-
1 Attachment(s)
উভয় বাজারে সূচক ও লেনদেন পতনের ধারা অব্যাহত।
[ATTACH=CONFIG]17379[/ATTACH]
চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের ন্যায় তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সিংহভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর কমায় সূচকের পতন দেখা গেছে। একই সঙ্গে আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৩৯৪ দশমিক ৩০ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৬০ দশমিক ৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৪ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪৬৪ দশমিক ৬২ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫১টির এবং কমেছে ২৮৬টির। বাকি ৪৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৭৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬২০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ১৩ কোটি ৯১ লাখ ৯৫ হাজার ১৪২টি শেয়ার এক লাখ ৪ হাজার ৪ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৯০ পয়সা কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ টাকা ২০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৩০ কোটি ৬৮ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৫ কোটি ৩৫ লাখ, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেডের ১৫ কোটি ৮ লাখ, বীকন ফার্মা লিমিটেডের ১২ কোটি ১০ লাখ, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের ১০ কোটি ৮৬ লাখ, এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ১০ কোটি ৪৯ লাখ, জেমিনি সি ফুড লিমিটেডের ৯ কোটি ৩৪ লাখ এবং রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের ৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা এডিএন টেলিকম লিমিটেডের ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩ দশমিক ০৫ শতাংশ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ, বীকন ফার্মা লিমিটেডের ২ দশমিক ২৪ শতাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়াম অ্যান্ড কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের ২ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১ দশমিক ৯০ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ১ দশমিক ৬১ শতাংশ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট লিমিটেডের ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৩২ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৭৮৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৪ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৭ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৬৪৬ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১৯৩টির এবং ৩০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকার এবং আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।
-
1 Attachment(s)
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনে উত্থান।
[ATTACH=CONFIG]17422[/ATTACH]
গেল সপ্তাহে পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সিংহভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর বাড়ায় সূচকের উত্থান দেখা গেছে। একই সঙ্গে আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল লেনদেন বেড়েছে। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৬৬২ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪২ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৫৯ দশমিক ৮১ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৬ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৪৫৮ দশমিক ৫১ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২১৭টির এবং কমেছে ১১০টির। বাকি ৫২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ১২৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ১৩ কোটি ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৫টি শেয়ার এক লাখ ৮ হাজার ৬৭৪ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৩০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৩১ কোটি ৮৪ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ২৮ কোটি ৩৮ লাখ, ফরচুন শুজ লিমিটেডের ১৯ কোটি ৬৪ লাখ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৫ কোটি ৫৮ লাখ, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ১৮ কোটি ৮৮ লাখ, স্কয়ার ফার্মাসিউটি ক্যালস লিমিটেডের ১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা এপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেডের ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৫ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৭২৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২১ শতাংশ বেড়ে ১৯ হাজার ৫৪৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৬১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ১১০টির এবং ৩৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার এবং আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার।
-
1 Attachment(s)
চার কার্যদিবস পর সূচকে উত্থান দেখা যাচ্ছে। কেননা গত সপ্তাহের চার কার্যদিবস টানা দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ার প্রভাবে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমে ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে যায়। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার আগের সপ্তাহের নিম্নমুখিতা কাটিয়ে ইতিবাচক প্রবণতায় ফিরেছে পুঁজিবাজার। এদিন সূচকের পাশাপাশি দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। গতকাল লেনদেনের শুরুর পর ৮ মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। শেয়ার বিক্রির চাপে পরবর্তী ১ ঘণ্টায় পয়েন্ট হারিয়ে আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট নিচে নেমে যায় সূচকটি। অবশ্য এর পর থেকে ক্রয় চাপ বাড়ার কারণে পয়েন্ট যোগ হতে থাকে সূচকে। শেষ পর্যন্ত দিনশেষে ২১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ৬৪১ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল , সিটি ব্যাংক, সোনালী পেপার, রেনাটা লিমিটেড ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের।
ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৬০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে গতকাল ৬৪৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৫১৬ কোটি টাকা।
[ATTACH=CONFIG]17433[/ATTACH]
-
1 Attachment(s)
ফের ডিএসইতে সূচক ও লেনদেনে পতন।
[ATTACH=CONFIG]17442[/ATTACH]
গেল সপ্তাহে পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গত রোববারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সিংহভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর বাড়ায় সূচকের উত্থান দেখা গেলেও গতকাল ফের সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর হ্রাস পেয়েছে। এতে সূচক কমার পাশাপাশি আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল লেনদেন কমেছে। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৬৩৮ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৫ দশমিক ০৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৫৪ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪৫১ দশমিক ৯১ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৯১টির এবং কমেছে ২৩৪টির। বাকি ৫৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৫৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ৮৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ১২ কোটি ৫৪ লাখ ১৮ হাজার ৬০টি শেয়ার এক লাখ ৭ হাজার ৪৫৭ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। কোম্পানিটির ৬৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর এক টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের ২৮ কোটি ২৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ টাকা ৫০ পয়সা কমেছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ১৯ কোটি ৭ লাখ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৭ কোটি ৫৬ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ১৪ কোটি ৯৩ লাখ, নাহি অ্যালুমিনিয়াম অ্যান্ড কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের ১৪ কোটি ৭৬ লাখ, ফরচুন শুজ লিমিটেডের ১২ কোটি ৯০ লাখ, ওরিয়ন ফার্মাসিউটি ক্যালস লিমিটেডের ৭ কোটি ৭৮ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৭ কোটি ৬৩ লাখ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্প্যা লিমিটেডের ৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে ৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ১১ শতাংশ, ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেডের ৫ দশমিক ১০ শতাংশ, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৪ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২৯ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ কম ১১ হাজার ৬৯৬ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৪৯৫ দশমিক ১১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
-
৯০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে
দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবসে প্রায় ৯০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) শেয়ার ক্রয়ের তুলনায় শেয়ার বিক্রয়ের পরিমাণ বেশি ছিল। ফলে অর্ধশতাধিক কোম্পানিই ক্রেতা খুঁজে পায়নি। পুঁজিবাজারে ধসের আশঙ্কায় অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে দেন। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ৬৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমেছে এবং ভালো প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমেছে।
এদিন সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে। মঙ্গলবার মোট ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৮টির দর বেড়েছে, ৩৩৭টির কমেছে এবং ২৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। আজ ৫৩২ কোটি ৯৫ লাখ ৮ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। যা গতদিন ছিলো ৬৪৩ কোটি ৫৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- আইপিডিসি, বেক্সিমকো লিমিটেড, লাফার্জহোলসিম, জেনেক্স ইনফোসেস, বিডি ল্যাম্পস, স্কয়ার ফার্মা, সোনালী পেপার, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, ফরচুন সুজ এবং ওরিয়ন ফার্মাসিটিউক্যাল লিমিটেড।
দেশের অপর পুঁজিবাজারের সূচকও কমেছে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৫৪ পয়েন্ট কমেছে। এ পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯টির শেয়ার বেড়েছে, ২১৩টির দর কমেছে এবং ২০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
1 Attachment(s)
ডিএসইতে সূচকের বড় পতন।
[ATTACH=CONFIG]17464[/ATTACH]
গেল সপ্তাহে পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান দেখা যায়। কিন্তু উত্থানের এক দিন পরে ফের পতনমুখী হয়েছে পুঁজিবাজার। গত সোমবারের মতো গতকাল মঙ্গলবারেও সিংহভাগ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর কমায় সূচকের পতন দেখা গেছে। পাশাপাশি আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল লেনদেনও কমেছে। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৫৭৪ দশমিক ০৭ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮১ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৪২ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২০ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪৩১ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৮টির এবং কমেছে ৩৩৭টির। বাকি ২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ২৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৭টি শেয়ার ৯০ হাজার ৭৬৩ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পতনের চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৬০ পয়সা কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের ২৮ কোটি ৯৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ টাকা ৫০ পয়সা কমেছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ১৪ কোটি ৮৯ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ১৪ কোটি ৪১ লাখ, বাংলাদেশ ল্যাম্পস লিমিটেডের ১১ কোটি, স্কয়ার ফার্মাসিউটি ক্যালস লিমিটেডের ৯ কোটি ৪ লাখ, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৮ কোটি ৮৯ লাখ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৮ কোটি ৬৫ লাখ, ফরচুন শুজের ৮ কোটি ৫৭ লাখ এবং ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের ৮ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা হাইডেলবার্গ সিমেন্টের ২ দশমিক ১২ শতাংশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ফার্মা এইডসের ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৮৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ কম ১১ হাজার ৬০৮ দশমিক ৯০ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৪ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৭৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ২১৯টির এবং ২৮টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার এবং আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার।
-
1 Attachment(s)
ডিএসইতে সূচক বাড়লেও লেনদেন সামান্য কমেছে।
[ATTACH=CONFIG]17490[/ATTACH]
পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনের পর গতকাল বুধবার চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের সামান্য উত্থান দেখা গেছে। তবে লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল সামান্য কমেছে। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৫৮৪ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪৪৭ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৪৪০ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৩০টির এবং কমেছে ১৮৫টির। বাকি ৬৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৫২৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ১২ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার ৫১০টি শেয়ার এক লাখ দুই হাজার ৭২৪ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরুতে পতন দেখা গেলেও শেষ সময়ে বাজারে ইতিবাচক চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৭০ পয়সা কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ টাকা ৫০ পয়সা কমেছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ২১ কোটি ১০ লাখ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা এইচআর টেক্সটাইলের ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ, প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং বীকন ফার্মার ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১০.৩৯ পয়েন্ট বা ০.০৮ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৬১৯.২৯ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭.৫৬ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ বেড়ে ১৯ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৯০ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৭১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৬৫টির, কমেছে ১৬৪টির এবং ৪২টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৯২ লাখ টাকার এবং আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।
-
1 Attachment(s)
সাপ্তাহিক লেনদেনের ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ আইপিডিসি ফাইন্যান্সের।
[ATTACH=CONFIG]17510[/ATTACH]
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৯টি শেয়ার ১৭১ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ১ দশমিক ০৬ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৪৭ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৫৫৩টি শেয়ার মোট ১ হাজার ৭৬৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২১ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৫০ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগ কারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৭১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ১০ লাখ ৯১ হাজার ৫৪৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪৮ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, সরকারি ২১ দশমিক ৮৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কারীদের ১৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগ কারীদের শূন্য দশমিক ০৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৩ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার। আর লেনদেনের এ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১ কোটি ৭১ হাজার ৩৪৮টি শেয়ার ১৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় লেনদেন হয়, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ২ দশমিক ২৮ শতাংশ কমেছে।
-
1 Attachment(s)
এক বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম অবস্থানে ডিএসইর লেনদেন।
[ATTACH=CONFIG]17524[/ATTACH]
সম্প্রতি পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক বড় পতনের জের ধরে গতকাল রোববার চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতন দেখা গেছে। একইসঙ্গে গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম অবস্থানে নেমেছে লেনদেন। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৯৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। এর আগে সর্বশেষ গতবছরের ৫ এপ্রিল ডিএসইতে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ দশমিক ১০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৫৫৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ কমে এক হাজার ৪৪২ দশমিক ২২ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ কমে দুই হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫৮টির এবং কমেছে ২৮০টির। বাকি ৪১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৩৯৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫২৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ১৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ৯ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার ৮৬ হাজার ৯১৯ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচক পতনের চিত্র দেখা গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৪১ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ২ টাকা ১০ পয়সা কমেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডের ২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৭ টাকা ৪০ পয়সা কমেছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সালভো কেমিক্যালের ৯ কোটি ৯৫ লাখ, ফার্মা এইডসের ৮ কোটি ৩২ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের ৮ কোটি ২১ লাখ, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৭ কোটি ৯৪ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৭ কোটি ৬৫ লাখ, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের ৭ কোটি ৬২ লাখ, স্কয়ার ফার্মাসিউটি ক্যালস লিমিটেডের ৭ কোটি ৩৯ লাখ এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এদিকে ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ বেড়ে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং সালভো কেমিক্যালের ৩ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৪ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৫৮০ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ১৯ হাজার ৩০২ দশমিক ৫২ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৬২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৫০টির কমেছে ১৭৩টির এবং ৩৯টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
-
1 Attachment(s)
সোমবার লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর সকাল ১১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেনে আসা ৩৭১ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২৬টি বা ৮৭ শতাংশই দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। এর মধ্যে ২৩২ শেয়ারই সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এসব সার্কিট ব্রেকারের কারণে এসব শেয়ারের দর সোমবার আর কমে কেনাবেচার সুযোগ নেই। কিন্তু এমন দরে অন্তত পৌনে দু’শ কোম্পানির শেয়ারের কোনো ক্রেতা ছিল না। বিপরীতে মাত্র ২২টি বা ৬ শতাংশ দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হচ্ছিল ২৩টি। বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে ১৫৭ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। সিংহভাগ শেয়ারের দরপতনে প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৭৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৬৪৭৬ পয়েন্টে নেমেছে। দরপতন রুখতে গত ৯ মার্চ সকল শেয়ারের সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে নামানো হয়। অর্থাৎ নির্দিষ্ট দিনে কোনো শেয়ারের দাম ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। এ নিয়ম চলতি দরপতনের প্রধান কারণ বলে মনে করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। দরপতন রুখতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে চাপ দিয়ে শেয়ার বিক্রির আদেশ প্রত্যাহার করতে এবং শেয়ার কিনতে বাধ্য করছে বলেও অভিযোগ মিলছে। দ্বিতীয় শেয়ারবাজার সিএসইতেও একইভাবে দরপতন হতে দেখা গেছে।
[ATTACH=CONFIG]17526[/ATTACH]