-
শক্তিশালী হচ্ছে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা। জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক নিয়ে গঠিত জোট ওপেক প্লাস এ পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার জোটটির জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটি জানায়, চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক ৬০ লাখ ব্যারেল করে বাড়বে। জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক নিয়ে গঠিত জোট ওপেক প্লাস এ পূর্বাভাস দিয়েছে। সোমবার জোটটির জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটি জানায়, চলতি বছর জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা দৈনিক ৬০ লাখ ব্যারেল করে বাড়বে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1574491789.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
[ATTACH=CONFIG]14634[/ATTACH]
যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটি দৈনিক ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করে। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২৬ লাখ ১৫ হাজার ব্যারেল। সে হিসেবে রফতানি বেড়েছে দৈনিক ৬ লাখ ২১ হাজার ব্যারেল। মার্কিন সেনসাস ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত বাণিজ্য নথিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ চতুর্থ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক। এপ্রিলে দেশটি এখন পর্যন্ত এ বছরের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি করেছে। জানুয়ারিতেও জ্বালানি পণ্যটির রফতানি বড় পরিসরে বেড়েছিল। এ সময় রফতানির পরিমাণ দৈনিক ৩০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হয়। জানুয়ারিতে রফতানিযোগ্য প্রতি ব্যরেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ছিল ৪৯ ডলার ১১ সেন্ট। তবে এপ্রিলে পণ্যটির দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৫৮ ডলার ৮৭ সেন্টে পৌঁছে।
-
চাহিদা বৃদ্ধিতে চাঙ্গা হচ্ছে ক্রড ওয়েল এর দাম। ক্রড ওয়েল বা জ্বালানি তেলের দাম গত কয়েক বছরের মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চে পৌঁছেছে, যা সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো দাম বৃদ্ধির ঘটনা। কভিড-১৯-এর টিকা প্রয়োগের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল হওয়া এবং ইউরোপ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা পুনরুদ্ধারের কারণে দাম বৃদ্ধির এ ঘটনা ঘটেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ব্যারেলপ্রতি ২১ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ ডলার ৭৩ সেন্টে। ২০১৯ সালের মে মাসের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এটিই ছিল সর্বোচ্চ দাম। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১৭ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ ডলার ৪৬ সেন্টে। বৃহস্পতিবার দাম বৃদ্ধির পর ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর এটিই ডব্লিউটিআই ক্রুডের সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1667536013.jpg[/IMG]
-
বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। ক্রমেই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বিশ্ববাজার। টানা তিন সপ্তাহের মতো পণ্যটির দাম বেড়েছে। সর্বশেষ কার্যদিবসে জ্বালানি তেলের দাম ৩২ মাসের শীর্ষে উঠে এসেছে। করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম ত্বরান্বিত হওয়ায় বিশ্বজুড়ে ফিরছে স্বস্তি। বৈশ্বিক সংকট কাটতে শুরু করায় দৈনন্দিন জীবনধারা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর ফলে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে গ্রীষ্মকালীন চাহিদা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনায় বিশ্বব্যাপী যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল তা দ্রুতগতিতে কাটছে। আমেরিকানরা আবারো কাজে ফিরতে শুরু করেছে। তারা বড় কলেবরে অনুষ্ঠানাদি ও বন্ধুদের আড্ডায় শামিল হচ্ছে। সিবিএস নিউজের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। পরিস্থিতি গত বছরের তুলনায় স্বাভাবিক হতে শুরু করায় জ্বালানি তেলের চাহিদায় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারদর। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারের ওপরে উঠে আসে। রয়টার্স জানায়, সর্বশেষ কার্যদিবসে ব্রেন্টের দাম দশমিক ৭ শতাংশ বা ৫১ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৩ ডলার ২০ সেন্টে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৮ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৪৭ সেন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার ৩৮ সেন্টে পৌঁছেছে, যা ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ। এদিকে ব্লুমবার্গের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে কার্যদিবসের শুরুতে ডব্লিউটিআই জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিমূল্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭১ ডলার ২৪ সেন্টে দাঁড়ায়। অন্যদিকে আইসিই ফিউচারস ইউরোপ এক্সচেঞ্জে ব্রেন্টের আগস্টে সরবরাহ চুক্তিমূল্যও দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য উঠেছে ৭৩ ডলার ৫ সেন্ট পর্যন্ত।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/93962670.jpg[/IMG]
-
1 Attachment(s)
[attach=config]14718[/attach]
আজ সোমবার তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রীষ্মের ড্রাইভিং মৌসুমে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ইরান পারমাণবিক চুক্তিকে পুনর্জীবিত করার ফলে তেলের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেল ২৩ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩.৭৪ প্রাইসের কাছাকাছি অবস্থান করছে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ( wti) ২৯ সেন্ট বৃদ্ধি পেয়ে ৭১.৯৩ প্রাইসে অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর কারণে সরবরাহের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছিল, তা দূর হওয়ার পাশাপাশি দেশে দেশে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া গতি পাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। এ ছাড়া আগামী আগস্টে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার আগেই দেশটি পারমাণবিক ইস্যুতে একটি চুক্তি সইয়ে ঐকমত্য হতে পারে। এমন সম্ভাবনাও তেলের পালে যেন হওয়া লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। oanda অ্যানালাইসিস্ট জেফ্রি হ্যালি বলেছেন, অর্থনৈতিক বাজারে কোলাহল সত্ত্বেও, সত্যিকার বিশ্ব সঠিক পথে চলছে এবং বিধি নিষেধ কমার সাথে সাথে তেলের প্রাইস বৃদ্ধি পাচ্ছে।
-
বিশ্ববাজারে আরো এক ধাপ বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সর্বশেষ কার্যদিবসে জ্বালানি পণ্যটির দাম ব্যারেলপ্রতি ৭২ ডলারে উঠে আসে। খবর ব্লুমবার্গ ও রয়টার্স।পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইরানের সঙ্গে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোর সংলাপ চলছে। ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপের মধ্য দিয়ে ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তেল রফতানি নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছিল। এতে সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনায় জ্বালানি পণ্যটির দাম সম্প্রতি কমেছিল। কিন্তু কোনো রকম চুক্তি ছাড়াই সংলাপ শেষ হওয়ায় গতকাল আবারো বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ে। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন ঊর্ধ্বমুখী চাহিদাও জ্বালানি পণ্যটির দাম বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা নিউইয়র্কের ফিউচার মার্কেটে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। টানা চার সপ্তাহ ধরে দরবৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত আছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/5993129.jpg[/IMG]
-
চলতি বছরের জুনে প্রতিশ্রুতির দ্বিগুণেরও বেশি অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে ওপেক। জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বমুখী বৈশ্বিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে সফলভাবেই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ করেছে রফতানিকারক দেশগুলোর জোট সংগঠনটি। জুনে ওপেক দৈনিক ৮ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়িয়েছে। ওপেকের গত মাসের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নিয়ে একটি সমীক্ষা চালায় ব্লুমবার্গ। এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, জোটভুক্ত দেশগুলো গত মাসে সব মিলিয়ে দৈনিক ২ কোটি ৬৪ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করে। ওপেকের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল উত্তোলক দেশ সৌদি আরব। দেশটি বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারকও। ব্লুমবার্গের সমীক্ষা বলছে, জুনে ওপেকভুক্ত দেশগুলোর মোট উত্তোলিত জ্বালানি তেলের অর্ধেকই এসেছে সৌদি আরব থেকে। এ সময় দেশটি দৈনিক ৪ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়িয়েছে। দৈনিক মোট উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেলে। এর আগে চলতি মাসের এপ্রিলে ওপেক ও ওপেক নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার চাঙ্গা করতে উত্তোলন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/727374511.jpg[/IMG]
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/310897486.jpg[/IMG]
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তরল জ্বালানি খাত। দেশে দেশে লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধ শিথিল হতে থাকায় বাড়ছে পেট্রোলিয়াম ও তরল জ্বালানি পণ্যের চাহিদা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ব্যবহারও। এর সঙ্গে তাল মেলাতে বিশ্বপরিমণ্ডলে বাড়ছে তরল জ্বালানি পণ্যের উৎপাদন। আগামী বছর বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়ে করোনা-পূর্ববর্তী পর্যায়ে ফিরে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশ (ইআইএ)। প্রতিষ্ঠানটির শর্ট-টার্ম এনার্জি আউটলুক শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯ সালে তরল জ্বালানি পণ্যের বৈশ্বিক উৎপাদন ছিল দৈনিক ১০ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে উৎপাদন কমে প্রতিদিন ৯ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসে। চলতি বছর উৎপাদন কিছুটা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ইআইএ। এ সময় সব মিলিয়ে প্রতিদিন ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল তরল জ্বালানি উৎপাদন হবে। তবে আগামী বছর ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন মহামারী-পূর্ববর্তী পর্যায়কে ছাড়িয়ে যাবে। এ সময় উৎপাদন হবে দৈনিক ১০ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল।
প্রতিবেদনে পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য তরল জ্বালানি পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, গত মে মাসে বৈশ্বিক ব্যবহার গত বছরের একই মাসের তুলনায় দৈনিক ১ কোটি ১৯ লাখ ব্যারেল বেড়েছে। এ সময় সব মিলিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে দৈনিক ৯ কোটি ৬২ লাখ ব্যারেল। তবে ২০১৯ সালের মে মাসের তুলনায় ব্যবহার ৩৭ লাখ ব্যারেল কমেছে। পূর্বাভাস বলছে, ২০১৯ সালে বৈশ্বিক ব্যবহারের পরিমাণ ছিল দৈনিক ১০ কোটি ৯ লাখ ব্যারেল। গত বছর ব্যবহার কমে দৈনিক ৯ কোটি ২২ লাখ ৬০ হাজার টনে নেমে যায়। তবে চলতি বছর ব্যবহার বেড়ে দৈনিক ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী বছর ব্যবহারের পরিমাণ মহামারী-পূর্ববর্তী পর্যায়কে ছাড়িয়ে দৈনিক ১০ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার ব্যারেলে উন্নীত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঊর্ধ্বমুখী চাহিদা ও ব্যবহারের কারণে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক মজুদ ক্রমে কমছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দামে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেলসমৃদ্ধ দেশগুলো উত্তোলন বাড়াচ্ছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক। ইআইএ জানায়, চলতি বছর ওপেক দৈনিক গড়ে ২ কোটি ৬৯ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল উত্তোলন করবে। আগামী বছর গড় উত্তোলন বেড়ে দৈনিক ২ কোটি ৮৭ লাখ টনে উন্নীত হবে।
ইআইএ আরো জানায়, জ্বালানি তেলের বাজার চাঙ্গা করতে উত্তোলন হ্রাসের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ওপেক ও ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। চলতি বছরের এপ্রিলে জোটের একটি বৈঠকে মে, জুন ও জুলাইয়ে ধারাবাহিকভাবে উত্তোলন বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেয়া হয়। এছাড়া জোটের সবচেয়ে বড় অংশীদার সৌদি আরব একতরফাভাবে উত্তোলন বাড়াচ্ছে। এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে সম্ভাবনা বাড়ছে ইরানের। চলতি বছর দেশটি ধারাবাহিকভাবে জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়াবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে। মূলত এসব কারণেই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল খাতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইআইএ।
-
জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তারের অন্যতম সহায়ক হলো শেল অয়েল। কয়েক বছর ধরে শেল উত্তোলন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও গত বছর কভিড-১৯ মহামারী দেখা দিলে শেল অয়েলের বাজার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। জ্বালানি পণ্যটির চাহিদায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে লকডাউনসহ করোনা প্রতিরোধে নেয়া নানা বিধিনিষেধ। এ সময় শেল অয়েলের বাজারে দরপতন দেখা দেয়। তবে চলতি বছর পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। দাম বাড়তে থাকায় মার্কিন এনার্জি ফার্মগুলোর খনন কার্যক্রমে নতুন গতি এসেছে। জ্বালানি তেল উত্তোলনসংক্রান্ত তথ্য সেবাদাতা এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বেকার হিউজের দেয়া তথ্যমতে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে জ্বালানি তেল উত্তোলন কেন্দ্র ১০টি বেড়ে ৩৯৭টিতে উন্নীত হয়েছে, যা গত বছরের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। গত বছর উত্তোলন কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১৭২টি। এদিকে জ্বালানি পণ্যের তথ্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এনভেরাস জানায়, আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় জ্বালানি তেলের সংখ্যা বেড়েছে আটটি। মোট সক্রিয় উত্তোলন কেন্দ্রের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭৫টিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যাপালাশিয়া ও পারমিয়ান বেসিনে। ইআইএ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শেল বেসিনগুলো থেকে সেপ্টেম্বরে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনও বাড়তে পারে। সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী মাসে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন ১৬ কোটি ঘনফুট বেড়ে দৈনিক ৮ হাজার ৬১০ কোটি ঘনফুটে উন্নীত হতে পারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1648351290.jpg[/IMG]
-
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/645743339.jpg[/IMG]
অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৫% বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার পণ্যটির মূল্য ৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে পায়। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলারের বিনিময় মূল্য কমে যাওয়া এবং বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে প্রবৃদ্ধি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। টানা সাত কার্যদিবস নিম্নমুখী ছিল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার। তবে সোমবার পণ্যটির বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। লন্ডনের আইসিই ফিউচার এক্সচেঞ্জে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৩ ডলার ৫৭ সেন্ট বৃদ্ধি পায়। কার্যদিবস শেষে ব্যারেলপ্রতি পণ্যটির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ ডলার ৭৫ সেন্টে। এর আগে পণ্যটির দাম সর্বনিম্ন ৬৪ ডলার ৬০ সেন্টে নেমে গিয়েছিল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বা ৩ ডলার ৫০ সেন্ট বেড়েছে। নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) দিন শেষে পণ্যটির ব্যারেলপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৫ ডলার ৬৪ সেন্টে। রয়টার্স জানায়, গত সপ্তাহে দুই বাজার আদর্শের দামই নয় মাসের সর্বনিম্নে নেমে গিয়েছিল। এ সময় ব্রেন্টে দাম ৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম ৯ শতাংশ হ্রাস পায়।