-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1394156085.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও, বিকেলে এই পেয়ারের দরপতন হয়েছে। পূর্বে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, গতকালের ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট সামগ্রিকভাবে যৌক্তিক মনে হলেও, স্থানীয় সামষ্টিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুটা অসংগতিপূর্ণ ছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একই ধরনের অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখিয়েছে। সকালে, GBP/USD-এর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, যদিও যুক্তরাজ্যের একমাত্র প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যের পরিষেবা খাতের PMI সূচকের ফলাফল হতাশাজনক ছিল। বিকেলে, ADP এবং ISM থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল কারণে এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বগতির সম্ভাবনা ছিল, তবে তখন পর্যন্ত মূল্য ইতোমধ্যে নিম্নমুখী হতে শুরু করেছিল। তবুও, মাঝারি মেয়াদে পাউন্ডের এই দর বৃদ্ধি যৌক্তিক মনে হয়, কারণ এটি দৈনিক টাইমফ্রেমে তিন মাসের নিম্নমুখী প্রবণতার পরে একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।আজ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক এবং অ্যান্ড্রু বেইলির ভাষণ নির্ধারিত রয়েছে, যার ফলে দিনজুড়ে মার্কেটে উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সিদ্ধান্তসমূহ সম্ভবত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান প্রতিফলিত হবে। তবে, একবার এই বিষয়টি বাজারমূল্যে প্রতিফলিত হয়ে গেলে, পুনরায় পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ, ১০ ফেব্রুয়ারি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1823459569.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবার 1.2439 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। ফলে, আমি তখন পাউন্ড বিক্রি করিনি। পরে, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর, 1.2439 লেভেলের আরেকটি টেস্ট হয়েছিল, সেসময় MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নামা শুরুর করেছিল। এটি একটি সঠিক সেল এন্ট্রি নিশ্চিত করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্য 1.2392 এর লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছিল। ফেডারেল রিজার্ভের হকিশ বা কঠোর অবস্থান এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল কারণে মার্কিন ডলার আরও শক্তিশালী হচ্ছে, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ সুদের হার বজায় থাকার প্রত্যাশা (যা গত শুক্রবারের মার্কিন শ্রমবাজার প্রতিবেদন দ্বারা নিশ্চিত হয়েছে) ডলার-নির্ভর সম্পদগুলোর আকর্ষণ বাড়িয়েছে। ফলে, যুক্তরাজ্য থেকে মূলধন প্রবাহ কমছে এবং পাউন্ডের চাহিদা হ্রাস পাচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের সুদের হারের পার্থক্য পূরণ করতে যথেষ্ট নাও হতে পারে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পাউন্ড নিয়ে আস্থাহীনতা আরও বাড়াচ্ছে। যুক্তরাজ্য থেকে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, ফলে পাউন্ড ক্রেতাদের জন্য কোনো মৌলিক সমর্থন থাকছে না। এটি মার্কেটে অনিশ্চয়তার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে, কারণ আজকের ট্রেডিং শুধুমাত্র সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামগ্রিক ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতার উপর নির্ভর করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের যেকোনো বিবৃতি নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদগুলোর বিক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে, যার মধ্যে পাউন্ডও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং ভূরাজনৈতিক ঝুঁকির প্রতি ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণ করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1949190530.jpg[/IMG]
GBP/USD-এর দৈনিক ট্রেডিং কৌশল আজকের ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2444-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2418-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2444-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2394-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2418 এবং 1.2444-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2394-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2364-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2418-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2394 এবং 1.2364-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1661125005.jpg[/IMG]
সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের কারণে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য মার্কিন ডলারের বিপরীতে নতুন সাপ্তাহিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রতিবেদনের বেশিরভাগ উপাদান "ইতিবাচক" ছিল। GBP/USD পেয়ারের মূল্য বর্তমানে 1.25 লেভেল টেস্ট করছে। এছাড়া, মার্কেট সেন্টিমেন্ট এখন ক্রেতাদের পক্ষে কাজ করছে, যা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বৃদ্ধির প্রতিফলন ঘটায়। এর ফলে, নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত মার্কিন ডলার চাপের মুখে পড়েছে, যা পাউন্ডের মূল্যকে এই স্থানীয় উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের জিডিপি মাসিক ভিত্তিতে ০.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে—যা মে ২০২৩ সালের পর থেকে সবচেয়ে শক্তিশালী ফলাফল—যখন বেশিরভাগ বিশ্লেষক মাত্র ০.১% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। প্রান্তিক ভিত্তিতেও দেশটির জিডিপি ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে, যা ডিসেম্বরে ০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ০.২% হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও, প্রতিবেদন অনুযায়ী চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রান্তিক ভিত্তিতে ০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ০.১% সংকোচনের পূর্বাভাস ছিল। বার্ষিক ভিত্তিতে, দেশটির জিডিপি ১.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পূর্বাভাসিত ১.১% বৃদ্ধির তুলনায় ভালো ফলাফল। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, এই সূচক টানা চারটি প্রান্তিক ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার অর্থ ২০২৪ সালের পুরো সময়জুড়ে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ধীরগতিতে হলেও সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের পর থেকে গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী জিডিপি প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোও ইতিবাচক ছিল। ডিসেম্বর মাসে শিল্প উৎপাদন মাসিক ভিত্তিতে ০.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নভেম্বর মাসে ০.৫% হ্রাসের পর ফিরে এসেছে, যখন বিশ্লেষকরা মাত্র ০.২% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। উৎপাদন খাত ০.৭% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত বছরের আগস্টের পর প্রথমবারের মতো ইতিবাচক ফলাফল। তুলনামূলকভাবে, সেপ্টেম্বরে এই সূচক -১.০% ছিল। ডিসেম্বর মাসে নির্মাণ খাত বার্ষিক ভিত্তিতে ১.৫% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডিসেম্বরে সেবাখাত কার্যক্রম সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে, এই সূচক ০.২%-এ পৌঁছেছে, যা টানা দুই মাস শূন্যের স্তরে স্থির থাকার পর বৃদ্ধি পেয়েছে। মাসিক ভিত্তিতে, সেবাখাত সূচক ০.৪% এ পৌঁছেছে, যা মার্চ ২০২৪ সালের পর সর্বোচ্চ মান। উল্লেখ্য, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের জন্য সেবাখাতের মূল্যস্ফীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়, তাই এই খাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বৃদ্ধি ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য অতিরিক্ত সমর্থন প্রদান করেছে।
ব্রিটিশ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে স্থবির মূল্যস্ফীতির (stagflation) ঝুঁকি কমে এসেছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (BoE) আরও ধীরগতিতে মুদ্রানীতি শিথিল করতে পারে, যার ফলে সুদের হার কমানোর প্রতিটি ধাপের মধ্যে দীর্ঘতর বিরতি নেওয়ার সুযোগ থাকবে। সামগ্রিকভাবে, বৃহস্পতিবারের প্রকাশিত অর্থনৈতিক প্রতিবেদনটি নিঃসন্দেহে ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য ইতিবাচক। এছাড়া, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে বৈশ্বিক বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা (risk-on sentiment) সমর্থন করছে। তবে, পাউন্ডের শক্তিশালী অবস্থান সত্ত্বেও, ট্রেডাররা এমন বেশ কয়েকটি মৌলিক উপাদান সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে, যা মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করেছিল। উদাহরণস্বরূপ, বুধবার প্রকাশিত ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি টানা চার মাস ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানুয়ারিতে বার্ষিক ভিত্তিতে প্রধান CPI ৩.০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং কোর CPI ৩.৩% এ পৌঁছেছে, যা উভয়ই পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি ছিল। বৃহস্পতিবার, আরেকটি প্রধান মূল্যস্ফীতি সূচক, উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির গতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রধান PPI ৩.৫%-এ পৌঁছেছে—যা মার্চ ২০২৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃদ্ধি—এবং এটি টানা চার মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করেছে। যদিও কোর PPI সামান্য কমে ৩.৬%-এ নেমেছে (পূর্বে ৩.৭% ছিল), এটি এখনও বহু মাসের উচ্চতার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এছাড়াও, ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের সাম্প্রতিক মন্তব্যকেও উপেক্ষা করেছে। বুধবার মার্কিন সিনেটের সামনে এবং বৃহস্পতিবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস র সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, পাওয়েল পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে ফেড মুদ্রানীতি শিথিল করতে তাড়াহুড়ো করছে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই মন্তব্যগুলো শক্তিশালী CPI ও PPI প্রতিবেদনের প্রকাশের পর দেওয়া হয়েছে। পাওয়েল স্বীকার করেছেন যে ফেড এখনো মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি, যা ইঙ্গিত করে যে কঠোর নীতিমালা অনির্দিষ্টকালের জন্য বজায় রাখা হতে পারে। মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন এবং কংগ্রেসে পাওয়েলের বক্তব্য প্রকাশের পর, মার্চ এবং মে মাসের আসন্ন বৈঠকে ফেডের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার বিষয়ে ট্রেডারদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, জুন মাসে ফেডের 'অপেক্ষা-এবং-পর্যবেক্ষণের' (wait-and-see) পদ্ধতি অনুসরণের সম্ভাবনা ৬৫% পর্যন্ত বেড়েছে। এই পরস্পরবিরোধী মৌলিক পটভূমির কারণে, GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো সাম্প্রতিক মার্কিন অর্থনৈতিক ঘটনাগুলোর প্রতিফলন সম্পূর্ণরূপে বিবেচনায় নেয়নি, যা এই মুহূর্তে ধারাবাহিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণটার পূর্বাভাস দেয়া কঠিন করে তুলেছে। তাই, মার্কেটের বাইরে থাকা এবং আরও স্পষ্ট সংকেতের জন্য অপেক্ষা করাই বাঞ্ছনীয়।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2010009717.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2591 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি আদর্শ এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ৩০ পিপস বৃদ্ধি পেয়েছিল। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, বিশেষ করে জানুয়ারিতে দেশটির খুচরা বিক্রয় সূচকের উল্লেখযোগ্য হ্রাস, মার্কিন ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। স্বল্পমেয়াদে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, যদি না আসন্ন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায়। বিনিয়োগকারীরা, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থর হওয়ার আশঙ্কায়, ধীরে ধীরে তাদের বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দিকে স্থানান্তর করছে, যার মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ড অন্যতম। তবে, GBP/USD পেয়ারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা মূলত যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল এবং সাধারণভাবে স্থিতিশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। আজ যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, যার ফলে ওভারবট অবস্থায় থাকা পাউন্ডের মূল্যের পক্ষে গত সপ্তাহের উচ্চতা অতিক্রম করা কঠিন হতে পারে। তাই, লং পজিশন নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, কারণ বর্তমান রেঞ্জের মধ্যে কনসোলিডেশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, যদি পাউন্ডের মূল্য ব্রেকআউটের চেষ্টা করে, তাহলে গত সপ্তাহের উচ্চতা প্রধান পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেল হবে। পাউন্ডের মূল্য এই লেভেল শক্তিশালীভাবে ব্রেকআউট করে উপরের দিকে গেলে সেটি আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে, তবে আপাতত আমি এই সম্ভাবনার ব্যাপারে অনিশ্চিত। আজকের দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2646-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2604-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2646-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতায় পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2574-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2604 এবং 1.2646-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2574-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2535-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় GBP/USD পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2604-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2574 এবং 1.2535-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1216261236.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2615 লেভেল টেস্ট করেছিল, যা বিশেষ করে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শেষের দিকে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই, আমি পাউন্ড কেনার সিদ্ধান্ত নেইনি। ব্রিটিশ পাউন্ডের শক্তিশালী অবস্থান বজায় রয়েছে এবং এটির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বাধা সৃষ্টি করার মতো কোনো বড় প্রতিবন্ধকতা নেই, যা সাম্প্রতিক সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেলের আপডেটেও স্পষ্ট হয়েছে। আসন্ন যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন এই আশাবাদ আরও বাড়াতে পারে। বিনিয়োগকারীরা শ্রমবাজারের প্রতিবেদন নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করবে, এবং শক্তিশালী ফলাফল পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য সহায়ক হবে। বিপরীতে, যদি বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, মজুরি স্থবির থাকে বা হ্রাস পায়, এবং বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায়, তাহলে ভোক্তাদের আস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে। বিনিয়োগকারীরা এই সূচকগুলোর প্রতিক্রিয়ায় পদক্ষেপ নেবে, কারণ এগুলো যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ইতিবাচক ফলাফল ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতিতে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে বাধ্য করতে পারে, ফলে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত আরও বিলম্বিত হতে পারে। অন্যদিকে, নেতিবাচক ফলাফল ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান নিতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উদ্দীপিত করতে বাধ্য করতে পারে, যা পাউন্ডকে দুর্বল করতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে সমর্থন করতে পারে। আজকের দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা নং 1 এবং পরিকল্পনা নং 2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2635-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2607-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2635,-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2590-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2607 এবং 1.2635-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2590-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2564-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় GBP/USD পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2607-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2590 এবং 1.2564-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/957014908.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো GBP/USD পেয়ারের মূল্য স্থিতিশীল ছিল। বর্তমানে মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা ন্যূনতম অবস্থায় রয়েছে, যা পাউন্ডের মূল্যের উল্লেখযোগ্য কোনো দিকনির্দেশনামূলক মুভমেন্টকে বাধাগ্রস্ত করছে। যদিও ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্বল্পমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো বজায় রয়েছে, তবে পাউন্ডের আরও মূল্য বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী মৌলিক কারণ অনুপস্থিত। সামগ্রিকভাবে, এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশনের অংশ বলে মনে হচ্ছে। গতকাল, ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের জন্য আনুষ্ঠানিক কারণ ছিল। যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ফলাফল শুধুমাত্র "প্রত্যাশার তুলনায়ই ভালো" ছিল না, বরং "ব্রিটিশ কারেন্সির জন্যও ইতিবাচক" ছিল। পূর্বাভাসের বিপরীতে বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত ছিল এবং মজুরি বৃদ্ধির হারও প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ২০২৫ সালে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি নমনীয় করার গতি কিছুটা ধীর হতে পারে। তবে, এখনো এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী কারণ অনুপস্থিত। আজ, এক ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/967545083.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট মঙ্গলবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.2613 লেভেলের কাছাকাছি দুটি তুলনামূলকভাবে দুর্বল সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। নতুন ট্রেডাররা এই সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেড ওপেন করতে পারতেন, তবে উভয় ক্ষেত্রেই খুবই কম নিম্নমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যা সারাদিনের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। তবুও, এই পেয়ারের মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে, ফলে এসব ট্রেড থেকে কোনো লোকসান হয়নি।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2084303205.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য ওপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2595 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে। এই কারণেই, আমি পাউন্ড কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে এই পেয়ারের দরপতনের পর, 1.2571 লেভেলের আরেকটি টেস্ট হয়েছিল। তবে, সেসময় MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল, যা পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে। একমাত্র যুক্তিসঙ্গত বিকল্প ছিল পরিকল্পনা #2 অনুযায়ী এই পেয়ার কেনার জন্য অপেক্ষা করা, যা কিছুক্ষণ পরেই কার্যকর হয়। যখন 1.2571 লেভেলের টেস্ট হয় এবং MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, তখন একটি বাই এন্ট্রি ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যায়, যা পাউন্ডের মূল্যের 25-পিপস বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। গতকাল, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল প্রকাশের পর পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছিল, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের জন্য আরও গভীরভাবে পরিস্থিতি বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে। তবে, পাউন্ডের মূল্য সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে স্পেকুলেটিভ ট্রেডাররা সক্রিয়ভাবে মুনাফা গ্রহণ শুরু করে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, GBP/USD পেয়ারের উপর বিক্রির চাপ আরও বেড়ে যায়, যার ফলে মূল্য সাইডওয়েজ চ্যানেল ব্রেক করে নিচের দিকে নেমে আসে এবং আরও গভীর কারেকশনের সম্ভাবনা তৈরি করে। অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণে পাউন্ড চাপের মধ্যে রয়েছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করতে পারে এবং কারেন্সিটির মূল্যের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে। আজ, দিনের প্রথমার্ধে কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (CBI) থেকে CBI ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতের পরিস্থিতি মূল্যায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা যে কোম্পানিগুলো নতুন অর্ডার বৃদ্ধির কথা জানাচ্ছে এবং যারা হ্রাসের কথা জানাচ্ছে তাদের পার্থক্য প্রতিফলিত করে। ইতিবাচক ফলাফল নতুন অর্ডারের বৃদ্ধি নির্দেশ করে, অন্যদিকে নেতিবাচক মান অর্ডার হ্রাস নির্দেশ করে। CBI মাসিক ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, যা যুক্তরাজ্যের উৎপাদকদের বর্তমান প্রবণতা এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এই প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হলে সেটি বিভিন্ন অর্থনৈতিক কারণের প্রভাব মূল্যায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, যেমন অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক চাহিদা, বিনিময় হার এবং সরকারি নীতিমালা। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আজ আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2623-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2601-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2623-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2585-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2601 এবং 1.2623-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2585-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2561-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2601-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2585 এবং 1.2561-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/872667538.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের চার্টে, শুক্রবার 1.2680-1.2685 এরিয়ার কাছে একটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। যদিও এর গঠনে সামান্য ত্রুটি ছিল, তবে এটি সেল ট্রেড ওপেন করার ক্ষেত্রে কোন বাধা সৃষ্টি করেনি। সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস অব্যাহত ছিল, যার ফলে সন্ধ্যার মধ্যে শর্ট পজিশন ক্লোজ করে আনুমানিক ৩০ পিপস লাভ অর্জন করা সম্ভব হয়। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পরিলক্ষিত সমস্ত মুভমেন্ট দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনো 1.1800 লেভেলের দিকে GBP/USD পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যা একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তাই, এখন শুধুমাত্র দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সোমবার, নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, কারণ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাউন্ডের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বর্তমানে মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের এলোমেলো মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো কার্যকর রয়েছে।
৫-মিনিটের চার্টে, ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।
সোমবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ওঠানামার সম্ভাবনা কম। সম্ভবত পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে।
-
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1168546146.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2659 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা 1.2689 লেভেলের দিকে বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট খাত সংক্রান্ত প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের কারণে ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার আশঙ্কায় ডলারভিত্তিক অ্যাসেট বিক্রি করা শুরু করে, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলারের দরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। তবে, ট্রাম্পের বক্তব্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপের হুমকি মার্কেটে ক্রেতাদের বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট শিগগিরই যুক্তরাজ্যের প্রতিও মনোযোগ দিতে পারেন, তাই আজ পাউন্ড কেনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, আজ যুক্তরাজ্য থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার নির্ধারিত বক্তৃতা বা সাক্ষাৎকার দেওয়ারও কথা নেই। ফলস্বরূপ, পাউন্ডের মূল্যের উল্লেখযোগ্য কারেকশন দেখা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত সামগ্রিক বাজার পরিস্থিতি এবং মার্কিন ডলারের মূল্যের মুভমেন্টের ওপর বিশেষভাবে নজর রাখবেন, কারণ যুক্তরাজ্যে কোন প্রভাবক অনুপস্থিত থাকায় পাউন্ড বাহ্যিক প্রভাবের প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণও গুরুত্বপূর্ণ হবে, কারণ পাউন্ডের মূল্য মূল সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করে গেলে নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। স্বল্পমেয়াদে, ট্রেডারদের উচিত মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং সামগ্রিক ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের মূল্যের প্রবণতাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা। যদি ডলার শক্তিশালী হয় এবং বাজার পরিস্থিতি আরও নেতিবাচক হয়, তবে পাউন্ড অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। বিপরীতে, যদি বাজার পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তাহলে কিছুটা স্থিতিশীলতা বা মাঝারি মাত্রায় পুনরুদ্ধার দেখা যেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 অনুসরণ করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2698-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2666-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2698-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকলে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2644-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2666 এবং 1.2698-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2644-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2613-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2666-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2644 এবং 1.2613-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।