-
১৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/965688067.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও, এর মধ্যে কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক কিছুটা দৃষ্টি পাওয়ার মতো, যা সন্ধ্যায় প্রকাশিত হবে। দিনের বাকি সময়ে ট্রেডাররা কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতির উপর নির্ভর করতে পারে, যিনি হয়তো নতুন করে শুল্ক আরোপ বা জেরোম পাওয়েলকে পুনরায় বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে আরেক দফা ঝড় তুলতে পারেন। ইউরোজোন, জার্মানি ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে একেবারেই কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের কোনো কর্মকর্তার ভাষণ নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা অনেকবার বলেছি যে, তাদের বক্তব্য বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না। তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে এবং ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই তা বুঝে ফেলেছে। এখনও বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাণিজ্যযুদ্ধ, যার সমাধানের সুস্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি এখনো উত্তেজনাপূর্ণ, কারণ ট্রাম্প এখন পর্যন্ত মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়ে সন্দেহও রয়েছে, আর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতেও শুল্ক বাড়িয়েছেন। এই নিরুৎসাহজনক মৌলিক প্রেক্ষাপট সত্ত্বেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলার সক্রিয়ভাবে শক্তিশালী হয়েছে, যা মৌলিক পরিস্থিতির সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতার নতুন তরঙ্গ শুরু হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1042187853.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ার খুব ধীর গতিতে ট্রেড করতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন এখনো চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে তা শেষ হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের গঠিত হয়েছে এবং মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ঊর্ধ্বমুখী হলে সেটি ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পুনরায় শুরু হওয়ার সংকেত দেবে। ইউরোর মূল্য 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বর্তমান নিম্নমুখী মুভমেন্টের সমাপ্তির সংকেত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4kOQsV3
-
২১ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1084819573.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। ফলে, মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্যই, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে শুল্ক সংক্রান্ত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা "জেরোম পাওয়েলকে আবারও বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে হঠাৎ করে মার্কেটে ঝড় সৃষ্টি করতে পারেন। তবে, এ ধরনের ঘটনাগুলো পূর্বানুমান করা সম্ভব নয়। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের এখনো নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মৌলিক দিক থেকেও সোমবার কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিনিধির গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নির্ধারিত নেই। তবে, আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে, বর্তমানে তাদের মন্তব্যের প্রভাব খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সুস্পষ্ট আর্থিক নীতিমালা অনুসরণ করছে এবং এ বিষয়ে তাদের অবস্থান পুরোপুরি পরিষ্কার। এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের বিষয় রয়ে গেছে এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বেশ জটিল, কারণ ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন, যার মধ্যে একটি চুক্তির শর্তাবলী নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমন দেশগুলোর বিরুদ্ধে পুনরায় শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অনাগ্রহী, একই সঙ্গে তিনি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টরের ওপর আমদানি শুল্কও বাড়িয়েছেন। এই নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যেও, গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে—যা মৌলিক প্রেক্ষাপটের সম্পূর্ণ বিপরীত। আমরা এখন হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রস্তুতি নিচ্ছি। উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট না থাকায়, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের খুব ধীরগতির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন চলছে, তবে যেকোনো মুহূর্তে এটি শেষ হতে পারে। উভয় পেয়ারের চার্টে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন গঠিত হয়েছে এবং সেগুলো ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে ছয় মাসব্যাপী চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে। ইউরোর মূল্য ইতোমধ্যে 1.1563 লেভেল থেকে দুইবার রিবাউন্ড করেছে, যা বিয়ারিশ প্রবণতা শেষ হওয়ার একটি প্রাথমিক সতর্ক সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/46Ppqte
-
২২ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/283815311.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। সুতরাং, সারাদিন ধরেই মার্কেটে দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। অবশ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে নতুন কোনো শুল্ক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বা "জেরোম পাওয়েলকে আবার বরখাস্ত" করার ঘোষণার মাধ্যমে আবারও আলোচনার মূল কেন্দ্রে উঠে আসতে পারেন। তবে এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব নয়। গতকাল উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সেগুলোর ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে, যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনালগ্নে রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/620040966.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে পাওয়েলের ভাষণ অবশ্যই আলাদা গুরুত্ব বহন করে। তবে এটি আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কিত কোনো সংকেতের কারণে নয়, বরং ফেডারেল রিজার্ভের পুনর্গঠন বাজেট সংক্রান্ত আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ট্রেডারদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। পাওয়েল পূর্বে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে ট্রাম্প যে যথেষ্ট যৌক্তিক কারণেই ফেডের চেয়ারম্যানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন, তা স্পষ্ট। বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে, এবং এর সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি এখনও ডলার এবং সামগ্রিক কারেন্সি মার্কেটের জন্য একটি মুখ্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে এবং এটি আরও কিছুদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তাই, আমরা প্রতিদিন একই জিনিস বলছি দেখে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি জটিলই রয়ে গেছে, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান আলোচনার মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন—যার মধ্যে একটি আবার প্রশ্নবিদ্ধ। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারো সেইসব দেশের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে অনিচ্ছুক। পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে মার্কিন ডলারের মূল্যের উল্লেখযোগ্যভাবে কারেকশন হয়ে, তাই এখন আমরা আশা করছি যে হায়ার টাইমফ্রেমে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যেরই একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হবে বলে । উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, শুধুমাত্র একটি উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারেরই মন্থর ট্রেডিং হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এর মানে অবশ্য এই নয় যে আজ ইউরো ও পাউন্ডের দরপতন হতে পারবে না, তবে এটি নির্দেশ করে যে নিকট ভবিষ্যতে আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4l1DovK
-
২৩ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1337643327.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ইউরোজোন, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই, আর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে—তবে এটি মার্কেটে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে বলে মনে হচ্ছে না। ফলে, দিনের বেশিরভাগ সময়জুড়ে মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার মধ্য দিয়ে রেঞ্জ-বাউন্ড ট্রেডিং দেখা যেতে পারে। আবারও দৃষ্টি যাচ্ছে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের দিকে, কারণ তখন সাধারণত ইউরোপীয় সেশনের তুলনায় বেশি সক্রিয় ও গতিময় মুভমেন্ট দেখা যায়। উল্লেখযোগ্য যে, মার্কেটে এখনও ডলার বিক্রির পক্ষে একাধিক কারণ রয়েছে। তাই ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু না থাকলেও মার্কিন ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। গতকাল ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বক্তব্য প্রদান করেছেন, তবে এতে কোনো তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য উঠে আসেনি। পাওয়েল পদত্যাগ করেননি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি, এবং মুদ্রানীতির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। বাণিজ্যযুদ্ধই এখনও মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে, এবং এর কোনো সমাধানের ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আগামী আরও কিছুদিন মার্কিন ডলারের উপর প্রভাব ফেলতে থাকবে। তাই যদি প্রতিদিন আমরা একই ধরনের ব্যাখ্যা প্রদান করি, তা দেখে বিস্ময়ের কিছু নেই—কারণ সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এখনও জটিল অবস্থায় রয়েছে। ট্রাম্প গত সাড়ে চার মাস ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন, যার একটি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভাব্য ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেইসব দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী নয়। একইসঙ্গে, তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের আমদানির উপর শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। এই নতুন শুল্কগুলো এখনো বাজারমূল্যে প্রতিফলিত হয়নি, কারণ ট্রেডাররা মূলত টেকনিক্যাল কারেকশন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের অনুপস্থিতির কারণে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। উভয় পেয়ারের মূল্যের টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে, ফলে আগামী সপ্তাহ ও মাসগুলোতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ইউরোর জন্য মূল বিবেচ্য এরিয়া হলো 1.1740–1.1745 এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য 1.3518–1.3532।
Read more: https://ifxpr.com/3IIyGp1
-
২৪ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1593937950.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার একাধিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এগুলোর ধরন অনেকটাই একরকম। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ইউরোজোন এবং যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসের পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক প্রকাশিত হবে। এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—যেকোনো সূচকের ফলাফল যদি পূর্বাভাস থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সূচকগুলোকে ট্রেডারদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না—বিশেষ করে তখন, যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা বা স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রভাব ছাড়াই মার্কিন ডলার টানা ছয় মাস ধরে দরপতনের শিকার হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/677538514.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) বৈঠক নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রথমত, আজ ইসিবির পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না। দ্বিতীয়ত, ইসিবি মূল সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে দিলেও ইউরোর দর স্থায়ীভাবে বাড়ছে। অর্থাৎ, বর্তমানে ইসিবির মুদ্রানীতির সঙ্গে ইউরোর এক্সচেঞ্জ রেটের তেমন কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই, ইসিবি কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করলেও মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা স্বল্পমেয়াদে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে—তবে সেই প্রতিক্রিয়া সামগ্রিক মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করবে বলে মনে হয় না, কারণ গত ছয় মাস ধরে মার্কেটে ইউরোর মূল্যের বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে। মার্কেটের ট্রেডারদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিবেচিত হচ্ছে। এবং এখনো এর অবসানের কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টি আরও দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল্যের মূল অনুঘটক হিসেবে রয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে। তাই যদি আমরা প্রতিদিন একই বার্তার পুনরাবৃত্তি করছি, সেটি দেখে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র তিনটি দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পেরেছেন—তাও এর একটি প্রশ্নবিদ্ধ— ৭৫টি চুক্তির মধ্যে মাত্র ৩টি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিশেষ করে যেসব দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না তাদের উপর। একইসঙ্গে তামা, ওষুধ এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানিতে শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো এই নতুন শুল্কগুলোর প্রভাব পুরোপুরি মূল্যায়ন করতে পারেনি, কারণ এই সময়টায় মার্কেটে টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিকের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, তাই আমরা আশা করছি যে সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি চলমান থাকবে। ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 জোন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা ইতোমধ্যে ব্রেক করা হয়েছে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া হলো 1.3574–1.3590।
Read more: https://ifxpr.com/4lV16uw
-
২৫ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1147159991.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও, প্রতিটি প্রতিবেদনই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জার্মানিতে IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে—যা দিনের সবচেয়ে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন। এর বিপরীতে, যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকের দুর্বল ফলাফলের কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের আংশিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছিল; আজকেও একই রকম পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে—সেটি হচ্ছে ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন। এই ধরনের পণ্য সাধারণত উচ্চ মূল্যের হয়ে থাকে, তাই এটি ভোক্তাদের আস্থা ও মনোভাবের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের একটি নির্ভরযোগ্য সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলো বাস্তবিক অর্থে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে না। আগেও বলা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির প্রাসঙ্গিকতা একদম কমে এসেছে—প্রথমত, একমাত্র মার্কিন ডলারই ধারাবাহিকভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে; দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থানের ব্যাপারে এখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুরোপুরি ধারণা রয়েছে। তাই, কোনো হঠাৎ অবস্থাকনের পরিবর্তন বা নীতিগত পালাবদলের সম্ভাবনা নেই, যার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্য এখন আর বেশি আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারছে না। এখনও বাণিজ্য যুদ্ধই বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, এবং এর সমাধানের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়টি সম্ভবত দীর্ঘ সময় ধরে ডলারের মূল অনুঘটক হয়ে থাকবে। তাই প্রতিদিন একই কথার পুনরাবৃত্তি করা হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি এখনও জটিল, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প চার মাসের বেশি সময় ধরে আলোচনার পর মাত্র তিনটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করতে পেরেছেন—এর মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে আবার ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে। সম্ভাব্য 75টি চুক্তির মধ্যে মাত্র তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত দুই সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করতে অনিচ্ছুক দেশগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পাশাপাশি তামা, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের আমদানিতে নতুন শুল্ক আরোপ করেছেন। তবে ট্রেডাররা এখনো এই নতুন সব শুল্ককে সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করেনি, কারণ সম্প্রতি টেকনিক্যাল কারেকশন হয়েছে। উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, EUR/USD ও GBP/USD—উভয় পেয়ারের মূল্যের আবার ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। টেকনিক্যাল কারেকশন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তাই আমরা আশা করছি সামনের সপ্তাহ ও মাসগুলোতে উভয় পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/40zZwFY
-
২৮ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/454289168.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। সুতরাং, যদি না ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি বা সিদ্ধান্ত ঘোষণা, তাহলে সোমবার স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং ফ্ল্যাট রেঞ্জে মূল্যের অবস্থান করার প্রবণতা পরিলক্ষিত হতে পারে। এই বিশ্লেষণ ইউরোর জন্য বেশি প্রযোজ্য, কারণ গত দুই দিনে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী নিম্নমুখী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিষয়ে বলতে গেলে, আবারও বলতেই হচ্ছে — আজও উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, বর্তমানে যেকোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতির বিষয়টি গুরুত্ব হারিয়েছে — প্রথমত, কারণ কেবলমাত্র ডলারই স্পষ্টভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে, এবং দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর অবস্থান ইতোমধ্যে পরিপূর্ণভাবে স্পষ্ট এবং ট্রেডাররা সে সম্পর্কে সবকিছুই জানে। গৃহীত অবস্থানের কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বা নতুন নীতিগত পরিকল্পনার ইঙ্গিত নেই, তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিনিধিদের ভাষণগুলোরও তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। এখনো বাণিজ্যযুদ্ধই বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে। এবং আমরা এখনো এই যুদ্ধের সমাপ্তির কোনো লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। কেউ কেউ মনে করতে পারেন যে বাণিজ্য চুক্তিগুলো সত্যিই স্বাক্ষরিত হচ্ছে, তবে আমরা লক্ষ্য করছি যে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও এর বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে পরবর্তী সহযোগিতার শর্তগুলো পূর্বের তুলনায় আরও নেতিবাচক হয়ে উঠছে। এই বিষয়টি ডলারের ক্ষেত্রে আরও দীর্ঘ সময় ধরে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারে। পরিস্থিতি এখনো জটিল, কারণ চার মাসের বেশি সময় ধরে চলমান আলোচনার পর ট্রাম্প মাত্র চারটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছেন — যার মধ্যে একটি চুক্তি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। সর্বশেষ তিন সপ্তাহে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে যারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে; পাশাপাশি তামা, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং সেমিকন্ডাক্টর আমদানির ওপরও শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। তদ্ব্যতীত, তিনি জানিয়েছেন যে বিশ্বের প্রায় সব দেশকে মার্কিন বাজেটে শুল্ক প্রদান করতে হবে। সত্যি বলতে, এই পরিস্থিতিতে "বাণিজ্যযুদ্ধের প্রশমন" শব্দটির কোনো প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। উপসংহার: এ সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। কারণ আজ কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করাও বাস্তবসম্মত নয়। শুধুমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ওপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা হবে। ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে বর্তমানে 1.3413–1.3421 এরিয়ায় একটি শক্তিশালী সাপোর্ট জোন রয়েছে, আর ইউরোর ক্ষেত্রে 1.1740–1.1745 লেভেলে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত সাপোর্ট এরিয়া রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1111799786.jpg[/IMG]
https://ifxpr.com/41gMhdw
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ২৯ জুলাই:
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/707272292.jpg[/IMG]
SP500 এবং নাসডাক সূচক কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে
গত শুক্রবার মার্কিন স্টক সূচকসমূহে মিশ্র ফলাফলের সাথে লেনদেন শেষ হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.02% বৃদ্ধি পেয়েছে, নাসডাক 100 সূচক 0.33% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর শিল্পখাত-ভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.14% হ্রাস পেয়েছে। এশীয় স্টক মার্কেটে টানা তিন দিন ধরে দরপতন হয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তির প্রভাব কমে গেছে এবং বিনিয়োগকারীরা আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ও কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদনের পূর্বাভাস সামনে রেখে সতর্ক হয়ে উঠেছেন। MSCI এশিয়া-প্যাসিফিক সূচক 0.8% কমেছে, যার পেছনে মূলত হংকংয়ের স্টক মার্কেটের দরপতন দায়ী। মে মাসের পর সবচেয়ে বড় উত্থানের পর মার্কিন ডলারের দর স্থিতিশীল হয়েছে। সোমবারের সেশনে সূচকগুলো বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে লেনদেন শেষ করলেও, S&P 500 ফিউচার 0.2% বেড়েছে। আগের সেশনে দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতনের পর ইউরোর দর সামান্য কমেছে। অপরদিকে, মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের দর কিছুটা বেড়েছে, ফলে ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের ইয়িল্ড ১ বেসিস পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে 4.40%-এ। জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে শুল্ক সংক্রান্ত চুক্তির ফলে তৈরি হওয়া আশাবাদ ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে এসেছে, কারণ বিনিয়োগকারীরা এখন কর্মসংস্থান, মুদ্রাস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ সূচকের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন বুধবারের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত ঘোষণার দিকে, যেখানে সুদের হার অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, একইসঙ্গে চারটি বড় টেক কোম্পানির আয়ের প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। বর্তমানে শুল্ক পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত স্পষ্ট হওয়ায়, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাৎক্ষণিক বাণিজ্য যুদ্ধ এড়ালেও, বিনিয়োগকারী ও সমালোচকদের একটি বড় অংশ মনে করছে এই চুক্তি ট্রান্সআটলান্টিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে—এই প্রত্যাশা অনেকটাই দুর্বল হয়েছে। অনেক ইউরোপীয় নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পাদিত বাণিজ্য চুক্তিকে সমর্থন করলেও, জার্মান শিল্পপতিরা সতর্ক করেছেন যে এই চুক্তির ফলে ইউরোপীয় অটোমোটিভ খাত ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান দুর্বল হতে পারে। ডাচ বাণিজ্যমন্ত্রী চুক্তিটিকে "ত্রুটিপূর্ণ" বলেছেন এবং ইউরোপীয় কমিশনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা শুল্ক যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ মধ্য আগস্টের পরেও বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বজায় রেখে বাণিজ্য সম্পর্ক অব্যাহত রাখার উপায় খুঁজে বের করতে দুই দিনের আলোচনার প্রথম ধাপ সম্পন্ন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গেও একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে অতিরিক্ত আলোচনা প্রয়োজন। আগামী দিনে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারের সিদ্ধান্ত হবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। একইসঙ্গে, ব্যাংক অফ জাপান তাদের মুদ্রানীতি নির্ধারণে একটি বৈঠকে বসবে। আজ ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল ও অন্যান্য কর্মকর্তারা দুই দিনের বৈঠকে বসছেন, যেখানে তারা রাজনৈতিক চাপ, বাণিজ্য খাতের পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে সুদ হার নিয়ে আলোচনা করবেন। এটি এখন স্পষ্ট যে, ফেড তথ্যনির্ভর নীতির দিকেই যাচ্ছে। বিশেষভাবে নজর থাকবে নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দিকে, যা ফেডের স্বল্পমেয়াদি সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কমোডিটি মার্কেট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে দ্রুত সম্মত হওয়ার আহ্বান জানানোর পর তেলের দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দেয় এবং তিনি সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাপের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন। ফিডেলিটি ইন্টারন্যাশনালের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বছরের শেষ নাগাদ স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি $4,000 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় ফেড সুদের হার কমাবে, ডলারের মান দুর্বল হবে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের ব্যালান্স শীটে স্বর্ণ যুক্ত করবে। S&P 500-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস আজ ক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সূচকটির $6,400 রেজিস্ট্যান্স লেভেল ব্রেক করা। এতে সফল হলে, আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত পাওয়া যাবে এবং পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হবে $6,423। ক্রেতাদের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো $6,434-এর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, যা ক্রেতাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। যদি ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের চাহিদা কমে যায় এবং দরপতন শুরু হয়, তাহলে মূল্য $6,392 এরিয়ায় থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করলে সূচকটি দ্রুত $6,383-এর দিকে এবং পরবর্তীতে $6,373-এর দিকে নেমে যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40EcWRn
-
ফেড সম্ভবত কোনো স্পষ্ট বার্তা দেবে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1177885283.jpg[/IMG]
যখন ইউরো ও ব্রিটিশ পাউন্ড মার্কিন ডলারের বিপরীতে সামান্য মূল্যবৃদ্ধি প্রদর্শন করছে, তখন অনেক বিনিয়োগকারী জেরোম পাওয়েলের কাছ থেকে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে ইঙ্গিত আশা করলেও, তারা হতাশ হতে পারেন। আজ ফেডারেল রিজার্ভ পরপর পঞ্চমবারের মতো সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এক বা একাধিক সদস্য ভিন্নমত পোষণ করলে তা এই ইঙ্গিত দিতে পারে যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির কিছু সদস্য ভিন্ন কৌশলের পক্ষে থাকলেও সেটি সামগ্রিক নীতিগত অবস্থানে বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না। সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে থাকবে অর্থনীতিকে প্রণোদনা দেওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের ভারসাম্য রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা। একদিকে, উচ্চ সুদের হার ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগকে হ্রাস করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমাতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত নমনীয় আর্থিক নীতিমালা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে — বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী বৈঠকের আগে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ফলে ফেডের চেয়ারম্যান হয়তো এই মুহূর্তে সকল বিকল্প হাতে রাখতেই পছন্দ করবেন — যতক্ষণ না অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দিকনির্দেশনা এবং যথাযথ নীতিগত পদক্ষেপের বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা আসে। মঙ্গলবার ব্যাংক পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিল নেলসন এক মন্তব্যে বলেছেন, "এটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি এবার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। মূল প্রশ্ন হলো, তারা কি সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের ব্যাপারে আরও প্রস্তুতির বার্তা দেবে কি না।" এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সুদের হার কমানোর আহ্বান অব্যাহত রেখেছেন। সম্ভাব্যভাবে পাওয়েলের কাছে ফেডের ২.৫ বিলিয়ন ডলারের সদর দপ্তর সংস্কার প্রকল্প সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হতে পারে — যা বর্তমানে রিপাবলিকানদের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এই সপ্তাহের পর এই বছরের ক্যালেন্ডারে ফেডের আর মাত্র তিনটি নীতিনির্ধারণী বৈঠক রয়েছে। জুন মাসে, ফেডের কর্মকর্তারা ২০২৫ সালে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, পাওয়েল সেই দিকেই প্রত্যাশা কতটা এগিয়ে নিতে পারেন। বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে সেপ্টেম্বরে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনাকে ৬০%-এর বেশি হিসেবে মূল্যায়ন করছেন, তবে বৈঠকের পূর্ববর্তী প্রতিবেদন বিশ্লেষণের আগেই ফেডের সদস্যরা এই সম্ভাবনাকে আরও বাড়াতে আগ্রহী নাও হতে পারেন। নীতিনির্ধারকগণ এখনো দুটি কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাবেন — যার মধ্যে একটি হলো জুলাই মাসের প্রতিবেদন, যেটি এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি, তারা মুদ্রাস্ফীতি, ভোক্তা ব্যয় এবং আবাসন খাত সম্পর্কেও অতিরিক্ত প্রতিবেদন হাতে পাবেন। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1580 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যের 1.1620 লেভেল টেস্টের দিকে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1635 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও মার্কেট বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া তা করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1660-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, যদি দরপতন ঘটে, তাহলে মূল্য 1.1560-এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ দেখা যেতে পারে। অন্যথায়, 1.1510 লেভেল রিটেস্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে অথবা 1.1480 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল কাঠামোর ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের প্রথমে এই পেয়ারের মূল্যের 1.3365 রেজিস্ট্যান্স লেভেলের ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3385-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে — যদিও সেই লেভেলের উপরে উঠতে পারাটাও এই পেয়ারের মূল্যের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.3415-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যদি পেয়ারের দরপতন ঘটে, তাহলে বিক্রেতারা 1.3330-এর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। এতে সফল হলে, মূল্য ওই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হতে পারে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3295 পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সম্ভাব্যভাবে 1.3255 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/40GhZRj
-
৩১ জুলাই কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1234713764.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে, তবে এর মধ্যে শুধুমাত্র অল্প কয়েকটি প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত। জার্মানি ও ইউরোজোনের বেকারত্বের হার প্রকাশিত হবে এবং জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন বর্তমানে মার্কেটে খুব একটা প্রভাব ফেলছে না, কারণ এই সূচকটি 2%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল হয়ে গেছে। পূর্বাভাস বা আগের মান থেকে তেমন কোনো বড় বিচ্যুতির সম্ভাবনাও কম। যুক্তরাষ্ট্রে আজ কোর PCE মূল্য সূচক, ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলোও স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের ধারণা, আজ অস্থিরতা কমে আসবে এবং ট্রেডাররা শুক্রবারের আগে ট্রেডিং কার্যক্রম থেকে সাময়িক বিরতিতে যাবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, কারণ দিনের মধ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য নির্ধারিত নেই। গত রাতেই জেরোম পাওয়েল পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক মন্তব্য তাকে প্রভাবিত করে না এবং ফেডারেল রিজার্ভ হয়তো বছরের শেষ নাগাদ কেবল একবারই সুদের হার কমাতে পারে। বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো বিনিয়োগকারীদের মূল উদ্বেগের বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে এবং এটি সোমবার থেকে নতুন রূপ ধারণ করেছে। আমরা এখনো মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বহাল থাকে, সেটিও আসলে "ভিন্ন রূপে বাণিজ্য যুদ্ধ" হিসেবেই বিবেচিত হওয়া উচিত। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির মতো চুক্তিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইতিবাচক। তাই, এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তিই ডলারের আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। তবে বৃহত্তর ও মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে ট্রেডাররা এখনো নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিতে, এ ধরনের মৌলিক পটভূমি দীর্ঘমেয়াদে ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত নয়। সুতরাং, আমরা এখনো মনে করি দৈনিক টাইমফ্রেমে কেবল একটি নিম্নমুখী কারেকশন হচ্ছে।
উপসংহার: এ সপ্তাহের শেষদিকের ট্রেডিংয়ে, আজ কোনো বড় ইভেন্ট না থাকায় উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে শান্ত মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। এখনো স্থানীয় পর্যায়ে ইউরোর কিছুটা দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং মূল্য 1.1455–1.1474 এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। পাউন্ডের ক্ষেত্রে, আরও দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি, তবে আজকের জন্য যে লেভেলটি মনোযোগের দাবি রাখে সেটি অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেভেল – 1.3259।
Read more: https://ifxpr.com/45tPoRV
-
ট্রাম্প মার্কেটে ধস নামালেন। এখন মার্কিন কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1905912773.jpg[/IMG]
মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শিরোনাম তৈরির ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনো বিশ্বের প্রধান উৎস হিসেবে রয়ে গেছেন, যিনি একা-হাতে ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটকে দুই দিকেই দোলাতে পারেন। বৃহস্পতিবার, বিনিয়োগকারীরা উদ্দীপিত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত শুল্ক জয়ের খবর মার্কেটে মূল্যায়ন করতে শুরু করেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান এবং কোরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এমন ধারণা তৈরি হয়। এর ফলে স্টক, কমোডিটি এবং কাঁচামালের চাহিদা বেড়ে যায়, এবং মার্কিন ডলারের মূল্যের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে, এই পরিস্থিতি বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। বিনিয়োগকারীদের মাঝে আশাবাদ হারিয়ে যায় যখন গণমাধ্যম মনে করিয়ে দেয় যে ১ আগস্ট ঘনিয়ে আসছে—এবং এই সময়ের মধ্যেও ট্রাম্প চীন বা ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশের সাথে চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেননি, যারা যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করে থাকে। গতকাল ট্রাম্প উত্তেজনা আরও বাড়ান, শুধু চীন ও ভারত নয়—তিনি ব্রাজিলকেও উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। পাশাপাশি, ব্রিকস সদস্যদের—বিশেষ করে ব্রাজিল এবং ভারতকে—বিনাশমূলক নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখান। স্বাভাবিকভাবেই, এই নতুন সংঘাত মার্কেটের ট্রেডাররা উপেক্ষা করতে পারেনি, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ইকুইটি মার্কেটে কারেকশন শুরু হয় এবং আজ সকালের সেশনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর প্রভাব পড়েছে। যদিও এসব নতুন কিছু নয়, বিনিয়োগকারীরা এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতোই বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর গভীর নজর রাখছেন, কারণ এ মুহূর্তে ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনই মূল বিনিয়োগ পরিস্থিতি নির্ধারণ করছে। ট্রাম্পের নেতিবাচক প্রভাব ট্রেডারদের বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা পানি ঢেলে দিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত, এশিয়ার স্টক সূচকগুলোতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ঠিক যেমনটি ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার সূচকেও দেখা যাচ্ছে। অবশ্যই, ১ আগস্টের আগমন এবং তার সঙ্গে থাকা বৃদ্ধপ্রায় আধিপত্যবাদীর শুল্ক হুমকিগুলো মার্কেটে চাপ তৈরি করছে—তবে প্রশ্ন হলো: এই নেতিবাচক পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে? যদি ট্রাম্প "আগ্রাসী দেশগুলোর" বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য না করেন, তাহলে আমার মনে হয় বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ ধীরে ধীরে আরও নির্দিষ্ট বিষয়ে স্থানান্তরিত হবে—যার মধ্যে একটি হলো জুলাই মাসের যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন। সর্বসম্মত পূর্বাভাস অনুযায়ী, নতুন নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা 106,000-এ পৌঁছাতে পারে, যা এক মাস আগে ছিল 147,000। বেকারত্বের হার 4.1%-এর জায়গায় 4.2% হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে বার্ষিক গড় ঘণ্টাপ্রতি আয় 3.7%-এর পরিবর্তে 3.8% এবং জুলাই মাসে 0.2%-এর তুলনায় 0.3% বাড়তে পারে। এর বাইরে, ট্রেডারদের দৃষ্টি গত মাসের উৎপাদন সংক্রান্ত PMI-এর দিকেও থাকবে, যা 52.9 থেকে কমে প্রতীকী 50-এর নিচে 49.5-এ নেমে আসতে পারে।
মার্কেটের ট্রেডাররা এসব খবরের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে? যুক্তরাষ্ট্র বনাম শক্তিশালী উৎপাদক দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া বাণিজ্য সংঘাতের পটভূমিতে, বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত এখনো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর দিকে মনোযোগ সরাবে। যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সামগ্রিকভাবে আরও নেতিবাচক চিত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে ট্রেডাররা মনে করতে পারে যে ফেডারেল রিজার্ভ সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার 0.25% কমাতে বাধ্য হবে। এই প্রত্যাশিত পদক্ষেপ মার্কেটের পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে এবং গতকালের শুরু হওয়া বিক্রির প্রবণতা থামাতে বা এমনকি সার্বিক প্রবণতা বদলে দিতেও পারে। যদি নতুন চাকরির সংখ্যা সামান্য বেশি হয়, তাহলে মার্কিন ডলার স্থানীয়ভাবে সমর্থন পেতে পারে এবং ডলার সূচক ফের 100.00 লেভেলের উপরে উঠে যেতে পারে, যেখানে এটি বর্তমানে নিচে রয়েছে। এই ধরনের ফলাফল স্টক মার্কেটের বিনিয়োগকারীদেরও কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, গতকাল এবং আজ ট্রাম্পের চীন ও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন, যদিও এটি কিছুটা প্রত্যাশিত ছিল, সংঘাতের কারণে হওয়া ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে দিতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4oo8ocb
-
ISM পরিষেবা সূচক ও শ্রম ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং ফেডের সংকেত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1430037806.jpg[/IMG]
আসন্ন সপ্তাহে EUR/USD পেয়ারের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে এর মানে এই নয় যে মার্কেটে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করবে—যুক্তরাষ্ট্ ের স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতিও বিনিয়োগকারীরা তীব্রভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এর কারণ হলো, গত সপ্তাহের শেষে প্রকাশিত জুলাইয়ের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ডলারের মৌলিক প্রেক্ষাপটকে নাটকীয়ভাবে বদলে দিয়েছে। রূপকভাবে বলতে গেলে, এ যেন "রাজার গায়ে পোশাক নেই": যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (BLS) মে ও জুন মাসে প্রকাশিত শক্তিশালীভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির আগের তথ্যকে ভুল বলে ঘোষণা করেছে। এই কঠিন বাস্তবতায় ট্রেডাররা বিস্মিত হয়ে পড়ে: দেখা যায়, মে মাসে কেবলমাত্র 19,000টি (যেখানে আগের তথ্য ছিল 139,000), এবং জুনে মাত্র 14,000 (আগে দাবি করা হয়েছিল 147,000) কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিল। 258,000 কর্মসংস্থানের সংখ্যার সংশোধন কোনো "পরিসংখ্যানগত ত্রুটি" নয়—এটি মার্কিন ডলারের জন্য একটি বড় ধাক্কা, যার পূর্ববর্তী দর বৃদ্ধি মূলত শ্রমবাজারের টানাপোড়েনের ওপর নির্ভর করছিল। অতএব, ননফার্ম পেরোলের ফলাফলের সংশোধন এবং জিডিপি উপাদানগুলোর বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর ট্রেডাররা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সামনের প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধিতে মন্থরতা কিংবা অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ঘোষিত 3% জিডিপি প্রবৃদ্ধি মূলত হিসাবভিত্তিক কৃত্রিমতা ছিল—যার পেছনে ছিল "অ্যাকাউন্টিং এনহান্সমেন্ট অ্যালগরিদম।" হঠাৎ করে আমদানির 30% হ্রাস (যা জিডিপির নেতিবাচক উপাদান হ্রাস করে) মূল্য সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটিয়েছে, অথচ দেশীয় চাহিদা এবং বিনিয়োগ পরিস্থিতি দুর্বল ছিল। বাণিজ্য ও তথাকথিত মজুদের প্রভাব বাদ দিলে প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র 1.2%–1.4%। এ কারণেই আসন্ন সব সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট সাম্প্রতিক এসব প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্লেষণ করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের দেড় ঘণ্টা পর প্রকাশিত ISM উৎপাদন সূচক ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। প্রথমত, সূচকটি টানা পাঁচ মাস ধরে সংকোচনের অঞ্চলে (৫০ পয়েন্টের নিচে) অবস্থান করছে। দ্বিতীয়ত, এটি প্রত্যাশিত 49.5-এর পরিবর্তে 48.0-এ নেমে এসেছে, যা উৎপাদন খাতের আরও অবনতি নির্দেশ করে। দুর্বল অর্ডার এবং কর্মসংস্থানের তীব্র পতন বিনিয়োগকারীদের আবার যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক ঝুঁকির কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার, 5 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ISM পরিষেবা PMI প্রকাশিত হবে। মে মাসে এই সূচক 49.9-এ নেমে গিয়েছিল, তবে জুনে তা বেড়ে 50.8 হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুলাইয়ে এটি আরও বেড়ে 51.5 হতে পারে। তবে যদি এটি আবার ৫০-এর নিচে নেমে আসে, তাহলে ডলারের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হতে পারে, কারণ পরিষেবা খাতই বর্তমানে জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে ধরে রাখার শেষ শক্তিশালী স্তম্ভ। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় খাত, যা জিডিপির 70%-এর বেশি এবং মোট কর্মসংস্থানের 75%-এর বেশি প্রতিনিধিত্ব করে। যদি ISM পরিষেবা সূচক আবার ৫০-এর নিচে নামে, তাহলে বোঝা যাবে যে এখন উৎপাদন ও পরিষেবা—উভয় খাতেই মন্থরতার সম্ভাবনা বিস্তৃত হয়ে গেছে। এই প্রতিবেদনটিই সম্ভবত সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন। অন্য প্রতিবেদনগুলোর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম হলেও, তা সামগ্রিক মৌলিক চিত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সোমবার, 4 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ফ্যাক্টরি অর্ডারস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি একটি ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির ইঙ্গিত প্রদানকারী সূচক, যা ভোক্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে উৎপাদন চাহিদার পরিবর্তন নির্দেশ করে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, জুন মাসে অর্ডারস 4.9% হ্রাস পেতে পারে, যেখানে আগের মাসে তা 8.2% বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই ফলাফল—বিশেষ করে ISM উৎপাদন সূচকের সংকোচনের প্রেক্ষাপটে—মার্ িন ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বৃহস্পতিবার, 7 আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিট লেবার কস্ট (ULC) সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অধিকাংশ বিশ্লেষক ধারণা করছেন দ্বিতীয় প্রান্তিকে শ্রমব্যয় কেবলমাত্র 1.4% বৃদ্ধি পা, যেখানে প্রথম প্রান্তিকে তা 6.6% বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি শ্রম ব্যয় পূর্বাভাসের অনুযায়ী বা তার চেয়েও কম আসে, তাহলে তা মজুরি বৃদ্ধির ধীরগতির সংকেত দেবে—যা সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর পক্ষে একটি অতিরিক্ত যৌক্তিকতা তৈরি হবে। আসলে, জুলাইয়ের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন প্রকাশের পর, ফেডের পরবর্তী বৈঠকে 25 বেসিস পয়েন্ট সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা 35% থেকে বেড়ে 80%-এ দাঁড়িয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, সপ্তাহজুড়ে অনুষ্ঠেয় ফেডের কর্মকর্তাদের কয়েকটি বক্তব্য মার্কেটের ট্রেডারদের ডোভিশ বা নমনীয় মনোভাবকে আরও শক্তিশালী বা ভারসাম্যপূর্ণ করতে পারে। বুধবার, 6 আগস্ট সান ফ্রান্সিসকো ফেড প্রেসিডেন্ট মেরি ডেইলি বক্তব্য দেবেন। এ বছর তাঁর ভোটাধিকার নেই। জুলাইয়ে তিনি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারীদের শিবিরে মৌখিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন (যদিও তিনি তখন সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন), এবং বছরের শেষ নাগাদ দুইবার হার কমানোর পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায়, তার বক্তব্যে আরও নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে। এই দিনেই বোস্টন ফেডের প্রেসিডেন্ট সুসান কলিন্সও বক্তব্য দেবেন। তার এ বছর ভোটাধিকার রয়েছে এবং তিনি সাধারণত মধ্যপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেন, যার ফলে তাঁর বক্তব্য সাধারণত সতর্ক হয়ে থাকে। যদি তিনি তার স্বাভাবিক সতর্কতা সত্ত্বেও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের দিকে ঝুঁকেন, তাহলে ডলারের ওপর তাৎক্ষণিক চাপ তৈরি হতে পারে। এছাড়া, বুধবার ফেডের গভর্নর লিসা কুক (FOMC-এর স্থায়ী ভোটার) বক্তৃতা দেবেন। তিনি সাধারণত মাঝারি মাত্রায় ঝুঁকি গ্রহণের দৃষ্টিভঙ্গির পরিচিত মুখ, তাই তার বক্তব্যে যেকোনো ধরনের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত EUR/USD পেয়ারের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। পরের দিন, 7 আগস্ট আটলান্টা ফেডের প্রেসিডেন্ট রাফায়েল বোস্টিক বক্তব্য দেবেন (2025 সালে তাঁর ভোটাধিকার নেই)। তিনি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং বলেছেন যে তিনি বছরের শেষ নাগাদ কেবল একবার সুদের হার কমানোর পক্ষপাতী—তাও যদি শ্রমবাজার শক্তিশালী থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেতে থাকে। শুক্রবারের "সারপ্রাইজ"-এর পর, তার অবস্থান অনেকটাই নমনীয় হয়ে যেতে পারে। শুক্রবার, 8 আগস্ট সেন্ট লুইস ফেড প্রেসিডেন্ট আলবার্টো মুসালেম (যার এ বছর ভোটাধিকার রয়েছে) তার মতামত প্রকাশ করবেন। মুসালেম "অপেক্ষা করুন ও দেখুন" পন্থার সমর্থক—তিনি জুলাইয়ে বলেছিলেন যে শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব পুরোপুরি মুদ্রাস্ফীতিতে প্রতিফলিত হবে 2025 সালের শেষভাগে বা 2026 সালের শুরুতে। জুলাইয়ের NFP-র ফলাফল তার অবস্থান বদলাতে পেরেছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সুতরাং, এই সপ্তাহের মূল সামষ্টিক প্রতিবেদন এবং ফেড সদস্যদের মন্তব্য মার্কিন ডলারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/46AG9QZ
-
৬ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারে মাত্র একটি প্রাসঙ্গিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। সকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটি মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল প্রকাশিত মার্কিন ISM ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবুও এটি স্পষ্টভাবে প্রভাব বিস্তারকারী ফলাফল প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তা মার্কেটে মাত্র 30 পিপসের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে স্পষ্টতই ট্রেডাররা এক ধরনের শীতনিদ্রায় রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/791213037.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: আবারও বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছুই নেই। দিন শেষে, ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্য লিসা কুক ভাষণ দেবেন, যা বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আগ্রহ করবে – কারণ এই মুহূর্তে ফেডের যেকোনো সদস্যের ভাষণই গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমবাজার সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশের পর, সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বেড়ে প্রায় 90%-এ পৌঁছেছে। ফেডারেল রিজার্ভের যেকোনো কর্মকর্তার মুদ্রানীতিমালার নমনীয়করণের পক্ষে ভোট দেওয়ার প্রস্তুতির যেকোনো ইঙ্গিতকে ট্রেডাররা স্বাগত জানাবে। মার্কেটের বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ, যা গত শুক্রবার থেকে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমাদের দৃষ্টিতে, যেকোনো বাণিজ্যিক চুক্তি – যদি তাতে শুল্ক বহাল রাখে – তা প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্যযুদ্ধের আরেক রূপ, শুধু "ভিন্ন নামে"। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশি ইতিবাচক, এবং এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তিই মার্কিন ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তবে বৃহত্তর এবং মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়টি মাথায় রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নতুন নতুন শুল্ক আরোপ করছেন এবং বিদ্যমান শুল্কের হার বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন, যার উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্ব থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করা। আমরা ইতোমধ্যেই গত সপ্তাহে মার্কিন অর্থনীতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে, তার কিছুটা আভাস পেয়েছি: জিডিপি হয়তো বাড়তে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক সম্ভবত বাড়বে না। সাম্প্রতিক সময়ে, ট্রাম্প 60টি দেশের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন এবং এখন তিনি ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন, কারণ ভারত রাশিয়ান তেল ক্রয় বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1809384174.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হতে পারে। আমাদের মতে, শুক্রবার ডলারের জন্য একাধিক নেতিবাচক ঘটনা পুরো সপ্তাহজুড়েই ইউরো ও পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থান ধরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। 1.1527–1.1571 জোন থেকে ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখতে পারে এবং একটি সংশ্লিষ্ট বাই সিগন্যাল ইতোমধ্যে গঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য গতকাল 1.3259 স্তর থেকে রিবাউন্ড করেছে এবং এখন মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া অতিক্রমের চেষ্টা করবে।
Read more: https://ifxpr.com/46KuZJt
-
আজই সুদহার কমাতে যাচ্ছে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1735782011.jpg[/IMG]
দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে সুদহার নামিয়ে আনার প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ডের দর আজ ডলারের বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড মূল নীতিগত সুদহার 25 বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে 4%-এ নামিয়ে আনবে—যা আগের প্রান্তিকে শুরু হওয়া আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ধারাবাহিকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করা হবে লন্ডন সময় দুপুর 12:00-এ, যার আধা ঘণ্টা পর গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি একটি সংবাদ সম্মেলন আসবেন। এই প্রত্যাশিত সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া অর্থনীতিকে সহায়তা দেওয়ার ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের চলমান প্রচেষ্টারই প্রতিফলন ঘটায়। সুদের হার কমিয়ে 4%-এ নামানো হলে ব্যবসা ও ভোক্তাদের জন্য ঋণ নেওয়ার পরিবেশ সহজতর হবে, যা বিনিয়োগ ও ভোক্তা ব্যয়কে উৎসাহিত করতে পারে। তবে, এই পদক্ষেপে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। অতিরিক্ত নমনীয় মুদ্রানীতি মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়াতে পারে এবং পাউন্ড স্টার্লিংকে দুর্বল করতে পারে। অ্যান্ড্রু বেইলির সংবাদ সম্মেলনটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট, যেখানে তিনি সুদের হার কমানোর পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা করবেন এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেবেন। ভবিষ্যৎ নীতিমালা সংক্রান্ত দিকনির্দেশ ও যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত খুঁজে পেতে ট্রেডাররা তার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। এটা স্পষ্ট যে মনেটারি পলিসি কমিটি (MPC) মূল্যস্ফীতির নতুন ঢেউয়ের প্রেক্ষাপটে সতর্ক অবস্থান বজায় রাখছে। হালনাগাদ পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসের তুলনায় স্বল্পমেয়াদে মূল্যস্ফীতির আরও বেশি চাপ দেখা হতে পারে। তবে, অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও বাড়ছে, বিশেষ করে বসন্তে টানা দুই মাসের সংকোচন এবং এপ্রিলের পে-রোল ট্যাক্স ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ফলে নিয়োগ হ্রাসের প্রেক্ষিতে। অর্থনীতিবিদদের মতে, MPC-এর সদস্যগণ বর্তমান দিকনির্দেশনা বজায় রাখবে, যার ফলে মার্কেটে সুদহার কমানোর গতি ধীর হবে বলে প্রত্যাশা গড়ে উঠছে। এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে MPC-র নয়জন সদস্যের মধ্যে বিভাজন স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস, কমিটির একটি বড় অংশ সুদের হার 25 বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে থাকবে, দুইজন সদস্য 50 বেসিস পয়েন্ট কমানোর পক্ষে অবস্থান নেবেন এবং আরও দুইজন কোনো পরিবর্তন না করার পক্ষে থাকবেন—যা গত তিন মাস আগের বিভাজনের প্রতিরূপ। MPC সম্ভবত এমন একটি দিকনির্দেশনা বজায় রাখবে যা ধীরে ও সতর্কভাবে সুদহার কমানোর পথে চালিত করবে, যেখানে প্রতিটি বৈঠকে নীতিমালার পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। এটি পাউন্ডকে কিছুটা সমর্থন দিতে পারে, কারণ গতকাল পাউন্ডের দর ডলারের বিপরীতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও, ট্রেডাররা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে যেকোনো ইঙ্গিত সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে ধরে নিচ্ছে যে বছরের শেষ নাগাদ—আজকের সিদ্ধান্তসহ—আরও দুইবার সুদের হার হ্রাস করা হবে, যার ফলে 2026 সালে মূল সুদের হার 3.5%-এ নেমে আসবে। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি 17 মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর 3.6%-এ পৌঁছেছে, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পূর্বাভাসের চেয়ে 0.2 শতাংশ বেশি। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি পূর্বাভাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি প্রায় 4% হবে বলে ধরে নিতে পারে। যদিও ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলি মনে করছেন এই মুদ্রাস্ফীতি অস্থায়ী প্রকৃতির, তবে ব্যাংকটির প্রধান অর্থনীতিবিদ হিউ পিলসহ অনেকে মজুরি ও পণ্যমূল্যে গৌণ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে বেকারত্ব সংক্রান্ত পূর্বাভাসের দিকেও নজর দেওয়া হতে পারে, কারণ MPC ক্রমবর্ধমানভাবে চাকরি হারানোর আশঙ্কায় করছে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ডের ক্রেতাদের এখন মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3380 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3425-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যেতে পারবে, যার ব্রেকআউট করে মূল্যের উর্ধ্বমুখী হওয়ার বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3450 লেভেল। অন্যদিকে, যদি পুলব্যাক দেখা যায়, তাহলে বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3330 লেভেল পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, সেই রেঞ্জের ব্রেক করে মূল্য নিম্নমুখী হলে সেটি GBP/USD ক্রেতাদের ওপর বড় আঘাত হবে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.3280 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে, যার পর 1.3250 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হতে পারে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস বর্তমানে ক্রেতাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1690 লেভেলে পুনরুদ্ধার করা। কেবল তখনই 1.1730 টেস্টের সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1760 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হতে পারে। সবচেয়ে দূরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে 1.1800-এর লেভেল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, যদি দরপতন দেখা দেয়, তাহলে মূল্য 1.1655 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহের আশা করা যায়। যদি সেই জায়গায় কোনো ক্রয় কার্যক্রম না দেখা যায়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের 1.1610 লেভেল পুনরায় টেস্টের জন্য অপেক্ষা করাই যুক্তিযুক্ত হবে, অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশনের পরিকল্পনা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4mv1Zdf
-
শুল্কই এখনও মার্কেটে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/912514779.jpg[/IMG]
ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রকে একমাত্র আধিপত্য বিস্তারকারী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অন্যান্য দেশ ও মহাদেশকে জোরপূর্বক নতিস্বীকার করানোর পেছনে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার এই শুল্কভিত্তিক নীতিই বর্তমানে মার্কেটে প্রাধান্য বিস্তার করছে এবং এর ফলে অস্থিরতার মাত্রা অনেক বেড়ে গেছে — যা উপেক্ষা করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। একের পর এক নতুন শুল্কের ঘোষণায় মার্কেট ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলে গেছে, কারণ এখনও স্পষ্ট নয়—শেষ পর্যন্ত এর পরিণতি কী হবে। তবে এমন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতেও বিনিয়োগকারীরা লাভজনক ট্রেডিং সুযোগ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, ট্রাম্প যখন ঘোষণা দেন যে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় উৎপাদকদের ছাড় দিয়ে বিদেশি কোম্পানির আমদানিকৃত সেমিকন্ডাক্টরের উপর 100% শুল্ক আরোপ করা হবে—তখন প্রযুক্তি খাতের স্টকের প্রতি ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়। এর ফলে বৃহস্পতিবার ট্রেডিং সেশনের শেষভাগে নাসডাক 100 সূচকের দর প্রায় সাম্প্রতিক সর্বকালের উচ্চতার কাছাকাছি ফিরে আসে। অন্যদিকে, মার্কিন ডলার—যা তত্ত্ব অনুযায়ী বাণিজ্য ও শুল্ক-সম্পর্কিত অনিশ্চয়তা এবং ফেডারেল রিজার্ভের আগাম সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা থেকে চাপের মুখে থাকার কথা—তা এখনও আশ্চর্যজনকভাবে স্থিতিশীল রয়ে গেছে। একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে কমোডিটি মার্কেটেও। যেমন: অপরিশোধিত তেলের দাম একটি তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ রেঞ্জে রয়েছে। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটেও। এই সবকিছুর মূল কারণ ট্রাম্পের আগ্রাসী ও স্বেচ্ছাচারী নীতিমালা। এটা এখনো অনিশ্চিত যে কবে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে। বরং আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে, নতুন শর্তে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরও, মার্কিন বাণিজ্য অংশীদাররা বর্তমান কঠোর শর্তাবলীর বিরুদ্ধে আপত্তি জানাবে — যা পরবর্তীতে মার্কেটের পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রতিফলিত হবে। তাহলে এমন পরিস্থিতিতে কোন অ্যাসেটগুলো আকর্ষণীয় হতে পারে? আমার মতে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্ িক কোম্পানির স্টকগুলোই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তনির্ভর নীতির কারণে যতটা বিশৃঙ্খলা বাইরে তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যেও স্পষ্ট একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে—সেটি হলো বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদে উপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে স্থানীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দেওয়া এবং সুদের হার শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনার চেষ্টা। হ্যাঁ, এটি একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থাগত ও ইচ্ছাকৃত প্রক্রিয়া—কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এটাকেই একমাত্র সঠিক পথ হিসেবে বিবেচনা করছেন। এর মানে, যেসব কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের জন্য পণ্য ও সেবা তৈরি করে, সেগুলোর শেয়ারের দাম বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের বিষয়ে বলতে এগেলে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির অধীনে, নিকট ভবিষ্যতে ক্রিপ্টো মার্কেটে আত্মবিশ্বাসী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে—এমনটা ঘটার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। আমি আগেও উল্লেখ করেছি—যখন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা থাকে, তখন বন্ড এবং অন্যান্য সুদবিহীন অ্যাসেট (যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, স্বর্ণ এবং ফরেক্স ইনস্ট্রুমেন্ট)–এর প্রতি চাহিদা কমে যায়। আর এই প্রেক্ষাপটে, মার্কিন ইকুইটি এগিয়ে থাকবে। সার্বিকভাবে বিশ্লেষণ করলে বলা যায়—কমোডিটি, স্বর্ণ, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং এমনকি মার্কিন ডলারের ডলারের সাইডওয়ে প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। অপরদিকে, মার্কিন স্টক সূচক এবং মার্কিন কর্পোরেট স্টকসমূহ সমর্থন পেতে থাকবে।
Read more: https://ifxpr.com/46SE6Ih
-
১১ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। তাই আজ মার্কেটে খুব দুর্বল মুভমেন্ট এবং কোনো প্রবণতা না থাকার সম্ভাবনা বেশি। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, যার অর্থ যেকোনো মুহূর্তে নতুন শুল্কের ঘোষণা আসতে পারে। বিকল্পভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আরও কোনো উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যা মার্কেটের ট্রেডারদের ডলার বিক্রিতে প্ররোচিত করবে। গত দুই সপ্তাহে মার্কেটের বিনিয়োগকারীরা ডলার বিক্রি চলমান রাখার জন্য যথেষ্ট কারণ পেয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/396028122.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা বাড়ছে, সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বাড়ছে এবং ট্রাম্প শুল্ক আরোপ অব্যাহত রেখেছেন। ট্রেডারদের জন্য বাণিজ্য যুদ্ধই এখনো মূল আলোচ্য বিষয় এবং গত সপ্তাহে এটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমরা এখনো মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বজায় থাকে, তা মূলত একই বাণিজ্য যুদ্ধ, শুধু "ভিন্ন নামে"। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বেশি সুবিধাজনক। তাই এই ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। তবে আরও বিস্তৃত ও মৌলিক পর্যায়ে, মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতি বিবেচনায় রাখবে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সঙ্গে বেশ কিছু জোরালো বিবৃতি দিয়েছেন। সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে তথ্য প্রবাহ আসা অব্যাহত থাকতে পারে, তাই যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করা উচিত নয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1474821192.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গত শুক্রবার শুরু হওয়া ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আমাদের মতে, সম্প্রতি ডলারের জন্য পর্যাপ্ত নেতিবাচক ঘটনা ঘটেছে, যা মার্কেটে শান্ত ও ধারাবাহিকভাবে মার্কিন মুদ্রা বিক্রি অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে। ইউরোর মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া থেকে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
Read more:https://ifxpr.com/45ct27y
-
মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধবিরতি ৯০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/695876692.jpg[/IMG]
গতকাল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির বিরতি আরও ৯০ দিনের জন্য, অর্থাৎ নভেম্বরের শুরু পর্যন্ত, বাড়ানোর পর বহু বিনিয়োগকারী ও ট্রেডার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। এই পদক্ষেপ বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে। এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য আশাবাদের সংকেত হিসেবে কাজ করেছে, যা বাণিজ্যযুদ্ধের আরও তীব্রতার আশঙ্কা করছিল—এই সংঘাত বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করতে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে ব্যাহত করতে পারত। যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হওয়ায় সেটি কোম্পানিগুলিকে আমদানি ও রপ্তানির খরচ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিকল্পনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেবে, যা ইতিবাচক বিনিয়োগ পরিস্থিতিকে সমর্থন করে। তবে, মার্কেটে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও মনে রাখা জরুরি যে এটি কেবল একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ। আগামী ৯০ দিনে উভয় পক্ষেরই বিদ্যমান বিরোধ সমাধান এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের আরও অস্থিতিশীলতা রোধ করার জন্য পারস্পরিকভাবে সুবিধাজনক একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ট্রাম্প একটি আদেশে স্বাক্ষর করে চীনের সাথে বাণিজ্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন, যার ফলে মঙ্গলবার নির্ধারিত শুল্ক বৃদ্ধির কার্যকরী সময় পিছিয়ে গেল। শিথিলকরণ কার্যকর হয়েছিল যখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পারস্পরিক শুল্ক বৃদ্ধির মাত্রা কমাতে এবং বিরল খনিজ ও কিছু প্রযুক্তির রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে সম্মত হয়। হোয়াইট হাউসের বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন সময়সীমা ছাড়া চুক্তির মূল উপাদানগুলো অপরিবর্তিত থাকবে। একইভাবে, চীনও ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের পদক্ষেপ স্থগিত রাখার সময়সীমা আরও 90 দিনের জন্য বাড়াবে। গত মাসে সুইডেনে, উভয় পক্ষের আলোচকরা চুক্তি বজায় রাখার জন্য একটি প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন। এই সমঝোতার বাড়ানো না হলে, চীনা পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্ক কমপক্ষে 54% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেত। এই সময়সীমা বৃদ্ধি উভয় দেশকে অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আরও সময় দেবে, যেমন—ফেন্টানিল বাণিজ্যের সাথে সম্পর্কিত শুল্ক যা ট্রাম্প বেইজিংয়ের ওপর আরোপ করেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্বেগ যে চীন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থেকেও রাশিয়া ও ইরান থেকে তেল কিনছে, এবং চীনে মার্কিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে মতপার্থক্য। এই সমঝোতা ট্রাম্পের জন্য অক্টোবরের শেষের দিকে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের পথ প্রশস্ত করতে পারে। আদেশে ট্রাম্প লিখেছেন, "যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের পারস্পরিকতার অভাব এবং এর ফলে সৃষ্ট জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সমস্যাগুলো সমাধান করতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের (PRC) সাথে আলোচনায় অব্যাহত রয়েছে। এই আলোচনার সময়, চিন পারস্পরিক নয় এমন বাণিজ্য চুক্তিগুলো সংশোধন করতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক বিষয়গুলো সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।" কারেন্সি মার্কেটে, এই খবরের প্রভাবে মার্কিন ডলারের দর কয়েকটি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1640 লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। কেবল মূল্য এই লেভেলে পৌঁছালেই 1.1670 টেস্ট করার সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1695-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও মার্কেটের বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1730 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, কেবল মূল্য 1.1600 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয়চাপের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যদি সেখানে ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তবে 1.1560 লেভেলের টেস্ট বা 1.1530 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করাই ভালো।
GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল 1.3470 অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই মূল্যকে 1.3502-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে, যার উপরে আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3540 লেভেল। যদি এই পেয়ারের দরপতন হয়, তাহলে বিক্রেতারা মূল্য 1.3400-এ থাকা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এতে তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করে নিম্নমুখী হলে সেটি ব্যাপক দরপতন নিয়ে আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3375-এর দিকে নিয়ে যাবে, যারপর 1.3350 পর্যন্ত দরপতন বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/45rpblJ
-
১৩ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/62574792.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারের জন্য কেবল একটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে — জার্মানির জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় প্রাক্কলন প্রকাশিত হবে। ইইউ-তে সাধারণত দ্বিতীয় প্রাক্কলন প্রথমটির থেকে ভিন্ন হয় না, জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির গুরুত্ব ইউরোজোনের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি সূচকের তুলনায় অনেক কম, এবং বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো ভূমিকা রাখছে না, কারণ ব্যাংকটি মূল সুদের হার নিরপেক্ষ স্তরে নামিয়ে এনেছে। তাই, ইউরোর উপর এই প্রতিবেদনের ফলাফলের কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। আজ যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারেও তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্ধারিত নেই। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য অস্টান গুলসবী, রাফায়েল বস্টিক এবং থমাস বারকিনের বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, যত বেশি ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির কথা প্রকাশ করবেন, ততই মার্কিন ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা বাড়বে। তবে, এখন সবাই স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে যে সেপ্টেম্বর মাসে মূল সুদের হার কমানো হবে। ট্রেডারদের মূল মনোযোগ এখনো বাণিজ্য যুদ্ধের রয়েছে, যা গত সপ্তাহে নতুন মাত্রা পেয়েছে। আমরা এখনো মনে করি, শুল্ক বহাল রয়েছে যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিই মূলত একই বাণিজ্য যুদ্ধ, যা শুধু ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। অবশ্য ইইউ বা জাপানের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই, এ ধরনের প্রতিটি নতুন চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধিকে প্ররোচিত করতে পারে। তবে, বৈশ্বিক ও মৌলিক দিক থেকে বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/183990579.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে বিরতি দেখা যেতে পারে। আজ কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক প্রেক্ষাপট থাকবে না। তবুও, নতুন করে ডলারের দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তা সম্ভবত সামান্য হবে। আজ শুধুমাত্র টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা উচিত, যে বিষয়ে আগের দুইটি প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
Read more: https://ifxpr.com/45MCMp7
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনার বিষয়টি এখনও মার্কেটে প্রাধান্য বিস্তার করছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/484526462.jpg[/IMG]
বুধবার, বিনিয়োগকারীরা সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে এমন প্রত্যাশার মূল্যায়ন অব্যাহত রেখেছে, যার ফলে এ বছরের বসন্তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে শুরু হওয়া শুল্ক-সংক্রান্ত বিষয়টি কিছুটা পিছনের সারিতে চলে গেছে। সম্ভাব্য ফেড সুদের হার কমানোর সাথে যুক্ত উচ্ছ্বাসের ঢেউয়ে ভেসে, মার্কিন স্টক মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা দৃঢ়ভাবে ধারণা করছেন যে সুদের হার সত্যিই কমানো হবে। এটি ফেডারেল ফান্ডস রেট ফিউচার্সের অব্যাহত বৃদ্ধির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে, যা আজ সকালে 95.8% সম্ভাবনা দেখাচ্ছে, যেখানে গতকাল এটি ছিল 94.2%। এমনকি ফেডের দুই ভোটাধিকারপ্রাপ্ত সদস্য—শিকাগো ফেডের প্রেসিডেন্ট গুলসবি এবং আটলান্টা ফেডের প্রেসিডেন্ট বস্টিক—যারা মূলত শুল্ক ইস্যুর কারণে সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তারাও বিনিয়োগকারীদের মনোভাব পরিবর্তন করতে পারেননি। গুলসবি মনে করেন, যদি মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে থাকে এবং শ্রমবাজার দুর্বল হয়, তাহলে মার্কিন অর্থনীতি স্থবির-মুদ্রাস্ফীতির ধাক্কার মুখে পড়তে পারে। এছাড়াও, তিনি জুলাই মাসে মূল মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির দিকে ইঙ্গিত করে তার সংশয়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন, যদিও বার্ষিক ভিত্তিতে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির হার অপরিবর্তিত ছিল। আমার মতে, ফেডের সুদের হার কমানোর বিষয়ে ট্রেডাররা আস্থা কেবল সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির স্থিতিশীলতা থেকেই নয়, বরং এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবিচল অবস্থান থেকেও এসেছে। মনে করিয়ে দিই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সক্রিয়ভাবে আরও অনুগত প্রার্থী দিয়ে ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করছেন, যাতে দ্রুত সুদের হার কমানো এবং দেশীয় উৎপাদন উদ্দীপিত করার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়। ট্রাম্পের অবস্থান এবং বিনিয়োগকারীদের সামগ্রিক মনোভাব বিবেচনা করে, আমার বিশ্বাস মার্কিন স্টক মার্কেটে আরও প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে এমন যেকোনো পরিসংখ্যান স্টক মার্কেটকে আরও ঊর্ধ্বমুখী করবে। উদাহরণস্বরূপ, আজ বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি উৎপাদক মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে থাকবে, যা সর্বসম্মত পূর্বাভাস অনুযায়ী, বার্ষিক ভিত্তিতে 2.3% থেকে বেড়ে 2.5% হতে পারে এবং মাসিক ভিত্তিতে জুনের শূন্য থেকে জুলাইয়ে 0.2% হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, সাপ্তাহিক প্রাথমিক বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও গুরুত্ব পাবে, যা গত সপ্তাহের 226,000 থেকে সামান্য কমে 225,000 হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে? বেকারভাতা আবেদনের সংখ্যার যেকোনো হ্রাস ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটের (বিশেষ করে স্টক) চাহিদা সমর্থন করে। উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) বৃদ্ধির ফলে ট্রেডারদের মনোভাবে বড় ধরনের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। যেমন আমি বহুবার উল্লেখ করেছি, মার্কিন অর্থনৈতিক কাঠামোতে ফেডের নীতিমালা এবং সুদের হার পূর্বাভাসে ভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) উৎপাদন সংক্রান্ত উপাদানের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। দিনের শেষে, ট্রাম্প এবং রিচমন্ড ফেড প্রেসিডেন্ট থমাস বার্কিন বক্তব্য আশা করা হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি, শুল্ক এবং মার্কিন অর্থনীতিতে বহিরাগত প্রভাব নিয়ে তাদের মতামত স্বল্পমেয়াদে অ্যাসেটের মূল্যে প্রভাব ফেলতে পারে। বাজার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আমি এটিকে মধ্যম পর্যায়ের ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করছি।
দৈনিক পূর্বাভাস: #SPX সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ফেডের সুদের হার কমানোর দৃঢ় প্রত্যাশার পটভূমিতে S&P 500 ফিউচার্সের CFD নতুন স্থানীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে, সামান্য কারেকশনের অংশ হিসেবে দরপতনের মাধ্যমে সূচকটির 6,441.25-এ পৌঁছানোর পর পুনরায় 6,486.20-এ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সূচকটি ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হল 6,445.01। #NDX সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ফেডের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার মধ্যে নাসডাক 100 ফিউচার্সের CFD-ও নতুন স্থানীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ পরিস্থিতিতে, সম্ভাব্য সামান্য কারেকশনের অংশ হিসেবে দরপতনের মাধ্যমে সূচকটির 23,717.70-এ পৌঁছানোর পর পুনরায় 24,000.00-এ প্র বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। সূচকটি ক্রয়ের জন্য সম্ভাব্য লেভেল হল 23,741.90।
Read more: https://ifxpr.com/3V19HjC
-
১৫ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/249552503.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবারে খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন রয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোজোনের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন, খুচরা বিক্রয় এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে ভোক্তা মনোভাব সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, এবং প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে ভিন্ন হলে ট্রেডারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ফলাফল ও পূর্বাভাসের বিচ্যুতি যত বেশি হবে, মার্কেটে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়াও তত বেশি হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে আলাস্কায় রুশ ও মার্কিন নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকটি উল্লেখযোগ্য। আলোচনা গভীর রাতে শুরু হবে, এবং কখন শেষ হবে তা কেউ জানে না। তাই সম্ভবত এই বৈঠক সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পাওয়ার আগেই ফরেক্স মার্কেট বন্ধ হয়ে যাবে। তবুও, এই ইভেন্টতির কথা মাথায় রাখা উচিত, কারণ এটি মার্কেটে তীব্রমাত্রার অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। ট্রেডারদের কাছে মূল আলোচ্য বিষয় হিসেবে বাণিজ্যযুদ্ধই রয়ে গেছে, যা গত সপ্তাহে নতুন গতি পেয়েছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তি যাতে শুল্ক বহাল থাকে, তা মূলত "অন্য রূপে" একই বাণিজ্যযুদ্ধ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে হওয়া চুক্তির মতো সমঝোতা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন এ ধরনের চুক্তি মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধিকে উসকে দিতে পারে। তবে, বৈশ্বিক এবং মৌলিক দৃষ্টিকোণ থেকে, বিনিয়োগকারীরা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে। এমন মৌলিক পরিস্থিতিতে, ডলারের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই পুনরায় ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গতকাল উভয় পেয়ারের মূল্যেরই কারেকশন হয়েছে, তবে গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা সাপোর্ট লাইনে এসে মুভমেন্ট থেমেছে। আজ কেবল দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল ডলার বিক্রির নতুন কারণ হবে। আলাস্কার আলোচনায় ইতিবাচক ফলাফল আসলে সেটিও ডলার বিক্রির আরেকটি কারণ হতে পারে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, এবং যতক্ষণ তা অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ আমরা এই পেয়ার বিক্রির কোনো কারণ দেখছি না।
Read more: https://ifxpr.com/4lsthAc
-
১৮ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1536206736.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবারে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। ফলে দিনের বেলায় ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না। আমাদের বিশ্বাস, ট্রেন্ডলাইন এবং গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো ব্রেক করতে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর এখন বিক্রেতাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ডলার অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থানে রয়েছে, এবং ইউক্রেনের সামরিক সংঘাতের প্রশমনের সম্ভাবনা, পাশাপাশি ফেডারেল রিজার্ভের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা—এই দুইটি বিষয়ই ট্রেডারদের মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করতে আরও উৎসাহিত করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/967907585.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: সোমবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে কেবল ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠককেই গুরুত্ব দেওয়া যায়, কারণ এগুলো কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যকার চলমান সামরিক সংঘাত সমাধানের দিকে নিয়ে যেতে পারে। আমরা মনে করি না যে এই আলোচনা সহজ, সরল বা দ্রুত হবে। সব ধরনের যুদ্ধবিরতির শর্ত আলোচনা এবং সমঝোতায় পৌঁছাতে একটি বৈঠক যথেষ্ট নয়—এর বাইরে আরও বহু বৈঠকের প্রয়োজন হবে। তবুও, এটি সঠিক পথের দিকে একটি পদক্ষেপ। ট্রেডারদের কাছে মূল অগ্রাধিকার হিসেবে এখনও বাণিজ্যযুদ্ধ রয়ে গেছে। আমরা মনে করি যে, যেকোনো বাণিজ্যচুক্তিতে যদি শুল্ক বহাল থাকে, তাহলে সেটিও বাণিজ্যযুদ্ধই—শু ুমাত্র "অন্য রূপে।" যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলো লাভজনক। তাই অনুরূপ প্রতিটি নতুন চুক্তি মার্কিন ডলারের সাময়িক দর বৃদ্ধির প্রেরণা জোগাতে পারে। তবে বৈশ্বিক এবং মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং সুরক্ষাবাদী নীতিমালার বিষয়টি মাথায় রাখবে। এমন পরিস্থিতিতে ডলারের দৃঢ় দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামান্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার উভয় পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছিল, তবে মূল্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেল বা সাপোর্ট লাইনে এসে আটকে যায়। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো অটুট রয়েছে, এবং তা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা ডলার বিক্রির জন্য কোনো কারণ দেখতে পাচ্ছি না।
Read more: https://ifxpr.com/4mGahz4
-
ইউরোর ইতিবাচক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1347090632.jpg[/IMG]
মার্কিন ডলার যখন ফেডারেল রিজার্ভের আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছে – যা আগামী মাস থেকেই শুরু হতে পারে – তখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নিং কাউন্সিলের সবচেয়ে বিপ্লবী সদস্য তার পদ ছাড়ার আগে শেষ একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসিবির অন্যতম হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য রবার্ট হোল্ৎসমান, যিনি সুদের হার হ্রাস সংক্রান্ত আলোচনায় কখনো কখনো এককভাবে "না" বলেছেন, তিনি চান বাইরের পর্যবেক্ষকরা যেন নীতিনির্ধারকদের মানসিকতা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন যখন তারা ঋণের খরচ নির্ধারণ করেন। অস্ট্রিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ সাবেক অর্থমন্ত্রী মার্টিন কোশারের কাছে হস্তান্তরের আগে হোল্ৎসমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "যখন আমরা কাজ শুরু করি, সর্বসম্মতি একটি শক্তিশালী ও ইতিবাচক সংকেত, কিন্তু যদি পরিস্থিতি পুরোপুরি স্পষ্ট না হয় যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, কারণ সব সিদ্ধান্তেই যৌক্তিকতা থাকে, তখন আমি মনে করি সর্বসম্মতি থেকে বিচ্যুতি বিনিয়োগকারীদের বার্তা প্রদান করে।" যখন মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসে, হোল্ৎসমান জুন মাসের সুদের হার কমানোকে সমর্থন করেননি, যা ঋণগ্রহণের খরচ আরও কমাতো। তিনি সুদের হার কমানোর প্রচারণার সময় নেওয়া অন্যান্য পদক্ষেপও প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। হোল্ৎসমানের অবস্থান প্রকাশ করে যে তিনি আগেভাগে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অবশ্যই ইতিবাচক সংকেত হলেও, তিনি জোর দিয়েছেন প্রবণতার স্থায়িত্ব নিয়ে সতর্ক মূল্যায়নের ওপর। তার মতে, সুদের হার হ্রাস নতুন করে মুদ্রাস্ফীতির ঢেউ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে মার্কিন বাণিজ্য নীতি থেকে উদ্ভূত চলমান অনিশ্চয়তার কারণে। জুলাই মাসে ফ্রাঙ্কফুর্টে তার বিদায়ী নৈশভোজে তিনি প্রথম বেশি স্বচ্ছতার আহ্বান জানালেন, যখন ক্রিস্টিন লাগার্দ তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন ইসিবি কীভাবে আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হতে পারে। হোল্ৎসমান বলেছিলেন, "কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্নমত প্রদান করা অন্যদের তুলনায় সহজ। তবে এমন মুহূর্তও এসেছে যখন আমার মতে সর্বসম্মতি থেকে বিচ্যুতি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল।" এই বিদায়ী পরামর্শই ইসিবির হোল্ৎসমানের ছয় বছরের মেয়াদের ইতি টানল শেষ, যেখানে ৭৬ বছর বয়সী এই নীতিনির্ধারক ইউরোজোনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির উল্লম্ফন মোকাবিলায় গৃহীত নজিরবিহীন সুদের হার বৃদ্ধির অন্যতম প্রবল সমর্থক ছিলেন। এই বছরে ইসিবির জনবলের বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে, হোল্ৎসমান বলেননি তার জায়গায় হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণকারীদের নেতৃত্ব কে নিতে পারেন। তিনি বলেন, "সাতজন নতুন সদস্য আসছে, আমি ধরে নিতে পারি অন্তত একজন বা দুজন এক্ষেত্রে নেতৃত্ব নিতে পারেন, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আমি জানি অনেকে প্রায়শই আমার মূল বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে নয়।" উল্লেখযোগ্য যে ইসিবির হকিশ বা কঠোর অবস্থান সাধারণত ইউরোকে সমর্থন করে, অন্যান্য অ্যাসেটের বিপরীতে এটির মূল্য বৃদ্ধি করে।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1730 লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটি করা হলে 1.1770 লেভেলের টেস্টের সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1790 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1825-এর লেভেল। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে কেবল মূল্য 1.1695 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় আমি উল্লেখযোগ্য ক্রয়চাপের আশা করছি। যদি সেখানে বড় ক্রেতারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1660 লেভেলের টেস্টের জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1635 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা ভালো হবে। GBP/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3555-এ নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই 1.3590 লেভেলে মুভমেন্টের সুযোগ তৈরি করবে, যা ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3615 এরিয়া। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা পুনরায় মূল্যকে 1.3520 লেভেলে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে ক্রেতাদের অবস্থানে বড় ধাক্কা আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3480-এ নেমে আসবে, যেখানে দরপতন আরও প্রসারিত হয়ে মূল্য 1.3445 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
Read more:https://ifxpr.com/4lTeSgN
-
২০ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/230216749.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবার মাত্র দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্য ও ইউরোজোনে জুলাই মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক প্রকাশ করা হবে। ইউরোপের প্রতিবেদনটির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, তাই এটির ফলাফল ট্রেডারদের প্রভাবিত করবে এমন সম্ভাবনা কার্যত নেই। যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনতির ফলাফল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি পুনরায় মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে ব্রিটিশ কারেন্সির দর বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে স্বল্পমেয়াদে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও হ্রাস পাবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1204890816.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার ওয়ালার এবং রাফায়েল বস্টিকের বক্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মনে করিয়ে দিই যে, ফেড সেপ্টেম্বর মাসে মূল সুদের হার কমানোর দিকে এগোচ্ছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে একাধিকবার সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। FOMC কমিটির প্রায় অর্ধেক সদস্য মনে করেন যে ধীরে ধীরে সুদের হার কমানো প্রয়োজন। ফেডের যত বেশি সদস্য নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করবে, মার্কিন ডলারের পুনরায় দরপতনের সম্ভাবনা ততই বাড়বে। এখনও বাণিজ্যযুদ্ধই ট্রেডারদের মূল উদ্বেগের কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আমরা এখনও মনে করি, যেকোনো বাণিজ্য চুক্তিতে যদি শুল্ক বজায় থাকে, তবে তা মূলত "ভিন্ন মোড়কে" একই বাণিজ্য যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের সাথে সম্পাদিত চুক্তিগুলো অবশ্যই লাভজনক। তাই প্রতিটি নতুন এ ধরনের চুক্তি মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে বৈশ্বিক ও মৌলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন বাণিজ্য কাঠামো এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরক্ষাবাদী নীতির বিষয়টি মাথায় রাখবে। এই পরিস্থিতিতে, ডলারের মূল্য শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রদর্শন করবে এমন সম্ভাবনা কম। সম্প্রতি ট্রাম্প নতুন কোনো শুল্ক আরোপ করেননি, কারণ তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাত সমাধানে ব্যস্ত। তাই এই বিষয়টি কিছুটা নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।
উপসংহার: সপ্তাহের তৃতীয় ডিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে, কারণ মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আবারও দুর্বল থাকবে। ইউরোর মূল্য 1.1655–1.1666 এরিয়া ব্রেক করার পর ধীরগতির নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, অন্যদিকে 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের ট্রেড করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3HHZHJ1
-
মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/130812187.jpg[/IMG]
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে সুদের হার কমানোর মাত্রা পুনর্বিবেচনা করতে চাপ দিচ্ছে। বুধবার জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মূল্য সূচক বার্ষিক ভিত্তিতে বৃদ্ধি পেয়ে 3.8%-এ পৌঁছেছে, যা জুন মাসের 3.6%-এর তুলনায় বেশি। অর্থনীতিবিদরা দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 3.6%-এ স্থিতিশীল থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। মুদ্রাস্ফীতির এই বৃদ্ধি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের উপর চাপ বাড়িয়ে তুলেছে, যা সুদের হার কমানোর মাত্রা পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য করছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগামী বছরেই মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফিরে আসবে বলে আশা করছে, তবে জুলাই মাসের মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধির কারণে এই ধারণা জোরদার হয়েছে যে সুদের হার নিয়ে আরও সতর্ক অবস্থান বজায় রাখতে হবে।
আজকের এই ঊর্ধ্বমুখী মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালের জানুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে দ্রুত। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিমান ভাড়া, হোটেল এবং জ্বালানির উচ্চমূল্য এই বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে। সেবাখাতের মুদ্রাস্ফীতি—যা মৌলিক মূল্যস্ফীতির অন্যতম প্রধান সূচক—5%-এ পৌঁছেছে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের 4.9% পূর্বাভাসকেও অতিক্রম করেছে। এই প্রতিবেদন আরও নিশ্চিত করেছে যে চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার র্যাচেল রিভস এপ্রিল মাসে যে কর ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করেছিলেন, তার প্রভাব হিসেবে কোম্পানিগুলো অতিরিক্ত বিলিয়ন পাউন্ডের খরচ ভোক্তাদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পদক্ষেপ বোধগম্য হলেও, এটি ভোক্তা চাহিদার স্থায়িত্ব নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করছে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালক। এর ফলাফল স্পষ্ট: বিভিন্ন পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরিবারগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে যারা আগে থেকেই আর্থিক চাপের মধ্যে আছে। এর ফলে ভোক্তা ব্যয় হ্রাস পেতে পারে, যা খুচরা বাজারসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। এছাড়া, কর বৃদ্ধির ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির কারণে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি ভোক্তারা আরও মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে, তবে তারা উচ্চ মজুরি দাবি করতে পারে, যা কোম্পানিগুলোকে পুনরায় পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য করবে এবং এর ফলে মুদ্রাস্ফীতির একটি চক্র সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতিও বেশ দ্রুত বেড়ে 4.9%-এ পৌঁছেছে, যা আগের মাসের 4.5%-এর তুলনায় বেশি এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। এই প্রেক্ষাপটে, ৭ আগস্ট ধার্যকৃত সুদের হার প্রত্যাশার তুলনায় কম হারে কমানোর সিদ্ধান্তের পর ট্রেডাররা ভবিষ্যৎ সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা কমিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের পর কিছু নীতিনির্ধারক সতর্ক করেছিলেন যে ভোক্তারা হারানো ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলে মজুরি ও দামের উপর প্রভাব তৈরি হতে পারে। পরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে অর্থনীতি ও শ্রমবাজার প্রত্যাশার চেয়ে ভালোভাবে টিকে আছে, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ট্রেডাররা নভেম্বর মাসে সুদের হার সম্ভাবনা এক-তৃতীয়াংশ এবং বছরের শেষে সম্ভাবনা মাত্র 50% হিসেবে মূল্যায়ন করেছিল। এই ধরনের ফলাফল রিভস এবং প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের জন্যও ধাক্কা, যারা ক্ষমতায় এসেছিলেন কর্মজীবী মানুষের জীবনমান উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এখন বরং বাস্তব আয়ের পুনরুদ্ধার স্থবির হয়ে পড়েছে, কারণ ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিপরীতে রয়েছে শ্রমবাজারের দুর্বলতা, এবং সমালোচকরা এর জন্য অক্টোবর মাসের কর বৃদ্ধির বাজেটকে দায়ী করছেন।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এ নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র এই লেভেল ব্রেকআউট করে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হলে 1.3560-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যদিও এর পর আরও মূল্য বৃদ্ধি সম্ভবত কঠিন হবে। পরবর্তী লক্ষ্যমাত্রা 1.3590-এ অবস্থান করছে। দরপতনের, বিক্রেতারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত আসবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3445 পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে 1.3405 পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1670 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে, এরপর 1.1700 টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730-এর দিকে অগ্রসর হতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের শক্তিশালী সহায়তা ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। অন্যদিকে, কেবলমাত্র মূল্য 1.1625-এর কাছাকাছি থাকা অবস্থায় আমি ক্রেতাদের সক্রিয় কার্যক্রম প্রত্যাশা করছি। যদি তারা সক্রিয় না থাকে, তবে 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভালো অথবা 1.1565 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4mPQXzk
-
শ্রমবাজারের তুলনায় মুদ্রাস্ফীতিই বড় উদ্বেগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1001468272.jpg[/IMG]
গতকাল ডলারের ফেডের কার্যবিবরণীর দ্বারা প্রায় কোনোভাবেই প্রভাবিত হয়নি, এবং এর পেছনে যৌক্তিক কারণও ছিল। গত মাসের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভের বেশিরভাগ কর্মকর্তারা জোর দিয়েছিলেন যে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বেগকে ছাপিয়ে গেছে, কারণ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার নির্ধারণকারী কমিটির মধ্যে ক্রমবর্ধমানভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। ফেডের জুলাইয়ের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্যের গভীরতা স্পষ্ট হয়েছে। যদিও সবাই একমত ছিলেন যে মার্কিন অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে, তবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রমবাজারকে সহায়তা করার সর্বোত্তম উপায় নিয়ে বড় পার্থক্য দেখা গেছে। ফেডের অনেক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সময় উচ্চস্তরে বজায় থাকতে পারে এবং এটি নিয়ন্ত্রণে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাদের যুক্তি ছিল যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার ঝুঁকি অতিরিক্ত কঠোর অবস্থান গ্রহণের ঝুঁকির চেয়ে বেশি। এই সদস্যরা জোর দিয়ে বলেছেন যে মুদ্রাস্ফীতিকে 2%-এর লক্ষ্যমাত্রায় ফেরাতে ফেডকে সতর্ক থাকতে হবে। তবে আরও কিছু সদস্য শ্রমবাজারে উচ্চ সুদের হারের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, কঠোর মুদ্রানীতি ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে মন্থর করেছে এবং বেকারত্বের হার বাড়াচ্ছে। এই সদস্যরা সতর্কভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে ছিলেন এবং অতিরিক্ত কঠোর আর্থিক নীতিমালার ঝুঁকি বিবেচনা করার পরামর্শ দেন। তাদের মতে, শ্রমবাজার এখনো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে এবং উচ্চ সুদের হারে মানিয়ে নেওয়ার জন্য সময় প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য যে এই বৈঠকের পরপরই ফেডের কয়েকজন সদস্য তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেন। তাদের আরও নমনীয় অবস্থান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করে। গত মাসে নীতিনির্ধারকেরা সুদের হার অপরিবর্তিত রেখে 4.25%–4.50%-এর মধ্যে রাখেন, তাঁরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম ছয় মাসে মন্থর অর্থনৈতিক কার্যকলাপের মধ্যে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাড়তি অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। সে সময় শ্রমবাজারকে "সহনশীল" বলা হলেও মুদ্রাস্ফীতিকে "বাড়তি" বলা হয়েছিল। সাম্প্রতিক তথ্যে অনুযায়ী পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে কোম্পানিগুলো উৎপাদন ব্যয়ের চাপ সামাল দিতে দাম বাড়ানো শুরু করেছে। ঠিক তারপরেই ফেডের কয়েকজন কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ আগামী বছরও পণ্যমূল্যের ওপর ঊর্ধ্বমুখী চাপ বজায় রাখবে। সম্ভবত জেরোম পাওয়েল আগামীকাল জ্যাকসন হোলে অনুষ্ঠেয় তার বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোকপাত করবেন। অনেকে তার অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছেন, যা কারেন্সি মার্কেটের ভারসাম্য বদলে দিতে পারে।
EUR/USD পেয়ারের বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 এর ওপরে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই 1.1700 এর লেভেল টেস্ট করা সম্ভব হবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1730 পর্যন্ত উঠতে পারে, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1768-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি মূল্য 1.1625 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তাহলের 1.1600 লেভেলের রিটেস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা বা 1.1565 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে। GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3480-এর নিকটতম রেসিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্য 1.3530 এর দিকে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে, যদিও সেই লেভেলের ওপরে ওঠা বেশ কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3560-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, মূল্য 1.3440-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে এই রেঞ্জ ব্রেকআউট করলে সেটি ক্রেতাদের জন্য বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3410 পর্যন্ত নেমে যাবে, যার পরবর্তী সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3375-এর লেভেল।
Read more: https://ifxpr.com/4oObu9r
-
ফেডের বেশিরভাগ কর্মকর্তা পাওয়েলের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1963715726.jpg[/IMG]
জেরোম পাওয়েল তার ভাষণে এ বছরের সেপ্টেম্বরেই সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দেওয়ার পরপরই, ফেডের কিছু প্রতিনিধিরা তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে, শিকাগো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অস্টান গুলসবি জেরোম পাওয়েলকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, কারণ পাওয়েল চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর আট বছরের মেয়াদে ফেড কর্মকর্তাদের মধ্যে ভিন্নমতকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জটিল এবং প্রায়শই পরস্পরবিরোধী অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। মূল সিদ্ধান্তগুলোতে ঐক্য বজায় রাখা — বিশেষ করে মহামারির সময় এবং পরবর্তীতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি সময় — পাওয়েলের দক্ষতা প্রদর্শন করে যে তিনি কীভাবে ভিন্নমতের দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্রিত করতে এবং আপসের সমাধান খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্যদের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ কাজ নয়, কারণ প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব অঞ্চলের এবং খাতের অভিজ্ঞতা থেকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসেন। পাওয়েলের সকল মতামত শোনা ও বিবেচনা করার ক্ষমতা, একই সাথে সহকর্মীদের নির্দিষ্ট পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে রাজি করানো — এগুলো তার সাফল্যের মূল কারণ। গুলসবিকে পাওয়েলের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটিতে অস্বাভাবিকভাবে কম ভিন্নমতের ভোট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এটি অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল নিয়ে সদস্যদের একই মতামত থাকার কারণে নয়, বরং পাওয়েলের ঐকমত্য গড়ে তোলার দক্ষতার কারণে হয়েছে। গুলসবি বলেন, "আমি মনে করি তিনিই ফেডের প্রথম চেয়ারম্যান যিনি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়ার যোগ্য, এবং তার অসাধারণ বিচক্ষণতা রয়েছে। তাছাড়া, এই কমিটির সাথে কাজ করার সময় তিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হয়েছেন।" প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে মনোনীত করার পর পাওয়েল 2018 সালে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ দেন। সেন্ট লুইস ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, পাওয়েলের নেতৃত্বে ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির 62টি বৈঠকে মোট 18টি ভিন্নমতের ভোট হয়েছে — অর্থাৎ গড়ে প্রতি 3.4 টি বৈঠকে একটি করে ভিন্নমত পরিলক্ষিত হয়েছে। তার পূর্বসূরি জ্যানেট ইয়েলেন 32টি বৈঠকে 22টি ভিন্নমত (প্রতি 1.5 বৈঠকে একটি) এবং বেন বারনানের আমলে 66টি বৈঠকে 48টি ভিন্নমত (প্রতি 1.4 বৈঠকে একটি) রেকর্ড করা হয়েছিল। আগেই যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, গত শুক্রবার পাওয়েল ফেডের চেয়ারম্যান হিসেবে জ্যাকসন হোলে তার শেষ ভাষণ দিয়েছেন, যেখানে তিনি সেপ্টেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। তার মেয়াদ ২০২৬ সালের মে মাসে শেষ হবে।
EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: বর্তমানে ক্রেতাদের 1.1740 লেভেলের উপরে নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1780-এর লেভেল টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1830 পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সম্ভব, যদিও বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1865-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি 1.1700 লেভেলের আশেপাশে উল্লেখযোগ্য ক্রয়ের আগ্রহ আশা করছি। যদি তা না ঘটে, তবে 1.1655-এর লো পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা ভালো হবে বা 1.1625 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী: পাউন্ডের ক্রেতাদের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3530-এর লেভেল অতিক্রম করাতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা 1.3560-এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে পারবে, যার উপরে ব্রেকআউট আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। সবচেয়ে দূরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3590 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3490-এ থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তবে এই রেঞ্জের ব্রেকআউট হলে সেটি ক্রেতাদের উপর বড় আঘাত হবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3455-এর দিকে নিয়ে যাবে, সম্ভাব্যভাবে 1.3425 পর্যন্ত দরপতন সম্প্রসারিত হতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/41hXpXS
-
২৬ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/166302177.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারে খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। মূলত, কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউরেবল গুডস বা টেকসই পণ্যের অর্ডার প্রতিবেদন-ই উল্লেখযোগ্য। মনে রাখা উচিত, এই প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ভোক্তাদের বড় অংকের কেনাকাটায় আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। ফলস্বরূপ, এটি পরোক্ষভাবে ভোক্তা আস্থা এবং সঞ্চয়ের পরিবর্তে খরচ করার প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়। তাই, অর্ডার বৃদ্ধি পেলে সেটি মার্কিন অর্থনীতি এবং ডলারের জন্য ইতিবাচক সংকেত, আর পতন হলে তা নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়। এবার এই প্রতিবেদনের নেতিবাচক ফলাফলের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কিছু নেই। সোমবার সন্ধ্যায় মার্কিন ডলার অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী হয়েছিল, এবং এর ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া এখনও কঠিন। ডলারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সেরা পরিস্থিতি হলো, সেপ্টেম্বর মাসের বৈঠকে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃক মূল সুদের হার না কমানো। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুব একটা নির্ভরযোগ্য সমর্থন নয়, কারণ এই ক্ষেত্রে আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রয়েছে। আসন্ন বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল সুদের হার হ্রাস করা হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো ফেডের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন এবং সদস্য পরিবর্তনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও নিয়ন্ত্রণযোগ্য করার চেষ্টা করছেন। ট্রেডারদের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হিসেবে বাণিজ্য যুদ্ধ রয়ে গেছে। যেহেতু আমরা বাণিজ্য যুদ্ধ প্রশমনের কোনো প্রকার লক্ষণ দেখছি না, তাই মধ্যমেয়াদে ডলারের বাই পজিশনের জন্য কোনো ভিত্তি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধির উপর নির্ভর করতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। কেবল মার্কিন সেশনের শুরুতে মার্কেটে অপ্রত্যাশিত মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যখন ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছে ইউরোর দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই স্থানীয় পর্যায়ে 1.1571 লেভেলের দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আজ 1.3466–1.3475 এরিয়া থেকে ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডিং করা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3HOWFmp
-
ট্রাম্প কুককে "শুভ বিদায়" জানালেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1268693217.jpg[/IMG]
মর্টগেজ ডকুমেন্ট জালিয়াতির অভিযোগের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান লিসা কুককে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ দৃঢ় করার ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের লড়াইয়ে একটি গুরুতর পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই পদক্ষেপের ফলে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হয়েছে এবং স্টক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটেছে। এই সিদ্ধান্ত আর্থিক ও রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বহু অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষক ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, জোর দিয়ে বলেছেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থা দুর্বল করতে পারে এবং ফিনান্সিয়াল মার্কেটকে অস্থিতিশীল করতে পারে। তবে ট্রাম্পের সমর্থকরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন যে কুক পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন এবং তার নীতিমালা মার্কিন জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেনি। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্টের অধিকার আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ করার, যারা তার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি মূল্যায়ন করেন, যাতে তার নীতিমালা কার্যকর করা যায়। জালিয়াতির অভিযোগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তবে তা কুকের জন্য এর গুরুতর আইনি পরিণতি বয়ে আনতে পারে এবং তার সুনামকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে ট্রাম্পের সমালোচকরা দাবি করছেন, কুককে অসম্মানিত করার জন্য এবং তার অপসারণকে যৌক্তিক করার জন্য বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প বলেন, কুককে বরখাস্ত করার যথেষ্ট ভিত্তি তার হাতে রয়েছে—ওয়াশিংটনে ফেড বোর্ড অব গভর্নর্সে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা কুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি এক বা একাধিক মর্টগেজ লোন সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। কুক সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেন যে ট্রাম্পের তাকে বরখাস্ত করার কোনো অধিকার নেই এবং তিনি পদত্যাগ করবেন না। তার আইনজীবী অ্যাবে লোয়েল জানান, তারা ট্রাম্পের "অবৈধ পদক্ষেপ" ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন। কুক বলেন: "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন যে তিনি আমাকে বরখাস্ত করেছেন, কিন্তু আইন অনুযায়ী এর কোনো ভিত্তি নেই এবং তার সে ক্ষমতাও নেই। আমি পদত্যাগ করব না। আমি মার্কিন অর্থনীতিকে সমর্থন করার জন্য আমার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাব, যেমনটি আমি 2022 সাল থেকে করে আসছি।" প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক 2022 সালে নিয়োগ পাওয়া কুকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল 2038 সালে। তাকে সরানো হলে ট্রাম্পের ফেড বোর্ড অব গভর্নর্সে সাত আসনের মধ্যে চারটিতে প্রভাবশালী অবস্থান তৈরি হবে। ফেড এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সোমবার কুককে পাঠানো এক চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, "মার্কিন জনগণকে অবশ্যই ফেডারেল রিজার্ভের নীতিমালা প্রণয়ন ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সততার উপর পূর্ণ আস্থা রাখতে হবে। আর্থিক বিষয়ে আপনার অসততা এবং সম্ভাব্য অপরাধমূলক আচরণের আলোকে তারা, আর আমি, আপনার সততার প্রতি আস্থা রাখতে পারছি না।" কুকের আইনজীবীর মতে, তিনি অবিলম্বে আদালতে পুনর্বহালের জন্য আবেদন করতে পারেন যতক্ষণ না মামলার প্রক্রিয়া শেষ হয়। কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি, যদিও গত সপ্তাহে বিচার বিভাগ জানিয়েছিল যে তদন্ত শুরু হতে পারে। উপরোক্ত মতো, ফিনান্সিয়াল মার্কেটে এই খবরের প্রতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। এই ঘোষণার পর মার্কিন ডলার সূচক, দুই-বছর মেয়াদি ট্রেজারি ইয়েল্ডস, এবং S&P 500 ফিউচারের দর কমে গেছে, আর দশ-বছর মেয়াদি ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড সামান্য বেড়েছে।
EUR/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্তমানে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1660 লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কেবলমাত্র তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1690 লেভেল টেস্ট করার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। সেখান থেকে 1.1740 লেভেলের দিকে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সম্ভাবনা রয়েছে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1780-এর লেভেল। যদি দরপতন হয়, আমি আশা করছি মূল্য 1.1600 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় উল্লেখযোগ্য ক্রয় কার্যক্রম দেখা যাবে। যদি বড় ক্রেতারা সক্রিয় না তাহলে, তবে 1.1565 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1530 লেভেল থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত হবে।
GBP/USD-এর টেকনিক্যাল পূর্বাভাস অনুযায়ী পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3490 ব্রেক করাতে হবে। কেবল এটিই তাদেরকে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.3523-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে, যার ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া মূল্যের পক্ষে কঠিন হবে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3560 লেভেল। অন্যদিকে, যদি দরপতন হয়, তবে বিক্রেতারা মূল্য 1.3440 লেভেলে থাকা অবস্থায় মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তাঁরা সফল হলে ও এই রেঞ্জের ব্রেকআউট ঘটলে সেটি বুলিশ পজিশনের জন্য বড় ক্ষতি ডেকে আনবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3420-এর লেভেলে নামিয়ে আনবে, যেখানে দরপতন আরও বিস্তৃত হয়ে এই পেয়ারের মূল্য 1.3390 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/4mAyFTd
-
২৮ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/78127911.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার আবারও খুব অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, এবং এর কোনোটিই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে আজ দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আজ মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা প্রথম বা তৃতীয় অনুমানের তুলনায় অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ, এবং সেগুলোর ক্ষেত্রেও মার্কেটে সবসময় শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টটি হয় না। সুতরাং বলা যায়, আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1912998725.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য হলো ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির সদস্য ক্রিস্টোফার ওয়ালারের বক্তব্য। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, সেপ্টেম্বর মাসে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমাবে কি না, তা নিয়ে মার্কেটে তীব্র বিতর্ক চলছে। ক্রিস্টোফার ওয়ালার ট্রাম্পের সমর্থক এবং খোলাখুলিভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণকারী সদস্য, তাই তার বক্তব্যের সুর নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে, এখনো ফেডের মধ্যে পর্যাপ্ত ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানধারীদের ভোট নেই যা সুদের হার কমানোর নিশ্চয়তা দিতে পারে। তবুও, 17 সেপ্টেম্বরের মধ্যে কমিটির ভারসাম্যে পরিবর্তন হতে পারে। ডলারের জন্য সর্বোচ্চ ইতিবাচক পরিস্থিতি হবে যদি সেপ্টেম্বর মাসে ফেড মূল সুদের হার না কমায়। তবে এটি মার্কিন মুদ্রার জন্য খুবই প্রশ্নবিদ্ধ একটি সহায়ক কারণ, কারণ এক্ষেত্রে মুদ্রানীতি অপরিবর্তিত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডের সুদের হার কমানো সময়ের ব্যাপার, তবে কখন এটি কার্যকর হবে এবং কত দ্রুত এরপরে সুদের হার হ্রাস করা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে এটির সদস্যপদ পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন। ট্রেডারদের জন্য এখনো বাণিজ্য যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই আমরা মাঝারি-মেয়াদে ডলার কেনার কোনো কারণও দেখছি না। এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে 50% করেছেন। আগের মতোই, মার্কিন মুদ্রা কেবল স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ওপর নির্ভর করতে পারে, যা টেকনিক্যাল কারণ বা বিচ্ছিন্ন ইভেন্ট/প্রতিবেদনের প্রভাব হতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে, আবারও টেকনিক্যাল সূচকের ওপর ভিত্তি করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছাকাছি ইউরোর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, যা 1.1571-এর দিকে নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্টের ইঙ্গিত দেবে। গতরাতে 1.3518–1.3532 এরিয়ার কাছাকাছি পাউন্ড স্টার্লিংয়ের একটি নতুন সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তাই পাউন্ডেরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে, ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য খুব কম কারণ রয়েছে, এবং আজও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/45TbFYx
-
২৯ আগস্ট কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সূচি নির্ধারিত রয়েছে, তবে এর কোনোটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে; তবে এগুলো ইউরোজোনের একটি মাত্র দেশের প্রতিবেদন, আর বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতিতে খুব সামান্য প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাষ্ট্রে আজকের প্রধান প্রতিবেদন হলো PCE সূচক, যা মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। অন্যভাবে বললে, এই সূচক ব্যক্তিগত ভোগ্য ব্যয়ের পরিবর্তন প্রদর্শন করে। সাধারণত এটি মাসিক ভিত্তিতে 0.2% থেকে 0.3% পর্যন্ত পরিবর্তিত হয় এবং মার্কেটে তেমন কোনো শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। মুদ্রাস্ফীতির গতিশীলতা পরিমাপের প্রধান সূচক হিসেবে ভোক্তা মূল্য সূচকই (CPI) বিবেচিত হয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1209667740.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস দে গুইন্ডোসের বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। মনে করিয়ে দেওয়া দরকার, ইসিবি কার্যত মুদ্রানীতি নমনীয় করার চক্র সম্পন্ন করেছে এবং ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি 2%-এর আশেপাশে স্থিতিশীল হয়েছে, যা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের আরোপের প্রতিক্রিয়াতেও খুব একটা পরিবর্তিত হয়নি। সুতরাং, বর্তমানে ইসিবির সুদের হার আরও কমানোর জন্য কোনো কারণ নেই। কেবল মুদ্রাস্ফীতি যদি অব্যাহতভাবে কমতে থাকে, তবেই নতুন করে সুদের হার কমানো যেতে পারে। ট্রেডারদের কাছে বাণিজ্য যুদ্ধই মূল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যেহেতু বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাই মার্কেটে মাঝারি-মেয়াদে ডলার ক্রয়ের কোনো কারণও দেখা যাচ্ছে না। এই সপ্তাহে ট্রাম্প ভারতের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে 50% করেছেন। আগের মতোই, কেবল টেকনিক্যাল বিষয় বা বিচ্ছিন কোনো ইভেন্ট/প্রতিবেদনের কারণে মার্কিন মুদ্রার দর স্থানীয় পর্যায়ে বৃদ্ধি পেতে পারে, এর বেশি কিছু নয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/67397995.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে আবারও টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করে উভয় কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হবে। 1.1655–1.1666 এরিয়ার কাছাকাছি ইউরোর একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, অথবা গতকাল একই এরিয়ার বাই সিগন্যাল অনুসরণ করে ঊর্ধ্বমুখী প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পারে। গতকাল 1.3518–1.3532 এরিয়ায় পাউন্ড স্টার্লিংয়ের চারটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, যা শুক্রবার এটির মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্টের ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করছে, এবং ফ্ল্যাট (সাইডওয়েজ) মুভমেন্টের স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
Read more: https://ifxpr.com/4p3rtAM
-
ফেডের আরেকজন কর্মকর্তা সুদের হার হ্রাসের ইঙ্গিত দিলেন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1008839589.jpg[/IMG]
গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বক্তব্যে সান ফ্রান্সিসকো ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মেরি ডালি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে নীতিনির্ধারকরা শিগগিরই সুদের হার কমানোর জন্য প্রস্তুত হবেন এবং তিনি আরও যোগ করেছেন যে শুল্কজনিত মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব সম্ভবত সাময়িক হবে। শুক্রবার ডালি বলেন, "খুব শিগগিরই নীতিমালা সমন্বয়ের করা হবে, যাতে এটি আমাদের অর্থনীতির চাহিদার সাথে আরও ভালোভাবে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।" তিনি উল্লেখ করেন যে শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি "সাময়িক ঘটনা" হবে। "এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানতে আমাদের সময় লাগবে। তবে আমরা অপেক্ষা করতে পারছি না, কারণ এতে শ্রমবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।" ডালির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বৈশ্বিক অর্থনীতির সাথে যুক্ত মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বহু অর্থনীতিবিদ ও বিনিয়োগকারী ক্রমবর্ধমানভাবে আশঙ্কা করছেন যে বাড়তি শুল্ক ভোক্তা ব্যয় ও বিনিয়োগ কমাতে পারে, যা পরবর্তীতে জিডিপির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মার্কেটের ট্রেডাররা ডালির মন্তব্যকে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সম্ভাব্য ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। ট্রেডাররা আশা করছেন যে সুদের হার হ্রাস করে হলে সেটি অনিশ্চয়তার মধ্যে অর্থনীতিকে সমর্থন দিতে সহায়তা করবে। তবে এটি উল্লেখযোগ্য যে ফেডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এখনও এতোটা স্পষ্টভাবে সুদের হার হ্রাসের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেননি। বরং তাঁরা আসন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল মূল্যায়ন করে অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অবস্থান বজায় রাখতে চাইছেন। এই বছর প্রতিটি বৈঠকে ফেড মুল সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে, যা 4.25–4.5% রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। ডালির মন্তব্য ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি ঘটিয়েছে, যিনি জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সেপ্টেম্বরের নীতিনির্ধারণী বৈঠকেই সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনা উন্মুক্ত রয়েছে, কারণ সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তীব্র মন্থরতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ডালি বলেন, "কংগ্রেস ফেডকে দুটি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে: পূর্ণ কর্মসংস্থান এবং মূল্যস্ফীতির স্থিতিশীলতা। বর্তমানে এই দুটি লক্ষ্যমাত্রাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে: শুল্ক আরোপের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, আর শ্রমবাজার পরিস্থিতির দুর্বলতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।"
নীতিনির্ধারকরা এখনও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বাণিজ্যনীতির পরিবর্তনের অর্থনৈতিক প্রভাব মূল্যায়ন করার চেষ্টা করছেন। গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে যে জুলাই মাসে পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) সূচক টানা চতুর্থ মাসে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষণ নিশ্চিত করছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, সান ফ্রান্সিসকো ফেডের প্রধানের এই বছর মুদ্রানীতি বিষয়ক সিদ্ধান্তে ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। EUR/USD: ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1715 লেভেল ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই পেয়ারটির মূল্য 1.1750 লেভেল টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে। সেখান থেকে 1.1780-এর দিকে মূল্যের মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বড় বিনিয়োগকারীদের সহায়তা ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1820 লেভেল। যদি এই পেয়ারের মূল্য মূল্য হ্রাস পায়, তবে আমি কেবলমাত্র মূল্য 1.1685 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় বড় ক্রেতাদের সক্রিয়তার প্রত্যাশা করব। যদি সেই লেভেলে কোনো ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তবে পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের 1.1655 লেভেলের টেস্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত হবে, অথবা 1.1630 থেকে লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। GBP/USD: পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3540 ব্রেক করাতে হবে। কেবল তখনই মূল্যের 1.3565-এর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে, যার ব্রেকআউট করে উপরের দিকে যাওয়া চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3590। যদি পেয়ারটির মূল্য হ্রাস পায়, তবে মূল্য 1.3495 লেভেলে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। এই রেঞ্জ ব্রেক করা হলে তা ক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে গুরুতর আঘাত হানবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.3470 লেভেলে নামিয়ে আনবে, যেখান থেকে 1.3440 পর্যন্ত দরপতন প্রসারিত হতে পারে
Read more: https://ifxpr.com/3JEKRnm
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের নিউজ ডাইজেস্ট
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1123048196.jpg[/IMG]
প্রযুক্তি খাতের প্রভাবে মার্কিন স্টক সূচকসমূহে দরপতন গত সপ্তাহের শেষ দিনে নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে লেনদেন শেষ হয়েছে: S&P 500 0.64% হ্রাস পেয়েছে, নাসডাক সূচক 1.15% হ্রাস পেয়েছে, এবং ডাও জোন সূচক 0.20% হ্রাস পেয়েছে। ওয়াল স্ট্রিটে প্রযুক্তি খাতের শেয়ারের ব্যাপক বিক্রির কারণে এশিয়ার স্টক মার্কেটও চাপের মধ্যে রয়েছে। বাড়তি অনিশ্চয়তার অন্যতম কারণ হলো গুরুত্বপূর্ণ আইটি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
করেকশনের ঝুঁকিতে ইকুইটি মার্কেট মার্কিন স্টক মার্কেটে করেকশনের ঝুঁকি রয়েছে, কারণ S&P 500 সূচকের মৌলিক মূল্যায়ন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। সূচকটি যদি নির্দিষ্ট রেঞ্জের নিচে নেমে যায়, তবে এটি স্টক বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এমন পরিস্থিতি স্বল্পমেয়াদি ট্রেডারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
ট্রাম্পের শুল্ক অবৈধ ঘোষণা, ডলারের দরপতন আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ককে বেআইনি ঘোষণা করেছে, যার ফলে মার্কিন ডলারের দর 5-সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে এবং ফেডের সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশার মধ্যে ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে। এছাড়াও, ইন্টেল মার্কিন সরকার থেকে CHIPS Act-এর আওতায় 5.7 বিলিয়ন ডলার পেয়েছে, যা কোম্পানিটির জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। এই সিদ্ধান্ত সেমিকন্ডাক্টরভিত তিক শেয়ারের প্রতি আগ্রহও বৃদ্ধি করেছে। বিস্তারিত জানতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অংশীদার খুঁজছে মেটা মেটা গুগল এবং ওপেনএআই-এর সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত আলোচনায় বসেছে, যা প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে। এই পদক্ষেপ কোম্পানিটির কৌশলগত পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে, কারণ তারা দ্রুত পরিবর্তনশীল খাতে নিজেদের পণ্যের উন্নয়নের গতি বাড়ানোর উপায় খুঁজছে। নতুন অংশীদারিত্ব কার্যক্রম কোম্পানিটিকে অতিরিক্ত প্রযুক্তি ও সহায়তার উৎস প্রদান করতে পারে। বিস্তারিত জানতে এই এই লিংকে ক্লিক করুন।
শেয়ার দরপতনের পর চাপের মুখে ওরাকল ওরাকলের শেয়ারের মূল্য এক মাসের মধ্যে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর 6%-এর বেশি হ্রাস পেয়েছে, যা এআই অবকাঠামোর ব্যয় বৃদ্ধি এবং কর্মী ছাঁটাই দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ এবং এর টেকসই মুনাফা বৃদ্ধির উপর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করেন এটি কোম্পানির ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে কাজ করবে। বিস্তারিত জানতে এই এই লিংকে ক্লিক করুন। মনে করিয়ে দিই, InstaForex স্টক, সূচক এবং ডেরিভেটিভ ট্রেডিংয়ের জন্য সর্বোত্তম শর্ত প্রদান করে, যা ট্রেডারদের মার্কেটে মূল্যের ওঠানামা থেকে কার্যকরভাবে মুনাফা করতে সহায়তা করে।
Read more: https://ifxpr.com/47X4GjM
-
ইসিবি আপাতত সুদের হার কমানোর কোনো পরিকল্পনা করছে না
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1874140721.jpg[/IMG]
গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ইসাবেল স্নাবেল এক বক্তৃতায় বলেছেন যে ইসিবির উচিত সুদের হার বর্তমান স্তরে অপরিবর্তিত রাখা, কারণ এখনও মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সাক্ষাৎকারে এই জার্মান ও হকিশ বা কঠোর অবস্থানের সমর্থক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ব্যাঘাত সত্ত্বেও ইউরোপের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে, যদিও আগামী কয়েক বছরে মূল্যস্ফীতির হার পূর্বাভাসের চেয়ে কম হতে পারে। স্নাবেল বলেন, "আমার বিশ্বাস আমরা ইতোমধ্যে একটি মাঝারি নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছি, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার আরও কমানোর কোনো কারণ আমি দেখছি না।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমার মতে, শুল্ক সরাসরি মুদ্রাস্ফীতির কারণ।" তার এই বক্তব্য ইউরোপীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাড়তে থাকা উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে এসেছে, যেখানে শুধু বাণিজ্য যুদ্ধই নয় বরং অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জও প্রভাব ফেলছে। যদিও তার মন্তব্যে আশাবাদের সুর ছিল, তবে তা ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য ঝুঁকিকেও তুলে ধরেছে। প্রত্যাশার চেয়ে কম মূল্যস্ফীতি ভোক্তা চাহিদা ও বিনিয়োগ কার্যক্রমের দুর্বলতার ইঙ্গিত দিতে পারে, যা মহামারির পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমিয়ে দিতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ইসিবিকে তাদের মুদ্রানীতিতে আরও স্বাধীনভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগও দিতে পারে। স্নাবেল আরও বলেন যে বাণিজ্য নীতি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং জনগণের বার্ধক্যের কারণে বিশ্বব্যাপী ঋণের খরচ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত কমতে শুরু করতে পারে। তিনি বলেন, "আমার মনে হয়, বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আবারও সুদের হার কমানো শুরু করবে—এবং সেটি অনেকের প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত ঘটতে পারে।" তার এই মন্তব্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক দুই দিন আগে এসেছে, যেখানে এক সপ্তাহ ধরে ইসিবির কর্মকর্তা কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে সময়কাল। সেই বৈঠকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ঋণের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বর্তমান EUR/USD পেয়ারের টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী, ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1655 লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। কেবল এটিই 1.1685 লেভেল টেস্টের সুযোগ করে দেবে। সেখান থেকে এই পেয়ারের মূল্য 1.1715 পর্যন্ত বাড়তে পারে, তবে বড় ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি করা বেশ কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.1740-এর লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে আমি কেবল মূল্য 1.1625 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের উল্লেখযোগ্য সক্রিয়তার প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানে কোনো সাপোর্ট না পাওয়া যায়, তবে 1.1605 লেভেল পুনরায় টেস্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উচিত হবে অথবা 1.1575 থেকে লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে GBP/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যকে নিকটতম রেজিস্ট্যান্স 1.3390 লেভেল নিয়ে যেতে হবে। কেবল এটিই এই পেয়ারের মূল্যের 1.3430 পর্যন্ত মুভমেন্টের সুযোগ সৃষ্টি করবে, যদিও মূল্যের এই লেভেলের উপরের অগ্রগতি কঠিন হবে। সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে 1.3470 লেভেল। দরপতনের ক্ষেত্রে বিক্রেতারা 1.3340 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.3310 লেভেলের দিকেনামতে পারে এবং পরবর্তীতে 1.3280 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/45OgWln
-
মার্কিন স্টক মার্কেটের আপডেট, ৪ সেপ্টেম্বর
S&P 500 এবং নাসডাক সূচক আবারও প্রবৃদ্ধি শুরু হয়েছে
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/217437683.jpg[/IMG]
গতকালের সেশন শেষে মার্কিন স্টক সূচকগুলোতে মিশ্র ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। S&P 500 সূচক 0.51% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর নাসডাক 100 সূচক 1.01% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শিল্পখাত-ভিত্তিক ডাও জোন্স সূচক 0.05% হ্রাস পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের কর্মসংস্থানের সুযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের কারণে ফেডারেল রিজার্ভ এই মাসের শেষে সুদের হার কমাবে—এই প্রত্যাশা জোরদার করার পর ইনডেক্স ফিউচারস অগ্রসর হয়েছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ ও শ্রম পরিবর্তন সংক্রান্ত জরিপে শূন্যপদের হ্রাস দেখা গেছে, যা শ্রমবাজার পরিস্থিতির কিছুটা দুর্বল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর ফলে ফেড আরও ডোভিশ বা নমনীয় মুদ্রানীতি গ্রহণ করতে পারে। সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা ইকুইটি মার্কেটকে সহায়তা করে, কারণ ঋণের ব্যয় হ্রাস পেলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উদ্দীপিত হয় এবং কর্পোরেট আয় বাড়ে। এছাড়া, কম সুদের হার স্টককে বন্ডের তুলনায় আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, যেগুলোর ইয়েল্ডও সুদের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়। S&P 500 এবং নাসডাক 100 সূচকের ফিউচার 0.02% থেকে 0.03% পর্যন্ত বেড়েছে। ইউরো স্টক্স 50 সূচকের ফিউচার কন্ট্রাক্টের দর অপরিবর্তিত ছিল। ট্রেজারি বন্ড এবং মার্কিন ডলারেও তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। চীনা ইকুইটি মার্কেটে অব্যাহত দরপতনের কারণে এশিয়ার স্টক সূচকের প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়েছে। MSCI আঞ্চলিক ইকুইটি সূচক আগের সেশনে 0.7% বৃদ্ধির পরে 0.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানি বন্ডের ফিউচারের দর বাড়চ্ছে, কারণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষিত 30-বছরের সরকারি বন্ডের নিলাম ১২ মাসের গড়ের সঙ্গে প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণ চাহিদা পূরণ করেছে। এদিকে, চীনা ইকুইটি মার্কেটে দরপতন অব্যাহত ছিল: CSI 300 সূচক 1.8% হ্রাস পেয়েছে। এর আগে খবর এসেছিল যে আগস্টের শুরু থেকে $1.2 ট্রিলিয়নের প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগের কারণে দেশটির আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ বিবেচনা করছে। আগামীকাল মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগস্টে প্রায় 75,000 কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, আর বেকারত্বের হার 4.3%-এ পৌঁছাতে পারে। টানা চার মাসে 100,000 এর নিচে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হলে তা 2020 সালের মহামারির শুরুর পর থেকে সবচেয়ে নেতিবাচক সময় হিসেবে চিহ্নিত হবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্য পতন ফেডের শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বেগের কারণে সুদের হারের বড় ধরনের হ্রাসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এছাড়া, ফেডারেল রিজার্ভ গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার গতকাল এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সেপ্টেম্বরেই সুদের হার হ্রাস শুরু করা উচিত এবং আগামী কয়েক মাসে আরও কয়েকবার সুদের হার হ্রাস বাস্তবায়ন করা উচিত। তিনি আরও যোগ করেন যে, ফেডের কর্মকর্তারা সেপ্টেম্বরের বৈঠকে মুদ্রানীতি নমনীয়করণের সঠিক মাত্রা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। কমোডিটি মার্কেটে, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো তেলের দরপতন হয়েছে, কারণ ট্রেডাররা আশঙ্কা করছেন OPEC+ সরবরাহ বাড়াতে পারে, অন্যদিকে ইন্ডাস্ট্রির অনুমান অনুযায়ী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টোরেজ হাবে তেলের মজুদ বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেলপ্রতি $67-এ নেমে গেছে, আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দর $64-এর নিচে চলে গেছে। গোল্ডম্যান শ্যাক্স ইনকর্পোরেটেডের বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক উদ্বৃত্তের কারণে আগামী বছর ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি $50-এ নেমে আসবে।
S&P 500-এর টেকনিক্যাল চিত্র অনুযায়ী , আজ ক্রেতাদের প্রধান কাজ হবে সূচকটির নিকটতম রেজিস্ট্যান্স $6,457 ব্রেক করা। এটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে অব্যাহত রাখবে এবং $6,473 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত করবে। ক্রেতাদের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যমাত্রা হবে $6,490 লেভেলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা, যা ক্রেতাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। অন্যদিকে, ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা কমে গেলে এবং সূচকটির দর নিম্নমুখী হলে, সূচকটি $6,441 লেভেলের আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় হতে হবে। এই লেভেল ব্রেক করে গেলে ইন্সট্রুমেন্টটি দ্রুত $6,428 লেভেলের দিকে নেমে যাবে এবং $6,414 লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।
Read more: https://ifxpr.com/4gbBiZh
-
৫ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1862164432.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: শুক্রবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, এবং এগুলোর প্রায় সবকটিই গুরুত্বপূর্ণ বা অন্ততপক্ষে তুলনামূলকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। অবশ্যই মূল দৃষ্টি থাকবে মার্কিন ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হারের ওপর। এসব প্রতিবেদনের ফলাফল ফেডের 16–17 সেপ্টেম্বরের বৈঠকে সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করবে। যদি বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পায় এবং ননফার্ম পেরোল আবারো পূর্বাভাসের নিচে আসে, তবে ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবেই মূল সুদের হার কমাবে। এর ফলে মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটতে পারে, যা আমরা গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রত্যাশা করছি। অন্যান্য প্রতিবেদনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয়, ইউরোজোনের জিডিপি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মজুরি সম্পর্কিত পরিসংখ্যান উল্লেখযোগ্য। তবে আমাদের ধারণা, এসব প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে মার্কেটে দুর্বল অথবা একেবারেই কোনো প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2001205715.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: শুক্রবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই—এবং আজ সেগুলোর প্রয়োজনও পড়বে না। ট্রেডাররা ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পর্যাপ্ত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হাতে পাবে। মনে করিয়ে দিই, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবে সুদের হার কমানো শুরু করবে। একমাত্র প্রশ্ন হলো, আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে কত দ্রুত সুদের হার কমানো হবে। তাই এই পুরো সময়ে মৌলিক প্রেক্ষাপটগত দিক থেকে মার্কিন মুদ্রা উল্লেখযোগ্য চাপের মধ্যে থাকবে। চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কথাও ভুলে যাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি চলমান থাকলে মার্কিন ডলারের চাহিদা সৃষ্টির কোনো সুযোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। অতিরিক্তভাবে, ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টিকারী বিষয়গুলোর তালিকায় ফেডের ওপর ট্রাম্পের চাপ প্রয়োগকেও যুক্ত করা যেতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে ফেডের অর্ধেক সদস্যকে পরিবর্তন করতে চান, যা ফেডের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মার্কিন ডলারের প্রতি আস্থা আরও দুর্বল করতে পারে।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা দেখা যেতে পারে। তবে এ সপ্তাহে ভোলাটিলিটি অত্যন্ত কম, এবং কার্যত কোনো প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়নি। তাই মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আমরা মার্কেটে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি না। মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কেটে কী ঘটবে, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে সেই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের ওপর।
Read more: https://ifxpr.com/462HAFN
-
৮ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1138605795.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: সোমবার খুব অল্প কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলো হলো জার্মানির আমদানি, রপ্তানি, ট্রেড ব্যালেন্স এবং শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন। তবে এগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, কারণ এগুলো কেবল ইউরোজোনের একটি দেশের জন্য প্রযোজ্য, যা ইউরোর ওপর খুব সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে। সোমবার ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে কিছুই নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/202604423.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের দিক থেকে সোমবার আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। তবে বর্তমানে ট্রেডারদের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের প্রয়োজনও নেই—কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর উদ্দেশ্য এখন একেবারেই স্পষ্ট। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড চাইলেও আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ অব্যাহত রাখতে পারবে না, যেহেতু যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি ইতোমধ্যেই 4%-এর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ইসিবিও কার্যত সুদের হার কমানোর চক্র শেষ করেছে, যেখানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় 2%-এর কাছাকাছি রয়েছে। অপরদিকে, ফেড পুনরায় সুদের হার হ্রাস শুরু করতে বাধ্য হয়েছে, কারণ মার্কিন শ্রমবাজার টানা চার মাস ধরে দুর্বল ফলাফল প্রদর্শন করছে। তাই আসন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠকগুলোকে ঘিরে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই। মার্কিন ডলার এখনো মৌলিক এবং সামষ্টিক প্রেক্ষাপটের কারণে শক্তিশালী চাপের মধ্যে রয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের বিপরীতে ডলারের দরপতন না হওয়া কেবল একটি সাময়িক বিরতি ছাড়া আর কিছু নয়।
উপসংহার: সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের সামান্য পুলব্যাক হতে পারে। যেহেতু কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তাই মূল্যের ভোলাটিলিটি কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় পেয়ারের মূ্ল্যই এখনো ফ্ল্যাট রেঞ্জের রয়েছে, তাই খন্ড খন্ড মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। পাউন্ডের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়ায় বেশ ভালো সেল সিগন্যাল গঠন করেছে, তাই ঐ লেভেলগুলো থেকে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি।
Read more: https://ifxpr.com/4njXYbV
-
৯ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1655607583.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবার খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, যে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, সেটির ফলাফল নতুন করে মার্কেটে ঝড় তুলতে পারে। আমরা এখানে বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের কথা বলছি। এটি স্পষ্ট যে, এই প্রতিবেদনটি মাসিক প্রতিবেদন তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এবং গত চার মাসের পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইতিবাচক ফলাফল আসার সম্ভাবনা কম। সুতরাং, আজ মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির নতুন ভিত্তি খুঁজে পেতে পারে। ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: মঙ্গলবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তবে, আমরা আগেই আলোচনা করেছি যে এ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আসন্ন বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তেমন কোনো অনিশ্চয়তা নেই। ইসিবি প্রায় নিশ্চিতভাবেই (90% সম্ভাবনা) মুদ্রানীতির নমনীয়করণ শেষ করেছে, কারণ তারা সফলভাবে মুদ্রাস্ফীতিকে 2%-এ নামিয়ে এনেছে। গত 10 মাসে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় 90% সম্ভাবনা রয়েছে যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার হ্রাসে বিরতি নেবে। অন্যদিকে, 99% সম্ভাবনা রয়েছে ফেড সেপ্টেম্বর থেকেই সক্রিয়ভাবে মূল সুদের হার কমাতে শুরু করবে। সুতরাং, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নতুন বক্তৃতা ট্রেডারদেরকে নতুন কোনো তথ্য সরবরাহ করবে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/637340305.jpg[/IMG]
উপসংহার: সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোর মূল্য 1.1737–1.1745 এর গুরুত্বপূর্ণ এরিয়া ভেদ করেছে, যা তিন সপ্তাহ ধরে সাইডওয়েজ চ্যানেলের ঊর্ধ্বসীমা হিসেবে কাজ করছিল। একইভাবে, পাউন্ডের মূল্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ 1.3529–1.3543 এরিয়া অতিক্রম করেছে, যা এটির মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান রাখতে সহায়তা করছে। আজকের একমাত্র প্রতিবেদন, ননফার্ম পেরোল, খুব সম্ভবত (90% সম্ভাবনা রয়েছে) মার্কিন মুদ্রার দরপতন ঘটাতে সহায়তা করবে।
Read more: https://ifxpr.com/4nkH6BQ
-
১০ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2146428749.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বুধবারও খুব কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। কেবলমাত্র মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) উল্লেখযোগ্য। গত মাসে এই সূচক পূর্বাভাসকৃত 0.3%-এর বিপরীতে +0.9% ফলাফল প্রদর্শন করেছিল, যা মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সূচকের প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাস থেকে খুব বেশি ভিন্ন হয় না। তাই, আজ মার্কেটে কেবল তখনই প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, যদি টানা দ্বিতীয়বারের মতো মূল ফলাফল ও পূর্বাভাসের মধ্যে ব্যাপক ভিন্নতা দেখা যায়। ইউরোজোন, জার্মানি বা যুক্তরাজ্যে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2145785023.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো কিছু নেই। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে, তাই এই মুহূর্তে এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মুদ্রানীতি সম্পর্কিত মন্তব্য প্রত্যাশা করার কারণ নেই। তাছাড়া, প্রত্যাশিত সুদের হারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রেডারদের মধ্যে কোনো অনিশ্চয়তাও নেই। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির কারণে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড প্রায় নিশ্চিতভাবেই সুদের হার অপরিবর্তিত রাখবে। দুর্বল শ্রমবাজারের কারণে ফেড প্রায় নিশ্চিতভাবেই সুদের হার কমাবে। সুতরাং, ইউরো এবং পাউন্ডের এখনও মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হওয়ার সব সুযোগ রয়েছে। উপসংহার: এ সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে। গতকাল ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ই অযৌক্তিক দরপতনের শিকার হয়েছিল, তাই আজ হয়তো মার্কেটে "সঠিক মুভমেন্ট" দেখা যাবে। ইউরোর মূল্যের যেকোনো মুভমেন্টের জন্য নতুন সিগন্যাল প্রয়োজন, যা 1.1655–1.1666 এবং 1.1737–1.1745 এরিয়াতে গঠিত হতে পারে। পাউন্ডের মূল্য বর্তমানে 1.3529–1.3543 এরিয়াতে রয়েছে, তাই এই এরিয়ার উপরে কনসোলিডেশন বা এখান থেকে বাউন্স নতুন ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির সুযোগ করে দেবে।
Read more: https://ifxpr.com/4ni1B2a
-
১১ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/788788450.jpg[/IMG]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে আগস্ট মাসের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যেটিতে যদি প্রত্যাশার বিপরীতে কোনো ফলাফল দেখা যায় তাহলে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। 2.7–2.9% রেঞ্জের বাইরে যেকোনো মানকে উল্লেখযোগ্য চমক হিসেবে বিবেচনা করা হবে। প্রত্যাশার তুলনায় কম মুদ্রাস্ফীতি (পূর্ববর্তী ফলাফল ও পূর্বাভাসের তুলনায়) মার্কেটে ডলার বিক্রির প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে। অপরদিকে, প্রত্যাশার তুলনায় উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি মার্কিন মুদ্রাকে সহায়তা করবে। আজ যুক্তরাজ্য, জার্মানি বা ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা নেই।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2101113403.jpg[/IMG]
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ: বৃহস্পতিবারের ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক এবং ক্রিস্টিন লাগার্দের সংবাদ সম্মেলন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে, কোনো বড় ধরনের সিদ্ধান্ত বা গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইসিবি ইতোমধ্যে মূল সুদের হার নিরপেক্ষ পর্যায়ে নামিয়েছে এবং সফলভাবে মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। তাই নিকট ভবিষ্যতে ইসিবির মুদ্রানীতি পরিবর্তন করার মতো কোনো কারণ নেই।
উপসংহার: সপ্তাহের শেষভাগের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, তবে তা অনেকাংশে নির্ভর করবে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর। গত দুই দিনে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ই অযৌক্তিকভাবে দরপতনের শিকার হয়েছে, তাই আজ মার্কেট হয়তো "ন্যায্য মুভমেন্ট পুনরায় শুরু" হওয়ার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হবে। ইউরোর ক্ষেত্রে, পরবর্তী মুভমেন্ট নির্ভর করছে নতুন সিগন্যালের ওপর, যা 1.1655–1.1666 এবং 1.1737–1.1745 এর এরিয়ায় গঠিত হতে পারে। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দর বর্তমানে 1.3529–1.3543 জোনে রয়েছে, তবে গতকাল এই লেভেলে বহু ভুল সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। আজকের মুভমেন্টও একইভাবে বিশৃঙ্খল হতে পারে, তবে ভোলাটিলিটি বাড়তে পারে।
Read more: https://ifxpr.com/3I4jdzN
-