-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৬ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/592188610.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1329 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। গতকাল মার্কিন ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের পর EUR/USD পেয়ারের যে দরপতন দেখা গেছে, সেটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের শক্তিশালী হওয়ার ফলাফল, যা ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর আর্থিক নীতিমালা বজায় রাখার প্রত্যাশার ভিত্তিতে হয়েছে। পরিষেবা খাতের কার্যক্রমের প্রতিফলনকারী ISM সূচকটির ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় ইতিবাচক আসায় এটি মার্কিন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। যার ফলে ডলার শক্তিশালী হয়। অদূর ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বেশ কয়েকটি বিষয়ের দ্বারা প্রভাবিত হবে, যার মধ্যে আগামীকাল ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তও রয়েছে। তাই আপাতত EUR/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার প্রত্যাশা করা উচিত নয়। আজ সকালের মার্কেটের ট্রেডারদের মনোযোগ ইউরোজোনের বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে থাকবে, প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে: সার্ভিসেস PMI, কম্পোজিট PMI এবং উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI)। এই সূচকগুলো সাধারণত ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের মুভমেন্ট এবং মার্কেট সেন্টিমেন্টে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে, কারণ এগুলো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। বিশেষ করে সার্ভিসেস PMI ইউরোপীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এই সূচকের বৃদ্ধি উৎপাদন ও ভোক্তা চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হতে পারে। অপরদিকে, এই সূচকের পতন অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ধীরগতির এবং ইউরোর দুর্বলতার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। কম্পোজিট PMI, যা ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিসেস উভয় খাতের প্রতিবেদন একত্রিত করে উপস্থাপন করা হয়, ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি অধিক পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে। উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব পণ্য ও পরিষেবা ক্রয় করে, সেগুলোর মূল্যের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। PPI বৃদ্ধি পেলে সেটি মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়ার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তকে বিলম্বিত করতে পারে। ফলে ইউরো শক্তিশালী হতে পারে। অন্যদিকে, PPI-র পতন ডিফ্লেশনারি ঝুঁকির বার্তা দিতে পারে এবং নীতিগতভাবে আরও নমনীয় মুদ্রানীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1 আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1375-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1335-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1375এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2 আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1312-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1335 এবং 1.1375-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1 EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1312-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1277-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোনো সময় এই পেয়ারের বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2 MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1335-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1312 এবং 1.1277-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/44p354H
-
৭ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/945568028.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং যেগুলো প্রকাশিত হবে সেগুলোর প্রভাবও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের উপর খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরোর মূল্য এখনো সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যও একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে—তবে সেটি তুলনামূলকভাবে বিস্তৃত ও কম দৃশ্যমান। সারাদিনে একমাত্র ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন ট্রেডারদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ তৈরি করতে পারে, তবে সেটিও কেবল সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত প্রভাব বিস্তার করবে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করা যায়? সর্বোচ্চ ২০–৩০ পিপসের মুভমেন্ট? এমনকি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিতব্য ফেডের বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবেও মার্কেটে কোনো স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া এখনো অন্য কোনো মৌলিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করাটা খুব একটা যৌক্তিক নয়, যদিও আপাতত বাণিজ্য উত্তেজনা স্থগিত রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়ান, তাহলে আবার ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়লে ডলারের দরপতন হতে পারে, অপরদিকে শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে ডলার শক্তিশালী হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন চীনের প্রতি কিছুটা নমনীয় বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন, কিন্তু এটিকে এখনই 'বাণিজ্য যুদ্ধের প্রশমন' বলা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে, চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি, তাই নিকট ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলা ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাম্প জানেন যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অদূর ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে নতুন করে আগ্রাসী পদক্ষেপ আসার সম্ভাবনা কম। গত বুধবার আমরা দেখেছি, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি কীভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। আজ সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হবে। তাত্ত্বিকভাবে, জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যে কিছুটা "ডোভিশ" না নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে, তবে আমাদের মতে ফেড এখনো মূলত মুদ্রাস্ফীতির দিকেই নজর রাখছে। তাই তাদের অবস্থানে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তনের আশা করা ঠিক হবে না। তবুও, যদি নমনীয় অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়া হয়, তাহলে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক বার্তা বহন করবে। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। ইউরো এখনো সাইডওয়েজ ট্রেডিং করছে, যদিও 1.1275 লেভেল থেকে রিবাউন্ড হওয়ার পর একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের এখনো কিছুটা বেশি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকলেও, কার্যত এখনো রেঞ্জ-ভিত্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ট্রেডারদের মনোভাবের উপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেবল সন্ধ্যার FOMC-এর বৈঠক থেকে কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তবে সেটিও EUR/USD বা GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তির জন্য যথেষ্ট হবে বলে মনে হচ্ছে না।
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৮ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2107681495.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র শূন্যের নিচের দিকে নামতে শুরু করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1348 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি যথার্থ এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1303 এর টার্গেট লেভেলের দিকে হ্রাস পেতে শুরু করে। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার ৪.৫০%-এ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল এবং বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্ক মনোভাব প্রতিফলিত করে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল এবং মুদ্রাস্ফীতি মাঝারি মাত্রায় রয়েছে। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বিবৃতিতে তিনি বাণিজ্য শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য ঝুঁকির কথা তুলে ধরে বলেন এটি মুদ্রানীতির দিকনির্দেশনায় কিছুটা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। পাওয়েল উল্লেখ করেন, শুল্কের ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে গিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে, এবং একই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের উচ্চ ব্যয় করতে হতে পারে ও ভবিষ্যতের বাণিজ্য পরিস্থিতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে, যা অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে মন্থর করে দিতে পারে। তার মতে, এই বিষয়গুলো ফেডের বর্তমান নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নের কারণ হতে পারে, যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখনই কোনো পরিবর্তনের জন্য তড়িঘড়ি করছে না। পাওয়েলের মন্তব্যে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া ছিল সীমিত। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্যের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় দিককেই বিবেচনায় নিয়েছে। সামনের দিকে, ফেডের পরবর্তী পদক্ষেপ অনেকটাই নির্ভর করবে আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতির উপর। আজ সকালে জার্মানিতে শিল্প উৎপাদন এবং বাণিজ্য ঘাটতি/উদ্বৃত্ত সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণত এই সূচকগুলোর ফয়ালফল ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে না, তবে এগুলো জার্মানির অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু অন্তর্দৃষ্টি দেবে। যদি শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, তাহলে ইউরোর মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। বিশেষ গুরুত্ব থাকবে ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পোনেন্টের দিকে, কারণ এই খাতই জার্মান অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। ট্রেড সারপ্লাস বা বাণিজ্য উদ্বৃত্তও ভূমিকা রাখবে। এই সূচকের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেলে এটি ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে, আর যদি বাণিজ্য ঘাটতি বা পতন পরিলক্ষিত হলে ইউরোর ওপর চাপ তৈরি হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1376-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1339-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1376 এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1321-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1339 এবং 1.1376-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1321-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1287-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1339-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1321 এবং 1.1287-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
১২ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/747058749.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ার তুলনামূলকভাবে টেকনিক্যাল এবং পূর্বাভাসযোগ্য প্যাটার্ন অনুযায়ী ট্রেড করেছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার যখন এই পেয়ারের মূল্য তিন সপ্তাহ ধরে আটকে থাকা সাইডওয়েজ চ্যানেল ব্রেকআউট করেছিল, তখন যে মোমেন্টাম দেখা গিয়েছিল, তা মার্কিন ডলার ধরে রাখতে পারেনি। মনে করিয়ে দিচ্ছি, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফলকে "হকিশ বা কঠোর" হিসেবেই গণ্য করা যায়, কারণ জেরোম পাওয়েল মার্কেটের ট্রেডারদের "ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের" প্রত্যাশা নিশ্চিত করেননি। তবে, দীর্ঘ সময় ধরে ফেড হকিশ বা কঠোর অবস্থানে থাকলেও গত তিন মাস ধরে ডলার একটানা দরপতনের শিকার হয়েছে—এমনকি দরপতন রোধের কোনো বড় ধরনের প্রচেষ্টাও দেখা যায়নি। সুতরাং, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো ফরেক্স মার্কেটের প্রধান চালিকা শক্তি। নতুন খবরের অভাবেই এটি আপাতত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নেই। ট্রাম্প যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিলেও বিস্তারিত কিছু জানাননি। ফলে এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কতটা লাভজনক, তা মূল্যায়ন করা সম্ভব হচ্ছে৩ না। তবুও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বাস করেন, তার কথাই যথেষ্ট: তিনি যদি বলেন এটি "লাভজনক ও চমৎকার," তাহলে সেটাই সত্য। কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখন আর ট্রাম্পকে বিশ্বাস করে না—এবং তারা ঠিক কাজটিই করে। ফলস্বরূপ, গত কয়েকদিনে ডলারের মূল্য খুব বেশি বৃদ্ধি পায়নি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট শুক্রবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, তাও সন্ধ্যার দিকে। তখন মার্কেটে ট্রেডিং সেশন শেষ হওয়ার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল, তাই এই সিগন্যাল নিয়ে কাজ করা সম্ভবত যুক্তিযুক্ত ছিল না। তবে, কেউ যদি শর্ট পজিশন ওপেন করতেন, তাহলে সামান্য কিছু মুনাফা অর্জন করা যেত বা অন্তত ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করে রেখে নিশ্চিন্তে উইকেন্ডের ছুটি কাটানো যেত। এশিয়ান সেশনে মূল্য 1.1191–1.1198 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে, তবে এখানে 1.1198 একটি নতুন লেভেল—যেটি শুক্রবার চার্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় আছে, যদিও তিন সপ্তাহ সাইডওয়েজ ট্রেডিংয়ের পর একটি নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে। সামগ্রিকভাবে মার্কেটে এখনো মার্কিন ডলারের প্রতি প্রবল নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে। তবে, যদি ট্রাম্প নিজেই বাণিজ্য সংঘাত প্রশমনের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে। টানা তিন মাস দরপতনের পর এই উর্ধ্বমুখী কারেকশন কতটা প্রসারিত হবে, সেই পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। সোমবারের ট্রেডিং পুরোপুরি টেকনিক্যাল ভিত্তির উপর নির্ভর করবে। মনে হচ্ছে এই পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু হয়েছে, তবে এই দরপতন খুব বেশি শক্তিশালী নয় এবং ট্রেডাররা এখনো ডলার কেনার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1191–1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622, 1.1666, 1.1689। সোমবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তাই, যদি ট্রাম্প আবারও কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করেন, তাহলে আমরা চলমান নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে সীমিত মুভমেন্টের প্রত্যাশাই করছি।
Read more: https://ifxpr.com/4j21RQd
-
১৩ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/80580844.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের দরপতন হয়েছে। ট্রেডাররা সম্ভবত এরই মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে মার্কিন ডলারের মূল্যের আর শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যাবে না, কিন্তু আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম যে বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমিত হলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার খবর আসে যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ৯০ দিনের জন্য 115% হারে শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এটি এখনো বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি নয়, তবে এটি একটি বড় অগ্রগতি। সংক্ষেপে মনে করিয়ে দিই: এর আগে ট্রাম্প ৭৫টি দেশের উপর একটি গ্রেস পিরিয়ড চালু করেন, যার আওতায় 10% হারে শুল্ক আরোপিত হয়, এবং পরে তিনি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও এসব পদক্ষেপ এখনো পুরোপুরিভাবে বাণিজ্যযুদ্ধের সমাপ্তি নির্দেশ করছে না, তবে এগুলো একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ কারণেই এই ধরনের সংবাদের প্রভাবে ডলারের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনো এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর অন্যান্য সব বিষয়ের প্রভাব অত্যন্ত সীমিত।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/81410803.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। টেকনিক্যালি এই পেয়ার সঠিকভাবে ট্রেড করেছে, যার ফলে নতুন ট্রেডারদের জন্য বেশ কার্যকর পজিশন নেওয়ার সুযোগ ছিল। দিনের বেলায় একটিও ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়নি। যদি ট্রেডাররা সবগুলো সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রেড করতেন, তাহলে মোট পাঁচটি ট্রেড থেকে প্রায় 160 পিপস লাভ করা যেত।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অবশেষে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা দেখা যেতে শুরু করেছে। মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো মার্কিন ডলারের বিরুদ্ধে প্রবল নেতিবাচক মনোভাব বিরাজ করছে, তবে যেহেতু ট্রাম্প নিজেই বাণিজ্য সংঘাতের প্রশমন ঘটাচ্ছেন, তাই অদূর ভবিষ্যতে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হতে পারে। ডলারের মূল্যের এই রিবাউন্ড কতটা জোরালো হবে, তা নির্ভর করছে ট্রাম্প কতগুলো চুক্তি সফলভাবে স্বাক্ষর করতে পারেন তার উপর। মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য আরও কমে যেতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের খবর একটি উল্লেখযোগ্য ও প্রবণতা-পরিবর্তনকারী অগ্রগতি, যা ডলারের পক্ষে যাচ্ছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা এটি উপেক্ষা করতে পারবে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় রাখা যেতে পারে: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1191–1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। মঙ্গলবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন, তবে এখন মার্কেটের ট্রেডারদের মনোযোগ সম্পূর্ণরূপে ফেডের আর্থিক নীতিমালার দিকে নয়—বরং বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত অগ্রগতির দিকেই রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/4diRlmA
-
EUR/USD: আবারও ফিরেছে ডলারের দাপট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1683037663.jpg[/IMG]
মার্কিন গ্রিনব্যাকের দর আবারও ঊর্ধ্বমুখী: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তিন মাসের শুল্ক যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর সোমবার মার্কিন ডলার সূচক চার সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেভেলে পৌঁছেছে। এই খবরে ডলার সব প্রধান মুদ্রার বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, যার মধ্যে EUR/USD-ও রয়েছে। এপ্রিলের শুরু থেকে EUR/USD পেয়ারের বিক্রেতারা প্রথমবারের মতো মূল্যের 1.10 জোনের টেস্ট ঘটায়, যার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই 150 পয়েন্টের বেশি দরপতন ঘটে। এবং ডলারের ক্রেতাদের মধ্যে পরিলক্ষিত সামগ্রিক উচ্ছ্বাসের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে, মার্কিন-চীন সম্পর্কের বহু প্রতীক্ষিত উষ্ণতায় ভর করে আগামী দিনে ডলার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখার চেষ্টা করবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই উচ্ছ্বাস কতদিন স্থায়ী হবে? আলোচনার শুরু নিয়ে প্রাথমিক উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত কতদূর বাস্তব আলোচনায় গড়াবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা উদ্বেগেও রূপ নিতে পারে। অতীত ইতিহাস বিবেচনা করলে এই পরিস্থিতিতে "সতর্ক আশংকা" করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। জেনেভার ঘটনাপ্রবাহ দিয়ে শুরু করা যাক, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর শুল্ক 145% থেকে কমিয়ে 30%-এ নামিয়ে আনে, এবং চীন আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক 125% থেকে কমিয়ে 10% করে। উভয় দেশই পারস্পরিকভাবে শুল্ক হ্রাস করেছে এবং "অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে ধারাবাহিক সংলাপের জন্য একটি কাঠামো" তৈরিতে সম্মত হয়। অর্থাৎ, তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে—যা হতে পারে চীনে, যুক্তরাষ্ট্রে অথবা তৃতীয় কোনো দেশে (বর্তমান দৃষ্টান্তে যেমন সুইজারল্যান্ড)। জেনেভার বৈঠক একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা প্রক্রিয়ার প্রস্তাবনা হিসেবে কাজ করেছে। "সৌহার্দ্যপূর্ণ ইঙ্গিত" হিসেবে উভয় দেশ মিলে 90 দিনের জন্য মোট 115% হারে শুল্ক কমিয়েছে। তবে এর অর্থ এই নয় যে এই সময়সীমার মধ্যেই চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হবে—এখানে কোনো নির্ধারিত ডেডলাইন নেই। মনে করিয়ে দিই, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় ২০১৮ সালেও যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হয়েছিল এবং কিছু সমঝোতাও হয়েছিল, কিন্তু অল্প কিছুদিন পরেই উত্তেজনা আবার বেড়ে যায়। সেই আলোচনা ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলে, এবং প্রথম ধাপের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। অবশ্য এর মানে এই নয় যে বর্তমান আলোচনাও দীর্ঘমেয়াদি হবে। তবে দ্রুত যেকোনো চুক্তি হয়ে যাবে—এমন প্রত্যাশাও অযৌক্তিক। ডলার ক্রেতাদের মধ্যে (সম্ভবত অতিমাত্রায়) ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, অনেকেই ভাবছেন ইতিবাচক পরিণতি আসন্ন। এবং এখানেই ডলারের জন্য ঝুঁকি রয়েছে—কারণ সোমবারের উচ্ছ্বাসের "হ্যাংওভার" খুবই তীব্র হতে পারে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—যুক্তরাষ্ট্র এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করেনি, যদিও বড় ধরনের শুল্ক ইতোমধ্যেই মাসখানেক আগে কার্যকর হয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি, যেটি এখনো বিস্তারিত চূড়ান্ত না হওয়া একটি প্রাথমিক কাঠামো মাত্র; তাছাড়া, হোয়াইট হাউস কিছু ছাড় দিলেও ব্রিটিশ পণ্যের উপর এখনো 10% শুল্ক আরোপিত রয়েছে—যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ঘাটতি নেই। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেছেন, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড সারপ্লাস বা বাণিজ্য উদ্বৃত্ত আছে, তাদের পণ্যের উপর "10%-এর চেয়েও বেশি" শুল্ক আরোপ করা উচিত। সম্ভবত এই কারণেই দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ভিয়েতনাম ও জাপানের সঙ্গে আলোচনা (যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে বলা হচ্ছে) এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনাও থমকে গেছে। এবং একই কারণে চীনের সঙ্গে "দ্রুত চুক্তি" হওয়ার সম্ভাবনাও কম। নতুন ঘোষিত 90 দিনের বাণিজ্যযুদ্ধে বিরতির ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—এই "অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক ব্যবস্থা" মার্চ মাসে সমস্ত মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের উপর আরোপিত খাতভিত্তিক শুল্কে প্রযোজ্য নয়। এটি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময় চীনের উপর আরোপিত বিদ্যমান শুল্কও বাতিল করছে না। তাহলে এর অর্থ কী? একদিকে সোমবারের ডলার শক্তিশালী হওয়ার পেছনে যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে। আলোচনা পুনরায় শুরু হয়েছে, শুল্কে স্বস্তি এসেছে, এবং উভয় পক্ষই শান্তিপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা কিছুটা কমেছে, যার ফলে ডলারের প্রতি চাহিদা বেড়েছে। স্বল্পমেয়াদে এটি ডলারের জন্য সহায়ক। তবে, একবার প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে গেলে এবং মার্কিন-চীন আলোচনাগুলো মৌলিক ইস্যুতে থমকে গেলে ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে। উল্লেখযোগ্য যে EUR/USD বিক্রেতারা এই নিম্নমুখী প্রবণতার সময় মূল্য 1.10 জোনে রাখতে পারেনি—প্রথম প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। 1.1110 সাপোর্ট লেভেল (৪ ঘণ্টার চার্টে বলিঙ্গার ব্যান্ডের নিচের সীমা) বিক্রেতাদের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী প্রমাণিত হয়েছে—মূল্য এই লেভেলের নিচে স্থায়ীভাবে থাকতে পারেনি। তাই শুধুমাত্র এই লেভেল ব্রেক করে মূল্য নিচের দিকে যাওয়ার পরই শর্ট পজিশনের কথা চিন্তা করা যেতে পারে (যদি তা ঘটে)। অন্যথায়, EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা (কমপক্ষে একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট হিসেবে) মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে এবং মূল্যকে 1.12 জোনে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/458E11V
-
EUR/USD: অবশেষে জেগে উঠল মার্কেট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/628368331.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের এপ্রিল মাসের CPI প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হেডলাইন ইনফ্লেশন কমেছে এবং কোর ইনফ্লেশন স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনের বেশ কয়েকটি উপাদান প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল, কিন্তু ডলার এই প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা খুব একটা প্রভাবিত হয়নি। EUR/USD পেয়ারের মূল্য কয়েক ডজন পিপস বেড়ে 1.11 রেঞ্জে স্থির রয়েছে, আর ডলার সূচক ধীরে ধীরে 101.00 লেভেলের দিকে সরে আসছে। তবে বিষয়টি কেবল CPI প্রতিবেদনেই সীমাবদ্ধ নয়—বাস্তবতা হলো, মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধের সাময়িক বিরতির খবরে যে উচ্ছ্বাস ছিল, তা এখন মিলিয়ে যাচ্ছে। সেই উচ্ছ্বাসের জায়গা নিচ্ছে "হ্যাংওভার"—কারণ তারা এখন বুঝতে পেয়েছে, এই বিরতি সাময়িক এবং মূল আলোচনা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, EUR/USD-এর বিক্রেতারা দ্রুত বিক্রি করে মুনাফা নিয়ে নিচ্ছে, যার ফলে নিম্নমুখী মুভমেন্ট থেমে গেছে। যদিও CPI প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে আগের দিনের ঘটনাগুলোই ট্রেডারদের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। তবুও এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না—এটি এপ্রিল মাসের মুদ্রাস্ফীতি পরিস্থিতি তুলে ধরেছে, যখন নতুন শুল্কগুলো ইতোমধ্যেই কার্যকর ছিল। কিছু বিশ্লেষকের আশঙ্কা অনুযায়ী ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায়নি, অন্তত এপ্রিল পর্যন্ত। অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাব মে কিংবা জুন–জুলাই মাসে আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। CPI প্রতিবেদন প্রতি ট্রেডারদের নিস্পৃহ প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায়, এই মতামতই বর্তমানে প্রাধান্য পাচ্ছে।
প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসার: হেডলাইন কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক এপ্রিল মাসে বার্ষিক ভিত্তিতে 2.3%-এ পৌঁছেছে, যা মার্চের 2.4%-এর তুলনায় কম এবং ট্রেডারদের প্রত্যাশার নিচে। মূলত CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক টানা তিন মাস ধরে হ্রাস পাচ্ছে। তুলনামূলকভাবে জানুয়ারিতে এই সূচক 3.0%-এ ছিল এবং এখন তা ফেডের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছেছে। কোর ইনফ্লেশন ইনডেক্স (খাদ্য ও জ্বালানি বাদ দিয়ে বিবেচিত) বরাবরের মতোই অপরিবর্তিত ছিল। কোর CPI এপ্রিলেও বার্ষিক ভিত্তিতে 2.8%-এ স্থির ছিল, যা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল। প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে—খাদ্যদ্রব্য র দাম মার্চে 3.0% থেকে কমে 2.8%-এ নেমে এসেছে। পরিবহন সেবার মূল্যবৃদ্ধিও কমে এসেছে ( 3.1% থেকে 2.5%-এ নেমে এসেছে)। এপ্রিল মাসে জ্বালানির দাম 3.7% হ্রাস পেয়েছে (যেখানে পেট্রোলের দাম 12% কমেছে এবং মার্চে 9.8% কমেছিল)। নতুন গাড়ির দাম 0.3% বেড়েছে, এবং ব্যবহৃত গাড়ির দাম 1.5% বেড়েছে।
এর মানে কী দাঁড়ায়? যদি যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্কযুদ্ধ শুরু না করত, তাহলে CPI প্রতিবেদন ফেডের পরবর্তী সুদহার হ্রাসের প্রত্যাশাকে এগিয়ে আনতে পারত। তবে, যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, এখনকার মূল ধারণা হলো—এই শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব পরে ধরা পড়বে, বিশেষ করে এই গ্রীষ্মে, যদি তা বহাল থাকে। হ্যাঁ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন 115% হারে পারস্পরিক শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়েছে, কিন্তু এখনও চীনা পণ্যের উপর 30% মার্কিন শুল্ক কার্যকর রয়েছে, যা অর্থনীতির উপর চাপ সৃষ্টি করছে। এই চুক্তির আওতায় মার্চে ট্রাম্পের আরোপিত খাতভিত্তিক শুল্ক বা তার প্রথম মেয়াদের শুল্ক অন্তর্ভুক্ত নয়। তাছাড়া ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিকৃত পণ্যের উপর এখনও 10% শুল্ক রয়েছে—যেখানে গাড়ি, অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল ও সংশ্লিষ্ট পণ্যের উপর 25% পর্যন্ত শুল্ক বহাল রয়েছে। এমনকি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে "ডি ফ্যাক্টো" চুক্তির মাধ্যমেও শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়নি—10% শুল্ক এখনো বহাল আছে। এই প্রেক্ষাপটে আগামী কয়েক মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নিয়ে ট্রেডারদের উদ্বেগ যুক্তিযুক্ত, এবং এর মাধ্যমেই CPI প্রতিবেদনের প্রতি ট্রেডারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়।
EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস মার্কিন ডলারের বিপরীতে EUR/USD পেয়ারের নতুন করে প্রবল দরপতন শুরু হতে হলে বিক্রেতাদের জন্য নতুন কোনো কারণ প্রয়োজন—যেমন, মার্কিন-চীন আলোচনা সম্পর্কিত নির্দিষ্ট সময়সূচি বা এজেন্ডা প্রকাশ। বর্তমানে মার্কেটে তথ্যশূন্যতা বিরাজ করছে—যদিও উভয় দেশ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে, তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। আলোচনার শুরু হওয়ার খবর ইতিমধ্যেই মূল্যায়ন করা হয়েছে, তাই নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে EUR/USD পেয়ারের নতুন কিছু দরকার। এই তথ্যশূন্য পরিস্থিতিই ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং EUR/USD পেয়ারকে 1.11 রেঞ্জে কারেকশন করার সুযোগ দিচ্ছে। EUR/USD বিক্রি করা তখনই যৌক্তিক হবে, যদি বিক্রেতারা মূল্যকে দিয়ে 1.1120 সাপোর্ট লেভেলের (ডেইলি চার্টের নিচের বলিঙ্গার ব্যান্ড) ব্রেক ঘটায় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, তার নিচে কনসোলিডেট হয় (অর্থাৎ, 1.10 রেঞ্জে প্রবেশ করে)। সে ক্ষেত্রে পরবর্তী বিয়ারিশ মুভমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1050 (H4-এর নিচের BB) এবং 1.0920 (D1-এর আপার কুমো ক্লাউড বাউন্ডারি)। যদি আলোচনা থেমে যায় বা মতপার্থক্য দেখা দেয়, তাহলে মার্কেটে আবারও মার্কিন অর্থনৈতিক স্থবিরতার আশঙ্কা ফিরে আসবে, যা ডলারের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেবে। তাই স্বল্পমেয়াদে যদি 1.1120 লেভেল ব্রেক না হয়, তাহলে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে, যার প্রথম লক্ষ্যমাত্রা থাকবে 1.1230—যেখানে দৈনিক চার্টে টেনকান-সেন ও কিজুন-সেন লাইন একত্রিত হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/3FaublM
-
EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস, ১৬ মে – ডলারের জন্য কঠিন পথ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1903354557.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য দুইবার 1.1181 লেভেলের 127.2% ফিবোনাচি লেভেলের দিকে নেমে যায় এবং দুইবারই সেখান থেকে রিবাউন্ড করে, যা ইউরোর দর বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে আজ 1.1265–1.1282 রেজিস্ট্যান্স জোনের দিকে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে যদি মূল্য 1.1181 লেভেলের নিচে নিশ্চিতভাবে ক্লোজ করে, তাহলে মার্কিন ডলারের পক্ষে মুভমেন্ট শুরু হতে পারে এবং মূল্য আবারও 1.1074–1.1081 সাপোর্ট জোনের দিকে নেমে যেতে পারে। বিক্রেতারা এখনো মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করছে, তবে চাপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে ওয়েভ স্ট্রাকচার এখনো সহজসাধ্য। সর্বশেষ ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ আগের সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে, আর সর্বশেষ নিম্নমুখী ওয়েভ আগের সর্বনিম্ন লেভেল ব্রেক করেছে—যা বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রাখছে। যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা অগ্রগতির খবর বিক্রেতারা সমর্থন দিলেও, বিজয়ী হওয়ার আগে তাদের আরও অনেক বাধা অতিক্রম করতে হবে। বৃহস্পতিবারের মৌলিক প্রেক্ষাপট এই পেয়ারের ক্রেতা এবং বিক্রেতা— কারো জন্যই খুব একটা সহায়ক ছিল না। ইউরোজোনে মার্চ মাসে শিল্প উৎপাদন রেকর্ড 2.6% বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি 0.4% থেকে কমে 0.3% হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, এপ্রিল মাসে খুচরা বিক্রয় 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছে—যা প্রত্যাশাকে ছাড়িয়েছে, কিন্তু PPI বা উৎপাদক মূল্য সূচক 0.5% হ্রাস পেয়েছে। জেরোম পাওয়েলের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পূর্বাভাসের বদলে এই প্রতিবেদন বরং ভবিষ্যতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একপর্যায়ে, পাওয়েলকেও হয়তো পিছু হটতে হবে এবং চাপের মুখে ফেড হয়তো সুদের হার কমানোর পথে হাঁটতে বাধ্য হবে—যদিও গত বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, এমন পদক্ষেপের প্রয়োজন নেই। বৃহস্পতিবার পুরো দিনজুড়ে মার্কেটে এই বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখা গেছে, আর ট্রেডাররা ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন বাণিজ্য চুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে—যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা অব্যাহত রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। ৪-ঘন্টার চার্টে, পেয়ারটির মূল্য এখনো 1.1213-এর 100.0% ফিবোনাচি লেভেলের নিচে অবস্থান করছে, যা 76.4% রিট্রেসমেন্ট লেভেল 1.0969 পর্যন্ত আরও দরপতনের সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে রেখেছে। 1.1213 থেকে একটি রিবাউন্ড ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা ফিরিয়ে আনতে পারে, অন্যদিকে এই লেভেলের ওপরে ক্লোজিং হলে সেটি ইউরোর পক্ষে সহায়ক হবে এবং বুলিশ প্রবণতা আবারও ফিরতে পারে—টার্গেট হবে 127.2% ফিবোনাচি লেভেল 1.1495। CCI ইন্ডিকেটরে একটি বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা মূল্যপতনের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট: সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রফেশনাল ট্রেডাররা 2,196টি লং পজিশন ও 2,118টি শর্ট পজিশন ক্লোজ করেছে। নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের মধ্যে সেন্টিমেন্ট এখনো বুলিশ, এবং এর পেছনে ট্রাম্পের ভূমিকাও রয়েছে। বর্তমানে স্পেকুলেটরদের কাছে 194,000টি লং পজিশন এবং 118,000টি শর্ট পজিশন রয়েছে। কয়েক মাস আগেও এই চিত্র উল্টো ছিল। বড় বিনিয়োগকারীরা ২০ সপ্তাহ ধরে ইউরোর পজিশন হ্রাস করলেও এখন টানা ১৩ সপ্তাহ ধরে তারা লং পজিশন বাড়াচ্ছে এবং শর্ট পজিশন কমাচ্ছে। যদিও ইসিবি এবং ফেডের আর্থিক নীতিগত ব্যবধান এখনো ডলারের পক্ষে কাজ করছে, তবে ট্রাম্পের রাজনৈতিক পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে—এবং সেটিই সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা। অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার – ১৬ মে: যুক্তরাষ্ট্র: বিল্ডিং পারমিট (12:30 UTC) হাউজিং স্টার্টস (12:30 UTC) ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজিউমার সেনটিমেন্ট ইনডেক্স (14:00 UTC) শুক্রবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এর কোনোটিকেই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে, মৌলিক প্রেক্ষাপট মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর সীমিত প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। EUR/USD পূর্বাভাস এবং ট্রেডিং পরামর্শ: ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে যদি মূল্য 1.1181-এর নিচে থাকা অবস্থায় সেশন শেষ হয়, তাহলে পেয়ারটি বিক্রি করা যেতে পারে—লক্ষ্যমাত্র হবে 1.1074–1.1081 জোন। বিকল্পভাবে, ৪-ঘন্টার চার্টে 1.1213 লেভেল থেকে আরেকটি রিবাউন্ড হলেও বিক্রির সুযোগ তৈরি হতে পারে। বর্তমানে, আমি এমন কোনো স্পষ্ট প্যাটার্ন দেখছি না যা এই পেয়ার ক্রয়ের জন্য সহায়ক হতে পারে। ফিবোনাচি গ্রিড: ঘণ্টাভিত্তিক চার্ট: 1.1265 – 1.1574 ৪-ঘন্টার চার্ট: 1.1214 – 1.0179
Read more: https://ifxpr.com/3S4nvZn
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ ও বিশ্লেষণ, ১৯ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/739603382.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5-মিনিটের বিশ্লেষণ শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে। যদিও ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দেখে মনে হতে পারে যে সারাদিন ধরেই এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছিল, তবে প্রকৃতপক্ষে সারাদিনে মার্কিন ডলারের দর মাত্র ১৯ পিপস বেড়েছে—যা কার্যত বৃদ্ধি পেয়েছে বলার মতো পর্যাপ্ত নয়। সামগ্রিকভাবে, এখনো ধীর গতিতে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় রয়েছে, যার পেছনে মৌলিক কারণ হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর ব্যাপারে অনাগ্রহ এবং বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া কাজ করছে। তবে মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এখনো ডলারের প্রতি সংশয়ী মনোভাব বিরাজ করছে, এবং কেবলমাত্র সামান্য পরিমাণে ডলারের ক্রয়-বিক্রয় পরিলক্ষিত হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমান পরিস্থিতিতে ডলারের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি। শুক্রবার ডলার বিক্রির পক্ষেই যুক্তি বেশি ছিল বলা যায়। ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি বা প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত তিনটি প্রতিবেদন—হাউজিং স্টার্টস, বিল্ডিং পারমিটস, এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স—সাধারণত মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। তবুও, এই তিনটি প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল। তবুও, এই সময় ডলারের দর বেড়েছে, যা আবারও প্রমাণ করে যে বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিস্থিতি ও মার্কেটে পরিলক্ষিত মুভমেন্টের মধ্যে কোনো সুস্পষ্ট সম্পর্ক বিদ্যমান নেই। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে মাত্র একটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল পাওয়া গেছে। মার্কিন সেশনের সময়, মূল্য 1.1179–1.1185 এরিয়ার নিচে কনসোলিডেট করে, এরপর নিম্নমুখী হতে থাকে এবং পরবর্তীতে মূল্য 1.1147-এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়। এই লেভেলটি শর্ট পজিশন ক্লোজ করার জন্য উপযুক্ত ছিল, যার ফলে এই ট্রেড থেকে সামান্য লাভ হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/763451445.jpg[/IMG]
COT রিপোর্ট সর্বশেষ কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট ১৩ মে প্রকাশিত হয়েছে। উপরের চার্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নিট পজিশনের সংখ্যা দীর্ঘদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিক্রেতারা অল্প সময়ের জন্য মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, তবে দ্রুত তা হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলারের দরপতন হচ্ছে। যদিও বলা যাচ্ছে না এই প্রবণতা কতদিন চলবে, তবুও COT রিপোর্ট বড় ট্রেডারদের মানসিকতা প্রতিফলিত করে—যদিও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই মানসিকতা দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। ইউরোর পক্ষে কোনো এমন কোনো মৌলিক কারণ নেই যা এটিকে শক্তিশালী করতে পারে, তবে ডলারের উপর রাজনৈতিক চাপ অনেক বেশি। আরও কয়েক সপ্তাহ বা মাস ধরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে, তবে গত ১৬ বছরের দীর্ঘমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা এত সহজে বদলাবে না। একবার ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ হলে, পুনরায় ডলারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। COT চার্টে লাল ও নীল লাইন আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যা একটি নতুন বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের লং পজিশনের সংখ্যা 15,400টি বেড়েছে, আর শর্ট পজিশনের সংখ্যা বেড়েছে 6,300টি। ফলে নিট পজিশনের সংখ্যা 9,000 কন্ট্রাক্ট বেড়ে গেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/366922073.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 1 ঘন্টার চার্টের বিশ্লেষণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে ধীর গতিতে কমছে, যা বিস্তৃত পরিপ্রেক্ষিতে একটি কারেকশন হিসেবেই বিবেচনা করা যায়। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট এখনো বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের সঙ্গে প্রভাবে হচ্ছে। যদি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর অব্যাহত থাকে এবং মার্কিন শুল্কের মাত্রা হ্রাস পায়, তাহলে মার্কিন ডলার সেই লেভেলগুলোতে আরও পুনরুদ্ধার করতে পারে, যেখানে সর্বশেষ নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে মার্কেটের মুভমেন্ট কোনো টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না—বরং বৈশ্বিক বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতিই একমাত্র চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। ১৯ মে তারিখে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হলো: 1.0823, 1.0886, 1.0949, 1.1006, 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1321, 1.1426, 1.1534; সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি (1.1224) এবং কিজুন-সেন (1.1165) লাইন রয়েছে। ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইনগুলো দিনভর অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল নির্ধারণের সময় তা বিবেচনায় নিতে হবে। প্রতিবার যখন মূল্য আপনার অনুকূলে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে, তখনই ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে হবে—ভুল সিগন্যাল থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য এটি একটি বাধ্যতামূলক কৌশল। সোমবার ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই মার্কেটে বড় ধরনের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যাচ্ছে না। পুরোপুরি টেকনিক্যাল লেভেল এবং ইন্ডিকেটর লাইনের উপর ট্রেডিং নির্ভর করবে। এখনো এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে, তাই ডলার আবারও শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তবে আমরা বারবার দেখেছি, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ডলার কেনার ব্যাপারে আগ্রহী নয়, এবং তারা ডলারের পক্ষে থাকা অনেক ইতিবাচক বিষয়ই উপেক্ষা করছে।
চিত্রের ব্যাখা: মূল্যের সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল – গাঢ় লাল লাইন; যেখানে মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যেতে পারে। তবে এগুলো সরাসরি ট্রেডিং সিগন্যাল নয়। কিজুন সেন ও সেনকৌ স্প্যান বি লাইন – শক্তিশালী ইচিমোকু ইন্ডিকেটরের লাইন, যা ৪-ঘণ্টা চার্ট থেকে ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে স্থানান্তর করা হয়েছে। Extremum লেভেল – হালকা লাল লাইন; যেখানে পূর্বে মূল্য রিবাউন্ড করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে। হলুদ লাইন – ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্যান্য টেকনিক্যাল প্যাটার্ন নির্দেশ করে। COT ইন্ডিকেটর 1 – চার্টে প্রতিটি গ্রুপের ট্রেডারদের নিট পজিশনের পরিমাণ প্রদর্শন করে।
Read more: https://ifxpr.com/4dtbOFo
-
২০ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1020008279.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তাই আজ মৌলিক প্রেক্ষাপট উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল খুব কমই কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রেডাররা ডলারের পক্ষে থাকা যেকোনো ইতিবাচক ফলাফল উপেক্ষা করেছে এবং ডলারের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রতিবেদনগুলোর প্রতিই বেশি প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, তিন মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিপরীতে ইউরোর মূল্য এখনও নিম্নমুখী কারেকশনের মধ্যে রয়েছে, এবং পাউন্ডের মূল্য একটি সাইডওয়েজ রেঞ্জেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেবেন যার মধ্যে রয়েছেন: বারকিন, বস্টিক, কলিন্স, মুসালেম, কুগলার, ডেইলি এবং হ্যাম্যাক। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) থেকে ডনারি, চিপোলোনে এবং বুখ বক্তব্য দেবেন। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিলের বক্তব্যও ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, এসব বক্তব্য শুনে লাভ কী, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং দিকনির্দেশনা আগে থেকেই পুরোপুরি স্পষ্ট? আমাদের মতে, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্যযুদ্ধ, যা ধীরে ধীরে প্রশমিত হলেও এখনও পুরোপুরিভাবে এর প্রভাব শেষ হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু এই প্রতিবেদনগুলো ডলারের উপর খুব সামান্যই প্রভাব ফেলছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন বা যদি অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর না হয়, তাহলে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। এমনকি নতুন কোনো শুল্ক ছাড়াও পুনরায় ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে, কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি ট্রেডাররা এখনও অত্যন্ত নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। আজ মৌলিক প্রেক্ষাপটের তেমন কোনো প্রভাব থাকবে না এবং কখন ট্রাম্প নতুন করে প্রভাবশালী বিবৃতি দেবেন সেই পূর্বাভাস দেওয়া অসম্ভব। আমাদের অনুমান, আজ মার্কেটে ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা কম থাকবে এবং মুভমেন্টও সীমিত হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে নিম্নমুখী হতে পারে, এবং এক মাসব্যাপী পরিলক্ষিত নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যেই ইউরোর মূল্য়ের কারেকটিভ মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4k3qKwr
-
EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস – ২১ মে, ২০২৫
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/856558393.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1260–1.1282 রেজিস্ট্যান্স জোনের ওপরে কনসোলিডেট করতে সক্ষম হয়েছে, যেখান থেকে মূল্য এর আগে তিনবার পুলব্যাক করেছিল। এর ফলে, ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকে এবং ক্রেতারা 50.0% ফিবোনাচি লেভেল 1.1320-এর ওপরে ক্লোজিং নিশ্চিত করে। এই কনসোলিডেশন পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স জোন 1.1374–1.1380 এর লক্ষ্যমাত্রায় আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা তৈরি করেছে। ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে ওয়েভ স্ট্রাকচার বিকশিত হচ্ছে। সর্বশেষ আপওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী হাই লেভেল ব্রেক করেছে, অথচ শেষ ডাউনওয়ার্ড ওয়েভটি পূর্ববর্তী লো ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মানে প্রবণতা এখন "বুলিশ" হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সফল বাণিজ্য আলোচনা এবং ফেডের "হকিশ" বা কঠোর অবস্থান কিছুক্ষণের জন্য বিক্রেতাদের সহায়তা করেছিল—তবে তা খুব স্বল্প সময়ের জন্য। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতি আবারও মার্কিন ডলারের উপর শক্তিশালী চাপ সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, এবং বুধবারেও তেমন কিছু প্রত্যাশিত নয়। তাই ক্রেতাদের এই নতুন আক্রমণাত্মক অবস্থান কিছুটা বিস্ময়কর মনে হতে পারে—তবে এটি এটাও প্রমাণ করে যে তারা নতুন প্রবণতা শুরু করতে প্রস্তুত, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন কোনো নেতিবাচক খবর না এলেও। বিক্রেতাদের নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য পুরো এক মাস সময় ছিল, কিন্তু তারা সামান্য আগ্রহ দেখাতেই ব্যর্থ হয়েছে। ক্রেতারা আর চুপচাপ বসে থাকতে চায় না। যদিও বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, তবে বাণিজ্যযুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি এবং ভবিষ্যতে তা আরও তীব্র হতে পারে, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমদানির শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে, এবং মার্কিন অর্থনীতির জন্য এটি একটি নেতিবাচক বিষয়। যদি এর সঙ্গে ট্রেডারদের মার্কিন অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ যুক্ত হয়, তাহলে ক্রেতারা দীর্ঘ সময়ের জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রাখতে পারে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এখনো ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টে খুব সামান্য প্রভাব ফেলছে। ৪-ঘণ্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং 100.0% ফিবোনাচি লেভেল 1.1213-এর ওপরে কনসোলিডেট হচ্ছে, যা পুনরায় বুলিশ প্রবণতা শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেয়—ওয়েভ স্ট্রাকচারও একই কথা বলছে। এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট 127.2% কারেকটিভ লেভেল 1.1495 পর্যন্ত চলমান থাকতে পারে। আ কোনো ইনডিকেটরে ডাইভারজেন্স দেখা যাচ্ছে না।
কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট: সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রফেশনাল ট্রেডাররা 15,357টি লং পজিশন এবং 6,302টি শর্ট পজিশন ওপেন করেছেন। "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট দীর্ঘদিন ধরেই বুলিশ রয়েছে—এর পেছনে ট্রাম্পের ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে স্পেকুলেটরদের হোল্ড করা মোট লং পজিশন 209,000 এবং শর্ট পজিশন 124,000, এবং এই ব্যবধান ক্রমেই বাড়ছে। এর মানে ইউরোর চাহিদা অব্যাহত আছে, কিন্তু ডলারের ক্ষেত্রে তা নেই। পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। টানা পনেরো সপ্তাহ ধরে বড় প্লেয়াররা শর্ট পজিশন কমিয়ে এবং লং পজিশন বাড়িয়ে চলেছে। যদিও ইসিবি এবং ফেডের নীতিগত ব্যবধান এখনো সুদের হার পার্থক্যের মাধ্যমে ডলারকে কিছুটা সমর্থন করে, তবে ট্রাম্পের নীতিমালাই ট্রেডারদের জন্য বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তা মার্কিন অর্থনীতির সম্ভাব্য মন্দার ঝুঁকি তৈরি করছে। ফলে, ডলারের ক্রেতারা ফেডের নীতিমালার সুযোগ নিয়েও মার্কেটে সুবিধা নিতে পারছে না এবং সে ইচ্ছাও পোষণ করছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোজোনের নিউজ ক্যালেন্ডার: ২১ মে অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নেই। ফলে বুধবারের বাজার পরিস্থিতিতে সংবাদভিত্তিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব কার্যত অনুপস্থিত থাকবে। EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস ও ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: আজ এক ঘণ্টার চার্টে 1.1374–1.1380 জোন থেকে বাউন্স হলে এই পেয়ার বিক্রি করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে টার্গেট হবে 1.1320 এবং 1.1260–1.1282। আমি পূর্বে পরামর্শ দিয়েছিলাম 1.1265–1.1282 জোনের ওপরে ক্লোজ হলে লং পজিশন নেওয়া যেতে পারে, টার্গেট 1.1338 এবং 1.1374—প্রথম টার্গেট ইতোমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে এবং এখনো লং পজিশন ক্লোজ করার কোনো যুক্তিসংগত কারণ দেখা যাচ্ছে। ফিবোনাচি গ্রিড এক ঘণ্টার চার্টে 1.1574–1.1066 এবং ৪-ঘণ্টার চার্টে 1.1214–1.0179 থেকে আঁকা হয়েছে।
https://ifxpr.com/4kAbx61
-
২২ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/975663576.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার ধীর-স্থিরভাবে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। মূল্য 1.1267 এর লেভেল ব্রেক করেছে, যা এর আগে বহুবার ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছিল, এবং একটি নতুন অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে। ফলে এখন সবকিছুই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর শুরু হওয়া ৪ মাসব্যাপী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরারম্ভের মতো মনে হচ্ছে। এবারও মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে ডলার বিক্রির জন্য কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না, কারণ ট্রাম্প নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করেননি কিংবা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেননি যা মার্কিন অর্থনীতি বা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে। বরং, হোয়াইট হাউস চলমান বাণিজ্য আলোচনা ও শুল্ক হ্রাসের মাধ্যমে গত এক মাসে বাণিজ্য সংঘাত প্রশমনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তবুও, আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই সংবাদও মার্কিন ডলারের বিক্রি থামাতে পারেনি। মার্কেটের ট্রেডাররা কার্যত এখনো ডলার, ট্রাম্প এবং সামগ্রিক মার্কিন শুল্ক নীতির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1831178558.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি মাত্র ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছে। এশিয়ান সেশনে পেয়ারটির মূল্য 1.1275–1.1292 এরিয়া ব্রেক করে এবং সারাদিন স্থিরভাবে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। নিকটবর্তী টার্গেট লেভেলগুলো অনেক দূরে ছিল, এবং 1.1354–1.1363 এরিয়া নতুনভাবে গঠিত হয়েছে, যা আগের চার্টে ছিল না। তাই রাতেই ওপেন করা একমাত্র লং পজিশনটি সারাদিন যেকোনো সময়ে ক্লোজ করে মুনাফা করা যেত। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের ওপরে কনসোলিডেট করেছে এবং কোনো মৌলিক কারণ ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের দ্বায়িত্ব নেয়ার সময় শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এবার মার্কেটের ট্রেডারদের নতুন কোনো শুল্ক, নিষেধাজ্ঞা বা ট্রাম্পের উচ্চ প্রভাবসম্পন্ন সিদ্ধান্তের দরকার পড়েনি। কেবলমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের উপস্থিতি—এই বাস্তবতাই বর্তমানে ডলার বিক্রির জন্য যথেষ্ট কারণ। বৃহস্পতিবার আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কার্যত কোনো প্রভাব ফেলছে না, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে মনে হচ্ছে— নির্দিষ্ট কারণ থাকুক বা না থাকুক কোনো কিছুই বিবেচনা করা হচ্ছে না। ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198, 1.1275–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। বৃহস্পতিবার ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। ডলারের মূল্য সাময়িকভাবে কিছুটা বাড়তে পারে, কিন্তু বর্তমানে এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই, এমনকি টেকনিক্যাল ভিত্তিতে ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসোলিডেশন না হলে, ডলারের উল্লেখযোগ্য মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম।
Read more: https://ifxpr.com/43tfZfQ
-
২৩ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/484123050.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য নিকটবর্তী সাপোর্ট লেভেল 1.1267 পর্যন্ত কারেকশন করেছে। ইউরোর দরপতনের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। গতকাল আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখন সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করছে না। স্বল্পমেয়াদি প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে, তা ট্রেডারদের দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গিকে পরিবর্তন করছে না। ইউরোজোন এবং জার্মানির সার্ভিস ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের বিজনেস অ্যাক্টিভিটি সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল, যা ট্রেডারদের অস্বস্তিকর অবস্থানে ফেলে দিয়েছে। একদিকে ট্রেডাররা ইউরো বিক্রি করছিল এবং ডলার কিনতে চাইছিল না, অন্যদিকে তাদের কাছে তেমন কোনো বিকল্পও ছিল না। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কেটে এই পেয়ারের জন্য আরেকটি নেতিবাচক চমক আসে, যখন মার্কিন PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক আসে। এতে আবারও ডলার ক্রয়ের প্রবণতা সৃষ্টি হয়। ছয়টি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের প্রেক্ষিতে মার্কিন ডলারের দর প্রায় ৫০ পিপস বৃদ্ধি পায়। অথচ রাতেই কোনো প্রতিবেদন বা নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ডলার আবার ৪০ পিপস দরপতনের শিকার হয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে একটি মাত্র উল্লেখযোগ্য ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, যা শেষ পর্যন্ত ভুল সিগন্যাল হিসেবে প্রমাণিত হয়। দিনের পুরোটা সময় জুড়ে নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গেলেও শুরুতে কোনো কার্যকর সেল সিগনাল গঠিত হয়নি। এক পর্যায়ে পেয়ারটির মূল্য 1.1292 এর লেভেল টেস্ট করে এবং সেখান থেকে রিবাউন্ড করে। তবে মার্কিন সেশনে ট্রেডাররা আবারও মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফলের কারণে ডলার কিনতে বাধ্য হতে হয়। তবুও, এই পেয়ারের মূল্য 1.1267–1.1292 জোন শক্তিশালীভাবে ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে ব্যর্থ হয়েছে, যা ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে আবারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেল ব্রেক করে উপরের দিকে গিয়েছে এবং কোনো সুস্পষ্ট মৌলিক কারণ বা অনুঘটক ছাড়াই ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মনে হচ্ছে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার মুহূর্ত থেকে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, তা এখনো চলমান রয়েছে। এবার মার্কেটের ট্রেডারদের নতুন কোনো শুল্ক, নিষেধাজ্ঞা বা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের দরকার হয়নি—বর্তমানে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার উপস্থিতিই ডলার বিক্রির কারণ হিসেবে যথেষ্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুক্রবার EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং আবারও মূলত টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর নির্ভর করবে, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কেটে প্রাসঙ্গিক নয়। ট্রেডারদের মধ্যে আবারও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে কোনো কারণ থাকুক বা না থাকুক তারা ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হচ্ছে: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622 শুক্রবার ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ফলে মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে অথবা নতুন করে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। 1.1267 লেভেল থেকে ইতোমধ্যে একটি রিবাউন্ড গঠিত হয়েছে, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4jmZ7gF
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৬ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/373397990.jpg[/IMG]
গতকালের খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প ইউরোপীয় পণ্যের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন — যার ফলে ইউরোর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং এশিয়ান সেশনে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের তীব্র ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়। বিনিয়োগকারীরা এই পদক্ষেপকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাব্য সংকেত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা ইউরোপীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ মূল্যায়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে, মার্কেটে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরেও ট্রেডারদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ-র মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জটিল ও অনিশ্চিত আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা এখনও বজায় রয়েছে, যা ইউরোপীয় মার্কেটের জন্য অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। সপ্তাহের শুরুতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত না থাকার কারণে বিনিয়োগকারীরা এখন বুন্দেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেল এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তৃতার দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য, বিশেষ করে যেগুলো মুদ্রানীতির পূর্বাভাস ও মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেগুলো ইউরোর বিনিময় হারের ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। ইউরোজোনের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সংক্রান্ত মন্তব্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হবে। সার্বিক পরিস্থিতির ইতিবাচক মূল্যায়ন বিনিয়োগকারীদের ইউরোর প্রতি আস্থা বাড়াতে পারে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ইউরোর দরপতন ডেকে আনতে পারে। রাজনৈতিক বিষয়গুলোও উপেক্ষা করা উচিত নয়। ইইউ-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজস্ব নীতিমালা অথবা ইউরোপীয় একীভূতকরণের সম্ভাবনা নিয়ে যেকোনো ধরনের মন্তব্য কারেন্সি মার্কেটে অতিরিক্ত অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1467-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1428-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1467-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গতকালের সংবাদের প্রভাবে আজ ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1397-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1428 এবং 1.1467-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1397-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1356-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1428-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1397 এবং 1.1356-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে: হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই। মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন। মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3ZApeJP
-
ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনোই নিজেকে সংবরণ করেননি
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/273256895.jpg[/IMG]
মার্কেটের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখলে মনে হয় যেন দ্য গডফাদার স্টাইলে কোনো ব্লকবাস্টার সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা উচিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন সব ধরনের কূটনৈতিক রীতিনীতি পরিহার করে একেবারে সিনেমাটিক স্টাইলে "ডন করলিওনি"-র মতো রূপ ধারণ করেছেন — যে চরিত্রে কিংবদন্তি অভিনেতা মার্লন ব্র্যান্ডো অভিনয় করেছিলেন! ট্রাম্প যেন পুরো দুনিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন — এটি এমন এক পৃথিবী, যেখানে "গ্রেট আমেরিকা"-র তারকা আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। তার ব্যবহার, কথার ভঙ্গিমা এমনকি উপস্থিতিও মারিও পুজোর কোনো চরিত্রের মতো। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যখন সাপ্তাহিক ছুটিতে রাজনীতিবিদ এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের ট্রেডাররা কিছুটা বিশ্রাম নিতে চায়, তখনই ট্রাম্প বড় কোনো ঘোষণা দিয়ে তাদের জাগিয়ে তোলেন। "বিশ্বের স্বঘোষিত শাসক" কাউকেই আরাম করতে দিতে রাজি নন। এবারও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের তারিখ পিছিয়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি জানান, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েনের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইইউ-এর প্রধানও কলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেন, বেশ "ফলপ্রসূ আলোচনা" হয়েছে এবং "একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছাতে আরও সময় প্রয়োজন।" এর মানে কী দাঁড়ায়? মনে হচ্ছে, এটি ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার একটি অংশ — যেন কোনো সিনেমার দৃশ্য! ট্রাম্প তাদের আরও সময় দিচ্ছেন, যাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা আরও ভালোভাবে ভাবতে পারে। তিনি এখনও তার প্রভাব ব্যবহার করছেন, যতক্ষণ না কেউ তার কাছ থেকে সেই সুযোগ কেড়ে নেয়।
মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি গত সপ্তাহে শুল্ক সংক্রান্ত উত্তেজনা এবং সম্ভাব্য আর্থিক সংকটের আশঙ্কায় মার্কেটে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল, তবে এই সপ্তাহের শুরুতে ট্রেডারদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। যদিও এটি চীনের সঙ্গে ৯০ দিনের জন্য পূর্ণ যুদ্ধবিরতির মতো সংবাদ নয়, তথাপি বলা যায়, "নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।" মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচার আত্মবিশ্বাসের সাথে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যা মার্কেটে ইতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা এই খবরে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, যার ফলে মার্কিন স্টক মার্কেটে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে — যদিও এটি অস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এই আশাবাদী পরিস্থিতিতে ডলার তীব্র দরপতনের শিকার হতে পারে, আর ডলার সূচক 98.00 লেভেলে পৌঁছাতে পারে, তার আগে নতুন করে কনসোলিডেশন শুরু হতে পারে। স্বর্ণের ক্ষেত্রে, যদি এটির মূল্য শক্তিশালী রেজিস্ট্যান্স 3358.50 লেভেল ব্রেক করতে সক্ষম হয়, তবে মূল্য বিপরীতমুখী হয়ে পূর্বাভাসকৃত 3263.75 লেভেলে নামতে পারে।
তবে এই ইতিবাচক প্রবণতা কত দিন থাকবে? সম্ভবত খুব বেশি দিন নয়। এই সপ্তাহে ফেডের সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। ফেড আবার সুদের হার কমানোর জন্য প্রস্তুত এমন সংকেত পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আপাতত চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সতর্ক থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছেন, যদিও মুদ্রাস্ফীতি ২%-এর লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি নেমে এসেছে — এপ্রিলে বার্ষিক ভিত্তিতে এটি ২.৩%-এ ছিল। তবে যদি প্রথম প্রান্তিকের দেশটির জিডিপি প্রতিবেদনে -০.৩% সংকোচন দেখা যায়, তাহলে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে যেতে পারে। এটি ২০২২ সালের নভেম্বরের পর প্রথমবারের মতো নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে, যা কার্যত একটি অর্থনৈতিক মন্দার সূচনা নির্দেশ করবে। এই ধরনের তথ্য নিশ্চিত হলে, ফেড জুন মাসে সুদের হার ০.২৫% কমিয়ে অর্থনীতিতে উদ্দীপনা আনতে পারে। এতে স্টক মার্কেটে চাহিদা বেড়ে যাবে, ডলারের দরপতন প্রসারিত হবে এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতি আগ্রহ আবারও ফিরে আসবে। এই সম্ভাবনাকে এখন "উচ্চ" হিসেবেই গণ্য করা হচ্ছে।
আজকের পূর্বাভাস: EUR/USD ট্রাম্পের ঘোষণায় যে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার ফলে এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে এবং যদি 1.1425 এর লেভেল ব্রেক করা হয়, তাহলে মূল্য 1.1530-এর দিকে যেতে পারে। ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হতে পারে 1.1432। #USDX ডলার সূচক বর্তমানে 98.90-এর নিচে ট্রেড করছে। যদি প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায় এবং মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে বিরাজমান অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা নিশ্চিত করে এবং ফেড জুন মাসে সুদের হার কমাতে বাধ্য হয়, তাহলে ডলার সূচক 98.00 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। বিক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হতে পারে 98.65।
Read more: https://ifxpr.com/4keal8D
-
২৮ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1505613761.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার খুবই অল্পসংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে তুলনামূলকভাবে উল্লেখযোগ্য হিসেবে কেবল জার্মানির বেকারত্বের হার এবং বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যায় পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। তবে এই প্রতিবেদন শুধুমাত্র ইউরোজোনের একটি দেশের জন্য প্রযোজ্য এবং বর্তমানে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবির) অগ্রাধিকার তালিকায় বেকারত্বের বিষয়টি শীর্ষে নেই। ফলে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কেটে খুব সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে এবং সামগ্রিক চিত্রে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বর্তমানে কারেকশনের অংশ হিসেবে মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে, যা সম্ভবত আজকের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1303005852.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের মধ্যে জন উইলিয়ামস ও নিল কাশকারি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিল-এর বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তবে আগেই বলা হয়েছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তৃতা মার্কেটে তেমন কোনো প্রভাব ফেলছে না, কারণ নীতিগত অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণরূপে মার্কেটে প্রতিফলিত হয়েছে। ট্রেডাররা এখন মূলত "ট্রাম্প ফ্যাক্টর"-এর ভিত্তিতে ট্রেড করছে। গত কয়েক সপ্তাহে ফেডের বহু কর্মকর্তাই বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অবস্থানও স্পষ্ট। আমরা মনে করি, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো বাণিজ্য যুদ্ধকেই প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করছে — যদিও এটি ধীরে ধীরে প্রশমিত হচ্ছে, তবুও তা এখনো চলমান রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছেন, তবে এসব খবর ডলারের জন্য খুব একটা সহায়ক হয়নি। যদি অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত না হয় বা আলোচনা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি ট্রাম্প নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ না করলেও, মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি গভীর নেতিবাচক মনোভাবের কারণে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD — উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। দুটি পেয়ারের মূল্যেরই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, এবং ডলার বিভিন্ন কারণে — বা কখনো কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই — দরপতনের শিকার হচ্ছে। তাই বর্তমান কারেকশনটি যুক্তিসঙ্গত হলেও, এটি আজকের মধ্যেই শেষ হতে পারে। আমরা কেবল তখনই ডলারের শক্তিশালী পুনরুদ্ধার বিবেচনায় নেব যখন উভয় পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করবে।
Read more: https://ifxpr.com/45g32IX
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৯ মে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1181799578.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.1302 এর লেভেল টেস্ট করে — যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। দ্বিতীয়বার 1.1302 লেভেল টেস্ট করার সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যার ফলে এই পেয়ার ক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ পাওয়া যায় এবং এই পেয়ারের মূল্য ২০ পিপস বৃদ্ধি পায়। মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কোর্ট ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত বৈশ্বিক শুল্ক বাতিল করে এবং মার্কিন প্রশাসনকে এসব শুল্ক আর প্রয়োগ না করার নির্দেশ দিলে ইউরোর মূল্য দ্রুত হ্রাস পায় এবং ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বিনিয়োগকারীরা এই সিদ্ধান্তকে বাণিজ্যিক উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষণ এবং আরও পূর্বানুমেয় অর্থনৈতিক কৌশলে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছে। এই আদালতের রায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর এসেছে। আশা করা হচ্ছে, শুল্ক প্রত্যাহারের পদক্ষেপ আমদানিকৃত পণ্যের খরচ কমাবে এবং রপ্তানির সুযোগ বাড়াবে। তবে, শুল্ক প্রত্যাহার মার্কিন শিল্প খাতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষত যেসব খাত আগে বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে সুরক্ষিত ছিল। একই সময়ে, ডলার শক্তিশালী হলে তা মার্কিন রপ্তানি পণ্যকে বিদেশি ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যের দিক থেকে প্রতিযোগিতার মুখে গেলতে পারে — যা রপ্তানি খাতের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে। আজ সকালের ইউরোজোনে উল্লেখযোগ্য কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা না থাকায় EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা রিবাউন্ডের সুযোগ রয়েছে। এই সময়কালে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় ট্রেডাররা কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় মার্কেটের ট্রেডাররা হয়তো আবার শুল্ক পরিস্থিতির দিকেই মনোযোগ দেবে। এই বিষয়ে ট্রাম্পের যেকোনো মন্তব্য অস্থিরতার মাত্রা বাড়াতে পারে এবং ইউরোর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1335-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1269-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1335-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1230-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1269 এবং 1.1335-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1230-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1167-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর ব্যাপক চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1269-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1230 এবং 1.1167-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4jIn42l
-
৩০ মে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1079982055.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে EUR/USD কারেন্সি পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয়, তবে দিনের বাকি সময়টিতে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের যে মুভমেন্ট দেখা গেছে তা ব্যাখ্যা করা কিছুটা কঠিন, তবে আমরা সেটা করার চেষ্টা করব। রাতের বেলায় (যখন হঠাৎ করে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়), জানা যায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত অধিকাংশ শুল্ক বাতিল করার রায় দিয়েছে। ম্যানহাটনের আদালত রায় দেয় যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কোনো অধিকার বা ক্ষমতা নেই — কেবলমাত্র কংগ্রেসই বৈশ্বিক বাণিজ্যিক শুল্ক আরোপ করতে পারে। এই খবর ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সৃষ্টি করে। তবে পরে হঠাৎ কেন আবার ডলারের দরপতন শুরু হল? কারণ ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গে আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি করা শুরু করেন, আপিল করার ঘোষণা দেন এবং মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। সন্ধ্যার দিকে ম্যানহাটনের আদালত তার রায় ১৪ দিনের জন্য স্থগিত করে। এইভাবে, ট্রাম্প পুরো বিষয়টি খুব সহজে সামাল দিয়ে ফেলেন। বাণিজ্যযুদ্ধ চলমান রয়েছে, শুল্ক বহাল রয়েছে, এবং ডলার আবারও দরপতনের শিকার হচ্ছে
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি অত্যন্ত কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের পুরো সময় জুড়ে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1267–1.1292 এর এরিয়া ব্রেক করার চেষ্টা করছিল, এবং মার্কিন সেশনের শুরুতে অবশেষে তা করতে সফল হয়। এরপরে একটি শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়, যা মূল্য 1.1354–1.1363 এর উপরে পৌঁছানোর পর থামে। এই লেভেলের কাছে লং পজিশন ক্লোজ করা যেত। এই ট্রেড থেকে কমপক্ষে ৬০–৭০ পিপস লাভ করা সম্ভব হয়েছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/128845986.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের ব্রেক করে নিম্নমুখী প্রবণতা, তবে ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছিল, সেটি এখনো অব্যাহত থাকতে পারে। মূলত, এই মুহূর্তে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট — এই কারণটিই ট্রেডারদের ডলার থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট। যদি ট্রাম্প আবার হুমকি প্রদান, আলটিমেটাম জারি করা, এবং নতুন করে শুল্ক আরোপ/বৃদ্ধি করা শুরু করেন, তবে ট্রেডারদের হাতে খুব একটা বিকল্প থাকবে না। এখনো ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বাতিল হয়নি, তাই বাণিজ্যযুদ্ধ সংক্রান্ত পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বৃহস্পতিবার আবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হতে পারে, যেহেতু ট্রেন্ডলাইনটির ব্রেক হয়ে গেছে। একই সাথে, ডলারের শক্তিশালী মূল্য বৃদ্ধির জন্য এখনো কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ দেখা যাচ্ছে না। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য যেসব লেভেল পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1088, 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481,1.1513, 1.1548, 1.1571, 1.1607–1.1622। শুক্রবার জার্মানি থেকে মে মাসের খুচরা বিক্রয় এবং মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনগুলো গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে যেমন: পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) প্রাইস ইনডেক্স, ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক, যেগুলোও গুরুত্বের দিক থেকে দ্বিতীয় সারির হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/4mDXZba
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1008345502.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1347-এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, মূল্য ১০ পিপস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পরেই এই পেয়ারের ওপর আবারও চাপ ফিরে আসে। শুক্রবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা আবারও স্থবির হয়ে পড়েছে, যার ফলে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। বিনিয়োগকারীরা বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন, যা সাধারণত নিরাপদ সম্পদ বিনিয়োগের প্রবণতা বাড়ায় এবং ডলারের জন্য নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করে। বাণিজ্য আলোচনার ব্যর্থতা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেক বিশ্লেষক ইতোমধ্যেই মন্তব্য করছেন যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার হ্রাস এবং বাণিজ্য সংঘাতের আরও তীব্রতা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে, বিশেষ করে সেইসব দেশের জন্য যারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর অধিক নির্ভরশীল। আজ ইউরোপীয় কারেন্সি ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটাই নির্ভর করবে ইউরোজোনের ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর। যদি প্রতিবেদনটির ফলাফল প্রত্যাশামাফিক না হয়, তাহলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হতে পারে। ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যাওয়ায়, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত সুদের হার আরও কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে, এবং আজকের উৎপাদন খাতের দুর্বল ফলাফল সেই সিদ্ধান্তকেই সমর্থন করবে, যা এই বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1468-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1408-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1468-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1352-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1408 এবং 1.1468-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1352-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1273-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1408-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1352 এবং 1.1273-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1681389070.jpg[/IMG]
চার্টে কী আছে: হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে। গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই। মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত। নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ: নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন। মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/43ItPev
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1733034281.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1438 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। তবে, মূল্য ১০ পিপস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পরেই এই পেয়ারের ওপর আবারও চাপ ফিরে আসে। মার্কিন উৎপাদন খাতের ISM সূচকের হতাশাজনক ফলাফল ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা এবং ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি পুনর্মূল্যায়নের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ট্রেডাররা এখন প্রত্যাশা করছে যে ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বেড়েছে, যা ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে—বিশেষ করে যইখন এই মুদ্রাটি ঐতিহ্যগতভাবে সুদের হারের পূর্বাভাস পরিবর্তনের প্রতি সংবেদনশীল। তবুও, এটাও বিবেচনায় রাখা উচিত যে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি স্বল্পস্থায়ী হতে পারে এবং এটি শুধুমাত্র নতুন মাসের শুরুতে সাধারণ টেকনিক্যাল ইম্পাল্সিভ মুভমেন্ট হতে পারে। ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের কারণে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পূর্বাভাস এখনো অনিশ্চিত রয়ে গেছে। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোজোনের মে মাসের CPI (মূল মুদ্রাস্ফীতির সূচক) এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই অর্থনৈতিক সূচকগুলো ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে কী ধরনের মুদ্রানীতি অনুসরণ করতে পারে সে সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে—বিশেষ করে এই পটভূমিতে যে ইসিবি হয়তো এই বৃহস্পতিবার সুদের হার হ্রাসের চক্রের সমাপ্তি টানতে পারে। যদি CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আসে, তাহলে ইসিবির উপর আরও কঠোর অবস্থান নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা ইউরোর জন্য সহায়ক হবে। বিপরীতে, CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে কম এলে সুদের হার কিছু সময়ের জন্য অপরিবর্তিত রাখার যুক্তি দুর্বল হবে এবং ইউরোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বেকারত্বের হারও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বেকারত্বের হার কমে গেলে তা শ্রমবাজারে উন্নতির ইঙ্গিত দেয় এবং বাহ্যিক অস্থিতিশীলতার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ইউরোজোনের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে। বিপরীতে, বেকারত্ব বাড়লে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরো দুর্বল হতে পারে। সুতরাং, আজ ইউরোজোন থেকে প্রকাশিতব্য মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইউরোর ওপর তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রতিবেদনগুলোর দিকে বিনিয়োগকারীরা নিবিড়ভাবে নজর রাখবে যাতে তারা ইউরোপীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং ইসিবির সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে পারে। পূর্বাভাসের তুলনায় প্রকৃত ফলাফল যেকোনো অপ্রত্যাশিত বিচ্যুতি কারেন্সি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/713966845.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1464-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1429-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1464-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1410-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1429 এবং 1.1464-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1410-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1380-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। মুদ্রাস্ফীতি তীব্রভাবে হ্রাস পেলে আজ এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1429-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1410 এবং 1.1380-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/45EXKXo
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1139408874.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1395 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। ইউরোপীয় অর্থনীতি বর্তমানে একটি জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, যার পেছনে রয়েছে মার্কিন ডলারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট। ডলার শক্তিশালী হওয়ার প্রধান দুটি কারণ হলো ইউরোজোনে মুদ্রাস্ফীতির হার হ্রাস এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সুরক্ষাবাদী নীতি। যদিও মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেলে সেটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক, তবে স্বল্পমেয়াদে এটি ইউরোর দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্প স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০% করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় এটি বিশেষভাবে কারেন্সি মার্কেটে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় উৎপাদনকারীদের সুরক্ষার জন্য নেওয়া এই ধরনের পদক্ষেপ ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণে উৎসাহিত করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে কারেন্সি মার্কেটে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, আগামীকালের বৈঠকে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অপরিহার্য, যাতে ইউরোজোনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা যায় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান বজায় থাকে। সুরক্ষাবাদী নীতির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় আর্থিক এবং রাজস্ব নীতির সমন্বয়ে কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইউরোপীয় অর্থনীতির প্রতি আস্থার পুনঃস্থাপন সম্ভব হয়। আজ ইউরোজোনে সার্ভিসেস PMI এবং কম্পোজিট PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেগুলোর ইউরোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বিনিয়োগকারীরা এই সূচকগুলোর দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছে, কারণ এগুলো ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্ট প্রদান করে এবং ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিপথ সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে সহায়তা করে। যদি PMI প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে হতাশাজনক হয়, তাহলে সেটি ইউরোজোনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাসের আশঙ্কা আরও জোরালো করবে এবং ইউরো বিক্রির প্রবণতা আরও বেড়ে যেতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দিব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1418-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1382-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1418-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1355-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1382 এবং 1.1418-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1355-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1317-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। PMI সূচকের তীব্র পতন পরিলক্ষিত হলে ইউরো বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1382-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1355 এবং 1.1317-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3HnpBRO
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৬ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1273058767.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেক নিচে অবস্থান করছিল, তখন EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1511 -এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়। এই কারণেই আমি ইউরো বিক্রি করিনি। আমি মার্কেটে এন্ট্রির জন্য আর কোনো যথার্থ এন্ট্রি পয়েন্ট পাইনি। ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে প্রকাশিত কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হলেও, মার্কিন ডলার ইউরোর বিপরীতে শক্তিশালী হতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রত্যাশিতভাবেই, মার্কেটের ট্রেডাররা অন্যান্য আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক অগ্রগতির দিকেই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। একই সময়ে, চলমান পরিস্থিতির মাঝেও ইউরোর মূল্য স্থিতিশীলতা প্রদর্শন করছে। ইউরোর ক্ষেত্রে সমর্থন এসেছে এই প্রত্যাশা থেকে যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) আর্থিক নীতিমালা নিয়ে সতর্ক ও পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থান গ্রহণ করবে। আজ দিনের প্রথমার্ধে মূলত ইতালির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের নজর দিতে হবে। মধ্যাহ্নের দিকে জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান জোয়াকিম নাগেলের একটি বক্তব্য নির্ধারিত আছে। ইতালির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে এটি ইউরোজোনের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে সীমিত প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে, বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম নাগেলের বক্তব্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানি এবং ইউরোজোনের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি, সুদের হার সংক্রান্ত নীতিমালা ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তার মন্তব্যগুলো ট্রেডারদের মনোভাব এবং ইউরোর মূল্যের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিবেচনায়, এখন এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্যের গুরুত্বও গৌণ হয়ে যেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1163253375.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1634-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1570-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1634-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। যদিও, আজ ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1532-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1570 এবং 1.1634-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1532-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1469-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোনো সময় এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1570-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1532 এবং 1.1469-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3FYfN0k
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৭ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1888561940.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1588 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 30 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল ইউরো ইতালির মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে কিছুটা সহায়তা পেয়েছিল, কিন্তু ক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়—যা মূলত ইরান–ইসরায়েল সামরিক সংঘাতের কারণে হয়েছে—যার ফলে এই পেয়ারের ওপর দ্রুত চাপ ফিরে আসে। আজ, যদি জার্মানি এবং ইউরোজোন থেকে (ZEW ইনস্টিটিউটের) প্রকাশিতব্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তবে ইউরো সহায়তা পেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমান পরিস্থিতি সূচক এবং ব্যবসায়িক মনোভাব সূচকের দিকেই বিশেষভাবে নজর দেবে, যাতে অঞ্চলটির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা যায়। ইতিবাচক ফলাফল অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিতে পারে এবং ইউরোর প্রতি আস্থা জোরদার করতে পারে। তবে, যদি ZEW থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না আসে, তাহলে ইউরো চাপের মধ্যে পড়তে পারে। ব্যবসায়িক পরিস্থিতির হতাশাবাদী মনোভাব অর্থনৈতিক মন্দার উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরোপীয় মুদ্রায় বিনিয়োগের আগ্রহ কমাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন ডলারের মতো নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকতে পারে। বুন্ডেসব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদনটিও গুরুত্ব বহন করবে। বিশেষজ্ঞরা জার্মানির অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা এবং সম্ভাব্য মুদ্রানীতিগত পরিবর্তন বিশ্লেষণ করবেন। যদি কোনো কঠোর নীতির ইঙ্গিত বা মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায়, তাহলে তা ইউরোর মূল্যে প্রভাব ফেলতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1634-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1573-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1634-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1551-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1573 এবং 1.1634-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1551-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1491-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1573-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1551 এবং 1.1491-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3HGxbXR
-
১৯ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/556553442.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। তবে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশের পর মার্কিন ডলারের দর পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। বর্তমানে, ডলার সামান্য শক্তিশালী হয়েছে, এবং ফেডের বৈঠকের ফলাফলকে "নীরস" ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। আর্থিক নীতিমালার ক্ষেত্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মূল সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, জেরোম পাওয়েল আবারও "অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের" অবস্থানের কথা বলেছেন, এবং ডট প্লটে আগামী দুই বছরের জন্য প্রত্যাশিত সুদের হারে খুব সামান্য পরিবর্তন দেখানো হয়েছে। ফলে, টানা দ্বিতীয় দিন ধরে বেশ অস্পষ্ট কারণে ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যেক বৈঠকে সুদের হার কমিয়েছে তবুও ডলারের দর বাড়েনি। এমনকি ফেড 2025 সালের প্রতিটি বৈঠকে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেও ডলারের দর বৃদ্ধি পায়নি। তাই আমরা এখনও মনে করি না যে মার্কিন মুদ্রার অত্যন্ত হতাশাজনক সময়কাল শেষ হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1416875340.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার অত্যন্ত এলোমেলো মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। শুরুতেই, ফেডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণার আগে, এই পেয়ারের মূল্য সম্পূর্ণরূপে ফ্ল্যাট রেঞ্জে আটকে ছিল। ফলে, যেসব সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, তার বেশিরভাগই ভুল ছিল। 1.1513 লেভেলের আশেপাশে গঠিত প্রথম দুটি সিগন্যাল ভুল ছিল, তাই পরবর্তী সব সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত ছিল। দিনের শেষে এই লেভেল সংশোধন করে 1.1527 করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আপাতত, কেবলমাত্র ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই বাস্তবতাই ডলারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার বজায় রাখার জন্য যথেষ্ট। এমনকি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সংঘাতও ডলারের সার্বিক পরিস্থিতি তেমন প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন, চূড়ান্ত শর্ত আরোপ করছেন, শুল্ক আরোপ করছেন বা বাড়াচ্ছেন এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ফলে, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রতিদিন ডলার বিক্রি না করলেও, তারা মধ্যমেয়াদে ডলার কেনার ব্যাপারেও খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার, হয়তো EUR/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, যদিও ফেডের গতকালের বৈঠকের ফলাফল এখনো পুরোপুরিভাবে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলিত হয়নি। একটি ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে, তবে আমরা এই সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিচ্ছি না যে ডলার ইতোমধ্যে পূর্বের নিম্ন লেভেলে—তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেভেলের কাছাকাছি—ফিরে যেতে পারে, এমনকি আজই এটি ঘটতে পারে। বৃহস্পতিবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413–1.1424, 1.1474–1.1481, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1704, 1.1802। বৃহস্পতিবারের ক্যালেন্ডারে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের দুটি বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মনে করি, এই ইভেন্টগুলো মার্কেটে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না, এবং ট্রেডাররা সম্ভবত ফেড ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের প্রতিক্রিয়ার দিকেই মনোযোগ ধরে রাখবে।
Read more: https://ifxpr.com/4ld0yPV
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২০ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1440005833.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠা শুরু করে তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1484 এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এরপর পেয়ারটির মূল্য বৃদ্ধি পায়নি, যার ফলে এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকায় এবং একাধিক এক্সচেঞ্জে ছুটি থাকার কারণে ইউরো মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছিল। তবে, এটিকে দীর্ঘমেয়াদী প্রবণতার পরিবর্তন হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এটি সম্ভবত বর্তমান বাজার পরিস্থিতির কারণে একটি স্বল্পমেয়াদি উন্নতি। মধ্যপ্রাচ্যে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে দ্রুত ডলারের চাহিদা ফিরে আসতে পারে, তাই ইউরোর মূল্যের স্থায়ী বুলিশ প্রবণতার আশা করা সময় এখনও আসেনি। আজ ট্রেডাররা জার্মানির প্রোডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI), ইউরোজোনের বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবণতা, এবং অঞ্চলটির ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর মনোযোগ দেবে। অন্য কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ হলেও উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে M3 মানি সাপ্লাইয়ের পরিবর্তন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক বুলেটিন। ভোক্তা আস্থা সূচকের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে—সূচকটির পতন ঘটলে সেটি পারিবারিক অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগকে প্রতিফলিত করতে পারে, যা ভোক্তাদের মধ্যে ব্যয় করার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে পারে। বেসরকারি ঋণের প্রবণতাও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ব্যবসায়িক আস্থা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত করতে পারে, যা একটি ইতিবাচক অর্থনৈতিক সংকেত। তবে, অতিরিক্ত দ্রুত ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং অ্যাসেট বাবলের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। জার্মানির উৎপাদন মূল্য সূচক বা PPI মূল্যস্ফীতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা ব্যবসায়িক খরচের চাপ এবং সেই খরচ গ্রাহকের উপর চাপিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা দেবে। এই সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ভোক্তা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সংকেত দিতে পারে। সবশেষে, ইসিবির অর্থনৈতিক বুলেটিন ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা দেবে এবং সম্ভবত ভবিষ্যতের মুদ্রানীতি সম্পর্কেও ইঙ্গিত দেবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1571-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1533-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1571-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1514-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1533 এবং 1.1571-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1514-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1486-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1533-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1514 এবং 1.1486-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4667dHn
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৩ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1091460339.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে যাওয়া শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1510 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য কোনো দরপতন দেখা যায়নি। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মূলত মার্কেটে তেমন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি, এবং ডলারের বিপরীতে ইউরোর প্রাথমিক দরপতন দ্রুতই পুনরুদ্ধার হয়। ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সময়েও মার্কেটে এখন অপ্রত্যাশিতভাবে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে, কারণ এমন ঘটনাগুলো হয়তো আংশিকভাবে আগে থেকেই এই পেয়ারের মূল্যের উপর প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। বিনিয়োগকারীরা এই হামলাকে সীমিত পরিসরের মনে করতে পারেন এবং এটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে বড় ধরনের ক্ষতির দিকে ঠেলে দেবে—এমন আশঙ্কা করেননি। আজ ইউরোজোনের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে এই পেয়ারের ওপর চাপ তৈরি হতে পারে, যা দিনের প্রথমার্ধে প্রকাশিত হবে। এই সূচকগুলোর প্রতি ট্রেডাররা অত্যন্ত সংবেদনশীল, কারণ এগুলো অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রাথমিক সংকেত হিসেবে ধরা হয়। ম্যানুফ্যাকচারিং PMI-এর পতন মানে হতে পারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হওয়া, নতুন অর্ডার কমে যাওয়া এবং ইউরোপীয় উৎপাদকদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অবনতি। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকতে পারে, ফলে একটি নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তবে, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের বিষয়েও নজর দেওয়া জরুরি। ইউরোজোনের সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যদি পরিষেবা খাতে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখা যায়, তবে তা উৎপাদন খাতে মন্থরতার নেতিবাচক প্রভাবকে ছাপিয়ে ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে। এছাড়া, ইউরোজোন কম্পোজিট PMI-এর প্রতিও ঘনিষ্ঠ নজর রাখা হবে, যা ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিসেস সূচকের গড়। এই সূচকের ফলাফল ইউরোজোন অর্থনীতি সম্পর্কে সবচেয়ে বিস্তৃতভাবে মূল্যায়ন প্রদান করে। যদি এটি ৫০ পয়েন্টের ওপরে থাকে, তাহলে তা মাঝারি গতির হলেও ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেবে, যা ইউরোর দরপতনের সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করবো।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1571-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1521-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1571-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1499-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1521 এবং 1.1571-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1499-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1458-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1521-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1499 এবং 1.1458-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3Ganq3M
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৪ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/895865025.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1483-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1537-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে বৃদ্ধি পায়। আজ দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এর জন্য জার্মান ব্যবসায়িক আস্থা সূচকের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশের প্রয়োজন হবে। জার্মানির শক্তিশালী সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য আরও একবার অতিরিক্ত ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম পাবে। বিনিয়োগকারীরা এটিকে ইউরোজোনের ইঞ্জিন হিসেবে পরিচিত জার্মানির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সংকেত হিসেবে দেখবে। এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সমর্থনের সক্ষমতার ওপর আস্থা বাড়াতে পারে। তবে, যদি প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম হয় বা ক্রিস্টিন লাগার্দে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, তাহলে ইউরোর ওপর চাপ তৈরি হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির কারণেও এই পেয়ারের মূল্যের আরও একটি শক্তিশালী বুলিশ মুভমেন্ট তৈরি হতে পারে, যেখানে সামরিক সংঘাতের তীব্রতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া হলে তা মার্কেটের জন্য ইতিবাচক খবর হবে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1575234630.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1684-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1627-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1684-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1597-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1627 এবং 1.1684-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1597-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1554-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1627-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1597 এবং 1.1554-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4kUwpoS
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৫ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/840155348.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1621-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো ক্রয় করার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য মাত্র 12 পিপস বেড়েছিল, তারপরই ইউরোর চাহিদা কমে যায়। এই পেয়ারের মূল্য মাসিক উচ্চতার কাছাকাছি থাকা অবস্থায় খুব কম সংখ্যক ক্রেতাই এটির ক্রয়ের ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছিল। যদিও ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল গতকাল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছিলেন আরও প্রতিবেদন প্রয়োজন—যাতে বোঝা যায়, শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত হবে কি না। পাওয়েল উল্লেখ করেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকার মুদ্রানীতি দ্রুত নমনীয় করা হবে। এই অস্পষ্ট অথচ আশাব্যঞ্জক অবস্থান ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে আশাবাদের ঢেউ সৃষ্টি করে। বিনিয়োগকারীরা ফেডের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিতকে ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটসহ ইউরো ক্রয়ের জন্য সবুজ সংকেত হিসেবে দেখেছে। আজ গুরুত্বপূর্ণ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় EUR/USD-এর মূল্যের স্থিতিশীলতা এবং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই পেয়ারের দর বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য বিরতি পরবর্তী দর বৃদ্ধির জন্য সূচনালগ্ন হিসেবেও কাজ করতে পারে, কারণ বর্তমান টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটরগুলোর বিশ্লেষণে ইতিবাচক প্রবণতাই প্রতিফলিত হচ্ছে। তবে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলোর কথাও মনে রাখতে হবে। অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক বিবৃতি বা ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান গতিপথ বদলে দিতে পারে। তাই মৌলিক প্রেক্ষাপটের দিকে সজাগ দৃষ্টি এবং মার্কেট সেন্টিমেন্টে পরিবর্তনের প্রতি দ্রুত প্রতিক্রিয়াই সফলতার চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপরই মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1670371731.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1684-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1634-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1684-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1602-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1634 এবং 1.1684-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1602-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1531-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1634-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1602 এবং 1.1531-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/45zLrvz
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৬ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2006117978.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1622-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণে, আমি ইউরো কিনিনি এবং এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি কাজে লাগাতে পারিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের প্রতি আরও বেশি অসন্তুোষ প্রকাশ করেছেন, যার ফলে ইউরোর বিপরীতে মার্কিন ডলার দুর্বল হয়েছে। ফেডের প্রধানের বিরুদ্ধে ট্রাম্প পুনরায় সমালোচনা করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাতন্ত্র্যতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের মৌখিক অভিযোগ এমন একটি নজির স্থাপন করেছে যা মুদ্রানীতির প্রতিষ্ঠিত নীতিমালাকে দুর্বল করছে এবং এর দীর্ঘমেয়াদি কার্যকারিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে। তবে উল্লেখযোগ্য যে, প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প পাওয়েলের কর্মদক্ষতা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং প্রায়শই ফেডের সমালোচনা করতেন। মার্কিন রিয়েল এস্টেট খাত—যা ঐতিহ্যগতভাবে মার্কিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত—গতকাল মন্দার লক্ষণ দেখিয়েছে। নতুন আবাসন নির্মাণ শুরু ও আবাসন বিক্রির হ্রাস ভোক্তা কার্যক্রমের হ্রাস এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতির অবনতি নির্দেশ করে। বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সাথে মিলে এই আবাসন খাতের দুর্বল ফলাফল অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে, যার ফলে বিশ্লেষকরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে নিম্নমুখী করছেন। আজকের দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য আরো ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানিতে জুন মাসের GfK কনজিউমার ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এই সূচকটি জার্মানির ভোক্তাদের মনোভাব প্রতিফলিত করে, যা ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সংকেত প্রদান করতে পারে। যদি সূচকটির মান পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এটি ইউরোপীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রতি আস্থা জোরদার করতে পারে এবং এর ফলে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সমর্থন পেতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে দৃষ্টি দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2080004564.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1741-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1690-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1741-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1665-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1690 এবং 1.1741-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1665-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1623-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ার বিক্রয়ের প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1690-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1665 এবং 1.1623-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/46dB4ha
-
২৭ জুন কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মূলত সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। এই সপ্তাহে, অত্যন্ত অপ্রচলিত পদ্ধতিতে ইউরোর ট্রেড করা হয়েছে, যেখানে ট্রেডাররা একটি অস্বাভাবিক মৌলিক প্রেক্ষাপটের মধ্যে ট্রেডিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, সপ্তাহের প্রথমার্ধে মার্কেটে "মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ বন্ধ করো এবং নোবেল পুরস্কার জেতো" এই বিষয়টিই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে, যেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প সংঘাত থামাতে যা যা সম্ভব সব করেছেন। শেষ পর্যন্ত, সংঘাত সাময়িকভাবে থেমেছে, তবে যেকোনো সময় তা আবার শুরু হতে পারে। ট্রেডাররা যৌক্তিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ডলার এখনো ধরে রাখার মতো কিছু নয়—বিশেষত যখন ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে এবং নিরাপদ বিনিয়োগের আর প্রয়োজন নেই। সপ্তাহের দ্বিতীয়ার্ধে, পরিস্থিতি পাল্টে যায়। নতুন আলোচ্য বিষয় হয় "পাওয়েলকে বরখাস্ত করো, ফেডের সমালোচনা করো"। স্বাভাবিকভাবেই, পাওয়েল বরখাস্ত হবেন না—কারণ এই সিদ্ধান্ত কেবল কংগ্রেসের এখতিয়ারভুক্ত, আর ট্রাম্প কংগ্রেসের সাথে কাজ করতে পছন্দ করেন না। ট্রেডাররা এই নতুন "পাওয়েল বরখাস্ত হবে কি হবে না" নাটক দেখেছে এবং আবার ডলার বিক্রি করা শুরু করেছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1542548824.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, বেশ অস্থিরতার সাথে ট্রেডিং করা হয়েছে, কারণ মার্কেটে সাইডওয়েজ কনসলিডেশন এবং আকস্মিকভাবে এই পেয়ার ক্রয়ের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যার মাঝে তেমন কোনো ধারাবাহিকতা ছিল না। এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টগুলো সকল ক্ষেত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। গতকাল বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে মূল লেভেলটি 1.1700 থেকে সরিয়ে 1.1740-এ নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমান লেভেলগুলো কিছুটা পুরাতন, কারণ এখন এই পেয়ারের মূল্য তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেলে অবস্থান করছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/458945045.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সেই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে যা ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল, এবং সম্ভবত যতক্ষণ না নতুন একজন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করেন ততক্ষণ এই প্রবণতা চলমান থাকবে। বাস্তবিক অর্থে, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই তথ্যটাই ডলারের দরপতন হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এমনকি যখন ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো খবর থাকে না, তার মানে এই নয় যে ডলারের দরপতন হবে না। শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো কারণের প্রয়োজন নেই। উল্লেখযোগ্য কোনো বড় ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না, তাই ট্রেডিংয়ের জন্য টেকনিক্যাল সিগন্যাল ব্যবহার করা যেতে পারে। ৫ মিনিটের চার্ট অনুযায়ী ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1132–1.1140, 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740, 1.1802, 1.1851। শুক্রবার তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোর পিসিই প্রাইস ইনডেক্স বা এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিতব্য কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/4lbHH8r
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2115413119.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ ওপরে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেইনি। পরবর্তীতে দ্বিতীয়বার এই লেভেলের টেস্ট হওয়ার সময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যার ফলে এই পেয়ারের সেল সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় এবং পেয়ারটির মূল্য 30 পয়েন্ট হ্রাস পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক, যা মূলত মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক, 0.2% বেড়েছে, যা অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য বেশি। একইসাথে, মার্কিন আয় ও ব্যয়ের প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতির চাপ দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, যা ডলারের চাহিদা হ্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও PCE সূচক পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য বেশি এসেছে, সামগ্রিক চিত্রে এটি ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতির হ্রাসের দিকেই ইঙ্গিত করছে। আজ মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতিগুলোর ভোক্তা চাহিদা ও মুদ্রাস্ফীতিকে প্রতিফলিত করা সূচকের দিকে মনোযোগ দেবেন। ফ্রান্স ও জার্মানিতে প্রকাশিতব্য ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেবে। বিশ্লেষকরা এই প্রতিবেদনগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন যাতে বোঝা যায় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। পূর্বাভাস থেকে প্রকৃত ফলাফলের যেকোনো বিচ্যুতি মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, আজ ইউরোজোনের বেসরকারি খাতের ঋণগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সূচকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারগুলোর দ্বারা গৃহীত ঋণের পরিমাণ প্রতিফলিত করে এবং এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে বিবেচিত হয়। ঋণগ্রহণের পরিমাণ বাড়লে তা ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের প্রসার ও ভোক্তাদের আস্থার বৃদ্ধি নির্দেশ করতে পারে, অন্যদিকে সূচকটি হ্রাস পেলে তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। সম্মিলিতভাবে, এই সকল প্রতিবেদন ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবে এবং বিনিয়োগকারীদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সহায়তা করবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2011596384.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1795-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1746-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1795-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1712-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1746 এবং 1.1795-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1712-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1650-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1746-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1712 এবং 1.1650-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4nwEW3e
-
পহেলা জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1806931846.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। এটি সম্ভবত অবাক করার মতো কিছু নয়, যদিও দিনের সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইউরোর দর বৃদ্ধির পরিবর্তে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। জার্মানিতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক 2%-এ নেমে এসেছে, যা প্রত্যাশার বিপরীত ফলাফল, এবং রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় ট্রেডারদের পূর্বাভাসের তুলনায় বেশি পরিমাণে কমেছে। তবুও, দিনের প্রথমার্ধে এই পেয়ারের মূল্য একটি শক্তিশালী সাইডওয়েজ রেঞ্জে আটকে ছিল এবং দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় যা পরবর্তীতে বজায় ছিল। এটি আবারও প্রমাণ করে যে, মার্কেটে বর্তমানে কেউই কোনো পরিস্থিতিতেই ডলার কিনতে আগ্রহী নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ডলারের দরপতনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বা স্থানীয় কারণের প্রয়োজন নেই। গতকাল নতুন করে ডলার বিক্রির জন্য কোনো উদ্দীপক ছিল না, তবে আসল কারণ গত পাঁচ মাস ধরেই বিদ্যমান—ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই দরপতনের জন্য যথেষ্ট।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/918881619.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়ায় বাউন্স করেছিল, তবে মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থার মধ্যে থাকায় এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ২০ পিপস হ্রাস পেয়েছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1740–1.1745 এরিয়া ব্রেক করে উপরের দিকে উঠে যায়, যা নতুন ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করে। আজ সকালে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1802 এর নিকটবর্তী লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ১-ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয়েছিল এবং সম্ভবত পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনেও এটি চলমান থাকবে। ডলারের স্থিতিশীল দরপতনের মূল কারণ হলো, ট্রাম্প এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি ট্রাম্প সম্পর্কিত কোনো নতুন সংবাদ না থাকলেও, এই তথ্যটিই ডলারের দরপতন ঘটানোর জন্য যথেষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি, এবং ট্রাম্প ও ফেডারেল রিজার্ভের মধ্যকার দ্বন্দ্ব—সবই ডলারের উপর আস্থা কমিয়ে দিয়েছে—এবং এর বাইরে আর কোনো কারণের প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার, সম্ভবত EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এটি ঘটতে হলে, কেবলমাত্র এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1800-এর লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যাওয়া প্রয়োজন। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1802, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং সেইসাথে উল্লেখযোগ্য কিছু প্রতিবেদন প্রকাশেরও কথা রয়েছে। ইউরোজোনে একাধিক মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনও থাকবে। এছাড়া, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ভাষণ দেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ISM ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/240711397.jpg[/IMG]
Read more: https://ifxpr.com/4kiMqUz
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/405369732.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1800-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি। এই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা এই পেয়ারের বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 কার্যকর করার সুযোগ দেয়; তবে, এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়, কারণ ইউরোর দরপতন চলমান ছিল। গতকালের ISM ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল ডলারের জন্য সহায়ক ছিল। ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান পাওয়েল বলেন যে ট্রাম্প প্রশাসনের বর্তমান বাণিজ্যনীতি এখনো সুদের হার কমানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করেনি—এটিও ডলারের দর বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। আজ আমরা ইউরোজোনের বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্যের প্রত্যাশা করছি। এই প্রতিবেদন ও ইভেন্ট এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা তীব্রভাবে বাড়াতে পারে। বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইউরোপীয় অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বা সম্ভাব্য দুর্বলতা প্রতিফলিত করে। বেকারত্বের হার কমলে এটি ইউরোজোনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রতি আস্থা বাড়াতে পারে এবং ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে। লাগার্দের ভাষণে যদি আর্থিক নীতিমালা নিয়ে আলোকপাত করা হয়—তাহলে এটি ট্রেডারদের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেবে। বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্য গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবে, যাতে সুদের হার পরিবর্তনের সম্ভাব্য সংকেত খুঁজে পাওয়া যায়। যদি ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে ইসিবি মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করার ইঙ্গিত দেয়, তবে EUR/USD পেয়ারের দরপতন হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1579645737.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1859-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1811-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1859-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1789-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1811 এবং 1.1859-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1789-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1742-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1811-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1789 এবং 1.1742-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3I7yu2t
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুলাই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/156969200.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1759-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে তোলে। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। ADP রিসার্চের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি খাতে 33,000 জন লোক চাকরি হারিয়েছে। এই তথ্যই মার্কিন ডলারের দরপতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং ইউরোকে শক্তিশালী করে তোলে। বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানের পতন মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আরও জোরদার করেছে, যা সম্ভবত ফেডারেল রিজার্ভকে নিকট ভবিষ্যতে পুনরায় সুদের হার কমাতে প্ররোচিত করতে পারে। মূলত ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্মসংস্থান হ্রাসের প্রবণতা দেখা গেছে, যা পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সংকটের ইঙ্গিত দেয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ADP থেকে নেতিবাচক পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও, এগুলো সবসময় শ্রমবাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরিভাবে প্রতিফলিত করে না। মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রায়শই ADP থেকে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তুলনায় ভিন্ন হয়। এই অফিসিয়াল প্রতিবেদন আজ প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং দিনের দ্বিতীয়ার্ধের পূর্বাভাসে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। এদিকে, ইউরোপীয় সেশনের সময় ইউরোজোন দেশগুলোর পরিষেবা খাত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। পাশাপাশি, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত বৈঠকের কার্যবিবরণীও প্রকাশিত হবে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এগুলো ইউরোজোনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিতে পারে। PMI সূচকগুলো অর্থনৈতিক কার্যকলাপের গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রধান শিল্পখাতে ক্রয় ব্যবস্থাপকদের মনোভাব প্রতিফলিত করে। অন্যদিকে, ইসিবির মিনিট বা কার্যবিবরণী ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত ধারণা দেবে। ইসিবির মূল্যস্ফীতি ঝুঁকি ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়নের ওপর বিশেষভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1832-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1801-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1832-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1785-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1801 এবং 1.1832-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1785-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1754-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1801-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1785 এবং 1.1754-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/44wyYGP
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1525391529.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1778-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। তবুও, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক ভালো এসেছিল, যার ফলে এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি হয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.1724 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে যায়। সেই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে এই পেয়ার ক্রয় করার ফলে মার্কেট থেকে অতিরিক্ত 30 পিপস মুনাফা করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার 4.1%-এ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, ননফার্ম পেরোল সংক্রান্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও ইতিবাচক আসায়, মার্কেটে আবারও মার্কিন ডলারের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিতে উৎসাহিত হয়ে বিনিয়োগকারীরা ঐতিহ্যগত ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট বিক্রি করে ডলারে মূলধন স্থানান্তর করা শুরু করে। শ্রমবাজার পরিসংখ্যানের এই ইতিবাচক ফলাফল স্বল্পমেয়াদে ডলারের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে, যেহেতু ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হারে পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে "অপেক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের" নীতিই ধরে রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আজ ইউরোজোনের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন এবং ভোক্তা ব্যয়সংক্রান্ত সূচকগুলোর দিকে দৃষ্টি থাকবে। প্রথমেই জার্মানি ও ফ্রান্সের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শিল্পপণ্যের চাহাবাহার পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটায় — এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। এরপর প্রকাশিত হবে ইতালির খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান, যা ভোক্তা কার্যক্রমের ইঙ্গিত দেয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। সকালের সেশন শেষ হবে ইউরোজোনের উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশের মাধ্যমে, যা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদিত পণ্যের মূল্যের পরিবর্তন তুলে ধরে এবং মূল্যস্ফীতি সূচকের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়। ইউরোজোনের উৎপাদক মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি ভবিষ্যতে ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সামগ্রিকভাবে, এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ইউরোপীয় অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেবে এবং বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের প্রতি এর সহনশীলতার মূল্যায়নে সহায়ক হবে। ফলাফলসমূহ ইউরোর বিনিময় হারকে প্রভাবিত করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/302866152.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1822-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1787-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1822-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1765-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1787 এবং 1.1822-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1765-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1728-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1787-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1765 এবং 1.1728-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3Ib6MSo
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৭ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1570165138.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1787-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশ সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করিনি। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের ছুটির কারণে ট্রেডিং ভলিউম অত্যন্ত ছিল, যা মার্কেটকে প্রভাবিত করেছে। বর্তমানে ট্রেডাররা মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনার ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে, যদিও এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই সেইসব বাণিজ্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন, যারা এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছায়নি, যা আলোচনার ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পক্ষের ওপর চাপ তৈরি করেছে। মার্কিন পক্ষ তাদের কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে। বাণিজ্য বিধিনিষেধ নমনীয় করার এবং ইউরোপীয় বাজারে মার্কিন পণ্যের প্রবেশাধিকার দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, তা কিছু ইইউ দেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে, কারণ তারা তাদের জাতীয় অর্থনীতি ও উৎপাদকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আলোচনার গতি এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ ৯ জুলাইয়ের সময়সীমা দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে। আজ সকালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে জার্মানির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন, ইউরোজোনের সেন্টিক্স বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংক্রান্ত সূচক, এবং সেইসাথে ইউরোজোনের মে মাসের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল নিঃসন্দেহে মার্কেটে প্রভাব ফেলবে এবং ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামা ঘটাতে পারে। জার্মানির শিল্প উৎপাদনের ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে, যা ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ইসিবিকে আরও সতর্ক মুদ্রানীতি গ্রহণে প্রণোদিত করতে পারে। সেন্টিক্স সূচক একটি নেতৃস্থানীয় অর্থনৈতিক সূচক, যা স্বল্পমেয়াদে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রবণতা মূল্যায়নে সহায়তা করবে। এই সূচকের পতন ঘটলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশাবাদী মনোভাব এবং বিনিয়োগে হ্রাসের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে, খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল ভোক্তাদের ব্যয়ের অবস্থা প্রতিফলিত করবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সবশেষে, জোয়াকিম নাগেলের বক্তব্যও গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হবে, কারণ এতে ইসিবির ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেখা যেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1128954276.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1822-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1787-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1822-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1763-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1787 এবং 1.1822-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1763-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1728-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1787-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1763 এবং 1.1728-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/4krLz43
-
EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা ৮ জুলাই, ২০২৫
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1777620991.jpg[/IMG]
সোমবার সারাদিনই নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে, যদিও ডলারের শক্তিশালী হওয়ার পেছনে বাস্তব কোনো শক্তিশালী কারণ ছিল না বললেই চলে। স্মরণ করিয়ে দিই, সপ্তাহান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ঘোষণা করেছেন যে "কালো তালিকাভুক্ত" সব দেশের ওপর শিগগিরই শুল্ক বাড়ানো হবে, অন্যদিকে ওলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি "আমেরিকান পার্টি" গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যার লক্ষ্য হবে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান—উভয় দলের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করা। ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির ইচ্ছা এখন নতুন কিছু নয়। বিশ্ববাসী ইতোমধ্যেই তাঁর কৌশল ভালোভাবে বুঝে গেছে: প্রথমে তিনি হুমকি দেন, চূড়ান্ত শর্ত এবং দাবি আরোপ করেন। প্রতিপক্ষ যদি তাঁর শর্তে রাজি হয়, তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাদের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। না হলে, আরও হুমকি দেন এবং অবশেষে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপ করেন। সুতরাং আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা এখন আর অপ্রত্যাশিত কোনো বিষয় নয়। সোমবার ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়েছিল, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কি এর চেয়ে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা উচিত? আমরা বহুবার বলেছি, ডলার মাঝে মাঝে শুধু প্রফিট টেকিং বা লং পজিশন ক্লোজ কারণে শক্তিশালী হতে পারে। কিন্তু ডলারের মূল্যের টেকসই প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করা অবাস্তব। গত সপ্তাহেই মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল উপেক্ষা করেছে, যার মধ্যে এমন প্রতিবেদনও ছিল যা জুলাই বা সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কমিয়েছে। তাহলে কি এতে ডলার খুব একটা উপকৃত হয়েছে? অতএব, আপনি যদি দেখেন ডলার শক্তিশালী হচ্ছে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় এটি কেবল শর্ট পজিশনের প্রফিট টেকিং এর ফলাফল—তার বেশি কিছু নয়। বিশেষ করে যেহেতু ঘোষিত শুল্ক বৃদ্ধিগুলো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যদিও কালকেই ৯ জুলাই, এবং ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তিনটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, তবুও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেশ হিসেবি পদক্ষেপ নিয়েছেন: তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব দেশ ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে—কিন্তু তা কার্যকর হবে পহেলা আগস্ট থেকে। অর্থাৎ, পরাজয়ের বাস্তবতা স্বীকার করে, ট্রাম্প আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশগুলোকে অতিরিক্ত সময় দিয়েছেন। এর মানে কী? ট্রাম্প সরাসরি শুল্ক বাতিল করতে পারেন না। আবার স্বীকারও করতে পারেন না যে তাঁর পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে, অন্তত আংশিকভাবে। 75টি দেশের মধ্যে মাত্র 3টি দেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে—এমন অবস্থায় তাঁর আরও সময় দেয়া দরকার ছিল, কিন্তু সেটা দুর্বলতা প্রকাশ না করেই। কারণ উচ্চ আমদানি শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও ইতিবাচক নয়, কারণ তা মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় এবং নিম্ন-আয়ের জনগণের জন্য আর্থিক চাপ তৈরি করে। আর মাস্কের সম্ভাব্য রাজনৈতিক দল গঠনের প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন থেকে যায়—এই অসন্তুষ্ট ভোটাররা শেষ পর্যন্ত কাকে সমর্থন করবে? অতএব, বলা যায় যে ট্রাম্প "শুল্ক ছাড়ের সময়কাল" বাড়িয়েছেন এবং আগামী তিন সপ্তাহে তিনি বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর চাপ বাড়াবেন, আরও কার্যকর চুক্তির দাবি জানাবেন। সামনে নতুন হুমকিও আসতে পারে।
অস্থিরতার মাত্রা এবং টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের পর্যালোচনা গত ৫ দিনের ট্রেডিংয়ে (৮ জুলাই পর্যন্ত) EUR/USD-এর মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা ছিল 73 পয়েন্ট, যা "মাঝারি" মাত্রার হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা মঙ্গলবার 1.1623 থেকে 1.1770 এর মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করছি। সিনিয়র লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে, যা এখনো বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। CCI ইনডিকেটর ওভারবট জোনে প্রবেশ করেছে এবং একাধিক বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে। তবে, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে এই সংকেতগুলো সাধারণত রিভার্সাল নয়, বরং শুধুমাত্র কারেকশনের ইঙ্গিত দেয়। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.1597 S2 – 1.1475 S3 – 1.1353 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.1719 R2 – 1.1841 R3 – 1.1963
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির দ্বারা মার্কিন ডলার প্রবলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। এছাড়াও, মার্কেটের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী আগত প্রতিবেদনের ফলাফল ভুলভাবে বিশ্লেষণ করছে অথবা উপেক্ষা করছে, যার ফলে ডলারের বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে। আমরা এখনো মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ডলার কেনার ব্যাপারে চরম অনীহা দেখছি, তা যে পরিস্থিতিতেই হোক না কেন। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে থাকে, তাহলে মূল্যের 1.1623-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে, যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের তীব্র দরপতনের সম্ভাবনা কম। যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের ওপরে থাকে, তবে চলমান প্রবণতার ধারাবাহিকতায় মূল্যের 1.1841-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/4nQZ54e
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৯ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1563652539.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1732-এর লেভেল টেস্ট করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়বার মতো 1.1732-এর লেভেলের টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়, কিন্তু এর পরেও এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়। গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট কঠোর শুল্ক নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ইচ্ছার কথা জানান, যা ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ডলারকে সমর্থন দেয়। ট্রাম্প কিছু দেশকে—যেখানে সম্ভবত ইইউ-ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে—শুল্ক ছাড় দেওয়ার সম্ভাবনা সরাসরি নাকচ করে দেন, যার ফলে ইউরো তৎক্ষণাৎ দরপতনের সম্মুখীন হয়। আজ, দিনের প্রথমার্ধে, ইউরো চাপের মধ্যে থাকতে পারে, কারণ ইউরোজোনে একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে বুন্ডেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেলের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির ইঙ্গিত খুঁজতে ট্রেডাররা তার বক্তব্য সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তাঁর মন্তব্যে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত প্রতিফলিত হলে সেটি ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে, অন্যদিকে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত ইউরোর ওপর চাপ আরও বৃদ্ধি করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/767171237.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1764-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1726-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1764-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1698-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1726 এবং 1.1764-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1698-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1654-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের বিক্রয়ের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1726-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1698 এবং 1.1654-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/3IhIxSE
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১০ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1849002240.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1698-এর লেভেলটি টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে আমি ইউরো বিক্রি করিনি। দিনের বাকি সময়ে আমি আর কোনো সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট দেখতে পাইনি। বুধবার এই পেয়ারের মূল্য চ্যানেলের মধ্যে অবস্থান করা অবস্থায়ই দৈনিক ট্রেডিং শেষ হয়েছে, কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হয়নি। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি (FOMC)-র সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের নতুন কোনো তথ্য দেয়নি, যদিও এতে ফেডের সদস্যদের মধ্যে সুদের হারের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিদ্যমান মতানৈক্যের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। কমিটির কিছু সদস্য অব্যাহত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরও মন্থর হওয়ায় কঠোর মুদ্রানীতি ধরে রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে, কিছু সদস্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, বর্তমানে উচ্চ সুদের হার ইতোমধ্যেই ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ও বিনিয়োগে চাপ সৃষ্টি করছে, এবং আরও কড়াকড়ি আরোপ করা হলে সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলতে পারে। আজ মূলত জার্মানির জুন মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং ইতালির শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর ট্রেডারদের দৃষ্টি থাকবে। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা থাকায়, এটি ইউরোকে তেমনভাবে শক্তিশালী করবে না। তবে পূর্বাভাসের তুলনায় যেকোনো বিচ্যুতি স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের ওঠানামার কারণ হতে পারে। জার্মানির ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি এলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে আরও সতর্ক অবস্থান নিতে পারে। ইতালির শিল্প উৎপাদন দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে সেটি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড জোরদার হওয়ার ইঙ্গিত দেবে, যা ইউরোর জন্য ইতিবাচক। বিপরীতে, উৎপাদন কমে গেলে সেটি দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার বার্তা দেবে এবং ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবুও, এই প্রতিবেদনের গুলোর সামগ্রিক প্রভাব ইউরোর উপর সীমিত থাকবেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি এবং ইউরোজোনের অর্থনীতির সার্বিক অবস্থাই ইউরোর উপর বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। আজকের দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি আগের মতোই পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1775-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1746-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1775-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1729-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1746 এবং 1.1775-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1729-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1705-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1746-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1729 এবং 1.1705-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/406h2BC
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১১ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1072306799.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি সবেমাত্র জিরো লাইনের নিচের দিকে যাওয়া শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1725-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। যা ইউরোর শর্ট এন্ট্রির বৈধতা নিশ্চিত করে এবং 40 পয়েন্টেরও বেশি দরপতনের দিকে নিয়ে যায়। যেসব দেশ এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি, তাদের উপর অতিরিক্ত 35% শুল্ক আরোপের হুমকি মার্কিন ডলারকে সমর্থন দিয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলো, যার মধ্যে ইউরোও রয়েছে, তীব্রভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে। আজ, ইউরোজোনজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের কথা না থাকলেও, জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি থাকবে। বিনিয়োগকারীরা জার্মানির পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) এবং ফ্রান্সের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে লক্ষ্য রাখছে, কারণ এই দুই প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর ভবিষ্যৎ মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতা সম্পর্কে ধারণা দেয়। ঐতিহ্যগতভাবে, জার্মানির পাইকারি মূল্য সূচককে মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসে একটি নেতৃস্থানীয় সূচক হিসেবে দেখা হয়, কারণ পাইকারি মূল্য সূচক বৃদ্ধি পেলে সেটি শেষ পর্যন্ত ভোক্তা মূল্য সূচকেও প্রতিফলিত হতে পারে। বিপরীতে, পাইকারি মূল্য সূচকের পতন মুদ্রাস্ফীতির চাপ দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে এবং ভোক্তা মূল্য সূচকের সম্ভাব্য হ্রাস নির্দেশ করতে পারে। পরবর্তীতে, ফ্রান্সের ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI প্রকাশিত হবে। এই সূচকটি পরিবারের দ্বারা কেনা পণ্য ও সেবার দামের পরিবর্তন প্রতিফলিত করে। CPI বৃদ্ধি পেলে সেটি ইসিবি সুদের হারে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে প্ররোচিত করতে পারে, অন্যদিকে CPI হ্রাস পেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বর্তমান নীতি বজায় রাখা বা তা আরও শিথিল করার দিকে এগোতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব। বাই সিগন্যাল
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1889804185.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1744-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1694-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1744-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরো ক্রয় করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1670-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1694 এবং 1.1744-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1670-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1616-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1694-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1670 এবং 1.1616-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://ifxpr.com/40cZBiM