-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/135654765.jpg[/IMG]
cast 27.06.2025 09:19 AM EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৭ জুন। গতকালের ফরেক্স ট্রেডের বিশ্লেষণ ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন অর্থ জমা অর্থ উত্তোলন ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলুন ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি জিরো লাইনের বেশ উপরে অবস্থান করছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1720-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়ে। এই কারণেই আমি ইউরো ক্রয় করিনি। ইউরোর মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতা এমন একটি সংকেত হিসেবে দেখেছে যে, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার নিয়ে আরও সতর্ক অবস্থান নিতে পারে, যার ফলে মার্কিন ডলার দুর্বল হয়ে পড়েছে। মধ্যমেয়াদে ইউরোর মূল্যের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট। একদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দুর্বলতা ইউরোপীয় মুদ্রাকে সমর্থন যোগাতে পারে। অন্যদিকে, ইউরোজোনের অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা এবং বাণিজ্যশুল্কের কারণে সৃষ্ট ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো ইউরোর প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে। আজ বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকরা ফ্রান্স ও স্পেনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং ফ্রান্সের ভোক্তা ব্যয়ের পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর গুরুত্ব দেবেন। এই সূচকগুলো ইউরোজোন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। ভোক্তা ব্যয়ের গতিশীলতা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভোক্তাদের আত্মবিশ্বাস বা উদ্বেগ এবং ব্যয় করার প্রবণতার প্রতিফলন ঘটায়। ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধি আশাবাদের ইঙ্গিত দেয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে। বিপরীতে, ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেলে সেটি সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের একটি সতর্ক সংকেত প্রদান করে। এই সমস্ত বিষয়ই ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-এ প্রতিফলিত হবে, যা বৃদ্ধি পেলে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও সতর্কভাবে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত হতে পারে, ফলে এটি ইউরোর জন্য সহায়ক হতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1772-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1713-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1772-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের পুলব্যাকের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1680-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1713 এবং 1.1772-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি। সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1680-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1623-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ার বিক্রয়ের প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1713-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1680 এবং 1.1623-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
৮ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/579935201.jpg[/IMG]
সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট সোমবার, নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে EUR/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে এবং মার্কিন ডলারের মূল্য তুলনামূলকভাবে বেশ ভালোই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আগেও উল্লেখ করেছি যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলেও প্রতিদিন ডলারের দরপতন ঘটবে না—মাঝে মাঝে কারেকশন দেখা যাবে। তবে, ডলারের মূল্যের যেকোনো আকস্মিক বৃদ্ধি সাধারণত সন্দেহ এবং সতর্কতার সঙ্গে দেখা হয়। গতকাল, ইউরোজোনে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের মোটামুটি নিরপেক্ষ ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, আর জার্মানিতে শিল্প উৎপাদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সুতরাং, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ইউরোর দরপতনের বদলে ইউরোর দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা ছিল। কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট ছিল না। ট্রাম্প তাঁর হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন এবং শুল্ক আরোপ করছেন বা বাড়িয়েছেন, আর ইলন মাস্ক "আমেরিকান পার্টি" গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই সব সংবাদ শিরোনাম ডলারকে শক্তিশালী করার জন্য যথেষ্ট ভিত্তি নয়। ফলে, আমরা মার্কেটের বর্তমান মুভমেন্টকে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন হিসেবে দেখছি, যা খুব শক্তিশালী বা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলেই মনে হচ্ছে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/53047713.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট সোমবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। ইউরোপীয় সেশনে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1740–1.1745 লেভেল ব্রেক করে নিম্নমুখী হয়, আর মার্কিন সেশনে ঠিক সেই লেভেল থেকেই নিচ থেকে রিবাউন্ড করে। এই দুটি সেল সিগন্যাল একে অপরের প্রতিলিপি ছিল, ফলে নতুন ট্রেডাররা কেবল একটি ট্রেডে এন্ট্রি করতে পারতেন। দিনের শেষে, পেয়ারটির মূল্য প্রায় 25–30 পয়েন্ট নিম্নমুখী হয়েছে—যা মুনাফা নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট। মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনো EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিই ডলারের নিয়মিত দরপতনের জন্য যথেষ্ট বলে মনে হচ্ছে। অবশ্যই, পর্যায়ক্রমে ডলারের মূল্যের কারেকশন হবে, তবে সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আপাতত ডলারের মূল্যের কোনো শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সামষ্টিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু সেটিও ডলারকে সহায়তা করেনি। এই সপ্তাহে, এই পেয়ারের মূল্য কিছুটা কমতে পারে, তবে মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলে, পুনরায় দর বৃদ্ধির সংকেত পাওয়া যাবে। মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে বা স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে ট্রেড করা হতে পারে। সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। 5-মিনিট টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। মঙ্গলবার, ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশের কথা নেই। তবে, গতকাল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রত্যাশামতো জাপান এবং সাউথ কোরিয়ার আমদানিকৃত পণ্যের উপর 25% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী: সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত। ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো। ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন। MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত। নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন। স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
-
EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ এবং বিশ্লেষণ, ৯ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1855798024.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টের বিশ্লেষণ মঙ্গলবারও EUR/USD পেয়ারের দরপতন ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল, যদিও ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো মৌলিক ব্যাখ্যা ছিল না। এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধুমাত্র জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ওপরই নয়, আরও কিছু দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও এসব দেশের অর্থনীতি খুব বেশি বড় নয়—এবং সার্বিয়া বা তিউনিসিয়ার মতো দেশের ওপর শুল্ক আরোপের ফলে ট্রেডারদের কাছ থেকে কোনো দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি—তবুও এটি বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তেজনা আরও এক ধাপ বৃদ্ধি করেছে। এদিকে, এখন পর্যন্ত মাত্র 3টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাই নতুন করে ডলারের দরপতন হওয়াটাই আরও যৌক্তিক হতো। মঙ্গলবার কোনো ধরনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, তাই সামষ্টিক প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলার শক্তিশালী হয়েছে এমনটা বলা যাবে না। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ডলারের দর আবারও সামান্য পরিমাণে শক্তিশালী হয়েছে এবং একধরনের কনসোলিডেশন অব্যাহত রেখেছে। ডাউনওয়ার্ড চ্যানেলের ঢাল খুবই সামান্য, এবং এই পেয়ারের মূল্য এই চ্যানেলের সীমানা ঘেঁষেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে। বর্তমানে সেনকৌ স্প্যান B লাইনের দিকে আরও এক ধাপ দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ডলারের মূল্যের মুভমেন্টের প্যাটার্ন এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট: পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল একটি মাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের সময়, মূল্য 1.1750–1.1772 এরিয়া (কিজুন-সেন লাইন) থেকে রিবাউন্ড করে আবার নিম্নমুখী হয়। এই সময় ট্রেডাররা 1.1666-এর লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারতেন। যদিও এই পেয়ারের মূল্য সেই লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত পৌঁছায়নি, তবে ট্রেডাররা ম্যানুয়ালি ট্রেড ক্লোজ করার সময় পেয়েছেন ও মুনাফা করতে পেরেছেন।
COT রিপোর্ট সর্বশেষ COT রিপোর্টটি ১ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে। উপরের চার্টে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘ দিন ধরে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। 2024 সালের শেষ দিকে বিক্রেতারা সাময়িক সময়ের জন্য মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলেও তারা দ্রুতই তা হারিয়ে ফেলে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেবল ডলারের দরপতনই হচ্ছে। আমরা শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না যে ডলারের দরপতন চলতেই থাকবে, তবে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সেই দিকেই ইঙ্গিত দেয়। আমরা এখনও ইউরোর পক্ষে ইতিবাচক কোনো মৌলিক প্রেক্ষাপট দেখছি না, তবে এখনও ডলারের দরপতনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি রয়ে গেছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও বিদ্যমান, যদিও গত ১৬ বছরের প্রবণতা এখন তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। একমাত্র ট্রাম্প কর্তৃক সৃষ্টি বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ হলে ডলারের পুনরুদ্ধার শুরু করতে পারে—কিন্তু সেটা কবে হবে এবং আদৌ হবে কিনা, সেটাই প্রশ্ন। বর্তমানে, লাল এবং নীল লাইন আবারও একে অপরকে অতিক্রম করেছে, যার মানে মার্কেটে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। সর্বশেষ সাপ্তাহিক রিপোর্ট অনুযায়ী, "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপের লং পজিশনের সংখ্যা 1,200 বেড়েছে, এবং শর্ট পজিশনের সংখ্যা 4,800 বেড়েছে। ফলে নেট পজিশনের সংখ্যা 3,600 কমেছে।
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, একটি ডিসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। এর মানে ডলার হয়তো আরও কিছুদিন বিশৃঙ্খলভাবে শক্তিশালী হতে পারে, কিন্তু মধ্যমেয়াদে ডলারের পরিস্থিতি খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ধারাবাহিকভাবে এমন খবর আসছে যা ট্রেডারদের ডলার থেকে দূরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছে। এমনকি সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফলও কাজে আসছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত নীতিমালা বৈশ্বিক রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ডলারের অবস্থানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এই সপ্তাহে তিনি আরও কয়েকটি দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন, তাই ডলারের মূল্যের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট হয়তো একটি সাময়িক টেকনিক্যাল কারেকশন—অথবা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। ৯ জুলাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেল: সাপোর্ট/রেজিস্ট্যান্স লেভেল: 1.1092, 1.1147, 1.1185, 1.1234, 1.1274, 1.1362, 1.1426, 1.1534, 1.1615, 1.1666, 1.1750, 1.1846–1.1857 সেনকৌ স্প্যান B লাইন: 1.1642 কিজুন-সেন লাইন: 1.1750
-
১০ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/221515417.jpg[/IMG]
বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ: EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট বুধবার, আগের সপ্তাহের চলমান প্রবণতার সাথেই EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত ছিল। দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মার্কেটে ট্রেডিং কার্যক্রম অত্যন্ত কম ছিল, এবং অত্যন্ত স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মার্কেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণার—যেমন তামা ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের ওপর সম্ভাব্য শুল্ক এবং জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আরও ১৩টি দেশের জন্য শুল্ক বৃদ্ধির সংবাদের প্রতি কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে আমরা এটিকে সাময়িক একটি ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করছি। বর্তমানে মার্কিন ডলারের মূল্যের যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা পুরোপুরিভাবে একটি টেকনিক্যাল কারেকশন—এবং এটি বেশ দুর্বল, যা এমনকি ১ ঘণ্টার টাইমফ্রেমেও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। স্বাভাবিকভাবেই, যদি ডলারের পক্ষে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক খবর আসে, তাহলে এটির ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। কিন্তু সেই খবরটা কী হতে পারে, যখন ট্রাম্প এই পুরো সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিনই আমদানিকৃত পণ্যের উপর নতুন নতুন শুল্ক ঘোষণা করে চলেছেন? আমরা এখনও মনে করি, ডলারের আরও দরপতন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, এবং ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউট করে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে তা এই পেয়ার কেনার জন্য একটি টেকনিক্যাল ভিত্তি প্রদান করবে। EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট বুধবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে কোনো ট্রেডিং সিগনালই গঠিত হয়নি। সারাদিনে এই পেয়ারের মূল্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ লেভেলের কাছাকাছিও যায়নি, ফলে নতুন ট্রেডারদের পজিশন ওপেন করার জন্য কোনো যৌক্তিক ভিত্তি ছিল না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1953933726.jpg[/IMG]
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে: ১ ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের হচ্ছে, কিন্তু পাঁচ মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, এই একটি তথ্যই ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। মাঝে মাঝে কারেকশন হওয়া স্বাভাবিক (যেমনটি এখন দেখা যাচ্ছে), কিন্তু সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনও এমন নয় যে ডলারের মূল্যের স্থায়ী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যাশা করা যায়। এই সপ্তাহে, এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে কমতে পারে, কিন্তু ডাউনওয়ার্ড ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি নতুন একটি ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত দেবে। বৃহস্পতিবার, EUR/USD পেয়ারের মন্থর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। সপ্তাহের শেষের দিকের ট্রেডিংয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই, এবং এখন পর্যন্ত এমন কোনো স্পষ্ট সংকেত পাওয়া যায়নি যা কারেকশনের সমাপ্তি নির্দেশ করে। ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর উপর নজর রাখতে হবে: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। বৃহস্পতিবার, জার্মানিতে জুন মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্র জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উভয় প্রতিবেদনই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায় এবং ইউরো কিংবা ডলারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1581586812.jpg[/IMG]
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে শুক্রবার প্রায় পুরো দিনই এই পেয়ারের মূল্য ফ্ল্যাট রেঞ্জে ছিল, দৈনিক অস্থিরতার পরিমাণ ছিল মাত্র 49 পয়েন্ট। কার্যত, একমাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল রাতের বেলা গঠিত হয়, যখন এই পেয়ারের মূল্য আবার 1.1666 লেভেল থেকে বাউন্স করে। এরপরে, মূল্য প্রায় 40–50 পয়েন্ট পর্যন্ত বেড়ে যায়, এবং আর কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়নি। সুতরাং, ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে নতুন ট্রেডাররা একটি লং পজিশন ওপেন করতে পারত এবং মার্কিন সেশনের যেকোনো সময় তা ক্লোজ করতে পারত। যেকোনো অবস্থায়, এই ট্রেডটি লাভজনক হতো। সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান রয়েছে, তবে গত পাঁচ মাস ধরে যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সক্রিয় রয়েছে, তা এখনো অটুট রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট — এই একটি কারণই ডলারকে চাপের মধ্যে রাখার জন্য যথেষ্ট। ডলার (অথবা যেকোনো কারেন্সি বা ইনস্ট্রুমেন্ট)-এর মূল্যের মাঝে মাঝে কারেকশন হওয়া স্বাভাবিক, এবং এখন আমরা ঠিক সেটাই দেখছি। তবে সামগ্রিক মৌলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ডলারের মূল্যের শক্তিশালী কোনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আশা করা এখনো অত্যন্ত কঠিন। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলে কারেকশন শেষ হওয়ার সিগন্যাল পাওয়া যাবে। সোমবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য আবারও তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী 1.1666 লেভেল ব্রেক করার চেষ্টা করতে পারে, তবে আগের দুটি বাউন্স নির্দেশ করে যে এই পেয়ারের মূল্য অন্তত ট্রেন্ডলাইনের দিকে উঠতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য 1.1666 লেভেল দৃঢ়ভাবে ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে স্থানীয় নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। ৫-মিনিট চার্টে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। সোমবার ইউরোজোন কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আবারও কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা আগ্রহজনক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। এটি হবে পরপর ষষ্ঠ দিন যেখানে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই। ফলে, আজকের দিনেও ট্রেডারদের সমস্ত মনোযোগ থাকবে ট্রাম্পের দিকেই। গত সপ্তাহে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের নতুন শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1666 লেভেল ব্রেক করিয়ে উপরের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মার্কেটের ট্রেডারদের সক্ষমতা নিয়ে গুরুতর সন্দেহ সৃষ্টি করে।
-
১৬ জুলাই কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1665746760.jpg[/IMG]
মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের তীব্র দরপতন ঘটেছে। প্রবাদে যেমন বলা হয়, কোনো কিছুই বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছিল না। পরপর কয়েক দিন ধরে, ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যকে দিয়ে 1.1666 লেভেল ব্রেক করাতে ব্যর্থ হয়েছে, এবং তাদের মধ্যে সেই প্রচেষ্টা চালানোর কোনো আগ্রহও দেখা যায়নি। কিন্তু, এখন রুটিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের শক্তিশালী দর বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি জুন মাসে বেড়ে 2.7% হয়েছে, যা পূর্বাভাস অনুযায়ীই ছিল। মূল মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে 2.9% হয়েছে, যা প্রত্যাশার তুলনায় কম। অর্থাৎ, সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম হারে বেড়েছে। তবে যেহেতু এটি বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই নিকট ভবিষ্যতে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কার্যত শূন্য, যা অবশ্যই ডলারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। তবে এই কারণটি গত ছয় মাস ধরেই সক্রিয় রয়েছে, কারণ ফেড পুনরায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার প্রক্রিয়া শুরু করেনি এবং তা শিগগিরই শুরু করার পরিকল্পনাও নেই। মঙ্গলবারের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলে ফেডের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সুতরাং, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে এটি একটি নিছক টেকনিক্যাল কারেকশন, যেখানে ট্রেডাররা এই পেয়ার বিক্রির জন্য কেবল একটি আনুষ্ঠানিক অজুহাত ব্যবহার করেছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। আমাদের মতে, এর কোনোটিতেই ট্রেডে এন্ট্রি করা উচিত ছিল না। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মার্কেটে অস্থিরতা শুরু হয় এবং "ব্যাপক" মুভমেন্ট দেখা যায়। শেষ পর্যন্ত, এই পেয়ার 1.1655–1.1666 জোনের নিচে কনসোলিডেট করে, তবে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ডলারের দর বৃদ্ধির বিষয়টি এখনো প্রশ্নবিদ্ধ—বিশে করে দুই সপ্তাহ আগে শ্রমবাজার, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের প্রতি ট্রেডারদের শান্ত প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করলে। বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল: ঘন্টাভিত্তিক চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত রয়েছে, তবে গত ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে। আমরা মনে করি না এটি ডলারের দরপতনের সমাপ্তি নির্দেশ করে। ছয় মাস ধরে ডলার দুর্বল হয়েছে এবং বর্তমানে কেবল একটি কারেকশন হচ্ছে। ট্রাম্পের অবস্থানে কোনো আমূল পরিবর্তন আসেনি যা মার্কিন কারেন্সির মূল্যের নতুন বুলিশ প্রবণতা শুরু হওয়ার যৌক্তিকতা প্রদান করে। বুধবার EUR/USD পেয়ারের আরও দরপতন চলমান থাকতে পারে, কারণ ঘন্টাভিত্তিক চার্টে বিয়ারিশ প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা এখনো ডলার কেনার কোনো মৌলিক কারণ দেখছি না, তবে ট্রেডাররা সম্ভবত দেখছে। সম্ভাবনা রয়েছে যে এখন বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগ থেকে মুনাফা গ্রহণ করছে, বিশেষত লং পজিশন থেকে মুনাফা গ্রহণ করা হচ্ছে। ৫ মিনিটের চার্টে নিম্নোক্ত লেভেলগুলোর উপর লক্ষ্য রাখুন: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1561–1.1571, 1.1609, 1.1655–1.1666, 1.1740–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। বুধবার ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যখন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্যসূচক (PPI) এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রতিবেদন নয়, তাই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে। যদি আজ আবারও মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়, তাহলে সেটি আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও জোরালো করবে যে এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান মুভমেন্টটি কেবল একটি কারেকশন।
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ২৫ জুলাই
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/36714171.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করে ঠিক সেই মুহূর্তে এই পেয়ারের মূল্য 1.1757-এর লেভেল টেস্ট করে —যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 30 পিপস বেড়ে যায়। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) গতকালের বৈঠকের পর, প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ ঘোষণা দেন যে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে, যা তাদের 'অপেক্ষা করার এবং পর্যবেক্ষণের' অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়। এই ঘোষণার ফলে ইউরো কিছুটা সহায়তা পায়, যদিও এই বৃদ্ধির পরিমাণ প্রত্যাশার তুলনায় ছিল সীমিত। মার্কেটের ট্রেডাররা ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে ইসিবির কাছ থেকে আরও স্পষ্ট সংকেতের প্রত্যাশা করেছিল। লাগার্দ বাণিজ্য নীতি এবং শক্তিশালী ইউরো সংক্রান্ত সমস্যাগুলোর কথা স্বীকার করলেও, ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির দিকনির্দেশনা নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট বার্তা দেননি। এই ধরনের সতর্ক অবস্থান কিছু বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে, যারা আরও সক্রিয়ভাবে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের প্রত্যাশা করেছিল। আগামী কয়েক সপ্তাহে ইসিবির নীতিগত অবস্থান এবং ইউরোর গতিপথ নির্ধারণে ইউরোজোনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে অগ্রগতি প্রধান ভূমিকা রাখবে। আজ সকালের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম তৈরি হতে পারে, বিশেষ করে জার্মানি থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের প্রেক্ষিতে। আজকের মূল দৃষ্টি থাকবে জার্মানির IFO বিজনেস ক্লাইমেট সূচকের ওপর, যা বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ প্রত্যাশাকে প্রতিফলিত করে। এছাড়াও ইউরোজোনে বেসরকারি খাতে ঋণ কার্যকলাপ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। IFO সূচকের মান যদি উন্নতির ইঙ্গিত দেয়—বিশেষ করে বর্তমান মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যৎ পূর্বাভাসের সঙ্গে মিল রেখে—তাহলে এটি ইউরোর জন্য উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়ক হতে পারে। বিনিয়োগকারীরা সাধারণত এই ধরনের প্রতিবেদনকে জার্মানির অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ও দৃঢ়তার প্রমাণ হিসেবে দেখে, যা ইউরোর উপর ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে। এর সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে মার্কেটে আরও আশাবাদ তৈরি হবে, যা বিনিয়োগ ও ভোক্তা কার্যক্রম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেবে। তবে একইসাথে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়টিও অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। যদি প্রকাশিত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না আসে, তাহলে মার্কেটে ইউরো বিক্রির প্রবণতা দেখা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীরা এখন জার্মান অর্থনীতির যেকোনো দুর্বলতার ইঙ্গিতের দিকে নিবিড়ভাবে নজর রাখছে, এবং IFO সূচকের দুর্বল ফলাফল ইউরোজোনের সামগ্রিক অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1790-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1755-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1790-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র জার্মানি থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1736-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1755 এবং 1.1790-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1736-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1704-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পর এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1755-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1736 এবং 1.1704-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
-
EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা – ২৯ জুলাই: ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পূর্ণ পরাজয়
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/250024483.jpg[/IMG]
সোমবার 4-ঘন্টার টাইমফ্রেমে, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য তীব্রভাবে বিপরীতমুখী হয় এবং শক্তিশালী দরপতন ঘটে। আমাদের দৃষ্টিতে, এই মুভমেন্ট অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং বার্তাবহ। আসুন বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করি। সোমবার রাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েনের সঙ্গে যৌথভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন। চুক্তির প্রধান প্রধান দিকগুলো হলো: যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত ইউরোপীয় পণ্যে 15% শুল্ক আরোপ করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে 600 বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন 750 বিলিয়ন ডলারের মার্কিন জ্বালানি পণ্য কিনবে। তৎক্ষণাৎ যে প্রশ্নটি উঠে আসে তা হলো: যুক্তরাষ্ট্র কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছে? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। হয়তো মার্কিন পক্ষের দায়বদ্ধতা গণ্যমাধ্যমে প্রকাশ পায়নি, অথবা আদৌ তেমন কিছু নেই। ট্রাম্প একতরফা ও একচেটিয়াভাবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন — একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন? কী-ই বা বলা যায়? ট্রাম্পের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারার মতো শক্তিশালী একটি সত্তা হিসেবে যাকে মনে করা হচ্ছিল, সেই ইইউ শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে নতি স্বীকার করলো। আরও একবার শান্তিপ্রিয় ও সচ্ছল ইউরোপ দেখিয়ে দিলো যে, প্রকৃত চাপের মুখে তারা পিছু হটতে প্রস্তুত এবং সীমান্তের অভ্যন্তরে শান্তি বজায় রাখার স্বার্থে একতরফা চুক্তিও মেনে নিতে পারে।
কেন ইউরোর দরপতন ঘটল? এটাও ব্যাখ্যার দাবি রাখে। ইউরোর দরপতন ঘটেছে শুধু এই কারণে যে, ফন ডার লায়েনের নেতৃত্বে যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত অমার্জনীয়। মূলত এই চুক্তিতে শুধু শুল্কই আরোপ করা হয়নি, বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যুক্তরাষ্ট্রে বিশাল অঙ্কের ব্যয় ও বিনিয়োগে বাধ্য করা হয়েছে। এর ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে — কিন্তু এর অর্থ কি মধ্যমেয়াদে ডলারের জন্য ইতিবাচক ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে? ধরে নেই, ট্রাম্প জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো সকল প্রধান বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে অনুরূপ চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হবেন। তাহলে এর মানে দাঁড়াবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আগের মতোই বৈশ্বিক বাণিজ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাবে — তবে অনেক বেশি অনুকূল শর্তে। এক্ষেত্রে, 2025 সালে ডলার বিক্রির যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তা নিছকই একটি ভ্রান্ত ধারণা বলে প্রমাণিত হবে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, ডলারের মূল্য দরপতনের সূচনালগ্ন অর্থাৎ 1.03 লেভেলে ফিরে যাওয়ার কথা। কিন্তু এটি কি বাস্তবসম্মত? আমাদের মতে, তা সম্ভব নয়। ট্রাম্প সত্যিই একচেটিয়াভাবে সুবিধাজনক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ইউরোপীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যার ফলে চাহিদা কমবে। ফলস্বরূপ, বাণিজ্যের পরিমাণ কমে যাবে এবং মূল্য বাড়বে। ট্রাম্প মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ভাবেন না এবং "সস্তা" ডলারের ওপর নির্ভর করেন। তাই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউরো-ডলারের দর প্যারিটি লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছেছে ডলারের আবার দর বৃদ্ধি পেতে দেবেন — এমনটি বলা কঠিন। তদুপরি, শুধু বাণিজ্য যুদ্ধের জন্যই নয়, ট্রাম্পের নেতৃত্বশৈলীর কারণেও ডলার দুর্বল হয়েছে। অনেক বিনিয়োগকারী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার দেশ পরিচালনার ধরনে অসন্তুষ্ট — এবং এই পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে এখন আমরা স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিকোণ থেকে মার্কিন ডলারের উল্লেখযোগ্য শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে (২৯ জুলাই পর্যন্ত) EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি ছিল 86 পিপস, যা "মধ্যম" পর্যায়ের অস্থিরতা হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্য 1.1507 এবং 1.1679 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। দীর্ঘমেয়াদি লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল এখনো ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে রয়েছে, যা চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। CCI ইনডিকেটর আবারো ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা সম্ভাব্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত হতে পারে।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 – 1.1597 S2 – 1.1536 S3 – 1.1475 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 – 1.1658 R2 – 1.1719 R3 – 1.1780 ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: EUR/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন কারেকটিভ মুভমেন্টের ধাপ শুরু হয়েছে। মার্কিন ডলার এখনো ট্রাম্পের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। সপ্তাহের শুরুতে ডলার শক্তিশালী ছিল, তবে আমাদের মতে, এটি এখনো মধ্যমেয়াদি ক্রয় করার যৌক্তিকতা তৈরি করে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকে, ততক্ষণ এই পেয়ারের মূল্যের 1.1536 এবং 1.1507-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের ওপরে উঠে যায়, তাহলে বর্তমান প্রবণতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1780 এবং 1.1841-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন এখনও প্রাসঙ্গিক থাকবে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/418710
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৪ আগস্ট
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1430-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল এবং এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপসেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাইয়ের মার্কিন ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফলের প্রভাবে ডলারের তীব্র দরপতন দেখা যায়। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাসে কেবলমাত্র 73,000টি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে অর্থনীতিবিদদের মধ্যম পূর্বাভাস ছিল 104,000। তাছাড়া, আগের দুই মাসের ফলাফল প্রায় 260,000 হ্রাস করে সংশোধন করা হয়েছে, যার ফলে তিন মাসে গড় কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র 35,000—যা 2020 সালের মহামারির পর সর্বনিম্ন স্তর। বেকারত্বের হার 4.1% থেকে বেড়ে 4.2%-এ পৌঁছেছে। আজ ইউরোজোনে Sentix থেকে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর ক্রেতারা গত সপ্তাহের শেষে শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও দীর্ঘায়িত করতে পারেন। এই মোমেন্টাম ইউরোকে মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে আরও সমর্থন দিতে পারে। তবে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। ইউরোর মূল্য নির্দিষ্ট রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পৌঁছালে প্রফিট-টেকিং শুরু হতে পারে এবং এর ফলে একটি কারেকশন শুরু হতে পারে। তাই, অনুকূল সংবাদ প্রবাহ থাকা সত্ত্বেও, সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এবং অতিরিক্ত আশাবাদী মনোভাব এড়িয়ে চলা শ্রেয়। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1625343979.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1664-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1598-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1664-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1562-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1598 এবং 1.1664-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1944790342.jpg[/IMG]
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1562-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1491-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ এই পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য চাপ ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1598-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1562 এবং 1.1491-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/419381
-
EUR/USD: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস, ৬ আগস্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/97202044.jpg[/IMG]
ইউরোর ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ এবং টিপস যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1558-এর লেভেল টেস্ট করে, যা ইউরো কেনার জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 25 পয়েন্টেরও বেশি বেড়ে যায়। ইনস্টিটিউট ফর সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত ISM পরিষেবা সংক্রান্ত PMI-এর অপ্রত্যাশিত পতনই ছিল সেই কারণ, যা কারেন্সি মার্কেটে ঢেউ তুলেছিল। 50.1 পয়েন্টের ফলাফল বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের তুলনায় কম ছিল, যা মার্কিন অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে গতিশীলতা কমে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এর ফলে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার সম্ভাব্য নমনীয়করণ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়ে যায়। তবে, মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফলের কারণে ডলারের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রশমিত হয়েছে, যেখানে ঘাটতি সামান্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত শুল্ক এখনও কার্যকর রয়েছে। আজ সকালের দিকে, জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা শিল্প আদেশ এবং ইউরোজোনের রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় পরিবর্তনের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সূচকগুলো ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। মার্কেটের বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, যাতে চাহিদার ধারা এবং সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জের পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি মূল্যায়ন করা যায়। ইউরোজোনের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্ডার ভবিষ্যতের উৎপাদন কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংকেত বহন করে। অর্ডার বৃদ্ধি পেলে সেটি শিল্পখাতে আশাবাদের প্রতিফলন ঘটায় এবং উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনার ইঙ্গিত হতে পারে। বিপরীতে, অর্ডার হ্রাস পেলে সেটি ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে মন্থরতার ইঙ্গিত দিতে পারে। ইউরোজোনের খুচরা বাণিজ্যের ধারা ভোক্তাদের আস্থা ও ক্রিয়াশীলতার প্রতিচ্ছবি, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকা শক্তি। খুচরা বিক্রির ঊর্ধ্বগতি ভোক্তা আস্থা ও খরচ করার ইচ্ছাশক্তির উন্নতির ইঙ্গিত দেয়, আর পতন হলে তা উদ্বেগ এবং সম্ভাব্য নেতিবাচক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত বহন করে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1586413083.jpg[/IMG]
বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1632-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1595-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1632-এর লেভেলে গেলে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর শর্ট পজিশন ওপেন করব। আজ শুধুমাত্র আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1573-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1595 এবং 1.1632-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1573-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1534-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে। পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1595-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1573 এবং 1.1543-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/419683