-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ২৯ জানুয়ারি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1659216090.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.0421 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। অল্প সময়ের মধ্যে 1.0421-এর লেভেলের দ্বিতীয় টেস্ট সংঘটিত হয়, তখন MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী এই পেয়ার ক্রয়ের সুযোগ তৈরি করে এবং ২০-পয়েন্টের মূল্য বৃদ্ধি ঘটায়। বর্তমান ফরেক্স মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে সতর্ক মনোভাব প্রতিফলিত হচ্ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা অপেক্ষা করছে, বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল বিশ্লেষণ করছে, যা EUR/USD পেয়ারের তারল্য (liquidity) এবং অস্থিরতার (volatility) উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। FOMC-এর বৈঠকের আগে, যা ঐতিহ্যগতভাবে বাজার পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে, ট্রেডাররা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গতকাল, বিক্রেতারা ইউরোর ওপর চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করলেও এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, কারণ মূল্য একটি শক্তিশালী সাপোর্ট লেভেলের সম্মুখীন হয় যা আরও নিম্নমুখী কারেকশন প্রতিরোধ করে। ট্রেডারদের মনোযোগ প্রধান অর্থনৈতিক সূচকের দিকে থাকবে, বিশেষ করে জার্মানির কনজিউমার ক্লাইমেট ইনডেক্সের দিকে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল বাজার পরিস্থিতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল উন্নতি নির্দেশ করে, তাহলে এটি ভোক্তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোকে আরও সমর্থন দেবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো ইউরোজোনের M3 মানি সাপ্লাই বৃদ্ধি। এই সূচকের বৃদ্ধি ঋণ কার্যক্রম ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখীতার সংকেত দিতে পারে, যা ইউরোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়াতে পারে। ব্যক্তিগত খাতে ঋণের বৃদ্ধি যদি M3 মানি সাপ্লাই বৃদ্ধির সাথে সমন্বিত হয়, তাহলে এটি ক্রেতাদের ইতিবাচক মনোভাব আরও দৃঢ় করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0491-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0453-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0491 পয়েন্টে গেলে, আমি লং পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0427-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0453 এবং 1.0491-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0427 এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0387-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0453-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0427 এবং 1.0387-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/42xYg85
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ৩০ জানুয়ারি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2058657780.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.0388 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। তবে, অল্প সময়ের মধ্যে 1.0388 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টটি ঘটে, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল। এটি বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 অনুসারে ট্রেডিংয়ের সুযোগ তৈরি করে, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য 35-পিপস বৃদ্ধি পায়। ইউরো এখনো চাপের মধ্যে রয়েছে এবং এটির মূল্য একটি সংকীর্ণ ট্রেডিং রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করছে, যা গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাবকে নির্দেশ করে। ফেডারেল রিজার্ভের গতকালের বৈঠকের পর, যেখানে ট্রেডারদের অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের কৌশল পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছিল, অনেক ট্রেডার ফরেক্স মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া আশা করেছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। আজ, ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোজোনের GDP প্রতিবেদন। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হারের ব্যাপারে আরও নমনীয় নীতি গ্রহণ করতে প্ররোচিত করতে পারে। এছাড়াও, এই অঞ্চলের কিছু দেশের অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদি অর্থনৈতিক সূচকের দুর্বলতা পরিলক্ষিত হয়, তাহলে এটি ইউরোর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে, অন্যদিকে ইতিবাচক ফলাফল ইউরোর প্রতি আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে। আজ, ইসিবি মূল সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে, যেখানে সুদের হার 2.9% এ নামিয়ে আনার প্রত্যাশা রয়েছে। ইসিবির সুদের হারের এই হ্রাস ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যা ইউরোর বিনিময় হার এবং বন্ডের ইয়েল্ডকে প্রভাবিত করতে পারে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল ইউরোজোনের অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করা, যা বর্তমানে প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতির সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে সুদের হার কবে কমতে পারে, সে সম্পর্কে ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমার দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি পরিকল্পনা 1 এবং 2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0476-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0433 এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0476 পয়েন্টে গেলে, আমি লং পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দর বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0414-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0433 এবং 1.0476-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0414 এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0370-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং সবেমাত্র নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0433-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0414 এবং 1.0370-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4aItIT5
-
৩১ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1140214555.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত জার্মানির প্রতিবেদনের ওপর ট্রেডারদের মনোযোগ থাকবে, যেখানে খুচরা বিক্রয়, বেকারত্ব, এবং মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যেহেতু দেশটির চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন আশানুরূপ ছিল না (সেইসাথে ২০২৪ সালের সামগ্রিক জিডিপি প্রতিবেদনও হতাশাজনক ছিল), তাই আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল আশা করা কঠিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যক্তিগত ভোগব্যয় (PCE) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এই প্রতিবেদন সাধারণত পূর্বাভাসের সাথে খুব বেশি পার্থক্য প্রদর্শন করে না। ফলে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে আমরা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির প্রত্যাশা করছি না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যানের বক্তৃতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, জেরোম পাওয়েল এবং ক্রিস্টিন লাগার্ড উভয়েই ইতোমধ্যে এই সপ্তাহে বক্তব্য দিয়েছেন, এবং তাদের বক্তব্যের প্রভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। পাওয়েল পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে ফেড খুব ধীরে সুদের হার কমাবে এবং ফেডের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো প্রভাব নেই। ক্রিস্টিন লাগার্ড নিশ্চিত করেছেন যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ২%-এর দিকে নিয়ে যেতে থাকবে। এই তথ্যই ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার জন্য যথেষ্ট, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কমছে, এবং মুভমেন্ট "ফেন্স" এবং "জিগজ্যাগ" আকৃতির মতো দেখাচ্ছে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংইয়ে মার্কেটে অত্যন্ত অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেড এবং ইসিবির বৈঠকের ফলাফল কার্যত উপেক্ষা করেছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে মূল্য স্থানীয় ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে রয়ে গেছে। একদিকে, ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলতে পারে। অন্যদিকে, মার্কেটে কি ইউরো এবং পাউন্ড কেনার জন্য কোন মৌলিক ভিত্তি রয়েছে?
Read more: https://ifxpr.com/42ARJJF
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/33539751.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0234 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। তবে, 20-পয়েন্ট দরপতনের পর এই পেয়ারের ওপর চাপ কিছুটা হ্রাস পায়। জার্মানি এবং ইউরোজোনের উৎপাদন খাতের চূড়ান্ত PMI সূচকের ইতিবাচক ফলাফল ইউরোর স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং আরও দরপতন রোধ করতে সহায়তা করেছে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরূপ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি ISM সূচক 50 পয়েন্টের ওপরে যায়, তাহলে এটি মার্কিন উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধির সংকেত দেবে, যা মার্কিন অর্থনীতি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের আশাবাদ বৃদ্ধি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং ইউরোর ওপর চলমান চাপের কারণে এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে। FOMC-এর সদস্য রাফায়েল বোস্টিকের বক্তব্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তার অর্থনীতি এবং মুদ্রানীতির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মন্তব্য ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে আরও ইঙ্গিত দিতে পারে। যদি তিনি সুদের হার উচ্চ স্তরে বজায় রাখার পক্ষে মত দেন, তাহলে এটি মার্কিন ডলারের শক্তিশালী মূল্য বৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। যেহেতু ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন যে ফেড গত সপ্তাহে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত বন্ধ রেখে সঠিক কাজ করেছে, তাই স্বল্প-মেয়াদে নীতিমালা শিথিলতার সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0317-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0267-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0317-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র আসন্ন মার্কিন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পরে আজ ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0235-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0267 এবং 1.0317-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0235-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0194-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে, বিশেষ যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক পরিসংখ্যানের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পর। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0267-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0235 এবং 1.0194-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3Q9Up9H
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ৫ ফেব্রুয়ারী
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/18427335.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0351-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি কোনো বাই ট্রেড এ এন্ট্রি করার সিদ্ধান্ত নেইনি এবং মার্কেটে অন্যান্য এন্ট্রি পয়েন্টের জন্য অপেক্ষা করিনি। গতকাল ডলারের মূল্য হ্রাস পেলেও, ট্রেডাররা মনে করেন যে এই দরপতন সম্ভবত অস্থায়ী হবে। এর কারণ হলো, মার্কিন অর্থনীতি অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং বাণিজ্য যুদ্ধ-সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলো, যা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ধাবমান করতে পারে। ডলারের দরপতন হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো ও কানাডার উপর শুল্ক স্থগিতের ঘোষণা। একই সঙ্গে, ফেডারেল রিজার্ভের সাম্প্রতিক মন্তব্য ট্রেডারদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে, যেখানে নমনীয় মুদ্রানীতি প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। আজ ইউরোজোনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল শক্তিশালী হয়, তাহলে এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে উৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে ইউরোর মূল্য ডলারের বিপরীতে এবং অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় বৃদ্ধি পেতে পারে। পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্সের (PMI) ইতিবাচক ফলাফল এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ইউরোজোনের পরিষেবা খাত পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষণ হতে পারে। তবে, বাহ্যিক কারণগুলো বিবেচনায় নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা বা নতুন করে মার্কিন বাণিজ্য শুল্ক আরোপ মার্কেটকে প্রভাবিত করতে পারে এবং PMI সূচকের শক্তিশালী ফলাফলের ইতিবাচক প্রভাবকে ক্ষুণ্ন করতে পারে। আজ ইউরোজোনে উতপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে। যদি সূচকটির ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে এটি মুদ্রাস্ফীতির চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেবে, যা ভবিষ্যতে আরও নমনীয় মুদ্রানীতি প্রণয়নের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। সামগ্রিকভাবে, আসন্ন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টের অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। আজকের ট্রেডিং কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0444-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0402-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0444-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পরে আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0369-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0402 এবং 1.0444-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0369-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0321-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোন সময় এই পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0402-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0369 এবং 1.0321-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3WPghuR
-
৬ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1769915583.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এগুলো সম্পূর্ণ উপেক্ষা করবে বলে মনে হচ্ছে। দিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হবে মার্কিন বেকারত্ব ভাতার দাবি সংক্রান্ত প্রতিবেদন—এছাড়া কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। তবে, একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট আজকের ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি প্রভাবিত করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের কথা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক এবং অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণ। ৯৯% সম্ভাবনা রয়েছে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেবে, যা পাউন্ডের দরপতনের কারণ হতে পারে। এছাড়া, বেইলি সম্ভবত হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন না, যা পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি করবে। আরেকটি বিবেচ্য বিষয় হলো গতকাল উপেক্ষিত অর্থনৈতিক প্রতিবেদন। তদুপরি, আজ ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির ভাষণ রয়েছে, যার মধ্যে জোয়াকিম নাগেল, ফিলিপ জেফারসন, ক্রিস্টোফার ওয়ালার, এবং মেরি ডালির বক্তব্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাদের পূর্ববর্তী মন্তব্য বিবেচনা করলে এটি স্পষ্ট যে ফেড এবং ইসিবির নীতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবি এখনো তাদের সুদের হার নিরপেক্ষ স্তরে নিয়ে যেতে চায়, আর ফেড আরও সতর্কতার সঙ্গে আর্থিক নীতিমালার বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখবে। উপসংহার: সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটে অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। নতুন ট্রেডারদের আজ টেকনিক্যাল সূচকের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল আজ বাজারের প্রবণতা নির্ধারণ করতে পারে, এবং দিনের মাঝামাঝি সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। স্বল্পমেয়াদে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে, নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। যদিও ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো শেষ হয়নি, তবে এই কারেকশনের মধ্যেও স্বল্পমেয়াদি দরপতনের সম্ভাবনা বিদ্যমান।
Read more: https://ifxpr.com/4hFLGsl
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ, ৭ ফেব্রুয়ারি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1542440041.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ টানা তিন দিন দর বৃদ্ধির পর বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের সামান্য দরপতন দেখা যায়। গতকাল খুব কম সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলকে মূলত উপেক্ষা করেছিল। ফলস্বরূপ, ইউরোপীয় মুদ্রা মূলত অপ্রভাবিত ছিল। তবে, খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করেছে। যদিও প্রতিবেদনটির ফলাফলকে সম্পূর্ণরূপে হতাশাজনক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যায় না, তবে এই সূচকের প্রকৃত পরিসংখ্যান আবারও প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল। ফলস্বরূপ, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে ইউরোর দরপতন এবার সম্পূর্ণরূপে ন্যায্য ছিল। শুক্রবারের ট্রেডিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে, আসুন প্রতি ঘণ্টার চার্টের প্রযুক্তিগত চিত্রটি তুলে ধরা যাক। প্রথমে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনও চলছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে এই কারেকশনটি প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক প্রবণতা হিসাবে প্রকাশ পেতে পারে এবং ঠিক এটিই ঘটছে। দ্বিতীয়ত, এই পেয়ারের মূল্য একটি ডিসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন অতিক্রম করেছে কিন্তু তারপরে আবার এটির নিচে নেমে গেছে, যা একটি ফলাফল ব্রেকআউটের ইঙ্গিত দেয়। তবে, আমরা বিশ্বাস করি যে ব্রেকআউটটি আসল। 1.0340–1.0366 জোন অথবা ক্রিটিক্যাল লাইন থেকে নতুন করে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করতে পারে। অবশ্যই, আজকের নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদন এবং মার্কিন বেকারত্বের হার এই পরিস্থিতিকে ব্যাহত করতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারকে সমর্থন করে, তাহলে শুক্রবার আমরা এই প্রত্যাশিত মুভমেন্ট দেখতে পাব। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, গতকাল মাত্র দুটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম ছিল। রাতারাতি, এই পেয়ারের মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইন অতিক্রম করেছিল, কিন্তু ইউরোপীয় সেশন শুরুর সময়, ট্রেডাররা সেল অর্ডার এন্ট্রি করতে পারত। এরপর মূল্য 1.0366-এ নেমে আসে, যেখানে দিনের সমস্ত মুভমেন্ট স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। প্রযুক্তিগতভাবে, এই লেভেল থেকে একটি রিবাউন্ড দেখা গিয়েছিল, তবে যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের মূলত শান্ত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1364890175.jpg[/IMG]
COT রিপোর্ট সর্বশেষ COT রিপোর্টটি ২৮ জানুয়ারী প্রকাশিত হয়েছে। চার্টটিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল; তবে, এখন নেট পজিশনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। দুই মাস আগে, কমার্শিয়াল ট্রেডারদের শর্ট পজিশনের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, যার ফলে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নেট পজিশনের সংখ্যা নেতিবাচক মানে পৌঁছায়। বাজার পরিস্থিতির এই পরিবর্তন এই ইঙ্গিত দেয় যে এখন ইউরো ক্রয়ের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে, ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে সমর্থন দিতে পারে এমন কোন মৌলিক কারণ নেই। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে ইউরোর মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট খুব কমই লক্ষণীয় এবং এটি কেবল একটি সাধারণ পুলব্যাক হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যদিও আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, তবে এটি ১৬ বছরের নিম্নমুখী প্রবণতার পরিবর্তন ঘটাবে না। বর্তমানে, লাল এবং নীল লাইনগুলো আপেক্ষিক অবস্থান অতিক্রম করেছে এবং পরিবর্তন করেছে, যা মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা প্রবণতা নির্দেশ করে। গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপে লং পজিশনের সংখ্যা 14,000 কমেছে, যেখানে শর্ট পজিশনের সংখ্যা 9,900 কমেছে। ফলস্বরূপ, নেট পজিশনের সংখ্যা আরও 4,100 টি কন্ট্র্যাক্ট হ্রাস পেয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1164384448.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে, মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে। আমরা মনে করি যে মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকবে, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৫ সালে মাত্র ১-২ বার সুদের হার কমানোর আশা করছে। এটি ট্রেডারদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি হকিশ বা কঠোর অবস্থান নির্দেশ করে। তবে, স্বল্পমেয়াদে, আমরা এক বা দুটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে ইউরোর দর বৃদ্ধির কোন শক্তিশালী কারণ নেই, তবে চলমান কারেকশন এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করছে। ৭ ফেব্রুয়ারির জন্য, গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হল: 1.0124, 1.0195, 1.0269, 1.0340-1.0366, 1.0461, 1.0524, 1.0585, 1.0658-1.0669, 1.0757, 1.0797, এবং 1.0843। এছাড়া, সেনকৌ স্প্যান বি (1.0437) এবং কিজুন-সেন (1.0327) লাইন পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে ইচিমোকু সূচকের লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, যা ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় বিবেচনা করা উচিত। সিগন্যালটি ভুল প্রমাণিত হলে সম্ভাব্য লোকসানের হাত থেকে সুরক্ষা পেতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত দিকে 20 পিপস মুভমেন্টের পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। শুক্রবার, ইউরোপীয় ইউনিয়নে জার্মানির শিল্প উৎপাদনের উপর শুধুমাত্র স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বিপরীতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নন-ফার্ম পে-রোল, বেকারত্বের হার, মজুরি এবং কনজিউমার সূচক সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ফলস্বরূপ, বিকেলে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে এবং বাজার পরিস্থিতি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। উল্লেখিত প্রতিবেদনগুলোর প্রকৃত ফলাফল অনিশ্চিত হতে পারে এবং আগে থেকে পূর্বাভাস দেয়া যায় না।
Read more: https://ifxpr.com/4huTBZo
-
১০ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1716645096.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, আজ উভয় পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমাত্রার অস্থিরতা এবং "একঘেয়ে সোমবার" দেখা যেতে পারে—যেমনটি আমরা মার্কেটে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করিনি। আমাদের বিশ্বাস, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। দৈনিক টাইমফ্রেমে, এই কারেকশন এখনো দুর্বল মনে হচ্ছে। ফলে, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য মাঝারি মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে এটি শক্তিশালী বা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হলো ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ। তবে, সম্প্রতি ইসিবির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার ফলে লাগার্দের পক্ষ থেকে ট্রেডারদের চমকে দেওয়ার মতো নতুন কোনো তথ্য আসার সম্ভাবনা নেই। ইসিবি কর্মকর্তাদের নীতিগত অবস্থান পরিবর্তন করতে হলে নতুন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রয়োজন হবে, যা সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যমান অর্থনৈতিক প্রবণতা এবং ইসিবির নীতিগত অবস্থান ইতোমধ্যে স্পষ্ট।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, মার্কেটে অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে এটি দুর্বল থাকার সম্ভাবনাই বেশি। শুক্রবার, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন ডলার কেনার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেছিল। বৈশ্বিক পর্যায়ে এবং মাঝারি-মেয়াদেও বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করায়, মার্কেটে সম্ভবত এখনো কারেকশন হচ্ছে, যেখানে ট্রেডাররা শর্ট পজিশন জমা করছে। আমরা মার্কিন ডলারের মূল্যের আরেকটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি, তবে এটি শুরু হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত। চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/42PP4MC
-
১১ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1109413089.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুবই মন্থর মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। সারাদিন ট্রেডারদের জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ ছিল না। উইকেন্ডে, জানা যায় যে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়াম আমদানির উপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা "সমস্ত দেশের" জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে এই পদক্ষেপ বাস্তবায়নের সময়সূচি এখনো অস্পষ্ট। মার্কেটের ট্রেডাররা এবার তুলনামূলকভাবে শান্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছিল এবং গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছিল, তবে দৈনিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কম থাকায় গ্যাপ দ্রুত কভার হয়ে যায়। অতিরিক্তভাবে, সোমবার ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য নির্ধারিত ছিল, তবে খবর অনুযায়ী, তিনি কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেননি, যা প্রত্যাশিত ছিল। ফলস্বরূপ, EUR/USD পেয়ারের মূল্য মূলত স্থিতিশীল ছিল এবং ট্রেডাররা নতুন প্রভাবকের জন্য অপেক্ষা করছে। ইউরোর দরপতন অব্যাহত রয়েছে, তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/393795150.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, সোমবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.0334 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, তারপর প্রায় ২০ পয়েন্ট কমে যায়। এই নিম্নমুখী প্রবণতা আজও অব্যাহত থাকতে পারে, তাই এই ট্রেড হোল্ড করে রাখার এবং ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, বর্তমানে মাঝারি-মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আগেই সমাপ্ত হয়েছিল কিন্তু পুনরায় শুরু হয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারকে সমর্থন করছে, তাই ইউরোর আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন আরও কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। মঙ্গলবার, তুলনামূলকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং ইউরোর মূল্য যেকোন দিকেই যেতে পারে। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলসমূহ: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851। আজকের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে জেরোম পাওয়েলের কংগ্রেসে বক্তব্য প্রদান অনুষ্ঠান রয়েছে। এই ইভেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখনো স্পষ্ট নয় যে সিনেটররা ফেডের চেয়ারম্যানকে কী ধরনের প্রশ্ন করবে। কিছু প্রশ্ন বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত। চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/3QjRpYp
-
১২ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1362666242.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার, নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে, যদিও এর জন্য কোনো স্থানীয় মৌলিক কারণ ছিল না। দিনের একমাত্র নির্ধারিত ইভেন্ট ছিল মার্কিন কংগ্রেসে জেরোম পাওয়েলের ভাষণ, যা সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবুও, সারাদিন ধরে ইউরোর মূল্য স্থিরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কম ছিল, এবং মূল্যের সামগ্রিক মুভমেন্ট কিছুটা এলোমেলো মনে হয়েছে। হায়ার টাইমফ্রেমে, এটি স্পষ্ট যে এই পেয়ার মূলত সাইডওয়েজ প্রবণতা ট্রেড করছে, যদিও এই মুহূর্তে কোনো সুস্পষ্ট রেঞ্জ নির্ধারিত নেই। এ ধরনের মুভমেন্ট অবাক করার মতো নয়। আমরা কয়েক সপ্তাহ আগে উল্লেখ করেছিলাম যে দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশন প্রয়োজন, এবং কারেকশনগুলো সাধারণত মূল্যের জটিল কাঠামোর মাধ্যমে ঘটে, যা স্বল্পমেয়াদী মুভমেন্টকে বিশ্লেষণ করা কঠিন করে তোলে। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ফরেক্স মার্কেটে মূল্যের পরিবর্তনের জন্য সবসময় মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণের প্রয়োজন হয় না। তাই এই পেয়ারের মূল্যের সোমবারের মুভমেন্ট পুরোপুরি যুক্তিসঙ্গত না হলেও, এটি একেবারে অযৌক্তিকও ছিল না।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট মঙ্গলবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে কোনো কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়নি। শুধুমাত্র মার্কিন সেশনের শেষের দিকে (রাতের সময়) এই পেয়ারের মূল্য 1.0334–1.0359 রেঞ্জের উপরে কনসোলিডেট করেছে। তবে, রাতের বেলায় ট্রেডাররা সাধারণত নতুন পজিশন ওপেন করে না, এবং ব্রেকআউটটি দুর্বল ও অনির্ভরযোগ্য ছিল। ফলে, আমরা মনে করি না যে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট আজও অব্যাহত থাকবে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, বর্তমানে মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। যদিও স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছু সময়ের জন্য বাধাগ্রস্ত হয়েছিল, তবে তা পুনরায় শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি যে ইউরোর মূল্য আবারও হ্রাস পেতে পারে, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলো এখনো মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করছে। তবে, দৈনিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন আরও কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। বুধবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অস্থির ও অনিশ্চিত হতে পারে, কারণ কারেকশন এখনো চলমান রয়েছে। তাই ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল লেভেলগুলোর উপর নির্ভর করা উচিত। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে পর্যবেক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0156, 1.0221, 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, এবং 1.0845–1.0851। বুধবার, জেরোম পাওয়েল কংগ্রেসে তার দ্বিতীয় ভাষণ দেবেন। তার পূর্ববর্তী বক্তব্যে, তিনি সিনেট ব্যাংকিং কমিটির সামনে কোনো নতুন তথ্য উপস্থাপন করেননি, এবং আজকের বক্তব্য থেকেও উল্লেখযোগ্য কোনো অন্তর্দৃষ্টি পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, আজ মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হয়।
Read more: https://ifxpr.com/4jWqq2J