-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ১৭ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2097739133.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3595 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি নিশ্চিত করে এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপস বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল যুক্তরাষ্ট্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত না হওয়ায় দিনের দ্বিতীয়ার্ধে পাউন্ডের মূল্যের বড় কোনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়নি। তবে সেশন শেষে স্পষ্টভাবেই GBP/USD পেয়ারের ওপর চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। সম্ভবত, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাই এখানে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। টেকনিক্যাল দিক থেকে দেখলে, গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করে যাওয়াও বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। আজ যুক্তরাজ্য থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, যা ট্রেডিং সেশনের প্রথমার্ধে পাউন্ডের কিছুটা শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি সুযোগ এনে দিতে পারে। তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, সামষ্টিক ও মৌলিক সংবাদের অনুপস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের নিশ্চয়তা দেয় না। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন ডলারের দরপতন বা অন্য কোনো অঞ্চলের ইতিবাচক অগ্রগতির কারণে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। টেকনিক্যাল প্রেক্ষাপটের কারণের অতিরিক্ত ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম দেখা যেতে পারে, যেমন—মূল রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেকআউট ঘটা। সামগ্রিকভাবে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে যাচ্ছে, তবে বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা নিশ্চিত করতে হলে এই পেয়ারের মূল্যকে অবশ্যই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রেজিস্ট্যান্স জোন অতিক্রম করতে হবে। এই রেজিস্ট্যান্স জোনগুলোর সফল ব্রেকআউট পরবর্তীতে মুনাফা করার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিতে পারে; অন্যথায় মূল্যের কনসোলিডেশন হতে পারে বা কারেকশন দেখা যেতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3634-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3583-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3634-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3559-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3583 এবং 1.3634-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3559-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3511-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3583-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3559 এবং 1.3511-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1848206669.jpg[/IMG]
ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্য দিনের বেশিরভাগ সময় সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, ট্রেডাররা স্পষ্টতই ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফলের অপেক্ষায় ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ বৈঠকের ফলাফল কোনো চমক সৃষ্টি করেনি। মার্কিন ডলারের দর সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে বৃহস্পতিবার সকালে মোট বৃদ্ধি ছিল মাত্র 65 পিপস। এর আগের দিন, যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনার খবরে ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছিল। আবার ফেডের দিকে ফিরে আসলে দেখা যায়, কোনো উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাভাস বা বিবৃতি প্রদান করা হয়নি। ডট প্লটে কিছুটা কঠোর অবস্থান পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন, 19 জন সদস্যের মধ্যে 7 জন আশা করছেন 2025 জুড়ে মূল সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে। ফলে, মার্কিন ডলারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পক্ষে যৌক্তিকতা ছিল, তবে আমরা মনে করি না মার্কেটে প্রবণতার পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা ডলারের বিনিময় হারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলা বন্ধ করবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার দিনভর এই পেয়ারের মূল্য সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট রেঞ্জে ছিল। এই সাইডওয়েজ রেঞ্জের মধ্যে 1.3443 লেভেল থেকে মূল্য তিনবার রিবাউন্ড করেছে। প্রতিবারেই, এই পেয়ারের মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকে 25 পিপসও অগ্রসর হতে পারেনি। সিগন্যালগুলো কার্যত একে অপরের পুনরাবৃত্তি ছিল, এবং প্রকৃত কোনো মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ফেডের ঘোষণা আসার আগে মার্কেটে থেকে বেরিয়ে যাওয়াই যুক্তিযুক্ত ছিল, কারণ ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে তা অনির্ধারিত ছিল। বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তার গৃহীত নীতিমালার প্রতি ট্রেডারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। ফলে, আগের মতোই ট্রেডাররা প্রতিটি সুযোগেই ডলার বিক্রি করছে, এটি কিনছে না। যতক্ষণ না বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানের প্রকৃত ইঙ্গিত দেখা যায় এবং ট্রাম্প তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করেন ততক্ষণ এই পরিস্থিতি চলতে থাকবে। মাঝে মাঝে ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে পারে—শেষ পর্যন্ত প্রতিদিনই তো দরপতন হবে না—তবে এই ধরনের ঘটনা এখনো বেশ বিরল। বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্ভবত ফেড বৈঠকের ফলাফলের দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে, যদিও এই ফলাফল মূল্যায়নের মতো কিছু আর বাকি নেই। দুপুরে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা সম্ভবত নতুন করে অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। বৃহস্পতিবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য প্রাসঙ্গিক লেভেলগুলো হলো: 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3695, 1.3740। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য নির্ধারিত ইভেন্ট হলো ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারণী সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হবে। দিনের বাকি অংশে কোনো বড় ইভেন্টের প্রত্যাশা নেই।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২০ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/821987973.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠা শুরু করছিল, ঠিক তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3439 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এরপর এই পেয়ারের মূল্যের তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট তৈরি হয়নি। ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (BoE) সুদের হার 4.25% এ অপরিবর্তিত রেখেছে। তবে, নীতিনির্ধারকরা যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজারে মন্দার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ব্যাংকটির এই সিদ্ধান্ত পূর্বাভাস অনুযায়ীই এসেছে এবং এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি এড়ানোর মধ্যকার ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে। সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে পূর্ববর্তী হ্রাসের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য সময় নেওয়া সম্ভব হবে এবং একাধিক নেতিবাচক প্রভাবের মুখে থাকা অর্থনীতির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি এড়ানো যাবে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশেষভাবে শ্রমবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কর্মসংস্থানের সুযোগ হ্রাস এবং বেকারত্ব বৃদ্ধির প্রবণতা ভবিষ্যতে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের পূর্বাভাস দিতে পারে। দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। এর পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে আরও নেতিবাচক করছে। নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং যুক্তরাজ্যের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। আজ যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় পরিমাণে পরিবর্তন (জ্বালানি ব্যয়সহ) এবং সরকারি খাতের নিট ঋণ সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে, বিশেষত চলমান মূল্যস্ফীতি ও মন্দার আশঙ্কার মধ্যে। জ্বালানি সমন্বিত খুচরা বিক্রয়ের পরিমাণ ভোক্তাদের কার্যক্রম প্রতিফলিত করে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক। এই সূচকের পতন ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের ইঙ্গিত দিতে পারে, যার পেছনের কারণ হিসেবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকতে পারে। এদিকে, সরকারি খাতের নিট ঋণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরকার তার ব্যয় কী পরিমাণে ঋণের মাধ্যমে পরিচালনা করছে সে সম্পর্কে ধারণা দেবে। ঋণের পরিমাণ বেশি হলে তা অর্থনীতিকে সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারী ব্যয় বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে, তবে একইসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে সরকারি অর্থায়নের টেকসইতা নিয়ে উদ্বেগও তৈরি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3552-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3501-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3552-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতার প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3477-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3501 এবং 1.3552-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3477-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3437-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3501-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3477 এবং 1.3437-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২৪ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
08:09 AM ২৪ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন অর্থ জমা অর্থ উত্তোলন ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার দিনের শেষভাগে GBP/USD পেয়ারের মূল্য বেশ শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। এই মার্কিন ট্রেডিং সেশনে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়, ঠিক তখনই যখন বেশিরভাগ ট্রেডার মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়ার আশা হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু, যেমনটি প্রায়ই ঘটে, এমন সময় মুভমেন্ট শুরু হয় যখন কেউ আর সেটি প্রত্যাশা করছিল না। দিনের প্রথমার্ধে ডলার কিছুটা শক্তিশালী হয়, কিন্তু আমরা যেমন আগেই সতর্ক করেছিলাম, এটি কোনো উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখাতে পারেনি। কারণ বিষয়টি এখন আর কেবল মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির নয়—বরং যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়াও বিবেচনা করতে হবে। ইতোমধ্যেই গতকাল খবর এসেছে যে ইরান পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালিয়েছে। যদিও ট্রাম্প ইরানে পাল্টা হামলার পক্ষে নন, সবকিছু এখন সেই তথাকথিত যুদ্ধবিরতির উপর নির্ভর করছে। ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ না করা পর্যন্ত ট্রাম্প চাপ সৃষ্টি করা চালিয়ে যাবেন। সুতরাং, এখানে কোনো উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিত নেই—না এই সামরিক সংঘাতে, না বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধে। এখন যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সংঘাতে অংশ নিয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/273021230.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট 5-মিনিট টাইমফ্রেমে সোমবার বেশ কয়েকটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, কারণ সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, প্রথম দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল নির্ভরযোগ্য ছিল না, কারণ মূল মুভমেন্ট শুরু হয় মার্কিন সেশনের সময়। প্রথম বাই সিগন্যালটি 1.3413–1.3421 জোনের কাছাকাছি গঠিত হয়েছিল, কিন্তু সেটি ভুল ছিল এবং স্টপ লস হিট করে সামান্য লোকসান হয়। দ্বিতীয় সেল সিগন্যালটিও একই জোনে তৈরি হয়েছিল এবং সেটিও ভুল ছিল, যদিও মূল্য সঠিক দিকে 30 পিপস পর্যন্ত নেমেছিল, তাই ট্রেডটি ব্রেকইভেনে স্টপ লস হিট করে। তৃতীয় সিগন্যালটি শক্তিশালী ছিল, এবং মূল্য 1.3518–1.3535 এর কাছাকাছি অবস্থিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়, যা থেকে ভালো পরিমাণ লাভ করা যেতে পারত। মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তার গৃহীত নীতিমালার ব্যাপারে ট্রেডারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। এর ফলে, ট্রেডাররা হয় ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখছে, নয়তো নতুন কোনো নেতিবাচক ঘটনার জন্য অপেক্ষা করে যাতে আবার ডলার বিক্রি শুরু করা যায়। যতদিন না ট্রেডাররা বাণিজ্য যুদ্ধের সমাপ্তির প্রকৃত লক্ষণ দেখতে পায় এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করেন যা নেওয়ার জন্য তার সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই ততদিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে — উল্লেখ্য যে ট্রাম্পের এই ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণত বিনিয়োগকারীদের হতবাক করে দেয়। মাঝে মাঝে ডলারের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে, কিন্তু এখন তা খুবই বিরল ঘটনা। মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ আগের নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জড়িয়ে পড়লেও সেটি ডলারের পক্ষে কাজ করেনি। মঙ্গলবার ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হল: 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3695, 1.3740। মঙ্গলবারের উল্লেখযোগ্য ইভেন্টের মধ্যে কেবল জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে, পাওয়েল মার্কেটে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেবেন বলে মনে হচ্ছে না। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/83812752.jpg[/IMG]
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৫ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1611496810.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ উপরে উঠে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3630-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। মূল্য 1.3598 লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রেও একই রকম পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। গতকাল জেরোম পাওয়েলের মন্তব্যের পরে ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বেড়ে যায়, তিনি বলেন যে আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল এবং মুদ্রাস্ফীতির অনুকূল পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার প্রত্যাশার চেয়ে আগেই কমানো হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রানীতির সম্ভাব্য নমনীয়করণের এই ইঙ্গিত ডলারের দরপতন ঘটায় এবং এটি অন্যান্য মুদ্রার পাশাপাশি ব্রিটিশ পাউন্ডকেও সহায়তা করে। তবে পাউন্ড নিয়ে ট্রেডারদের উৎসাহ সীমিতই ছিল। বিনিয়োগকারীরা বুঝতে পারছেন যে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনো চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় রয়েছে। স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল এবং অভ্যন্তরীণ উপাদান খাতের পরিস্থিতি দ্বারা নির্ধারিত হবে। বিশেষ মনোযোগ থাকবে যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তাদের মন্তব্যের ওপর। যেহেতু আজ যুক্তরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তাই ট্রেডারদের দৃষ্টি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ডেপুটি গভর্নর (আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত) ক্লেয়ার লমবারডেলির বক্তব্যের দিকে স্থানান্তরিত হতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা তার বক্তব্য গভীরভাবে বিশ্লেষণ করবে—বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও মুদ্রানীতির দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তার মূল্যায়নের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। লমবারডেলির বক্তব্য পাউন্ডের মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। যদি তিনি মুদ্রাস্ফীতির স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থান বজায় রাখার ইঙ্গিত দেন, তবে এটি ব্রিটিশ কারেন্সিকে সহায়তা করতে পারে। অন্যদিকে, যদি তার বক্তব্য বেশি সতর্কতামূলক হয় এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ঝুঁকির দিকটি তুলে ধরেন, তবে পাউন্ড চাপের মধ্যে পড়তে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1554160529.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3686-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3636-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3686-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারকদের ইতিবাচক মন্তব্য প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3598-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3636 এবং 1.3686-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3598-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3539-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারকদের নেতিবাচক মন্তব্য প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3636-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3598 এবং 1.3539-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৬ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1507843823.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.3598 লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। আবার যখন MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3598 লেভেলটি দ্বিতীয়বারের মতো টেস্টে করেছিল, যা পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ করে দেয় এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্যের 40 পিপসেরও বেশি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতবিরোধ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে মার্কিন ডলারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। মার্কিন আবাসন খাতের হতাশাজনক পরিসংখ্যানও ডলারের দুর্বলতার অন্যতম কারণ। মুদ্রানীতি নমনীয় করতে বিলম্ব হওয়ায় ট্রাম্প ফেডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নতুন করে সমালোচনার করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফেডের স্থিতিশীলতা এবং স্বাতন্ত্র্যতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এ ধরনের বক্তব্য একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করেছে, যা মুদ্রানীতির মৌলিক নীতিমালাকে দুর্বল করছে এবং ভবিষ্যতে এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আজকের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি কনফেডারেশন (CBI) থেকে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে, এরপর ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। CBI-এর খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল যুক্তরাজ্যে ভোক্তাদের মনোভাবের সূচক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে পারিবারিক খরচের গতিশীলতা এবং সম্প্রতি একাধিকবার সুদের হার কমানোর পর সরকারের উদ্দীপনা কর্মসূচির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেলে তা ভোক্তাদের আস্থার পতন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে মুদ্রানীতি আরও নমনীয়করণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বেইলির বক্তব্য ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। যদি তিনি আগ্রাসী ভঙ্গিতে জানান যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড দীর্ঘ সময় ধরে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে প্রস্তুত—যে সম্ভাবনা কম—তবে তা পাউন্ডকে শক্তিশালী করতে পারে। অন্যদিকে, যদি তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক মনোভাব প্রকাশ করেন, তাহলে তা ব্রিটিশ মুদ্রার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকে দৃষ্টি দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3753-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3713-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3753-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারকদের মন্তব্যে কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া গেলে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3685-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3713 এবং 1.3753-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3685-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3649-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিনির্ধারকদের নেতিবাচক মন্তব্য প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3713-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3685 এবং 1.3649-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
২৭ জুন কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় ছিল, এবং আটলান্টিকের ওপার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের কোনো ঘাটতি ছিল না। প্রথমত, ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ফেডারেল রিজার্ভের উপর আক্রমণ শুরু করেন, তবে এর চেয়ে ভালো কিছু করতে না পেরে মরিয়া হয়ে তিনি ফেডের নতুন একজন চেয়ারম্যান নিয়োগের ব্যাপারে তার আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাওয়েলের মেয়াদ আগামী বছরের মে মাসে শেষ হবে, তবে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার পরিবর্তে কাউকে খোঁজার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। এটি খুব একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয় না, কারণ এক বছরে অনেক কিছুই পরিবর্তিত হতে পারে, তবে পাওয়েল ট্রাম্পকে এতটাই ত্যক্ত-বিরক্ত করে তুলেছেন যে তিনি অন্তত কাগজে-কলমে হলেও যত দ্রুত সম্ভব তাকে সরিয়ে দিতে চান। দ্বিতীয়ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রান্তিকের চূড়ান্ত জিডিপি সংক্রান্ত অনুমান প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশের পর, কিছু ট্রেডার ধারণা করেছিলেন যে আরোপিত শুল্ক পরিস্থিতিকে খুব একটা খারাপ করে তোলেনি, কারণ আগের প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপি মাত্র 0.2% হারে হ্রাস পেয়েছে। অথচ বিগত তিন বছর ধরে প্রান্তিক ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি 2–3% হারে ছিল। তবে প্রথম প্রান্তিকে চূড়ান্ত জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ছিল 0.5%। এমনকি প্রকাশিত ডিউরেবল গুডস বা টেকসই ভোগ্যপণ্যের অর্ডার সম্পর্কিত প্রতিবেদনের অত্যন্ত ভালো ফলাফলও ডলারকে দরপতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/328133208.jpg[/IMG]
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। শুরুতেই উল্লেখযোগ্য যে, 1.3747 লেভেলটি পরিবর্তন করে 1.3763 করা হয়েছে, কারণ তিন বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর বেশ কয়েকটি লেভেল পুনর্নির্ধারণ করতে হয়েছে। 1.3695 লেভেলের আশেপাশে দুটি শক্তিশালী বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। 1.3747 লেভেলের কাছে গঠিত বাই সিগন্যালগুলো চলমান প্রবণতার ধারাবাহিকতা নির্দেশ করছিল, আর সেল সিগন্যালগুলো শর্ট পজিশন নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। প্রথম ক্ষেত্রেও মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। সুতরাং, সম্ভাব্য চারটি ট্রেডের মধ্যে তিনটিই লাভজনক ছিল।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1191504343.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এখনো কেবলমাত্র ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং তার গৃহীত নীতিমালার ব্যাপারে ট্রেডারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো ডলার বিক্রি করছে অথবা নতুন কোনো নেতিবাচক খবরের জন্য অপেক্ষা করছে যেন তারা আবার ডলার বিক্রি করতে পারে। যতক্ষণ না বাণিজ্যযুদ্ধ শেষ হওয়ার বাস্তব লক্ষণ দেখা যায় এবং ট্রাম্প এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া বন্ধ করেন যেগুলো নেয়ার তার এখতিয়ার নেই, এবং যেগুলো ট্রেডারদের আতঙ্কিত করে তোলে ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে। শুক্রবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগের মতোই, মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে এখনো মার্কিন ডলার থেকে দূরে থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী বর্তমানে যেসব লেভেল ব্যবহার করে ট্রেড করা যেতে পারে সেগুলো হলো: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3518–1.3535, 1.3580–1.3592, 1.3643–1.3652, 1.3695, 1.3763, 1.3814–1.3832। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়, PCE সূচক এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩০ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/573793365.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3714-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মে মাসের কোর পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার্স (PCE) সূচক অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় সামান্য বেশি এসেছে, যা মাত্র 0.2% বেড়েছে। যার ফলে গত শুক্রবার ডলার খুব একটা উল্লেখযোগ্য সহায়তা পায়নি। আজ ট্রেডাররা ব্রিটিশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার দিকে দৃষ্টি দেবে। দেশটির প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হলে সেটি অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সংকেত হবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতাকে নিশ্চিত করবে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কঠোর আর্থিক নীতিমালার প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুর্বলতা উচ্চ সুদের হার বজায় রাখার সক্ষমতাকে সীমিত করতে পারে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্রিটিশ পাউন্ডের আকর্ষণ কমে যাবে। জিডিপি প্রতিবেদনের পাশাপাশি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। বাণিজ্য ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পেলে সেটি পাউন্ডের ওপর চাপ আরও বাড়াতে পারে, কারণ এটি আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রার অধিক চাহিদা প্রতিফলিত করে। বিনিয়োগকারীরা এই প্রতিবেদনগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে বোঝা যায় ব্রিটিশ অর্থনীতি বহিরাগত ঝুঁকির বিপরীতে কতটা স্থিতিশীল। GBP/USD পেয়ারের এক্সচেঞ্জ রেটে এই সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রভাব সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করবে প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে কতটা বিচ্যুত হয় তার ওপর। উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটলে পাউন্ডের তীব্র বিক্রয়ের চাপ সৃষ্টি হতে পারে, তবে সামান্য বিচ্যুতির বিষয়টি হয়তো আগেই মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3799-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3755-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3799-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ চলমান প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে, তবে শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3720-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3755 এবং 1.3799-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3720-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3664-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে উপরে দিকে যাওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3755-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3720 এবং 1.3664-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1791667403.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি স্পষ্টভাবে জিরো লাইনের নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3734-এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। এই কারণে, আমি পাউন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নেইনি। এই লেভেলের দ্বিতীয় টেস্টের সময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়। তবে, এই ট্রেড থেকে লোকসান হয়, কারণ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত ছিল। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির আরও বৃদ্ধির আশঙ্কার কারণে ফেড কমিটি সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করছে না—এই বিবৃতি ডলারের পক্ষে কাজ করেছে এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলারকে শক্তিশালী করেছে। একইসাথে, ISM প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও ডলারের ক্রয় এবং পাউন্ডে বিক্রয়ের প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করেছে। ফেডের হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলের সমর্থনে ডলারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পাউন্ডের ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে। তবে, স্বল্পমেয়াদে এখনও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। যদি ট্রাম্পের চাপের কাছে ফেড নতি স্বীকার করে এবং শুক্রবার প্রকাশিতব্য শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল হতাশাজনক হয়, তাহলে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির গতকালের বক্তব্যে তিনি বলেন, উচ্চ সুদের হার মুদ্রাস্ফীতিতে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না—যা পাউন্ডের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বিনিয়োগকারীরা এই বক্তব্যকে এই ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন যে, পরবর্তী নীতিনির্ধারণী সভাগুলোতে সুদের হার হয়তো অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। আজকের দিনের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্য থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা নেই, তাই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্য মার্টিন টেইলরের ভাষণের দিকে দৃষ্টি থাকবে। তার বক্তব্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গি এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ও মুদ্রাস্ফীতির পূর্বাভাসের উপর আলোকপাত করা হতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করবে যে তিনি ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালার গতিপথ নিয়ে কোনো ইঙ্গিত দেন কি না। টেইলরের ভাষণের গুরুত্ব এই কারণে আরও বেড়ে গেছে যে, দিনের প্রথমার্ধে পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করার মতো বিকল্প কোনো প্রভাবক নেই। কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা না থাকায়, পাউন্ডের মূল্য টেইলরের বক্তব্যের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়তে পারে। তার বক্তব্য GBP/USD এবং অন্যান্য পাউন্ড-সংশ্লিষ্ট পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদি মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2-এর বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3791-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3753-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3791-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3733-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3753 এবং 1.3791-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3733-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3696-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করে উপরে দিকে যাওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3753-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3733 এবং 1.3696-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৩ জুলাই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2055858084.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি জিরো লাইনের ঠিক ওপর থেকে নিচের দিকে নেমে আসা শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3698-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। এই সিগন্যালটি পাউন্ড বিক্রির জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল, যার ফলে 100 পয়েন্টেরও বেশি দরপতন হয়। যুক্তরাজ্য সরকার £22 বিলিয়নের সম্ভাব্য বাজেট ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে—এই সংবাদ প্রকাশের পর ব্রিটিশ পাউন্ডের তীব্র দরপতন দেখা যায়। এই আকস্মিক আর্থিক সংকট, যা মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আগেই বিদ্যমান উদ্বেগের মধ্যে উদ্ভূত হয়েছে, পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের ইঙ্গিত পেয়ে বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই চিন্তিত ছিলেন, আর বাজেট ঘাটতির খবর তাদের জন্য নতুন সতর্ক সংকেত হিসেবে কাজ করেছে। সরকার এই ঘাটতি কীভাবে পূরণ করবে — কর বৃদ্ধি, ব্যয় সংকোচন, নাকি এই দুটির সংমিশ্রণ করা হবে — এই প্রশ্নগুলো মার্কেটে অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে তোলে। আজ যুক্তরাজ্যের পরিষেবা খাতের PMI এবং কম্পোজিট PMI প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের ওপর চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। যদি প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল হয়, তাহলে তা অর্থনৈতিক মন্দা ও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আরও কঠোর আর্থিক নীতিমালার প্রণয়নের আশঙ্কাকে আরও জোরদার করবে। PMI প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফল পাউন্ডকে দুইভাবে প্রভাবিত করতে পারে। প্রথমত, এটি সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের অবনতি নির্দেশ করে, যার ফলে ব্রিটিশ অ্যাসেটের আকর্ষণীয়তা হ্রাস পায়। দ্বিতীয়ত, এটি ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে তাদের সুদের হার সংক্রান্ত কৌশল পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করতে পারে, কারণ বর্তমান 'অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের' দৃষ্টিভঙ্গি এবং ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সুদের হার হ্রাস প্রক্রিয়া অর্থনৈতিক মন্দাকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3661-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3638-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3661-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3622-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3638 এবং 1.3661-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3622 -এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3593-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। গতকালের প্রবণতার ধারাবাহিকতার সাথে সাথে আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3688-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3622 এবং 1.3593-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ জুলাই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1834605812.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের অনেক নিচে নেমে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3645-এর লেভেল টেস্ট করেছিল। তবুও, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলাফল অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের তুলনায় অনেক ভালো এসেছিল, যার ফলে পাউন্ড বিক্রির প্রবণতা তৈরি হয়। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.3610-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে যায়। সেই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের সময় এই পেয়ারে ক্রয় করার ফলে মার্কেট থেকে অতিরিক্ত 30 পিপস মুনাফা নেওয়া সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সূচকগুলো স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে বেকারত্বের হার 4.1%-এ নেমে এসেছে এবং ননফার্ম পেরোলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে 147,000-এ পৌঁছেছে, যা বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশার চেয়েও ইতিবাচক ফলাফল। শ্রমবাজারে এই গতিশীলতা বৈশ্বিক ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটে মার্কিন ডলারের অবস্থান আরও শক্তিশালী হওয়ার সংকেত দেয়। এখন ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের নতুন বিবৃতি এবং সাম্প্রতিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখবে, যাতে বর্তমান প্রবণতার স্থায়িত্ব মূল্যায়ন করা যায়। আজ আমরা যুক্তরাজ্যের নির্মাণ সংক্রান্ত PMI সূচক প্রকাশের অপেক্ষায় আছি। এই সূচকটি নির্মাণ খাতে ব্যবসায়িক কার্যকলাপ প্রতিফলিত করে এবং এটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, বিশেষ করে যখন দেশটির জিডিপিতে নির্মাণ খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এই সূচকের মান 50-এর ওপরে থাকলে সেটি নির্মাণ কার্যক্রমে প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। তদ্ব্যতীত, আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্য মার্টিন টেইলরের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। বিনিয়োগকারীরা আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্যদের বক্তব্যে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে থাকেন। টেইলরের বক্তব্যে যুক্তরাজ্যের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করা হতে পারে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে তাঁর মূল্যায়ন মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারণে ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে, আজকের দিনটি ভবিষ্যৎ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নির্মাণ খাত সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং টেইলরের বক্তব্য বিনিয়োগকারীদের গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে, যা দেশটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা তৈরিতে সহায়ক হবে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের দিকেই মনোযোগ দেব। বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3723-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3682-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3723-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3654-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3682 এবং 1.3723-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3654 -এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3610-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3682-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3654 এবং 1.3610-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
-
-
GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা ৮ জুলাই, ২০২৫
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/609234645.jpg[/IMG]
সোমবার GBP/USD পেয়ারের সামান্য দরপতন হয়েছে, তবে এখনই এটিকে পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতা বলা উচিত হবে না। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পেয়ারের মূল্য এখনো মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে অবস্থান করছে; যদিও CCI ইনডিকেটর ওভারসল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। মার্কিন ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করার মতো কোনো মৌলিক কারণ নেই। মনে করিয়ে দিই, মার্কেটএর ট্রেডাররা এখনো নির্ভরযোগ্য মার্কিন অর্থনৈতিক সংবাদ—যেমন, শ্রমবাজারের প্রতিবেদন কিংবা ফেডের চলমান হকিশ বা কঠোর নীতিকে—পুরোপুরিভ বে উপেক্ষা করে চলেছে। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে ট্রেডাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত ঘিরে ঘটা ঘটনাবলীতেই বেশি আগ্রহী। এবং সেই ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক খবর না থাকায়, ডলার শক্তিশালী হতে ব্যর্থ হচ্ছে। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো সংবাদ শিরোনামে উঠে আসেন। তিনি সেই দেশগুলোর উপর আগের হার অনুযায়ী শুল্ক পুনর্বহাল করার পরিকল্পনা করছেন যারা তার পছন্দ অনুযায়ী শর্ত মানতে নারাজ, এবং সেইসঙ্গে সেসব দেশকে তিনি "আমেরিকা-বিরোধী অবস্থানে" রয়েছে বলে মনে করেন তাদের উপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপেরও ঘোষণা দেন। এই কথার সুনির্দিষ্ট অর্থ অস্পষ্ট এবং সাধারণত ব্যবহৃত হয় না। প্রথমত, ব্রিকস জোটে রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান এবং আরও কয়েকটি বৃহৎ দেশ রয়েছে। এই দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী। এক পর্যায়ে যৌক্তিক প্রশ্ন উঠেছিল: যদি যুক্তরাষ্ট্রকে বৈরী দেশ হিসেবে দেখা হয়, তবে এখনো কেন লেনদেনে ডলার ব্যবহার করা হচ্ছে? ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর ডলার ব্যবহার বন্ধ করার আলোচনা বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। যদিও বাস্তবে এখনো ডলারই বৈশ্বিক প্রধান মুদ্রা হিসেবে রয়ে গেছে। একে পরিত্যাগ করা সহজ নয়, এটি তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্তও নয়—তবে সেই পথেই অগ্রসর হওয়া শুরু হয়েছে। গত পাঁচ মাসে যেসব পদক্ষেপে ডলারের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে, তার অন্যতম উৎস ট্রাম্প। তিনি যেকোনো কিছু যা আমেরিকান স্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করেন, তার বিরোধিতা করেন। তিনি চান বিশ্ব যেন ওয়াশিংটনের নেতৃত্বে চলে, আমেরিকার নিয়ম অনুযায়ী বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করে, আমেরিকা যে দাম চায় তা মেনে চলে এবং এমন মুদ্রা ব্যবহার করে যা আমেরিকাকে উপকৃত করে। ভাবুন—এক দেশ কিভাবে আরেক দেশকে নির্দেশ দিতে পারে, তারা কী মুদ্রায় রিজার্ভ রাখবে বা লেনদেন করবে? যদি রাশিয়া ও ভারত একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য করে, তাহলে কেন তারা মার্কিন ডলার ব্যবহারে বাধ্য থাকবে? ট্রাম্পের অবস্থান বোঝা কঠিন। যদি ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলো তাদের "আমেরিকা-বিরোধী নীতি" বজায় রাখে, তবে তাদের ওপর অতিরিক্ত 10% শুল্ক আরোপ হবে। আমরা দেখতেই পাচ্ছি, শুল্ক যুদ্ধ এখনো ট্রাম্পের প্রধান অস্ত্রগুলোর একটি। তাই, 75টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হলেও নিশ্চিত করে বলা যায় না যে এক মাস পর ট্রাম্প আবার "বিশ্বব্যাপী কোনো অন্যায়" খুঁজে বের করে নতুন শুল্ক আরোপ করবেন না। হোয়াইট হাউজের পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু না ঘটলেই—শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সুতরাং, আমরা প্রায় নিশ্চিত যে বৈশ্বিক শুল্ক যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হচ্ছে না। অনেক দেশ হয়তো এখনই বুঝে গেছে, ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন এই চাপ চলতেই থাকবে। তাই কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনাই বন্ধ করে দিতে পারে। যদি তিনি শুল্ক আরোপ করতে চান—তাহলে সেটাই হোক। এতে আমেরিকারই ক্ষতি বেশি হবে। যত বেশি ক্ষতি হবে, তত দ্রুত রিপাবলিকানরা ক্ষমতা হারাবে, এবং হয়তো মাস্কের দল বা ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় আসবে—যাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বজায় রাখা সম্ভব।
গত পাঁচদিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতার মাত্রা ছিল 99 পয়েন্ট, যা এই পেয়ারের জন্য "মাঝারি" হিসেবে বিবেচিত। ৮ জুলাই, মঙ্গলবার আমরা 1.3501 এবং 1.3699 এর মধ্যবর্তী রেঞ্জে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। সিনিয়র লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যা একটি স্পষ্ট উর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। CCI ইনডিকেটর সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা আবারো সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.3550 S2 – 1.3489 S3 – 1.3428 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.3611 R2 – 1.3672 R3 – 1.3733 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: GBP/USD পেয়ারের মূল্যের দুর্বল নিম্নমুখী প্রবণতা কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, যা খুব শিগগিরই শেষ হতে পারে। মধ্যমেয়াদে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালার কারণে ডলারের ওপর চাপ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব, যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের ওপরে অবস্থান ধরে রাখে, তাহলে 1.3699 এবং 1.3733 টার্গেটসহ লং পজিশন প্রাসঙ্গিক থাকবে। তবে যদি এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজ লাইনের নিচে থেকে যায়, তাহলে 1.3550 এবং 1.3501 টার্গেটসহ শর্ট পজিশন বিবেচনায় আনা যেতে পারে—তবে আগের মতোই, আমরা ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি না। মাঝে মাঝে মার্কিন মুদ্রার মূল্যের কারেকটিভ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে শক্তিশালী দর বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের সমাপ্তির স্পষ্ট সংকেত প্রয়োজন।
-
GBP/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৯ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1072183612.jpg[/IMG]
ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই জিরো লাইনের বেশ নিচে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3571-এর লেভেল টেস্ট করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয়বার মতো 1.3571-এর লেভেলের টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে অবস্থান করছিল, যা বাই সিগন্যালের পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের সুযোগ নিশ্চিত করে। কিন্তু এর পরেও এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। মার্কিন ডলারের দর পুনরায় বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সমস্ত তামাজাত পণ্যের ওপর 50% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেন—যা অনেকগুলো মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিবৃতিগুলোর ফলে বিশ্ববাজারে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করা ধাতবপণ্য ও ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো চাপের মুখে পড়ে। GBP/USD পেয়ারের দরপতন ঘটে, যা পাউন্ডের দুর্বলতার কারণে নয় বরং ডলারের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে হয়েছে। আজ দিনের প্রথমার্ধে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন, আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির আলোচনার সারাংশ এবং বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলো পাউন্ডকে সাময়িকভাবে সমর্থন দিতে পারে, তবে এই সমর্থনের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বর্তমান অবস্থান মূল্যায়ন করেছে, এবং বিনিয়োগকারীদের মনোভাবের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটাতে হলে আসন্ন প্রতিবেদনে আশাতীতভাবে হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত থাকতে হবে। তবে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে উদ্বেগের কথা বিবেচনায় রেখে এই ধরনের দৃশ্যপটের খুব একটা সম্ভাবনা নেই। বিনিয়োগকারীরা আর্থিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি সতর্কভাবে বিশ্লেষণ করবে, যাতে সম্ভাব্য মার্কিন শুল্ক নীতির ঝুঁকি এবং তার ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মূল্যায়ন করা যায়। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 অনুযায়ী বাই এবং সেল সিগন্যাল বাস্তবায়নের দিকে মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/31027443.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3633-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3590-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3633-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ শুধুমাত্র কারেকটিভ বাউন্সের অংশ হিসেবে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3568-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3590 এবং 1.3633-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3568-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3525-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। চলমান বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে আজ পাউন্ড বিক্রি করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3590-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3568 এবং 1.3525-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।