-
1 Attachment(s)
দেশের পুঁজিবাজারে আজ লেনদেনের শুরুতেই বড় দরপতন হয়েছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৬১ পয়েন্ট কমেছে। সর্বশেষ বেলা ১টায় সূচকটি ২ শতাংশ কমে ৬ হাজার ৪৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আজ সকাল ১০ টায় লেনদেন শুরুর পর থেকে শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে থাকে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। ৪০ মিনিটেই ৮০ পয়েন্ট হারায় সূচকটি। এর পর সূচক কিছুটা ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেলা ১টা পর্যন্ত সূচকটি আগের দিনের তুলনায় ১৩৩ পয়েন্ট হারিয়েছে।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এদিন বেলা ১ টা পর্যন্ত ১ দশমিক ৮০ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩৬৪ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ৪১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তিন ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৩৪৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১০টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। এসময় পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৬৭৩ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে।
[ATTACH=CONFIG]17772[/ATTACH]
-
টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর মঙ্গলবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা পার হওয়ার আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সূচকে এমন অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ১৭ পয়েন্টে পড়ে গেছে। লেনদেন হয়েছে দেড়শ কোটি টাকার কম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে সূচক।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/187621691.jpg[/IMG]
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। আর লেনদেনের ১০ মিনিটের মাথায় সূচকটি বাড়ে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেনের শুরুতে এমন বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিলেও তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেন শেষ হতেই দাম বাড়ার তালিকা থেকে একেরপর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে দেখতে দেখতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে আধাঘণ্টার লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৭ পয়েন্ট পড়ে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১ পয়েন্ট পড়ে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৯ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমেছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টির। আর ৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫২ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৬টির, কমেছে ৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির।
-
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার (২২মে) পুঁজিবাজারের সূচক বৃদ্ধির প্রবণতায় শুরু হয় শেয়ার বিক্রির চাপ। ক্রেতার তুলনায় বিক্রেতা বেশি থাকায় এদিন লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট। একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১০৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেনের পরিমাণ। ফলে টানা আট কর্মদিবস সূচকের পতনের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1518675633.jpg[/IMG]
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৬৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২২০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে ২ পয়েন্ট। এ সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৩৭ কোটি ৬৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। একই সময় অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৪ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৩৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার। সিএসইতে দিনের প্রথম ঘণ্টায় ১২৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দাম।
-
গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে টানা পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববারেও পতনমুখী দেশের পুঁজিবাজার। পতনমুখী এ বাজারে এক দিনেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন নেই ছয় হাজার ৭০৬ কোটি টাকা। এদিন ডিএসইতে সূচকের বড় পতনের পাশাপাশি সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসই সূচক ও লেনদেন কমেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে আগের কার্যদিবসের তুলনায় গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ছয় হাজার ৭০৬ কোটি টাকা কমে পাঁচ লাখ তিন হাজার ১৬৬ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। গতকাল প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ কমে ছয় হাজার ১৪২ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ২১ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৬১ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩৯ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে দুই হাজার ২৭৭ দশমিক ১৬ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২১টির এবং কমেছে ৩৪৫টির। বাকি ১৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৬৮২ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২১ কোটি ৯৪ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৯টি শেয়ার ১ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৫ বার হাতবদল হয়। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সূচকের পতনের চিত্র গেছে। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড। কোম্পানিটির ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ৭০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮০ পয়সা কমেছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডের ৩৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২১৭ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ১০ হাজার ৮৪৭ দশমিক ৬১ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৭৭ দশমিক ৭১ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১৭টির কমেছে ২৪২টির এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
-
টানা পতনের পর গতকাল রোববার চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান দেখা গেছে। লেনদেন উত্থানের পাশাপাশি গতকাল এক দিনে দুই শতাংশের বেশি বেড়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯১ শতাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে। অন্যদিকে দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩১ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৩৬৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ২৬ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৩৯৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ৩৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৩৪৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৭৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩৪২টির এবং কমেছে ২৫টির। বাকি ১০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮৩৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ২৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২১ কোটি ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪৩টি শেয়ার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৭১ বার হাতবদল হয়। ডিএসইতে গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেড। কোম্পানিটির ৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। শেয়ারটির দর ১ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ টাকা ৮০ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০-এ থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৩২ কোটি ৮৯ লাখ, জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ৩০ কোটি ৮২ লাখ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ৩০ কোটি চার লাখ, ফরচুন শুজ লিমিটেডের ২৮ কোটি ১৯ লাখ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ২৩ কোটি ৩৬ লাখ, এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের ২২ কোটি ৮৮ লাখ, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের ১৯ কোটি ৫১ লাখ এবং শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের ১৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। গতকাল ৬ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। এর পরের অবস্থানে থাকা পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, তমিজউদ্দীন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেডের ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে।
-
ব্যাপক দরপতনের পর হঠাৎ ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেয়ারবাজার। পরপর দুই কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৮১ পয়েন্ট বেড়েছে। এর মধ্যে গতকাল রোববারই বেড়েছে ১৩১ পয়েন্ট। বৃহৎ বাজার মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি সূচকে বড় ভূমিকা রাখলেও স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর প্রভাবও কম ছিল না। সংশ্নিষ্টরা জানান, ব্যাপক দরপতনের পর অনেক শেয়ারের দর বেশ কমে গিয়েছিল। তাছাড়া দরপতন ঠেকাতে সব শেয়ারের দরে নিচের সার্কিট ব্রেকার ২ শতাংশ বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনেকেই বেশ পছন্দ করেছেন। তাদের শেয়ার ক্রয়ই পুরো বাজার চিত্র বদলে দিয়েছে।
ডিএসইতে গতকাল ৩৭৭ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪২টির বা প্রায় ৯১ শতাংশের দর বেড়েছে। বিপরীতে মাত্র ২৫ শেয়ারের দর কমেছে এবং অপরিবর্তিত ছিল ১০টির। প্রতিটি খাতেরই সিংহভাগ শেয়ারের দর বেড়েছে। লেনদেন ২৯৪ কোটি টাকা বেড়ে ৮৩৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বস্ত্র এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৮০ কোম্পানির গড় শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। ছোট খাতের মধ্যে সিরামিক এবং সেবা ও নির্মাণ খাতের ৯ কোম্পানির দর বেড়েছে গড়ে পৌনে ৬ শতাংশ হারে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ১১ কোম্পানির দর সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। তুলনামূলক কম বেড়েছে ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের দর। এরপরও এ দুই খাতের শেয়ারগুলোর দরবৃদ্ধির হার ছিল ১ শতাংশের বেশি। বাকি সব খাতের গড় দর ২ থেকে সাড়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সর্বশেষ দুই কার্যদিবসের বৃদ্ধির আগে মে মাসজুড়ে লাগাতার দরপতনে নাকাল ছিল পুরো বাজার। গত ২৩ মে একদিনে ১১৮ পয়েন্ট বৃদ্ধির পরও ২৮ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত প্রায় এক মাস সময়কালে সূচকের পতন হয়েছিল ৪৮৯ পয়েন্ট।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/723511425.jpg[/IMG]
-
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে ব্যাংকটি সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। মূলত ব্যাসেল থ্রি’র অধীনে টায়ার টু মূলধন শক্তিশালীকরণের জন্য এই বন্ড ইস্যু করবে ব্যাংকটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ইস্যু করতে পারবে ব্যাংকটি। এদিকে সম্প্রতি কোম্পানিটি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১৩ পয়সা। এছাড়া কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা। ঘোষিত এ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভার এজিএমজানিয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ জুন। কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন তিন হাজার ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭১ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং বাকি ৪৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমেছে। এদিন বেলা ১১টা পরযন্ত ডিএসইতে ২১২ কোটি ২৬ লাখ টাকা শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪১০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৫১ পয়েন্টে। আজ ডিএসইতে ৩৭০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ২৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন চলছে। আজ সিএসইতে ৪ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1797163841.jpg[/IMG]
-
দেশের পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিসে আজ সোমবার নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিনেও দরপতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্স*চে*ঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচক কমেছে। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর কমেছে। বাজার পর্যবেক্ষ*ণে দেখা যায়, আজ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর কিছু সময় ডিএসইএক্স সূচকে পয়েন্ট যোগ হলেও বেলা ১১টা পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দা*ঁড়ি*য়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এসময় পর্যন্ত প্রায় ৬ প*য়েন্ট কমে ২ হাজার ৩২৯ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ঘন্টায় ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির বা ৩৩ দশমিক ৪২ শতাংশ, কমেছে ২০২টির বা ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, আর অপরবর্তিত রয়েছে ৪৫টি বা ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ সিকিউরিটিজের বাজারদর। এসময় পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ১৭৮ কোটি ৫১ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/584076787.jpg[/IMG]
-
বাজেটের পর থেকে একটানা দরপতন চলছে শেয়ারবাজারে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য তেমন কোনো ঘোষণা না থাকায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ভর করেছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। বাজেট-পরবর্তী তিন কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৯ পয়েন্ট বা প্রায় ২ শতাংশ কমে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার কমানো ছাড়া আর তেমন কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি। করপোরেট কর কমানোর এ সুবিধা পাবে না ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন ও সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর এক-তৃতীয়াংশই ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন ও সিগারেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এর বাইরে যেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট কর কমানো হয়েছে সেখানেও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি বছরে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদে লেনদেন করবে, কেবল সেসব কোম্পানিই এ সুবিধা পাবে। ফলে করপোরেট কর কমানোর সুবিধা পাবে না শেয়ারবাজারের অধিকাংশ কোম্পানি।
বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো সুবিধা না পাওয়ায় গত রোববার থেকে বাজারে দরপতন শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবারও এ ধারা অব্যাহত ছিল। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২৩৬টি বা ৬২ শতাংশেরই দাম কমেছে, বেড়েছে ৮৯টির বা ২৩ শতাংশের। আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫ শতাংশ বা ৫৭টির দাম।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ নির্বাহীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজেট সামনে রেখে ব্যক্তিশ্রেণি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বাজারে বিনিয়োগ করে মুনাফার আশায়। বাজেটে ভালো কিছু থাকবে—এই প্রত্যাশায় তাঁরা বিনিয়োগ করে থাকেন। এবারও বাজেট সামনে রেখে কিছু বিনিয়োগকারী বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু বাজেটে প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় এখন তাঁরা লোকসানেও শেয়ার বিক্রি করছেন। ঢাকার বাজারে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৭৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৭ কোটি টাকা বেশি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/482206660.jpg[/IMG]