেষ করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বুধবার ১৮ আগস্ট সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ শেয়ার দর। দৈনিক লেনদেনেও রয়েছে নেতিবাচক প্রভাব। পুঁজিবাজারে আজ ৩৬.৯০ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ ১৮ আগস্ট ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.২৩ শতাংশ বা ১৫.৩২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৭৭১.৮৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৭৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৬৬.২৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪.৬৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪২৬.৮৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৩৬.৯০ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৮৩ কোটি ৭৭ হাজার ৬৮৫ শেয়ার ৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৫৭ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.১৪ শতাংশ বা ২৭.৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৭৪০.৬৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৩১টির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৪২ লাখ ১ হাজার ২০৯ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪৩ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৭ কোটি ২৮ লাখ ৩৪ হাজার ৭৩৪ টাকা।
[ATTACH=CONFIG]15105[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
আজ ২৩ আগস্ট সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার শেয়ার কেনার পরিমাণ যেমন বেড়েছে, বিক্রির চাপও ছিল। এতে দিনভর সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে এগিয়েছে লেনদেন। এদিন সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ার দর। দৈনিক লেনদেনেও রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব। পুঁজিবাজারে আজ ৬৫.৬৯ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সূচক ও লেনদেনে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৩২ শতাংশ বা ২২.২৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮৮৪.৬৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৭.১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৯৪.৪৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩.৬২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪৬৩.৫৬ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৩টির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৫৬.৬৫ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৮১ কোটি ৯৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫৯৩ শেয়ার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৪৯ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ২ হাজার ৭৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১.১৮ শতাংশ বা ২৩২.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৯ হাজার ৯৪৬.১৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ২১৬টির, কমেছে ৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ৮ লাখ ৫১ হাজার ৩৬০ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৮৮ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৩ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার ৪৭৭ টাকা।
[ATTACH=CONFIG]15151[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]15173[/ATTACH]
আজ ২৫ আগস্ট বুধবার পুঁজিবাজারে বীমা খাতের শেয়ারের প্রাধান্য দেখা গেছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত লেনদেনে প্রথম দুই ঘণ্টা শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ খাতের ৫০ শেয়ারের গড় শেয়ার দর ২.৬৫ শতাংশ দর বেড়েছিল। যা এ সময়ে অন্য যেকোনো খাতের তুলনায় বেশি ছিল। ১৩৫ শেয়ারকে গতকালের তুলনায় দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল ৩৮ শেয়ার। দুই ঘণ্টার লেনদেন শেষে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২১.৯৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬৯০৬.৬০ পয়েন্টে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
-
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রবিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন চলছে সূচকের মিশ্র প্রবণতার মধ্য দিয়ে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৮৪০ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৪৮৬ ও ২৪৪৮ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২৬৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এই সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৫টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টি কম্পানির শেয়ারের দর। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, সাইফ পাওয়ার, ফুওয়াং ফুড, জনতা ইনস্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক, লংকাবাংলা, রহিমা ফুড, আইসিবি, লাফার্জহোলসিম ও আমান ফিড।
লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইর সূচক বাড়ে ২০ পয়েন্ট। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে ২ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচকের গতি নিম্নমুখী দেখা যায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮৬১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এদিকে, লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৯৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/570825406.jpg[/IMG]
সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়ায়াল ফান্ডের ইউনিট। এই সময়ে ৪৯টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৫০টি কম্পানির দর। আর ৩২টি কম্পানির শেয়ারের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবস বুধ ও বৃহস্পতিবার নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববারেও সূচক ছিল নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে তিন কার্যদিবস ধরেই নিম্নমুখিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে পুঁজিবাজারে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারি কোম্পানির বিনিয়োগ কার্যক্রম তদন্ত করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের কারণে বাজারে কিছুটা রক্ষণাত্মক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা ছিল লক্ষণীয়।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত তিন কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬০ পয়েন্টের বেশি। এর মধ্যে গত সপ্তাহের বুধবার ৬ পয়েন্ট ও বৃহস্পতিবার ২৭ পয়েন্ট হারিয়েছে সূচকটি। আর চলতি সপ্তাহের রোববার ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় ২৮ পয়েন্ট। এদিন লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। অবশ্য কিছু সময় পর থেকে সূচকের বড় নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এতে দিন শেষে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়। রোববার দিন শেষে ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮২৩ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ৮৫১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। রোববার সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল , গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল , লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, আইডিএলসি লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারের।
এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত রোববার দিন শেষে ২ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৮৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ৪৮৭ দশমিক ২০ পয়েন্ট। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে এদিন ২ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ৪৫৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে। গত রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৪৬ কোটি ৮৯ লাখ ৭ হাজার টাকা, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ২ হাজার ২২৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৩১টির, কমেছে ২১৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৯টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1188718088.jpg[/IMG]
দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার সিএসসিএক্স সূচক দিনের ব্যবধানে ৫০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৮৯৯ দশমিক ১২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের কার্যদিবসে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ৯৪৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, কমেছে ১৮৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৩০টির বাজারদর। রোববার সিএসইতে মোট ৮২ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬৬ টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৮৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৩ টাকার।
-
আর মাত্র ৮৪ পয়েন্ট সূচক বাড়লেই সাত হাজার সূচকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করবে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার। অন্যদিকে ২০ হাজার সূচক স্পর্শ করে নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। বহু বছর একটি গতিশীল বাজার পেয়ে বিনিয়োগকারীরাও রয়েছে আনন্দে। আজ ১ সেপ্টেম্বর সপ্তাহের দ্বিতীয় উত্থানে লেনদেন শেষ করেছে পুঁজিবাজার। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ার দর। এছাড়া দৈনিক লেনদেনেও রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব। পুঁজিবাজারে আজ ৫১.৪৭ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
আজ ১ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৬৯ শতাংশ বা ৪৭.১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯১৬.৩৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৯৫.৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২০.৭৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪৭৪.৭২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯২টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৫১.৪৭ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৮৪ হাজার ৪১৬ শেয়ার ৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৩ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.৮৯ শতাংশ বা ১৭৮.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ১৭৬.০২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৭১টির, কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার ৬৩ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭১ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৪০ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ২২৩ টাকা।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1188718088.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
আজ ২ সেপ্টেম্বর সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে উত্থানে লেনদেন শেষ করেছে পুঁজিবাজার। এদিন সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ শেয়ার দর। এছাড়া দৈনিক লেনদেনেও রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব। পুঁজিবাজারে আজ ৬৩.৫৪ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.৯৪ শতাংশ বা ৬৪.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৯৮১.০৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১২.৯৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫০৮.৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২২.১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৪৯৬.৮৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৭৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৭টির, কমেছে ১০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৬৩.৫৪ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৯০৬ শেয়ার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪৫ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.৮৫ শতাংশ বা ১৭১.৪১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০ হাজার ৩২৮.১৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৩ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৮৩টির, কমেছে ১০৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৮৮ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৯০ টাকা। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯৯ কোটি ৫২ লাখ ৯০ হাজার ৬৩ টাকা। অর্থাৎ সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭৩ টাকা।
[ATTACH=CONFIG]15250[/ATTACH]