-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার ৬৮ কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশূন্য হয়ে গেছে। আজ লেনদেন শুরুর পর ক্রেতা থাকলেও ধীরে ধীরে তারা হারিয়ে যেতে থাকে। এতে করে ৬৮ কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার মতো বিনিয়োগকারী থাকলেও ক্রেতা নেই।
কোম্পানিগুলো হচ্ছে-
এডিএন টেলিকমের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫৯.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৬২.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬০.৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
বিআইএফসির শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৯.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৯.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ক্রাউন সিমেন্টের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগেরদিন ছিল ৭৬.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৭৫.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭৫.১০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৬৫.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৬৯ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৬৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ডেল্টা স্পিনার্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৮.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৮.৬০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৮.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
দুলামিয়া কটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৭০.৮০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৭৭.২০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭৫.৭০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৪.৯০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৪.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফারইস্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৬ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৯০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফাস ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৩০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৫০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
জেমিনি সী ফুডের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৩১৮.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৩১৮.৫০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩১২.২০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫.৪০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ইমাম বাটনের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ১২৬.৬০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ১২৪.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ১২৪.১০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ইনটেকের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৩০.৫০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৩০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২৯.৯০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
ইনফর্মেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্কের শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ৫৪.৪০ টাকায়। আজ কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয়েছে ৫৪.১০ টাকায়। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৩.৪০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। এরপর কোম্পানিটির শেয়ারে বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা ছিল না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/695204732.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
দিনভর সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২১ আগস্ট) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন লাফার্জহোলসিম, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, তিত্যাস গ্যাস এবং বিকন ফার্মাসহ বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২০ পয়েন্ট। সূচক বাড়লেও কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান হলো। তবে তার আগের টানা চার কার্যদিবস পতন হয়েছিল। ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার বাজারটিতে ২৪ কোটি ৪৯ লাখ ১০৬৪টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। যার মূল্য ১ হাজার ৫৭ কোটি ৭৬ লাখ ২ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে ১০১ কোটি টাকার বেশি। নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এর মধ্যে ১৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৪৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
[ATTACH=CONFIG]18074[/ATTACH]
-
সূচকের তেজিভাবের মাধ্যমে চলছে দেশের পুঁজিবাজারের লেনদেন। ফলে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সোমবার (২২ আগস্ট) লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৩৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৬৩ পয়েন্ট। উভয় বাজারে সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের ও লেনদেন। ডিএসইর তথ্য মতে, সকাল ১০টা থেকে ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সময়ে ডিএসইতে ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১০৩টির দাম। এসময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট বেড়েছে। এসময়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৪ কোটি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার শেয়ার ।এর আগের দিন সোয়া দুই ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছিল ৫০৪ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার।
একই অবস্থায় লেনদেন হচ্ছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। প্রথম ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৭৪৬ টাকা।
সিএসইতে ১৮৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৯৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৬০টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৪টির দাম।
-
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ, প্রকৌশল, খাদ্য, বস্ত্রসহ সবকটি খাতের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে বড় উত্থান হয়েছে সবকটি মূল্যসূচকের। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারির পর গত সাড়ে সাত মাসের মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এদিন ডিএসই ছাড়াও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইতে ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। ফলে লেনদেনের শুরুর দিকে সূচকের বড় উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। আর লেনদেনের শেষদিকে এসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বেড়ে যায়। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৪টির। আর ৯১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান স্থান করে নিলেও বড় দাপট দেখিয়েছে বিমা খাতে। এ খাতের ৪৬টি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে একটি প্রতিষ্ঠানেরও শেয়ার দাম কমেনি। তবে ৬টির শেয়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এছাড়া ওষুধ খাতের ২০টির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৪টির। ব্যাংক খাতের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৩টির। আর্থিক খাতের ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২টির। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৩টির। প্রকৌশল খাতের ৩৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৬টির দাম কমেছে। খাদ্য খাতের ১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৪টির। এতে দিনের লেনদেশ শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ১৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৬৪৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। একইসঙ্গে ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি ডিএসইতে ১ হাজার ৯৭৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর গত সাত মাসে ডিএসইতে আর এতো লেনদেন হয়নি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৩৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭০টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1829101071.jpg[/IMG]
-
চলতি সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। এতে প্রথম দুই কার্যদিবসে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ দেড় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স বাড়লেও দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার সিএসইতে গতকাল সূচক বাড়লেও দৈনিক লেনদেন কমেছে। দেশের দুই পুঁজিবাজারেই গতকাল মিশ্র প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। টানা উত্থানের কারণে অনেক বিনিয়োগকারীই শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর প্রথম ৪ মিনিট পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী ছিল সূচক। এরপর কিছুটা ছন্দপতন ঘটে। তবে ১১ মিনিট পরেই আবারো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। লেনদেনের ৩০ মিনিট পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। এতে সূচকে বড় পতন ঘটে। এর আধা ঘণ্টা পরেই সূচক বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে। দিনভর ওঠানামা শেষে গতকাল দিন শেষে আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল ৬ হাজার ৪০২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল ২ হাজার ২৭১ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল ১ হাজার ৩৯০ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল , বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), গ্রামীণফোন ও পূবালী ব্যাংকের শেয়ারের।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে টানা বেশ কয়েকদিন ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে ছিল দেশের পুঁজিবাজার। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তোলে নেয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে ডলারের বিনিময় মূল্য ও জ্বালানির সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এ বিষয়ে এখনো অনেকের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা ঊর্ধ্বমুখী বাজারের সুবিধা নিয়ে তাদের পোর্টফোলিওতে থাকা কিছু শেয়ার বিক্রি করে নগদ অর্থ হাতে রাখছেন। লেনদেনের শুরুতে সূচকে ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হলেও দ্বিতীয়ার্ধে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এতে শুরুর দিকে সূচকের যে উত্থান ছিল সেটি শেষ পর্যন্ত বজায় থাকেনি। ডিএসইতে গতকাল ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ২ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১২৩টির, কমেছে ১৮৮টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭১টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2080392676.jpg[/IMG]
-
ব্যাংক-বিমার পর এবার দাপট দেখাল দামি কোম্পানি ও বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার। সূচকের চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৫০ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দামি কোম্পানি রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কেয়ার, ম্যারিকো, ইন্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ারের পাশাপাশি বড় মূলধনি কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, জেএমআইসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। সূচক ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে লেনদেন। ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭১২টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মূল্য ১ হাজার ৮৮৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮১টি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে ১৭২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার, লাফার্জহোলসিম, ফরচুন সুজ, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও সাইফ পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার ৫৮০ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ১৭৮ টাকার শেয়ার।
-
ব্যাংক-বিমার পর এবার দাপট দেখাল দামি কোম্পানি ও বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার। সূচকের চাঙাভাবের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৫১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৫০ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দামি কোম্পানি রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কেয়ার, ম্যারিকো, ইন্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ারের পাশাপাশি বড় মূলধনি কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, কোহিনূর কেমিক্যাল, জেএমআইসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে। সূচক ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে লেনদেন। ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৪২ কোটি ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭১২টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, যার মূল্য ১ হাজার ৮৮৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮১টি কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে ১৭২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩১টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম।
অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার দিনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস সূচক ১০ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর রয়েছে- ইস্টার্ন হাউজিং, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, ন্যাশনাল পলিমার, লাফার্জহোলসিম, ফরচুন সুজ, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও সাইফ পাওয়ার লিমিটেডের শেয়ার। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫০ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বাজারে ৩১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১০৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৬০ লাখ ৬ হাজার ৫৮০ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ১৭৮ টাকার শেয়ার।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2080392676.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস দরপতন হওয়ার পর মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দেশের শেয়ারবাজারে আবার ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে, দুই বাজারেই দাম বাড়ার তুলনায় দাম কামার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়ে। এতে টানা ছয় কার্যদিবসের উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। টানা উত্থানের প্রভাবে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়ানোর পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দরপতন হয় শেয়ারবাজারে। পরের কার্যদিবস সোমবারও পতনের মধ্যেই থাকে শেয়ারবাজার।
এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের ১৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষপর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
তবে, লেনদেনের একপর্যায়ে এসে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে বেশিকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমে আসে। অবশ্য বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান লেনদেনের প্রায় পুরোটা সময় ধরে দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখে। ফলে এক বারের জন্যও সূচক ঋণাত্মক হয়নি। বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪৭০ পয়েন্টে উঠে এসেছে। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/430435728.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ২১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার। এর আগে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস মূল্য সূচক বাড়ে।
এতে টানা ছয় কার্যদিবসের উত্থানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। টানা উত্থানের প্রভাবে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্ট ছাড়ানোর পর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দরপতন হয় শেয়ারবাজারে। পরের কার্যদিবস সোমবারও পতনের মধ্যেই থাকে শেয়ারবাজার। তবে মঙ্গলবার আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে শেয়ারবাজার। আর বুধবার সূচকের বড় উত্থান হওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক আবার সাড়ে ছয় হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠেছে। এদিন লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেনের শুরুতেই ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
এমনকি লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের শেষ দিকে এসে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিক্রির চাপ বাড়ায়। এতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে। অবশ্য এর মধ্যেও বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসই আগের দিনের তুলনায় ৭৬ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৪৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। বাকি দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৩৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচক বাড়লেও ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। বাজারটিতে সব খাত মিলে ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৫টির। আর ৯২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৮৭৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩০ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১৫১ কোটি ২৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১০৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- নাহি অ্যালুমিনিয়াম, জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, বেক্সিমকো ফার্মা, ইস্টার্ন হাউজিং, একমি ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং মালেক স্পিনিং।
[IMG]https://forex-bangla.com/attachment.php?attachmentid=18074&d=1661080956[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২০৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১২টির এবং ৬৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
-
1 Attachment(s)
সূচক ওঠানামার মধ্যদিয়ে প্রথম দিনের লেনদেন হলেও, আজ সোমবার লেনদেন হচ শেয়ার বিক্রির চাপের মধ্যদিয়ে। এ কারণে নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। এদিন প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ২১ পয়েন্ট। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ শেয়ারের দাম। এর ফলে গত সপ্তাহের মঙ্গল, *বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা তিন দিন উত্থানের পর নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।
[ATTACH=CONFIG]18197[/ATTACH]
প্রকৌশল, বস্ত্র, ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক খাতসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমায় এদিন দরপতন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। ওষুধ খাতের ৩২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টির, কমেছে ২০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। একইভাবে ব্যাংক-বিমাসহ প্রায় সব খাতের শেয়ারের দাম কমেছে। তাতেই পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে।