-
চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস পুঁজিবাজারে টানা পতনের পর গত দুই কার্যদিবসে ইতিবাচক প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫২ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর বৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে এদিন সূচকের উত্থানের পাশাপাশি লেনদেন বেড়ে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৪২৫ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ১৩ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৮ শতাংশ বেড়ে এক হাজার ৪০৩ দশমিক ২৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২৬ দশমিক ০২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৩২৭ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১৯৮টির এবং কমেছে ১৩৫টির। বাকি ৪৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৯৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ১০২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯টি শেয়ার এক লাখ ৯০ হাজার ২৭০ বার হাতবদল হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ৭৪ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ১১ হাজার ৩৩০ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৮৯৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ১৬৫টির, কমেছে ১০০টির এবং ৩০টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪২ কোটি ৬০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সিএসইতে গতকাল লেনদেন বেড়েছে ৪৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
-
মিশ্রিত অবস্থায় চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল রোববার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৪ শতাংশ সিকিউরিটিজের দর হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে এদিন সূচকের মিশ্র প্রবণতার পাশাপাশি লেনদেন কমেছে। গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ কমে ছয় হাজার ৪০৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে পৌঁছায়। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক ৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৯৭ দশমিক ১১ পয়েন্টে অবস্থান করে। অন্যদিকে ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বা দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়ে দুই হাজার ৩২৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে স্থির হয়। ডিএসইতে এদিন মোট ৩৮২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৬২টির এবং কমেছে ২৮২টির। বাকি ৩৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৮৯৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসাবে গতকাল লেনদেন কমেছে ১৫০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ডিএসইতে এদিন ২০ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার ৮১৩টি শেয়ার এক লাখ ৬২ হাজার ৫২৩ বার হাতবদল হয়। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ১৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ১১ হাজার ৩১২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ কমে ১৮ হাজার ৮৬৮ দশমিক ২৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। সিএসইতে ২৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ১৯৬টির এবং ৩৪টির দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সিএসইতে ২৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সিএসইতে গতকাল লেনদেন কমেছে ৬৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
-
শেয়ারবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৬ জুন) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনের পাশাপাশি অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এছাড়া, ডিএসই শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে মোট ৩৮১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৪ কোম্পানির। দরপতন হয়েছে ২৩০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।
ডিএসইতে মোট ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৮৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এদিকে, অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসসিএক্স ২২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ১৩৯ পয়েন্টে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৫ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে, সিএসই৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে ২৮১ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১৫ টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৭টির। দিন শেষে সিএসইতে ২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/428889144.jpg[/IMG]
-
দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে আজ সোমবার ঊর্ধ্বমূখী প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচক বেড়েছে। পাশাপাশি এ সময় পর্যন্ত এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বেড়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আজ সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর থেকেই ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে পয়েন্ট যোগ হতে থাকে। মাঝে সূচকটি কিছুটা কমলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক এসময় পর্যন্ত প্রায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৯০ ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৯টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৪টির বা ৬১ দশমিক ৭৪ শতাংশ, কমেছে ৯৭টির বা ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, আর অপরবর্তিত রয়েছে ৪৮টি বা ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ সিকিউরিটিজের বাজারদর। এসময় পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ২৮৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1446028637.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের শুরুতেই বেড়েছে ইউরোপের শেয়ারবাজার
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1446387675.jpg[/IMG]
সোমবারের লেনদেনে পশ্চিম ইউরোপীয় মূল স্টক সূচকগুলো ক্রমাগত বাড়ছে। মধ্যাহ্নে তারা মার্কিন এবং এশিয়ান স্টক মার্কেট অনুসরণ করে দুই সপ্তাহের উচ্চতায় পৌঁছেছিল। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের আশংকা কমেছে যে প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলির সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপগুলি বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা শুরু করতে পারে। ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলির স্টক্স ইউরোপ-600 কম্পোজিট সূচক 0.65% বেড়ে 415.63 পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গত শুক্রবার সূচকটি তিন মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সেরা ফলাফল প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ FTSE 100 0.86% বেড়ে 7268.5 পয়েন্টে স্থির হয়েছে। এছাড়াও ফরাসি CAC 40 সূচক 0.86% বেড়ে 6125.7 পয়েন্টে পৌঁছেছে। জার্মান DAX সূচক 1.46% বেড়ে 13305.86 পয়েন্টে পৌঁছেছে।
সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন লাভকারী মাইনিং স্টক সোমবার সবচেয়ে বড় লাভ রেকর্ড করেছে। বিএইচপি বেড়েছে 3.5%, অ্যাংলো আমেরিকান বেড়েছে 3.1%, অ্যান্টোফ্যাগাস্ া বেড়েছে 2.7%, রিও টিনটো 3.2% এবং গ্লেনকোর 3.3% বেড়েছে। ফরাসি স্বয়ংচালিত সেক্টরের র্যালীও চিত্তাকর্ষক ছিল, রেনল্ট 2.4% এবং মিশেলিন 1.1% বৃদ্ধি পেয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মূল কোম্পানি চীনের টেনসেন্টের কাছে তার শেয়ার বিক্রি না করার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাখ্যান করায় ডাচ বহুজাতিক কোম্পানি প্রোসাসের শেয়ার 13% বেড়েছে। এটা প্রত্যাশিত যে সিকিউরিটিজ থেকে আয় একটি প্রধান শেয়ার বাইব্যাক প্রোগ্রাম সমর্থন করার জন্য ব্যবহার করা হবে। ইতালীয় ব্যাংক ইনটেসা স্যানপাওলো এসপিএ 2.6% লাভ করেছে এই খবরে যে কোম্পানিটি €3.4bn বাইব্যাক প্রোগ্রাম চালু করছে। ব্রিটিশ কনসালটেন্সি অ্যাকিলা সার্ভিসেস গ্রুপ পিএলসির বাজার মূলধন 1.9% বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোম্পানিটি মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে $881,200 এর প্রাক-কর মুনাফা পোস্ট করেছে, যা এক বছর আগের $276,000 এর তুলনায় তিনগুন।
ইতোমধ্যে, ইতালীয় বীমা কোম্পানি অ্যাসিকিউরাজিওনি জেনারেলি (-2.8%) এবং গ্যাস কোম্পানি ইতালগ্যাস (-2.3%) ইউরোপীয় এক্সচেঞ্জে লেনদেন করা সবচেয়ে কম পারফরম্যান্সকারী সিকিউরিটিগুলির মধ্যে ছিল।
বাজার পরিস্থিতি ইউরোপীয় স্টক মার্কেটের জন্য আজকে প্রধান উত্থান ফ্যাক্টর ছিল চীনে অতিরিক্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা। আগের দিন, করোনভাইরাস বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছিল কারণ সাংহাই কর্তৃপক্ষ দুই মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ সংক্রমণের কোনও ঘটনা রিপোর্ট করেনি। ইউরোপীয় স্টক এক্সচেঞ্জের উত্থানের আরেকটি বড় কারণ হিসেবে প্রমাণিত হয় জ্বালানি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধির খবর। এনি, টোটালএনার্জিস, শেল এবং বিপি যথাক্রমে 0.38%, 1.48%, 1.77% এবং 1.4% বেড়েছে।
বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ এখন পর্তুগালের সিন্ট্রাতে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক ফোরামের উপর নিবদ্ধ। তিন দিনের ইভেন্টের অংশ হিসাবে, ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধিরা মুদ্রাস্ফীতির রেকর্ড মাত্রা মোকাবেলা করার বিষয়ে কথা বলবেন বলে ধারণা করা হয়েছে। ট্রেডিং ফলাফল দ্রব্যমূল্যের পতন সহ বিনিয়োগকারীদের দুর্বল মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশার মধ্যে ইউরোপীয় স্টক সূচকগুলি শুক্রবার দর্শনীয়ভাবে পারফর্ম করেছে৷ এদিকে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার, ইউরোপের শেয়ার বাজারগুলি বিশ্বের প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কঠোর আর্থিক নীতির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সম্পর্কে বাজার উদ্বেগের কারণে লক্ষণীয়ভাবে পতন দেখিয়েছিল৷ ফলস্বরূপ, ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি স্টক্স ইউরোপ-600 এর কম্পোজিট সূচক 2.6% বৃদ্ধি পেয়ে 412.90 পয়েন্টে পৌঁছেছে। গত সপ্তাহে, সূচকটি 2.4% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইতিবাচক দিকে সপ্তাহের লেন-দেন শেষ করেছে।
বিজ্ঞাপন কোম্পানি অ্যাডেভিনতা এএসএ (+10%), ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি রেকোর্ডাটি এসপিএ (+7.6%) এবং ক্রুজ অপারেটর কার্নিভাল (+8.7%) এর স্টকগুলি স্টক্স ইউরোপ-600 সূচকে শীর্ষস্থানীয় ছিল৷ ব্রিটিশ FTSE 100 2.7% বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্রেঞ্চ CAC 40 সূচক 3.2% যোগ করেছে , জার্মান DAX বেড়েছে 1.6%। স্প্যানিশ প্রযুক্তি জায়ান্ট ইন্দ্রা সিস্টেমাস এসএ এর স্টক মূল্য 15% কমেছে। এর আগে, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা সিএফও জাভিয়ের লাজারোর পদত্যাগের ঘোষণা করেছিল। বোর্জা গার্সিয়া-আলার্কন আলতামিরানো নতুন সিএফও হবেন। ইউরোপের বৃহত্তম ট্যুর অপারেটর, TUI AG-এর বাজার মূলধন 3.9% কমে গেছে।
আগের দিন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা শরতের শুরুতে TUI AG সিইও ফ্রেডরিখ জসেনের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। সিএফও সেবাস্তিয়ান এবেল কোম্পানির নতুন সিইও হবেন। জার্মান অনলাইন খুচরা বিক্রেতা জ্যালান্ডো এসই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফলে 1.6% হ্রাস পেয়েছে। উপরন্তু, জ্যালান্ডো এর ব্যবস্থাপনা তার বার্ষিক পূর্বাভাস সংশোধিত করেছে এবং আশা করছে যে 2022 সালে কোম্পানির আয় পূর্বে প্রত্যাশিত 12-19% এর চেয়ে মাত্র 3% বৃদ্ধি পাবে। যাইহোক, ইউরোজোনের সদস্য দেশগুলির দেশীয় পরিসংখ্যান শুক্রবার ইউরোপীয় সূচকগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঊর্ধ্বমুখী ফ্যাক্টর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এইভাবে, শুক্রবার সকালে জানা গেল যে জুনে জার্মানির অর্থনীতির জন্য জার্মান ব্যবসায়িক আস্থার সূচক (ব্যবসায়িক জলবায়ুর সূচক) মে মাসের 93 পয়েন্ট থেকে 92,3 পয়েন্টে নেমে এসেছে। বিশ্লেষকরা গড় 92.9-এ নেমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় এপ্রিল মাসে বৃদ্ধির বিপরীতে, মে মাসে 0.5% কমেছে। প্রিন্ট 0.7% পতনের বাজারের অনুমানকে বীট করেছে।
*মার্কেট এর নিউজ ট্রেডিং সম্পর্কে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করবে, কিন্তু আপনাকে ট্রেডিং সম্পর্কিত নির্দেশ প্রদান করবে না।
ইকোনমিক* নিবন্ধ পেতে ভিজিট করুন:*https://ifxpr.com/3azJlBa
-
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে লেনদেনেও ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। আর লেনদেনে হয়েছে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা। ডিএসইর পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে মূল্যসূচক। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। সেইসঙ্গে বড় হতে থাকে দাম বাড়ার তালিকা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৩৪ মিনিটে ডিএসইতে ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির। আর ৬২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৪১ পয়েন্ট । অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৬ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১১৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির।
-
1 Attachment(s)
দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে ঈদের আগের সর্বশেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (৭ জুন) পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে দশমিক ৯০ পয়েন্ট। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে বুধবার দরপতনের পর আজ বাজার ঘুরে দাঁড়াল। ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও সূচকের তেজিভাবের মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু লেনদেনের আধা ঘণ্টা পর শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপ বেশি পড়ে। এরপর দিনের বাকি লেনদেন হয় সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে। এদিন ডিএসইতে ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠানের ১৯ কোটি ৬০ লাখ ১২ হাজার ৬৯৮টি শেয়ার ও ইউনিট কেনা-বেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৯টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির দাম। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
[ATTACH]17880[/ATTACH]
-
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন সামান্য বেড়েছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বৃহস্পতিবার সূচকের মিশ্র প্রবণতায় আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৪২ কোটি টাকা। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন্ত উত্থান-পতনের চিত্র দেখা গেছে। লেনদেন শেষে প্রায় ১ পয়েন্ট ইতিবাচক ছিল প্রধান সূচক। বাকি দুই সূচক নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। অন্যদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র লক্ষ করা গেছে। বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩৬৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইএস বা শরিয়াহ্ সূচক দশমিক ১ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ কমে এক হাজার ৩৮৭ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। আর ডিএস৩০ সূচক ৬ দশমিক ০৯ পয়েন্ট বা দশমিক ২৬ শতাংশ কমে ২ হাজার ২৯৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ৫৮২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৭২ কোটি টাকায়। ডিএসইতে লেনদেন হয় ৭৮৮ কোটি ৬৬ লাখ ১২ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এদিন ১৯ কোটি ৬০ লাখ ১২ হাজার ৬৯৮টি শেয়ার এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৬৮ বার হাতবদল হয়। লেনদেন হওয়া ৩৭৮ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৬টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৩টির দর। গতকাল টাকার অঙ্কে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দর কমেছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা। এরপর আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা। বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (বেক্সিমকো) ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ১ টাকা ১০ পয়সা। ফরচুন শুজ লিমিটেডের লিমিটেডের ২৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ২০ পয়সা। ফুু-ওয়াং ফুড লিমিটেডের ১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৫০ পয়সা। ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ১৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ২ টাকা ১০ পয়সা। বিডিকম অনলাইন লিমিটেডের ১৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা। এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ১৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ৭০ পয়সা। অন্যদিকে সিএসইতে গতকাল সিএসসিএক্স মূল্যসূচক দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ২৩৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে এবং সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা দশমিক ০১ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ৭৫১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করে। গতকাল সর্বমোট ২৯৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৮টির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৭টির দর। সিএসইতে এদিন ২৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
-
ঈদের পর টানা আটদিন শেয়ারবাজারে দরপতন ছিল। এবার চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেই দেখা গেলো বড় ধরনের দরপতনের প্রবণতা। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে লেনদেনে। প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩০ পয়েন্টের ওপরে। আর লেনদেনে হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে মূল্যসূচক। জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দিলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। সরকারের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে গত সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার বড় পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার। পরের তিন কার্যদিবস মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবারও শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। অবশ্য লোডশেডিংয়ের ঘোষণার আগে থেকেই শেয়ারবাজারে দরপতন হচ্ছিল। ঈদুল আজহার পর এখনো পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। তবে লোডশেডিংয়ের ঘোষণা আসার পর শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। ফলে বড় পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2000897004.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৫ জুলাই) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন দেখা দিলেও শেষপর্যন্ত মূল্যসূচক ও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে শেষ হয়েছে লেনদেন। এর মাধ্যমে টানা নয় কার্যদিবস পতনের পর ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা পেলো শেয়ারবাজার।
এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। লেনদেনের সময় আধাঘণ্টা না গড়াতেই প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের ক্রয় আদেশের ঘর শূন্য হয়ে পড়ে।
এতে আবারও বড় দরপতনের আশঙ্কা পেয়ে বসে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। দরপতনের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। সেই ক্রেতা সংকট থেকে বেরিয়ে আসে শতাধিক প্রতিষ্ঠান। ফলে ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদের পর থেকেই শেয়ারবাজার টানা দরপতন ঘটলেও সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত জানানোর পর পতনের মাত্রা বেড়ে যায়। জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জ্বালানি সাশ্রয়ে লক্ষ্যে সোমবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করা বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। সরকারের পক্ষ এমন ঘোষণা আসার পর সোমবার শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। সেইসঙ্গে চরম ক্রেতা সংকটে পড়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। মঙ্গলবারও (১৯ জুলাই) শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। ফলে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে মূল্যসূচকের বড় পতন হয়। পরের দুই কার্যদিবস বুধ ও বৃহস্পতিবার (২০ ও ২১ জুলাই) কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্রেতা ফেরায় দরপতনের মাত্র কিছুটা কমে। তবে পতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শেয়ারবাজার। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে আবারও ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/358504665.jpg[/IMG]