-
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ২ হাজার ১৮০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১ হাজার ৩৪৯ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল জেনেক্স ইনফোসিস, ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যাল , সোনালী পেপার, বসুন্ধরা পেপার ও ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের শেয়ারের।
ডিএসইতে গতকাল ৩৫১ কোটি ৯০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৪২২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৩টির, কমেছে ৭২টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৯টি সিকিউরিটিজের বাজারদর। খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক ৩০ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জীবন বীমা খাত। গতকাল পুঁজিবাজারে চামড়া খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শূন্য ৪০ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাত।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/39623506.jpg[/IMG]
-
শেয়ারবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে চলছে মন্দাভাব। বাজারের এ অবস্থার মধ্যেও মাত্র তিন মাসে তিন গুণের বেশি বেড়েছে কক্সবাজারের রয়েল টিউলিপ হোটেলের মালিকানা প্রতিষ্ঠান সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ারের দাম। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভালো কোম্পানির শেয়ার যখন দিনের পর দিন সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে, তখন একটানা বেড়েই চলেছে সি পার্ল রিসোর্টের শেয়ারের দাম। টানা উত্থানের ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম তালিকাভুক্তির পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে গেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল দিন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৪ টাকা ৪০ পয়সায়। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ আগস্টে কোম্পানিটির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৫৮ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার দিন শেষে তা বেড়ে তিন গুণ হয়ে গেছে। সি পার্ল রিসোর্টের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয় মূলত গত সেপ্টেম্বর থেকে। এরপর কয়েক দিন বাদ দিলে একটানা বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম। এ মূল্যবৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলছেন বাজার–সংশ্লিষ্টর । তাঁরা বলছেন, এভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়লেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্তের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। এ কারণে কারসাজিকারীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/174126713.png[/IMG]
অক্টোবর থেকে টানা দাম বাড়তে শুরু করলেও এর পেছনে মূল্য সংবেদনশীল কোনো তথ্য ছিল না। ১২ অক্টোবরে এসে কোম্পানিটি গত জুনে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এর আগেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১৫০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এরপর ১৩ অক্টোবর এসে কোম্পানিটি গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে কোম্পানিটি জানায়, উল্লিখিত প্রান্তিকে তাদের মুনাফায় বড় ধরনের উল্লম্ফন হয়েছে। তাতে আরেক দফা বাড়তে শুরু করে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম।ডিএসইতে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ছয়ে উঠে আসে। এদিন এককভাবে কোম্পানিটির প্রায় ১২ কোটি টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়। আর দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ বা ৮ টাকা ৩০ পয়সা।
বাজার–সংশ্লিষ্টর বলছেন, বিএসইসির পক্ষ থেকে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হলে কোম্পানিটির শেয়ারের বড় ধরনের কারসাজির প্রমাণ মিলবে। আরও আগে এ উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল। তাহলে দামের উল্লম্ফন দেখে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ারে খুব বেশি আকৃষ্ট হতেন না। এদিকে কোম্পানিটির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের হিসাবে এটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও দাঁড়িয়েছে ৩০০-এর ওপরে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পিই রেশিও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬-এ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যে কোম্পানির পিই রেশিও যত বেশি সেই কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য তত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সমান্তরালভাবে আয় না বাড়লে ওই শেয়ারে বিনিয়োগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
-
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি রয়েছে। তবে দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে এক পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি টাকার কিছু বেশি। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। একইসঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1431515180.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২৮ নভেম্বর) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকে বেশ অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি রয়েছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক নিম্নমুখী রয়েছে। একই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/174126713.png[/IMG]
অবশ্য দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা বিক্রি করতে পারছেন না। এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে যায়।
-
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। তবে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি টাকার বেশি। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেন সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। অবশ্য এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। দুই বাজারে মূল্যসূচক দুই চিত্র থাকলেও দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/316820113.jpg[/IMG]
-
পতনের বৃত্তে আটকে যাওয়া দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল মঙ্গলবারও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কম্পানির শেয়ারের দাম। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ১২ পয়েন্ট। অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট। ফলে বুধ, বৃহস্পতি, রবি, সোম ও মঙ্গলবার টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতন হলো। ডিএসইর তথ্য মতে, গতকাল বাজারে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের চার কোটি ছয় লাখ ৫১ হাজার ৫১৯টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩২২ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/132078474.jpg[/IMG]
-
৪২ শতাংশ সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার
পুঁজিবাজারের টানা দরপতন ঠেকাতে এ বছরের ৩১ জুলাই থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরের ওপর ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারদর কমার সর্বনিম্ন সীমা) আরোপ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ১৬৯টি কোম্পানি ও ফান্ড বা ৪২ শতাংশ সিকিউরিটিজের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1514120325.jpg[/IMG]
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, এ বছরের ২৮ জুলাই জারি করা ফ্লোর প্রাইস আরোপসংক্রান্ত নির্দেশনা ১৬৯ কোম্পানি ও ফান্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। এসব সিকিউরিটিজের দর কমার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়েছে। এতে একদিনে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে এসব সিকিউরিটিজের দর। অন্যদিকে এ কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর শেয়ারদর বাড়ার ঊর্ধ্বসীমা ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর জারি করা নির্দেশনা অনুসারে কার্যকর হবে। এ নির্দেশনা অনুসারে দর ২০০ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার প্রযোজ্য হবে। দর ২০০ টাকার ওপর হলে এবং ৫০০ টাকা পর্যন্ত ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার থাকবে। ৫০০ টাকার বেশি এবং ১ হাজার টাকা পর্যন্ত দর থাকলে সেক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার হবে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দর ১ হাজার টাকার বেশি এবং ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। দর ২ হাজার টাকার ওপরে থাকলে এবং ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ৫ শতাংশ। আর দর ৫ হাজার টাকার বেশি হলে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হবে। আজ থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা দেয়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
-
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১৩৫৭ ও ২১৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে ৪৬২ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/775588003.jpg[/IMG]
-
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইতে) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। এরপরও বাজারটিতে বেড়েছে প্রধান মূল্যসূচক। আর লেনদেন হয়েছে পাঁচশ কোটি টাকার বেশি। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস ডিএসইতে পাঁচশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো। ডিএসইতে মতো অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে এ বাজারটিতেও দাম বাড়ার থেকে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দুই বাজারেই দাম বাড়ার থেকে কমার তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/174126713.png[/IMG]
এদিন লেনদেন শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে লেনদেনের সাত মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট কমে যায়। লেনদেনের পুরো সময়জুড়েই দরপতনের তালিকা বড় থাকে। এরপরও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৫২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১১টির। আর ১৭১টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে।
-
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে সূচকের ওঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক সামান্য কমলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে।
তবে আজ উভয় বাজারে লেনদেন বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১৩৬২ ও ২২০১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন ডিএসইতে ৭১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২ কোটি টাকা বেড়েছে। আগের দিন ডিএসইতে ৭১১ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল। সোমবার ডিএসইতে ৩৫২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টি কোম্পানির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- জেনেক্স, বিএসসি, বসুন্ধরা পেপার, অরিয়ন ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, বিডিকম, ইন্ট্রাকো, ইস্টার্ন হাউজিং, নাভানা ফার্মা ও সী পার্ল বিচ।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/877639518.jpg[/IMG]
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সোমবার ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৪৪০ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২০২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪০টির, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। সোমবার সিএসইতে ১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার।