-
১৪ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1581715845.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার প্রকাশিতব্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সংখ্যা খুব বেশিও না আবারও খুব কমও না। ইউরোজোনে চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে করবে, যা বস্তুত প্রথম বা তৃতীয় অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয় সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; দুটিই তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, তবে এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে বিশেষভাবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে না। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, তবে ঘন ঘন পুনরুদ্ধার বা কারেকশন দেখা যাচ্ছে। আজকের দিনও এর ব্যতিক্রম না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নেই, কারণ কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তব্য নির্ধারিত নেই। তবে, এই মুহূর্তে ট্রেডারদের এসব বক্তৃতার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, এবং ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান বেশ স্পষ্ট এবং শিগগিরই তার কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হচ্ছে না। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, যা মূলত টেকনিক্যাল কারণেই ঘটছে এবং এটি প্রায় ৮০% সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি এই কারেকশন আরও এক মাস চলতে পারে, তারপর নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হতে পারে, যা দৈনিক টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। মার্কেটে এখনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাই যৌক্তিক মুভমেন্ট আশা করা উচিত নয়। ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য টানা তিন দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, তবে আজ সহজেই দরপতন শুরু হতে পারে। কারেকশন সবসময়ই জটিল গঠন অনুসরণ করে, যেখানে ঘন ঘন পুনরুদ্ধার এবং অভ্যন্তরীণ মুভমেন্ট দেখা যায়।
Read more: https://ifxpr.com/3CF9eON
-
মার্কিন স্টক মার্কেট অতিরিক্ত অস্থিতিশীল হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1953797458.jpg[/IMG]
মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে; তবে স্টক সূচকসমূহ এমন গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছে, যেখানে টেক প্রফিটের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। অনিশ্চয়তার মধ্যে গত সপ্তাহ শেষ হয়েছে: S&P 500 সূচকে অপরিবর্তিত অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে, নাসডাক সূচক 0.4% বেড়েছে, আর ডাও জোন্স সূচক 165 পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। মার্কেটে উচ্চমাত্রার অস্থিরতার প্রধান কারণ ছিল মার্কিন খুচরা বিক্রয়ের প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল, যা জানুয়ারিতে 0.9% হ্রাস পেয়েছে, যা গত এক বছরে সবচেয়ে বড় পতন। এটি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি ভোক্তা ব্যয়ের বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে, বিনিয়োগকারীরা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাবলি, যেমন ট্রাম্পের নতুন করে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা এবং ইউক্রেন সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টার ব্যাপারে বিশ্লেষণ করতে থাকায় মার্কেট মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। ওয়াল স্ট্রিট পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ক্ষেত্রে বিলম্বের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে, যা সপ্তাহব্যাপী স্টক সূচকসমূহে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করেছে: S&P 500 সূচক 1%, ডাও জোন্স সূচক 0.3% এবং নাসডাক সূচক 1.7% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে।
প্রযুক্তি খাত মার্কেটে নেতৃস্থানীয় অবস্থানে রয়েছে প্রযুক্তি খাত মার্কিন স্টক মার্কেটে নেতৃত্ব দিচ্ছে: শক্তিশালী আয়ের প্রতিবেদনের কারণে এয়ারবিএনবি-এর শেয়ারের দর 14.4% বেড়েছে। নতুন করে বিটকয়েন সংশ্লিষ্ট আলোচনার কারণে গেমস্টপের শেয়ারের দর 2.6% বেড়েছে। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লোকসান সত্ত্বেও মডার্নার স্টকের মূল্য 3.3% মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশার প্রতিফলন ঘটিয়ে এলি লিলির শেয়ারের মূল্য 3% হ্রাস পেয়েছে। আগামী সপ্তাহের পূর্বাভাস: সতর্ক আশাবাদ ও ফেডের দিকে দৃষ্টি নতুন সপ্তাহটি সতর্ক আশাবাদের সঙ্গে শুরু হচ্ছে, তবে ট্রেডাররা অপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছে। FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিতে পারে। এছাড়া, ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন, যা সুদের হার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করতে পারে।
আগামী সপ্তাহের পূর্বাভাস: সতর্ক আশাবাদ ও ফেডের দিকে দৃষ্টি নতুন সপ্তাহটি সতর্ক আশাবাদের সঙ্গে শুরু হচ্ছে, তবে ট্রেডাররা অপেক্ষা করার পথ বেছে নিয়েছে। FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, যা ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিতে পারে। এছাড়া, ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন, যা সুদের হার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও স্পষ্ট করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত: মার্কিন আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন: বিল্ডিং পারমিট, হাউজিং স্টার্টস এবং এক্সিস্টিং হোম সেলস সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে প্রভাব ফেলবে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কিন নির্মাণ খাতের অবস্থা তুলে ধরবে, যা সুদের হার পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল। S&P Global-এর PMI সূচক: সূচকটির ফলাফল ইঙ্গিত দেবে যে উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধির গতি স্থিতিশীল আছে কি না। PMI সূচকের ফলাফল শক্তিশালী হলে, এটি ফেডের সুদের হার উচ্চমাত্রায় বজায় রাখার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা স্টক মার্কেটের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন যা পর্যবেক্ষণ করা উচিত: মার্কিন আবাসন বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন: বিল্ডিং পারমিট, হাউজিং স্টার্টস এবং এক্সিস্টিং হোম সেলস সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে প্রভাব ফেলবে। এই পরিসংখ্যানগুলো মার্কিন নির্মাণ খাতের অবস্থা তুলে ধরবে, যা সুদের হার পরিবর্তনের জন্য সংবেদনশীল। S&P Global-এর PMI সূচক: সূচকটির ফলাফল ইঙ্গিত দেবে যে উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের প্রবৃদ্ধির গতি স্থিতিশীল আছে কি না। PMI সূচকের ফলাফল শক্তিশালী হলে, এটি ফেডের সুদের হার উচ্চমাত্রায় বজায় রাখার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করবে, যা স্টক মার্কেটের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
S&P 500: বুলিশ মোমেন্টাম অব্যাহত রয়েছে S&P 500 সূচক 6,100 লেভেলের ওপরে রয়েছে, যা বর্তমান দৃঢ় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করছে। যদি সূচকটি 6,120-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি 6,150-এ যেতে পারে, যেখানে টেক প্রফিট শুরু হতে পারে। 6,150-এর ব্রেকআউট করে সূচকটি উপরের দিকে গেলে, নতুন লক্ষ্যমাত্রা হবে 6,180 – 6,200, যা সূচকটিকে নতুন সর্বকালের সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে। মূল সাপোর্ট এখন 6,100-এ অবস্থিত, এবং সূচকটি এই লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে 6,080 এবং 6,050-এর দিকে কারেকশন হতে পারে। যদি বিয়ারিশ প্রবণতা হয়, তাহলে 6,000-এর কাছাকাছি মূল সাপোর্ট জোনে সূচকটির পতন ঘটতে পারে, যেখানে 50-দিনের SMA অবস্থিত।
ইনডিকেটর: RSI (14) = 62, যা নির্দেশ করে যে সূচকটি ওভারবট স্ট্যাটাসের কাছাকাছি যাচ্ছে, তবে এখনো কোনো রিভার্সাল সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে না। MACD বুলিশ জোনে রয়েছে, যা মার্কেটে ইতিবাচক পরিস্থিতি নিশ্চিত করছে। 50-দিনের SMA 6,000-এর কাছাকাছি অবস্থান করছে, যা একটি প্রধান গতিশীল সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। যদি S&P 500 সূচকও 6,120-এর ওপরে থাকে, তাহলে এটি আরও বৃদ্ধি পেয়ে 6,150 এবং তার ওপরে যেতে পারে। তবে, যদি সূচকটি 6,100-এর নিচে নামে, তাহলে কারেকশন হয়ে 6,080 – 6,050 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।
নাসডাক 100 সূচক 22,200 টেস্ট করছে নাসডাক 100 সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা প্রযুক্তি খাতের ইতিবাচক প্রবণতা প্রতিফলিত করছে। মূল রেজিস্ট্যান্স লেভেল 22,200, এবং এই লেভেল ব্রেকআউট করে সূচকটি উপরের দিকে গেলে 22,500-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা নতুন রেকর্ড উচ্চতা নির্ধারণ করবে। তবে, ওভারবট সিগন্যাল কারেকশন সম্ভাবনা বৃদ্ধি করছে, বিশেষত যদি বিনিয়োগকারীরা টেক প্রফিট সেট করে বা মুনাফা সংগ্রহ শুরু করে।
সাপোর্ট লেভেলসমূহ: 22,000: যদি সূচকটি এই লেভেলের নিচে নামে, তাহলে কারেকশন হয়ে সূচকটি 21,800-এর দিকে যেতে পারে। 21,600: গভীর কারেকশন হলে সূচকটি এই লেভেল টেস্ট হতে পারে, যেখানে 50-দিনের SMA অবস্থান করছে। সূচকসমূহ: RSI (14) = 70, যা নির্দেশ করে যে মার্কেটে ওভারবট সিগন্যাল রয়েছে এবং কারেকশনের সম্ভাবনা বাড়ছে। MACD বুলিশ জোন রয়েছে, তবে মোমেন্টামের সম্ভাব্য মন্দার সংকেত দিচ্ছে। 50-দিনের SMA 21,600-এ রয়েছে, যা কারেকশনের ক্ষেত্রে একটি প্রধান সাপোর্ট লেভেল হিসেবে কাজ করবে। ওভারবট স্ট্যাটাসের কারণে স্বল্পমেয়াদে কারেকশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি নাসডাক 100 সূচক 22,200-এর ওপরে থাকে, তাহলে মূল্য আরও বৃদ্ধি পেয়ে 22,500-এর দিকে যেতে পারে। তবে, যদি সূচকটি 22,000-এর নিচে নামে, তাহলে এটি 21,800 – 21,600-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3EDlAaL
-
১৮ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/847472418.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। জার্মানি এবং ইউরোজোনে ZEW ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক প্রকাশিত হবে, তবে এটি গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে এমনকি ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমেও এই প্রতিবেদনের ফলাফল সামগ্রিক চিত্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে না। যুক্তরাজ্যে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেমন বেকারত্বের হার, ক্লেইমেন্ট কাউন্ট বা বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যার পরিবর্তন এবং মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এটি উল্লেখযোগ্য যে মজুরি বৃদ্ধি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, যা পরোক্ষভাবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (BoE) মুদ্রানীতিকে প্রভাবিত করে। বেকারত্বের হারও একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা 4.5%-এ পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য অনুষ্ঠিত। তবে, তিনি ইতোমধ্যেই গতকাল সর্বশেষ বক্তব্য দিয়েছেন, এবং ট্রেডাররা এ থেকে এমন নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি পায়নি যা মুদ্রানীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তদুপরি, সম্প্রতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী নীতিমালা সম্পর্কে ট্রেডাররা ইতোমধ্যে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছে। আমরা বেইলির কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নতুন ঘোষণা আশা করছি না। আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনে ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তব্য দেবেন, তবে তাদের কাছ থেকেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই। উপসংহার: নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে মার্কেটের মুভমেন্ট দুর্বল ও অনিয়মিত হতে পারে। শুধুমাত্র সকালের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের কিছুটা সক্রিয় ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। তবে, আমরা আশা করি না যে ইউরো বা পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও দীর্ঘায়িত হবে, কারণ গত সপ্তাহে এই দুটি মুদ্রার মূল্যের উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গিয়েছিল, যা যথেষ্ট মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তির অভাবে ঘটেছে। ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে, তবে মার্কেটে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে কারেকশনের অংশ হিসেবে কিছুটা নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/41j1dIu
-
কেন ফেডের সিদ্ধান্ত স্টক মার্কেটে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/761701282.jpg[/IMG]
ছুটির পর মার্কিন স্টক মার্কেটে সতর্কভাবে লেনদেন শুরু হয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা ফেডারেল রিজার্ভের পরবর্তী পদক্ষেপ মূল্যায়ন করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে। প্রধান স্টক সূচকের ফিউচারে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তবে বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা FOMC বৈঠকের কার্যবিবরণী এবং PMI প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে, যা মার্কিন অর্থনীতির ভবিষ্যৎ প্রবণতা বুঝতে সাহায্য করবে। ফেডের ভূমিকা: সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে সোমবার, ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ওয়ালার বলেছেন যে নীতিনির্ধারকরা সুদের হার দ্রুত কমানোর বিষয়ে তাড়াহুড়ো করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যদি ২০২৪ সালের মতো মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করা না যেতে পারে, তবে ফেড কঠোর নীতিমালা বজায় রাখতে পারে। এই মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে এবং মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশিত সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে দুর্বল করেছে, যার ফলে স্টক মার্কেটের গতিশীলতা প্রভাবিত হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি কর্পোরেট আয়ের দিকে মুদ্রানীতির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা এখন প্রধান কর্পোরেট আয়ের দিকে নজর রাখছে। এই সপ্তাহে Arista Networks, Occidental Petroleum, Analog Devices, Walmart, এবং Constellation Energy তাদের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিগুলোর আয়ের প্রতিবেদনের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ মার্কেটে অস্থিরতা বাড়াতে পারে। এছাড়াও, ফেব্রুয়ারির PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কিন উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের বর্তমান প্রবণতা এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ঝুঁকিসমূহ তুলে ধরবে। নতুন সর্বোচ্চ লেভেলের সন্ধানে S&P 500 সূচক লেনদেন শুরু হওয়ার পর, S&P 500 সূচক 6,134 পয়েন্টে অবস্থান করছিল এবং এটির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। প্রযুক্তিগত সূচকগুলো ওভারবট স্ট্যাটাসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে এখনো প্রবণতার বিপরীতমুখী হওয়ার স্পষ্ট কোন সংকেত দেখা যায়নি। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 6,180–6,200 লেভেলে রয়েছে, যেখানে টেক প্রফিটের প্রবণতা দেখা যেতে পারে। মূল সাপোর্ট লেভেল 6,080–6,050-এ অবস্থিত, এবং যদি এটি ব্রেক করা হয়, তাহলে সূচকটি 6,000 লেভেলে নেমে আসতে পারে। Nasdaq 100: বুলিশ প্রবণতা কি অব্যাহত থাকবে? নাসডাক 100 বর্তমানে 22,209 লেভেলে ট্রেড করছে এবং সূচকটির ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম বজায় রয়েছে। নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল 22,400-এ অবস্থিত, যা ব্রেক করা হলে সূচকটির 22,600 পর্যন্ত যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হতে পারে। যদি ক্রয়ের চাপ কমে যায়, তাহলে সূচকটির দর 21,900–21,800 এর সাপোর্ট লেভেলে ফিরে আসতে পারে। অসিলেটর সূচকগুলো চলমান মোমেন্টামের সম্ভাব্য শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে, তবে সামগ্রিক প্রবণতা এখনও বুলিশ রয়েছে। কি হবে: কারেকশন না কি আরও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম? গত সপ্তাহের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের পরও মার্কেটে অনিশ্চয়তা বজায় রয়েছে। FOMC-এর কার্যবিবরণী ও অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল বাজার পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে। যদি ফেড সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থান প্রদর্শন করে, তবে সাময়িকভাবে বুলিশ প্রবণতা কমে যেতে পারে। তবে, PMI এবং কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল স্টক সূচকসমূহকে বর্তমান লেভেল ধরে রাখতে বা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সহায়তা করতে পারে। বিনিয়োগকারীদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলের দিকে নজর রাখতে হবে, কারণ আসন্ন দিনগুলোতে বাজারের প্রবণতা নির্ধারণ করতে এগুলো সহায়তা করতে পারে। মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন, ফেডের নীতিমালা এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যৎ বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করবে।
Read more: https://ifxpr.com/4128gEh
-
২০ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/356435482.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের জন্য খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত রয়েছে। গত তিন দিনে বিভিন্ন প্রতিবেদন পর্যায়ক্রমে প্রকাশিত হয়েছে, তবে সেগুলো ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, বা মার্কিন ডলারের উপর কার্যত কোনো প্রভাব ফেলেনি। ফলস্বরূপ, আজ একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে মার্কিন বেকার ভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশা করা হচ্ছে না। এছাড়াও, কিছু গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে জার্মানির উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) এবং ইউরোজোনের ভোক্তা আস্থা সূচক, তবে এসব প্রতিবেদন সম্ভবত কোনো কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকেই প্রভাবিত করবে না।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার, ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা যেমন গুলসবি, বার, মুজালেম এবং কুগলার বক্তব্য প্রদান করবেন। তবে, পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে ফেডারেল রিজার্ভের অবস্থান ইতোমধ্যে সুস্পষ্ট এবং ট্রেডাররা এটি ভালোভাবে বুঝে নিয়েছে। ফলে, এই কর্মকর্তাদের বক্তব্য থেকে ট্রেডাররা নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি পাবে এমন সম্ভাবনা কম। একই কথা বুন্দেসব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জোয়াকিল নাগেলের বক্তব্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। উপসংহার: আজকের ট্রেডিংয়ে, মার্কেটে দুর্বল ও সামান্য মুভমেন্ট এবং দিকনির্দেশনাহীন প্রবণতার প্রত্যাশা করা উচিত। যদি ট্রেডাররা মঙ্গলবার এবং বুধবার আরও সক্রিয়ভাবে ট্রেড করার কারণ খুঁজে না পেয়ে থাকে, তাহলে আজ আরও কম মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, এর অর্থ এই নয় যে একেবারেই কোনো মুভমেন্ট যাবে না, তবে সোমবার, মঙ্গলবার এবং বুধবারের তুলনায় আজ উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটার সম্ভাবনা অনেক কম।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
Read more: https://ifxpr.com/40ZkRYQ
-
২৪ ফেব্রুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/631201592.jpg[/IMG]
শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট শুক্রবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অত্যন্ত ধীরগতির মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে, যেন এই পেয়ার কারও অনুরোধে এমনভাবে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট শক্তিশালী হলেও কিছুটা পরস্পরবিরোধী ছিল। তা সত্ত্বেও, ট্রেডাররা সক্রিয় ছিল। বেশ কয়েকটি ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক এবং অপেক্ষাকৃত স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন অন্যান্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপে, জার্মানি এবং ইউরোজোনের উৎপাদন খাত প্রত্যাশার চেয়ে ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করেছে, তবে সেবাখাতে প্রত্যাশার তুলনায় দুর্বল ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই মিশ্র সংকেতগুলোর প্রতিক্রিয়ায় কীভাবে সাড়া দেবে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, উৎপাদন সংক্রান্ত PMI ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তবে পরিষেবা PMI সূচক 50.0 লেভেলের নিচে নেমে গেছে। দিনের শেষে, ইউরোর মূল্য সামান্য হ্রাস পেয়েছিল, তবে মূল্য ট্রেন্ডলাইনের ওপরে রয়ে গেছে। আমাদের ধারণা, এই ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট আসন্ন এবং এটি নতুন করে স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1829716537.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের চার্টে, শুক্রবার মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। গত সপ্তাহে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার কারণে ট্রেডিং সিগন্যালের সংখ্যা খুবই কম ছিল। ট্রেডিং সেশন শেষ হওয়ার কাছাকাছি সময়ে একমাত্র সিগন্যালটি তৈরি হয়, যখন মূল্য 1.0451 লেভেলে নেমে আসে তবে আবার উপরে উঠতে পারেনি। তবে ট্রেডিং সেশন শেষ হওয়ার সময় ট্রেড ওপেন করা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল না।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আগের মতোই, ইউরোর মূল্য হ্রাসের সম্ভাবনাই বেশি, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারকে বেশি সহায়তা করছে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে পারে। মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে আমরা কয়েকবার পরিবর্তনশীল প্রবণতা দেখতে পেতে পারি। সোমবার, এই পেয়ারের মূল্যের আবারও খুব দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। এমনকি মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলেও, এটি ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রাকে খুব বেশি প্রভাবিত নাও করতে পারে এবং আজও খুব বেশি সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, গুরুত্বপূর্ণ ও পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেলগুলো হল: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। সোমবার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ কিছু নেই। ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রতিবেদন কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র জানুয়ারির দ্বিতীয় অনুমান, যা প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় খুব বেশি ভিন্ন হবে না। সবচেয়ে সম্ভাবনাময় পরিস্থিতি হলো, আজ আরেকবার "একঘেয়ে সোমবার" দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: 1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে। 2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত। 3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। 4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে। 5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়। 6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। 7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত। চার্টে কী কী আছে: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন। লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে। MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে। নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
Read more: https://ifxpr.com/3XddMmp
-
২৫ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/201967038.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এগুলোর সবগুলোই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। প্রথম নজরে, জার্মানির জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ মনে হতে পারে, তবে এটি মূলত চতুর্থ প্রান্তিকের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত অনুমান। প্রকৃত ফলাফল ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে এমনকি -0.1% পর্যন্ত উন্নতি হলেও এটি অর্থনৈতিক সংকোচন নির্দেশ করবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জার্মানির অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, এই প্রতিবেদন থেকে ইউরোর জন্য কোনো সমর্থন আসার সম্ভাবনা কম। যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মঙ্গলবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, এমনকি গৌণ গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও প্রকাশের কথা নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের ভাষণ, বিশেষ করে হিউ পিল এবং ইসাবেল স্নাবেল, পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের মধ্যে থমাস বার্কিন এবং লরি লোগানের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে। তবে, পূর্বে উল্লেখিত মতানুসারে, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে মুদ্রানীতির বিষয়ে জরুরি প্রশ্ন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত নয়, কারণ তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই তাদের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। একমাত্র সম্ভাব্য পরিবর্তন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের দিক থেকে হতে পারে, যারা সর্বশেষ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের সুদের হার সংক্রান্ত নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে। এটি উল্লেখযোগ্য যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের এখন মুদ্রাস্ফীতি থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিলের বক্তব্য আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, সর্বাধিক সম্ভাব্য দৃশ্যপট হলো মার্কেটে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করবে। মৌলিক প্রেক্ষাপট দুর্বল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আরও দুর্বল হতে পারে। বর্তমানে, স্থানীয় পর্যায়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার বিরাজ করছে, যখন দৃশ্যত কোনো শক্তিশালী ভিত্তি ছাড়াই ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আশা করছি যে এই স্থানীয় প্রবণতাগুলো শীঘ্রই শেষ হবে, কারণ বিশেষ করে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি বজায় থাকার মতো কোনো শক্তিশালী কারণ নেই।
Read more: https://ifxpr.com/4bkSLfh
-
এনভিডিয়া, প্যালান্টির এবং মাইক্রোসফটের দরপতন নাসডাক সূচকের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1577199795.jpg[/IMG]
মার্কিন স্টক মার্কেট বর্তমানে অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছে। প্রযুক্তি জায়ান্ট এবং AI-কেন্দ্রিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দরপতনের কারণে শুরু হওয়া বিক্রির ঢেউয়ের পর ফিউচার মার্কেটে স্থিতিশীলতা দেখা যাচ্ছে, তবে মার্কেটে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের চাপ এবং কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদনের প্রভাব বজায় রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এনভিডিয়া, সেলসফোর্স এবং হোম ডিপোর আসন্ন আয়ের প্রতিবেদনের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনার সম্ভাব্য বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ S&P 500 সূচক মঙ্গলবার ৫,৯৯০ পয়েন্টের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং নিম্নমুখী কারেকশন চালিয়ে যাচ্ছে। সূচকটি আগের সেশনে ০.৫% হ্রাস পেয়েছিল, যা টানা তিন দিন ধরে দরপতনের শিকার হয়েছে। স্বল্পমেয়াদে, প্রধান সাপোর্ট লেভেল ৫,৯৫০ পয়েন্ট রয়ে গেছে। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি দ্রুত ৫,৯০০ পয়েন্টের দিকে নামতে পারে। অপরদিকে, ৬,০২০ এর লেভেল রেজিস্ট্যান্স হিসেবে কাজ করবে, যা শক্তিশালীভাবে ব্রেক করা হলে সূচকটি ৬,১০০ পয়েন্ট পর্যন্ত বাড়তে পারে। নাসডাক 100 সূচক বর্তমানে ২১,৩২০ পয়েন্টে ট্রেড করা হচ্ছে এবং প্রযুক্তি খাতের দুর্বলতার কারণে চাপে রয়েছে। সূচকটি সোমবার ১.২১% হ্রাস পেয়েছে এবং স্বল্পমেয়াদী মুভিং এভারেজের নিচে থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সূচকটির নিকটতম সাপোর্ট লেভেল ২১,২০০ পয়েন্টে অবস্থিত। এই লেভেল ব্রেক করা হলে সূচকটি ২১,০০০ পয়েন্ট পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। মূল রেজিস্ট্যান্স ২১,৫০০ পয়েন্টে রয়েছে, যা ব্রেক করা পারলে মার্কেটে নতুন করে ক্রয় কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
প্রযুক্তি খাতে কী ঘটছে? প্রযুক্তি জায়ান্টদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাবের হ্রাস নাসডাক সূচকের দরপতনের অন্যতম প্রধান কারণ। প্যালান্টির শেয়ারের দর ১০.৫% হ্রাস পেয়েছে এবং এটি এখন সর্বোচ্চ মূল্য থেকে প্রায় ৩০% নিচে রয়েছে। বুধবারের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের আগে এনভিডিয়ার শেয়ারের দর ৩.১% কমেছে। বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছে যে ডাটা সেন্টারের ব্যয়ের প্রবাহ কমে গেলে GPU-এর চাহিদার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অন্যদিকে, অ্যাপলের শেয়ারের দর ০.৬% বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ কোম্পানিটি আগামী চার বছরে মার্কিন অর্থনীতিতে $৫০০ বিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে এবং তারা ২০,০০০ নতুন কর্মী নিয়োগ দেবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনিশ্চয়তা নতুন শুল্কযুদ্ধের সম্ভাবনার কারণে মার্কেটে চাপ বিরাজ করছে। জেপিমরগ্যানের সর্বশেষ ক্লায়েন্ট নোটে সতর্ক করা হয়েছে যে বর্ধিত শুল্ক এবং মুক্ত বাণিজ্য-বিরোধী বক্তব্যের ঝুঁকি রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করছে, যার প্রভাবে ইতোমধ্যে আলিবাবার শেয়ারের দর ৯% হ্রাস পেয়েছে।
কর্পোরেট আয়ের প্রত্যাশা মঙ্গলবার মার্কেটে লেনদেন শুরু হওয়ার আগে হোম ডিপোর আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করছেন যে কোম্পানিটির প্রতি শেয়ারে আয় হবে $৩.০৪, এবং মোট রাজস্ব হবে $৩৯.০৭ বিলিয়ন। মুদ্রাস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের ব্যয় সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাড়ি নির্মাণ সংক্রান্ত পণ্যের চাহিদাকে সমর্থন করতে পারে। বুধবার মার্কেটে লেনদেন শেষ হওয়ার পরে এনভিডিয়ার আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে কোম্পানিটির আয় ৬৩% বৃদ্ধি পাবে এবং রাজস্ব ৭৩% বৃদ্ধি পাবে, যা AI খাতের স্থিতিশীলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হতে পারে। ওয়েডবুশের বিশ্লেষকরা আশাবাদী যে ব্ল্যাকওয়েল জিপিইউ সিরিজের শক্তিশালী চাহিদা বজায় থাকবে, যদিও মাইক্রোসফট মূলধন ব্যয়ের বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বুধবার সেলসফোর্সের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। মূল মনোযোগ থাকবে এজেন্টফোর্স এআই প্ল্যাটফর্মের বৃদ্ধির হার পর্যবেক্ষণে। নতুন গ্রাহকের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হলে কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে? মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদন, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং টেকনিক্যাল সাপোর্ট লেভেলের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করছে। টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সূচকগুলো এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে, এবং এনভিডিয়া ও সেলসফোর্সের আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল স্বল্পমেয়াদে বাজার পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে, S&P 500-এর জন্য ৫,৯৫০ লেভেল এবং নাসডাক 100-এর জন্য ২১,২০০ লেভেল গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে কাজ করবে, যা মার্কেটের পরবর্তী গতিবিধি নির্ধারণ করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3XhyFNg
-
২৭ ফেব্রুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1770388425.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে আজ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনে কিছু স্বল্প প্রভাব বিস্তারকারী কিছু অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার সম্ভাবনা কম। তবে, আজ যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির চূড়ান্ত অনুমান, ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার এবং জবলেস ক্লেইমস বা বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা সংক্রান্ত দাবির প্রতিবেদন। বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির প্রতি ট্রেডারদের বিশেষ মনোযোগ দেয়ার সম্ভাবনা কম। জিডিপি প্রতিবেদনটির ফলাফল পূর্ববর্তী অনুমানের কাছাকাছি থাকতে পারে, যা সম্ভবত মার্কেটে বড় ধরনের কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হবে টেকসই পণ্যের অর্ডার, যা ইতিবাচক ফলাফল প্রদান করতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তার—বার, বার্কিন এবং বোম্যানের বক্তৃতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে, আমরা ইতোমধ্যেই একাধিকবার উল্লেখ করেছি যে, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতির বিষয়ে ট্রেডাররা তুলনামূলকভাবে সব কিছুই জানে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনো নজরদারির মধ্যে রয়েছে, কারণ যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফল ২০২৫ সালে পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিগত অবস্থানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কর্মকর্তারা এখনো এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি, তাই তাদের নীতিগত অবস্থানে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এদিকে, ফেডারেল রিজার্ভ সম্ভবত ২০২৫ সালে পূর্ব পরিকল্পিত দুইবারের চেয়েও কম সুদের হার হ্রাস করতে পারে। উপসংহার: আজকের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD এবং GBP/USD উভয় পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং মূল্য সাম্প্রতিক স্থিতিশীল রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। আমরা মনে করি যে গত সপ্তাহেই ইউরো এবং পাউন্ডের দরপতন শুরু হওয়া উচিত ছিল। তবে, আজকের মুভমেন্ট মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে। যদিও উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য এখনো ঊর্ধ্বমুখী হতে চাপের সম্মুখীন হচ্ছে, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে মূলত ক্রয়ের প্রবণতা বজায় রাখছে, যদিও ক্রয়ের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম।
Read more: https://ifxpr.com/41g4XJQ
-
স্টক মার্কেটের পরিস্থিতি: S&P 500 এবং নাসডাক সূচকে পুনরুদ্ধার পরিলক্ষিত হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1252803007.jpg[/IMG]
এনভিডিয়ার আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কিন স্টক সূচকের ফিউচারে আবারও দরপতন ঘটে, তবে সাপ্তাহিক সর্বনিম্ন লেভেলে পৌঁছানোর পর ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা ফিরে আসে, যা মার্কিন স্টক মার্কেটের পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছে। আজকের এশিয়ান ট্রেডিং সেশনে, S&P 500 ফিউচার 0.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং প্রযুক্তি-নির্ভর নাসডাক সূচক 0.5% বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার, এশিয়ান স্টক মার্কেটে নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করেছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক সংক্রান্ত মন্তব্য বিশ্লেষণ করেছে। চীনের স্টক সূচক এবং হংকংয়ের প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম হ্রাস পেয়েছে, অন্যদিকে ১০-বছরের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপীয় স্টক সূচকের ফিউচার 0.9% হ্রাস পেয়েছে, কারণ ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর ২৫% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তিনি আরও পুনরায় নিশ্চিত করেন যে, মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর পূর্ব ঘোষিত শুল্ক ২ এপ্রিল কার্যকর হবে। ট্রাম্পের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ছিল, যা মার্কেটে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আগামী মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়ে আগে কোনো ঘোষণা ছিল না। মার্কেটে সেশন শেষ হওয়ার পর এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য কমে যায়, কারণ চিপ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির প্রান্তিকভিত্তিক আয়ের ফলাফল ইতিবাচক হলেও অসাধারণ ছিল না, যা সেই বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে যারা আগের মতো বিস্ফোরকভাবে আয়ের বৃদ্ধি আশা করছিল। প্রতিবেদনে কোম্পানির আয়ের প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তবে এটি বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অনুঘটক ছিল না। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন যে এনভিডিয়া হয়তো আর আগের মতো মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করার মতো সক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে না এবং স্বল্পমেয়াদী শক্তিশালী অনুঘটকের অভাবে মার্কিন স্টক মার্কেট আরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। কোম্পানিটির বর্তমান কর্মক্ষমতা ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি, শুল্ক এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ক্রমবর্ধমান প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ সম্পূর্ণরূপে নিরসন করতে যথেষ্ট নয়। এছাড়াও, এনভিডিয়া সতর্ক করেছে যে তাদের মোট মার্জিন প্রত্যাশার তুলনায় কম হবে, কারণ তারা দ্রুত তাদের নতুন ব্ল্যাকওয়েল চিপ বাজারে আনতে চাইছে। একই সঙ্গে, মার্কিন শুল্ক কোম্পানিটির ভবিষ্যতের আয়ে প্রভাব ফেলতে পারে এমন উদ্বেগ রয়েছে। চলতি বছরে, এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য মূলত নিম্নমুখী হয়েছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন যে ডাটা সেন্টার অপারেটররা খরচ কমাতে পারে। চীনা AI স্টার্টআপ ডিপসিকের মতো কোম্পানিগুলোর উত্থান আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে যে স্বল্প ব্যয়ে AI চ্যাটবট তৈরি করা সম্ভব, যা এনভিডিয়ার হাই-পারফরম্যান্স AI চিপগুলোর চাহিদা হ্রাস করতে পারে।
ফেডের সুদের হার হ্রাস সংক্রান্ত প্রত্যাশা পরিবর্তিত হয়েছে ট্রেডাররা এই বছর ফেডারেল রিজার্ভের দুইবার সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা পুনর্মূল্যায়ন করেছে। মরগ্যান স্ট্যানলি এখন আরও আক্রমণাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের পূর্বাভাস দিচ্ছে, কারণ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রকাশিত মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক ছিল। শুক্রবার প্রকাশিতব্য পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) মূল্য সূচকের ফলাফল ফেডের পরবর্তী নীতিগত পদক্ষেপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যদি এই প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির ধীরগতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করবে।
Read more: https://ifxpr.com/3DlgNdt