-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/135654765.jpg[/IMG]
cast 27.06.2025 09:19 AM EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ জুন। গতকালের ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন অর্থ জমা অর্থ উত্তোলন ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি জিরো লাইনের বেশ উপরে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1720-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করিনি। ইউরোর মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা এমন একটি সংকেত হিসেবে দেখেছে যে, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার নিয়ে আরও সতর্ক অবস্থান নিতে পারে, যার ফলে মার্কিন ডলার দুর্বল হয়ে পড়েছে। মধ্যমেয়াদে ইউরোর মূল্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট। একদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দুর্বলতা ইউরোপীয় মুদ্রাকে সমর্থন যোগাতে পারে। অন্যদিকে, ইউরোজোনের অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা এবং বাণিজ্যশুল্কের কারণে সৃষ্ট ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো ইউরোর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে। আজ বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকরা ফ্রান্স ও স্পেনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং ফ্রান্সের ভোক্তা ব্যয়ের পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর গুরুত্ব দেবেন। এই সূচকগুলো ইউরোজোন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। ভোক্তা ব্যয়ের গতিশীলতা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভোক্তাদের আত্মবিশ্বাস বা উদ্বেগ এবং ব্যয় করার প্রবণতার প্রতিফলন ঘটায়। ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধি আশাবাদের ইঙ্গিত দেয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। বিপরীতে, ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেলে সেটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের একটি সতর্ক সংকেত প্রদান করে। এই সমস্ত বিষয়ই ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-এ প্রতিফলিত হবে, যা বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত হতে পারে, ফলে এটি ইউরোর জন্য সহায়ক হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1772-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1713-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1772-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1680-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1713 এবং 1.1772-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1680-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1623-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ার বিক্রয়ের প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1713-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1680 এবং 1.1623-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
৮ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/579935201.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার, নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে এবং মার্কিন ডলারের মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশ ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আগেও উল্লেখ করেছি যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলেও প্রতিদিন ডলারের দরপতন ঘটবে না—মাঝে মাঝে কারেকশন দেখা যাবে। তবে, ডলারের মূল্যের যেকোনো আকস্মিক বৃদ্ধি সাধারণত সন্দেহ এবং সতর্কতার সঙ্গে দেখা হয়। গতকাল, ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের মোটামুটি নিরপেক্ষ ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, আর জার্মানিতে শিল্প উৎপাদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইউরোর দরপতনের বদলে ইউরোর দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা ছিল। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট ছিল না। ট্রাম্প তাঁর হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন এবং শুল্ক আরোপ করছেন বা বাড়িয়েছেন, আর ইলন মাস্ক "আমেরিকান পার্টি" গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সব সংবাদ শিরোনাম ডলারকে শক্তিশালী করার জন্য যথেষ্ট ভিত্তি নয়। ফলে, আমরা মার্কেটের বর্তমান মুভমেন্টকে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে দেখছি, যা খুব শক্তিশালী বা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই মনে হচ্ছে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/53047713.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1740–1.1745 লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, আর মার্কিন সেশনে ঠিক সেই লেভেল থেকেই নিচ থেকে রিবাউন্ড করে। এই দুটি সেল সিগন্যাল একে অপরের প্রতিলিপি ছিল, ফলে নতুন ট্রেডাররা কেবল একটি ট্রেডে এন্ট্রি করতে পারতেন। দিনের শেষে, পেয়ারটির মূল্য প্রায় 25–30 পয়েন্ট নিম্নমুখী হয়েছে—যা মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট। মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই ডলারের নিয়মিত দরপতনের জন্য যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে। অবশ্যই, পর্যায়ক্রমে ডলারের মূল্যের কারেকশন হবে, তবে সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আপাতত ডলারের মূল্যের কোনো শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু সেটিও ডলারকে সহায়তা করেনি। এই সপ্তাহে, এই পেয়ারের মূল্য কিছুটা কমতে পারে, তবে মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলে, পুনরায় দর বৃদ্ধির সংকেত পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে বা স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে ট্রেড করা হতে পারে। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। 5-মিনিট টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার, ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশের কথা নেই। তবে, গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রত্যাশামতো জাপান এবং সাউথ কোরিয়ার আমদানিকৃত পণ্যের উপর 25% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ, ৯ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1855798024.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ মঙ্গলবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল, যদিও ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো মৌলিক ব্যাখ্যা ছিল না। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধুমাত্র জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরই নয়, আরও কিছু দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এসব দেশের অর্থনীতি খুব বেশি বড় নয়—এবং সার্বিয়া বা তিউনিসিয়ার মতো দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে ট্রেডারদের কাছ থেকে কোনো দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি—তবুও এটি বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা আরও এক ধাপ বৃদ্ধি করেছে। এদিকে, এখন পর্যন্ত মাত্র 3টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাই নতুন করে ডলারের দরপতন হওয়াটাই আরও যৌক্তিক হতো। মঙ্গলবার কোনো ধরনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তাই সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলার শক্তিশালী হয়েছে এমনটা বলা যাবে না। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ডলারের দর আবারও সামান্য পরিমাণে শক্তিশালী হয়েছে এবং একধরনের কনসোলিডেশন অব্যাহত রেখেছে। ডাউনওয়ার্ড চ্যানেলের ঢাল খুবই সামান্য, এবং এই পেয়ারের মূল্য এই চ্যানেলের সীমানা ঘেঁষেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। বর্তমানে সেনকৌ স্প্যান B লাইনের দিকে আরও এক ধাপ দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ডলারের মূল্যের মুভমেন্টের প্যাটার্ন এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট: পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.1750–1.1772 এরিয়া (কিজুন-সেন লাইন) থেকে রিবাউন্ড করে আবার নিম্নমুখী হয়। এই সময় ট্রেডাররা 1.1666-এর লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। যদিও এই পেয়ারের মূল্য সেই লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত পৌঁছায়নি, তবে ট্রেডাররা ম্যানুয়ালি ট্রেড ক্লোজ করার সময় পেয়েছেন ও মুনাফা করতে পেরেছেন।
COT রিপোর্ট সর্বশেষ COT রিপোর্টটি ১ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে। উপরের চার্টে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। 2024 সালের শেষ দিকে বিক্রেতারা সাময়িক সময়ের জন্য মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলেও তারা দ্রুতই তা হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেবল ডলারের দরপতনই হচ্ছে। আমরা শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না যে ডলারের দরপতন চলতেই থাকবে, তবে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সেই দিকেই ইঙ্গিত দেয়। আমরা এখনও ইউরোর পক্ষে ইতিবাচক কোনো মৌলিক প্রেক্ষাপট দেখছি না, তবে এখনও ডলারের দরপতনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি রয়ে গেছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও বিদ্যমান, যদিও গত ১৬ বছরের প্রবণতা এখন তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। একমাত্র ট্রাম্প কর্তৃক সৃষ্টি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ হলে ডলারের পুনরুদ্ধার শুরু করতে পারে—কিন্তু সেটা কবে হবে এবং আদৌ হবে কিনা, সেটাই প্রশ্ন। বর্তমানে, লাল এবং নীল লাইন আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যার মানে মার্কেটে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপের লং পজিশনের সংখ্যা 1,200 বেড়েছে, এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা 4,800 বেড়েছে। ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 3,600 কমেছে।
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, একটি ডিসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। এর মানে ডলার হয়তো আরও কিছুদিন বিশৃঙ্খলভাবে শক্তিশালী হতে পারে, কিন্তু মধ্যমেয়াদে ডলারের পরিস্থিতি খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ধারাবাহিকভাবে এমন খবর আসছে যা ট্রেডারদের ডলার থেকে দূরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছে। এমনকি সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও কাজে আসছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা বৈশ্বিক রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলারের অবস্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এই সপ্তাহে তিনি আরও কয়েকটি দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন, তাই ডলারের মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট হয়তো একটি সাময়িক টেকনিক্যাল কারেকশন—অথবা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। ৯ জুলাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেল: সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স লেভেল: 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1362, 1.1426, 1.1534, 1.1615, 1.1666, 1.1750, 1.1846–1.1857 সেনকৌ স্প্যান B লাইন: 1.1642 কিজুন-সেন লাইন: 1.1750
-
১০ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/221515417.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার, আগের সপ্তাহের চলমান প্রবণতার সাথেই EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মার্কেটে ট্রেডিং কার্যক্রম অত্যন্ত কম ছিল, এবং অত্যন্ত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মার্কেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার—যেমন তামা ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ওপর সম্ভাব্য শুল্ক এবং জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আরও ১৩টি দেশের জন্য শুল্ক বৃদ্ধির সংবাদের প্রতি কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে আমরা এটিকে সাময়িক একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছি। বর্তমানে মার্কিন ডলারের মূল্যের যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা পুরোপুরিভাবে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন—এবং এটি বেশ দুর্বল, যা এমনকি ১ ঘণ্টার টাইমফ্রেমেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। স্বাভাবিকভাবেই, যদি ডলারের পক্ষে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক খবর আসে, তাহলে এটির ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। কিন্তু সেই খবরটা কী হতে পারে, যখন ট্রাম্প এই পুরো সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিনই আমদানিকৃত পণ্যের উপর নতুন নতুন শুল্ক ঘোষণা করে চলেছেন? আমরা এখনও মনে করি, ডলারের আরও দরপতন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, এবং ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউট করে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে তা এই পেয়ার কেনার জন্য একটি টেকনিক্যাল ভিত্তি প্রদান করবে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে কোনো ট্রেডিং সিগনালই গঠিত হয়নি। সারাদিনে এই পেয়ারের মূল্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের কাছাকাছিও যায়নি, ফলে নতুন ট্রেডারদের পজিশন ওপেন করার জন্য কোনো যৌক্তিক ভিত্তি ছিল না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1953933726.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে: ১ ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের হচ্ছে, কিন্তু পাঁচ মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, এই একটি তথ্যই ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। মাঝে মাঝে কারেকশন হওয়া স্বাভাবিক (যেমনটি এখন দেখা যাচ্ছে), কিন্তু সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনও এমন নয় যে ডলারের মূল্যের স্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যাশা করা যায়। এই সপ্তাহে, এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে কমতে পারে, কিন্তু ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত দেবে। বৃহস্পতিবার, EUR/USD পেয়ারের মন্থর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। সপ্তাহের শেষের দিকের ট্রেডিংয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, এবং এখন পর্যন্ত এমন কোনো স্পষ্ট সংকেত পাওয়া যায়নি যা কারেকশনের সমাপ্তি নির্দেশ করে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর উপর নজর রাখতে হবে: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। বৃহস্পতিবার, জার্মানিতে জুন মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উভয় প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় এবং ইউরো কিংবা ডলারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।