-
বিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ১৫ হাজার মৃত্যু।
বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব চলছে। দিন দিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে এ ভাইরাস। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল, আক্রান্তও হচ্ছে লাখে লাখে। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনও আতঙ্কে বিশ্ববাসী। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ লাখ এবং আক্রান্ত হয়েছে ১৫ কোটি ১১ লাখেরও বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৫ হাজার ১২৪ জন এবং নতুন করে ৮ লাখ ৯১ হাজার ৩৩৭ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৭ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৯ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার ৭৩০ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩০ লাখ ৪৪ হাজার ৬৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ২০৭ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৮৭ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮৪ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৮ হাজার ৩১৩ জন।
-
করোনায় ২৪ ঘন্টায় এতো মৃত্যু আগে দেখেনি ভারত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে শনিবার (০১ মে) একদিনে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫৬২ জন। এনিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫৬ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ৫২৩ জন।
মহামারি করোনায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শহরটিতে প্রতি চার মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে চলছে অক্সিজেনের তীব্র সংকট।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১২ হাজার ৫৫১ জন এবং নতুন করে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৫ হাজার ৭৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৪ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ কোটি ৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৫০ জন।
-
করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ছাড়ালো।
মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে কাবু বিশ্ববাসী। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়ংকর হয়ে উঠছে এ ভাইরাস। প্রতিদিন বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তও হচ্ছে লাখো মানুষ। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন ভারতীয় ধরন মানুষের মনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি আতঙ্ক। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ কোটি ৫৮ লাখেরও বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২১ মে) সকাল ৭টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও প্রায় ১৩ হাজার মানুষ এবং আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ। এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৫৮ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ কোটি ৫৮ লাখ ৩১ হাজার ১৬১ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ কোটি ৬৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৯৩ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৩২ হাজার ৫০৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২ হাজার ৬১৪ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৪ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৫ জনের।
-
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর সর্বশেষ
মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে এখনো টালমাটাল বিশ্ববাসী। দিন দিন ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। প্রতিদিন বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তও হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মানুষের মনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি শঙ্কা। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ২১ লাখেরও বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৬ হাজার ৫ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৪ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ২১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৯৩ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ কোটি ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৩ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার ৫৯৫ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি তিন লাখ ১৬ হাজার জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে তিন লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৮ জনের।
-
দেশের ৮০ ভাগই ভারতীয় ডেলটা ধরনে আক্রান্ত
দেশে গত দুই মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করে ৮০ শতাংশের শরীরে ডেলটা ধরন পাওয়া গেছে। বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে ১০ থেকে ১২ শতাংশ সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট এবং বাকিদের মধ্যে অন্য ক্রিয়াশীল ধরন পেয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর)।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে করা এক গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে এ তথ্য জানানো হয়।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, গত মে ও জুন মাসে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ৮০ শতাংশের মধ্যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট এবং বাকিদের মধ্যে অন্য ক্রিয়াশীল ধরন পাওয়া গেছে।
গত ৮ মে জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্তের খবর দেওয়া হয়। তখন নমুনা সংগ্রহের পর আইইডিসিআরও ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ধরন পাওয়া গেছে বলে জানায়।
-
বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ছাড়াল পৌনে ৪০ লাখ
দিন দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে এখনো টালমাটাল বিশ্ববাসী। দিন দিন ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। প্রতিদিন বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তও হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মানুষের মনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি শঙ্কা। এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৬ হাজার ৯৮০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৯ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯০ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮৫ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ১৭৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২১ হাজার ২৫৫ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৪৮৫ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ২ হাজার ১৫ জনের।
-
দেশে করোনায় মৃত্যুর সব রেকর্ড ভাঙল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজকের মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪ জনে।
দেশে করোনায় মৃত্যুর সব রেকর্ড ভাঙল
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩২৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ৫৪৩ জনে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ হাজার ৫৮৬ জনের পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
এর আগে গত ৭ জুলাই দেশে সর্বোচ্চ ২০১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া চলতি মাসেই ৮ জুলাই ১৯৯ জন, ৬ জুলাই ১৬৩ জন, ৫ জুলাই ১৬৪ জন, ৪ জুলাই ১৫৩ জন, ৩ জুলাই ১৩৪ জন, ২ জুলাই ১৩২ এবং ১ জুলাই ১৪৩ জন করোনায় মৃত্যু বরণ করেন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন আরও ৮ হাজার ২৩০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৮৯ জন।
এ নিয়ে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৪০ লাখ ২৬ হাজার ১৮৬ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৩৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৭ হাজার ৫৫৩ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ২২ হাজার ২১৩ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ১৩ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৫২৭ জনের।
-
বিশ্বে করোনায় মৃত্যুতে বাংলাদেশ দশম
আমরা কি তাহলে ভারতের পথেই এগোচ্ছি? কঠোর বিধিনিষেধেও সংক্রমণ-মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে (৯ জুলাই পর্যন্ত) বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। এরই মধ্যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে করোনায় মৃত্যুতে বাংলাদেশ দশম
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে রোববার আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ যাবৎকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনে।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।
গত ১০ দিনে প্রায় এক লাখ কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড গড়ার প্রেক্ষাপটে অধিদপ্তর বলছে, এই ধারা চলতে থাকলে এক সপ্তাহ পর আর কোনো আইসিইউ ফাঁকা পাওয়া যাবে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুর দিক থেকে গত এক সপ্তাহে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল, দ্বিতীয় স্থানে ভারত। নতুন রোগী শনাক্তের দিক থেকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।
অবশ্য নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড হলেও গত কয়েক দিনের তুলনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার কিছুটা কমেছে। নমুনা পরীক্ষাও অনেক বেড়েছে। এই সময়ে মোট ৪০ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যা একদিনে সর্বোচ্চ। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ছিল ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
-
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ভারতে ৪ হাজারের বেশি মৃত্যু, মহামারি ঘোষণা
দিন দিন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে বিরল রোগ করোনার এলিট শ্রেণী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। শুধু ভারতেই এই রোগে চার হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিরল এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার। ভয়াবহ এই রোগটিকে এরইমধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে ভারত।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে ভারতে ৪ হাজারের বেশি মৃত্যু, মহামারি ঘোষণা।
করোনা চিকিৎসায় স্টেরয়েডের অপব্যবহারে এই ছত্রাকে আক্রান্তের হার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে ডায়াবেটিকসের রোগীদের ঝুঁকি একটু বেশিই বলেও জানান তারা।
মহামারি করোনার মধ্যেই ভারতীয় ডেল্টাসহ কোভিডের বিভিন্ন ধরনে বিপর্যস্ত পুরো ভারত। এরমধ্যেই মহামারি আকার ধারণ করেছে বিরল ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। যে হারে দেশটির মানুষ এই ছত্রাকে আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে এটিকে আর বিরল রোগ বলতে নারাজ অনেকে। ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়া জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৪৫ হাজার ৩৭৪ জনের দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে হয়েছে ৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষের।
রাজধানী দিল্লি ছাড়াও তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কালো ছত্রাক ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও গুজরাটেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত এক হাজার ৭৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার পাশাপাশি এরইমধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি ঘোষণা করেছে ভারত।
মাটি, গাছপালা, পচনশীল ফলমূল ও শাকসবজিতে এই ছত্রাকের দেখা পাওয়া গেলেও কোভিড থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিরা আক্রান্ত হচ্ছেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসে। মুখের পাশাপাশি নাক, চোখ ও মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের। এতে আক্রান্ত হলে সাইনাসের ব্যথা, এক নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, মাথার এক পাশে ব্যথা, দাঁতে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। এমনকি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তরা দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন।
ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস জানিয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ মস্তিষ্ক ও ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। করোনা পজিটিভ ডায়াবেটিকসের রোগীদের এই ছত্রাকে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। বিশেষত স্টেরয়েডের অপব্যবহার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিড থেকে সেরা ওঠার ১২ থেকে ১৮ দিন পরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেখা গেছে। সংক্রমিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পরে রোগীর মৃত্যু হয়।
তবে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর যে হিসেব দেখানো হয়েছে বাস্তবে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বলে দাবি করেছেন ভারতের একাধিক চিকিৎসক। প্রত্যন্ত এলাকার হাসপাতালগুলোয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক রোগীই হিসেবের বাইরে থাকছেন। শনাক্তের আগেই অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা। ছত্রাক প্রতিরোধী ইনজেকশনই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের একমাত্র চিকিৎসা। সে কারণে এর ওপর জোর দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
-
করোনায় পাঁচ বিভাগে মৃত্যুশূন্য
দেশে অনেকাংশেই কমে এসেছে করোনার সংক্রমণ। দিন দিন কমছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। গেল ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন ৯ জন। আশার খবর হচ্ছে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮ বিভাগের মধ্যে পাঁচ বিভাগে কেউ মারা যায়নি। বিভাগ পাঁচটি হলো- রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৭৪৬ জনে। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ জন ও সিলেট বিভাগে ১ জন করে মারা যান। ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১২ হাজার ১০৩ জন। এরপরে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এই বিভাগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৫ হাজার ৬২৯ জন।
এই ২৪ ঘণ্টায় রাজাশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে কেউ মারা যায়নি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু শুরু হবার পর এই প্রথম খুলনা বিভাগে আজ শুক্রবার কোনো মৃত্যু হয়নি।এছাড়া দেশে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩৯৬ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৮১ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৮০ জনের। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ০৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫২৩ জন। মোট সুস্থ ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৯১ জন।
এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, করোনায় এখন পর্যন্ত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ২৪ কোটি, মৃত্যু দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৯ লাখ আর সুস্থ হয়েছেন পৌনে ২২ কোটি মানুষ।বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু ও শনাক্ত কিছুটা কমেছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৪২১ জনের, শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫৬৮ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু হয়েছিল ৭ হাজার ৪৮০ জনের, শনাক্ত হয়েছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪২ জন।
এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ৪৮ লাখ ৯৭ হাজার ৩০২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯০২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ জন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।