-
২৫ মার্চ কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/881674538.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0859–1.0861 এরিয়া থেকে বাউন্স করে এবং পরে 1.0797–1.0804 এরিয়া পর্যন্ত নেমে আসে। দ্বিতীয় এরিয়ার কাছাকাছি শর্ট পজিশন ক্লোজ করা যেত, কারণ সেখান থেকে মূল্য প্রথমে কিছুটা বাউন্স করেছিল। সামগ্রিকভাবে, সোমবারের ট্রেডিংয়ের মুভমেন্ট এটুকুই ছিল। এই ট্রেডটি লাভজনক ছিল এবং প্রায় ৩০–৪০ পিপস পর্যন্ত মুনাফা অর্জিত হয়। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, তবে এই প্রবণতার দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা এখন কমছে। যেহেতু মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো ইউরোর তুলনায় মার্কিন ডলারকে বেশি সমর্থন করছে, তাই আমরা এখনো এই পেয়ারের আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি। তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত এবং বিশ্বে মার্কিন আধিপত্য পুনর্গঠনের জন্য বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ডলারকে চাপের মধ্যে ফেলছেন। মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো রাজনৈতিক এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ছায়ায় ঢাকা পড়ে আছে, তাই এখনো ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির আশা করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ অনেকদিন পর মার্কেটের ট্রেডাররা মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ট্রেড করেছে (ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পর), এবং টেকনিক্যালি, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেল ব্রেক করে নিচের দিকে গিয়েছে। সম্প্রতি ডলার অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত বিক্রি করা হয়েছে এবং এটির মূল্যও কমেছে। তাই এখন একটি কারেকশনই যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0859–1.0861, 1.0888–1.0896, 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1048। মঙ্গলবার জার্মানিতে বিজনেস ক্লাইমেট বা ব্যবসায়িক আবহ সূচক প্রকাশিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিউ হোম সেলস বা নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। উভয়ই প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের বিশ্বাস, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল বর্তমানে চলমান কারেকশনকে ব্যাহত করবে না।
-
-
EUR/USD: সাপ্তাহিক পর্যালোচনা। ফেডের মে মাসের বৈঠক ও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের (সম্ভাব্য) বাণিজ্য আলোচনা
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1309925957.jpg[/IMG]
নতুন সপ্তাহটি EUR/USD ট্রেডারদের জন্য তথ্যবহুল হতে চলেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আগামী 6–7 মে নির্ধারিত ফেডারেল রিজার্ভের সভা, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ নীতিমালার রূপরেখা নির্ধারণ করবে। যদিও অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তবুও FOMC-এর বৈঠক এই সপ্তাহে মনোযোগের মূল কেন্দ্রবিন্দু হতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সমালোচনা করেছেন—ফলে এটি দেখা গুরুত্বপূর্ণ হবে যে ফেড তাদের অবস্থান বা মনোভাব কতটা পরিবর্তন করে, বিশেষ করে নীতিগত শিথিলতার সময়সূচি ও গতি নিয়ে। ট্রাম্পের মন্তব্য বাদ দিলেও, ফেড এখন একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে: একদিকে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক কমেছে: হেডলাইন ইনফ্লেশন 2.4%-এ পৌঁছেছে, এবং কোর ইনফ্লেশন 2.8%-এ নেমে এসেছে। তবে এটি মূলত শুল্ক আরোপের আগের পরিস্থিতিকে প্রতিফলিত করে, তাই বর্তমানে এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরও সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে: ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে প্রকাশিত জরিপে দেখা যাচ্ছে, ১ বছরের মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা 6.5%-এ পৌএছে—যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ। এদিকে, প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হ্রাস পেয়ে 0.3%-এ পৌঁছেছে, ভোক্তা আস্থা সূচক 86.0-তে নেমে এসেছে, এবং ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI কমে দাঁড়িয়েছে 48.7-এ। এপ্রিলের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে: কর্মসংস্থানের সংখ্যা ছিল 177,000—যদিও 133,000 পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি, তবে এটি পরপর চতুর্থ মাস যেখানে সূচকটি 200,000-এর নিচে রয়েছে। এছাড়া, দুই সপ্তাহ ধরে বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা বাড়ছে এবং সর্বশেষ সপ্তাহে তা 241,000-এ দাঁড়িয়েছে—যা ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এপ্রিলে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার সময় ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সতর্ক করেছিলেন যে, এই পদক্ষেপ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করবে, বেকারত্ব বাড়াবে এবং মুদ্রাস্ফীতিকে ত্বরান্বিত করবে—এবং তার সেই পূর্বাভাস ইতোমধ্যে আংশিকভাবে সত্য হয়েছে। তবে পাওয়েল এটাও বলেছিলেন যে, ফেড তাড়াহুড়ো করে সুদের হার কমাবে না। আমার দৃষ্টিতে, ফেড মে মাসের বৈঠকে নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত রাখবে এবং সতর্ক অবস্থান বজায় রাখবে। তারা অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাদ দিয়ে মুদ্রাস্ফীতিকে বেশি গুরুত্ব দেবে। কারণ নতুন শুল্ক আরোপের ফলে আমদানি-নির্ভর অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। যেহেতু চীনের সাথে এখনো কোনো বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়নি, তাই ফেড মে বা জুনে সুদের হার কমাবে না বলেই মনে হচ্ছে। এই প্রত্যাশা মার্কেটের ট্রেডারদের মনোভাবের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। CME FedWatch অনুযায়ী, মে মাসে ফেডের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সম্ভাবনা 97%, আর জুনে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 35%। ফেড যদি এই পূর্বানুমান অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে ডলার খুব বেশি প্রভাবিত হবে না। একদিকে এই সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে মূল্যায়ন করা হয়ে গেছে, অন্যদিকে ট্রেডাররা ফেডের বিবৃতির শব্দচয়ন এবং পাওয়েলের বক্তব্যের ওপর দৃষ্টি দেবে। যদি ফেড কোনো নেতিবাচক পূর্বাভাস দেয়, তবে ডলারের ওপর চাপ বাড়তে পারে। মে মাসের ফেডের বৈঠক হবে এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারিত ইভেন্ট। তবে এখানে 'নির্ধারিত' শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা এখন এমন এক ইভেন্টের অপেক্ষা করছে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত নয়—কিন্তু প্রত্যাশিত: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা। ট্রাম্প গত সপ্তাহে আলোচনায় বসার অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন। অপরদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে। যদি আগামী সপ্তাহেই আলোচনা শুরু হয়, তবে আলোচনার ফলাফল প্রকাশের আগে থেকেই মার্কেটে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। যদিও পরবর্তী সময়ে আলোচনা অচলাবস্থায় গেলে প্রবণতা উল্টে যেতে পারে (বিশেষত যদি আলোচনা না আগায় বা অচলাবস্থা দেখা যায়), তবুও প্রাথমিকভাবে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। তবে, যদি আলোচনা শুরু না হয়, তবে ডলারের ওপর চাপ বাড়তে পারে, এবং তখন ফেডের সিদ্ধান্তই হবে এ সপ্তাহের মূল অনুঘটক।
টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ: EUR/USD গত সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1260 সাপোর্ট লেভেল টেস্ট করার চেষ্টা করেছিল (4H চার্টে বোলিঙ্গার ব্যান্ডসের নিচের লাইন), তবে মূল্য 1.1300 লেভেলে থাকা অবস্থায় গত সপ্তাহের ট্রেডিং শেষ হয়েছে—টানা চতুর্থ শুক্রবার মূল্য এই রেঞ্জে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং ক্লোজ হয়েছে। যদি বিক্রেতারা 1.1260-এর নিচে কনসোলিডেশন ঘটাতে পারে, তবে মূল্য 1.1200-এর দিকে যেতে পারে। অন্যথায়, পেয়ারটি 1.1300–1.1400 রেঞ্জে ট্রেড করতে পারে।
-
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/3065788.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ার 1.1300-এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের নিচে দরপতনের শিকার হয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মের্জ নির্বাচিত হওয়ায় ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, যার ফলে ইউরো কিছুটা সহায়তা পাচ্ছে। অন্যদিকে, বুধবার ফেডারেল রিজার্ভ হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা সত্ত্বেও মার্কিন ডলার তাৎপর্যপূর্ণ সহায়তা পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। এটি EUR/USD পেয়ারের জন্য একটি অতিরিক্ত ইতিবাচক প্রেক্ষাপট তৈরি করছে। ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর মানে হচ্ছে, ফেড এখনই সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না। তবে, বাণিজ্য শুল্ক থেকে উদ্ভূত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ডলার ক্রেতাদের আরও সতর্ক ও রক্ষণাত্মক অবস্থানে নিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে দ্রুত পরিবর্তনশীল বাণিজ্য নীতির কারণে বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে বোয়িং বিমানের ওপর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাতে বাণিজ্য সংঘাত আরও বাড়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এটি EUR/USD পেয়ারের ক্রয়ের আগ্রহেও বাধা দিচ্ছে। আজ ট্রেডিংয়ের কার্যকর সুযোগ গ্রহণের জন্য মার্কিন সাপ্তাহিক বেকার ভাতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। মার্কিন সেশনের সময় ওভাল অফিস থেকে ট্রাম্পের একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে। পাশাপাশি, ইসিবির সুপারভাইজরি বোর্ডের সদস্য তুয়োমিনেনের বক্তব্য মার্কেটে ভোলাটিলিটি বাড়াতে পারে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ: যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1265 এর সাপোর্ট লেভেলের নিচে নেমে যায়, তাহলে পরবর্তী গন্তব্য হবে সাইকোলজিক্যাল লেভেল 1.1200। এই লেভেল ব্রেক করা হলে আরও গভীর দরপতনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। রেজিস্ট্যান্স লেভেল 1.1375-এ রয়েছে; এর ওপরে 1.1425-এ একটি সাপ্লাই জোন রয়েছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য এই জোনে কনসোলিডেট করতে পারে, তাহলে পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হতে পারে রাউন্ড লেভেল 1.1500, এবং সেখান থেকে গত মাসের উচ্চতা 1.1570 রিটেস্ট করার এবং সম্ভাব্যভাবে 1.1600 পর্যন্ত পৌঁছানোর প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে পারে। এখন পর্যন্ত দৈনিক চার্টের অসসিলেটরগুলো নেগেটিভ টেরিটরিতে প্রবেশ করেনি, যার মানে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবুও, স্বল্প সময়ের টাইমফ্রেমে মনোযোগ দেওয়া উচিত, যেখানে অসসিলেটরগুলো ইতোমধ্যে নেগেটিভ জোনে চলে গেছে।
-
EUR/USD. সাপ্তাহিক পর্যালোচনা। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার জন্য প্রস্তুত থাকুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/157955121.jpg[/IMG]
আগামী সপ্তাহে সকল ডলার পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিনিধিদের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। তৃতীয়ত, আমরা ফেডারেল রিজার্ভের অনেক কর্মকর্তার বক্তব্য শুনতে পাব, যার মধ্যে রয়েছেন জেরোম পাওয়েল, যিনি বৃহস্পতিবার বক্তব্য দেবেন। এই সমস্ত বিষয়গুলো ইঙ্গিত করছে যে, এ সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করবে। মূল আলোচ্য বিষয়: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আসন্ন আলোচনা। জেনেভায় অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠকের প্রাথমিক ফলাফলের পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনায় বসার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সুইজারল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি ও চীনের ভাইস-প্রিমিয়ার (অর্থনৈতিক বিষয়ক) মধ্যে একটি প্রাথমিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিধিত্বের স্তর বিবেচনায়, ট্রেডারদের মধ্যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে যে এই বৈঠক পূর্ণমাত্রার আলোচনার সূচনা হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাথমিক মন্তব্যগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায়, এই আশাবাদ অযৌক্তিক নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, চীনের সঙ্গে "বড় ধরনের অগ্রগতি" হয়েছে, যা "সম্পূর্ণ পুনর্গঠন"-এর দিকে যেতে পারে। তিনি বলেন, জেনেভার বৈঠকের ফলাফল "খুবই ভালো ছিল," এবং "অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হয়েছে ও অনেক বিষয়েই একমত হওয়া গেছে।" রবিবার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যদি চীন ট্রাম্পের এই আশাবাদী মনোভাবের প্রতিধ্বনি দেয় (বেইজিং এখনো শনিবারের বৈঠক সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি), তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা পাবে। যদিও পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য আলোচনা শুরু হতে সপ্তাহ বা মাস লেগে যেতে পারে, তবে স্বল্পমেয়াদে যেকোনো অগ্রগতি মার্কেটে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চার সপ্তাহের শুল্ক সংক্রান্ত অচলাবস্থার পর আলোচনায় গতি আসলে ডলারের পক্ষে অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তবে, যদি চীন জেনেভা বৈঠক সম্পর্কে শীতল প্রতিক্রিয়া জানায়, তাহলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। এটি পুরোপুরি সম্ভব, কারণ ট্রাম্প বা হোয়াইট হাউসের কোনো কর্মকর্তা সুইজারল্যান্ডে প্রথম দিনের আলোচনা নিয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি। জেনেভা থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতি আসেনি। তাই ডলারের ক্রেতাদের এখনই উদযাপন শুরু করা উচিত নয়: যদি আমরা ট্রাম্পের অত্যন্ত আশাবাদী বক্তব্য থেকে দূরে থাকি (যা তিনি দ্বিতীয় দফার আলোচনার আগেই দিয়েছেন), তাহলে বড় ধরনের অগ্রগতির সম্ভাবনা এখনো অস্পষ্ট। ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি হোয়াইট হাউস ও বিশেষ করে বেইজিংয়ের আনুষ্ঠানিক মন্তব্যের ওপর নির্ভর করবে। আলোচনা বাদে যেসব প্রতিবেদন EUR/USD পেয়ারকে প্রভাবিত করবে: যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। মঙ্গলবার, ১৩ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশিত হবে। যেহেতু এপ্রিলেই ট্রাম্পের শুল্ক পরিকল্পনা কার্যকর হয়েছে, ট্রেডাররা মূল্যায়ন করবেন, এই শুল্কগুলো কত দ্রুত ও কতটা উল্লেখযোগ্যভাবে মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব ফেলেছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে ২.৪%-এ থাকবে, এবং কোর CPI ৩.০%-এ পৌঁছাতে পারে (পূর্ববর্তী মাসে এটি ছিল ২.৮%)। বৃহস্পতিবার, ১৫ মে যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি বিষয়ক সূচক—প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে। এখানেও একই ধরনের ফলাফল প্রত্যাশিত: সামগ্রিক PPI বা উৎপাদক মূল্য সূচক পূর্ববর্তী মাসের মতো ২.৭% থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং কোর ইনডেক্স কিছুটা বাড়বে ৩.৫%-এ (আগের মাসে ছিল ৩.৩%)। শুক্রবার, ১৬ মে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মূল্যস্ফীতি বিষয়ক সূচক প্রকাশিত হবে: ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভোক্তা আস্থা সূচক। চার মাসের টানা পতনের পর, এই সূচকটি মে মাসে (৫৩.১) কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে প্রত্যাশা। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে ইনফ্লেশন এক্সপেকটেশন ইন্ডিকেটর বা মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা সূচকের ওপর, যা মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা হিসাব করা হয়। এপ্রিল মাসে এই সূচক ৬.৫%-এ পৌঁছায় (যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ)। যদি মে মাসেও এই প্রত্যাশা বেড়ে যায় (যদিও এখনো কোনো পূর্বাভাস দেয়া হয়নি), তাহলে ডলারের ক্রেতারা এটিকে নেতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে, কারণ তাহলে ট্রেডাররা আবারও স্ট্যাগফ্লেশন বা স্থবিরতার ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। তবে, মার্কিন ডলারের "মুভমেন্ট" মূলত জেনেভা বৈঠকের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সুইজারল্যান্ডে আলোচনার ভিত্তি নির্ধারণে একমত হয় এবং উত্তেজনা প্রশমনের পথে এগোয়, তাহলে ডলার অন্য সব সম্ভাব্য নেতিবাচক চাপ মোকাবিলা করতে পারবে। অর্থাৎ, তখন ভবিষ্যতের আলোচনার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মূল্যায়ন করা হবে। ধরে নেওয়া যাক, পূর্বাভাসের বিপরীতে CPI ও PPI যদি যথেষ্ট বেড়ে যায়, তবুও যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন আলোচনায় অংশ নেয়, তাহলে ট্রেডাররা হয়তো সেটিকে গুরুত্ব দেবে না। অন্যদিকে, যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রতিটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1333566544.jpg[/IMG]
আজ EUR/USD পেয়ার কিছুটা পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে এটি এখনও চাপের মুখে রয়েছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে। সপ্তাহান্তে, সুইজারল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আওতায় শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—যা বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দেয়। এই চুক্তির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর শুল্ক 145% থেকে কমিয়ে 30%-এ নামিয়ে আনবে এবং চীন আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক 125% থেকে কমিয়ে 10%-এ আনবে। এই অগ্রগতি মার্কেটে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক স্থিতিশীল করার দিকে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আজ ট্রেডিংয়ের জন্য ভালো সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে ট্রেডারদের নর্থ আমেরিকান সেশনে প্রকাশিতব্য এপ্রিল মাসের মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রতিবেদনের দিকে নজর রাখতে হবে। অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিচ্ছেন যে, মাসিক ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতি -0.1% থেকে বেড়ে 0.3%-এ পৌঁছাতে পারে, এবং কোর CPI-ও 0.1% থেকে বেড়ে 0.3% হতে পারে। তবে বার্ষিক ভিত্তিতে এই সূচকগুলো অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। অপরদিকে, ইউরো এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে, কারণ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতার প্রতিক্রিয়ায় তাদের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ আরও দীর্ঘায়িত করতে পারে বলে ধারণা জোরদার হচ্ছে। সম্প্রতি ইসিবি একাধিক কর্মকর্তা চলমান বাণিজ্য অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতার কথা উল্লেখ করে সুদের হার আরও কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে, গত শুক্রবার স্ট্যানফোর্ডে ইসিবির নির্বাহী বোর্ড সদস্য ইসাবেল স্নাবেল তার বক্তব্যে কিছুটা সতর্ক অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে সুদের হার যথাযথ রয়েছে এবং তা নিরপেক্ষ পর্যায়ে থাকা উচিত। পাশাপাশি তিনি মাঝারি মেয়াদে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির কথা বলেও সতর্ক করে বলেন, যা চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে ইসিবির 2% এর লক্ষ্যমাত্রাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ফলে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যত মুভমেন্ট মূলত নির্ভর করবে বাণিজ্য আলোচনার ফলাফল, আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং ইসিবির মুদ্রানীতির সংকেতগুলোর উপর। ট্রেডারদের এই বিষয়গুলোর দিকেই নিবিড়ভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.1100-এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের ওপরে থাকতে সক্ষম হয়, তাহলে পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.11525-এর কাছাকাছি রয়েছে, যা 1.1200-এর রাউন্ড লেভেলের দিকে মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা নির্দেশ করে। তবে, দৈনিক চার্টে রিলেটিভ স্ট্রেন্থ সূচক (RSI) নেগেটিভ টেরিটরিতে থাকায় 1.1200-এর দিকে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাছাড়া, ঘন্টাভিত্তিক ও ৪-ঘন্টার চার্টে থাকা অসসিলেটরগুলো এখনও বিয়ারিশ জোনে রয়েছে।
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ১৯ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2085751624.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের বিশ্লেষণ শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে। যদিও ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দেখে মনে হতে পারে যে সারাদিন ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছিল, তবে প্রকৃতপক্ষে সারাদিনে মার্কিন ডলারের দর মাত্র ১৯ পিপস বেড়েছে—যা কার্যত বৃদ্ধি পেয়েছে বলার মতো পর্যাপ্ত নয়। সামগ্রিকভাবে, এখনো ধীর গতিতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় রয়েছে, যার পেছনে মৌলিক কারণ হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর ব্যাপারে অনাগ্রহ এবং বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া কাজ করছে। তবে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো ডলারের প্রতি সংশয়ী মনোভাব বিরাজ করছে, এবং কেবলমাত্র সামান্য পরিমাণে ডলারের ক্রয়-বিক্রয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডলারের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি। শুক্রবার ডলার বিক্রির পক্ষেই যুক্তি বেশি ছিল বলা যায়। ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি বা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদন—হাউজিং স্টার্টস, বিল্ডিং পারমিটস, এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স—সাধারণত মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। তবুও, এই তিনটি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল। তবুও, এই সময় ডলারের দর বেড়েছে, যা আবারও প্রমাণ করে যে বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি ও মার্কেটে পরিলক্ষিত মুভমেন্টের মধ্যে কোনো সুস্পষ্ট সম্পর্ক বিদ্যমান নেই। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে মাত্র একটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া গেছে। মার্কিন সেশনের সময়, মূল্য 1.1179–1.1185 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, এরপর নিম্নমুখী হতে থাকে এবং পরবর্তীতে মূল্য 1.1147-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়। এই লেভেলটি শর্ট পজিশন ক্লোজ করার জন্য উপযুক্ত ছিল, যার ফলে এই ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হয়েছে।
-
২ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/63226083.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার অনেকটাই স্থিতিশীলভাবে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। এটি মোটেও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি ছিল না, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব দুর্বল ছিল এবং বৃহস্পতিবার মার্কিন আদালত কর্তৃক ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বাতিল এবং সেই সিদ্ধান্ত ১৪ দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণার যাবতীয় তথ্য মার্কেটে ইতোমধ্যে মূল্যায়িত হয়েছিল। মনে করিয়ে দিই যে বৃহস্পতিবার মার্কিন বাণিজ্য আদালত প্রথমে ট্রাম্পের শুল্ককে অবৈধ উল্লেখ করে তা অবরুদ্ধ করেছিল, তবে পরে তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে, প্রথমে ডলারের মূল্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বৃদ্ধি পায়, এরপর তিনগুণ বেশি মাত্রায় দরপতন ঘটে। শুক্রবার মার্কেটে একটি কারেকশন দেখা যায় এবং বর্তমানে EUR/USD পেয়ারের মূল্য উচ্চ লেভেলের কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বজায় রাখছে। শুক্রবার জার্মানিতে প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল খুব একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেনি: মে মাসে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ২.১% ছিল। ট্রেডাররা আশা করেছিলেন দেশটির CPI কমে ২%-এ নামবে, কিন্তু তা ঘটেনি। যেকোনো পরিস্থিতিতে, বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1363930858.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। যেহেতু সেদিন প্রবণতাভিত্তিক নয় বরং সাইডওয়েজ মুভমেন্ট চলমান ছিল, তাই সিগন্যালগুলো খুব একটা আদর্শ ছিল না। তা সত্ত্বেও, এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে 1.1354–1.1363 এরিয়া ব্রেক করে এবং পরে মার্কিন সেশনের শুরুতে একই এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে। ফলে, নতুন ট্রেডাররা দুটি শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। দুর্ভাগ্যবশত, কোনো ক্ষেত্রেই পেয়ারটির মূল্য নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি, তবে উভয় ক্ষেত্রেই মূল্য অন্তত ১৫ পিপস সঠিক দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ওপেন করা ট্রেডগুলোর মধ্যে কোনোটি লোকসানে ক্লোজ হতো না। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের নিচে নেমে গেছে; তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে শুরু হওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অব্যাহত থাকতে পারে। মূলত, যেকোনো ইতিবাচক বা নেতিবাচক কারণ ছাড়াই ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকা মানেই মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। যদি ট্রাম্প আবার হুমকি-ধামকি, আল্টিমেটাম ও শুল্ক আরোপ/বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে শুরু করেন, তাহলে ট্রেডারদের সামনে ডলার বিক্রি করা ছাড়া খুব একটা বিকল্প থাকবে না। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বাতিল না করা মানেই বাণিজ্যযুদ্ধের পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকছে। সোমবার পুনরায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, যেহেতু ট্রেন্ডলাইন ইতোমধ্যেই ব্রেক হয়েছে। একই সঙ্গে, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, মার্কিন ডলারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ আপাতত নেই। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। সোমবার জার্মানি, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ISM সূচকের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখা গুরুত্বপূর্ণ।