-
১৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/965688067.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও, এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক কিছুটা দৃষ্টি পাওয়ার মতো, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বাকি সময়ে ট্রেডাররা কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতির উপর নির্ভর করতে পারে, যিনি হয়তো নতুন করে শুল্ক আরোপ বা জেরোম পাওয়েলকে পুনরায় বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে আরেক দফা ঝড় তুলতে পারেন। ইউরোজোন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে একেবারেই কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ভাষণ নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা অনেকবার বলেছি যে, তাদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে এবং ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই তা বুঝে ফেলেছে। এখনও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের সুস্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়ে সন্দেহও রয়েছে, আর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতেও শুল্ক বাড়িয়েছেন। এই নিরুৎসাহজনক মৌলিক প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলার সক্রিয়ভাবে শক্তিশালী হয়েছে, যা মৌলিক পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার নতুন তরঙ্গ শুরু হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1042187853.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ার খুব ধীর গতিতে ট্রেড করতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে তা শেষ হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের গঠিত হয়েছে এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। ইউরোর মূল্য 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বর্তমান নিম্নমুখী মুভমেন্টের সমাপ্তির সংকেত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4kOQsV3
-
২১ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1084819573.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্যই, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে শুল্ক সংক্রান্ত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা "জেরোম পাওয়েলকে আবারও বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে হঠাৎ করে মার্কেটে ঝড় সৃষ্টি করতে পারেন। তবে, এ ধরনের ঘটনাগুলো পূর্বানুমান করা সম্ভব নয়। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এখনো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মৌলিক দিক থেকেও সোমবার কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিনিধির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে, বর্তমানে তাদের মন্তব্যের প্রভাব খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা অনুসরণ করছে এবং এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পুরোপুরি পরিষ্কার। এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের বিষয় রয়ে গেছে এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বেশ জটিল, কারণ ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার মধ্যে একটি চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে পুনরায় শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনাগ্রহী, একই সঙ্গে তিনি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্কও বাড়িয়েছেন। এই নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—যা মৌলিক প্রেক্ষাপটের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রস্তুতি নিচ্ছি। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট না থাকায়, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুব ধীরগতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে এটি শেষ হতে পারে। উভয় পেয়ারের চার্টে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে এবং সেগুলো ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। ইউরোর মূল্য ইতোমধ্যে 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বিয়ারিশ প্রবণতা শেষ হওয়ার একটি প্রাথমিক সতর্ক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/46Ppqte
-
২২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/283815311.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। সুতরাং, সারাদিন ধরেই মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে নতুন কোনো শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বা "জেরোম পাওয়েলকে আবার বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে আবারও আলোচনার মূল কেন্দ্রে উঠে আসতে পারেন। তবে এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। গতকাল উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সেগুলোর ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনালগ্নে রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/620040966.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে পাওয়েলের ভাষণ অবশ্যই আলাদা গুরুত্ব বহন করে। তবে এটি আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কিত কোনো সংকেতের কারণে নয়, বরং ফেডারেল রিজার্ভের পুনর্গঠন বাজেট সংক্রান্ত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ট্রেডারদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পাওয়েল পূর্বে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে ট্রাম্প যে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণেই ফেডের চেয়ারম্যানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন, তা স্পষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে, এবং এর সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি এখনও ডলার এবং সামগ্রিক কারেন্সি মার্কেটের জন্য একটি মুখ্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে এবং এটি আরও কিছুদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই, আমরা প্রতিদিন একই জিনিস বলছি দেখে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি জটিলই রয়ে গেছে, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান আলোচনার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন—যার মধ্যে একটি আবার প্রশ্নবিদ্ধ। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো সেইসব দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনিচ্ছুক। পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্যের উল্লেখযোগ্যভাবে কারেকশন হয়ে, তাই এখন আমরা আশা করছি যে হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হবে বলে । উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, শুধুমাত্র একটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই মন্থর ট্রেডিং হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর মানে অবশ্য এই নয় যে আজ ইউরো ও পাউন্ডের দরপতন হতে পারবে না, তবে এটি নির্দেশ করে যে নিকট ভবিষ্যতে আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4l1DovK
-
২৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1337643327.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—তবে এটি মার্কেটে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে, দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার মধ্য দিয়ে রেঞ্জ-বাউন্ড ট্রেডিং দেখা যেতে পারে। আবারও দৃষ্টি যাচ্ছে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের দিকে, কারণ তখন সাধারণত ইউরোপীয় সেশনের তুলনায় বেশি সক্রিয় ও গতিময় মুভমেন্ট দেখা যায়। উল্লেখযোগ্য যে, মার্কেটে এখনও ডলার বিক্রির পক্ষে একাধিক কারণ রয়েছে। তাই ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু না থাকলেও মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বক্তব্য প্রদান করেছেন, তবে এতে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে আসেনি। পাওয়েল পদত্যাগ করেননি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি, এবং মুদ্রানীতির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। বাণিজ্যযুদ্ধই এখনও মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে, এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আগামী আরও কিছুদিন মার্কিন ডলারের উপর প্রভাব ফেলতে থাকবে। তাই যদি প্রতিদিন আমরা একই ধরনের ব্যাখ্যা প্রদান করি, তা দেখে বিস্ময়ের কিছু নেই—কারণ সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এখনও জটিল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাম্প গত সাড়ে চার মাস ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেইসব দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী নয়। একইসঙ্গে, তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের আমদানির উপর শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। এই নতুন শুল্কগুলো এখনো বাজারমূল্যে প্রতিফলিত হয়নি, কারণ ট্রেডাররা মূলত টেকনিক্যাল কারেকশন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের অনুপস্থিতির কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যের টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, ফলে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ইউরোর জন্য মূল বিবেচ্য এরিয়া হলো 1.1740–1.1745 এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3518–1.3532।
Read more: https://ifxpr.com/3IIyGp1
-
২৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1593937950.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এগুলোর ধরন অনেকটাই একরকম। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—যেকোনো সূচকের ফলাফল যদি পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সূচকগুলোকে ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না—বিশেষ করে তখন, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলার টানা ছয় মাস ধরে দরপতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/677538514.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রথমত, আজ ইসিবির পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ইসিবি মূল সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে দিলেও ইউরোর দর স্থায়ীভাবে বাড়ছে। অর্থাৎ, বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতির সঙ্গে ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের তেমন কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই, ইসিবি কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে—তবে সেই প্রতিক্রিয়া সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না, কারণ গত ছয় মাস ধরে মার্কেটে ইউরোর মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। মার্কেটের ট্রেডারদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিবেচিত হচ্ছে। এবং এখনো এর অবসানের কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আরও দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল্যের মূল অনুঘটক হিসেবে রয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। তাই যদি আমরা প্রতিদিন একই বার্তার পুনরাবৃত্তি করছি, সেটি দেখে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র তিনটি দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—তাও এর একটি প্রশ্নবিদ্ধ— ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশেষ করে যেসব দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তাদের উপর। একইসঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো এই নতুন শুল্কগুলোর প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করতে পারেনি, কারণ এই সময়টায় মার্কেটে টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমরা আশা করছি যে সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি চলমান থাকবে। ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 জোন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ইতোমধ্যে ব্রেক করা হয়েছে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া হলো 1.3574–1.3590।
Read more: https://ifxpr.com/4lV16uw
-
২৫ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1147159991.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও, প্রতিটি প্রতিবেদনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে—যা দিনের সবচেয়ে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন। এর বিপরীতে, যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকের দুর্বল ফলাফলের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের আংশিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছিল; আজকেও একই রকম পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে—সেটি হচ্ছে ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই ধরনের পণ্য সাধারণত উচ্চ মূল্যের হয়ে থাকে, তাই এটি ভোক্তাদের আস্থা ও মনোভাবের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের একটি নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলো বাস্তবিক অর্থে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। আগেও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির প্রাসঙ্গিকতা একদম কমে এসেছে—প্রথমত, একমাত্র মার্কিন ডলারই ধারাবাহিকভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থানের ব্যাপারে এখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুরোপুরি ধারণা রয়েছে। তাই, কোনো হঠাৎ অবস্থাকনের পরিবর্তন বা নীতিগত পালাবদলের সম্ভাবনা নেই, যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য এখন আর বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারছে না। এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং এর সমাধানের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়টি সম্ভবত দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল অনুঘটক হয়ে থাকবে। তাই প্রতিদিন একই কথার পুনরাবৃত্তি করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন—এর মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে আবার ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতে নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে ট্রেডাররা এখনো এই নতুন সব শুল্ককে সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করেনি, কারণ সম্প্রতি টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD ও GBP/USD—উভয় পেয়ারের মূল্যের আবার ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তাই আমরা আশা করছি সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/40zZwFY
-
২৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/454289168.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। সুতরাং, যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি বা সিদ্ধান্ত ঘোষণা, তাহলে সোমবার স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং ফ্ল্যাট রেঞ্জে মূল্যের অবস্থান করার প্রবণতা পরিলক্ষিত হতে পারে। এই বিশ্লেষণ ইউরোর জন্য বেশি প্রযোজ্য, কারণ গত দুই দিনে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিষয়ে বলতে গেলে, আবারও বলতেই হচ্ছে — আজও উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, বর্তমানে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির বিষয়টি গুরুত্ব হারিয়েছে — প্রথমত, কারণ কেবলমাত্র ডলারই স্পষ্টভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে, এবং দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর অবস্থান ইতোমধ্যে পরিপূর্ণভাবে স্পষ্ট এবং ট্রেডাররা সে সম্পর্কে সবকিছুই জানে। গৃহীত অবস্থানের কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বা নতুন নীতিগত পরিকল্পনার ইঙ্গিত নেই, তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিনিধিদের ভাষণগুলোরও তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। এবং আমরা এখনো এই যুদ্ধের সমাপ্তির কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে বাণিজ্য চুক্তিগুলো সত্যিই স্বাক্ষরিত হচ্ছে, তবে আমরা লক্ষ্য করছি যে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে পরবর্তী সহযোগিতার শর্তগুলো পূর্বের তুলনায় আরও নেতিবাচক হয়ে উঠছে। এই বিষয়টি ডলারের ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘ সময় ধরে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে। পরিস্থিতি এখনো জটিল, কারণ চার মাসের বেশি সময় ধরে চলমান আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র চারটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছেন — যার মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সর্বশেষ তিন সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে; পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। তদ্ব্যতীত, তিনি জানিয়েছেন যে বিশ্বের প্রায় সব দেশকে মার্কিন বাজেটে শুল্ক প্রদান করতে হবে। সত্যি বলতে, এই পরিস্থিতিতে "বাণিজ্যযুদ্ধের প্রশমন" শব্দটির কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। উপসংহার: এ সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। কারণ আজ কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করাও বাস্তবসম্মত নয়। শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ওপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে বর্তমানে 1.3413–1.3421 এরিয়ায় একটি শক্তিশালী সাপোর্ট জোন রয়েছে, আর ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 লেভেলে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত সাপোর্ট এরিয়া রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1111799786.jpg[/IMG]
https://ifxpr.com/41gMhdw
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ২৯ জুলাই:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/707272292.jpg[/IMG]
SP500 এবং নাসডাক সূচক কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
গত শুক্রবার মার্কিন স্টক সূচকসমূহে মিশ্র ফলাফলের সাথে লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.02% বৃদ্ধি পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 0.33% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর শিল্পখাত-ভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.14% হ্রাস পেয়েছে। এশীয় স্টক মার্কেটে টানা তিন দিন ধরে দরপতন হয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তির প্রভাব কমে গেছে এবং বিনিয়োগকারীরা আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ও কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদনের পূর্বাভাস সামনে রেখে সতর্ক হয়ে উঠেছেন। MSCI এশিয়া-প্যাসিফিক সূচক 0.8% কমেছে, যার পেছনে মূলত হংকংয়ের স্টক মার্কেটের দরপতন দায়ী। মে মাসের পর সবচেয়ে বড় উত্থানের পর মার্কিন ডলারের দর স্থিতিশীল হয়েছে। সোমবারের সেশনে সূচকগুলো বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে লেনদেন শেষ করলেও, S&P 500 ফিউচার 0.2% বেড়েছে। আগের সেশনে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতনের পর ইউরোর দর সামান্য কমেছে। অপরদিকে, মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দর কিছুটা বেড়েছে, ফলে ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের ইয়িল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে 4.40%-এ। জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত চুক্তির ফলে তৈরি হওয়া আশাবাদ ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে এসেছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা এখন কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচকের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন বুধবারের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত ঘোষণার দিকে, যেখানে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, একইসঙ্গে চারটি বড় টেক কোম্পানির আয়ের প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। বর্তমানে শুল্ক পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট হওয়ায়, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিক বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ালেও, বিনিয়োগকারী ও সমালোচকদের একটি বড় অংশ মনে করছে এই চুক্তি ট্রান্সআটলান্টিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে—এই প্রত্যাশা অনেকটাই দুর্বল হয়েছে। অনেক ইউরোপীয় নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তিকে সমর্থন করলেও, জার্মান শিল্পপতিরা সতর্ক করেছেন যে এই চুক্তির ফলে ইউরোপীয় অটোমোটিভ খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হতে পারে। ডাচ বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিটিকে "ত্রুটিপূর্ণ" বলেছেন এবং ইউরোপীয় কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা শুল্ক যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ মধ্য আগস্টের পরেও বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বজায় রেখে বাণিজ্য সম্পর্ক অব্যাহত রাখার উপায় খুঁজে বের করতে দুই দিনের আলোচনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে অতিরিক্ত আলোচনা প্রয়োজন। আগামী দিনে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের সিদ্ধান্ত হবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। একইসঙ্গে, ব্যাংক অফ জাপান তাদের মুদ্রানীতি নির্ধারণে একটি বৈঠকে বসবে। আজ ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ও অন্যান্য কর্মকর্তারা দুই দিনের বৈঠকে বসছেন, যেখানে তারা রাজনৈতিক চাপ, বাণিজ্য খাতের পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে সুদ হার নিয়ে আলোচনা করবেন। এটি এখন স্পষ্ট যে, ফেড তথ্যনির্ভর নীতির দিকেই যাচ্ছে। বিশেষভাবে নজর থাকবে নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দিকে, যা ফেডের স্বল্পমেয়াদি সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কমোডিটি মার্কেট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে দ্রুত সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর তেলের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয় এবং তিনি সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন। ফিডেলিটি ইন্টারন্যাশনালের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি $4,000 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ফেড সুদের হার কমাবে, ডলারের মান দুর্বল হবে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ব্যালান্স শীটে স্বর্ণ যুক্ত করবে। S&P 500-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সূচকটির $6,400 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এতে সফল হলে, আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত পাওয়া যাবে এবং পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে $6,423। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো $6,434-এর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, যা ক্রেতাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। যদি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের চাহিদা কমে যায় এবং দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য $6,392 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করলে সূচকটি দ্রুত $6,383-এর দিকে এবং পরবর্তীতে $6,373-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40EcWRn
-
ফেড সম্ভবত কোনো স্পষ্ট বার্তা দেবে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1177885283.jpg[/IMG]
যখন ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, তখন অনেক বিনিয়োগকারী জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিত আশা করলেও, তারা হতাশ হতে পারেন। আজ ফেডারেল রিজার্ভ পরপর পঞ্চমবারের মতো সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এক বা একাধিক সদস্য ভিন্নমত পোষণ করলে তা এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির কিছু সদস্য ভিন্ন কৌশলের পক্ষে থাকলেও সেটি সামগ্রিক নীতিগত অবস্থানে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে থাকবে অর্থনীতিকে প্রণোদনা দেওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা। একদিকে, উচ্চ সুদের হার ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগকে হ্রাস করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমাতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত নমনীয় আর্থিক নীতিমালা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে — বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠকের আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ফলে ফেডের চেয়ারম্যান হয়তো এই মুহূর্তে সকল বিকল্প হাতে রাখতেই পছন্দ করবেন — যতক্ষণ না অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকনির্দেশনা এবং যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপের বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা আসে। মঙ্গলবার ব্যাংক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিল নেলসন এক মন্তব্যে বলেছেন, "এটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি এবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। মূল প্রশ্ন হলো, তারা কি সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের ব্যাপারে আরও প্রস্তুতির বার্তা দেবে কি না।" এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুদের হার কমানোর আহ্বান অব্যাহত রেখেছেন। সম্ভাব্যভাবে পাওয়েলের কাছে ফেডের ২.৫ বিলিয়ন ডলারের সদর দপ্তর সংস্কার প্রকল্প সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হতে পারে — যা বর্তমানে রিপাবলিকানদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এই সপ্তাহের পর এই বছরের ক্যালেন্ডারে ফেডের আর মাত্র তিনটি নীতিনির্ধারণী বৈঠক রয়েছে। জুন মাসে, ফেডের কর্মকর্তারা ২০২৫ সালে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, পাওয়েল সেই দিকেই প্রত্যাশা কতটা এগিয়ে নিতে পারেন। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে ৬০%-এর বেশি হিসেবে মূল্যায়ন করছেন, তবে বৈঠকের পূর্ববর্তী প্রতিবেদন বিশ্লেষণের আগেই ফেডের সদস্যরা এই সম্ভাবনাকে আরও বাড়াতে আগ্রহী নাও হতে পারেন। নীতিনির্ধারকগণ এখনো দুটি কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাবেন — যার মধ্যে একটি হলো জুলাই মাসের প্রতিবেদন, যেটি এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি, তারা মুদ্রাস্ফীতি, ভোক্তা ব্যয় এবং আবাসন খাত সম্পর্কেও অতিরিক্ত প্রতিবেদন হাতে পাবেন। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1580 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1620 লেভেল টেস্টের দিকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1635 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও মার্কেট বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1660-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1560-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে। অন্যথায়, 1.1510 লেভেল রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে অথবা 1.1480 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল কাঠামোর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3365 রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3385-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে — যদিও সেই লেভেলের উপরে উঠতে পারাটাও এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3415-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যদি পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা 1.3330-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে, মূল্য ওই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3295 পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3255 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40GhZRj
-
৩১ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1234713764.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এর মধ্যে শুধুমাত্র অল্প কয়েকটি প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। জার্মানি ও ইউরোজোনের বেকারত্বের হার প্রকাশিত হবে এবং জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না, কারণ এই সূচকটি 2%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল হয়ে গেছে। পূর্বাভাস বা আগের মান থেকে তেমন কোনো বড় বিচ্যুতির সম্ভাবনাও কম। যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোর PCE মূল্য সূচক, ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলোও স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের ধারণা, আজ অস্থিরতা কমে আসবে এবং ট্রেডাররা শুক্রবারের আগে ট্রেডিং কার্যক্রম থেকে সাময়িক বিরতিতে যাবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, কারণ দিনের মধ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নির্ধারিত নেই। গত রাতেই জেরোম পাওয়েল পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক মন্তব্য তাকে প্রভাবিত করে না এবং ফেডারেল রিজার্ভ হয়তো বছরের শেষ নাগাদ কেবল একবারই সুদের হার কমাতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে এবং এটি সোমবার থেকে নতুন রূপ ধারণ করেছে। আমরা এখনো মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বহাল থাকে, সেটিও আসলে "ভিন্ন রূপে বাণিজ্য যুদ্ধ" হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির মতো চুক্তিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইতিবাচক। তাই, এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তিই ডলারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। তবে বৃহত্তর ও মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ট্রেডাররা এখনো নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিতে, এ ধরনের মৌলিক পটভূমি দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত নয়। সুতরাং, আমরা এখনো মনে করি দৈনিক টাইমফ্রেমে কেবল একটি নিম্নমুখী কারেকশন হচ্ছে।
উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ে, আজ কোনো বড় ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে শান্ত মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এখনো স্থানীয় পর্যায়ে ইউরোর কিছুটা দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং মূল্য 1.1455–1.1474 এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। পাউন্ডের ক্ষেত্রে, আরও দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি, তবে আজকের জন্য যে লেভেলটি মনোযোগের দাবি রাখে সেটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেভেল – 1.3259।
Read more: https://ifxpr.com/45tPoRV
-
ট্রাম্প মার্কেটে ধস নামালেন। এখন মার্কিন কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1905912773.jpg[/IMG]
মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিরোনাম তৈরির ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনো বিশ্বের প্রধান উৎস হিসেবে রয়ে গেছেন, যিনি একা-হাতে ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটকে দুই দিকেই দোলাতে পারেন। বৃহস্পতিবার, বিনিয়োগকারীরা উদ্দীপিত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত শুল্ক জয়ের খবর মার্কেটে মূল্যায়ন করতে শুরু করেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান এবং কোরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এমন ধারণা তৈরি হয়। এর ফলে স্টক, কমোডিটি এবং কাঁচামালের চাহিদা বেড়ে যায়, এবং মার্কিন ডলারের মূল্যের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে, এই পরিস্থিতি বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। বিনিয়োগকারীদের মাঝে আশাবাদ হারিয়ে যায় যখন গণমাধ্যম মনে করিয়ে দেয় যে ১ আগস্ট ঘনিয়ে আসছে—এবং এই সময়ের মধ্যেও ট্রাম্প চীন বা ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি, যারা যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে থাকে। গতকাল ট্রাম্প উত্তেজনা আরও বাড়ান, শুধু চীন ও ভারত নয়—তিনি ব্রাজিলকেও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। পাশাপাশি, ব্রিকস সদস্যদের—বিশেষ করে ব্রাজিল এবং ভারতকে—বিনাশমূলক নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখান। স্বাভাবিকভাবেই, এই নতুন সংঘাত মার্কেটের ট্রেডাররা উপেক্ষা করতে পারেনি, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইকুইটি মার্কেটে কারেকশন শুরু হয় এবং আজ সকালের সেশনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর প্রভাব পড়েছে। যদিও এসব নতুন কিছু নয়, বিনিয়োগকারীরা এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতোই বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছেন, কারণ এ মুহূর্তে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনই মূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি নির্ধারণ করছে। ট্রাম্পের নেতিবাচক প্রভাব ট্রেডারদের বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা পানি ঢেলে দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, এশিয়ার স্টক সূচকগুলোতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ঠিক যেমনটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার সূচকেও দেখা যাচ্ছে। অবশ্যই, ১ আগস্টের আগমন এবং তার সঙ্গে থাকা বৃদ্ধপ্রায় আধিপত্যবাদীর শুল্ক হুমকিগুলো মার্কেটে চাপ তৈরি করছে—তবে প্রশ্ন হলো: এই নেতিবাচক পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে? যদি ট্রাম্প "আগ্রাসী দেশগুলোর" বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য না করেন, তাহলে আমার মনে হয় বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ ধীরে ধীরে আরও নির্দিষ্ট বিষয়ে স্থানান্তরিত হবে—যার মধ্যে একটি হলো জুলাই মাসের যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন। সর্বসম্মত পূর্বাভাস অনুযায়ী, নতুন নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা 106,000-এ পৌঁছাতে পারে, যা এক মাস আগে ছিল 147,000। বেকারত্বের হার 4.1%-এর জায়গায় 4.2% হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে বার্ষিক গড় ঘণ্টাপ্রতি আয় 3.7%-এর পরিবর্তে 3.8% এবং জুলাই মাসে 0.2%-এর তুলনায় 0.3% বাড়তে পারে। এর বাইরে, ট্রেডারদের দৃষ্টি গত মাসের উৎপাদন সংক্রান্ত PMI-এর দিকেও থাকবে, যা 52.9 থেকে কমে প্রতীকী 50-এর নিচে 49.5-এ নেমে আসতে পারে।
মার্কেটের ট্রেডাররা এসব খবরের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? যুক্তরাষ্ট্র বনাম শক্তিশালী উৎপাদক দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া বাণিজ্য সংঘাতের পটভূমিতে, বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর দিকে মনোযোগ সরাবে। যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সামগ্রিকভাবে আরও নেতিবাচক চিত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে ট্রেডাররা মনে করতে পারে যে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার 0.25% কমাতে বাধ্য হবে। এই প্রত্যাশিত পদক্ষেপ মার্কেটের পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে এবং গতকালের শুরু হওয়া বিক্রির প্রবণতা থামাতে বা এমনকি সার্বিক প্রবণতা বদলে দিতেও পারে। যদি নতুন চাকরির সংখ্যা সামান্য বেশি হয়, তাহলে মার্কিন ডলার স্থানীয়ভাবে সমর্থন পেতে পারে এবং ডলার সূচক ফের 100.00 লেভেলের উপরে উঠে যেতে পারে, যেখানে এটি বর্তমানে নিচে রয়েছে। এই ধরনের ফলাফল স্টক মার্কেটের বিনিয়োগকারীদেরও কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, গতকাল এবং আজ ট্রাম্পের চীন ও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন, যদিও এটি কিছুটা প্রত্যাশিত ছিল, সংঘাতের কারণে হওয়া ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4oo8ocb
-
ISM পরিষেবা সূচক ও শ্রম ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ফেডের সংকেত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1430037806.jpg[/IMG]
আসন্ন সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে এর মানে এই নয় যে মার্কেটে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করবে—যুক্তরাষ্ট্ ের স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতিও বিনিয়োগকারীরা তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর কারণ হলো, গত সপ্তাহের শেষে প্রকাশিত জুলাইয়ের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ডলারের মৌলিক প্রেক্ষাপটকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছে। রূপকভাবে বলতে গেলে, এ যেন "রাজার গায়ে পোশাক নেই": যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (BLS) মে ও জুন মাসে প্রকাশিত শক্তিশালীভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির আগের তথ্যকে ভুল বলে ঘোষণা করেছে। এই কঠিন বাস্তবতায় ট্রেডাররা বিস্মিত হয়ে পড়ে: দেখা যায়, মে মাসে কেবলমাত্র 19,000টি (যেখানে আগের তথ্য ছিল 139,000), এবং জুনে মাত্র 14,000 (আগে দাবি করা হয়েছিল 147,000) কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিল। 258,000 কর্মসংস্থানের সংখ্যার সংশোধন কোনো "পরিসংখ্যানগত ত্রুটি" নয়—এটি মার্কিন ডলারের জন্য একটি বড় ধাক্কা, যার পূর্ববর্তী দর বৃদ্ধি মূলত শ্রমবাজারের টানাপোড়েনের ওপর নির্ভর করছিল। অতএব, ননফার্ম পেরোলের ফলাফলের সংশোধন এবং জিডিপি উপাদানগুলোর বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সামনের প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা কিংবা অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ঘোষিত 3% জিডিপি প্রবৃদ্ধি মূলত হিসাবভিত্তিক কৃত্রিমতা ছিল—যার পেছনে ছিল "অ্যাকাউন্টিং এনহান্সমেন্ট অ্যালগরিদম।" হঠাৎ করে আমদানির 30% হ্রাস (যা জিডিপির নেতিবাচক উপাদান হ্রাস করে) মূল্য সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটিয়েছে, অথচ দেশীয় চাহিদা এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতি দুর্বল ছিল। বাণিজ্য ও তথাকথিত মজুদের প্রভাব বাদ দিলে প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র 1.2%–1.4%। এ কারণেই আসন্ন সব সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সাম্প্রতিক এসব প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্লেষণ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের দেড় ঘণ্টা পর প্রকাশিত ISM উৎপাদন সূচক ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। প্রথমত, সূচকটি টানা পাঁচ মাস ধরে সংকোচনের অঞ্চলে (৫০ পয়েন্টের নিচে) অবস্থান করছে। দ্বিতীয়ত, এটি প্রত্যাশিত 49.5-এর পরিবর্তে 48.0-এ নেমে এসেছে, যা উৎপাদন খাতের আরও অবনতি নির্দেশ করে। দুর্বল অর্ডার এবং কর্মসংস্থানের তীব্র পতন বিনিয়োগকারীদের আবার যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার, 5 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ISM পরিষেবা PMI প্রকাশিত হবে। মে মাসে এই সূচক 49.9-এ নেমে গিয়েছিল, তবে জুনে তা বেড়ে 50.8 হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাইয়ে এটি আরও বেড়ে 51.5 হতে পারে। তবে যদি এটি আবার ৫০-এর নিচে নেমে আসে, তাহলে ডলারের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হতে পারে, কারণ পরিষেবা খাতই বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ধরে রাখার শেষ শক্তিশালী স্তম্ভ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় খাত, যা জিডিপির 70%-এর বেশি এবং মোট কর্মসংস্থানের 75%-এর বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। যদি ISM পরিষেবা সূচক আবার ৫০-এর নিচে নামে, তাহলে বোঝা যাবে যে এখন উৎপাদন ও পরিষেবা—উভয় খাতেই মন্থরতার সম্ভাবনা বিস্তৃত হয়ে গেছে। এই প্রতিবেদনটিই সম্ভবত সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন। অন্য প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তা সামগ্রিক মৌলিক চিত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সোমবার, 4 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাক্টরি অর্ডারস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি একটি ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির ইঙ্গিত প্রদানকারী সূচক, যা ভোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে উৎপাদন চাহিদার পরিবর্তন নির্দেশ করে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুন মাসে অর্ডারস 4.9% হ্রাস পেতে পারে, যেখানে আগের মাসে তা 8.2% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই ফলাফল—বিশেষ করে ISM উৎপাদন সূচকের সংকোচনের প্রেক্ষাপটে—মার্ িন ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বৃহস্পতিবার, 7 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিট লেবার কস্ট (ULC) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অধিকাংশ বিশ্লেষক ধারণা করছেন দ্বিতীয় প্রান্তিকে শ্রমব্যয় কেবলমাত্র 1.4% বৃদ্ধি পা, যেখানে প্রথম প্রান্তিকে তা 6.6% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি শ্রম ব্যয় পূর্বাভাসের অনুযায়ী বা তার চেয়েও কম আসে, তাহলে তা মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতির সংকেত দেবে—যা সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর পক্ষে একটি অতিরিক্ত যৌক্তিকতা তৈরি হবে। আসলে, জুলাইয়ের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের পর, ফেডের পরবর্তী বৈঠকে 25 বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 35% থেকে বেড়ে 80%-এ দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, সপ্তাহজুড়ে অনুষ্ঠেয় ফেডের কর্মকর্তাদের কয়েকটি বক্তব্য মার্কেটের ট্রেডারদের ডোভিশ বা নমনীয় মনোভাবকে আরও শক্তিশালী বা ভারসাম্যপূর্ণ করতে পারে। বুধবার, 6 আগস্ট সান ফ্রান্সিসকো ফেড প্রেসিডেন্ট মেরি ডেইলি বক্তব্য দেবেন। এ বছর তাঁর ভোটাধিকার নেই। জুলাইয়ে তিনি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারীদের শিবিরে মৌখিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন (যদিও তিনি তখন সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন), এবং বছরের শেষ নাগাদ দুইবার হার কমানোর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায়, তার বক্তব্যে আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে। এই দিনেই বোস্টন ফেডের প্রেসিডেন্ট সুসান কলিন্সও বক্তব্য দেবেন। তার এ বছর ভোটাধিকার রয়েছে এবং তিনি সাধারণত মধ্যপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেন, যার ফলে তাঁর বক্তব্য সাধারণত সতর্ক হয়ে থাকে। যদি তিনি তার স্বাভাবিক সতর্কতা সত্ত্বেও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের দিকে ঝুঁকেন, তাহলে ডলারের ওপর তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি হতে পারে। এছাড়া, বুধবার ফেডের গভর্নর লিসা কুক (FOMC-এর স্থায়ী ভোটার) বক্তৃতা দেবেন। তিনি সাধারণত মাঝারি মাত্রায় ঝুঁকি গ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচিত মুখ, তাই তার বক্তব্যে যেকোনো ধরনের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত EUR/USD পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। পরের দিন, 7 আগস্ট আটলান্টা ফেডের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বোস্টিক বক্তব্য দেবেন (2025 সালে তাঁর ভোটাধিকার নেই)। তিনি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি বছরের শেষ নাগাদ কেবল একবার সুদের হার কমানোর পক্ষপাতী—তাও যদি শ্রমবাজার শক্তিশালী থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেতে থাকে। শুক্রবারের "সারপ্রাইজ"-এর পর, তার অবস্থান অনেকটাই নমনীয় হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার, 8 আগস্ট সেন্ট লুইস ফেড প্রেসিডেন্ট আলবার্টো মুসালেম (যার এ বছর ভোটাধিকার রয়েছে) তার মতামত প্রকাশ করবেন। মুসালেম "অপেক্ষা করুন ও দেখুন" পন্থার সমর্থক—তিনি জুলাইয়ে বলেছিলেন যে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পুরোপুরি মুদ্রাস্ফীতিতে প্রতিফলিত হবে 2025 সালের শেষভাগে বা 2026 সালের শুরুতে। জুলাইয়ের NFP-র ফলাফল তার অবস্থান বদলাতে পেরেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সুতরাং, এই সপ্তাহের মূল সামষ্টিক প্রতিবেদন এবং ফেড সদস্যদের মন্তব্য মার্কিন ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/46AG9QZ
-
৬ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারে মাত্র একটি প্রাসঙ্গিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল প্রকাশিত মার্কিন ISM ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবুও এটি স্পষ্টভাবে প্রভাব বিস্তারকারী ফলাফল প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তা মার্কেটে মাত্র 30 পিপসের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে স্পষ্টতই ট্রেডাররা এক ধরনের শীতনিদ্রায় রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/791213037.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আবারও বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। দিন শেষে, ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্য লিসা কুক ভাষণ দেবেন, যা বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আগ্রহ করবে – কারণ এই মুহূর্তে ফেডের যেকোনো সদস্যের ভাষণই গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমবাজার সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর, সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বেড়ে প্রায় 90%-এ পৌঁছেছে। ফেডারেল রিজার্ভের যেকোনো কর্মকর্তার মুদ্রানীতিমালার নমনীয়করণের পক্ষে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতির যেকোনো ইঙ্গিতকে ট্রেডাররা স্বাগত জানাবে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যা গত শুক্রবার থেকে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমাদের দৃষ্টিতে, যেকোনো বাণিজ্যিক চুক্তি – যদি তাতে শুল্ক বহাল রাখে – তা প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্যযুদ্ধের আরেক রূপ, শুধু "ভিন্ন নামে"। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশি ইতিবাচক, এবং এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তিই মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তবে বৃহত্তর এবং মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়টি মাথায় রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন নতুন শুল্ক আরোপ করছেন এবং বিদ্যমান শুল্কের হার বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন, যার উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্ব থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করা। আমরা ইতোমধ্যেই গত সপ্তাহে মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, তার কিছুটা আভাস পেয়েছি: জিডিপি হয়তো বাড়তে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক সম্ভবত বাড়বে না। সাম্প্রতিক সময়ে, ট্রাম্প 60টি দেশের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন এবং এখন তিনি ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন, কারণ ভারত রাশিয়ান তেল ক্রয় বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1809384174.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হতে পারে। আমাদের মতে, শুক্রবার ডলারের জন্য একাধিক নেতিবাচক ঘটনা পুরো সপ্তাহজুড়েই ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। 1.1527–1.1571 জোন থেকে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখতে পারে এবং একটি সংশ্লিষ্ট বাই সিগন্যাল ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য গতকাল 1.3259 স্তর থেকে রিবাউন্ড করেছে এবং এখন মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া অতিক্রমের চেষ্টা করবে।
Read more: https://ifxpr.com/46KuZJt
-
আজই সুদহার কমাতে যাচ্ছে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1735782011.jpg[/IMG]
দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে সুদহার নামিয়ে আনার প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ডের দর আজ ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড মূল নীতিগত সুদহার 25 বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে 4%-এ নামিয়ে আনবে—যা আগের প্রান্তিকে শুরু হওয়া আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করা হবে লন্ডন সময় দুপুর 12:00-এ, যার আধা ঘণ্টা পর গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি একটি সংবাদ সম্মেলন আসবেন। এই প্রত্যাশিত সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া অর্থনীতিকে সহায়তা দেওয়ার ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের চলমান প্রচেষ্টারই প্রতিফলন ঘটায়। সুদের হার কমিয়ে 4%-এ নামানো হলে ব্যবসা ও ভোক্তাদের জন্য ঋণ নেওয়ার পরিবেশ সহজতর হবে, যা বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়কে উৎসাহিত করতে পারে। তবে, এই পদক্ষেপে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। অতিরিক্ত নমনীয় মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াতে পারে এবং পাউন্ড স্টার্লিংকে দুর্বল করতে পারে। অ্যান্ড্রু বেইলির সংবাদ সম্মেলনটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, যেখানে তিনি সুদের হার কমানোর পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করবেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত দিকনির্দেশ ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত খুঁজে পেতে ট্রেডাররা তার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। এটা স্পষ্ট যে মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC) মূল্যস্ফীতির নতুন ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখছে। হালনাগাদ পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসের তুলনায় স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতির আরও বেশি চাপ দেখা হতে পারে। তবে, অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে, বিশেষ করে বসন্তে টানা দুই মাসের সংকোচন এবং এপ্রিলের পে-রোল ট্যাক্স ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ফলে নিয়োগ হ্রাসের প্রেক্ষিতে। অর্থনীতিবিদদের মতে, MPC-এর সদস্যগণ বর্তমান দিকনির্দেশনা বজায় রাখবে, যার ফলে মার্কেটে সুদহার কমানোর গতি ধীর হবে বলে প্রত্যাশা গড়ে উঠছে। এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে MPC-র নয়জন সদস্যের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস, কমিটির একটি বড় অংশ সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে থাকবে, দুইজন সদস্য 50 বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে অবস্থান নেবেন এবং আরও দুইজন কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে থাকবেন—যা গত তিন মাস আগের বিভাজনের প্রতিরূপ। MPC সম্ভবত এমন একটি দিকনির্দেশনা বজায় রাখবে যা ধীরে ও সতর্কভাবে সুদহার কমানোর পথে চালিত করবে, যেখানে প্রতিটি বৈঠকে নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। এটি পাউন্ডকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে, কারণ গতকাল পাউন্ডের দর ডলারের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও, ট্রেডাররা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে ধরে নিচ্ছে যে বছরের শেষ নাগাদ—আজকের সিদ্ধান্তসহ—আরও দুইবার সুদের হার হ্রাস করা হবে, যার ফলে 2026 সালে মূল সুদের হার 3.5%-এ নেমে আসবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি 17 মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর 3.6%-এ পৌঁছেছে, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পূর্বাভাসের চেয়ে 0.2 শতাংশ বেশি। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি পূর্বাভাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি প্রায় 4% হবে বলে ধরে নিতে পারে। যদিও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি মনে করছেন এই মুদ্রাস্ফীতি অস্থায়ী প্রকৃতির, তবে ব্যাংকটির প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিলসহ অনেকে মজুরি ও পণ্যমূল্যে গৌণ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে বেকারত্ব সংক্রান্ত পূর্বাভাসের দিকেও নজর দেওয়া হতে পারে, কারণ MPC ক্রমবর্ধমানভাবে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় করছে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3380 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3425-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যার ব্রেকআউট করে মূল্যের উর্ধ্বমুখী হওয়ার বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3450 লেভেল। অন্যদিকে, যদি পুলব্যাক দেখা যায়, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেল পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, সেই রেঞ্জের ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের ওপর বড় আঘাত হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3280 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যার পর 1.3250 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস বর্তমানে ক্রেতাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1690 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। কেবল তখনই 1.1730 টেস্টের সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1760 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হতে পারে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1800-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, যদি দরপতন দেখা দেয়, তাহলে মূল্য 1.1655 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহের আশা করা যায়। যদি সেই জায়গায় কোনো ক্রয় কার্যক্রম না দেখা যায়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1610 লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই যুক্তিযুক্ত হবে, অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশনের পরিকল্পনা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4mv1Zdf
-
শুল্কই এখনও মার্কেটে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/912514779.jpg[/IMG]
ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রকে একমাত্র আধিপত্য বিস্তারকারী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যান্য দেশ ও মহাদেশকে জোরপূর্বক নতিস্বীকার করানোর পেছনে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই শুল্কভিত্তিক নীতিই বর্তমানে মার্কেটে প্রাধান্য বিস্তার করছে এবং এর ফলে অস্থিরতার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে — যা উপেক্ষা করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। একের পর এক নতুন শুল্কের ঘোষণায় মার্কেট ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলে গেছে, কারণ এখনও স্পষ্ট নয়—শেষ পর্যন্ত এর পরিণতি কী হবে। তবে এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতেও বিনিয়োগকারীরা লাভজনক ট্রেডিং সুযোগ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, ট্রাম্প যখন ঘোষণা দেন যে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় উৎপাদকদের ছাড় দিয়ে বিদেশি কোম্পানির আমদানিকৃত সেমিকন্ডাক্টরের উপর 100% শুল্ক আরোপ করা হবে—তখন প্রযুক্তি খাতের স্টকের প্রতি ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। এর ফলে বৃহস্পতিবার ট্রেডিং সেশনের শেষভাগে নাসডাক 100 সূচকের দর প্রায় সাম্প্রতিক সর্বকালের উচ্চতার কাছাকাছি ফিরে আসে। অন্যদিকে, মার্কিন ডলার—যা তত্ত্ব অনুযায়ী বাণিজ্য ও শুল্ক-সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা এবং ফেডারেল রিজার্ভের আগাম সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা থেকে চাপের মুখে থাকার কথা—তা এখনও আশ্চর্যজনকভাবে স্থিতিশীল রয়ে গেছে। একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে কমোডিটি মার্কেটেও। যেমন: অপরিশোধিত তেলের দাম একটি তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ রেঞ্জে রয়েছে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও। এই সবকিছুর মূল কারণ ট্রাম্পের আগ্রাসী ও স্বেচ্ছাচারী নীতিমালা। এটা এখনো অনিশ্চিত যে কবে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। বরং আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে, নতুন শর্তে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরও, মার্কিন বাণিজ্য অংশীদাররা বর্তমান কঠোর শর্তাবলীর বিরুদ্ধে আপত্তি জানাবে — যা পরবর্তীতে মার্কেটের পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রতিফলিত হবে। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কোন অ্যাসেটগুলো আকর্ষণীয় হতে পারে? আমার মতে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক কোম্পানির স্টকগুলোই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তনির্ভর নীতির কারণে যতটা বিশৃঙ্খলা বাইরে তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যেও স্পষ্ট একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে—সেটি হলো বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদে উপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দেওয়া এবং সুদের হার শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনার চেষ্টা। হ্যাঁ, এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থাগত ও ইচ্ছাকৃত প্রক্রিয়া—কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটাকেই একমাত্র সঠিক পথ হিসেবে বিবেচনা করছেন। এর মানে, যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের জন্য পণ্য ও সেবা তৈরি করে, সেগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের বিষয়ে বলতে এগেলে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির অধীনে, নিকট ভবিষ্যতে ক্রিপ্টো মার্কেটে আত্মবিশ্বাসী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে—এমনটা ঘটার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। আমি আগেও উল্লেখ করেছি—যখন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা থাকে, তখন বন্ড এবং অন্যান্য সুদবিহীন অ্যাসেট (যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, স্বর্ণ এবং ফরেক্স ইনস্ট্রুমেন্ট)–এর প্রতি চাহিদা কমে যায়। আর এই প্রেক্ষাপটে, মার্কিন ইকুইটি এগিয়ে থাকবে। সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে বলা যায়—কমোডিটি, স্বর্ণ, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এমনকি মার্কিন ডলারের ডলারের সাইডওয়ে প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে, মার্কিন স্টক সূচক এবং মার্কিন কর্পোরেট স্টকসমূহ সমর্থন পেতে থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/46SE6Ih