-
১২ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1725725789.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। মৌলিক প্রেক্ষাপটগত প্রভাব বা গুরুত্বপূর্ণ খবরও সীমিত থাকবে, তবে এই মুহূর্তে মূল্যের মুভমেন্টের পেছনে ঠিক কোন উপাদানগুলো কাজ করছে, সেটি পুরোপুরি অনিশ্চিত। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পাউন্ড ও ইউরোর দরপতনের যথেষ্ট কারণ ছিল। তবে ইউরোর দরপতন ছিল খুবই ক্ষণস্থায়ী, আর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের চাপের মুখেও সাইডওয়েজ চ্যানেল থেকে বের হতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার এখনো খুব একটা যৌক্তিকতা নেই, তবে ওই দিকেও এখন তেমন কোনো খবর নেই। বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা এখন স্থগিত রয়েছে, আর ট্রাম্প বারবার নতুন বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও তিনি বিস্তারিত কিছুই প্রকাশ করছেন না। যদি তিনি নতুন করে শুল্ক আরোপ শুরু করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবারও ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। আবার যদি তিনি উত্তেজনা প্রশমনের দিকে অগ্রসর হন, তাহলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, তাই এ কারণেও ডলারের তার প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রাগুলোর বিপরীতে শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল। মনে করিয়ে দিই, পূর্বে যদি উত্তেজনার খবরে ডলার দরপতন ঘটে থাকে, তাহলে চুক্তির খবরে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হওয়াই স্বাভাবিক। সুতরাং, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি মার্কিন ডলারের জন্য একটি সহায়ক উপাদান হওয়া উচিত। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন চীন ও ইইউ-এর সঙ্গে চুক্তির দিকেই বেশি মনোযোগী, যেখানে এখনো কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। সোমবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখবেন। তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও ফেডের বৈঠক গত সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, আর ইসিবি তারও এক সপ্তাহ আগে বৈঠক করেছে। ফলে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান ইতোমধ্যে স্পষ্ট। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টদেখা যেতে পারে। ইউরোর ধীরে ধীরে দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে মার্কিন ডলারের মূল্যের বড় ধরনের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এখনো খুব একটা প্রত্যাশিত নয়। পাউন্ডের মূল্য এখনো সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই আটকে রয়েছে, যার মানে এটির মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটা এলোমেলো বা বিশৃঙ্খল হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3H358By
-
১৩ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/901269383.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর বেশিরভাগ প্রতিবেদনই EUR/USD ও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে খুব সামান্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না—তাদের মূল মনোযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির দিকে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কিছু লক্ষণ দেখা গেছে, যার ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে। আজ যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব ও মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ইউরোজোনে অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক এবং যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের মতে, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ডলারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা করার এখনও খুব বেশি প্রয়োজন দেখা যাচ্ছে না। বাণিজ্য সংঘাতের তীব্রতা আপাতত থেমে আছে, এবং ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও সেগুলোর বিস্তারিত এখনো স্পষ্ট নয়। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ শুরু করেন, পুরনো শুল্ক বাড়ান, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে ঘোষিত চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডলারের দরপতন আবারও শুরু হতে পারে। তবে, যেহেতু বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে, এই প্রক্রিয়া ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে, যেমনটি আমরা সোমবার দেখেছি। অতএব, ভবিষ্যতের মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরি ট্রাম্পের উপর নির্ভর করছে—বা, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, তার ঘোষিত বাণিজ্য চুক্তিসমূহ স্বাক্ষরিত হচ্ছে কি না এবং তিনি আগের আরোপিত শুল্কগুলো কতটা কমাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করছে।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই আরও কিছুটা নিম্নমুখী হতে পারে, কারণ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে 115% শুল্ক হ্রাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক অগ্রগতি, যা মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল। তবে, গত তিন মাসের দরপতনের পর ডলারের পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হতে হলে বাণিজ্যযুদ্ধের মাত্রা ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেতেই হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4mvXTCL
-
১৪ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/446652348.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হলো—জার্মানির এপ্রিল মাসের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্স বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক সংক্রান্ত দ্বিতীয় আনুমানিক প্রতিবেদন। সাধারণত দ্বিতীয় আনুমানিক প্রতিবেদন প্রথমটির তুলনায় খুব বেশি ভিন্ন হয় না, তাই এই সূচকের ফলাফল থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হচ্ছে না। সেই অনুযায়ী, মার্কেটেও কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আজ ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য কিংবা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আবারও বলা যায়, ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ ছাড়া বর্তমানে আলোচনার মতো কোনো মৌলিক ঘটনা নেই। বাণিজ্য উত্তেজনা আপাতত থেমে আছে, আর ট্রাম্প বিস্তারিত তথ্য না দিয়ে একের পর এক সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন। যদি তিনি আবার নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থ হন, তবে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে বর্তমানে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের ধারা মাঝে মাঝে হলেও মার্কিন ডলারকে কিছুটা সহায়তা দিতে পারে। তবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে সামগ্রিকভাবে ডলারের প্রতি ট্রেডারদের মনোভাব এখনো বেশ নেতিবাচক, যার ফলে মার্কিন গ্রিনব্যাকের জন্য শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়ছে। সুতরাং, ভবিষ্যতে মার্কেটের মুভমেন্ট পুরোপুরিভাবে ট্রাম্পের পদক্ষেপের উপর নির্ভর করছে—বিশেষ করে তিনি আদৌ বাণিজ্য চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করেন কিনা এবং পূর্বের আরোপিত শুল্কগুলো হ্রাস করেন কিনা, তার উপর। উপসংহার: এই সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, এবং শুধুমাত্র টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা গেছে, প্রতিটির পেছনেই নির্দিষ্ট কারণ ছিল। তবে আজকের দিনটি বেশ "নিঃশব্দভাবে" অতিবাহিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/42UnX2y
-
১৫ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/165800306.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে খুব কম সংখ্যক প্রতিবেদনই আছে যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ইউরোজোন ও যুক্তরাজ্যে প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে, ট্রেডাররা সহজেই এই প্রতিবেদনগুলো উপেক্ষা করতে পারেন। প্রথমত, ইউরোপীয় ও ব্রিটিশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। দ্বিতীয়ত, এই সপ্তাহের শুরুতেই প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনকে ট্রেডাররা গুরুত্ব না দিয়েই পাশ কাটিয়ে গেছে। আজকের মার্কিন প্রতিবেদনগুলোও খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ও প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদন কিছুটা মনোযোগের দাবিদার। এপ্রিল মাসে খুচরা বিক্রয় সূচকের দুর্বল ফলাফল দেখা যেতে পারে—কারণ এই সময়েই ট্রাম্পের নতুন শুল্ক কার্যকর হয়।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আজ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের একাধিক বক্তব্য রয়েছে। তবে এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা ইতোমধ্যেই ট্রেডারদের কাছে বেশ স্পষ্ট, তাই এই বক্তব্যগুলো থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আমাদের মতে, মার্কেটে প্রকৃত অর্থে কেবলমাত্র বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত খবরই প্রভাব বিস্তার করছে, এবং ডলার বিক্রির যৌক্তিকতা তৈরি করছে। বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা আপাতত স্থগিত হয়েছে, আর ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন—তবে কোন বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছেন না। যদি ট্রাম্প আবার নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, অথবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্যর্থ হন, তাহলে নতুন করে ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যেটুকু উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে, সেটি অন্তত মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রাকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে। তবে তা সত্ত্বেও, মার্কেটে ডলারের প্রতি সামগ্রিক মনোভাব অত্যন্ত নেতিবাচকই রয়ে গেছে, যার ফলে মার্কিন গ্রিনব্যাকের শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা এখনো খুবই কম। উপসংহার: এই সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD—উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে পুরোপুরি উপেক্ষা করা উচিত হবে না—যদিও প্রতিক্রিয়া দুর্বল হতে পারে, তবুও সামান্য প্রতিক্রিয়াও দৈনিক ভিত্তিতে মার্কেটের দিকনির্দেশনায় প্রভাব ফেলতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4dhSX01
-
১৬ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/385472250.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং সেগুলোর গুরুত্ব বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর চেয়েও কম, যেগুলো মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেনি। সার্বিকভাবে, একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হলো যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সি অব মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বেলা—সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট যেভাবেই গড়ে উঠুক না কেন—তা EUR/USD কিংবা GBP/USD পেয়ারের মূল্যে মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্য লেন এবং চিপোলোনের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে, তবে ইসিবির বর্তমান মুদ্রানীতিগত অবস্থান প্রায় শতভাগ স্পষ্ট। আমাদের দৃষ্টিতে, এখন শুধুমাত্র মার্কিন ডলার বিক্রির জন্য মার্কেটে প্রাসঙ্গিক দুটি বিষয় রয়েছে: বাণিজ্য যুদ্ধ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক খবর। বাণিজ্য যুদ্ধ আপাতত স্থগিত রয়েছে, এবং ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিচ্ছেন, তবে এই তথ্য ডলারকে কেবল সামান্যই সহায়তা করছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করা শুরু করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, কিংবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করতে ব্যর্থ হন তাহলে ডলারের আরও একবার দরপতন ঘটতে পারে। তবে ইতোমধ্যেই শুরু হওয়া বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া অন্তত মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রাকে সমর্থন যোগাতে পারে। তারপরও, এটা স্বীকার করা জরুরি যে, বর্তমানে মার্কেটে ডলারের প্রতি সামগ্রিক মনোভাব খুবই নেতিবাচক, যার ফলে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী কোনো বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট যেতে পারে। সামষ্টিক প্রেক্ষাপট দুর্বল, আর ট্রাম্প ঠিক কখন আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসবেন—সেই পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। আমরা অনুমান করছি, আজ খুবই সামান্য মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং সম্ভবত সাইডওয়েজ (ফ্ল্যাট) ট্রেডিং দেখা যাবে। শুধুমাত্র শক্তিশালী টেকনিক্যাল সিগন্যাল থাকলেই ট্রেডিংয়ের কথা বিবেচনা করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4djQx0V
-
১৯ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1321145096.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার খুবই অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের এপ্রিল মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-এর দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা তিনটি কারণে মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রথমত, ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে ব্যাপকভাবে উপেক্ষা করছে। দ্বিতীয়ত, এটি ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI-এর দ্বিতীয় অনুমান, যা প্রথম অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয়ত, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থান ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট। ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI মূলত ইসিবির সুদের হারের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলার কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে আজ ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের (বস্টিক, জেফারসন, উইলিয়ামস, লোগান এবং কাশকারি) বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, এসব বক্তব্যের আদৌ কী গুরুত্ব থাকতে পারে যদি এই সপ্তাহেই জেরোম পাওয়েল পুনরায় বলে থাকেন যে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে এবং এখনই সুদের হার কমানোর প্রয়োজন নেই? আমাদের মতে, এখনো ট্রেডাররা কেবলমাত্র বাণিজ্য যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেই ধরনের খবরগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা ডলার বিক্রির যৌক্তিক কারণ প্রদান করে। বাণিজ্য সংঘাতে আপাতত বিরতি দেখা যাচ্ছে এবং ট্রাম্প এখনো একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন, তবে এই তথ্যগুলো ডলারকে সীমিত মাত্রায় সহায়তা প্রদান করছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন অথবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থ হন, তবে আবারও ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে বর্তমানে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের চলমান প্রক্রিয়া অন্তত মাঝে মাঝে হলেও মার্কিন ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে। যদিও স্বীকার করতে হবে, ডলারের প্রতি ট্রেডারদের সামগ্রিক মনোভাব এখনো অত্যন্ত নেতিবাচক, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ও স্থায়ী বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। ইউরোর মূল্য এখনো ধীরে ধীরে বাড়ছে, কিন্তু পাউন্ডের মূল্য এখনো স্থির অবস্থায় রয়েছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব তেমন থাকবে না এবং কখন ট্রাম্পের কাছ থেকে নতুন কোনো প্রভাবশালী মন্তব্য আসবে, তা আগে থেকে অনুমান করা অসম্ভব। আমরা মনে করি আজ মার্কেটে ধীরগতি ও ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সাথে ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যাবে। শুধুমাত্র শক্তিশালী টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যুক্তিযুক্ত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/401993446.jpg[/IMG]
Read more: https://ifxpr.com/4jksjFe
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ২০ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1733118289.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের বিশ্লেষণ সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মতে, ঐদিন মার্কিন ডলারের হঠাৎ এমন দরপতনের পেছনে কোনো মৌলিক বা অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল না। তবে আগেই বলা হয়েছে, এখন মার্কেটে ডলার বিক্রি করার জন্য আর কোনো শক্তিশালী কারণের প্রয়োজন হয় না। মার্কিন গ্রিনব্যাক সহজেই এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, বিপরীতে ইউরো এখনও শক্তিশালী অর্থনীতি বা ইসিবির হকিশ বা কঠোর নীতির দাবিদার হতে পারছে না। তবুও, বর্তমানে এসব বিষয়ের আর তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। বাণিজ্যযুদ্ধ ব্যতীত অন্য কোনো কারণ এখন আর ডলারের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নয়। মাঝে মাঝে ডলার শক্তিশালী হয়, কিন্তু তা কেবল তখনই হয় যখন বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের খবর প্রকাশিত হয় — এবং এমন খবর প্রতিটি সপ্তাহে আসে না। এদিকে, মুডি'স কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেডের মতো সংবাদ ডলার বিক্রির কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যাচ্ছে, আবার এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন হয়েছে, তবে তিন মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও অক্ষুণ্ন রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, সবকিছু ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপের উপর নির্ভর করছে। যদিও তার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে অনুমান করা সম্ভব না, তবুও আমরা এটুকু বলতে পারি — এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো কার্যকর রয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং সিগনালের ক্ষেত্রে, দুটি মুহূর্ত আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য: প্রথমত, 1.1185 লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এবং দ্বিতীয়ত, 1.1274 লেভেলের নিচে দরপতন। প্রথম সিগনালে ট্রেডাররা লং পজিশন ওপেন করতে পারতেন, যা পরবর্তী সেল সিগনাল — অর্থাৎ 1.1274 এর নিচে দরপতনের সময় — ক্লোজ করা যেত। সেই পর্যায়ে শর্ট পজিশন ওপেন করে মূল্য সেনকৌ স্প্যান বি লাইনের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্লোজ করা যেত। অতএব, সোমবার দুটি ট্রেড ওপেন করা যেত এবং উভয় ট্রেডই উল্লেখযোগ্য মুনাফার সাথে ক্লোজ করা যেতো। COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট ১৩ মে প্রকাশিত হয়েছে। উপরের চার্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশনের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিক্রেতারা অল্প সময়ের জন্য মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, তবে দ্রুত তা হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলারের দরপতন হচ্ছে। যদিও বলা যাচ্ছে না এই প্রবণতা কতদিন চলবে, তবুও COT রিপোর্ট বড় ট্রেডারদের মানসিকতা প্রতিফলিত করে—যদিও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মানসিকতা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। ইউরোর পক্ষে কোনো এমন কোনো মৌলিক কারণ নেই যা এটিকে শক্তিশালী করতে পারে, তবে ডলারের উপর রাজনৈতিক চাপ অনেক বেশি। আরও কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে, তবে গত ১৬ বছরের দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা এত সহজে বদলাবে না। একবার ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ হলে, পুনরায় ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। COT চার্টে লাল ও নীল লাইন আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা একটি নতুন বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের লং পজিশনের সংখ্যা 15,400টি বেড়েছে, আর শর্ট পজিশনের সংখ্যা বেড়েছে 6,300টি। ফলে নিট পজিশনের সংখ্যা 9,000 কন্ট্রাক্ট বেড়ে গেছে
EUR/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ 1-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং বর্তমানে মূল্য ইচিমোকু ইন্ডিকেটর লাইনগুলোর ওপরে অবস্থান করছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো মূলত বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির অগ্রগতির উপর নির্ভর করছে। যদি বাণিজ্য চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয় এবং শুল্ক কমানো হয়, তাহলে ডলারের পুনরুদ্ধার হতে পারে। অন্যথায়, কিংবা নতুন কোনো নেতিবাচক প্রভাবিক দেখা গেলে, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি। বর্তমানে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ও মৌলিক প্রতিবেদন প্রভাব খুবই সীমিত — সবকিছু বাণিজ্য আলোচনা সংক্রান্ত সংবাদের উপর নির্ভর করছে। ২০ মে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0823, 1.0886, 1.0949, 1.1006, 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1321, 1.1426, 1.1534। ইচিমোকু লাইন: সেনকৌ স্প্যান বি (1.1224), কিজুন-সেন (1.1193)। লক্ষ্য রাখতে হবে যে ইচিমোকু লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে এবং ট্রেডিং সিগনাল নির্ধারণের সময় তা বিবেচনায় নেওয়া উচিত। একইসাথে মনে রাখতে হবে, মূল্য সঠিক দিকের দিকে 15 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত, যাতে সম্ভাব্য ভুল সিগনাল থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ফলে দিনের বেলায় ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না। তবে সোমবারের অভিজ্ঞতা থেকে আবারও দেখা গিয়েছে যে এমনকি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সংবাদের প্রভাবেও ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটতে পারে। কিন্তু এমন প্রভাবশালী সংবাদ প্রতিদিন আসে না, তাই আজ দুর্বল ও সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সম্ভাবনাই বেশি। চিত্রের ব্যাখা: মূল্যের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল – গাঢ় লাল লাইন; যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে। তবে এগুলো সরাসরি ট্রেডিং সিগন্যাল নয়। কিজুন সেন ও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন – শক্তিশালী ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইন, যা ৪-ঘণ্টা চার্ট থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানান্তর করা হয়েছে। এক্সট্রিম লেভেল – হালকা লাল লাইন; যেখানে পূর্বে মূল্য রিবাউন্ড করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। হলুদ লাইন – ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল প্যাটার্ন নির্দেশ করে। COT ইন্ডিকেটর 1 – চার্টে প্রতিটি গ্রুপের ট্রেডারদের নিট পজিশনের পরিমাণ প্রদর্শন করে।
Read more: https://ifxpr.com/3SLwXAY
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের নিউজ ডাইজেস্ট, ২১ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2079294920.jpg[/IMG]
S&P 500 সূচক মোমেন্টাম হারাচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন চীনের দিকে $8.6 ট্রিলিয়নের ব্যাপক প্রবৃদ্ধির পর মার্কিন স্টক মার্কেটে দরপতনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের নেতিবাচক ফলাফল এবং সাম্প্রতিক মার্কিন ক্রেডিট রেটিং ডাউনগ্রেড সত্ত্বেও, মরগান স্ট্যানলি S&P 500-এর সূচকের ইতিবাচক পূর্বাভাস ধরে রেখেছে—চলতি বছরের মধ্যে সূচকটি 6,500 পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে বলে প্রতিষ্ঠানটি আশা করছে। তবুও, মার্কিন টেক স্টকগুলোর প্রতি আগ্রহ কমছে। বিনিয়োগকারীরা এখন স্বল্পমেয়াদে আরও লাভজনক বিকল্প হিসেবে চীনা স্টক মার্কেটের দিকে ঝুঁকছেন। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিংক অনুসরণ করুন। ছয় দিনের প্রবৃদ্ধির পর ট্রেডাররা বিশ্রাম নিচ্ছে টানা ছয় দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর মার্কিন ইক্যুইটি সূচকগুলো সামান্য নিম্নমুখী হয়েছে। এই দরপতনের পেছনে মূল কারণ ছিল একটি টেকনিক্যাল কারেকশন এবং নতুন কোনো কর্পোরেট বা সামষ্টিক অনুঘটকের অনুপস্থিতি। ট্রেডাররা এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর এবং নতুন বাজেট বিল নিয়ে আলোচনার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং কর ও রাজস্ব নীতির অগ্রগতির ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য এই লিংক অনুসরণ করুন।
মার্কেটে চাপ সৃষ্টি হয়েছে: বন্ডের ইয়েল্ড বাড়ছে, সংস্কার নিয়ে উদ্বেগ দিন শেষে মার্কিন স্টক সূচকগুলো নিম্নমুখী থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে, কারণ ট্রেজারি ইয়েল্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ভবিষ্যতের সুদের হার সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত কর সংস্কার ঘিরে ট্রেডারদের প্রত্যাশা। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, প্রস্তাবিত সংস্কার বাস্তবায়ন করলে জাতীয় ঋণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। স্বল্পমেয়াদে, ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তব্যের দিকে নিবিড়ভাবে নজর উচিত রাখা হবে, কারণ সেগুলো ট্রেডারদের প্রত্যাশা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করুন। মনে করিয়ে দিচ্ছি, InstaForex স্টক, সূচক ও ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ের জন্য সর্বোত্তম শর্ত প্রদান করে, যা আপনাকে বাজারদরের ওঠানামা থেকে কার্যকরভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
Read more: https://ifxpr.com/3Hiq7As
-
২২ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/913607718.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসের সার্ভিস ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সূচক প্রকাশিত হবে। সহজেই অনুমান করা যায় যে চলমান বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতির সম্ভাবনা নেই। যেকোনো পরিস্থিতিতেই, এই সূচকগুলো এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা হঠাৎ করে মার্কিন ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেবে। ট্রেডারদের কাছে অন্যান্য প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর গুরুত্ব আরও কম। খুব কম ট্রেডারই জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স বা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আবাসন বিক্রির প্রতিবেদনের প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন করবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি জন উইলিয়ামস, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লুইস দে গুইন্ডোস এবং ফ্র্যাঙ্ক এলডারসন, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি স্বাতি ধিংগ্রা ও হিউ পিলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিগত অবস্থান ১০০% স্পষ্ট এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র একটি মাত্র বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করছে—তখন এই বক্তৃতাগুলোর কতটুকু গুরুত্ব রয়েছে? আমাদের মতে, ট্রেডারদের কাছে এখনো একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে প্রশমিত হলেও এখনো চলমান। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিচ্ছেন, তবে এই খবর মার্কিন ডলারের জন্য খুবই দুর্বলভাবে সমর্থন দিচ্ছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন, বা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন—তাহলে আরও জোরালোভাবে ডলারের দরপতন হতে পারে। এমনকি নতুন করে শুল্ক আরোপ ছাড়াও যদি মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্প ও গৃহীত নীতিমালার প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে, তাতেও ডলার দরপতন হতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে EUR/USD ও GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। আজ বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও এগুলো এমন কোনো প্রতিবেদন নয় যা মার্কেটের বুলিশ প্রবণতাকে বিয়ারিশে রূপান্তরিত করতে পারে। এই সপ্তাহে আমরা দেখতে পেয়েছি, শক্তিশালী কারণ বা অনুঘটক ছাড়াও মার্কেটের ট্রেডাররা উভয় পেয়ারই ক্রয় করার ইচ্ছা দেখিয়েছে। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সহজেই আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/43tfZfQ
-
ফেড ২০২৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধের আগে নীতিমালা পরিবর্তনে প্রস্তুত নয়
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1918282660.jpg[/IMG]
সাম্প্রতিক বিশ্লেষণগুলোতে আমি বারবার ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি, ট্রেডারদের প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছি। আমার মতে, ফেডের মুদ্রানীতির নমনীয়করণের বিষয়ে এখনো ট্রেডারদের মধ্যে অতিরিক্ত উচ্চ মাত্রার প্রত্যাশা রয়ে গেছে। এই প্রত্যাশা আগের বছরেও অতিরঞ্জিত ছিল, যখন সবাই আশা করেছিল যে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্তত 1.5–1.75% হারে সুদের হার কমাবে। বাস্তবে, FOMC মাত্র তিনবার মোট 100 বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমিয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুতে প্রায় সবাই ২ থেকে ৪ দফা সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিল, যদিও সর্বশেষ দুটি ডট-প্লট চার্টে সর্বোচ্চ দুই দফায় সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনায় বড় ধরনের ভারসাম্যহীনতা এবং অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শুল্ক যুদ্ধ শুরুর পর কোনো ব্যতিক্রম ছাড়াই ফেডের সকল কর্মকর্তা মুদ্রাস্ফীতির তীব্র বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিতে শুরু করেন। কেউ বলছেন এটি স্বল্পস্থায়ী হবে, আবার কেউ বলছেন এটি দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী হতে পারে। যেভাবেই হোক, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে—এটা অনিবার্য। কারণ যদি সব আমদানিকৃত পণ্যের দাম মাত্র ১০% বাড়ে, তাহলে মূল্যস্ফীতি এড়ানো সম্ভব নয়। আর এটি ভুলে গেলে চলবে না যে ১০% হচ্ছে ট্রাম্পের নির্ধারিত সর্বনিম্ন শুল্ক হার। এই হারে ৭৫টি দেশের ওপর শুল্ক প্রযোজ্য রয়েছে— যেখানে চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক ৩০%। আরও উল্লেখযোগ্য হলো, গাড়ি, স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ২৫% শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম অন্তত ৪–৫% বৃদ্ধি পাওয়া অবধারিত। এই প্রেক্ষাপটে ফেড এখন মুদ্রানীতি নমনীয় করতে ইচ্ছুক নয়, কারণ কেউই নিশ্চিত নয় যে মূল্যস্ফীতি কতটা বাড়তে পারে। যদিও জিডিপি প্রবৃদ্ধিও ফেডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ট্রাম্প কয়েক মাসেই কোনো অর্থনৈতিক "মন্দা" সৃষ্টি করতে পারবে না। যদি জিডিপির দ্রুত পতন শুরু হয়, তখন ফেড হস্তক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু আপাতত তাদের প্রধান লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি ২%-এ নামানো। অতএব, ট্রেডাররা বাস্তবিকভাবে সর্বোচ্চ যা আশা করতে পারে তা হলো ২০২৫ সালে মাত্র একবার সুদের হার কমানো হতে পারে। ফেডের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছেন যে, FOMC কেবল তখনই সুদের হার কমাবে যদি চূড়ান্ত শুল্ক প্রস্তাবিত সীমার নিচে থাকে। অর্থাৎ শুল্ক ১০% এর বেশি না হলে। ওয়ালার আরও মনে করেন যে জুলাইয়ের মধ্যেই সব বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়া উচিত। তাহলেই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা তৈরি হবে।
EUR/USD পেয়ারের ওয়েভের পূর্বাভাস: সম্পাদিত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বলা যায়, EUR/USD পেয়ারের এখনো একটি বুলিশ ওয়েভ সেগমেন্ট বিকশিত হচ্ছে। স্বল্প-মেয়াদে ওয়েভ স্ট্রাকচার সম্পূর্ণভাবে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ও মার্কিন বৈদেশিক নীতি সংক্রান্ত সংবাদের প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করবে—এটি মাথায় রাখা দরকার। ওয়েভ ৩ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং সম্ভাব্য লক্ষ্য 1.25 পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। তাই আমি এখনো 1.1572 লেভেলের ওপরে টার্গেট রেখে লং পজিশন বিবেচনা করছি, যা 423.6% ফিবোনাচ্চি লেভেলের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। অবশ্য, বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমিত হলে এই বুলিশ ওয়েভ রিভার্স করতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত ওয়েভ ভিত্তিক কোনো রিভার্সাল সিগনাল দৃশ্যমান নয়। GBP/USD পেয়ারের ওয়েভের পূর্বাভাস: GBP/USD-এর ওয়েভ স্ট্রাকচার পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে আমরা একটি বুলিশ ইম্পালস ওয়েভ দেখতে পাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে মার্কেটে এমন বহু শক ও ট্রেন্ড রিভার্সাল দেখা যেতে পারে, যা কোনো ওয়েভ স্ট্রাকচার বা টেকনিক্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী হবে না। আপওয়ার্ড ওয়েভ ৩-এর গঠন চলমান রয়েছে, যার নিকটতম টার্গেট হলো 1.3541 এবং 1.3714। তাই আমি এখনো বাই পজিশন বিবেচনা করছি, কারণ মার্কেটে এখনো ট্রেন্ড রিভার্সালের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আমার বিশ্লেষণের মূল নীতিমালা: ওয়েভ স্ট্রাকচারগুলো সহজবোধ্য এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। জটিল স্ট্রাকচার বিশ্লেষণ কঠিন এবং প্রায়ই পরিবর্তনশীল হয়। যদি মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে, তাহলে ট্রেড না করাই ভালো। মার্কেটের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ১০০% নিশ্চয়তা কখনোই সম্ভব নয়। সুরক্ষিত থাকার জন্য সর্বদা স্টপ-লস ব্যবহার করুন। ওয়েভ অ্যানালাইসিস অন্যান্য বিশ্লেষণ পদ্ধতি ও ট্রেডিং কৌশলের সঙ্গে একত্রে ব্যবহারযোগ্য এবং করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/4jiVoAC
-
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ২৭ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/591329347.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের চার্টের বিশ্লেষণ ১ জুন থেকে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক ৫০% পর্যন্ত বাড়ানো হবে ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর সোমবার দিনের শুরুতে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়। তবে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েনের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পিছিয়ে ৯ জুলাই করার ঘোষণা দিলে, এই পেয়ারটি পরে আবারও দরপতনের মুখে পড়ে। ট্রাম্প ও ভন ডার লায়েনের ভাষ্যমতে, কার্যকর আলোচনা ও সমঝোতায় পৌঁছাতে পাঁচ সপ্তাহই যথেষ্ট সময়। আমাদের মতে, "সমঝোতা" মানেই যে ইতিবাচক কিছু হবে তা নয় — তবে এক মাস দেড় মাসের মধ্যে বোঝা যাবে, আদৌ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব কি না। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইইউ সহজে চাপের মধ্যে পড়তে চাচ্ছে না, তবে তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থান বজায় রেখেছে। ইউরোপ ট্রাম্পের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং তার শক্তিশালী অবস্থানের স্বীকৃতিও তারা দিয়েছে। তবে, ইউরোপ যেকোনো শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। সুতরাং আলোচনায় মতৈক্যে পৌঁছানো কঠিন হবে বলেই ধরে নেওয়া যায়, কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সমস্যা হলো, এই আলোচনার প্রায় কোনো তথ্যই গণমাধ্যমে আসছে না, তাই পরবর্তী দেড় মাস মার্কেটের ট্রেডাররা শুধু অনুমানই করে যাবে আলোচনা কতটা অগ্রসর হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ডলারের মূল্যের আরও অস্থিরতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ট্রেডাররা বারবার নতুন করে ডলারের শর্ট পজিশন ওপেন করছে, আবার ট্রাম্পের হঠাৎ মত পরিবর্তনের কারণে পরদিনই তা ক্লোজ করতে বাধ্য হচ্ছে — এসব করতে করতে তারা ক্লান্তি বোধ করছে। কেউ কেউ শর্ট পজিশন ক্লোজ করছে না — আবার সবাই সবসময় করছে না। এমনকি মৌলিক কোনো কারণ ছাড়াও মার্কিন ডলার এখনো প্রবল চাপের মুখে রয়েছে। সোমবারের ট্রেডিং সিগন্যালের বিষয়ে বলতে গেলে — তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু দেখা যায়নি। এই পেয়ারের মূল্য কোনো লেভেল বা লাইন টেস্ট করেনি। ইউরোপীয় সেশনে মূল্য 1.1426 লেভেলের খুব কাছাকাছি এসেছিল, তবে সেখানে পৌঁছায়নি।
COT রিপোর্ট সর্বশেষ COT রিপোর্ট ২০ মে প্রকাশিত হয়েছিল। উপরের চার্টে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা দীর্ঘ সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ২০২৪ সালের শেষে কিছু সময়ের জন্য বিক্রেতারা মার্কেটে প্রাধান্য বিস্তার করেছিল, কিন্তু তারা দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ডলারের মূল্য নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। আমরা ১০০% নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি না যে ডলারের দরপতন চলতেই থাকবে, তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পক্ষে কোনো মৌলিক কারণ নেই; তবে ডলারের দরপতন হওয়ার জন্য একটি বড় কারণ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনো বিদ্যমান, যদিও এই মুহূর্তে "প্রবণতা" শব্দের প্রভাবই বা কী? ট্রাম্প যদি বাণিজ্য যুদ্ধের যবনিকা টানেন, তবে ডলার আবারও শক্তিশালী হতে পারে, কিন্তু আদৌ কি তিনি তা করবেন? লাল এবং নীল লাইনগুলো আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা মার্কেটে নতুন করে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" ট্রেডারদের লং পজিশনের সংখ্যা 3,500 কমেছে, এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা 6,800 বেড়েছে। ফলস্বরূপ, নিট পজিশনের সংখ্যা 10,300 কমেছে। তবে, COT রিপোর্টগুলো এক সপ্তাহ পরে প্রকাশিত হয়। এখন আবারও মার্কেটের ট্রেডাররা সক্রিয়ভাবে এই পেয়ার ক্রয় করছে।
EUR/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন স্বল্পমেয়াদি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো সম্পূর্ণভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। যদি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয় এবং শুল্ক হ্রাস পায়, তাহলে ডলার পুনরুদ্ধারের সুযোগ পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো শান্তিপূর্ণ সমঝোতার আভাস নেই। ট্রাম্প এখনো অস্থির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন ও বিস্ময়কর মন্তব্য করে যাচ্ছেন, যা মার্কেটের ট্রেডারদেরকে হতবাক করে দিচ্ছে। ট্রেডাররা এখন সবচেয়ে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করছে এবং ট্রাম্পের ওপর আস্থা হারিয়েছে। যখন ট্রেন্ডলাইন ও ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের ব্রেকআউটের ঘটে এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হবে আমরা তখনই ধরে নিতে পারব যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে। ২৭ মে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0823, 1.0886, 1.0949, 1.1006, 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1362, 1.1426, 1.1534, 1.1607। সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.1214) এবং কিজুন-সেন লাইন (1.1322) রয়েছে। দিনের বেলায় ইচিমোকু লাইনের অবস্থান পরিবর্তিত হতে পারে, তাই সিগন্যাল বিশ্লেষণের সময় তা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। যখন মূল্য আপনার অনুকূলে ১৫ পিপস অগ্রসর হয়, তখন ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে ভুলবেন না — কারণ এটি ভুল সিগন্যাল থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এটির ফলাফল ডলারকে সহায়তা করতে পারবে এমন সম্ভাবনা নেই। সবোর্চ্চ মার্কিন গ্রিনব্যাকের দর ৪০–৫০ পিপস পর্যন্ত সাময়িকভাবে বাড়তে পারে, তবে ডলারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা এখনো ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে।
Read more: https://ifxpr.com/4jpczjX
-
২৮ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/542431904.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল, যা সোমবার থেকেই শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত মার্কিন ডলারের দর আরও বৃদ্ধি পেয়েছে; তবে এতে খুব একটা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ১ জুন থেকে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ডলারের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে মনে করে দেখুন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ১১৫% শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছিল, তখনও ডলার অল্প সময়ের জন্য শক্তিশালী হয়েছিল — কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। গতকাল প্রকাশিত ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনও মার্কিন ডলারকে কিছুটা সমর্থন প্রদান করে, কারণ এটির ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কম হতাশাজনক ছিল। ফলে টানা দুই দিন ধরে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এটিকে কোনোভাবেই বিগত চার মাসের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি বলা যাবে না। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। ট্রেন্ডলাইন এবং 1.1267 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হলে আবারও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/947673458.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট আদর্শ ছিল না। যদিও দিনের পুরো সময়জুড়ে সাধারণভাবে নিম্নমুখী প্রবণতা বিদ্যমান ছিল, তবে এটি এড়ানো যেত যদি ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত না হত। মার্কিন সেশনের শুরুতে মূল্য 1.1354–1.1363 জোন ব্রেক করে উপরের দিকে যায়, কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশের ঠিক পরপরই আবারও ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ফলে দিনের প্রায় সব ট্রেডিং সিগন্যাল ভুল ছিল অথবা দেরিতে গঠিত হয়। সারাদিনজুড়ে মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট টেকনিক্যাল সিগন্যালকে ছাপিয়ে গেছে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা এখনো বজায় রয়েছে। মনে হচ্ছে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে শুরু হওয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অব্যাহত থাকবে। এই মুহূর্তে মার্কেটে ডলারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই একটি তথ্যই যথেষ্ট যে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প যখন হুমকি দেন, চূড়ান্ত শর্ত আরোপ করেন বা শুল্ক আরোপ ও বৃদ্ধি করেন, তখন মার্কেটের ট্রেডারদের হাতে ডলার বিক্রি করা ছাড়া খুব কমই বিকল্প থাকে। বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে ট্রেন্ডলাইন ও 1.1267 লেভেল ব্রেক করে মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার জন্য শক্তিশালী কোনো ভিত্তির প্রয়োজন হবে। আমরা অনুমান করছি, এই লেভেল এবং ট্রেন্ডলাইনের কাছাকাছি কোথাও একটি ঊর্ধ্বমুখী রিবাউন্ড দেখা দিতে পারে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা উচিত: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। ইউরোজোনে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের মিনিটস বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, তবে এটিকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতিকে উপেক্ষা করছে, তাই এই মিনিটস বা কার্যবিবরণীর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব প্রত্যাশিত নয়।
Read more: https://ifxpr.com/4dFbljx
-
২৯ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1367732287.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুবই কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি এবং বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জিডিপি প্রতিবেদনটি হবে প্রথম প্রান্তিকের দ্বিতীয় অনুমান, যা বস্তুগতভাবে তিনটি অনুমানের মধ্যে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ। বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনে যদি পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফল বড় ধরনের বিচ্যুতি না দেখা যায়, তাহলে তা মার্কেটে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না — আর এই ধরনের বিচ্যুতি খুব কমই ঘটে থাকে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের—থমা বারকিন, অস্টান গুল্সবি, অ্যাড্রিয়ানা কুগলার এবং ম্যারি ডেলি—বক্তব্যগুলো কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তবে, আমরা পূর্বেও বলেছি, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা ও দৃষ্টিভঙ্গি মোটামুটি ১০০% স্পষ্ট। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন কেবল "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করছে। সম্প্রতি ফেডের অনেক সদস্য বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির দিক নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। সারসংক্ষেপে, তারা অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ট্রাম্পের শুল্কের পূর্ণ প্রভাব প্রতিফলিত হওয়ার অপেক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। গতকাল প্রকাশিত ফেডের মিনিটেও এই দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য এখনো একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্য যুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে প্রশমিত হলেও এখনো চলমান রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়ে চলেছেন, তবে এসব তথ্য ডলারকে খুব বেশি সহায়তা করতে পারেনি। যদি বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে চুক্তিগুলো চূড়ান্ত না হয় অথবা আলোচনা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ না করলেও তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মনোভাবের কারণে ডলারের দরপতন চলমান থাকতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের আগের দিনে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের (EUR/USD এবং GBP/USD) নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ এটি এখন একটি টেকনিক্যাল কারেকশন বলে মনে হচ্ছে। একই সময়ে, আমরা ডলারের মূল্যের স্থায়ী বৃদ্ধির কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ দেখতে পাচ্ছি না। মনে হচ্ছে, উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আপাতত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশেষ করে যখন বাণিজ্য যুদ্ধে নতুন করে কোনো উত্তেজনা বৃদ্ধির ইঙ্গিত নেই। তবে, আমরা এটাও বলতে পারছি না যে, বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনেরও সুস্পষ্ট কোনো লক্ষণ রয়েছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে। চার্টের মূল উপাদান: সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী। লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে। MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়। ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Read more: https://ifxpr.com/4jr1QFM
-
৩০ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/495313185.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনকেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। জার্মানিতে মে মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে ২% হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিবার মুদ্রাস্ফীতি কমার সাথে সাথে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) মুদ্রানীতির আরও নমনীয় হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে, এই পদক্ষেপ বর্তমানে ইউরোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা পুরোপুরিভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ সংক্রান্ত ইস্যুর উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রেখেছে। এর পাশাপাশি, জার্মানিতে স্বল্প গুরুত্বপূর্ণ খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রেও আজ তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর কোনোটিই মার্কেটে ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। এই তিনটি প্রতিবেদন হলো: PCE প্রাইস ইনডেক্স, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স, এবং ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন। আমরা আশা করছি না যে এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি—অস্টেন গুল্সবি, রাফায়েল বস্টিক এবং লরি লোগানের—বক্তব্যগ লোর কথা উল্লেখ করা যায়। তবে পূর্বে যেমনটি বলা হয়েছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তাদের বক্তব্য মার্কেটে প্রভাবিত করছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি ইতিমধ্যেই ট্রেডারদের কাছে শতভাগ স্পষ্ট। ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র "ট্রাম্প ফ্যাক্টর"-কে কেন্দ্র করেই ট্রেড করছে, যা গতকালের সেশনে আবারও প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া, সম্প্রতি ফেডের বহু কর্মকর্তা ইতোমধ্যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। সংক্ষেপে, তারা মনে করছেন যে ট্রাম্পের শুল্কনীতির পূর্ণ প্রভাব অর্থনৈতিক সূচকে প্রতিফলিত হতে কিছুটা সময় লাগবে। আমাদের বিশ্বাস, ট্রেডাররা এখনো শুধুমাত্র বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে উদ্বিগ্ন, যার উত্তেজনার মাত্রা ধীরে ধীরে কমছে ঠিকই, কিন্তু এখনো সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়নি। যদি বেশিরভাগ দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি না হয় কিংবা আলোচনাগুলো দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ না করলেও, মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ট্রাম্প এবং তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি চরম নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ডলার দরপতনের শিকার হতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত ট্রাম্পের শুল্ক বাতিল করার রায় দিলেও, সন্ধ্যার মধ্যেই তারা সেই রায় স্থগিত করে দেয়। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ ট্রেডিং দিনে, উভয় কারেন্সি পেয়ার (EUR/USD এবং GBP/USD) আবারও দক্ষিণমুখী মুভমেন্ট শুরু করতে পারে, কারণ এটি একটি টেকনিক্যাল কারেকশনের সময় বলে মনে হচ্ছে। একই সাথে, দীর্ঘমেয়াদি ডলার র্যালির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। সম্ভবত এই মুহূর্তে উভয় পেয়ারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শেষ হয়ে গেছে, কারণ নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধের কোনো বিস্তার দেখা যাচ্ছে না। তবে, পাশাপাশি কোনো সত্যিকারের ডি-এসকেলেশন বা উত্তেজনা হ্রাসেরও স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রেডিংয়ের ভিত্তি হওয়া উচিত টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ।
Read more: https://ifxpr.com/3Z4847l
-
ISM সূচক, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি, ইসিবির বৈঠক এবং মে মাসের নন-ফার্ম পেরোল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1690702359.jpg[/IMG]
এ সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে ভরপুর রয়েছে। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য ঐতিহ্যগতভাবে সবচেয়ে বেশি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়ে থাকে, এবং জুনও এর ব্যতিক্রম হবে না। ক্যালেন্ডারে মার্কিন ISM সূচক, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন, এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রকাশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অতিরিক্ত হিসেবে রয়েছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) জুন মাসের বৈঠক। অর্থাৎ, আসন্ন সপ্তাহটি বেশ ঘটনাবহুল, তথ্যসমৃদ্ধ এবং অত্যন্ত অস্থিরতা হবে বলে মনে হচ্ছে।
সোমবার
সোমবার ইউরোপীয় সেশনে মে মাসের চূড়ান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, চূড়ান্ত অনুমানের ফলাফল প্রাথমিক অনুমানের সঙ্গে মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে, তাই ট্রেডাররা সম্ভবত এই প্রতিবেদন উপেক্ষা করবে। তবে, মার্কিন সেশনের প্রতিবেদনগুলো সম্ভবত মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা বাড়াবে। বিশেষ করে, মে মাসের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচক প্রকাশিত হবে। এই সূচক টানা চার মাস ধরে কমেছে এবং গত দুই মাস ধরে সংকোচন অঞ্চলে (৫০ পয়েন্টের নিচে) অবস্থান করছে। বিশ্লেষকেরা মে মাসে সূচকটি সামান্য বেড়ে ৪৯.৩-তে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন। যদি প্রত্যাশার বিপরীতে সূচকটি ৫০-এর ওপরে উঠে যায়, তাহলে ডলার উল্লেখযোগ্য সহায়তা পাবে। মার্কিন সেশনে ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও বক্তব্য দেবেন: ডালাস ফেডের প্রেসিডেন্ট লরি লোগান (এই বছর ভোটাধিকার নেই), শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি (ভোটাধিকার প্রাপ্ত সদস্য), এবং ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার
মঙ্গলবার দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই অঞ্চলের সামগ্রিক ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) দুই মাস ২.২%-এ থাকার পর বার্ষিক ভিত্তিতে কমে ২.০%-এ নেমে আসবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। জ্বালানি ও খাদ্য মূল্য বাদ দিয়ে মূল CPI-ও ২.৭% থেকে কমে ২.৪%-এ নামবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এমন ফলাফল জুনের বৈঠকে ইসিবি কর্তৃক আরেকবার সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে সমর্থন করবে। তবে, এটা মনে রাখা জরুরি যে জুনে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাস ইতোমধ্যে মার্কেটে মূল্যায়িত হয়েছে। তাই মে মাসের মুদ্রাস্ফীতি কমে গেলে সেটির প্রভাব মার্কেটে পড়বে না, যদি না মুদ্রাস্ফীতি অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায়—সেক্ষেত্রে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা উল্লেখযোগ্য অনুপ্রেরণা পেতে পারে। মার্কিন সেশনে এপ্রিল মাসের JOLTs থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গত মাসে এই প্রতিবেদনের ফলাফল ৭.১৯ মিলিয়ন এসেছিল (৭.৪৯ মিলিয়নের পূর্বাভাসের তুলনায় কম), যা টানা দুই মাস ধরে পতন নির্দেশ করছে। বিশ্লেষকেরা এই ফলাফল আরও একবার হ্রাস পেয়ে ৭.০৩ মিলিয়ন হবে বলে আশা করছেন। যদিও এই সূচকটি বেশ দেরিতে প্রকাশিত হবে, তবুও এটি ডলারের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করতে পারে।
বুধবার ADP থেকে মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা অফিশিয়াল ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসে মাত্র ১১০,০০০ কর্মসংস্থান বাড়বে, যা দুর্বল ফলাফল এবং ননফার্ম প্রতিবেদনের জন্য ভালো সংকেত নয়, যদিও দুটি প্রতিবেদনের ফলাফল সবসময় সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় না। গত মাসে ADP-র প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছিল কর্মসংস্থান ৬২,০০০ বেড়েছে, আর ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন কর্মসংস্থান +১৭৭,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এদিন ISM থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-ও প্রকাশিত হবে। এটি মে মাসে এপ্রিলের ৫১.৬ থেকে বেড়ে ৫২.০-তে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ডলারের ক্রেতাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সূচকটি যেন ৫০-এর ওপরে থাকে। এদিন ফেডের প্রধান বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন আটলান্টা ফেডের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বোস্টিক (যার এই বছর ভোটাধিকার নেই) এবং ফেড গভর্নর লিসা কুক (ভোটাধিকার প্রাপ্ত সদস্য)।
বৃহস্পতিবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জুন মাসের বৈঠক সভা। সম্ভাব্য দৃশ্যপট অনুযায়ী, সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট হ্রাস করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে ইসিবির। ফ্রাঁসোয়া ভিলেরোই ডি গালো, পিয়েরে উঁশ, এবং মারিও সেন্তেনোর মত কর্মকর্তাদের পূর্ববর্তী বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত মার্কেটে ইতোমধ্যেই মূল্যায়িত হয়েছে। তাই ইসিবির বিবৃতি ও ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যের দিকে দৃষ্টি থাকবে। "হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেও সুদের হার হ্রাসের" সম্ভাবনা রয়েছে—ইসিবি সুদের হার কমালেও হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রেসিডেন্ট ফাবিও পানেত্তা সম্প্রতি বলেছেন ইসিবির সুদের হার কমানোর সুযোগ "সীমিত", এবং তিনি বাস্তববাদী ও নমনীয় পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসিবি যদি এমন সংকেত দেয়, তাহলে ইউরো উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হতে পারে। বৃহস্পতিবার ফেডের বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন গভর্নর অ্যাড্রিয়ানা কুগলার এবং ফিলাডেলফিয়া ফেড প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক হার্কার (যিনি শীঘ্রই অবসর নিচ্ছেন)।
শুক্রবার শুক্রবার ট্রেডারদের দৃষ্টি মে মাসের ননফার্ম পেরোলস-এর দিকে নিবদ্ধ থাকবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী মাত্র ১৩০,০০০ কর্মসংস্থান বাড়বে, যেখানে এপ্রিল মাসে ১৭৭,০০০ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বেকারত্বের হার ৪.২%-এ অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং গড় ঘন্টা মজুরি বৃদ্ধির হার কমে ৩.৮%-এ নামবে। লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট ৬২.৫%-এ কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদি ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস অনুযায়ী বা এর নিচে আসে, তাহলে ডলার আবারও চাপের মধ্যে পড়বে।
উপসংহার জুনের প্রথম সপ্তাহে বেশ অনেকগুলো প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং বেশ উচ্চমাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে। ISM সূচক এবং ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের প্রতি ডলারের ট্রেডাররা প্রতিক্রিয়া দেখাবে, এবং ইউরোর ট্রেডাররা মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ও ইসিবির বৈঠকের সভার ফলাফলের ওপর প্রতিক্রিয়া দেখাবে। এছাড়াও, ট্রেডাররা মার্কিন-চীন এবং মার্কিন-ইইউ বাণিজ্য আলোচনার খবরের ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখবে। গত শুক্রবার, ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত কাঁচামালের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন, যার ফলে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় চীন অভিযোগ তোলে যে যুক্তরাষ্ট্র এশিয়াকে "বারুদের স্তুপে" পরিণত করছে এবং পেন্টাগন প্রধান পিটার হেগসেথের "ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুমকি" মন্তব্যের নিন্দা জানায়। যদি এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে, তাহলে ISM বা ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন থেকে সমর্থন পেলেও ডলার তীব্র চাপের মুখে পড়বে। আমার বিশ্বাস ডলার এখনও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, তাই EUR/USD-র যেকোনো দরপতনকে লং পজিশন ওপেন করা সুযোগ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে প্রথম (এবং প্রধান) লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1430-এর লেভেল—যা D1 টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের ঊর্ধ্বসীমা।
Read more: https://ifxpr.com/4mN8cSY
-
ট্রেডাররা জাপানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/905826168.jpg[/IMG]
আজ ব্যাংক অব জাপানের গভর্নর কাজুয়ো উয়েদা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পরবর্তী অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারী বন্ড ক্রয়ের গতি আরও মন্থর করতে পারে—যেহেতু বোর্ড বন্ড ক্রয় কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে। এর পরপরই ইয়েন দুর্বল হয় এবং ডলারের বিপরীতে কিছুটা দরপতনের শিকার হয়। যদিও এই বক্তব্যটি ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং নতুন করে জাপানের মুদ্রানীতির মূল্যায়নের সূচনা করেছে, তবুও মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে ধীরগতিতে হলেও আরও কঠোর নীতিমালার দিকেই অগ্রসর হওয়ার সংকেত হিসেবে দেখছে। পূর্বে বিনিয়োগকারীরা ধরে নিচ্ছিলেন যে ব্যাংক অব জাপান তাদের 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের' অবস্থান অব্যাহত রাখবে, কিন্তু এখন তারা বাধ্য হচ্ছেন এই সম্ভাবনাও বিবেচনায় আনতে যে, ব্যাংক অব জাপান পূর্বাভাসের তুলনায় দ্রুতই দীর্ঘদিনের কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং কর্মসূচি থেকে সরে আসতে পারে।
ব্যাংক অব জাপানের অবস্থানের পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ—যার মধ্যে অন্যতম হলো বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি এবং আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। বন্ড ক্রয় হ্রাস মূলত মুদ্রানীতিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্রথম ধাপ, যা বৈশ্বিক মূলধন প্রবাহের ওপরও প্রভাব ফেলবে। "বেশ কয়েকটি মতামতে বলা হয়েছে, বন্ড ক্রয় কমানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়াই উপযুক্ত হবে, তবে এটি যেন পূর্বানুমানযোগ্য া ও নমনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে,"—মঙ্গলবার কাজুয়ো উয়েদা গত মাসে ব্যাংক অব জাপান আয়োজিত বন্ড মার্কেট ট্রেডারদের সঙ্গে সভায় আলোচিত মতামতগুলো তুলে ধরেন। তার বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, ব্যাংক অব জাপান মনে করে ট্রেডাররা সামগ্রিকভাবে বন্ড ক্রয় হ্রাসকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছে, বিশেষ করে যখন গত গ্রীষ্মে কোয়ান্টিটেটিভ টাইটেনিং শুরু হয়েছিল। চলতি মাসের শেষ দিকে ব্যাংক অব জাপান আগামী অর্থবছরের (এপ্রিল থেকে শুরু) জন্য বন্ড ক্রয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারে, যদিও সুনির্দিষ্ট সময়সীমা এখনো নির্ধারিত করা হয়নি। উয়েদা আরও উল্লেখ করেন যে, ব্যাংক অব জাপান বর্তমানে ৪০০ বিলিয়ন ইয়েনের (প্রায় $2.8 বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বন্ড ক্রয়ের পরিকল্পনা বজায় রাখবে, এবং এই পরিমাণের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা এখনো খুব সীমিত। এইসব ঘোষণার প্রেক্ষিতে, বন্ড ট্রেডাররা এখন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে—দীর্ঘ এক দশকের অধিক সময় ধরে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির পর ব্যাংক অব জাপান, যেটি জাপানের সবচেয়ে বড় সরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান, কীভাবে ধীরে ধীরে বন্ড ক্রয় হ্রাস করবে। ব্যাংক অব জাপানের সাবেক বোর্ড সদস্য মাসাকোতো সাকুরাইসহ অনেকেই পূর্বাভাস দিচ্ছেন যে, সাম্প্রতিককালে বন্ডের ইয়েল্ডের বৃদ্ধির পর, যা মার্কেটকে এক সংকটময় পর্যায়ে নিয়ে এসেছে, ব্যাংক অব জাপান হয়তো বন্ড ক্রয় হ্রাসের প্রক্রিয়া থামিয়ে দেবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সম্প্রতি ৩০-বছর মেয়াদি জাপানি বন্ডের ইয়েল্ড রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে, যা দীর্ঘমেয়াদি বন্ডের চাহিদা-সরবরাহের ভারসাম্যে স্পষ্ট সংকটের ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে আগামী ১৭ জুন ঘোষিতব্য ব্যাংক অব জাপানের বন্ড ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতি আগ্রহ আরও বেড়েছে। উয়েদা বন্ড ক্রয়ের গতি সম্পর্কে খুব বেশি বিশদে যাননি, বরং তিনি বলেন এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। ব্যাংক অব জাপান বর্তমানে জাপানের বিদ্যমান সরকারি বন্ডের প্রায় অর্ধেকই ধরে রেখেছে—এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নজিরবিহীনভাবে বন্ড ক্রয়ের ফলে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। উয়েদা বারবার বলেছেন যে, বন্ডের ইয়েল্ড লেভেল এখন মার্কেটেই নির্ধারিত হবে এবং এর কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারই এখন তার প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, "আমরা আমাদের রেফারেন্স রেট জোর করে বাড়িয়ে ভবিষ্যতে ইয়েল্ড কমানোর পরিবেশ তৈরি করতে চাই না—এমনকি যদি আমরা অর্থনীতি ও মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতির উন্নতি প্রত্যাশা করতে না পারি।" উল্লেখযোগ্য, কিছুদিন আগেই উয়েদা ইয়েনকে সমর্থন দিয়েছিলেন যখন তিনি স্পষ্টভাবে বলেন যে অর্থনীতির উন্নতি হলে তিনি মূল সুদের হার আরও বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে। ব্যাংক অব জাপান এখনো এমন একটি নমনীয় কৌশল অবলম্বন করছে, যাতে প্রয়োজনে মুদ্রানীতির পরিমাণ সমন্বয় করে মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3FxgsWq
-
৪ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2141916562.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। অবশ্যই উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরিষেবা খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক প্রকাশিত হবে। তবে আমরা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে সোমবার মার্কেটের ট্রেডাররা এই ধরনের সূচকগুলোর প্রতি প্রায় কোনোই মনোযোগ দেয়নি। গতকাল JOLTs থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলনামূলকভাবে ইতিবাচক ফলাফল দেখা গিয়েছিল, যার ফলে ডলারের মূল্য ২০ পিপস বেড়ে যায়, তবে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ডলার দরপতনের শিকার হয়। সুতরাং, আমাদের ধারণা অনুযায়ী, আজ শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ISM পরিষেবা সূচকই হয়তো মার্কেটে কিছুটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে এটি সামগ্রিকভাবে মার্কেটে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। এছাড়াও, আজ যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, যেটিকে প্রায়ই ননফার্ম পেরোলের "ছোট ভাই" বলা হয়। তবে ননফার্ম পেরোল ও ADP প্রতিবেদনের ফলাফল ও প্রবণতা সাধারণত একসঙ্গে পাওয়া না, তাই শ্রমবাজারের ব্যাপারে ধারণা পাওয়ার জন্য ট্রেডাররা মূলত ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দিকেই নজর রাখবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদ লাইজা কুক এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তবে, আমরা পূর্বেও বলেছি, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য মার্কেটে কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর নীতিমালা ও অবস্থান শতভাগ স্পষ্ট, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র "ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের" ভিত্তিতে ট্রেড করছে। আমাদের বিশ্লেষণে এখনো প্রতীয়মান হয় যে মার্কেটের ট্রেডাররা শুধুমাত্র চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়েই উদ্বিগ্ন। যদি বেশিরভাগ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নির্ধারিত সময়সীমার (যা এখন প্রায় এক মাস বাকি) মধ্যে সম্পাদিত না হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি নতুন করে ট্রাম্প শুল্ক আরোপ না করলেও মার্কেটে ডলারের প্রতি নেতিবাচক মনোভাবের কারণে এটি দুর্বল থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত শুরুতে ট্রাম্পের শুল্ককে অবরুদ্ধ করার আদেশ দিলেও সন্ধ্যায় আপিল আদালত সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে। পরে সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে ট্রাম্প স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন। উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সম্ভবত টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতেই দুটি প্রধান কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে, যদি না ট্রাম্পের তরফ থেকে নতুন কোনো উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন খবর আসে। অতএব, আজ শান্ত বা এমনকি সাইডওয়েজ মুভমেন্টও দেখা যেতে পারে। ইউরোর মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ রেঞ্জ হচ্ছে 1.1354 থেকে 1.1363 এর মধ্যে। অন্যদিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এখনো তুলনামূলকভাবে স্বাধীনভাবে ওঠানামা করছে।
Read more: https://ifxpr.com/3HqHgYT
-
১৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1163695994.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই, তবে মার্কেটে খবরের কোনো ঘাটতি নেই। এই সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি সমস্ত আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন, কারণ "কালো তালিকাভুক্ত" দেশগুলোর কোনোটিই এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বা গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এর পাশাপাশি শুক্রবার রাতে ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে, যার সাথে যুক্তরাষ্ট্রেরও সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরপর শনিবার রাতে ইরান ইসরায়েলের একাধিক শহরে পাল্টা আক্রমণ করে। "আয়রন ডোম" শত্রুপক্ষের শত শত রকেট থামাতে ব্যর্থ হয়েছে। সোমবার রাতের আগে মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আর কী কী হতে পারে তা কল্পনা করাও কঠিন, তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ট্রেডাররা এই সমস্ত খবরের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাবে—অথবা অন্তত উচ্চমাত্রায় আবেগপ্রবণ অবস্থায় থাকবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ নির্ধারিত নেই, তবে আজ দিনের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প ইতোমধ্যে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ইরান হামলায় অংশ নেয়নি, কিন্তু এটি আদৌ কোনো গুরুত্ব বহন করে না, কারণ সবাই জানে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন প্রদান করে। আমাদের মতে, এখনো পর্যন্ত মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং এর সমাধানের কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এর পাশাপাশি বর্তমানে প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্র ুড়ে গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অতি সুন্দর বিল", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এবং ইসরায়েল-ইরান সামরিক সংঘাত। ইসরায়েল-ইরানের সংঘাত, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে ডলার সাময়িকভাবে কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে এই বিষয়টি শুক্রবারও ডলারকে খুব একটা সহায়তা দিতে পারেনি। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে আবারও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। আমরা এই পেয়ারগুলোর মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দিচ্ছি না, কারণ সবকিছুই উপরোক্ত বিষয়গুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খবরের ওপর নির্ভর করবে। টেকনিক্যাল লেভেল অনুসারে ট্রেড করা যেতে পারে, তবে ঘন ঘন রিভার্সাল এবং মূল্যের তীব্র ওঠানামার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4jUXS8G
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি, ১৭ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/994793736.jpg[/IMG]
গতকাল নিয়মিত সেশনের শেষে, মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.94% বৃদ্ধি পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 1.55% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং ডাও জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ 0.74% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আজ সকালের ট্রেডিং সেশনে মার্কিন ফিউচার সূচকগুলোতে পতন পরিলক্ষিত হয়েছে এবং তেলের দাম বেড়েছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেসামরিক ব্যক্তিদের তেহরান থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন—যা আগের দিনে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এমন প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মার্কেটের ট্রেডাররা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, এবং মার্কেটের সার্বিক অস্থিরতার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা প্রতিফলিত হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাব্য প্রভাব এবং বৈশ্বিক তেল সরবরাহে এর প্রভাব মূল্যায়ন করছে। যদি তেহরান থেকে বেসামরিক লোকজনের সরে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়, তবে এটি সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য বড় প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিতে পারে, যার ফলে প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল থেকে তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৈশ্বিক নেতাবৃন্দের এবং কূটনৈতিক সংস্থাগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। যতদিন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বজায় থাকবে, তেলের মূল্যের অস্থিরতা বজায় থাকবে, যা এই অঞ্চলে সম্ভাব্য পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রতিফলিত করে। এর প্রভাব শুধু জ্বালানি খাতে নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপরও পড়ছে, যা ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তুলে ধরছে। G7 সম্মেলন থেকে ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে করা মন্তব্যের পর S&P 500 ফিউচার 0.7% কমে গেছে। তিনি ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা পরিষ্কার নয়, কারণ কিছুক্ষণ আগেই তিনি বলেছিলেন যে ইরান একটি চুক্তি করতে চাচ্ছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলোতেও দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং এশীয় স্টক মার্কেটে তেমন কোনো বড় পরিবর্তন ছাড়াই ট্রেড করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার G7 সফরসূচী সংক্ষিপ্ত করেন এবং জানান যে তার ওয়াশিংটনে ফিরে আসার কারণ যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্বর্ণের দাম বেড়েছে, তবে মার্কিন ডলার এবং ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ডে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘাতের কারণে মার্কেটে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, এবং বিনিয়োগকারীরা এই সামরিক যুদ্ধের বিস্তার ও বৃহৎ হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন প্রধানত তেলের দামের দিকে, কারণ প্যান্ডেমিকের সময়ের কাছাকাছি মূল্যে থাকা এই কমোডিটি হঠাৎ করে আবার একটি নতুন মুদ্রাস্ফীতির উৎসে পরিণত হয়েছে। এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা কমাতে আলোচনা করতে আগ্রহী, যদিও উভয় পক্ষ এখনও পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, ট্রাম্প কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। ব্রেন্ট ক্রুডের দর 2.7% বৃদ্ধির পর দর বৃদ্ধি এবং দরপতনের মধ্যে দোদুল্যমান ছিল। উল্লেখযোগ্য যে, মধ্যপ্রাচ্যের উৎপাদকরা হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ করে থাকে, এবং তেহরান যদি এই পথে জাহাজ চলাচলে বাধা দেয়, তবে তেলের দাম তীব্রভাবে বেড়ে যেতে পারে। বাণিজ্য আলোচনার দিক থেকে, কানাডার আলবার্টায় অনুষ্ঠিত G7 সম্মেলনে ট্রাম্প এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি। তবে, ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে পূর্বঘোষিত বাণিজ্য শর্ত বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে একমত হন, যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটিশ রপ্তানির ওপর শুল্ক কমাবে এবং যুক্তরাজ্য নির্দিষ্ট মার্কিন কৃষিপণ্যের জন্য কোটা বাড়াবে। অন্যদিকে, ব্যাংক অব জাপান প্রত্যাশামতো তাদের সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে এবং মার্কেটে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছর বন্ড ক্রয়ের মাত্রা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইয়েনের মূল্যে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। আগামী দিনগুলোতে, ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের নীতিগত সিদ্ধান্তের ওপর মনোযোগ দেবে, যা বুধবার প্রকাশিত হবে। ফেডের কর্মকর্তারা সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার বার্তা দিতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে ইঙ্গিত খুঁজছেন যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে কবে ও কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। S&P 500 সূচকের টেকনিক্যাল পূর্বাভাস: আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হবে সূচকটির $6013 এর কাছাকাছি রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করা। এতে সফল হলে সূচকটির পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা $6030-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হবে $6047 এর উপরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। যদি মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে যায় এবং সূচকটি নিম্নমুখী হয়, তবে ক্রেতাদের সূচকটির দরকে $5999 লেভেলে ধরে রাখতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত $5986-এ নেমে যেতে পারে এবং সেখান থেকে $5975 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4kNqbHs
-
১৯ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1115746.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। আজ একমাত্র উল্লেখযোগ্য বিষয় হবে ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ এবং নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। একইসঙ্গে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সামরিক সংঘাত—যাতে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে—এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য-সম্পর্কিত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ভুলে যাওয়া যাবে না। এইগুলোই আজ উভয় ইনস্ট্রুমেন্টের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে, লাগার্দের ভাষণকে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলেও, আমরা আশা করছি না যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। ইসিবির বৈঠক সদ্য অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই আজ নতুন কোনো বিবৃতির প্রত্যাশা করার কারণ নেই। এছাড়াও, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকও উল্লেখযোগ্য, যার ফলাফল আগেই অনেকটা জানা। মূল মনোযোগের বিষয় হবে মূল সুদের হার নিয়ে ভোটের ফলাফল। ভোট বিভাজনের ধরন অনুযায়ী মধ্যাহ্নের আশপাশে পাউন্ডের মূল্যের চলমান মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। আমরা মনে করি, বাণিজ্য যুদ্ধই ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এখনো কোনো সমাধানের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ইস্যুর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণ-আন্দোলন, ট্রাম্পের তথাকথিত "অতি সুন্দর আইন", 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি আছে কি না, নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়গুলো। তাত্ত্বিকভাবে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এতে জড়িয়ে পড়লে ডলারের দর ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে আমরা মনে করি না যে এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে সমর্থন পাবে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ থাকবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের দিকে। এর ফলে, আবারও উভয় পেয়ারের মূল্যের যথেষ্ট এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3G6DPGv
-
২০ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1481599536.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার তেমন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাজ্যের রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে, আজ সম্ভবত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। ক্রিস্টিন লাগার্ডে গতকাল কিয়েভে দুটি বক্তব্য দিয়েছেন, তবে তার কোনোটিতেই তিনি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। ইতোমধ্যে তিনটি প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে, ফলে ইসিবি, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে শিগগিরই নতুন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারার সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ এখনো মধ্যপ্রাচ্যের সংকটের উত্তেজনার দিকেই রয়ে গেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের উদ্বেগের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যা নিষ্পত্তির কোনো ইঙ্গিত এখনো নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, ট্রাম্পের "একটি অতি সুন্দর আইন", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা কতটা অগ্রসর হয়েছে কিংবা হয়নি, নতুন শুল্ক আরোপ এবং পূর্বের শুল্ক বৃদ্ধি। তত্ত্বগতভাবে, ইসরায়েল–ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত থাকার কারণে মার্কিন ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারে; তবে, আমাদের বিশ্বাস ডলার ইতোমধ্যে এই ঘটনাটি থেকে সম্ভবপর সব সুবিধা আদায় করে নিয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সীমিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, কারণ কার্যত কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তবে গতকাল উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম শুরু হয়েছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে, ডলার এখন একটি নতুন দীর্ঘমেয়াদি দরপতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
Read more: https://ifxpr.com/44i5r3I
-
ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে "দীর্ঘমেয়াদি জবাব" দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/290970378.jpg[/IMG]
মার্কিন বোমারু বিমান কর্তৃক ইরানের উপর রাতভর বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই—ইরান থেকে ছোড়া হচ্ছে ক্ষেপণাস্ত্র। তবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি বা সম্পদ এই হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল না, বরং ইসরায়েলের উপর আক্রমণ করা হয়েছে, যা ভৌগোলিকভাবে ইরানের অনেক কাছাকাছি অবস্থিত। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ইরান পাল্টা জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে। তিনি সতর্ক করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। আরাকচির ভাষ্যমতে, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) সরাসরি লঙ্ঘন করেছে। ইরান যুক্তি দিয়েছে, একই যুক্তির ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের যেকোনো পারমাণবিক স্থাপনাকে "বিপজ্জনক হুমকি" আখ্যা দিয়ে আক্রমণ করতে পারে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, "জাতিসংঘ সনদ আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে বৈধ প্রতিক্রিয়ার অনুমতি দেয়। ইরান তার সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করার অধিকার রাখে।" উল্লেখযোগ্য যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর ইতিহাস বরাবরই ধোঁয়াশায় ঘেরা। কয়েক দশক ধরে ইরানি কর্তৃপক্ষ দাবি করে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অনেক দেশ সন্দেহ পোষণ করে যে, ইরান পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ওয়ারহেড তৈরি করছে, যেগুলোকে "বেসামরিক গবেষণা" হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অনেক পারমাণবিক স্থাপনাই ভূগর্ভে নির্মিত হওয়ায় বাইরের দৃষ্টিসীমা বা স্যাটেলাইটেও সেগুলো অদৃশ্য থাকে। স্বাভাবিকভাবেই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয় রয়েছে, এবং ইরান যে শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করছে—তা মনে করার বিশেষ কারণ নেই, বিশেষ করে যখন অঞ্চলটিতে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবুও বাস্তবিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ থাকলেও তারা তা অস্বীকার করে এবং ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে অর্থনীতিকে চাপে রাখা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে চলেছে। আমার মতে, এই পর্যায়ে এসেও তেহরান স্বেচ্ছায় পারমাণবিক কর্মসূচি পরিত্যাগ করবে এমন সম্ভাবনা নেই। ইরানের তা করার জন্য প্রায় ৪০ বছর সময় ছিল। এখনও পর্যন্ত তা না করা মানেই, পারমাণবিক কর্মসূচীর উন্নয়ন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বা বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ফলে, এই সংঘাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাই বেশি, এবং দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি আঘাত হানতে থাকবে। সোমবার ডলার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে? এটি একটি জটিল প্রশ্ন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ডলার "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে তার অবস্থান হারিয়েছে। এখন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি একটি আন্তর্জাতিক সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে গেছে। বিনিয়গকারীকে এই ঘটনাকে ইতিবাচকভাবে দেখবে কিনা বা মার্কিন মুদ্রার চাহিদা বাড়বে কিনা সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান।
Read more: https://ifxpr.com/3T4fwfd
-
২৪ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1542022331.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কমসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কার্যত, উল্লেখযোগ্য বলতে কেবল জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স রয়েছে — কিন্তু এখন কে আসলেই এই সূচকের প্রতি আগ্রহী থাকবে? গতকাল ট্রেডাররা জার্মানি, ইইউ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের আটটি বিজনেস অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্সকে সরাসরি উপেক্ষা করেছে, কারণ অন্য সংবাদগুলি এগুলোর ওপর সুস্পষ্টভাবে ছায়া ফেলেছে। আজও একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। আবারও বলি, আমরা লাগার্দ কিংবা পাওয়েলের কাছ থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য বিবৃতির প্রত্যাশা করছি না, কারণ ইসিবি এবং ফেডের সর্বশেষ বৈঠক খুব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং তারপর থেকে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি যা তাদের নীতিমালায় পরিবর্তনের কারণ হতে পারে। চমক থাকতে পারে, তবে সে সম্ভাবনা কম। ট্রেডারদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত নেই। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক গণবিক্ষোভ, ট্রাম্পের "অতি সুন্দর একটি", ৭৫টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা কতটা এগিয়েছে (বা এগোয়নি), নতুন শুল্ক আরোপ এবং বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সংঘর্ষ থেকে ডলার কিছুটা সমর্থন পেতে পারত, যেখানে এখন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িত হয়েছে। তবে, আমাদের মতে ডলার ইতোমধ্যেই এই পরিস্থিতি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে ফেলেছে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ ডলার এখন চাপের মুখে রয়েছে — একদিকে বাণিজ্য যুদ্ধ, অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত, যেখানেও যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে পড়েছে। অবশ্যই, ডলারের মূল্য চিরকাল নিম্নমুখী প্রবণতায় থাকবে না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো সংঘাতেরই প্রশমনের কোনো ইঙ্গিত নেই। ফলে, উভয়পক্ষ পরস্পরের ওপর হামলা চালিয়ে যেতে পারে, যা নতুন করে ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে — ডলারকে এখন আর কেউ "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে বিবেচনা করছে না।
Read more: https://ifxpr.com/4nhgl2a
-
২৫ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1502583635.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। গত দুই দিনে ইউরো ও পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দর বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে, নতুন করে ডলারের দরপতনই যার মূল কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তবে গতকাল (বিশেষ করে ইউরোর ক্ষেত্রে) অস্থিরতার মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে, তাই আজ (যদি নতুন কোনো উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন খবর না আসে) মার্কেটের ট্রেডাররা বিরতি নিতে পারে। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য ৩ বছরের মধ্যে নতুন সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে এবং সামগ্রিকভাবে ডলারের বিপরীতে আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার জন্য প্রস্তুত। গত দুই সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত একাধিকবার ডলারকে সহায়তা করেছিল, কিন্তু এই সহায়তা সত্ত্বেও মার্কিন কারেন্সির মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সপ্তাহে জেরোম পাওয়েল, ক্রিস্টিন লাগার্দ ও অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল কংগ্রেসের সামনে পাওয়েলের দ্বিতীয় বক্তব্যই কিছুটা গুরুত্বসম্পন্ন। স্মরণ করিয়ে দিই যে, পাওয়েলের প্রথম বক্তব্য গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে ফেডের চেয়ারম্যান শুধু সেই সকল বিষয়েরই পুনরাবৃত্তি করেছেন, যেগুলো ট্রেডাররা অনেক আগে থেকেই জানে: নিকট ভবিষ্যতে মূল সুদের হার কমানো হবে না; নতুন মার্কিন বাণিজ্য নীতিমালা অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা পর্যবেক্ষণ করছে; এবং নতুন করে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আজ পাওয়েল নতুন কিছু বলবেন—এমন সম্ভাবনা খুবই কম। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের কাছে এখনো বাণিজ্য যুদ্ধই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যার শেষ কোথায় তা স্পষ্ট নয়। সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব ঘটনাই কোনো না কোনোভাবে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের সুযোগে ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারত, কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে যতটুকু সুবিধা নেওয়া সম্ভব ছিল, তা ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়ে গেছে। যদি বিনিয়োগকারীরা "নিরাপদ বিনিয়োগ" হিসেবে ডলারের প্রতি আস্থা না রাখে, তাহলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার সময়েও ডলারের মূল্য বাড়বে না। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। নিকট ভবিষ্যতে এটি স্পষ্ট হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য কোনো দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট সামনে অপেক্ষা করছে, তবে আজ কোনোই গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
Read more: https://ifxpr.com/4k4FbPW
-
২৬ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/707705049.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার খুব অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং চলতি সপ্তাহে মার্কেটে স্পষ্টভাবে গত পাঁচ মাস ধরে চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য ছাড়া—যা মূলত মঙ্গলবারের বক্তব্যের হুবহু পুনরাবৃত্তি ছিল—মার্কেটে নতুন করে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য আসেনি। তবুও ডলার আরও 100 পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে। তাই আজ প্রকাশিতব্য মার্কিন জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন মার্কেট সেন্টিমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, এমনটা আমরা আশা করছি না। এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশের সময় স্থানীয়ভাবে মার্কিন ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারে, তবে সেটারই বা কী গুরুত্ব রয়েছে? শুধুমাত্র এই কারণে যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম সংকুচিত হয়েছে, তাই বলে কি ডলারের পাঁচ মাসব্যাপী চলমান দরপতন থেমে যাবে? এমন সম্ভাবনা কম। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য, যিনি ইতোমধ্যেই সপ্তাহের শুরুতে বক্তব্য দিয়েছেন কিন্তু কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। একই কথা ক্রিস্টিন লাগার্দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যিনি এই সপ্তাহেই বক্তব্য রেখেছেন কিন্তু উল্লেখযোগ্য কিছুই জানাননি। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে, এবং সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকে জুলাই মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন। স্পষ্টতই, যত বেশি এই ধরনের মতামত সামনে আসবে, ডলারের দরপতনের সম্ভাবনাও তত বেশি হবে। এখনো মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এখন পর্যন্ত যার কোনো সমাধান বা উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি খুব দ্রুত উত্তপ্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য বাদে) একটি বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করতে পারেননি। তার রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/331772031.jpg[/IMG]
উপসংহার: এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য আরও বাড়তে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই বোঝা যাবে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করবে কি না। অনেক গুরুত্বপূর্ণ অভেন্ট সামনে রয়েছে, এবং ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3HYHc2Y
-
এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/453563718.jpg[/IMG]
গতকাল নাসডাক টেক সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে দৈনিক লেনদেন শেষ হয়েছে, যার প্রধান কারণ ছিল এনভিডিয়া কর্পোরেশনের শেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা, যা ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছে। এআই চিপ ও সেমিকন্ডাক্টরের শীর্ষ প্রস্তুতকারক এনভিডিয়ার স্টকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম অব্যাহত রয়েছে এবং আবারও এটি বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 4.3% বৃদ্ধি পেয়ে $154.31-এ পৌঁছায়, যা এ বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত পূর্বের সর্বোচ্চ রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। এপ্রিলের নিম্নমুখী স্তর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারের দর 63% বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে কোম্পানিটির বাজার মূলধন প্রায় $1.5 ট্রিলিয়ন বেড়েছে। সর্বশেষ এই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এনভিডিয়ার বাজারমূল্য পৌঁছেছে প্রায় $3.77 ট্রিলিয়নে, যা মাইক্রোসফট কর্পোরেশনকে ছাড়িয়ে গেছে, যার বাজারমূল্য বর্তমানে $3.66 ট্রিলিয়ন। এনভিডিয়ার সর্বশেষ আয়ের প্রতিবেদন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বড় অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও শক্তিশালী অবস্থান বজায় থাকবে বলে আভাস মিলেছে—যদিও ট্রাম্পের আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের কারণে চীনে উন্নত সেমিকন্ডাক্টরের বিক্রিতে চাপ পড়ছে। কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্যের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কয়েক মাসব্যাপী শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত ফলাফল, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্ত ক উন্নয়নে ব্যবহৃত আধুনিক প্রযুক্তির প্রতি অসীম চাহিদা দ্বারা চালিত হয়েছে। এই দ্রুত বিকাশমান খাতে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া ভবিষ্যতের এআই খাত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে দেখছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এনভিডিয়ার এই সাফল্য কেবল সৌভাগ্যের উপর নির্ভরশীল নয়—কোম্পানিটি বছরের পর বছর গবেষণা ও উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে, যা আজকের এই নেতৃস্থানীয় ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তাদের GPU আর্কিটেকচার এখন মেশিন লার্নিং এবং ডিপ লার্নিং-এর জন্য ডি-ফ্যাক্টো স্ট্যান্ডার্ড হয়ে উঠেছে, যা স্টার্টআপ থেকে শুরু করে বড় বড় টেক জায়ান্টদের জন্য অপরিহার্য। এনভিডিয়ার বুধবারের শেয়ারহোল্ডারদের সভায় সিইও জেনসেন হুয়াং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছেন যে চাহিদা এখনও শক্তিশালী রয়েছে। তিনি আবারও বলেছেন, কম্পিউটিং শিল্প বর্তমানে একটি বিশাল পরিকাঠামোগত রূপান্তরের শুরুতে রয়েছে, যার চালিকা শক্তি হচ্ছে AI। মাত্র কয়েক বছর আগেও অচেনা থাকা এনভিডিয়া এখন ঘরে ঘরে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে এবং সম্ভবত ওয়াল স্ট্রিটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত প্রায় সবকিছুর প্রতিচ্ছবি। এই বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারের দর 15% বেড়েছে, যা 2024 সালে 170% বৃদ্ধির এবং 2023 সালে প্রায় 240% বৃদ্ধির পর এসেছে। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এমন শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পরেও কোম্পানিটি এখনও আকর্ষণীয় অবস্থানে রয়েছে। এনভিডিয়ার শেয়ার বর্তমানে পূর্বাভাস্কৃত ১২ মাসের আয় অনুযায়ী 31.5 গুণে ট্রেড করছে—যা তাদের গত ১০ বছরের গড় থেকে কম এবং নাসডাক 100-এর গড় 27-এর খুব কাছাকাছি। শেয়ারের PEG অনুপাত—যা প্রবৃদ্ধির তুলনায় মূল্যায়ন বোঝায়—প্রায় 0.9, যা "ম্যাগনিফিসেন্ট" কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং যৌক্তিক মূল্যায়নের এই সমন্বয়ই এনভিডিয়া সম্পর্কে ওয়াল স্ট্রিটের ট্রেডারদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মূল কারণ। বড় বড় অনেক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এখনও এনভিডিয়ার শেয়ার কেনার পরামর্শ দিচ্ছে, কারণ এটি এখনো বিশ্লেষকদের মূল্যের গড় লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় 12% নিচে ট্রেড করছে—যা ভবিষ্যতেও বুলিশ মোমেন্টামের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ব্যাংক অব আমেরিকার তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘমেয়াদি ফান্ডগুলোর মধ্যে 74% এনভিডিয়ার শেয়ার ধরে রেখেছে, যা অ্যামাজন, অ্যাপল, এবং মাইক্রোসফটের পিছনে রয়েছে—যেখানে মাইক্রোসফটের হোল্ডিং 91%।
Read more: https://ifxpr.com/3IgFTw9
-
৩০ জুন কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1360753227.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি হচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রথম প্রান্তিকের চূড়ান্ত জিডিপি প্রতিবেদন। উল্লেখযোগ্য যে, প্রাথমিক দুইটি অনুমান অনুসারে 2025 সালের প্রথম প্রান্তিকে ব্রিটিশ অর্থনীতি 0.7% হারে তুলনামূলকভাবে আত্মবিশ্বাসী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছিল। চূড়ান্ত ফলাফল সামান্য বেশি বা কম হলেও, ইতিবাচক প্রবণতা ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট। এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য আরেকটি ইতিবাচক কারণ হিসেবে কাজ করছে। ইউরোজোনে, শুধুমাত্র জার্মানির খুচরা বিক্রয় ও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। তবে এই প্রতিবেদনগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতিও এখন আর বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তায় ফেলছে না। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনো মুদ্রানীতি নমনীয় করার পথেই রয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে এই অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রে, সোমবার স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, সোমবার ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের একটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, তবে তিনি গত সপ্তাহে দুবার বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং কোনোবারই মুদ্রানীতি নিয়ে কিছু বলেননি। বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের এই চক্র সমাপ্তির পথে রয়েছে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রয়োজন অনুযায়ী মূল সুদের হার আরও এক বা দুইবার কমানো হতে পারে, তবে তা নির্দিষ্ট বিরতির পর করা হবে। এখনো ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, যার মীমাংসা বা হ্রাসের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আগামী দিনগুলোতে উত্তেজনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। শুক্রবার, কিছু সংবাদমাধ্যম চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক যুদ্ধবিরতির কথা জানালেও, বিস্তারিত তথ্য খুবই সীমিত এবং যুদ্ধবিরতির ধরন ভিন্ন হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1918022598.jpg[/IMG]
উপসংহার: নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন যা মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আস্থা জাগায় না। শীঘ্রই এটি স্পষ্ট হবে যে, ট্রাম্প কতটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে সক্ষম হবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3ThBDyV
-
পহেলা জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/384491625.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। প্রথমে ইউরোজোনের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ISM উৎপাদন সূচকের দিকে নজর দেওয়া উচিত। গতকাল জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি কমে 2%-এ নেমে এসেছে, তাই আজ ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে এমন সম্ভাবনা কম। এর ফলে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) 2025 সালেও তাদের মুদ্রানীতির নমনীয়করণ অব্যাহত রাখতে পারে। তবে, আমরা বহুবার উল্লেখ করেছি, ইউরোর বিনিময় হারের উপর এই উপাদানটির কোনো বাস্তব প্রভাব নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এটি ডলারের কী ধরনের সহায়তা দিতে পারে? 50-পিপসের দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে? সেটি মার্কেটে কী এমন পরিবর্তন আনবে? ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এগুলো সম্ভবত বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হতে পারে, তবে আমরা পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে বর্তমানে ইসিবির এবং ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নিয়ে তেমন কোনো নতুন প্রশ্ন নেই। উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক সম্প্রতি শেষ হয়েছে, ফলে তারা ইতোমধ্যেই প্রাসঙ্গিক সব তথ্য জানিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি, স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে গত সপ্তাহেই পাওয়েল এবং লাগার্ড একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন—তবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছুই বলেননি। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, এবং এই বিষয়ে এখনো কোনো সমাধান বা অগ্রগতির ইঙ্গিত নেই। পরিস্থিতি শিগগিরই চরম আকার ধারণ করতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো কোনো বাণিজ্য চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ব্যতীত)। চীনের সঙ্গে চুক্তিকে এখনো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না, কারণ এর বিস্তারিত এখনও অস্পষ্ট। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের "সমঝোতা" মানে হচ্ছে সব শুল্ক বহাল রাখা। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান রয়েছে, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয় না। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প বহু দেশের উপর শুল্কের মাত্রা বাড়াতে পারেন, যেহেতু এখনো কোনো নতুন বাণিজ্য চুক্তির স্বাক্ষরের ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। আমরা ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছি যে বাণিজ্য যুদ্ধ মানেই এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আমদানি শুল্ক বাতিল করবে।
Read more: https://ifxpr.com/3G7apZ0
-
২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1391520897.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর মধ্যে কোনো প্রতিবেদনই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউরোজোনে বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রে ADP প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে—এই প্রতিবেদনটিকে নন-ফার্ম পে-রোলসের সমতুল্য হিসেবে ধরা হয়। নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা প্রয়োজন যে, ADP এবং নন-ফার্ম পে-রোল সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত পরিসংখ্যান বা প্রবণতার দিক থেকে মেলে না। প্রায় একই ধরনের পরিসংখ্যান প্রতিফলিত করলেও, এই দুই প্রতিবেদন একেবারে বিপরীত ফলাফল দেখাতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়টি ভালোভাবে জানে এবং তারা নন-ফার্ম পে-রোল প্রতিবেদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের উল্লেখযোগ্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের আরও একটি ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে, যিনি গত দেড় সপ্তাহ ধরে প্রায় প্রতিদিনই বক্তব্য রাখছেন, এবং ইসিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেইনের একটি ভাষণও অনুষ্ঠিত হবে। তবে আগের মতোই, আমরা ইসিবির প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি প্রত্যাশা করছি না। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যার সমাপ্তি বা প্রশমনের কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। নিকট ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও চরমে পৌঁছাতে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত একটি বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি (যুক্তরাজ্য ছাড়া)। চীনের সাথে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটিকে এখনও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না, কারণ এটি আসলে কেমন ধরনের চুক্তি—তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে, তবে তারা এমন কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে, যেগুলো ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের বিষয়টিও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, যা ভবিষ্যতে চরম আকার ধারণ করতে পারে। এই ধরনের সকল ঘটনা স্পষ্টভাবেই মার্কেটে ডলার কেনার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিং, উভয় কারেন্সি পেয়ার—EUR/USD এবং GBP/USD—মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য এখনও চলমান, এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত ও বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন যেগুলোর ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আশা করা কঠিন। নিকট ভবিষ্যতে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দিতে পারেন, কারণ কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, বাণিজ্য চুক্তি মানেই যে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করবে—তা নয়।
Read more: https://ifxpr.com/40mFw9V
-
৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/921450007.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন সাধারণত শুক্রবার প্রকাশিত হয়, কিন্তু আগামীকাল যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হবে। তাই আজ উল্লিখিত মার্কিন প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হবে এবং মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় সবার আগ্রহ এই প্রতিবেদনগুলোর দিকেই থাকবে, পাশাপাশি ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর ওপরও দৃষ্টি থাকবে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় কেবলমাত্র জার্মানি ও ইউরোজোনের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর চূড়ান্ত অনুমান প্রকাশিত হবে—যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সদস্য রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে; তবে এই সপ্তাহে ক্রিস্টিন লাগার্ড, অ্যান্ড্রু বেইলি এবং জেরোম পাওয়েল ইতিমধ্যে এতবার বক্তব্য দিয়েছেন যে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত প্রয়োজনীয় সব তথ্য ইতোমধ্যে জেনে ফেলেছে। উল্লেখ্য, এসব কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রধানদের কাছ থেকে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ক্রিস্টিন লাগার্ড উল্লেখ করেছেন যে, বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতির ফের বাড়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং জেরোম পাওয়েল ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা নির্ধারণে শ্রমবাজারকে মূল নির্ধারক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মার্কিন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলো আজ প্রকাশিত হবে। মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। স্বল্পমেয়াদে এই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত (যুক্তরাজ্য ব্যতীত) কোনো বাণিজ্য চুক্তিতেই স্বাক্ষর করেননি। চীনের সঙ্গে করা চুক্তিটিও এখনো কার্যকর হিসেবে ধরা হচ্ছে না, কারণ এর বিস্তারিত এখনো অস্পষ্ট। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত বললেও, তারা নিজেদের কিছু শর্ত উপস্থাপন করেছে, যা ট্রাম্প খুব সহজেই প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। এছাড়াও, ইলন মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্বের কথা ভুলে গেলে চলবে না, যা এমন পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে যে তা গৃহবিক্ষোভ এমনকি বিপ্লবের রূপ নিতে পারে। এই ঘটনাগুলোর কোনোটিই মধ্যমেয়াদে মার্কেটের ট্রেডারদের ডলার ক্রয়ের আগ্রহকে স্পষ্টভাবে উদ্বুদ্ধ করতে পারছে না। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ে, যেকোনো দিকেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যেতে যেতে পারে, কারণ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর মুভমেন্টের দিক নির্ভর করছে। এছাড়া, এটা মনে রাখা জরুরি যে, যেকোনো সময় ট্রাম্প এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যা আবারো ডলারের ধস নামাতে পারে। "ওয়ান বিগ, বিউটিফুল বিল" পাস হয়ে গেছে, এবং এখন ইলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের নতুন করে দ্বন্দ্ব শুরু হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/44H5GGJ