-
1 Attachment(s)
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতি চীনের প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি নেমে এসেছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চীনের আমদানি-রফতানি তথ্য বলছে, গত মাসে বৈশ্বিক চাহিদায় দুর্বলতা বজায় রয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বরে কার্যকর হওয়া মার্কিন শুল্কও বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
[ATTACH=CONFIG]9088[/ATTACH]
চীনের কাস্টমস অফিসের তথ্যানুসারে, সেপ্টেম্বরে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি কমেছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে বড় পতন। অন্যদিকে একই সময় আমদানি কমেছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, যা মে মাসের পর সবচেয়ে বড় পতন। আর এ নিয়ে টানা পাঁচ মাস দেশটির আমদানি কমল। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে চীনের মোট ট্রেড ব্যালান্স ৩ হাজার ৯৬৫ কোটি ডলারে।
-
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য বিরোধে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে উঠলেও দুপক্ষের এ বিরোধ চীনের সমর্থনপুষ্ট একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন উদ্দীপনা যোগ করেছে। চুক্তিটি চূড়ান্ত না হলেও চলতি সপ্তাহে ব্যাংককে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের অনুষ্ঠেয় এক বৈঠকে চুক্তি বিষয়ে বড় ধরনের অগ্রগতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। চুক্তি চূড়ান্ত হলে বিশ্বের বৃহত্তম মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চলে পরিণত হবে ১৬টি দেশের রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ (আরসিইপি)। বৈশ্বিক জিডিপিতে এ দেশগুলোর অবদান এক-তৃতীয়াংশ। অন্যদিকে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বসবাস করে এ অঞ্চলটিতেg
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/672686711.jpg[/IMG]
অ্যান্টি-ডাম্পিং আইন না মানায় ৩৬০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে চীন শুল্ক আরোপ করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)।
যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস, ধাতু ও খনিজসহ ১৩টি আমদানীকৃত চীনা পণ্যে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ২০১৩ সালে প্রথম অভিযোগ দায়ের করে চীন এবং ২০১৬ সালে ডব্লিউটিওর একটি প্যালেন বেইজিংয়ের পক্ষে রায় দেয়। তর্কের মূলে ছিল অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহার করা পদ্ধতি নিয়ে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, এ শুল্ক হিসাব করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিতর্কিত ‘জিরোয়িং’ পদ্ধতির ব্যবহার। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ১৮ মাস ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধের বেশ আগেই এ মামলা করা হয়েছিল। বাণিজ্য বিবাদের জেরে এ দুই দেশে একে অন্যের প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করেছে। তবে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য বিবাদ মেটাতে একটি চুক্তির প্রথম পর্যায় প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে দুই দেশ। ঠিক এমন সময় এ রায় বেইজিংয়ের হাতে একটি নতুন ও আইনসিদ্ধ অস্ত্র তুলে দিল। চুক্তির এ পর্যায়ে যদি ট্রাম্প প্রশাসন পিছু হটে, তবে বেইজিং এটি ব্যবহার করতে পারবে।
-
1 Attachment(s)
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতিতে এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান ট্রেডওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের ইতি টানতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চীন ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিরা। শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি দুটির বিরাজমান বাণিজ্যিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে আলোচনা চলছে ‘প্রথম পর্যায়ের’ বাণিজ্য চুক্তি। আর এই চুক্তি ব্যর্থ হলে চীনা পণ্যে আরো বেশি করে শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথম পর্যায়ের এ চুক্তি সম্ভব হলে লাভবান হবে উভয় পক্ষ। চাঙ্গা হয়ে উঠবে দুই দেশসহ বৈশ্বিক অর্থনীতি ও মার্কেটেগুলো। যদিও এই ট্রেডওয়ার বা বাণিজ্যযুদ্ধের কারনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরো কমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
[ATTACH=CONFIG]9370[/ATTACH]
এদিকে প্রথম পর্যায় বা যেকোনো বাণিজ্য চুক্তির জন্য বাণিজ্যযুদ্ধের শুরু থেকে ওয়াশিংটন কর্তৃক চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হিসেবে জুড়ে দিয়েছে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চীনের দাবি-দাওয়া খানিকটা বিস্মিত করেছে মার্কিন কর্মকর্তাদের। তবে ওয়াশিংটনের প্রত্যাশানুযায়ী বেইজিং মার্কিন কৃষিপণ্যের ক্রয়, দেশটির আর্থিক সেবা শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি এবং মেধাস্বত্ব আইন মেনে চলার গ্যারান্টির বিনিময়ে চীনের দাবি পূরণ হতে পারে। চীনা পণ্যে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করে নিতে ট্রাম্প প্রস্তুত। এছাড়া মধ্য ডিসেম্বর থেকে চীনা পণ্যে নতুন করে শুল্কারোপের সিদ্ধান্তও বাতিল করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে বেইজিং কর্তৃপক্ষ বড় ধরনের ছাড় দিলেই ১৫ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সম্ভাব্য ১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলার শুল্কারোপ বাতিল করতে পারে ওয়াশিংটন।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/323223258.jpg[/IMG]
গত বৃহস্পতিবার নেয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রতি বছর চীনকে স্বল্প সুদে ১০০ থেকে দেড়শ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। এ পরিকল্পনায় আগের পাঁচ বছরের গড় ১৮০ কোটি ডলার থেকে ঋণের হার ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু চীনকে ঋণ প্রদান বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বেইজিংকে ঋণ দেয়ার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর পরের দিনই এ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9564[/ATTACH]
আগামী সপ্তাহের আগেই বাণিজ্য চুক্তি করতে পারে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ আগামী ১৫ ডিসেম্বর, রোববার চীনা পণ্যের ওপর আরেক দফা শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, রোববারের আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পক্ষ থেকে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। এটা খুব সম্ভব শনিবার রাতে একেবারে শেষ মুহূর্তে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। শেষ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা এসে বলতে পারেন, পরস্পরের প্রতি আস্থা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে আপাতত এই শুল্কারোপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। আর এমনটা হলে আর এমনটা হলে মার্কেটে একটা বড় প্রভাব পড়বে এবং শেয়ারবাজার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH]9582[/ATTACH]
অবশেষে বাণিজ্য যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতার পথে হাঁটতে শুরু করেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ আলোচনা এবং অনিশ্চয়তার পর প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হয়েছে দেশ দু'টি। শুক্রবার এই সম্মতির পর মার্কিন পণ্যের ওপর আরোপ করা বাড়তি শুল্ক আর না বসানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর থেকে বাড়তি শুল্ক কমানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। এরই জেরে গতকাল এশিয়ার শেয়ারবাজার আট মাসের সর্বোচ্চে পৌঁছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া নীতি শিথিল করতে পারে, এমন সম্ভাবনাও শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে বাণিজ্য চুক্তির বিস্তারিত এখনো জানা না যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন। ফলে শেয়ারবাজারের উল্লম্ফন সীমার মধ্যে ছিল। অন্যদিকে গত সপ্তাহে দেখতে পাওয়া চাঙ্গা ভাব গতকালও বজায় ছিল ইউরোপের শেয়ারবাজারে। প্যান-ইউরোপের ইউরোস্টক্স ৫০ ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ, জার্মানির ডিএএক্স ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও এফটিএসই ফিউচারস বাড়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। মার্কিন শেয়ারবাজারেও চাঙ্গা ভাব ছিল। বেঞ্চমার্ক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ দিন শেষ করে শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি নিয়ে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]9668[/ATTACH]
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধসহ আরো বেশকিছু কারণে চীনের অর্থনীতির অবস্থা মোটেই ভালো নেই। ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বেইজিং। এবার বেসরকারি খাতের জন্য বড় ধরনের প্রণোদনা নিয়ে হাজির হয়েছেন চীনা নীতিনির্ধারকরা। বেসরকারি কোম্পানির জন্য তেল ওগ্যাস থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগ ও রেলওয়ে পর্যন্ত বিভিন্ন খাতকে আরো উন্মুক্ত, বাজার নীতি শিথিল ও বিনিয়োগ ব্যয় কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH]9709[/ATTACH]
২০১৯ সালে শুল্কযুদ্ধের সমাধান হলো না, প্রায় দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। বছর শেষ হলেও যুদ্ধের সমাধান মেলেনি। যদিও বছরের শেষ দিকে এসে কিছু চীনা পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। দুই পক্ষই একটি বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার কথা জানালেও এখনো চুক্তি সই হয়নি। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিপাকে ছিল বিশ্ব অর্থনীতি।
-
1 Attachment(s)
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি ১৫ জানুয়ারি:
[ATTACH=CONFIG]9717[/ATTACH]
১৫ জানুয়ারি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার এক টুইটে ট্রাম্প জানান, চীনের উচ্চপদস্থ এক কর্তাব্যক্তির সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে। পরে বাণিজ্য চুক্তির পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনায় ট্রাম্প বেইজিং সফর করবেন বলেও জানান।গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, তিনি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চুক্তির প্রথম ধাপে স্বাক্ষর করবেন। গত ডিসেম্বরের শুরুতে প্রাথমিক ধাপের এ চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে প্রবেশ করে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। যুক্তরাষ্ট্র যেমন শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়, তেমনি মার্কিন কৃষি, জ্বালানি ও তৈরি পণ্য আমদানি বাড়ানোর ব্যপারেও সম্মত হয় চীন। এছাড়া মেধাস্বত্ব নিয়ে বিবাদ কিছুটা মীমাংসার ব্যাপারেও উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছানোর কথা বলা হয়।
তবে উভয় পক্ষের মধ্যেকার চুক্তির লিখিত কোনো রূপ প্রকাশ্যে আসেনি। মার্কিন পণ্য ও সেবা আমদানির ২০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো চুক্তির সম্ভাব্য বিভিন্ন শর্ত নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি চীনের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা।
-
প্রায় দুই বছর ধরে চলা বাণিজ্য বিরোধ শেষে আগামী বুধবার প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী থাকছে গত ১৩ ডিসেম্বর ঘোষিত বাণিজ্য চুক্তিতে, চলুন দেখা যাক:
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তিতে মেধাস্বত্ব, খাদ্য ও কৃষিপণ্য, আর্থিক সেবা ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন, বিরোধ নিষ্পত্তির উপায় নির্ধারণ ইত্যাদি থাকছে। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার বলেন, এ চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে, উভয়পক্ষ যেন বিরোধ নিষ্পত্তির একটি দ্রুত ও কার্যকর উপায় বের করতে পারে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো। চুক্তির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে কৃষি। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য রফতানিতে চীন ছিল দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। কিন্তু বিরোধ শুরু হওয়ার পর চীনের অবস্থান পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। ওয়াশিংটন বলছে, প্রাথমিক পর্যায়ের চুক্তিতে আগামী দুই বছরে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি মূল্যের মার্কিন পণ্য আমদানিতে রাজি হয়েছে বেইজিং। এতে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি ডলারের কৃষিপণ্য থাকছে বলে জানান তারা। তবে এটা বার্ষিক নাকি দুই বছরে হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। চীনা কর্তৃপক্ষ চুক্তির এ শর্তগুলোর কোনোটিই নিশ্চিত করেনি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
এদিকে মার্কিন কৃষকরা ওই পরিমাণ কৃষিপণ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হবেন কিনা তা নিয়ে গত শুক্রবার সন্দেহ পোষণ করেন স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির শর্ত সত্যি হলে ২০১২ সালে চীন সর্বোচ্চ পরিমাণ যে কৃষিপণ্য আমদানি করেছিল, তার দ্বিগুণ আমদানি করতে হবে। বাণিজ্য বিরোধ শুরুর আগে ২০১৭ সালে চীনে ১ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারের কৃষিপণ্য আমদানি করেছিলেন আমেরিকান কৃষকরা। মার্কিন শুল্কের বিপরীতে চীনের শাস্তিমূলক শুল্কে ২০১৮ সালে কৃষিপণ্য রফতানি ৯০০ কোটি ডলারেরও বেশি হ্রাস পায়। চীনের উপকৃষিমন্ত্রী হান জুন বলেন, আংশিক এ চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রেও চীনের কৃষিপণ্য রফতানি বাড়বে, বিশেষ করে কুকড পোলট্রি, নাশপাতি ও খেজুর। চুক্তির বিভিন্ন শর্ত যে বেইজিংয়ের জন্যও ইতিবাচক, এ বিষয়টি স্বীকার করে জুন বলেন, গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই প্রথম উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হলো।
প্রাথমিক পর্যায়ের চুক্তির অংশ হিসেবে ১৬ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে গতকাল যে ১৫ শতাংশ শুল্কারোপের কথা ছিল, তা বাতিল করছেন ট্রাম্প। সেলফোন ও কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিকস পণ্যে ওই অতিরিক্ত শুল্কারোপ হলে মার্কিন ভোক্তাদের জন্যই কষ্টকর হতো।
এছাড়া বড় ছাড়ের অংশ হিসেবে গত ১ সেপ্টেম্বর ১২ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে আরোপিত ১৫ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক কমানো হচ্ছে। চীনা কর্মকর্তারা যদিও বলছেন, ধাপে ধাপে অন্যান্য শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে; তবে ওয়াশিংটন বলছে, প্রথম দফায় আরোপিত ২৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে বহাল শুল্ক প্রত্যাহার করবে কিনা, তা স্পষ্ট করে বলেননি চীনের উপ-অর্থমন্ত্রী লিয়াও মিন। ১৬ ক্যাটাগরির মার্কিন পণ্যে গত সেপ্টেম্বরে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল বেইজিং।
বুধবার বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি প্রাথমিক পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও চীনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো ততটা আশাবাদী নয়।
ফের বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কায় তারা আপত্কালীন পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে বলে জানা গেছে। স্বাক্ষরের পরও চুক্তিটি ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে চীনের ম্যানুফ্যাকচারার ও সাপ্লায়ারদের মধ্যে। এজন্য তারা চুক্তির ইতিবাচক দিকের ভরসায় না থেকে সম্ভাব্য খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং বিদেশে নতুন বাজার খুঁজছে
-
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ২৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, গত বছর ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ৮ শতাংশ কমে ২৯ হাজার ৫৮০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চীনের শুল্ক প্রশাসনের পরিসংখ্যানে। পরস্পরের পণ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমেছে। এদিকে বৈদ্যুতিক পণ্যসহ আরো কিছু চীনা পণ্যে গত মাসে শুল্কারোপ কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। তবে প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনায় তা থেকে বিরত থাকে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া চীনা পণ্যে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া শুল্কারোপ পূর্ব ঘোষণার চেয়ে অর্ধেকে নামিয়ে এনে ১২ হাজার কোটি ডলারে নির্ধারণ করে ওয়াশিংটন। তবে ২৫ শতাংশ হারে ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে শুল্কারোপ এখনো বজায় রয়েছে। অন্যদিকে বাণিজ্যযুদ্ধ দেশটির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও যেসব কারখানা প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা করে, সেগুলো কিছুটা চাপে পড়েছে বলেও জানান সিয়ু। তিনি বলেন, বাণিজ্যযুদ্ধ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি কমলেও নতুন বাজার খুঁজে পেতে আমাদের উদ্যোক্তারা যে সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, তা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাইরের বাজারে চীনের রফতানি বেড়েছে এবং সার্বিক রফতানি এখনো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বলে জানান তিনি।
-
দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে চলা বাণিজ্য যুদ্ধের অবসানে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আমেরিকা ও চীন, কিন্তু এর আগে এই যুদ্ধ অনেক ক্ষতি করেছে। নতুন চীন-মার্কিন চুক্তিতে অনুসারে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে ২০০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে নিয়ে যাবে, যা ২০১৭ সালের সমপরিমান হবে। কৃষিপন্য আমদানি বাড়াবে ৩২ বিলিয়ন ডলার, শিল্পপন্য আমদানি করবে ৭৮ বিলিয়ন ডলার, বিদ্যুৎ আমদানি ৫২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবাখাতে চীন আমদানি করবে ৩৮ বিলিয়ন ডলার। নকল ঠেকাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিতে একমত হয়েছে চীন। আর ট্রেড সিক্রেট চুরির ব্যাপারে কোম্পানিগুলোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করবে। ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত চীনা পণ্য আমদানিতে ২৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্র। অপরপক্ষে চীন, ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক কাঠামো পুনঃবিন্যাস করবে।
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]10097[/ATTACH]
চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের রফতানি বড় আকারে ধাক্কা খেয়েছে। চীনের বাজারে রফতানি কমে যাওয়ায় আক্রান্ত হয়েছে গম, হুইস্কি থেকে শুরু করে জিনসেং ও গ্যাস। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ উপাত্তে দেখা গেছে, চীনে যুক্তরাষ্ট্রের মার্চেন্ডাইজ রফতানি ১১ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে বড় আকারে ধাক্কা খেয়েছে টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও আলাবামার মতো বৃহৎ রফতানিকারক প্রদেশগুলো। চীনে এ রাজ্যগুলোর রফতানি ২৫ শতাংশের বেশি কমেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার প্রাথমিক ধাপের বাণিজ্য চুক্তি গত শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। চুক্তির প্রথম বছরে ২০১৭ সালের তুলনায় অতিরিক্ত ৭ হাজার ৬৭০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্য আমদানিতে সম্মত হয়েছে চীন। দ্বিতীয় বছরে অতিরিক্ত ১২ হাজার ৩৩০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করবে বেইজিং। ব্লুমবার্গের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশটির অর্থনীতিতে এরই মধ্যে বৃহদাকারের প্রভাব পড়ায় চুক্তিতে নমনীয়তা প্রত্যাশা করছে চীন।
-
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কভিড-১৯-এর কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতির চালচিত্র আমূল পাল্টে গেছে। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেন, সম্প্রতি মারাত্মক ও জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে। চুইয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চীন এখনো যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য কিনছে। একই সঙ্গে চুক্তির অংশ হিসেবে দেশী বাজারে বিদেশী কোম্পানির ওপর আরোপিত বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়া হচ্ছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1105796103.gif[/IMG]
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চীনের ‘ভূমিকার’ জন্য বেইজিংকে শাস্তি দিতে নতুন শুল্কারোপের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প। বর্তমানে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেমন হুমকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতির চাকা। এ অবস্থায় উৎপাদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ থেকে শুরু করে দেশটির বিভিন্ন এজেন্সি কোম্পানিকে কাঁচামাল ও উৎপাদনের ক্ষেত্র হিসেবে চীনের বিকল্প বেছে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ পরিবর্তনের জন্য শুল্ক প্রণোদনা ও ভর্তুকি প্রদানের কথাও ভাবা হচ্ছে। মূলত চীননির্ভরতা কমানোর জন্য মার্কিন সরকার সামগ্রিকভাবে এগিয়ে এসেছে। এক্ষেত্রে সরকারি এজেন্সিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত নির্ধারণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পণ্য কীভাবে চীনের বাইরে উৎপাদন করা যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1699183764.gif[/IMG]
বাণিজ্যযুদ্ধের দামামা কিছুটা হলেও কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। বিবদমান দেশ দুটি চলতি বছরের শুরুতে ‘ফেজ ওয়ান’ বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের কারণে নতুন করে বিবাদে লিপ্ত হয়েছে তারা। এর প্রভাবে চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চলতি মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় অর্জন ধরা হচ্ছিল ‘ফেজ ওয়ান’ চুক্তিকে। দীর্ঘদিনের আলোচনার পর অবশেষে গত জানুয়ারিতে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ হি।এর আগে একে অন্যের ওপর বাণিজ্য শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় মেতেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তি যেভাবে বাণিজ্যের শীতল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল, তা ভাবিয়ে তুলেছিল অন্য দেশগুলোকেও। এমন পরিস্থিতিতে দেশ দুটি প্রাথমিক পর্যায়ের চুক্তিতে উপনীত হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন সবাই। হোক না সেটি স্বল্প পরিসরের চুক্তি, কিন্তু দ্বন্দ্ব নিরসনের শুরুটা তো অন্তত হলো।
তবে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সে স্বস্তি উবে যেতে চলেছে। শুক্রবার টেলিফোনে ফক্স নিউজ চ্যানেলের মর্নিং নিউজ শো ‘ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’কে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে ট্রাম্প জানান, নভেল করোনাভাইরাস ইস্যু নিয়ে চীনের সঙ্গে তার মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেখুন, চীনের সঙ্গে আমার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। কয়েক মাস আগে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলাম। সে সময় পরিস্থিতি এমন ছিল না। চুক্তিটির বাস্তাবায়ন শুরু হলো। এরপর নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপও দেখা দিল। এটি চুক্তিটির সাফল্যে বড় একটি প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
-
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছে চীন। বিশেষত মার্কিন মুলুক থেকে ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানি বাড়িয়েছেন চীনা আমদানিকারকরা। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্যের বাণিজ্যের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ কথা জানিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এভাবে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের দামামা অনেকটাই কমে আসতে পারে, যা সামগ্রিক বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য সুখকর হবে। ইউএসডিএর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনা আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ১৬ লাখ ৮ হাজার টন সয়াবিন আমদানি করেছেন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের বাজারে আমদানি হয়েছে মোট ১১ লাখ ৩৭ হাজার টন ভুট্টা। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনে আমদানির করা ভুট্টা ও সয়াবিনের সর্বোচ্চ পরিমাণ। ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে কৃষিপণ্যের বাণিজ্য শ্লথ হয়ে আসে। একের পর এক বৈঠক হলেও চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনের কার্যকর উদ্যোগের দেখা মিলেনি। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে করোনা মহামারী। এ সংকটের সময় ভুট্টার সরবরাহ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে বেইজিং। সম্ভাব্য খাদ্য সংকট এড়াতে তাই কৃষিপণ্যটির আমদানি বাড়িয়েছে চীন। অন্যদিকে করোনা তুলনামূলক স্বাভাবিক হয়ে আসায় দেশটিতে পশুখাদ্যের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। মূলত এসব কারণে বাণিজ্য বিরোধের মধ্যেও ভুট্টা ও সয়াবিন আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ঝুঁকেছেন চীনা আমদানিকারকরা।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2045546173.jpg[/IMG]
-
বাণিজ্যযুদ্ধে জয়ের মালা বেইজিংয়ের গলাতেই, যদিও ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিখ্যাত একটি টুইট ছিল, ‘বাণিজ্যযুদ্ধ ভালো এবং এখানে জেতা সহজ।’ এরপর থেকে ট্রাম্প চীনের প্রায় ৩৬ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করতে শুরু করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পণ্য আমদানিতে চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপ শুরু করে। এর মধ্য দিয়েই বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রকাশ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়। যদিও বর্তমান সময়ে এসে ট্রাম্পের সেই মন্তব্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক শক্তির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা ট্রাম্প প্রশাসনের আগে থেকে শুরু হলেও প্রযুক্তি সংস্থাগুলোয় অভূতপূর্ব শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মাধ্যমে বিরোধকে আরো তীব্র করেছিলেন ট্রাম্প। তবে তিনি যেমনটা আশা করেছিলেন তেমন ফল ফলেনি। কোন নীতি কাজ করেছে আর কোনটি করেনি, সেই নীলনকশা উত্তরসূরি জো বাইডেনের কাছে রেখে যাচ্ছেন তিনি। আর নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাণিজ্যযুদ্ধ চালিয়ে যাবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, তিনি অবিলম্বে শুল্কগুলো সরিয়ে নেবেন না এবং পরিবর্তে তিনি প্রথম ধাপের বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনা করবেন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1989688336.jpg[/IMG]
-
এর আগে তারা বিভিন্ন জিনিসপত্রের উপর একই রকম চাপিয়ে দিয়ে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিল, যদিও গত শুক্রবার থেকে বিভিন্ন পক্ষ ওয়াশিংটনে রাত ১২ টা থেকে একে অপরের আইটেমের উপর ২৫ শতাংশ কর আদায় করে চলেছে। চীনা পণ্যদ্রব্যগুলির উপরে মার্কিন করের পরিমাণ ৩.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নয়, চীন মার্কিন পণ্যের উপর তুলনামূলক শুল্ক আরোপ করতে বাধ্য করেছে, চীন 545 মার্কিন আইটেম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 617 চীনা আইটেমের অনুরূপ শুল্ক আরোপ করেছে। যা বিশ্ব অর্থনীতির তিহাসিক পটভূমিতে বৃহত্তম বিনিময় যুদ্ধ শুরু করেছে।