-
বাংলায় মুদ্রা জোড় অর্থাৎ কোন একটা দেশের মুদ্রার সাথে অন্য একটা দেশের মুদ্রার যে আন্তসম্পর্ক তাই মুদ্র জোড়। যেমন ইউরো/ডলার,পাউন্ড/ইয়েন, ইউরো/পাউন্ড ইত্যাদি। ডলারের যত জোড় আসে সবগুলো হল মেজর আর বাকিরা হল ক্রস বা এক্সেটিক পেয়ার। মেজর পেয়ারে ট্রেড করা হয় সব থেকে বেশি পরিপানে এবং কিছু কিছু ক্রস পেয়ারে উল্লেখযোগ্য পরিমান ট্রেড করা হয়ে থাকে।
-
ফরেক্স মার্কেটে আমরা সাধারণত এক দেশের কারেন্সি বিক্রয় করে আরেক দেশের কারেন্সি ক্রয় করে থাকি আর দুইটা কারেন্সি যখন একটা আরেকটার বিপরীতে থাকে তখন আমরা তাকে কারেন্সি পেয়ার কিংবা মুদ্রা জোড় বলি যেমনঃ ইউরো/ইউএসডি হল একটা মুদ্রা জোড় আর এখানে ইউরো হল বেস কারেন্সি আর ইউএসডি হল কাউন্টার কারেন্সি এখানে একটা কারেন্সির সাথে আরেকটা কারেন্সি একই সময় একটা ক্রয় এবং অন্যটা বিক্রয় করা হয়ে থাকে যা জোড়ায় জোড়ায় থাকে
-
ফরেক্স হলো আন্তর্জাতিক বিনিময় বাজার। এখানে বিভিন্ন দেশের মূদ্রা বিনিময় হয়। এই বিনিময় হয় জোড়ায় জোড়ায়। দুইটা মূদ্রার জোড়া কে পেয়ার বলে। যেমন ইউরো ইউএসডি, জিবিপি ইউএসডি, এন যেড ডি ইউএসডি, এ ইউ ডি ইউএসডি, ইউএসডি ক্যাড ইত্যাদি।
-
কারেন্সি পেয়ার হল ফরেক্স মার্কেটের ভাষা বলতে পারেন এটা আপনাকে বুঝতে হবে শেয়ার মার্কেট আর ফরেক্স মার্কেট দুইটা ভিন্ন এই দুইটা কে আপনি এক ভাবতে পারবেন কোন একটি দেশে শেয়ার বাজার ওই দেশের নিয়ম অনুযায়ী হয়ে থাকে বা দেশের অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় হয়ে থাকে কিন্তু ফরেক্স মার্কেট পুরো বিশ্ব ব্যাপি তাই এখানে মুদ্রাজোর হিসেবে যেকোন দেশের মানুষ ট্রেড করতে পারে সেই ভাবে সিস্টেম করা আছে।
-
কারেন্সী পেয়ার হলো ফরেক্স এ বিভিন্ন কারেন্সী অতবা দেশের মার্কেট এর মুদ্রার একটা প্রতিযোগিতা. যেমন সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয় এমন একটি পেয়ার হলো ইউর/উসদ. এর অর্থ হলো ইউরোপিয়ান ডলার এবং মার্কিন ডলার এর তুলনা, আপনি যখন এখানে বাই করছেন তার মানি হলো, আপনি উসদ দিছেন এবং ইউরো কিনে নিছেন, বেপার তা অনেকটা এরকম, ঠিক এমনি ফরেক্স এ অনেক পেয়ার রয়েছে.
-
আপনি ঠিকই বলেছেন।শেয়ার মার্কেটের সিস্টেম আর ফরেক্স মার্কেটের সিস্টেম দুইটি বিপরীত মুখী সিস্টেম।তবে যে সিস্টেম যেমনই হউক ফরেক্সের প্রাইসের মান নিধারন করার সিস্টেমটা সবচেয়ে ভালো সিস্টেম। এখানে একটা কারেন্সির সাথে অন্য কারেন্সির জোড়া তৈরী করে প্রাইসের মান নির্দেশ করা হয়ে থাকে।
-
কোন দেশের শেয়ারের মূল্য সে দেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হয়। আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে কোনো শেয়ারের মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়।কিন্তু ফরেক্স যেহেতু আন্তর্জাতিক মার্কেট এখানে কোন দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন মূল্য থাকতে পারে না। ধরুন ১ ডলার দিয়ে ৮০ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়। আবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৮০ ইউরো অথবা ০.৯৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া যায়। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে? এই জন্যই ফরেক্স মার্কেটে সবকিছু কারেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে ট্রেড হয়।
-
ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে হলে সকল ট্রেডারদের কোন না কোন কারেন্সি পেয়ার দিয়েই ট্রেড করতে হয় । কোন কারেন্সি পেয়ার ছাড়া ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করা যায় না । আমি সব সময় তিনটা কারেন্সি পেয়ার দিয়ে ট্রেড করে থাই । সেগুলো হলো ইউরো ইউএসডি, জিবিপি ইউএসডি, ও এইউডি ইউএসডি । আমি মনে করি এই তিনটা কারেন্সি পেয়ারে ট্রেড করে খুব সহজে প্রফিট করা যায় ।
-
আমরা জানি ফরেক্স হলো অর্থ নির্ভর বাজার। এখানে অর্থ নিয়েই কারবার। এখানে বিভিন্ন ধরনের কারেন্সী বিনিময় করা হয়। এগুলো বিভিন্ন পেয়ারে থাকে। যেমন ইউরো/ইউএসডি, জিবিপি/ইউএসডি, ইউএসডি/ক্যাড, অস্ট্রেলিয়া/ইউএসডি ইত্যাদি কারেন্সী পেয়ার। কারেন্সী পেয়ার দুই ধরনের হয়। ১। মেজর কারেন্সী। ২। মাইনর কারেন্সী বা ক্রস কারেন্সী। যেসকল কারেন্সি পেয়ারে ইউএসডি থাকে সেগুলো মেজর কারেন্সী পেয়ার।
-
দুইটা কোরেন্সি মাধ্যমে যে কোরেন্সি জোড় হয় তাকে কোরেন্সি পেয়ার বলে এর প্রথম টাকে বলে বেস কোরেন্সি আর পারেরটাকে বলে কিউটো কোরেন্সি আসলে একটা মুদ্রার বিপরীদে আরেকটা মুদ্রার বর্তমান মুল্য কি তা কোরেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে বোঝা যায়। ধন্যবাদ।